এস এস শোহান, বাগেরহাট
বাগেরহাটে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) সব কটি দপ্তর চরম জনবলসংকটে খুঁড়িয়ে চলছে। বীজ ও উদ্যান, সার-ব্যবস্থাপনা ও ক্ষুদ্র সেচ—এই তিন দপ্তরের সব কটিই জনবলসংকটে ধুঁকছে। ফলে কৃষকেরা তাঁদের প্রয়োজনীয় সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
এদিকে যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারী আছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কাজে অনীহা, স্বেচ্ছাচারিতা ও সেবাদানের নামে উৎকোচ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
বিএডিসি সূত্রে জানা গেছে, বাগেরহাটে বিএডিসির তিনটি দপ্তর রয়েছে, সেগুলো হলো বিএডিসি-ক্ষুদ্র সেচ, বিএডিসি-বীজ ও উদ্যান এবং বিএডিসি সার-ব্যবস্থাপনা। এগুলোর মধ্যে সেচ দপ্তরে ১৬টি পদের মধ্যে ১১টি শূন্য। উপসহকারী প্রকৌশলী, মেকানিক বা সহকারী মেকানিক, অফিস সহায়ক, গাড়িচালক ও পিয়ন/দারোয়ানের পদ ফাঁকা পড়ে আছে। ফলে কৃষকদের সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন এই দপ্তরের কর্মকর্তারা।
কৃষকদের অভিযোগ, জনবলসংকটের অজুহাতে নিজেদের খনন করা খাল, চলমান কাজ ও কৃষকদের সেচ সুবিধা নিশ্চিত করতে নিয়মিত মাঠপর্যায়ে পরিদর্শনেও যান না কর্মকর্তারা। সেচ সুবিধা দেওয়া এবং কৃষকদের ভাড়ায় শ্যালো মেশিন পাওয়ার ক্ষেত্রেও দপ্তরে আসতে হয় বারবার। অনেকের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। এ ছাড়া এই দপ্তরের অধীনে বিভিন্ন খাল খননের কাজ ঠিকাদারের কাছ থেকে চুক্তিতে নিয়ে উপসহকারী প্রকৌশলী এস এম সুজাউদ্দীন নিজে করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক এক ঠিকাদার বলেন, ‘উপসহকারী প্রকৌশলী সুজাউদ্দীন এখানে আট বছরের বেশি সময় আছেন। দরপত্রে অংশগ্রহণের মাধ্যমে যেসব ঠিকাদার কাজ পান, তাঁদের কাছ থেকে কৌশলে কাজ বাগিয়ে নিয়ে তিনি করেন। যেহেতু তদারকির (সুপারভিশন) দায়িত্বে তিনি, তাই যেনতেনভাবে কাজ করে পার পেয়ে যান।’
কৃষকদের অভিযোগের বিষয়ে জানতে উপসহকারী প্রকৌশলী সুজাউদ্দীনের মোবাইল ফোন কল দেওয়া হলে তিনি তা ধরেননি।
খনন করা খাল পরিদর্শন এবং সেচ নালা পরিদর্শন না করার অভিযোগের বিষয়ে বিএডিসি-সেচ বিভাগ বাগেরহাটের সহকারী প্রকৌশলী প্রিন্স কুমার মল্লিক বলেন, ‘যখন কাজ চলে, তখন পরিদর্শনে যাওয়া হয়। আবার সব জায়গায় নিয়মিত যাওয়া হয় না। লোকবলেরও সংকট রয়েছে। ঠিকাদারের কাজ ভাগাভাগির মাধ্যমে করার বিষয়টিও সত্য নয়।’
এদিকে বিএডিসি-সার ব্যবস্থাপনা বিভাগে রয়েছেন মাত্র একজন গুদামরক্ষক। তাঁকেও বীজ বিভাগ থেকে প্রেষণে পাঠানো হয়েছে। ৪০০ টন ধারণক্ষমতাসম্পন্ন গুদামে সরকারি বেতনভুক্ত একমাত্র কর্মচারী তিনি। এই গুদাম থেকে ডিএপি, টিএসপি ও এমওপি—তিন প্রকারের ৬ হাজার টনের বেশি সার ডিলারদের কাছে বিক্রি হয়।
পিয়ন, নৈশপ্রহরী বা অন্যান্য কর্মচারী না থাকার বিষয়ে গুদামরক্ষক বিশ্বজিত বলেন, ‘আসলে অর্গানোগ্রামে কী আছে জানি না। খুলনার স্যাররা জানেন। আর এখানে বেসরকারি শ্রমিক আছেন। তাঁরা অনেক কাজে সহযোগিতা করেন।’
গুদামরক্ষক দায়িত্ব পালন করছেন সার বিভাগের। ফলে নিয়মিত দাপ্তরিক কাজ ও কৃষকদের বীজ সেবা দিতে সমস্যায় পড়তে হয় ফারুক আহমেদকে। তিনি বলেন, ‘যখন ধান রোপণের মৌসুম আসে, তখন অনেক চাপ থাকে। কখনো স্থানীয়ভাবে শ্রমিকের ব্যবস্থা করতে হয়, কখনো খুলনা অফিস থেকে কাউকে পাঠানো হয়। এভাবে কষ্ট করে অফিস চালাচ্ছি।’
এসব বিষয়ে বিএডিসির প্রধান কার্যালয়ের সংস্থাপন বিভাগের উপপরিচালক মো. শাহিন মিয়া বলেন, ‘একটা সময় বিএডিসির জনবল ছিল ৬ হাজার ৮০০, পরে তা ৫ হাজার ২১৮ করা হয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের স্বীকৃতিও পাওয়া গেছে। কিন্তু জনবলের গ্রেডিং কাঠামো নিয়ে মন্ত্রণালয়ের কিছু দাপ্তরিক কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এসব কাজ হলে নতুন জনবল নিয়োগ দিতে পারব।’
বাগেরহাটে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) সব কটি দপ্তর চরম জনবলসংকটে খুঁড়িয়ে চলছে। বীজ ও উদ্যান, সার-ব্যবস্থাপনা ও ক্ষুদ্র সেচ—এই তিন দপ্তরের সব কটিই জনবলসংকটে ধুঁকছে। ফলে কৃষকেরা তাঁদের প্রয়োজনীয় সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
এদিকে যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারী আছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কাজে অনীহা, স্বেচ্ছাচারিতা ও সেবাদানের নামে উৎকোচ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
বিএডিসি সূত্রে জানা গেছে, বাগেরহাটে বিএডিসির তিনটি দপ্তর রয়েছে, সেগুলো হলো বিএডিসি-ক্ষুদ্র সেচ, বিএডিসি-বীজ ও উদ্যান এবং বিএডিসি সার-ব্যবস্থাপনা। এগুলোর মধ্যে সেচ দপ্তরে ১৬টি পদের মধ্যে ১১টি শূন্য। উপসহকারী প্রকৌশলী, মেকানিক বা সহকারী মেকানিক, অফিস সহায়ক, গাড়িচালক ও পিয়ন/দারোয়ানের পদ ফাঁকা পড়ে আছে। ফলে কৃষকদের সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন এই দপ্তরের কর্মকর্তারা।
কৃষকদের অভিযোগ, জনবলসংকটের অজুহাতে নিজেদের খনন করা খাল, চলমান কাজ ও কৃষকদের সেচ সুবিধা নিশ্চিত করতে নিয়মিত মাঠপর্যায়ে পরিদর্শনেও যান না কর্মকর্তারা। সেচ সুবিধা দেওয়া এবং কৃষকদের ভাড়ায় শ্যালো মেশিন পাওয়ার ক্ষেত্রেও দপ্তরে আসতে হয় বারবার। অনেকের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। এ ছাড়া এই দপ্তরের অধীনে বিভিন্ন খাল খননের কাজ ঠিকাদারের কাছ থেকে চুক্তিতে নিয়ে উপসহকারী প্রকৌশলী এস এম সুজাউদ্দীন নিজে করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক এক ঠিকাদার বলেন, ‘উপসহকারী প্রকৌশলী সুজাউদ্দীন এখানে আট বছরের বেশি সময় আছেন। দরপত্রে অংশগ্রহণের মাধ্যমে যেসব ঠিকাদার কাজ পান, তাঁদের কাছ থেকে কৌশলে কাজ বাগিয়ে নিয়ে তিনি করেন। যেহেতু তদারকির (সুপারভিশন) দায়িত্বে তিনি, তাই যেনতেনভাবে কাজ করে পার পেয়ে যান।’
কৃষকদের অভিযোগের বিষয়ে জানতে উপসহকারী প্রকৌশলী সুজাউদ্দীনের মোবাইল ফোন কল দেওয়া হলে তিনি তা ধরেননি।
খনন করা খাল পরিদর্শন এবং সেচ নালা পরিদর্শন না করার অভিযোগের বিষয়ে বিএডিসি-সেচ বিভাগ বাগেরহাটের সহকারী প্রকৌশলী প্রিন্স কুমার মল্লিক বলেন, ‘যখন কাজ চলে, তখন পরিদর্শনে যাওয়া হয়। আবার সব জায়গায় নিয়মিত যাওয়া হয় না। লোকবলেরও সংকট রয়েছে। ঠিকাদারের কাজ ভাগাভাগির মাধ্যমে করার বিষয়টিও সত্য নয়।’
এদিকে বিএডিসি-সার ব্যবস্থাপনা বিভাগে রয়েছেন মাত্র একজন গুদামরক্ষক। তাঁকেও বীজ বিভাগ থেকে প্রেষণে পাঠানো হয়েছে। ৪০০ টন ধারণক্ষমতাসম্পন্ন গুদামে সরকারি বেতনভুক্ত একমাত্র কর্মচারী তিনি। এই গুদাম থেকে ডিএপি, টিএসপি ও এমওপি—তিন প্রকারের ৬ হাজার টনের বেশি সার ডিলারদের কাছে বিক্রি হয়।
পিয়ন, নৈশপ্রহরী বা অন্যান্য কর্মচারী না থাকার বিষয়ে গুদামরক্ষক বিশ্বজিত বলেন, ‘আসলে অর্গানোগ্রামে কী আছে জানি না। খুলনার স্যাররা জানেন। আর এখানে বেসরকারি শ্রমিক আছেন। তাঁরা অনেক কাজে সহযোগিতা করেন।’
গুদামরক্ষক দায়িত্ব পালন করছেন সার বিভাগের। ফলে নিয়মিত দাপ্তরিক কাজ ও কৃষকদের বীজ সেবা দিতে সমস্যায় পড়তে হয় ফারুক আহমেদকে। তিনি বলেন, ‘যখন ধান রোপণের মৌসুম আসে, তখন অনেক চাপ থাকে। কখনো স্থানীয়ভাবে শ্রমিকের ব্যবস্থা করতে হয়, কখনো খুলনা অফিস থেকে কাউকে পাঠানো হয়। এভাবে কষ্ট করে অফিস চালাচ্ছি।’
এসব বিষয়ে বিএডিসির প্রধান কার্যালয়ের সংস্থাপন বিভাগের উপপরিচালক মো. শাহিন মিয়া বলেন, ‘একটা সময় বিএডিসির জনবল ছিল ৬ হাজার ৮০০, পরে তা ৫ হাজার ২১৮ করা হয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের স্বীকৃতিও পাওয়া গেছে। কিন্তু জনবলের গ্রেডিং কাঠামো নিয়ে মন্ত্রণালয়ের কিছু দাপ্তরিক কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এসব কাজ হলে নতুন জনবল নিয়োগ দিতে পারব।’
চট্টগ্রাম নগরে পরীর পাহাড়ে যাতায়াতের দুর্ভোগ কমাতে বছরখানেক আগে সড়কের পাশের ২৩ শতক জায়গার ওপর গড়ে ওঠা অবৈধ দখলদারদের স্থাপনা ভেঙে দিয়েছিলেন তৎকালীন জেলা প্রশাসক। উচ্ছেদের পর সেখানে জনস্বার্থে প্রকল্প বাস্তবায়নের কথা ছিল।
৫ ঘণ্টা আগেসিলেটের ১৩৩ বছরের পুরোনো এমসি কলেজ। এর ছাত্রাবাসের সপ্তম ব্লকে ১২৮ জন শিক্ষার্থীর পাশাপাশি কলেজের কয়েকজন কর্মচারীও থাকেন। কিন্তু বেশ কয়েক দিন ধরে পানির তীব্র সংকট থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। গোসল করা দূরে থাক, প্রয়োজনীয় খাওয়ার পানিও পাচ্ছেন না তাঁরা। তাই অনেকে বাধ্য হয়ে নিজ নিজ বাড়িতে চলে
৫ ঘণ্টা আগেটানা বৃষ্টি আর উজানের ঢলে পদ্মা নদীতে বৃদ্ধি পাচ্ছে পানি। এতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলার চরাঞ্চল ডুবে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে পাঁচটি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের সাড়ে ৬ হাজার পরিবার। অন্যদিকে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের পদ্মার চরের নিম্নাঞ্চলের আবাদি জমি ও চলাচলের রাস্তা ডুবে গেছে। ইতিমধ্যে রামকৃষ্ণপুর
৫ ঘণ্টা আগেরংপুরের তারাগঞ্জে গণপিটুনিতে শ্বশুর রূপলাল দাস (৪৫) ও জামাই প্রদীপ লালের (৩৫) প্রাণহানির পেছনে আইনশৃঙ্খলাহীনতাকে দুষছেন স্থানীয় লোকজন। তাঁরা বলছেন, গত কয়েক দিনের চুরি, ছিনতাই ও হত্যাকাণ্ড-সংশ্লিষ্ট অপরাধের কারণে স্থানীয় জনতার ভেতর মবের মনোভাব তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশও সেভাবে তৎপর নয়। এসব কারণেই শ্
৬ ঘণ্টা আগে