খুলনা প্রতিনিধি
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) সম্প্রতি ঘটে যাওয়া অনভিপ্রেত ও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সম্পর্কের বেশ অবনতি হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, প্রো-ভিসিসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষক লাঞ্ছিত হয়েছেন। ১৮ ফেব্রুয়ারির ঘটনার পর থেকে বেশ কয়েকবার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা অপ্রত্যাশিত ঘটনার মুখোমুখি হয়ে তর্কে জড়িয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে আক্ষেপ করে এক পোস্টে লিখেছেন, ‘১৮ ফেব্রুয়ারি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা এবং সংঘর্ষের সময় থেকে শুরু করে অদ্যাবধি কতিপয় শিক্ষার্থীর দ্বারা শিক্ষকবৃন্দ শারীরিক ও মানসিকভাবে লাঞ্ছনার শিকার হয়েছেন, যা ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্ককে একদম তলানিতে নিয়ে গিয়েছে।’
এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কুয়েটের সব সাধারণ শিক্ষার্থীর পক্ষ থেকে গতকাল রোববার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে শিক্ষকদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে খোলাচিঠি দেওয়া হয়েছে। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬টি ডিপার্টমেন্টের সব ছাত্র প্রতিনিধির স্বাক্ষর সংযুক্ত করা হয়েছে।
চিঠিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা লিখেছেন, ‘আমরা আপনাদের সন্তানতুল্য, আমাদের কোনো আচরণে যদি বিন্দুমাত্র অসম্মান প্রকাশ পেয়ে থাকে, আমরা দুঃখিত ও আন্তরিকভাবে অনুতপ্ত। আমাদের ভুলের জন্য গভীরভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি এবং আপনাদের কাছে বিনীত ক্ষমা প্রার্থনা করছি। আপনারা আমাদের পিতৃতুল্য, অনেক ক্ষেত্রে তার চেয়েও শ্রদ্ধার। আপনাদের প্রতিটি কথা আমাদের জীবনের পথনির্দেশক। আমরা আন্তরিকভাবে আশা করি, আপনারা আমাদের ভুলগুলো ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। আমরা বিশ্বাস করি, প্রাণের কুয়েট আবারও ঐক্য ও পারস্পরিক শ্রদ্ধার বন্ধনে জড়িয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থী একসঙ্গে কাজ করে এই শিক্ষাঙ্গনকে বিশ্বমানে উন্নীত করবে। আমরা আশাবাদী, কুয়েট পরিবারের প্রত্যেক সদস্য একসঙ্গে একটি সুস্থ, সুন্দর ও রাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাস নির্মাণে ভূমিকা রাখবে।’
ঘটনার প্রেক্ষাপট তুলে ধরে খোলাচিঠিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের উদ্দেশে লিখেছেন, ‘আপনারা সকলেই অবগত আছেন ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েট ছাত্রদল ও বহিরাগত সন্ত্রাসী বিএনপি নেতা-কর্মীদের দ্বারা আমাদের প্রিয় ক্যাম্পাসে পিস্তল, চাপাতি, রামদাসহ দেশীয় অস্ত্র ব্যবহার করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর এক ন্যক্কারজনক ও বর্বরোচিত হামলা চালানো হয়। এই হামলায় দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী ও একজন শ্রদ্ধেয় শিক্ষক আহত হন, যা কুয়েটের এক বেদনাদায়ক অধ্যায়। কিন্তু আমরা অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে লক্ষ করছি, কিছু স্বার্থান্বেষী ও কুচক্রী মহল এই হামলার প্রকৃত সত্য আড়াল করে তা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে নিজেদের রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে চায়। অথচ আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আমাদের শিক্ষকগণ বিচক্ষণ এবং সর্বোপরি ছাত্রবান্ধব, তা সত্ত্বেও দুঃখজনক এই ষড়যন্ত্রের ফলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শিক্ষকদের একটি কৃত্রিম দূরত্ব তৈরি হয়েছে।
এই স্বার্থান্বেষী মহল প্রচার চালাচ্ছে যে, আন্দোলনটি নাকি শিক্ষকবিরোধী কিংবা শিক্ষাবিরোধী। আমরা স্পষ্টভাবে জানাতে চাই, এই আন্দোলন কখনো শিক্ষাবিরোধী ছিল না, শিক্ষকবিরোধীও ছিল না। এই আন্দোলন ছিল সন্ত্রাসবিরোধী, দুর্নীতিবিরোধী ও শান্তিপূর্ণ একটি উদ্যোগ। এর মূল উদ্দেশ্য লেজুড়ভিত্তিক রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত নিরাপদ ও জ্ঞানচর্চার উপযোগী একটি কুয়েট গড়ে তোলা। শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের একক দাবি, একটি রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত, নিরাপদ ও সুষ্ঠু শিক্ষার পরিবেশ। এই আন্দোলন তারই প্রতিফলন। তবু আন্দোলনের সময় কোনো শিক্ষার্থীর আচরণ বা বক্তব্যে যদি শ্রদ্ধেয় শিক্ষকদের মনে আঘাত লেগে থাকে, তবে আমরা হৃদয়ের গভীর থেকে দুঃখ প্রকাশ করছি।’
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) সম্প্রতি ঘটে যাওয়া অনভিপ্রেত ও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সম্পর্কের বেশ অবনতি হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, প্রো-ভিসিসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষক লাঞ্ছিত হয়েছেন। ১৮ ফেব্রুয়ারির ঘটনার পর থেকে বেশ কয়েকবার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা অপ্রত্যাশিত ঘটনার মুখোমুখি হয়ে তর্কে জড়িয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে আক্ষেপ করে এক পোস্টে লিখেছেন, ‘১৮ ফেব্রুয়ারি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা এবং সংঘর্ষের সময় থেকে শুরু করে অদ্যাবধি কতিপয় শিক্ষার্থীর দ্বারা শিক্ষকবৃন্দ শারীরিক ও মানসিকভাবে লাঞ্ছনার শিকার হয়েছেন, যা ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্ককে একদম তলানিতে নিয়ে গিয়েছে।’
এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কুয়েটের সব সাধারণ শিক্ষার্থীর পক্ষ থেকে গতকাল রোববার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে শিক্ষকদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে খোলাচিঠি দেওয়া হয়েছে। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬টি ডিপার্টমেন্টের সব ছাত্র প্রতিনিধির স্বাক্ষর সংযুক্ত করা হয়েছে।
চিঠিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা লিখেছেন, ‘আমরা আপনাদের সন্তানতুল্য, আমাদের কোনো আচরণে যদি বিন্দুমাত্র অসম্মান প্রকাশ পেয়ে থাকে, আমরা দুঃখিত ও আন্তরিকভাবে অনুতপ্ত। আমাদের ভুলের জন্য গভীরভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি এবং আপনাদের কাছে বিনীত ক্ষমা প্রার্থনা করছি। আপনারা আমাদের পিতৃতুল্য, অনেক ক্ষেত্রে তার চেয়েও শ্রদ্ধার। আপনাদের প্রতিটি কথা আমাদের জীবনের পথনির্দেশক। আমরা আন্তরিকভাবে আশা করি, আপনারা আমাদের ভুলগুলো ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। আমরা বিশ্বাস করি, প্রাণের কুয়েট আবারও ঐক্য ও পারস্পরিক শ্রদ্ধার বন্ধনে জড়িয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থী একসঙ্গে কাজ করে এই শিক্ষাঙ্গনকে বিশ্বমানে উন্নীত করবে। আমরা আশাবাদী, কুয়েট পরিবারের প্রত্যেক সদস্য একসঙ্গে একটি সুস্থ, সুন্দর ও রাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাস নির্মাণে ভূমিকা রাখবে।’
ঘটনার প্রেক্ষাপট তুলে ধরে খোলাচিঠিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের উদ্দেশে লিখেছেন, ‘আপনারা সকলেই অবগত আছেন ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েট ছাত্রদল ও বহিরাগত সন্ত্রাসী বিএনপি নেতা-কর্মীদের দ্বারা আমাদের প্রিয় ক্যাম্পাসে পিস্তল, চাপাতি, রামদাসহ দেশীয় অস্ত্র ব্যবহার করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর এক ন্যক্কারজনক ও বর্বরোচিত হামলা চালানো হয়। এই হামলায় দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী ও একজন শ্রদ্ধেয় শিক্ষক আহত হন, যা কুয়েটের এক বেদনাদায়ক অধ্যায়। কিন্তু আমরা অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে লক্ষ করছি, কিছু স্বার্থান্বেষী ও কুচক্রী মহল এই হামলার প্রকৃত সত্য আড়াল করে তা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে নিজেদের রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে চায়। অথচ আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আমাদের শিক্ষকগণ বিচক্ষণ এবং সর্বোপরি ছাত্রবান্ধব, তা সত্ত্বেও দুঃখজনক এই ষড়যন্ত্রের ফলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শিক্ষকদের একটি কৃত্রিম দূরত্ব তৈরি হয়েছে।
এই স্বার্থান্বেষী মহল প্রচার চালাচ্ছে যে, আন্দোলনটি নাকি শিক্ষকবিরোধী কিংবা শিক্ষাবিরোধী। আমরা স্পষ্টভাবে জানাতে চাই, এই আন্দোলন কখনো শিক্ষাবিরোধী ছিল না, শিক্ষকবিরোধীও ছিল না। এই আন্দোলন ছিল সন্ত্রাসবিরোধী, দুর্নীতিবিরোধী ও শান্তিপূর্ণ একটি উদ্যোগ। এর মূল উদ্দেশ্য লেজুড়ভিত্তিক রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত নিরাপদ ও জ্ঞানচর্চার উপযোগী একটি কুয়েট গড়ে তোলা। শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের একক দাবি, একটি রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত, নিরাপদ ও সুষ্ঠু শিক্ষার পরিবেশ। এই আন্দোলন তারই প্রতিফলন। তবু আন্দোলনের সময় কোনো শিক্ষার্থীর আচরণ বা বক্তব্যে যদি শ্রদ্ধেয় শিক্ষকদের মনে আঘাত লেগে থাকে, তবে আমরা হৃদয়ের গভীর থেকে দুঃখ প্রকাশ করছি।’
বাবার মোটরসাইকেলে চড়ে কলেজে যাওয়ার পথে চাকায় বোরকার কাপড় পেঁচিয়ে এক ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। আজ রোববার দুপুরে নোয়াখালী হাতিয়ার সোনাদিয়া ইউনিয়নে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
১০ মিনিট আগেনোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার বারগাও ইউনিয়নে নিখোঁজের দুদিন পর কামরুল হুদা (৪০) নামের এক ব্যক্তির লাশ পানি থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ রোববার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ইউনিয়নের মোল্লাপাড়া গ্রামের একটি পুকুরে লাশটি পাওয়া যায়।
১৬ মিনিট আগেসাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ কে এম নুরুল হুদাকে উত্তরায় স্থানীয়রা ঘিরে ধরে জুতার মালা পরিয়ে পুলিশে দেন। একটি মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে পুলিশ। বিএনপিও একইদিন শেরেবাংলা নগর থানায় নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে।
১৮ মিনিট আগেপটুয়াখালীর গলাচিপার একটি আবাসিক মাদ্রাসায় মারা যাওয়া আট বছরের এক শিশুর ময়নাতদন্তে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। আজ রোববার বেলা ৩টার দিকে পটুয়াখালী ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার তামান্না রহমান শান্তা ভিকটিমের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করেছেন।
১৯ মিনিট আগে