যশোরের মনিরামপুরে বোরো সংগ্রহের শেষ মুহূর্তে এসে ধান নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষকেরা। ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাবে গতকাল সোমবারের কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিপাতে উপজেলার হাজার হাজার হেক্টর জমিতে কেটে ও স্তূপ করে রাখা শুকনো ধান ভিজে গেছে। বেশির ভাগ জমিতে পানিতে ভাসছে পাকা ধান।
আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে রোদ পেয়ে সেই ভেজা ধান শুকনো জায়গায় তুলতে কৃষকদের মধ্যে ব্যস্ততা দেখা দিয়েছে। কেউ কেউ খেত থেকে ভেজা ধান আঁটি বেঁধে বাঁকে করে রাস্তায় তুলছেন। কেউবা মাথায় করে তুলে গাড়িতে ভরে ভেজা ধান নিয়ে ছুটছেন বাড়িতে। আবার কেউ কেউ কলাগাছের ভেলায় করে পানি মাড়িয়ে ধান রাস্তার পাড়ে তুলে স্তূপ করে রাখছেন।
উপজেলার হরিহরনগর, খেদাপাড়া, রোহিতা, গালদা, খড়িঞ্চি, কাশিপুর, রাজগঞ্জ, হেলাঞ্চি, চাঁদপুর, মাঝিয়ালি, গরিবপুর, জালালপুর, রঘুনাথপুর, টেংরামারী ও মামুদকাটি এলাকা ঘুরে মাঠে মাঠে নারী-পুরুষসহ সব বয়সী মানুষকে ভেজা ধান ডাঙায় তুলতে দেখা গেছে।
রঘুনাথপুর গ্রামের চাষি সঞ্জয় বিশ্বাস বলেন, ‘সব ধান মোটামুটি গোছাতি পেরেছি। ৯ কাঠা জমির ধান নিয়ে বিপদ হয়ে গেছে। ধান আঁটি বাঁধতে বাঁধতে বৃষ্টি এসে পানিতে তলায়ে গেছে। এখন বাড়ির বউ-পোলাপান নিয়ে বাঁকে ও কোমরে করে সেই ধান টেনে ডাঙায় তুলছি।’
চাঁদপুর গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম বলেন, ধান নিয়ে বড় বিপদ। আঁটি করা খেতের ভেজা ধান টেনে বাড়ি নিয়ে যাচ্ছি।
গরিবপুর গ্রামের সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘পাকা ধানের খেতে হাঁটুপানি। গোড়া থেকে কেটে বিচালি করা সম্ভব হয়নি। এখন আঁটি বেঁধে রাস্তায় তুলছি।’
মূলত বৈশাখের মাঝামাঝি সময়ে বোরো ধান খেত থেকে গোলায় তুলতে পারেন কৃষক। মনিরামপুরের পশ্চিম এলাকায় অধিকাংশ কৃষক এবার উচ্চফলনশীল রকেট ও রড মিনিকেট ধানের চাষ করেছেন। এই জাতের ধানের ফলন ভালো হলেও পাক ধরতে স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বেশি সময় লাগে। এ কারণে এই মৌসুমে ধান ঘরে তোলা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষক। তা ছাড়া মাঠে মাঠে ধান পেকে থাকলেও পথের অভাবে এবার কৃষক ধান নিরাপদে ঘরে তুলতে পারেননি।
কৃষকেরা বলছেন, রড ও রকেট মিনিকেটের ফলন খুব ভালো হয়েছে। বিঘাপ্রতি ২৫-২৮ মণ ধান পেয়েছেন কৃষকেরা। কিন্তু এই ধান পাকতে বেশি দিন সময় লাগায় অনেক চাষি বৃষ্টির কবলে পড়েছেন। ভিজে যাওয়া ধানে এখন খেতে চারা গজিয়ে যাচ্ছে।
গেল আমন মৌসুমের শেষ দিকে দুই-তিন দিনের টানা বৃষ্টিতে বিপাকে পড়েছিলেন কৃষকেরা। পাকা ধান কেটে জমিতে স্তূপ করে রাখার পর বৃষ্টি হওয়ায় ধান ভিজে চারা গজিয়ে যায়। পরে কম দামে ধান বিক্রি করতে হয়েছে।
এবার বোরো ধান তোলার শেষ মুহূর্তে একইভাবে বৃষ্টির কবলে পড়েছে। গত মঙ্গলবার ঈদের দিনের টানা বৃষ্টিতে খেতে কাটা ধান ভিজে গেছে। এক দিন রোদ হয়ে পরে ফের বৃহস্পতিবার রাতে বৃষ্টিতে ভিজে যায় পাকা ধান। পরে তিন দিন রোদ পেয়ে কিছু ধান বাড়িতে তুলতে পেরেছেন কৃষকেরা। বাকি ধান কেটে বাড়িতে তুলবেন বলে মাঠে স্তূপ করে রেখেছেন অনেকে। সোমবারের বৃষ্টিতে এখন সেই ধান পানিতে ভাসছে। এ ছাড়া অনেক মাঠে এখনো বোরো ধান কাটা বাকি রয়েছে। শ্রমিকের সংকটে ধান কাটতে পারেননি চাষিরা। এসব ধান কৃষক ভালোভাবে গোলায় তুলতে পারবেন কি না, তা নিয়ে যেমন শঙ্কা রয়েছে, তেমনি শঙ্কা রয়েছে ভালো দাম পাওয়া নিয়ে।
টেংরামারী বাজারের ধান ব্যবসায়ী ফয়েজ উদ্দিন বলেন, পাকা ধান ভিজে গেলে রং খারাপ হয়ে যায়। তা ছাড়া চারা গজিয়ে যাওয়া ধানের চাল ভালো হয় না, ভেঙে যায়। ভাতে গন্ধ লাগে। এ জন্য ভেজা ধান ১০০-১৫০ টাকা মণে কম দাম পান চাষিরা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবুল হাসান বলেন, চলতি মৌসুমে মনিরামপুরে ২৬ হাজার ৯৬৫ হেক্টর জমিতে বোরো চাষ হয়েছে। ৭৫ শতাংশ ধান ইতিমধ্যে উঠে গেছে। ফলনও ভালো হয়েছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে বৃষ্টি হওয়ায় ধান নিয়ে কৃষকের কষ্ট বেড়ে গেছে। ধান ভিজে যাওয়ায় কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
যশোরের মনিরামপুরে বোরো সংগ্রহের শেষ মুহূর্তে এসে ধান নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষকেরা। ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাবে গতকাল সোমবারের কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিপাতে উপজেলার হাজার হাজার হেক্টর জমিতে কেটে ও স্তূপ করে রাখা শুকনো ধান ভিজে গেছে। বেশির ভাগ জমিতে পানিতে ভাসছে পাকা ধান।
আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে রোদ পেয়ে সেই ভেজা ধান শুকনো জায়গায় তুলতে কৃষকদের মধ্যে ব্যস্ততা দেখা দিয়েছে। কেউ কেউ খেত থেকে ভেজা ধান আঁটি বেঁধে বাঁকে করে রাস্তায় তুলছেন। কেউবা মাথায় করে তুলে গাড়িতে ভরে ভেজা ধান নিয়ে ছুটছেন বাড়িতে। আবার কেউ কেউ কলাগাছের ভেলায় করে পানি মাড়িয়ে ধান রাস্তার পাড়ে তুলে স্তূপ করে রাখছেন।
উপজেলার হরিহরনগর, খেদাপাড়া, রোহিতা, গালদা, খড়িঞ্চি, কাশিপুর, রাজগঞ্জ, হেলাঞ্চি, চাঁদপুর, মাঝিয়ালি, গরিবপুর, জালালপুর, রঘুনাথপুর, টেংরামারী ও মামুদকাটি এলাকা ঘুরে মাঠে মাঠে নারী-পুরুষসহ সব বয়সী মানুষকে ভেজা ধান ডাঙায় তুলতে দেখা গেছে।
রঘুনাথপুর গ্রামের চাষি সঞ্জয় বিশ্বাস বলেন, ‘সব ধান মোটামুটি গোছাতি পেরেছি। ৯ কাঠা জমির ধান নিয়ে বিপদ হয়ে গেছে। ধান আঁটি বাঁধতে বাঁধতে বৃষ্টি এসে পানিতে তলায়ে গেছে। এখন বাড়ির বউ-পোলাপান নিয়ে বাঁকে ও কোমরে করে সেই ধান টেনে ডাঙায় তুলছি।’
চাঁদপুর গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম বলেন, ধান নিয়ে বড় বিপদ। আঁটি করা খেতের ভেজা ধান টেনে বাড়ি নিয়ে যাচ্ছি।
গরিবপুর গ্রামের সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘পাকা ধানের খেতে হাঁটুপানি। গোড়া থেকে কেটে বিচালি করা সম্ভব হয়নি। এখন আঁটি বেঁধে রাস্তায় তুলছি।’
মূলত বৈশাখের মাঝামাঝি সময়ে বোরো ধান খেত থেকে গোলায় তুলতে পারেন কৃষক। মনিরামপুরের পশ্চিম এলাকায় অধিকাংশ কৃষক এবার উচ্চফলনশীল রকেট ও রড মিনিকেট ধানের চাষ করেছেন। এই জাতের ধানের ফলন ভালো হলেও পাক ধরতে স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বেশি সময় লাগে। এ কারণে এই মৌসুমে ধান ঘরে তোলা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষক। তা ছাড়া মাঠে মাঠে ধান পেকে থাকলেও পথের অভাবে এবার কৃষক ধান নিরাপদে ঘরে তুলতে পারেননি।
কৃষকেরা বলছেন, রড ও রকেট মিনিকেটের ফলন খুব ভালো হয়েছে। বিঘাপ্রতি ২৫-২৮ মণ ধান পেয়েছেন কৃষকেরা। কিন্তু এই ধান পাকতে বেশি দিন সময় লাগায় অনেক চাষি বৃষ্টির কবলে পড়েছেন। ভিজে যাওয়া ধানে এখন খেতে চারা গজিয়ে যাচ্ছে।
গেল আমন মৌসুমের শেষ দিকে দুই-তিন দিনের টানা বৃষ্টিতে বিপাকে পড়েছিলেন কৃষকেরা। পাকা ধান কেটে জমিতে স্তূপ করে রাখার পর বৃষ্টি হওয়ায় ধান ভিজে চারা গজিয়ে যায়। পরে কম দামে ধান বিক্রি করতে হয়েছে।
এবার বোরো ধান তোলার শেষ মুহূর্তে একইভাবে বৃষ্টির কবলে পড়েছে। গত মঙ্গলবার ঈদের দিনের টানা বৃষ্টিতে খেতে কাটা ধান ভিজে গেছে। এক দিন রোদ হয়ে পরে ফের বৃহস্পতিবার রাতে বৃষ্টিতে ভিজে যায় পাকা ধান। পরে তিন দিন রোদ পেয়ে কিছু ধান বাড়িতে তুলতে পেরেছেন কৃষকেরা। বাকি ধান কেটে বাড়িতে তুলবেন বলে মাঠে স্তূপ করে রেখেছেন অনেকে। সোমবারের বৃষ্টিতে এখন সেই ধান পানিতে ভাসছে। এ ছাড়া অনেক মাঠে এখনো বোরো ধান কাটা বাকি রয়েছে। শ্রমিকের সংকটে ধান কাটতে পারেননি চাষিরা। এসব ধান কৃষক ভালোভাবে গোলায় তুলতে পারবেন কি না, তা নিয়ে যেমন শঙ্কা রয়েছে, তেমনি শঙ্কা রয়েছে ভালো দাম পাওয়া নিয়ে।
টেংরামারী বাজারের ধান ব্যবসায়ী ফয়েজ উদ্দিন বলেন, পাকা ধান ভিজে গেলে রং খারাপ হয়ে যায়। তা ছাড়া চারা গজিয়ে যাওয়া ধানের চাল ভালো হয় না, ভেঙে যায়। ভাতে গন্ধ লাগে। এ জন্য ভেজা ধান ১০০-১৫০ টাকা মণে কম দাম পান চাষিরা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবুল হাসান বলেন, চলতি মৌসুমে মনিরামপুরে ২৬ হাজার ৯৬৫ হেক্টর জমিতে বোরো চাষ হয়েছে। ৭৫ শতাংশ ধান ইতিমধ্যে উঠে গেছে। ফলনও ভালো হয়েছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে বৃষ্টি হওয়ায় ধান নিয়ে কৃষকের কষ্ট বেড়ে গেছে। ধান ভিজে যাওয়ায় কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার ৫০তম বার্ষিকী উপলক্ষে নরসিংদীর রায়পুরায় শোকসভা করার অভিযোগে আওয়ামী লীগের এক নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার উপজেলার পলাশতলী ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড এলাকা থেকে তাঁকে আটক করা হয়।
১৫ মিনিট আগেদগ্ধ ব্যক্তিরা হলেন ওই ভবনের বাসাভাড়া নিয়ে থাকা গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়া উপজেলার বান্ধাবাড়ী গ্রামের সবুজ শেখ (৪২), দুই ছেলে রবিউল শেখ (১৯), রমজান শেখ (১৩), দুই মেয়ে তাসনিয়া (৬) তাসফিয়া (২) ও বোন ঝুমুর বেগম (৩৮) এবং ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলার চরনাজিমউদ্দিন গ্রামের আব্বাস উদ্দীন (৩৯)।
২৩ মিনিট আগেভোলাগঞ্জের পর জাফলংয়েও লুট হওয়া পাথর উদ্ধারে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। গত দুই দিন উপজেলা প্রশাসনের সমন্বয়ে গঠিত টাস্কফোর্স অভিযান চালিয়ে সাড়ে ৮ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার করেছে। পরে সেগুলো জাফলং জিরো পয়েন্টে প্রতিস্থাপন করা হয়।
২৮ মিনিট আগেসিলেটের ভোলাগঞ্জের সাদাপাথর লুটপাটের পর সেগুলো ভোলাগঞ্জ ও ধোপাগুল এলাকায় ক্রাশার মেশিনে ভাঙার জন্য স্তূপ করে রাখা হয়। পরে যখন অভিযান শুরু হয়, তখন সেগুলো ওই ব্যবসায়ীরা বালু ও মাটি দিয়ে ঢেকে ফেলেন। আজ শুক্রবার সেখানে অভিযান চালিয়ে পথরগুলো উদ্ধার করা হয়।
১ ঘণ্টা আগে