Ajker Patrika

শিক্ষকদের কাছে ক্ষমা চেয়ে কুয়েট শিক্ষার্থীদের খোলাচিঠি

খুলনা প্রতিনিধি
আপডেট : ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ১৭: ২৫
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) সম্প্রতি ঘটে যাওয়া অনভিপ্রেত ও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সম্পর্কের বেশ অবনতি হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, প্রো-ভিসিসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষক লাঞ্ছিত হয়েছেন। ১৮ ফেব্রুয়ারির ঘটনার পর থেকে বেশ কয়েকবার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা অপ্রত্যাশিত ঘটনার মুখোমুখি হয়ে তর্কে জড়িয়েছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে আক্ষেপ করে এক পোস্টে লিখেছেন, ‘১৮ ফেব্রুয়ারি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা এবং সংঘর্ষের সময় থেকে শুরু করে অদ্যাবধি কতিপয় শিক্ষার্থীর দ্বারা শিক্ষকবৃন্দ শারীরিক ও মানসিকভাবে লাঞ্ছনার শিকার হয়েছেন, যা ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্ককে একদম তলানিতে নিয়ে গিয়েছে।’

এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কুয়েটের সব সাধারণ শিক্ষার্থীর পক্ষ থেকে গতকাল রোববার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে শিক্ষকদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে খোলাচিঠি দেওয়া হয়েছে। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬টি ডিপার্টমেন্টের সব ছাত্র প্রতিনিধির স্বাক্ষর সংযুক্ত করা হয়েছে।

চিঠিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা লিখেছেন, ‘আমরা আপনাদের সন্তানতুল্য, আমাদের কোনো আচরণে যদি বিন্দুমাত্র অসম্মান প্রকাশ পেয়ে থাকে, আমরা দুঃখিত ও আন্তরিকভাবে অনুতপ্ত। আমাদের ভুলের জন্য গভীরভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি এবং আপনাদের কাছে বিনীত ক্ষমা প্রার্থনা করছি। আপনারা আমাদের পিতৃতুল্য, অনেক ক্ষেত্রে তার চেয়েও শ্রদ্ধার। আপনাদের প্রতিটি কথা আমাদের জীবনের পথনির্দেশক। আমরা আন্তরিকভাবে আশা করি, আপনারা আমাদের ভুলগুলো ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। আমরা বিশ্বাস করি, প্রাণের কুয়েট আবারও ঐক্য ও পারস্পরিক শ্রদ্ধার বন্ধনে জড়িয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থী একসঙ্গে কাজ করে এই শিক্ষাঙ্গনকে বিশ্বমানে উন্নীত করবে। আমরা আশাবাদী, কুয়েট পরিবারের প্রত্যেক সদস্য একসঙ্গে একটি সুস্থ, সুন্দর ও রাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাস নির্মাণে ভূমিকা রাখবে।’

ঘটনার প্রেক্ষাপট তুলে ধরে খোলাচিঠিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের উদ্দেশে লিখেছেন, ‘আপনারা সকলেই অবগত আছেন ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েট ছাত্রদল ও বহিরাগত সন্ত্রাসী বিএনপি নেতা-কর্মীদের দ্বারা আমাদের প্রিয় ক্যাম্পাসে পিস্তল, চাপাতি, রামদাসহ দেশীয় অস্ত্র ব্যবহার করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর এক ন্যক্কারজনক ও বর্বরোচিত হামলা চালানো হয়। এই হামলায় দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী ও একজন শ্রদ্ধেয় শিক্ষক আহত হন, যা কুয়েটের এক বেদনাদায়ক অধ্যায়। কিন্তু আমরা অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে লক্ষ করছি, কিছু স্বার্থান্বেষী ও কুচক্রী মহল এই হামলার প্রকৃত সত্য আড়াল করে তা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে নিজেদের রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে চায়। অথচ আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আমাদের শিক্ষকগণ বিচক্ষণ এবং সর্বোপরি ছাত্রবান্ধব, তা সত্ত্বেও দুঃখজনক এই ষড়যন্ত্রের ফলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শিক্ষকদের একটি কৃত্রিম দূরত্ব তৈরি হয়েছে।

এই স্বার্থান্বেষী মহল প্রচার চালাচ্ছে যে, আন্দোলনটি নাকি শিক্ষকবিরোধী কিংবা শিক্ষাবিরোধী। আমরা স্পষ্টভাবে জানাতে চাই, এই আন্দোলন কখনো শিক্ষাবিরোধী ছিল না, শিক্ষকবিরোধীও ছিল না। এই আন্দোলন ছিল সন্ত্রাসবিরোধী, দুর্নীতিবিরোধী ও শান্তিপূর্ণ একটি উদ্যোগ। এর মূল উদ্দেশ্য লেজুড়ভিত্তিক রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত নিরাপদ ও জ্ঞানচর্চার উপযোগী একটি কুয়েট গড়ে তোলা। শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের একক দাবি, একটি রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত, নিরাপদ ও সুষ্ঠু শিক্ষার পরিবেশ। এই আন্দোলন তারই প্রতিফলন। তবু আন্দোলনের সময় কোনো শিক্ষার্থীর আচরণ বা বক্তব্যে যদি শ্রদ্ধেয় শিক্ষকদের মনে আঘাত লেগে থাকে, তবে আমরা হৃদয়ের গভীর থেকে দুঃখ প্রকাশ করছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নোয়াখালী সরকারি কলেজে পরিবহন ব্যবস্থার দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

নোয়াখালী প্রতিনিধি
মানববন্ধনে নোয়াখালী সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
মানববন্ধনে নোয়াখালী সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

নোয়াখালী সরকারি কলেজে নিজস্ব পরিবহন ও নিরাপদ যাতায়াত ব্যবস্থার দাবিতে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে কলেজ ক্যাম্পাসে এই কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা। কর্মসূচিতে কলেজের বিভিন্ন বিভাগের সহস্রাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।

আন্দোলনকারীরা জানান, জাতীয় শিক্ষা বোর্ড তথা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অন্যতম নোয়াখালী সরকারি কলেজ। এই কলেজে নোয়াখালীর ৯টি উপজেলার শিক্ষার্থী ছাড়াও পার্শ্ববর্তী লক্ষ্মীপুর ও ফেনী জেলার অনেক শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত। কলেজের নিজস্ব আবাসনের ব্যবস্থা কম থাকায় বেশির ভাগ শিক্ষার্থী নিজেদের বাসাবাড়ি থেকে যাতায়াত করেন।

আন্দোলনকারীরা আরও জানান, প্রতিদিন জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে শিক্ষার্থীরা গণপরিবহনে ক্যাম্পাসে আসেন। গণপরিবহনে বিভিন্ন সময় চালকদের দুর্ব্যবহার ও শ্রমিকদের হেনস্তার শিকার হন তাঁরা। এ ছাড়াও অদক্ষ ও লাইসেন্সবিহীন চালক এবং ফিটনেসবিহীন গাড়ির কারণে প্রায় সময় দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন কোনো না কোনো শিক্ষার্থী। ৪ নভেম্বর কলেজ থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় বাড়ি ফেরার পথে কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী ইসরাত জাহান ও হিসাববিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র তানিম হাসান নিহত হন।

দেশের বেশির ভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব পরিবহনের ব্যবস্থা থাকলেও প্রাচীনতম এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোনো নিজস্ব পরিবহন নেই। দ্রুত সময়ের মধ্যে নোয়াখালী সরকারি কলেজের নিজস্ব পরিবহন চালু না করা হলে আরও কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শেরপুরে কৃষি কর্মকর্তাকে পেটানোর অভিযোগে উপজেলা ছাত্রদলের সদস্যসচিব বহিষ্কার

শেরপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ১৪: ৫২
বহিষ্কার হওয়া নেতা রাহাত হাসান কাইয়ুম। ছবি: সংগৃহীত
বহিষ্কার হওয়া নেতা রাহাত হাসান কাইয়ুম। ছবি: সংগৃহীত

শেরপুরের নকলায় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে পেটানোর অভিযোগে উপজেলা ছাত্রদলের সদস্যসচিব রাহাত হাসান কাইয়ুমকে বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল। আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক (সহসভাপতি পদমর্যাদা) স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিটি ছাত্রদলের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজেও প্রকাশিত হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক সাংগঠনিক শৃঙ্খলাভঙ্গের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে শেরপুর জেলা শাখার অধীন নকলা উপজেলা ছাত্রদলের সদস্যসচিব রাহাত হাসান কাইয়ুমকে প্রাথমিক সদস্যপদসহ সকল সাংগঠনিক পদ থেকে বহিষ্কার করা হলো।’

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির এই সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেন। তাঁর সঙ্গে কোনো সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার জন্য ছাত্রদলের সকল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, গতকাল (৫ নভেম্বর) দুপুরে নকলা উপজেলা ছাত্রদলের সদস্যসচিব রাহাত হাসান কাইয়ুম তাঁকে সরকারি কৃষি প্রণোদনা না দেওয়ায় উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা শাহরিয়ার মোরসালিন মেহেদীর অফিসকক্ষে প্রবেশ করে তাঁকে পেটান। এ সময় রাহাত হাসান কাইয়ুমের সঙ্গে ছাত্রদল কর্মী ফজলুও ওই কর্মকর্তাকে মারধর করেন। এই ঘটনায় কাইয়ুম ও ফজলুর বিরুদ্ধে নকলা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

কৃষি কর্মকর্তাকে মারধরের সিসিটিভি ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। অভিযুক্ত রাহাত হাসান কাইয়ুম (৩৫) নকলা পৌরসভার ধুকুরিয়া গ্রামের সুরুজ মোল্লার ছেলে এবং ফজলু (৩২) একই গ্রামের সিরাজুল হকের ছেলে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাজধানীতে যুগপৎ আন্দোলনের শরিকদের বিক্ষোভ, তীব্র যানজট

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ১৫: ১৩
রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে বিক্ষোভ করছে জামায়াতসহ ৮ দলের নেতা-কর্মীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা।
রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে বিক্ষোভ করছে জামায়াতসহ ৮ দলের নেতা-কর্মীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা।

নির্বাচনের আগে গণভোট এবং জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারিসহ পাঁচ দাবিতে রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে বিক্ষোভ করছেন যুগপৎ আন্দোলনের শরিক জামায়াতসহ আট দলের নেতা-কর্মীরা। আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পল্টন, কাকরাইল, শাপলা চত্বর, মৎস্য ভবন এলাকায় চলা এই অবস্থান কর্মসূচির কারণে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।

সকাল ১০টা থেকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে পল্টন মোড়ে এসে জড়ো হতে থাকেন নেতা-কর্মীরা। পরে সেখান থেকে মিছিল নিয়ে মৎস্য ভবন মোড়ে এলে তাঁদের আটকে দেয় পুলিশ। পরে মৎস্য ভবন মোড়ে অবস্থান নেন তাঁরা। এতে আশপাশ এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। দুপুর ১২টা ১৫ মিনিটে ৯ সদস্যবিশিষ্ট একটি প্রতিনিধিদল উপদেষ্টার বাসভবনে গেলে নেতা-কর্মীরা মৎস্য ভবন মোড়ে অবস্থান করতে থাকেন।

এর আগে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বর এবং কাকরাইল মোড়ে জড়ো হন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর জামায়াতে ইসলামীর নেতা-কর্মীরা। সেখান থেকে পরে মিছিল নিয়ে পল্টনে আসেন তাঁরা।

এই কর্মসূচির ফলে রাজধানীজুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। হাইকোর্ট, পল্টন, প্রেসক্লাব ও কাকরাইল এলাকায় যান চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। তবে অ্যাম্বুলেন্সসহ জরুরি সেবার যানবাহন যাওয়ার পথ করে দিচ্ছেন নেতা-কর্মীরা।

রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে বিক্ষোভ করছে জামায়াতসহ ৮ দলের নেতা-কর্মীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা।
রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে বিক্ষোভ করছে জামায়াতসহ ৮ দলের নেতা-কর্মীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা।

এক পথচারী বলেন, ‘রাস্তা বন্ধ করে আন্দোলন করা কাম্য না। মানুষকে কষ্ট দিয়ে কী লাভ? যৌক্তিক দাবি থাকলে সেটা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা যেত।’

যুগপৎ আন্দোলনে শরিক দলগুলো হলো— বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি ( জাগপা) ও বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি।

তাদের পাঁচ দফা দাবিগুলো হচ্ছে— জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি ও ওই আদেশের ওপর চলতি মাসের মধ্যে গণভোট আয়োজন করা; ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে উভয় কক্ষে পিআর (সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) পদ্ধতি চালু করা; অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড (সবার জন্য সমান সুযোগ) নিশ্চিত করা; ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা; ‘স্বৈরাচারের দোসর’ জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।

আরও পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চকরিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত: চৌদ্দগ্রামে ৫ নারীর দাফন সম্পন্ন

চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি 
আজ সকাল ১০টায় চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার চান্দিশকরা কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে তিনজনের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ সকাল ১০টায় চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার চান্দিশকরা কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে তিনজনের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

কক্সবাজারের চকরিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত পাঁচ নারীর দাফন সম্পন্ন হয়েছে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে। আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) সকাল ১০টায় চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার চান্দিশকরা কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে তিনজনের ও ফালগুনকরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে দুজনের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। তাঁদের জানাজায় শত শত মানুষ অংশ নেয়। পরে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন চান্দিশকরা গ্রামের বাসিন্দা উদয় পাটোয়ারীর স্ত্রী ফারজানা মজুমদার লিজা (২৮), মা রুমি বেগম (৬৫), বোন সাদিয়া হক পাটোয়ারী (২৪), শাশুড়ি রিজওয়ানা মজুমদার শিল্পী (৫৫) ও শ্যালিকা ফারহানা মজুমদার টিজা (২৫)। এই ঘটনায় চান্দিশকরা ও ফালগুনকরা গ্রাম শোকে স্তব্ধ হয়ে পড়ে।

এর আগে গত মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) দিবাগত রাতে ঢাকার উত্তরার বাসা থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশে ভাড়া করা মাইক্রোবাসে রওনা দেন উদয় পাটোয়ারী, স্ত্রী ফারজানা মজুমদার লিজা, ছেলে সামাদ পাটোয়ারী, শ্যালিকা ফারহানা মজুমদার টিজা ও শ্যালক শাহেদ মজুমদার লিশান (২২)। রাত আড়াইটার দিকে চৌদ্দগ্রাম থেকে মা রুমি বেগম, বোন সাদিয়া হক পাটোয়ারী এবং শাশুড়ি রিজওয়ানা মজুমদার শিল্পীকে গাড়িতে তোলেন।

গতকাল বুধবার সকাল ৯টার দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়ার ফাঁসিয়াখালীর ঢালা এলাকায় পৌঁছালে বেপরোয়া গতিতে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে মাইক্রোবাসের সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে পাঁচজন মারা যান। আহত হন উদয় পাটোয়ারী, তাঁর ছেলে ও শ্যালক। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাঁদের উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। তাঁদের মধ্যে শ্যালক শাহেদ মজুমদার লিশানের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত