Ajker Patrika

কুয়েটে চলমান সংকট নিরসনে আলোচনায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা

খুলনা প্রতিনিধি
কুয়েটে চলমান সংকট নিরসনে আলোচনায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
কুয়েটে চলমান সংকট নিরসনে আলোচনায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) চলমান সংকট নিরসনে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা আলোচনায় বসেছেন। আজ সোমবার দুপুরে এই আলোচনা শুরু হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ পরিচালক মো. আব্দুল্লাহ ইলিয়াছ আক্তার এর আগে আমরণ অনশনের আগে শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনায় বসে সমস্যা সমাধানের আহ্বান জানান। আজ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই আহ্বান জানানোর পরই আলোচনায় বসা হয়।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ছাত্রদলের নেতা-কর্মী ও বহিরাগতরা গত ১৮ ফেব্রুয়ারি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালালেও উপাচার্য নিরাপত্তা দিতে পারেননি। উল্টো ২২ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ক্যাম্পাসের বাইরের একজন আদালতে মামলা করেছেন। এ ছাড়া ৩৭ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। এর মধ্যে হামলাকারী নন, বরং আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীর সংখ্যাই বেশি।

শিক্ষার্থীরা জানান, তাঁরা অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে উপাচার্যকে অপসারণের দাবি জানালেও কোনো সুফল পাননি। তাই বাধ্য হয়ে আমরণ অনশন করবেন। তাঁরা এক দফা দাবিতে অনড়। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে তাঁরা দেশবাসী ও প্রধান উপদেষ্টার কাছে তুলে ধরতে চান যে কুয়েটে ছাত্ররা ভালো নেই।

কুয়েট ক্যাম্পাসে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি বহিরাগতদের সঙ্গে ছাত্রদের সংঘর্ষ ঘটে। এরপর সাধারণ শিক্ষার্থীরা উপাচার্য, সহউপাচার্য ও ছাত্রকল্যাণ পরিচালকের পদত্যাগ এবং ছাত্ররাজনীতি বন্ধসহ ছয় দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন। ২৫ ফেব্রুয়ারি ক্যাম্পাসের একাডেমিক ও দাপ্তরিক কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে ছাত্রদের হলত্যাগের নির্দেশ দেয় কুয়েট কর্তৃপক্ষ। বন্ধের ৫২ দিন পর ১৩ এপ্রিল শিক্ষার্থীরা জোর করে ক্যাম্পাসে ঢুকে হল খোলার দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন।

১৫ এপ্রিল রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভা হয়। এতে সংঘর্ষে জড়িত থাকার অভিযোগে ৩৭ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার এবং ২ মে হল খুলে দেওয়া ও ৪ মে শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর সিদ্ধান্ত হয়। এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে ১৬ এপ্রিল ছয়টি আবাসিক হলের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন ছাত্ররা। তাঁরা উপাচার্য অপসারণের এক দফা দাবি বাস্তবায়নে গতকাল রোববার ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেন। অন্যথায় আজ বিকেল থেকে আমরণ অনশন শুরু ঘোষণা করা হয়।

অন্যদিকে শিক্ষার্থীদের এক দফা দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এ ছাড়া ১৮ ফেব্রুয়ারি সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত ক্লাসে না ফেরার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কুয়েট শিক্ষক সমিতির নেতারা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মামলার আসামিসহ বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

নতুন মেট্রো নয়, রুট বাড়ানোর চিন্তা

সরকারি টাকায় ব্যক্তিগত সড়ক কার্পেটিং বিচারপতি খিজির হায়াতের, প্রমাণ পেয়েছে দুদক

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে থানায় সোপর্দ, ছিঁড়ে ফেলা হয় পরনের পোশাক

ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের তেলের বরাদ্দ ২৫০ থেকে বেড়ে ৫০০ লিটার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত