বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি
দ্বিতীয় দফায় প্রতি মেট্রিক টন পেঁয়াজের রপ্তানিমূল্য ৩৫০ মার্কিন ডলার থেকে বাড়িয়ে ৮০০ ডলার নির্ধারণ করেছে ভারত সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এই সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এতে বাংলাদেশে আমদানি খরচ পড়বে প্রতি কেজি ১০০ টাকার বেশি। দাম বাড়ার খবরে দেশের বাজারে প্রতি কেজিতে ৪০-৪৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়। এ কারণে বিপাকে পড়েছেন নিম্নআয়ের মানুষ।
বাণিজ্য সংশ্লিষ্টরা জানান, ভারত সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় পেঁয়াজ রপ্তানিতে একের পর এক শর্ত দিচ্ছে। এতে অস্থির করে তুলেছে আমদানি নির্ভর বাংলাদেশে পেঁয়াজের বাজার। দ্রব্যমূল্যের এই ঊর্ধ্বগতির বাজারে আরও বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
বাণিজ্য সংশ্লিষ্টরা আরও জানান, বাজার নিয়ন্ত্রণের কারণ দেখিয়ে গত মাসে পেঁয়াজের রপ্তানিমূল্য প্রতি মেট্রিক টন ১৭৫ মার্কিন ডলার থেকে বাড়িয়ে ৩৫০ ডলার নির্ধারণ করে ভারত। এবার দ্বিতীয় ধাপে ৩৫০ ডলার থেকে বাড়িয়ে ৮০০ ডলার নির্ধারণ করে গতকাল রোববার আমদানিকারকদের পত্র দেয় ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। আর এই খবর কানে আসার সঙ্গে সঙ্গে সিন্ডিকেট সদস্যরা এক লাফেই কেজিতে ৪০ টাকা বাড়িয়ে বিক্রি করছেন ১৩০ টাকা পর্যন্ত।
এদিকে, একদিন আগেও দেশের বাজারে পেঁয়াজের কেজি ৭০ থেকে ৭৫ টাকা ছিল। দাম বাড়ায় নিত্যপণ্যের এই খাদ্যপণ্যটি চাহিদা মতো কিনতে না পারায় বাজার ব্যবস্থাপনা নিয়ে ক্ষোভ জানান ক্রেতারা।
হঠাৎ দাম বাড়ার কারণে বিভিন্নভাবে ক্ষতির মুখে পড়ছেন আমদানিকারকেরাও। তবে শেষ পর্যন্ত তাঁরা দাম বাড়িয়ে ক্ষতি পুষিয়ে নিলেও পকেট কাটা পড়ছে সাধারণ ক্রেতাদের। পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণে কোটা চুক্তি বাস্তবায়ন, বিকল্প দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি প্রক্রিয়া সহজ ও শুল্ক মওকুফের পরামর্শ দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
আজ সোমবার সকালে বেনাপোল কাঁচাবাজারের সাধারণ ক্রেতা আমজেদ হোসেন বলেন, ‘বাজারে পেঁয়াজের যথেষ্ট সরবরাহ থাকলেও দাম বেশি হওয়ায় আমরা অসহায়। এক রাতেই কেজিতে ৪৫ টাকা বেড়েছে। বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে সরকারকে সিন্ডিকেট ভাঙার দাবি জানাই।’
পেঁয়াজের পাইকারি বিক্রেতা সাদিকুর রহমান বলেন, ‘সংকটের কথা বলে হঠাৎ করে আমদানিকারকেরা দাম বাড়িয়েছেন। দুদিন আগে তাঁরা ৬০ টাকা কেজি বিক্রি করলেও এখন ১১০ টাকার কমে বিক্রি করছেন না। এতে খরচ বেড়ে যাওয়ায় ১২০ টাকা খুচরা বাজারে বিক্রি করছেন। আমদানিকারকেরা যদি দাম কমান তবে বাজারেও দাম কমবে।’
হঠাৎ করে ভারত থেকে দাম বাড়ানোয় লোকসানের মুখে পড়তে হয় বলে জানান পেঁয়াজ আমদানিকারক উজ্জ্বল বিশ্বাস। তিনি বলেন, ‘বর্তমান মূল্যে আমদানি করলে ১০০ টাকার বেশি পড়বে। পেঁয়াজের চাহিদা মেটাতে এবং বাজার সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে সরকারকে বিকল্প পথ দেখতে হবে। ভারতের সঙ্গে খাদ্য দ্রবের কোটা চুক্তি বাস্তবায়নের পাশাপাশি পেঁয়াজ আমদানির ব্যবস্থা সহজ করতে হবে।’
বেনাপোল বন্দর উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ কর্মকর্তা হেমন্ত কুমার সরকার জানান, গত ২৮ অক্টোবর ভারত সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সন্তোষ কুমার সারঙ্গী স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে পেঁয়াজ রপ্তানিমূল্য প্রতি মেট্রিক টন ৮০০ ডলার নির্ধারণের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এরপর গতকাল থেকে সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে বন্দরে। ভারতে দাম বাড়ায় সাময়িক পেঁয়াজের আমদানি বন্ধ আছে। তবে কেউ যদি চড়া দামে আমদানি করে তবে তা ছাড় করার প্রস্তুতি বন্দরে রয়েছে।
কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, বছরে দেশে পেঁয়াজের চাহিদা ৩২ লাখ মেট্রিক টনের মতো। আর দেশে উৎপাদন হয় ২৭ লাখ মেট্রিক টন। বাকি ৫ লাখ মেট্রিক টন আমদানি করে চাহিদা মেটাতে হয়। আর এই আমদানির বড় অংশ আসে ভারত থেকে।
দ্বিতীয় দফায় প্রতি মেট্রিক টন পেঁয়াজের রপ্তানিমূল্য ৩৫০ মার্কিন ডলার থেকে বাড়িয়ে ৮০০ ডলার নির্ধারণ করেছে ভারত সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এই সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এতে বাংলাদেশে আমদানি খরচ পড়বে প্রতি কেজি ১০০ টাকার বেশি। দাম বাড়ার খবরে দেশের বাজারে প্রতি কেজিতে ৪০-৪৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়। এ কারণে বিপাকে পড়েছেন নিম্নআয়ের মানুষ।
বাণিজ্য সংশ্লিষ্টরা জানান, ভারত সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় পেঁয়াজ রপ্তানিতে একের পর এক শর্ত দিচ্ছে। এতে অস্থির করে তুলেছে আমদানি নির্ভর বাংলাদেশে পেঁয়াজের বাজার। দ্রব্যমূল্যের এই ঊর্ধ্বগতির বাজারে আরও বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
বাণিজ্য সংশ্লিষ্টরা আরও জানান, বাজার নিয়ন্ত্রণের কারণ দেখিয়ে গত মাসে পেঁয়াজের রপ্তানিমূল্য প্রতি মেট্রিক টন ১৭৫ মার্কিন ডলার থেকে বাড়িয়ে ৩৫০ ডলার নির্ধারণ করে ভারত। এবার দ্বিতীয় ধাপে ৩৫০ ডলার থেকে বাড়িয়ে ৮০০ ডলার নির্ধারণ করে গতকাল রোববার আমদানিকারকদের পত্র দেয় ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। আর এই খবর কানে আসার সঙ্গে সঙ্গে সিন্ডিকেট সদস্যরা এক লাফেই কেজিতে ৪০ টাকা বাড়িয়ে বিক্রি করছেন ১৩০ টাকা পর্যন্ত।
এদিকে, একদিন আগেও দেশের বাজারে পেঁয়াজের কেজি ৭০ থেকে ৭৫ টাকা ছিল। দাম বাড়ায় নিত্যপণ্যের এই খাদ্যপণ্যটি চাহিদা মতো কিনতে না পারায় বাজার ব্যবস্থাপনা নিয়ে ক্ষোভ জানান ক্রেতারা।
হঠাৎ দাম বাড়ার কারণে বিভিন্নভাবে ক্ষতির মুখে পড়ছেন আমদানিকারকেরাও। তবে শেষ পর্যন্ত তাঁরা দাম বাড়িয়ে ক্ষতি পুষিয়ে নিলেও পকেট কাটা পড়ছে সাধারণ ক্রেতাদের। পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণে কোটা চুক্তি বাস্তবায়ন, বিকল্প দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি প্রক্রিয়া সহজ ও শুল্ক মওকুফের পরামর্শ দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
আজ সোমবার সকালে বেনাপোল কাঁচাবাজারের সাধারণ ক্রেতা আমজেদ হোসেন বলেন, ‘বাজারে পেঁয়াজের যথেষ্ট সরবরাহ থাকলেও দাম বেশি হওয়ায় আমরা অসহায়। এক রাতেই কেজিতে ৪৫ টাকা বেড়েছে। বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে সরকারকে সিন্ডিকেট ভাঙার দাবি জানাই।’
পেঁয়াজের পাইকারি বিক্রেতা সাদিকুর রহমান বলেন, ‘সংকটের কথা বলে হঠাৎ করে আমদানিকারকেরা দাম বাড়িয়েছেন। দুদিন আগে তাঁরা ৬০ টাকা কেজি বিক্রি করলেও এখন ১১০ টাকার কমে বিক্রি করছেন না। এতে খরচ বেড়ে যাওয়ায় ১২০ টাকা খুচরা বাজারে বিক্রি করছেন। আমদানিকারকেরা যদি দাম কমান তবে বাজারেও দাম কমবে।’
হঠাৎ করে ভারত থেকে দাম বাড়ানোয় লোকসানের মুখে পড়তে হয় বলে জানান পেঁয়াজ আমদানিকারক উজ্জ্বল বিশ্বাস। তিনি বলেন, ‘বর্তমান মূল্যে আমদানি করলে ১০০ টাকার বেশি পড়বে। পেঁয়াজের চাহিদা মেটাতে এবং বাজার সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে সরকারকে বিকল্প পথ দেখতে হবে। ভারতের সঙ্গে খাদ্য দ্রবের কোটা চুক্তি বাস্তবায়নের পাশাপাশি পেঁয়াজ আমদানির ব্যবস্থা সহজ করতে হবে।’
বেনাপোল বন্দর উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ কর্মকর্তা হেমন্ত কুমার সরকার জানান, গত ২৮ অক্টোবর ভারত সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সন্তোষ কুমার সারঙ্গী স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে পেঁয়াজ রপ্তানিমূল্য প্রতি মেট্রিক টন ৮০০ ডলার নির্ধারণের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এরপর গতকাল থেকে সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে বন্দরে। ভারতে দাম বাড়ায় সাময়িক পেঁয়াজের আমদানি বন্ধ আছে। তবে কেউ যদি চড়া দামে আমদানি করে তবে তা ছাড় করার প্রস্তুতি বন্দরে রয়েছে।
কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, বছরে দেশে পেঁয়াজের চাহিদা ৩২ লাখ মেট্রিক টনের মতো। আর দেশে উৎপাদন হয় ২৭ লাখ মেট্রিক টন। বাকি ৫ লাখ মেট্রিক টন আমদানি করে চাহিদা মেটাতে হয়। আর এই আমদানির বড় অংশ আসে ভারত থেকে।
শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার ৫০তম বার্ষিকী উপলক্ষে নরসিংদীর রায়পুরায় শোকসভা করার অভিযোগে আওয়ামী লীগের এক নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার উপজেলার পলাশতলী ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড এলাকা থেকে তাঁকে আটক করা হয়।
২১ মিনিট আগেদগ্ধ ব্যক্তিরা হলেন ওই ভবনের বাসাভাড়া নিয়ে থাকা গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়া উপজেলার বান্ধাবাড়ী গ্রামের সবুজ শেখ (৪২), দুই ছেলে রবিউল শেখ (১৯), রমজান শেখ (১৩), দুই মেয়ে তাসনিয়া (৬) তাসফিয়া (২) ও বোন ঝুমুর বেগম (৩৮) এবং ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলার চরনাজিমউদ্দিন গ্রামের আব্বাস উদ্দীন (৩৯)।
৩০ মিনিট আগেভোলাগঞ্জের পর জাফলংয়েও লুট হওয়া পাথর উদ্ধারে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। গত দুই দিন উপজেলা প্রশাসনের সমন্বয়ে গঠিত টাস্কফোর্স অভিযান চালিয়ে সাড়ে ৮ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার করেছে। পরে সেগুলো জাফলং জিরো পয়েন্টে প্রতিস্থাপন করা হয়।
৩৫ মিনিট আগেসিলেটের ভোলাগঞ্জের সাদাপাথর লুটপাটের পর সেগুলো ভোলাগঞ্জ ও ধোপাগুল এলাকায় ক্রাশার মেশিনে ভাঙার জন্য স্তূপ করে রাখা হয়। পরে যখন অভিযান শুরু হয়, তখন সেগুলো ওই ব্যবসায়ীরা বালু ও মাটি দিয়ে ঢেকে ফেলেন। আজ শুক্রবার সেখানে অভিযান চালিয়ে পথরগুলো উদ্ধার করা হয়।
১ ঘণ্টা আগে