রুবায়েত হোসেন, খুবি
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) আবাসিক ছাত্রীহল বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত হয়ে আছে। ক্যানটিন সমস্যা, অনিরাপদ খাবার পানি, পরিচ্ছন্নতাকর্মীর সংকটসহ বিভিন্ন সমস্যার অভিযোগ রয়েছে হলের ছাত্রীদের। এসব সমস্যায় ভোগান্তিতে পড়েছেন হলের শিক্ষার্থীরা। এ বিষয়ে হল কর্তৃপক্ষের গাফিলতি ও সঠিক তদারকির অভাবকে দায়ী করছেন শিক্ষার্থীরা। সুস্থ ও স্বাভাবিকভাবে পড়ালেখা ও থাকা-খাওয়ার পরিবেশ নিশ্চিত করতে সমস্যাগুলো দ্রুত সমাধানের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
হলের শিক্ষার্থীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য চারটি আবাসিক হলে সাহরি ও ক্যানটিনের ব্যবস্থা থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে নেই ক্যানটিনের ব্যবস্থা। ফলে রমজান মাসে শেষ রাতে সাহরিতে বাড়তি ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে তাদের।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এই হলে নামে মাত্র রয়েছে ক্যানটিন, সেখানে নেই শিক্ষার্থীদের জন্য প্রয়োজনীয় খাবারের ব্যবস্থা। রমজান মাস ছাড়া সকালে শুধুমাত্র রুটি ও ডালভাজি বিক্রি করা হয়। তবে এখন রমজান মাসে শুধুমাত্র দুই-তিন ধরনের ইফতারি পাওয়া যায়, কিন্তু সেটিও প্রয়োজনের তুলনায় অল্প। কর্মী রয়েছে মাত্র একজন। ফলে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন ইসলামনগর রোডে গিয়ে ইফতারি কিনতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।
হলের শিক্ষার্থীরা জানান, হলে ডাইনিং থাকলেও রাতের খাবার দেওয়া হয় বিকেল ৪টায় এবং সাহরির জন্য খাবার দেওয়া হয় রাত ৮টায়। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ সাহরি পর্যন্ত খাবার সংরক্ষণ করা সম্ভব হয় না। খাবার রেখে দিলে শেষ রাতে নষ্ট হয়ে যায়।
হলের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, হলে ছয় তলা বিশিষ্ট দুটি সুউচ্চ ভবন থাকলেও রয়েছে পরিচ্ছন্নতাকর্মীর সংকট। বিভিন্ন সময়ে ছাত্রীরা অভিযোগ জানালেও হয়নি সুরাহা। নেই বিশুদ্ধ খাবার পানির সুব্যবস্থা, মাঝেমধ্যেই পাওয়া যায় পোকা এবং ড্রেনের গন্ধ। এছাড়াও রয়েছে কুকুরের উপদ্রব। প্রায় প্রতিদিনই হলের ৫-৬ তলা পর্যন্ত কুকুর উঠে যায়। এতে আতঙ্কে থাকেন শিক্ষার্থীরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চতুর্থ বর্ষের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘হলে সবচেয়ে বড় সমস্যা খাওয়ার। মিলের খাবারের মান খুব একটা ভালো হচ্ছে না। তার চেয়ে বড় সমস্যা ক্যানটিন সিস্টেম না থাকা। এতে মিল দিতে না পারলে খাবার কিনতে দুই বেলা বাইরে যেতে হয়। আর রোজার সময় সমস্যা অনেক বেশি, একবেলার খাবার দেয় ৪টায়, আরেকবেলার ৮টায়। যারা রোজা রাখে তারা এই ৪টার খাবার দিয়ে কী করবে? আর যারা অন্য ধর্মাবলম্বী তারাও-বা ৪টার সময় খাবার দিয়ে কী করবে? আর রাত ৮টায় দেওয়া খাবার ভোর রাত পর্যন্ত ভালো থাকে না। এভাবে রোজা রাখতে খুব কষ্ট হয়ে যায়। সম্পূর্ণ রোজা এভাবে গেলে অনেকই অসুস্থ হয়ে পড়বে।’
নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক আরেক আবাসিক শিক্ষার্থী বলেন, ‘পাঁচটা হলের মধ্যে আমাদের হলের সিস্টেমই পুরোপুরি ভিন্ন। খাবারের মান খারাপ, নেই ফ্রিজের ব্যবস্থা। বিভিন্ন হলের তুলনায় নেই পরিপূর্ণ সুযোগ-সুবিধা। মিল সিস্টেমে কিছু নির্দিষ্ট টাইম ছাড়া খাবার পাওয়া যায় না। ক্যানটিন না থাকায় শুধু খাবার কেনার জন্য বাইরে যাওয়াটা খুবই কষ্টকর। আগে মাসে দুই-তিনবার খালারা রুম মুছে দিয়ে যেত, এখন তাও বন্ধ।’
আরেক শিক্ষার্থী জানান, ডাইনিং এর মিলের খাবারের তালিকায় বৈচিত্র্য আনা উচিত। একই খাবার বারবার পরিবেশন করা হয়। এতে স্বাদ ও পরিপূর্ণ পুষ্টিগুণ ঠিকমতো পান না তাঁরা।
এ বিষয়ে বঙ্গমাতা হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক সালমা বেগম বলেন, ‘হলের মেয়েরা ক্যানটিনে খাবার খায় না। এই জন্য ক্যানটিন চলে না। আইটেমও বাড়ানো যায় না। হলে যখন কাজ চলে তখন খোলা রাখতে হয়েছিল ওই সময় হলের ভেতরে কুকুর ঢুকে পড়ে তবে পরে তাদের বের করে দেওয়া হয়। কিন্তু মেয়েরা সেই কুকুরগুলোকে খাবার দেয়, খাবারের লোভে ভেতরে চলে আসে। কুকুরের বিষয়ে হলের কর্মচারীদের কড়াকড়ি নির্দেশনা দেওয়া আছে। কর্মচারী সংকট নিরসনের জন্য জন্য ইতিমধ্যে দুজনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, খুব শিগগিরই তাঁরা যোগদান করবেন। আর পানিতে যে গন্ধ পাওয়া যায় এই গন্ধ দূর করার জন্য প্লাস্টিকের ট্যাংকের পরিবর্তে স্টিলের ট্যাংক স্থাপন করা হবে।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের হল প্রভোস্ট কমিটির সভাপতি অধ্যাপক রামেশ্বর দেবনাথ বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের জন্য খাবারের যথাযথ ব্যবস্থা এবং পুষ্টিমান নিশ্চিত করা দরকার। আমি ম্যাডামের (প্রভোস্ট) সঙ্গে সার্বিক বিষয়াদি নিয়ে কথা বলব।’
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) আবাসিক ছাত্রীহল বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত হয়ে আছে। ক্যানটিন সমস্যা, অনিরাপদ খাবার পানি, পরিচ্ছন্নতাকর্মীর সংকটসহ বিভিন্ন সমস্যার অভিযোগ রয়েছে হলের ছাত্রীদের। এসব সমস্যায় ভোগান্তিতে পড়েছেন হলের শিক্ষার্থীরা। এ বিষয়ে হল কর্তৃপক্ষের গাফিলতি ও সঠিক তদারকির অভাবকে দায়ী করছেন শিক্ষার্থীরা। সুস্থ ও স্বাভাবিকভাবে পড়ালেখা ও থাকা-খাওয়ার পরিবেশ নিশ্চিত করতে সমস্যাগুলো দ্রুত সমাধানের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
হলের শিক্ষার্থীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য চারটি আবাসিক হলে সাহরি ও ক্যানটিনের ব্যবস্থা থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে নেই ক্যানটিনের ব্যবস্থা। ফলে রমজান মাসে শেষ রাতে সাহরিতে বাড়তি ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে তাদের।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এই হলে নামে মাত্র রয়েছে ক্যানটিন, সেখানে নেই শিক্ষার্থীদের জন্য প্রয়োজনীয় খাবারের ব্যবস্থা। রমজান মাস ছাড়া সকালে শুধুমাত্র রুটি ও ডালভাজি বিক্রি করা হয়। তবে এখন রমজান মাসে শুধুমাত্র দুই-তিন ধরনের ইফতারি পাওয়া যায়, কিন্তু সেটিও প্রয়োজনের তুলনায় অল্প। কর্মী রয়েছে মাত্র একজন। ফলে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন ইসলামনগর রোডে গিয়ে ইফতারি কিনতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।
হলের শিক্ষার্থীরা জানান, হলে ডাইনিং থাকলেও রাতের খাবার দেওয়া হয় বিকেল ৪টায় এবং সাহরির জন্য খাবার দেওয়া হয় রাত ৮টায়। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ সাহরি পর্যন্ত খাবার সংরক্ষণ করা সম্ভব হয় না। খাবার রেখে দিলে শেষ রাতে নষ্ট হয়ে যায়।
হলের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, হলে ছয় তলা বিশিষ্ট দুটি সুউচ্চ ভবন থাকলেও রয়েছে পরিচ্ছন্নতাকর্মীর সংকট। বিভিন্ন সময়ে ছাত্রীরা অভিযোগ জানালেও হয়নি সুরাহা। নেই বিশুদ্ধ খাবার পানির সুব্যবস্থা, মাঝেমধ্যেই পাওয়া যায় পোকা এবং ড্রেনের গন্ধ। এছাড়াও রয়েছে কুকুরের উপদ্রব। প্রায় প্রতিদিনই হলের ৫-৬ তলা পর্যন্ত কুকুর উঠে যায়। এতে আতঙ্কে থাকেন শিক্ষার্থীরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চতুর্থ বর্ষের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘হলে সবচেয়ে বড় সমস্যা খাওয়ার। মিলের খাবারের মান খুব একটা ভালো হচ্ছে না। তার চেয়ে বড় সমস্যা ক্যানটিন সিস্টেম না থাকা। এতে মিল দিতে না পারলে খাবার কিনতে দুই বেলা বাইরে যেতে হয়। আর রোজার সময় সমস্যা অনেক বেশি, একবেলার খাবার দেয় ৪টায়, আরেকবেলার ৮টায়। যারা রোজা রাখে তারা এই ৪টার খাবার দিয়ে কী করবে? আর যারা অন্য ধর্মাবলম্বী তারাও-বা ৪টার সময় খাবার দিয়ে কী করবে? আর রাত ৮টায় দেওয়া খাবার ভোর রাত পর্যন্ত ভালো থাকে না। এভাবে রোজা রাখতে খুব কষ্ট হয়ে যায়। সম্পূর্ণ রোজা এভাবে গেলে অনেকই অসুস্থ হয়ে পড়বে।’
নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক আরেক আবাসিক শিক্ষার্থী বলেন, ‘পাঁচটা হলের মধ্যে আমাদের হলের সিস্টেমই পুরোপুরি ভিন্ন। খাবারের মান খারাপ, নেই ফ্রিজের ব্যবস্থা। বিভিন্ন হলের তুলনায় নেই পরিপূর্ণ সুযোগ-সুবিধা। মিল সিস্টেমে কিছু নির্দিষ্ট টাইম ছাড়া খাবার পাওয়া যায় না। ক্যানটিন না থাকায় শুধু খাবার কেনার জন্য বাইরে যাওয়াটা খুবই কষ্টকর। আগে মাসে দুই-তিনবার খালারা রুম মুছে দিয়ে যেত, এখন তাও বন্ধ।’
আরেক শিক্ষার্থী জানান, ডাইনিং এর মিলের খাবারের তালিকায় বৈচিত্র্য আনা উচিত। একই খাবার বারবার পরিবেশন করা হয়। এতে স্বাদ ও পরিপূর্ণ পুষ্টিগুণ ঠিকমতো পান না তাঁরা।
এ বিষয়ে বঙ্গমাতা হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক সালমা বেগম বলেন, ‘হলের মেয়েরা ক্যানটিনে খাবার খায় না। এই জন্য ক্যানটিন চলে না। আইটেমও বাড়ানো যায় না। হলে যখন কাজ চলে তখন খোলা রাখতে হয়েছিল ওই সময় হলের ভেতরে কুকুর ঢুকে পড়ে তবে পরে তাদের বের করে দেওয়া হয়। কিন্তু মেয়েরা সেই কুকুরগুলোকে খাবার দেয়, খাবারের লোভে ভেতরে চলে আসে। কুকুরের বিষয়ে হলের কর্মচারীদের কড়াকড়ি নির্দেশনা দেওয়া আছে। কর্মচারী সংকট নিরসনের জন্য জন্য ইতিমধ্যে দুজনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, খুব শিগগিরই তাঁরা যোগদান করবেন। আর পানিতে যে গন্ধ পাওয়া যায় এই গন্ধ দূর করার জন্য প্লাস্টিকের ট্যাংকের পরিবর্তে স্টিলের ট্যাংক স্থাপন করা হবে।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের হল প্রভোস্ট কমিটির সভাপতি অধ্যাপক রামেশ্বর দেবনাথ বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের জন্য খাবারের যথাযথ ব্যবস্থা এবং পুষ্টিমান নিশ্চিত করা দরকার। আমি ম্যাডামের (প্রভোস্ট) সঙ্গে সার্বিক বিষয়াদি নিয়ে কথা বলব।’
রাজধানীর রামপুরা ব্রিজের দুই রেলিং ঢুকে আছে একটি বাসের মাঝ বরাবর। যাত্রী নিতে আরেক বাসের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নেমে চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে ‘রইছ’ নামের বাসটির এই দশা হয়। ৪ জুন সকালের এই দুর্ঘটনায় বাসটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। যাত্রী বেশি নিতে বাসচালকদের অসুস্থ প্রতিযোগিতা, লক্কড়ঝক্কড় ও ফিটনেসবিহীন বাস দুর্ঘটনা
১ ঘণ্টা আগেগোপালগঞ্জ জেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সড়কে বছরের পর বছর বাস, ট্রাক ও মাইক্রোবাস পার্ক করে রাখা হচ্ছে। বিভিন্ন সড়কের এক লেন দখল করে রাখা হচ্ছে এসব যানবাহন। এতে প্রতিদিন যানজটসহ নানা ভোগান্তিতে পড়ছে মানুষ। মালিক-শ্রমিকেরা বলছেন, নির্ধারিত স্ট্যান্ড না থাকায় বাধ্য হয়ে রাস্তায় গাড়ি রাখছেন তাঁরা।
২ ঘণ্টা আগেআলুতে বছরের পর বছর লাভ করে অভ্যস্ত জয়পুরহাটের কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। তবে এবার পড়েছেন বড় ধরনের বিপাকে। একদিকে বাজারে আলুর দাম অস্থির, অন্যদিকে হিমাগারে সংরক্ষণ ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় হিমশিম খাচ্ছেন সবাই। সংরক্ষণ মৌসুমের শুরুতে স্থানীয় প্রশাসনের চাপে ভাড়া না বাড়াতে বাধ্য হলেও পরে কিছু হিমাগারের মালিক নানা অজুহা
২ ঘণ্টা আগেনীলফামারীর সৈয়দপুরে চলছে জুয়ার জমজমাট আসর। উপজেলার দেড় শতাধিক স্থানে এসব আসর বসে বলে জানা গেছে। প্রতিদিন ২০-৩০ লাখ টাকা লেনদেন হয় এসব আসরে। সেই হিসাবে প্রতি মাসে জুয়াড়িদের কাছে হাতবদল হয় ৬ থেকে ৯ কোটি টাকা। এদিকে, জুয়ার কারণে অনেক পরিবার সর্বস্বান্ত হচ্ছে। জুয়ার টাকা সংগ্রহ করতে গিয়ে এলাকায় বেড়েছে
২ ঘণ্টা আগে