Ajker Patrika

স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের মামলা তুলে নিতে আসামির হুমকি

শ্যামনগর (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি
স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের মামলা তুলে নিতে আসামির হুমকি

সাতক্ষীরার শ্যামনগরে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের করা মামলা তুলে নিতে বাদীকে আসামি ও তার লোকজন হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে থাকা আসামির পরিবার ও পলাতক অপর আসামি মোবাইলে এবং লোকজন পাঠিয়ে এসব হুমকি দিচ্ছে বলে ভুক্তভোগী পরিবারের দাবি।

আজ সোমবার ভুক্তভোগীর পরিবার অভিযোগ করে, অব্যাহত হুমকির পাশাপাশি অপর আসামি গত ছয় দিনেও আটক না হওয়ায় তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তারসহ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে ঘটনার শিকার পরিবারটি। 

মামলার বাদী ভুক্তভোগীর মা অভিযোগ করে বলেন, ‘মামলা দায়েরের পর থেকে আসামির পরিবারের সদস্যরা নানাভাবে তাদেরকে হুমকি দিচ্ছে। পুলিশ ও আইন-আদালতকে প্রভাবিত করে আসামিদের রক্ষাসহ মিথ্যা আর হয়রানিমূলক মামলায় জড়িয়ে তাদেরকে সর্বস্বান্ত করারও হুমকি দিচ্ছে আসামির পরিবারের সদস্যরা। পলাতক রাহুল মোবাইলে তাঁর একমাত্র ছেলেকে ‘‘দেখে নেওয়ার’’ হুমকি দিয়ে দ্রুত মামলা তুলে নিতে নির্দেশ দিয়েছে।’ 

ভুক্তভোগী কিশোরীর ভগ্নিপতি অভিযোগ করেন, গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আটক রাকেশ বাইনের বাবা লোকজন পাঠিয়ে মামলা প্রত্যাহারে চাপ দিচ্ছে। দ্বিতীয় আসামি রাহুল গ্রেপ্তার এড়িয়ে তার নিজস্ব লোকজন দিয়ে প্রতিনিয়ত হুমকি ধামকি দিচ্ছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন। 

এদিকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে গ্রেপ্তার রাকেশের বাবা স্বপন বাইন জানায়, ‘মামলা হওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে কারও সঙ্গে তার কোন কথা হয়নি। তবে পলাতক রাহুলের বিষয়ে তিনি কিছু বলতে পারবেন না বলেও উল্লেখ করেন।’ ছেলের এমন কাণ্ডে নিজে লজ্জিত দাবি করে রাকেশের পিতা আরও বলেন, ‘পুলিশি তদন্তে সম্পূর্ণ সত্য উদ্ঘাটন হবে বলেও তিনি বিশ্বাস করেন।’

উল্লেখ্য গত রোববার রাতে চাচাতো বোনের সঙ্গে পূজা দেখে বাড়িতে ফেরার পথে বুড়িগোয়ালিনী শিব মন্দিরের সামনের রাস্তা থেকে রাকেশ ও রাহুল ওই স্কুলছাত্রীকে জোর করে তুলে নিয়ে যায়। প্রায় তিন ঘণ্টা আটকে রেখে ধর্ষণের পর ভিডিও চিত্র ধারণ করে পরবর্তীতে বাইরে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ভুক্তভোগী ছাত্রীকে মুখ বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেয় দুই যুবক। দুই দিন পর মঙ্গলবার ঘটনা জানাজানির পর ভুক্তভোগী কিশোরীর মা বাদী হয়ে রাকেশ বাইন ও রাহুল কবিরাজের বিরুদ্ধে মামলা করে। পুলিশ ও স্থানীয়দের সহায়তায় গত মঙ্গলবার রাকেশকে গ্রেপ্তার করলেও রাহুল পালিয়ে যায়।

শ্যামনগর থানার ওসি কাজী ওয়াহিদ মুর্শেদ জানান, ‘বাদী ও তার পরিবার হুমকির বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ করেনি। পলাতক রাহুলকে গ্রেপ্তারে পুলিশ সর্বোচ্চ তৎপর আছে বলেও তিনি নিশ্চিত করেন।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টাকা দিয়ে নারীর চাবুকের ঘা খাচ্ছিলেন পুরুষ, দুজন গ্রেপ্তার

ভারতের সঙ্গে সংঘাতে পাকিস্তানের ভাগ্যনিয়ন্তা সেনাপ্রধান জেনারেল মুনির

প্রবাসীর রেমিট্যান্সের অর্থ আত্মসাৎ, নারী ব্যাংক কর্মকর্তা কারাগারে

মানবিক করিডর না ভূ-রাজনৈতিক কৌশল? সীমান্তে যুক্তরাষ্ট্রের তৎপরতায় উদ্বেগ

আইসিএক্স বাদ দিলে ঝুঁকিতে পড়বে দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব, বিশেষজ্ঞদের উদ্বেগ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত