Ajker Patrika

আ.লীগ সরকারের সময়ে দখলে নেওয়া জমি উদ্ধার

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি রবিউল ইসলামের দখলে থাকা জমির সীমানাপ্রাচীরের ফটক ভেঙে ফেলছে গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ। ছবি: আজকের পত্রিকা
কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি রবিউল ইসলামের দখলে থাকা জমির সীমানাপ্রাচীরের ফটক ভেঙে ফেলছে গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ। ছবি: আজকের পত্রিকা

কুষ্টিয়ায় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের জায়গা দখল করে সীমানাপ্রাচীর দিয়ে বড় ফটক নির্মাণ করেছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম। একই সঙ্গে গৃহায়ণের বিভিন্ন প্লট দখল করে সেখানে আইটি পার্ক, স্কুল ভবন, জেলা পরিষদের মিলনায়তন নির্মাণ করা হচ্ছে। আজ মঙ্গলবার জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে বিপুলসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যের উপস্থিতিতে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় দখল করা জায়গায় তৈরি করা বেশ কিছু স্থাপনা। গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ বলছে, তাদের সবগুলো জায়গা দখলমুক্ত করে প্রকৃত মালিকদের বুঝিয়ে দেওয়া হবে।

উচ্ছেদ অভিযানে নেতৃত্ব দেন জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের উপপরিচালক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আর এম সেলিম শাহনেওয়াজ। এ সময় অন্তত ৫০ জন প্লটের প্রকৃত মালিক সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের মনে আনন্দের জোয়ার দেখা গেছে। তাঁরা বলছেন, আট বছর ধরে তাঁরা দ্বারে দ্বারে ঘুরেছেন নিজেদের জায়গা ফিরে পেতে। বিগত আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকার সময় তাঁদের জায়গা দখল করে নেওয়া হয়েছিল।

জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসংলগ্ন এলাকায় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের সাড়ে ১৯ একর জায়গা রয়েছে। এসব জায়গা ২০১৮ সালের আগে লটারি করে বরাদ্দ দেওয়া হয়। আড়াই কাঠা, তিন কাঠা ও পাঁচ কাঠার প্লট রয়েছে। সব মিলিয়ে প্রায় ২১২টি প্লট রয়েছে। তবে ২০১৮ সালের দিকে জেলা প্রশাসন এসব জমি অধিগ্রহণের নামে বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানকে দেয়। এদিকে প্লট বরাদ্দ পেয়ে অনেকে তাঁদের জমি রেজিস্ট্রি করে নেন। প্লটমালিকেরা তাঁদের জমি আর বুঝে পাননি।

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ক্ষমতাসীন দলের নেতারা প্রশাসনের সঙ্গে যোগসাজশে বিভিন্ন সরকারি স্থাপনা করেন। এসবের মধ্যে রয়েছে বিশাল আকারের শাহি মসজিদ, এক হাজার আসনের অত্যাধুনিক জেলা পরিষদের মিলনায়তন, আইটি পার্ক। এ ছাড়া জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি রবিউল ইসলামও দুই বিঘা জমি দখল করে নেন। রবিউল ওই জমিতে সীমানাপ্রাচীর দিয়ে বড় ফটক নির্মাণ করেন। শাহি মসজিদের কাজ প্রায় শেষ হয়ে গেছে। জেলা পরিষদের মিলনায়তনের ৫০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। আইটি পার্কের ১৫ থেকে ২০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে।

প্লটমালিকেরা বলেন, সরকারি কোষাগারে টাকা জমা দিয়েও প্লট বুঝে পাচ্ছিলেন না। তাঁরা আওয়ামী লীগ আমলে রায় পেলেও প্রভাবশালী নেতারা জায়গা জোর করে দখল করে রেখেছিলেন উন্নয়ন করার নামে। উল্টো মামলা তুলে নিতে ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছিলেন। ২০১৮ সালের দিকে ৬ জন প্লটমালিক তাঁদের জমি ফেরত পেতে উচ্চ আদালতে রিট করেন। গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর তাঁদের পক্ষে রায় পান। এ জন্য মঙ্গলবার এই উচ্ছেদ অভিযান চলে।

সরেজমিন দেখা গেছে, পুলিশ-র‍্যাবের বিশাল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়ে ম্যাজিস্ট্রেট উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেন। আওয়ামী লীগ নেতা রবিউল ইসলামের দখলে থাকা জমির সীমানাপ্রাচীর ভেঙে ফেলা হয়। প্রধান ফটকও ভেকু দিয়ে ভেঙে ফেলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এরপর জেলা পরিষদের মিলনায়তনের সামনে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অস্থায়ী কার্যালয়ও ভাঙা হয়। আইটি পার্কে গিয়েও উচ্ছেদ চালানো হয়।

ভুক্তভোগী সাইফুল আলী আজকের পত্রিকাকে জানান, তিনি বি ব্লকে ৯ নম্বর প্লট পেয়েছিলেন। পাঁচ কাঠা জমি বরাদ্দ পেয়ে রেজিস্ট্রি করেছিলেন। কিন্তু গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ বুঝিয়ে দিতে পারেনি। ওই সময় জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেন খাস দেখিয়ে এসব জমি অধিগ্রহণ করেন। কিন্তু তিনিসহ ৬ জন প্লটমালিক উচ্চ আদালতে রিট করেন। এরপর তাঁরা রায় পান।

গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের এসডিও মাহসুদুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের প্রায় ২০ একর জায়গা নিয়ে সমস্যা আছে। আমরা সেগুলো দখলমুক্ত করছি। নতুন করে নকশা করা হবে। যারা রেজিস্ট্রি করেছে তাঁদের জায়গা বুঝিয়ে দেওয়া হবে। মসজিদ নকশাতে রাখা হবে। এ ছাড়া জেলা পরিষদের মিলনায়তনটি খেলার মাঠের জায়গায় করা হয়েছে। সেটিও রাখার প্রস্তাব করা হচ্ছে। তা ছাড়া, বাকি সব স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

‎বিআরটি প্রকল্পের সেতুর নিচে যুবকের মরদেহ

টঙ্গী (গাজীপুর) প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

গাজীপুরের টঙ্গীতে উড়ালসেতুর নিচে অজ্ঞাতনামা (৩০) এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ‎রোববার সকাল ৯টার দিকে বাস র‍্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের উড়ালসেতুর টঙ্গী স্টেশন রোড অংশের নিচে মরদেহটির সন্ধান মেলে।

‎থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ আলী মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুরের তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি নিয়েছেন।

‎স্থানীয় বাসিন্দাদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, রোববার সকালে স্থানীয় লোকজন বিআরটি প্রকল্পের উড়ালসেতুর ৬৮ নম্বর পিলারের পাশে ওই যুবকের মরদেহটি দেখতে পায়। পুলিশকে খবর পাঠালে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এই যুবককে দুর্বৃত্তরা অন্য কোথাও হত্যা করে মরদেহটি সেতুর নিচে ফেলে গেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।

‎টঙ্গী পশ্চিম থানা-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন অর রশিদের ভাষ্য, যুবকের পরিচয় শনাক্তে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) সদস্যদের খবর পাঠানো হয়েছে। আঙুলের ছাপ নিয়ে পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে। মরদেহে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে ভিডিও দেখিয়ে ‘ঘর পোড়ানোর’ মামলা; প্রতিবাদে মানববন্ধন

হাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
মিথ্যা মামলা থেকে আসামিকে অব্যাহতির দাবিতে মানববন্ধন করেন এলাকাবাসী। ছবি: আজকের পত্রিকা
মিথ্যা মামলা থেকে আসামিকে অব্যাহতির দাবিতে মানববন্ধন করেন এলাকাবাসী। ছবি: আজকের পত্রিকা

নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নে আগুন লাগার কোনো চিহ্ন না থাকা সত্ত্বেও প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে ‘ঘর পোড়ানোর’ মিথ্যা মামলা দায়ের করার অভিযোগ উঠেছে। জমি নিয়ে বিরোধের জেরে অন্য স্থানের আগুনের চিত্র দেখিয়ে এই মামলা করা হয় বলে দাবি করছেন এলাকাবাসী। মিথ্যা মামলায় আসামি হওয়ায় বিপাকে পড়েছে স্থানীয় ব্যবসায়ী বেলাল উদ্দিনের পরিবার। এই মিথ্যা মামলা থেকে প্রতিবেশীকে বাঁচাতে শনিবার (৮ নভেম্বর) বিকেলে মানববন্ধন করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

জানা যায়, গত ১১ আগস্ট নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নে ঘর পোড়ানোর অভিযোগ এনে একটি মামলা করা হয় হাতিয়া ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে। নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মজিবুল হকের স্ত্রী শিরীন আকতার বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলায় ব্যবসায়ী বেলাল উদ্দিনসহ ১০ জনকে আসামি করা হয়। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দেন উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তাকে। কিন্তু দায়িত্বপ্রাপ্ত তদন্ত কর্মকর্তা কাজী ইমরান হোসেন ঘটনাস্থলে না গিয়ে শুধু বাদীর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনাটি সত্য বলে প্রতিবেদন দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে সমালোচনার ঝড় ওঠে। শনিবার বিকেলে দুই শতাধিক লোক নিঝুম দ্বীপ হরিণ বাজারে মানববন্ধন করেন।

মানববন্ধনে বাজারের ব্যবসায়ী, মসজিদের ইমাম, জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা বক্তব্য দেন।

বক্তারা দৃঢ়ভাবে বলেন, বাজারের পাশে বাদীর বাড়ি এবং এই ঘরটি বাজার থেকে দেখা যায়। এই ঘরে আগুন দেওয়ার মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি। ব্যবসায়ী বেলালের সঙ্গে বাদীর জমি নিয়ে পুরোনো বিরোধ রয়েছে। সে কারণে অন্য জায়গার ছবি দেখিয়ে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে।

তাঁরা মামলার পূর্ণ তদন্ত এবং ব্যবসায়ী বেলালসহ সব আসামির অব্যাহতি দাবি করেন।

এ বিষয়ে মামলার বাদী শিরীন আক্তার জানান, ছয় মাস আগে রাতে তাঁদের ঘরের দক্ষিণ পাশের রান্নাঘরের বেড়ায় আগুন লেগেছিল। প্রতিবেশীরা এসে তা নিভিয়ে ফেলায় তেমন ক্ষতি হয়নি। তবে কে আগুন লাগিয়েছে তা তিনি দেখেননি। পরে কেন তিনি আগুনে ঘর পোড়ানোর মামলা দিলেন, সেই প্রশ্নের কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।

নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান লাকী আকতার নিশ্চিত করেছেন, ঘর পোড়ানোর মামলাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা তথ্য দিয়ে করা হয়েছে এবং এখানে আগুন লাগার কোনো ঘটনা ঘটেনি।

লাকী আকতার আরও জানান, ব্যবসায়ী বেলাল উদ্দিন স্থানীয় বাসিন্দাদের উপস্থিতিতে নুরবানু থেকে জমিটি ১৪ লাখ টাকায় ক্রয় করেন। এরপর নুরবানুর ছেলে আরও ৮ লাখ টাকা নিয়েও ব্যবসায়ীকে হয়রানি করে আসছেন এবং এ পর্যন্ত চারটি মিথ্যা মামলা দিয়েছেন। এই বিরোধ নিয়ে একাধিকবার সালিস বৈঠক হলেও নুরবানুর ছেলে উপস্থিত হননি।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও উপজেলা সমাজসেবা অফিসার কাজী ইমরান হোসেন বলেন, ‘মামলার বাদী ঘরে আগুন দেওয়ার ভিডিও ও ছবি এনে দিয়েছেন। তাতে আমার কাছে ঘটনাটি সত্য বলে মনে হয়েছে। সে মোতাবেক আমি প্রতিবেদন দিয়েছি। আমার সঙ্গে আসামিরা দেখা করেছে। তারা ঘটনাটি সত্য নয় বলে জানিয়েছে। আমি তাদেরকে পুনঃ তদন্তের জন্য আদালতে আবেদন করতে বলেছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মির্জা ফখরুলের আগমন ঘিরে উচ্ছ্বাস: ঠাকুরগাঁওয়ে মঞ্চ প্রস্তুত, নেতা-কর্মীদের ভিড়

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
জনসভা ও মতবিনিময়ের জন্য দৌলতপুর বালিকা উচ্চবিদ্যালয় মাঠে সুদৃশ্য মঞ্চ প্রস্তুত করা হয়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
জনসভা ও মতবিনিময়ের জন্য দৌলতপুর বালিকা উচ্চবিদ্যালয় মাঠে সুদৃশ্য মঞ্চ প্রস্তুত করা হয়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের আগমন উপলক্ষে ঠাকুরগাঁওয়ে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। তিন দিনের সাংগঠনিক কর্মসূচিতে যোগ দিতে তিনি ঢাকা থেকে ঠাকুরগাঁওয়ের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। তাঁর এই সফরকে কেন্দ্র করে স্থানীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে তৈরি হয়েছে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা।

​বিএনপির মহাসচিব আজ রোববার ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নবাসীর সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। এই জনসভা ও মতবিনিময়ের জন্য দৌলতপুর বালিকা উচ্চবিদ্যালয় মাঠে সুদৃশ্য মঞ্চ প্রস্তুত করা হয়েছে।

​জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক মামুনুর রশিদ আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন, মহাসচিবের তিন দিনের সাংগঠনিক কর্মসূচির প্রথম দিন আজ। তিনি বেলা ১১টায় সদর উপজেলার জগন্নাথপুরে একটি মতবিনিময় সভায় অংশ নেবেন। একই দিনে তিনি বিভিন্ন এলাকায় আরও তিনটি মতবিনিময় সভা করবেন।

জনসভা ও মতবিনিময়ের জন্য দৌলতপুর বালিকা উচ্চবিদ্যালয় মাঠে সুদৃশ্য মঞ্চ প্রস্তুত করা হয়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
জনসভা ও মতবিনিময়ের জন্য দৌলতপুর বালিকা উচ্চবিদ্যালয় মাঠে সুদৃশ্য মঞ্চ প্রস্তুত করা হয়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

​এদিকে দলীয় মহাসচিবের আগমনকে কেন্দ্র করে বিএনপির বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীরা সকাল থেকে সমাবেশ স্থলে যোগ দিতে শুরু করেছেন। অনেক এলাকায় নেতা-কর্মীরা ব্যান্ড পার্টিসহ আনন্দ মিছিল করছেন। মির্জা ফখরুলকে স্বাগত জানাতে এবং কর্মসূচি সফল করতে তাঁদের এই উচ্ছ্বাস ও সরব উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নালিতাবাড়ীতে জাল টাকাসহ যুবক আটক

নালিতাবাড়ী (শেরপুর) প্রতিনিধি 
জাল টাকাসহ আটক মেহেদী হাসান। ছবি: আজকের পত্রিকা
জাল টাকাসহ আটক মেহেদী হাসান। ছবি: আজকের পত্রিকা

শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় ১ হাজার টাকার ২১টি জাল নোটসহ মেহেদী হাসান (২৫) নামের এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার রাতে উপজেলার আমবাগান এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে আটক করা হয়। আটক মেহেদী উপজেলার মধ্যমকুড়া গ্রামের মোজাম্মেল হকের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নালিতাবাড়ী থানা-পুলিশ আমবাগান এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় মেহেদীকে আটক করা হলেও তাঁর সঙ্গে থাকা আরও দুই সহযোগী পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যান। পরে মেহেদীর দেহ তল্লাশি করে ১ হাজার টাকার ২১টি জাল নোট উদ্ধার করা হয়।

নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা বলেন, ‘আটক মেহেদীর কাছ থেকে উদ্ধার করা নোটগুলো এতটা নিখুঁতভাবে তৈরি যে খালি চোখে আসল-নকল শনাক্ত করা কঠিন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত