বোরো ধান পাকতে শুরু করেছে ১০-১৫ দিন আগ থেকে। ঈদের আগে আংশিক ধান কাটা পড়লেও রোজা, তীব্র দাবদাহের কারণে অধিকাংশ ধান এখনো মাঠে। কেউবা ধান কেটে ফেলে রেখেছেন, আবার অনেকে কাটতে না পেরে পাকা ধান রেখেছেন জমিতে। এরই মধ্যে এসে পড়েছে ঈদ। শ্রমিকদের অনেকে ঈদের আনন্দে গেছেন আত্মীয়স্বজনদের বাড়িতে। অনেক শ্রমিক পাড়ি জমিয়েছেন বিদেশে। এমন অবস্থায় ধান কাটার চূড়ান্ত মুহূর্তে যশোরের মনিরামপুরে দেখা দিয়েছে ধান কাটার শ্রমিক সংকট।
এদিকে ঈদের দিন (শনিবার) বিকেল থেকে আকাশে মেঘের আনাগোনা। আবহাওয়া দপ্তর থেকেও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হচ্ছে বারবার। কখন বৃষ্টি নামে এ আশঙ্কায় পাকা ধানে কাস্তে (কাঁচি) লাগাতে ভয় পাচ্ছেন কৃষক।
আবার বৃষ্টি নামলে কেটে রাখা ধান ভিজে যাওয়ার আশঙ্কায় রয়েছেন কৃষকেরা। বাড়তি দাম দিয়ে কাটা ধান বেঁধে যে ঘরে তুলবেন সেটিও পারছেন না শ্রমিক সংকটের জন্য। সবমিলিয়ে পাকা ধান নিয়ে এ অঞ্চলের চাষিদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। অনেকে বেশি দাম দিয়ে অন্য এলাকা থেকে দক্ষ বা অদক্ষ যেমন পাচ্ছেন শ্রমিক ভাড়া করে নিচ্ছেন। বাড়তি টাকা পেয়ে ধান কাটা কাজে নেমে পড়ছেন স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরাও।
আজ রোববার ভোরে আকাশে মেঘ দেখে উপজেলার খেদাপাড়া গ্রাম থেকে দুজন চাষি এসেছেন ৩-৪ কিলোমিটার দূরের টেংরামারী বাজারে শ্রমিক কিনতে। ৫০০-৬০০ টাকা শ্রমিকদের মজুরি হলেও তাঁরা ৮০০ টাকা হাজিরায় নয়জন কৃষক ভাড়া করে নিয়ে গেছেন।
খেদাপাড়া গ্রামের কৃষক মতিয়ার রহমান বলেন, ‘পাঁচ বিঘা জমিতে বোরো ধান চাষ করেছি। ৫-৬ দিন আগে তিন বিঘার ধান কেটে রেখেছি। ধান ও বিচালি শুকিয়ে গেছে। আঁটি বেঁধে ধান বাড়ি নেওয়ার জন্য এলাকায় কৃষাণ পেলাম না। সকালে আকাশে মেঘ দেখে স্থির থাকতে পারিনি। পরে ৮০০ টাকা হাজিরা চুক্তিতে দূরের অন্য এলাকা থেকে আটজন শ্রমিক নিয়ে এসেছি। তাঁরা এসে দুপুরের মধ্যে ধান আঁটি বেঁধে গাদা দিয়ে গেছে।’
মতিয়ার রহমান বলেন, ‘এলাকার মাঠে কাজ করা লোকজন সব বিদেশে কাজে গেছে। এ জন্য ধান কাটার সময় কৃষাণ পাওয়া যায় না। যে অবস্থা তাতে ধান চাষের ইচ্ছে হারিয়ে যাচ্ছে।’
টেংরামারী বাজারের চা বিক্রেতা শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘চা বিক্রি করে সংসার চলে। মাঠে কাজ ভালো একটা করি না। আজ ৮০০ টাকা হাজিরার কথা শুনে ধান বাঁধার কাজে গেছি।’
সবুজপল্লী মহাবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আব্দুর রহমান বলেন, ‘পাঁচ দিন ধান কাটার কাজ করছি। দৈনিক মজুরি পাচ্ছি ৭০০-১০০০ টাকা।’
রঘুনাথপুর মাঠের চাষি নাজিম উদ্দিন বলেন, ‘ধান পেকে গাছ দাঁড়িয়ে আছে। কখন বৃষ্টি নামে এ ভয়ে ধানে কাঁচি দিতে পারছি না।’
মামুদকাটি গ্রামের চাষি আব্দুল কুদ্দুস বলেন, ‘ধানের ফলন যা হয়েছে খারাপ না। আজ (রোববার) সকালে দুই ফালি ধান কাটিছি। এরপর ফোঁটা ফোঁটা বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আর কাটতে পারিনি। পাকা ধান মাঠে রেখে কোথাও মন বসছে না। চলতি বোরো মৌসুমে মনিরামপুরে প্রায় ২৮ হাজার হেক্টর জমিতে ধানের আবাদ হয়েছে। রোগবালাই তেমন না থাকায় ভালো ফলনও হয়েছে। রোগমুক্ত খেতে বিঘাপ্রতি কৃষক ২৭-২৮ মণ ফলনের আশা করছি।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ঋতুরাজ সরকার বলেন, ‘বোরো ধানে রোগবালাই তেমন দেখা যায়নি। ফলনও হয়েছে ভালো। কিছু ধান এরই মধ্যে কাটা পড়েছে। বাকি ধান ঠিকঠাক ঘরে তুলতে পারলে কৃষক লাভবান হবেন।’
বোরো ধান পাকতে শুরু করেছে ১০-১৫ দিন আগ থেকে। ঈদের আগে আংশিক ধান কাটা পড়লেও রোজা, তীব্র দাবদাহের কারণে অধিকাংশ ধান এখনো মাঠে। কেউবা ধান কেটে ফেলে রেখেছেন, আবার অনেকে কাটতে না পেরে পাকা ধান রেখেছেন জমিতে। এরই মধ্যে এসে পড়েছে ঈদ। শ্রমিকদের অনেকে ঈদের আনন্দে গেছেন আত্মীয়স্বজনদের বাড়িতে। অনেক শ্রমিক পাড়ি জমিয়েছেন বিদেশে। এমন অবস্থায় ধান কাটার চূড়ান্ত মুহূর্তে যশোরের মনিরামপুরে দেখা দিয়েছে ধান কাটার শ্রমিক সংকট।
এদিকে ঈদের দিন (শনিবার) বিকেল থেকে আকাশে মেঘের আনাগোনা। আবহাওয়া দপ্তর থেকেও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হচ্ছে বারবার। কখন বৃষ্টি নামে এ আশঙ্কায় পাকা ধানে কাস্তে (কাঁচি) লাগাতে ভয় পাচ্ছেন কৃষক।
আবার বৃষ্টি নামলে কেটে রাখা ধান ভিজে যাওয়ার আশঙ্কায় রয়েছেন কৃষকেরা। বাড়তি দাম দিয়ে কাটা ধান বেঁধে যে ঘরে তুলবেন সেটিও পারছেন না শ্রমিক সংকটের জন্য। সবমিলিয়ে পাকা ধান নিয়ে এ অঞ্চলের চাষিদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। অনেকে বেশি দাম দিয়ে অন্য এলাকা থেকে দক্ষ বা অদক্ষ যেমন পাচ্ছেন শ্রমিক ভাড়া করে নিচ্ছেন। বাড়তি টাকা পেয়ে ধান কাটা কাজে নেমে পড়ছেন স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরাও।
আজ রোববার ভোরে আকাশে মেঘ দেখে উপজেলার খেদাপাড়া গ্রাম থেকে দুজন চাষি এসেছেন ৩-৪ কিলোমিটার দূরের টেংরামারী বাজারে শ্রমিক কিনতে। ৫০০-৬০০ টাকা শ্রমিকদের মজুরি হলেও তাঁরা ৮০০ টাকা হাজিরায় নয়জন কৃষক ভাড়া করে নিয়ে গেছেন।
খেদাপাড়া গ্রামের কৃষক মতিয়ার রহমান বলেন, ‘পাঁচ বিঘা জমিতে বোরো ধান চাষ করেছি। ৫-৬ দিন আগে তিন বিঘার ধান কেটে রেখেছি। ধান ও বিচালি শুকিয়ে গেছে। আঁটি বেঁধে ধান বাড়ি নেওয়ার জন্য এলাকায় কৃষাণ পেলাম না। সকালে আকাশে মেঘ দেখে স্থির থাকতে পারিনি। পরে ৮০০ টাকা হাজিরা চুক্তিতে দূরের অন্য এলাকা থেকে আটজন শ্রমিক নিয়ে এসেছি। তাঁরা এসে দুপুরের মধ্যে ধান আঁটি বেঁধে গাদা দিয়ে গেছে।’
মতিয়ার রহমান বলেন, ‘এলাকার মাঠে কাজ করা লোকজন সব বিদেশে কাজে গেছে। এ জন্য ধান কাটার সময় কৃষাণ পাওয়া যায় না। যে অবস্থা তাতে ধান চাষের ইচ্ছে হারিয়ে যাচ্ছে।’
টেংরামারী বাজারের চা বিক্রেতা শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘চা বিক্রি করে সংসার চলে। মাঠে কাজ ভালো একটা করি না। আজ ৮০০ টাকা হাজিরার কথা শুনে ধান বাঁধার কাজে গেছি।’
সবুজপল্লী মহাবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আব্দুর রহমান বলেন, ‘পাঁচ দিন ধান কাটার কাজ করছি। দৈনিক মজুরি পাচ্ছি ৭০০-১০০০ টাকা।’
রঘুনাথপুর মাঠের চাষি নাজিম উদ্দিন বলেন, ‘ধান পেকে গাছ দাঁড়িয়ে আছে। কখন বৃষ্টি নামে এ ভয়ে ধানে কাঁচি দিতে পারছি না।’
মামুদকাটি গ্রামের চাষি আব্দুল কুদ্দুস বলেন, ‘ধানের ফলন যা হয়েছে খারাপ না। আজ (রোববার) সকালে দুই ফালি ধান কাটিছি। এরপর ফোঁটা ফোঁটা বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আর কাটতে পারিনি। পাকা ধান মাঠে রেখে কোথাও মন বসছে না। চলতি বোরো মৌসুমে মনিরামপুরে প্রায় ২৮ হাজার হেক্টর জমিতে ধানের আবাদ হয়েছে। রোগবালাই তেমন না থাকায় ভালো ফলনও হয়েছে। রোগমুক্ত খেতে বিঘাপ্রতি কৃষক ২৭-২৮ মণ ফলনের আশা করছি।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ঋতুরাজ সরকার বলেন, ‘বোরো ধানে রোগবালাই তেমন দেখা যায়নি। ফলনও হয়েছে ভালো। কিছু ধান এরই মধ্যে কাটা পড়েছে। বাকি ধান ঠিকঠাক ঘরে তুলতে পারলে কৃষক লাভবান হবেন।’
রাজধানীর রামপুরা ব্রিজের দুই রেলিং ঢুকে আছে একটি বাসের মাঝ বরাবর। যাত্রী নিতে আরেক বাসের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নেমে চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে ‘রইছ’ নামের বাসটির এই দশা হয়। ৪ জুন সকালের এই দুর্ঘটনায় বাসটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। যাত্রী বেশি নিতে বাসচালকদের অসুস্থ প্রতিযোগিতা, লক্কড়ঝক্কড় ও ফিটনেসবিহীন বাস দুর্ঘটনা
১ ঘণ্টা আগেগোপালগঞ্জ জেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সড়কে বছরের পর বছর বাস, ট্রাক ও মাইক্রোবাস পার্ক করে রাখা হচ্ছে। বিভিন্ন সড়কের এক লেন দখল করে রাখা হচ্ছে এসব যানবাহন। এতে প্রতিদিন যানজটসহ নানা ভোগান্তিতে পড়ছে মানুষ। মালিক-শ্রমিকেরা বলছেন, নির্ধারিত স্ট্যান্ড না থাকায় বাধ্য হয়ে রাস্তায় গাড়ি রাখছেন তাঁরা।
২ ঘণ্টা আগেআলুতে বছরের পর বছর লাভ করে অভ্যস্ত জয়পুরহাটের কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। তবে এবার পড়েছেন বড় ধরনের বিপাকে। একদিকে বাজারে আলুর দাম অস্থির, অন্যদিকে হিমাগারে সংরক্ষণ ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় হিমশিম খাচ্ছেন সবাই। সংরক্ষণ মৌসুমের শুরুতে স্থানীয় প্রশাসনের চাপে ভাড়া না বাড়াতে বাধ্য হলেও পরে কিছু হিমাগারের মালিক নানা অজুহা
২ ঘণ্টা আগেনীলফামারীর সৈয়দপুরে চলছে জুয়ার জমজমাট আসর। উপজেলার দেড় শতাধিক স্থানে এসব আসর বসে বলে জানা গেছে। প্রতিদিন ২০-৩০ লাখ টাকা লেনদেন হয় এসব আসরে। সেই হিসাবে প্রতি মাসে জুয়াড়িদের কাছে হাতবদল হয় ৬ থেকে ৯ কোটি টাকা। এদিকে, জুয়ার কারণে অনেক পরিবার সর্বস্বান্ত হচ্ছে। জুয়ার টাকা সংগ্রহ করতে গিয়ে এলাকায় বেড়েছে
২ ঘণ্টা আগে