Ajker Patrika

সেপ্টেম্বর মাসে চালু হবে রামগড় স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন কার্যক্রম 

আবু বকর ছিদ্দিক, পার্বত্য চট্টগ্রাম ও বেলাল হোসাইন, রামগড় (খাগড়াছড়ি) 
আপডেট : ২৮ আগস্ট ২০২২, ১১: ৩৭
সেপ্টেম্বর মাসে চালু হবে রামগড় স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন কার্যক্রম 

পার্বত্য চট্টগ্রামের দুটি স্থলবন্দরের মধ্যে আগামী সেপ্টেম্বর মাসে চালু করা হবে খাগড়াছড়ির রামগড় স্থলবন্দরে ইমিগ্রেশন কার্যক্রম। অন্যদিকে কাছাকাছি সময়ে প্রস্তাবিত পার্বত্য চট্টগ্রামের অপর স্থলবন্দর রাঙামাটির টেগামুখ কাগজ-কলমেই রয়ে গেছে।

জানা গেছে, ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এলে ভারত সরকারের সঙ্গে পার্বত্য চট্টগ্রামের রামগড় ও টেগামুখ বন্দর স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। রামগড় স্থলবন্দরের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। এরই মধ্যে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতু নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। রামগড় থেকে বারইয়ারহাট ৩৮ কিলোমিটারে ১৬টি ব্রিজ নির্মাণ শেষে রাস্তা সম্প্রসারণের কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে ইমিগ্রেশন ও চেকপোস্টের জন্য অস্থায়ী কাঠামোয় নির্মাণকাজ চলছে। আগামী সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের আগেই রামগড় স্থলবন্দরে ইমিগ্রেশন কার্যক্রম উদ্বোধন করা হবে। এরই মধ্যে প্রস্তুতিও শুরু হয়েছে। 

পরবর্তী সময়ে ২০১৮ সালের ২৫ অক্টোবর ভারত ও বাংলাদেশ ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলোতে পণ্য পরিবহনের জন্য ট্রানজিট পয়েন্ট হিসেবে বাংলাদেশের দুটি সমুদ্রবন্দর চট্টগ্রাম ও মোংলা ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়ার জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে। এই চুক্তির আওতায় রামগড় বন্দর দিয়ে ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলোতে পণ্য পরিবহনের বিষয়টিও ছিল। বন্দরটি চালু হলে উত্তর চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রামের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়ন হবে বলেও জানান সংশ্লিষ্টরা। বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরাও রপ্তানির একটি নতুন দ্বার পাবেন বলে আশা করা হচ্ছে। পাশাপাশি বাংলাদেশ সহজে ভারত থেকে পশুসম্পদ, ফল, কাঠ, বীজ, গম, পাথর, কয়লা, সার ইত্যাদি আমদানি করতে পারবে।

রামগড় পৌরসভার মেয়র মো. রফিকুল আলম কামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জরুরি ভিত্তিতে ইমিগ্রেশন কার্যক্রম চালুর নিমিত্তে অস্থায়ী শেড নির্মাণের কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সফরের আগেই ইমিগ্রেশন কার্যক্রম চালু হতে পারে। এরই অংশ হিসেবে আগামী সোমবার নৌপরিবহন সচিব মো. মোস্তফা কামাল সার্বিক অগ্রগতি সরেজমিনে দেখতে আসবেন।’ এর আগে ২০২১ সালের শুরুতে ভারত ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে খাগড়াছড়ির রামগড়ে ফেনী নদীর ওপর নির্মিত বাংলাদেশ-ভারত প্রথম মৈত্রী সেতু-১ উদ্বোধন করেন।

রামগড় স্থলবন্দরের প্রকল্প পরিচালক মো. সারোয়ার আলম বলেন, ‘সীমান্তের শূন্যরেখার ১৫০ গজের ভারতীয় কর্তৃপক্ষের আপত্তির মুখে বন্দরের মূল স্থাপনা নির্মাণ করা যাচ্ছে না। তবে ১৫০ গজের বাইরে যে জায়গা আছে, সেখানে অস্থায়ী স্থাপনায় বন্দরের ইমিগ্রেশনের (যাত্রী পারাপার) জন্য শেড নির্মাণ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। যেকোনো সময় উদ্বোধন করা হবে।’ 

প্রকল্প পরিচালক আরও বলেন, ‘প্রকল্পের আওতায় আন্তর্জাতিক মানের একটি পেসেঞ্জার টার্মিনাল ভবন নির্মাণ করা হবে। এই টার্মিনাল ভবনের অভ্যন্তরে বিজিবি চেকপোস্ট, কাস্টমস ও ইমিগ্রেশন অফিস থাকবে। এ ছাড়া ওয়ান স্টপ সার্ভিস সিস্টেমে একই ভবনে সব ধরনের চেকিং সম্পন্ন করে বহির্গমন ও প্রবেশ করবেন যাত্রীরা।’ 

কাস্টমস এক্সাইজ ভ্যাট ও কমিশনারেট চট্টগ্রামের অতিরিক্ত কমিশনার মো. মাহমুদুল হাসান জানান, রামগড় স্থলবন্দর দিয়ে প্রথম পর্যায়ে যাত্রী পারাপারের জন্য ইমিগ্রেশন খুব শিগগির চালু হবে। প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ শেষ হলে এই বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু করা হবে। 

রামগড় উপজেলা চেয়ারম্যান বিশ্ব প্রদীপ কুমার কারবারি বলেন, ‘রামগড় স্থলবন্দরটি চালু হলে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখার পাশাপাশি দুই দেশের বাণিজ্যিক, পর্যটন ও যোগাযোগ সম্পর্ক সুদৃঢ়সহ আর্থসামাজিক উন্নয়ন হবে। 
 
স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, এই বন্দর চালুর লক্ষ্যে খাগড়াছড়ির রামগড়ে মহামুনি এলাকায় ফেনী নদীর ওপর ৪১২ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ১৪ দশমিক ৮০ মিটার প্রস্থ মৈত্রী সেতু-১ নামে একটি আন্তর্জাতিক সেতু নির্মাণ করা হয়। এতে খরচ হয়েছে ১৩৩ কোটি টাকা। 
সড়ক ও জনপথ বিভাগ জানায়, ৮৪৫ কোটি ৫৩ লাখ টাকা ব্যয়ে চট্টগ্রামের বারৈয়ারহাট থেকে রামগড় স্থলবন্দর পর্যন্ত সড়ক প্রশস্ত করার কাজের ঠিকাদার নিয়োগ চলছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ভারত দিচ্ছে ৫৮১ দশমিক ২০ কোটি টাকা। বাকি টাকা বাংলাদেশ সরকার নিজ তহবিল থেকে দিচ্ছে। এ ছাড়া বর্ডার ক্রস প্রকল্পের আওতায় ৯টি সেতু ও ২৩টি কালভার্ট নির্মাণ করা হচ্ছে। এর মধ্যে জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থার অর্থায়নে নির্মাণ হচ্ছে আটটি সেতু ও আটটি কালভার্ট। 

এ বিষয়ে চট্টগ্রামের সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী সৌম্য তালুকদার বলেন, প্রকল্পের আওতায় ৩৮ কিলোমিটার সড়কটি ৫ দশমিক ৫ মিটার থেকে ৭ দশমিক ৩ মিটার প্রশস্ত করা হচ্ছে। ভূমি অধিগ্রহণসহ আনুষঙ্গিক কাজ এগিয়ে যাচ্ছে। 

অন্যদিকে, প্রস্তাবিত পার্বত্য চট্টগ্রামের অপর স্থলবন্দর রাঙামাটির বরকল উপজেলার টেগামুখ কাগজে-কলমেই রয়ে গেছে। ২০১০ সালে খাগড়াছড়ির রামগড় স্থলবন্দর এবং ২০১৩ সালে রাঙামাটির বরকল উপজেলায় তেগামুখ স্থলবন্দর নির্মাণের ঘোষণা করে সরকার। 

সংশ্লিষ্টরা জানান, রাঙামাটির তেগামুখ স্থলবন্দর অপরপাশে ভারতের মিজুরাম রাজ্যের দেমাগ্রী কাউয়াপুচিয়া এলাকা অবস্থিত। রামগড় বন্দর দিয়ে ইমিগ্রেশন চালু হলে ভিসা নিয়ে বাংলাদেশি নাগরিকদের ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে যাতায়াত সহজ হয়ে যাবে। আগরতলা বিমানবন্দর ব্যবহার করে সহজে চিকিৎসাসহ বিভিন্ন কাজে ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে যাওয়া যাবে।

জানা গেছে, চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ১১২ কিলোমিটার দূরত্বের এই স্থলবন্দর ব্যবহার করে মাত্র তিন ঘণ্টায় চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ট্রান্সশিপমেন্টের পণ্য ভারতের ত্রিপুরার সাব্রুমে পৌঁছানো যাবে। দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় অন্যান্য রাজ্যের মেঘালয়, আসাম, মণিপুর, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড ও অরুণাচলের তথা সেভেন সিস্টার্সের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করা হবে। 

এ বিষয়ে রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে আমি কয়েক মাস আগে টেগামুখ এলাকা সরেজমিন পরিদর্শন করেছি এবং মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন পাঠাই। বর্তমানে টেগামুখ এলাকায় কোনো স্থাপনা নির্মাণ করা হয়নি। টেগামুখ এলাকায় কানেকটিভিটি নির্মাণ হলে পার্বত্য চট্টগ্রামের পশ্চাৎপদ এলাকার অনেক উন্নয়ন হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘সাকিবের পোস্টার স্টেডিয়ামে ঢুকবে কি না, বিসিবির ডিসিপ্লিনারি কমিটি দেখবে’

আন্তর্জাতিক সালিসের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ-আদানি

দলীয় মনোনয়ন পছন্দ না হওয়ায় বিশৃঙ্খলা, বিএনপির ৪ নেতা বহিষ্কার

‘তোমার জন্যই খুন করেছি’, স্ত্রীকে হত্যার পর প্রেমিকাকে সার্জনের বার্তা

জোটেই ভোট করবে জামায়াত, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা শিগগির

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নীলফামারীতে হচ্ছে চীনা সরকারের উপহার ১০০০ শয্যার হাসপাতাল

নীলফামারী প্রতিনিধি
চীনা হাসপাতালের নকশা। ছবি: সংগৃহীত
চীনা হাসপাতালের নকশা। ছবি: সংগৃহীত

অবশেষে নীলফামারীতেই হচ্ছে চীন সরকারের উপহারের ১ হাজার শয্যার হাসপাতাল। গত ৩০ অক্টোবর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ থেকে জারি করা নোটিশে এ তথ্য জানা গেছে। সংশ্লিষ্ট বিভাগের উপসচিব ফাতিমা তুজ জোহরা ঠাকুর স্বাক্ষরিত ওই নোটিশ ‘অতীব জরুরি’ হিসেবে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।

স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের নোটিশের সূত্রমতে, নীলফামারী সদর উপজেলার চড়াইখোলা ইউনিয়নের দারোয়ানী টেক্সটাইল মাঠে সাড়ে ২৫ একর জায়গার ওপর নির্মিত হবে চীনা হাসপাতাল। হাসপাতাল স্থাপনে ইতিমধ্যে মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন ও বিভিন্ন স্থাপনার ব্যয় প্রাক্কলন তৈরি করতে বলা হয়েছে।

চীন সরকারের হাসপাতাল স্থাপনে নীলফামারী জেলাকে নির্বাচিত করায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন জেলা বিএনপির সদস্যসচিব এ এইচ এম সাইফুল্লাহ রুবেল ও জেলা জামায়াতের আমির অধ্যক্ষ আব্দুস সাত্তার। তাঁদের মতে, হাসপাতালটির ফলে এলাকার স্বাস্থ্যসেবার মান যেমন বাড়বে, তেমনি অর্থনৈতিকভাবে শক্ত অবস্থানে দাঁড়াবে এই জেলা। উন্নত চিকিৎসা নিতে এখন আর দেশের বাইরে যেতে হবে না।

নীলফামারী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সাবেক সভাপতি সোহেল পারভেজ বলেন, ‘চীন সরকারের হাসপাতাল স্থাপন নিয়ে সরকারের সিলেকশন যথাযথ। দারোয়ানী মাঠ সব দিক থেকে এগিয়ে অন্যান্য জায়গাগুলোর চেয়ে। সব সুযোগ-সুবিধা পাবে হাসপাতালটি স্থাপনের ক্ষেত্রে। ব্যবসায়িকভাবে আরও সমৃদ্ধ হলো আমাদের জেলা।’

এ ব্যাপারে নীলফামারীর গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সাকিউজ্জামান বলেন, ‘চিঠিটি আমরা পেয়েছি। ১ হাজার শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল স্থাপন বিষয়ে আমরা ডিজিটাল সার্ভে শুরু করেছি। গণপূর্ত বিভাগ ইতিমধ্যে কাজ শুরু করে দিয়েছে।’

নীলফামারী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান জানান, দারোয়ানী টেক্সটাইল এলাকায় ৬০ একরের বেশি সরকারি জায়গা রয়েছে। চীন সরকারের এক হাজার শয্যার হাসপাতাল স্থাপনে ২৫ একর জায়গা প্রয়োজন। ২৫ একর জায়গা হাসপাতালের জন্য দিয়ে মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রণালয় থেকে হাসপাতাল স্থাপনে ব্যয় এবং ডিজাইনের কাজ শুরু হয়েছে। আশা করা যায়, নীলফামারীতে হচ্ছে হাসপাতালটি।

প্রসঙ্গত, নিজ এলাকায় এই হাসপাতাল চেয়ে আন্দোলন হয়েছে রংপুরসহ কয়েকটি জেলায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘সাকিবের পোস্টার স্টেডিয়ামে ঢুকবে কি না, বিসিবির ডিসিপ্লিনারি কমিটি দেখবে’

আন্তর্জাতিক সালিসের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ-আদানি

দলীয় মনোনয়ন পছন্দ না হওয়ায় বিশৃঙ্খলা, বিএনপির ৪ নেতা বহিষ্কার

‘তোমার জন্যই খুন করেছি’, স্ত্রীকে হত্যার পর প্রেমিকাকে সার্জনের বার্তা

জোটেই ভোট করবে জামায়াত, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা শিগগির

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি গ্রেপ্তার

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
জেসমিন আরা রুমা। ছবি: সংগৃহীত
জেসমিন আরা রুমা। ছবি: সংগৃহীত

ময়মনসিংহে নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সহসভাপতি জেসমিন আরা রুমাকে (২৭) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার (৩ নভেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টা দিকে নগরীর মালগুদাম এলাকার নিজ বাস থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

গ্রেপ্তার রুমা নগরীর মালগুদাম এলাকার অবসরপ্রাপ্ত রেল কর্মচারী আবু তাহেলের মেয়ে। তাঁর স্বামী সুলতান মাহমুদ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার বলে জানা গেছে।

আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) বিকেলে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ শিবিরুল ইসলাম গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, জেসমিন আরা রুমা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি। তাঁর বিরুদ্ধে গত ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সশস্ত্র হামলার অভিযোগ রয়েছে। সন্ত্রাসবিরোধী মামলায় আদালতের নির্দেশে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘সাকিবের পোস্টার স্টেডিয়ামে ঢুকবে কি না, বিসিবির ডিসিপ্লিনারি কমিটি দেখবে’

আন্তর্জাতিক সালিসের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ-আদানি

দলীয় মনোনয়ন পছন্দ না হওয়ায় বিশৃঙ্খলা, বিএনপির ৪ নেতা বহিষ্কার

‘তোমার জন্যই খুন করেছি’, স্ত্রীকে হত্যার পর প্রেমিকাকে সার্জনের বার্তা

জোটেই ভোট করবে জামায়াত, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা শিগগির

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নালিতাবাড়ীতে মসজিদে ঢুকে হামলা-ভাঙচুর, গ্রেপ্তার ২

নালিতাবাড়ী (শেরপুর) প্রতিনিধি 
উমর ফারুক ওরফে ফারুক পাগলা ও ফরহাদ হোসেন। ছবি: সংগৃহীত
উমর ফারুক ওরফে ফারুক পাগলা ও ফরহাদ হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় একটি মসজিদে ঢুকে ইমাম ও মুসল্লিদের ওপর হামলা এবং মসজিদের আসবাব ভাঙচুরের ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সকালে শেরপুর শহরের নয়ানী বাজার এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন নালিতাবাড়ী উপজেলার পোড়াগাঁও ইউনিয়নের বাতকুচি গ্রামের জহিরুল ইসলামের দুই ছেলে উমর ফারুক ওরফে ফারুক পাগলা (৩৫) ও ফরহাদ হোসেন (২৭)।

পুলিশ জানায়, ২ নভেম্বর সন্ধ্যায় উপজেলার বারোমারী বাজার এলাকার চেল্লাখালী নদীর পশ্চিমপাড়ে উত্তর বাতকুচি ফরেস্ট অফিসসংলগ্ন বাইতুল নূর জামে মসজিদে ওই হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।

সেদিন ফরহাদ, উমর ফারুক ও রুবেল নামে তিনজন মদ্যপ অবস্থায় মসজিদে ঢুকে ইমাম শফিকুল ইসলামের উদ্দেশে বলেন, ‘আজ থেকে এই মসজিদে আজান দেওয়া যাবে না, আমাদের অনুমতি ছাড়া আর আজান হবে না।’

ইমাম প্রতিবাদ করলে তাঁরা তাঁকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন। একপর্যায়ে ইমাম পালিয়ে গেলে হামলাকারীরা মসজিদে ঢুকে মাইক সেট, বৈদ্যুতিক বোর্ড, টিনের বেড়া ও অন্য সামগ্রী ভাঙচুর করেন।

এ সময় মুসল্লি হাবিবুর রহমান ও কাজল মিয়া বাধা দিতে গেলে তাঁদেরও মারধর করা হয়। পরে গ্রামবাসী আহতদের উদ্ধার করে নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।

ঘটনার পর মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. আশরাফ আলী বাদী হয়ে নালিতাবাড়ী থানায় মামলা করেন।

নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোহেল রানা বলেন, ‘মসজিদে ঢুকে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘সাকিবের পোস্টার স্টেডিয়ামে ঢুকবে কি না, বিসিবির ডিসিপ্লিনারি কমিটি দেখবে’

আন্তর্জাতিক সালিসের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ-আদানি

দলীয় মনোনয়ন পছন্দ না হওয়ায় বিশৃঙ্খলা, বিএনপির ৪ নেতা বহিষ্কার

‘তোমার জন্যই খুন করেছি’, স্ত্রীকে হত্যার পর প্রেমিকাকে সার্জনের বার্তা

জোটেই ভোট করবে জামায়াত, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা শিগগির

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

অস্ত্র নিয়ে কিশোর গ্যাংয়ের ঘোরাফেরা, প্রতিবাদ করায় ছুরিকাঘাতে যুবক খুন

গাজীপুর প্রতিনিধি
গাজীপুরে যুবক খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত প্রধান আসামি রবিউল ইসলাম ওরফে সিগমা রবিকে আজ মঙ্গলবার সকালে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা
গাজীপুরে যুবক খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত প্রধান আসামি রবিউল ইসলাম ওরফে সিগমা রবিকে আজ মঙ্গলবার সকালে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা

গাজীপুর মহানগরীতে কিশোর গ্যাংয়ের ছুরিকাঘাতে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় একজন আহত হয়েছেন। গতকাল সোমবার সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে গাছা থানার ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডের কুনিয়া তারগাছ এলাকায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।

নিহত যুবকের নাম মারুফ (২২)। তিনি মহানগরীর গাছা থানার কুনিয়া তারগাছ এলাকার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে। আহত যুবকের নাম জামিল (২৪)। তাঁরা পরস্পর বন্ধু।

পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত মূল অভিযুক্ত ব্যক্তিসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তাঁরা হলেন মামলার প্রধান আসামি মো. রবিউল ইসলাম ওরফে সিগমা রবি (২৪) ও ২ নম্বর আসামি মো. সাব্বির হোসেন (১৮)। তাঁরা এলাকায় কিশোর গ্যাং হিসেবে পরিচিত হলেও সবাই তরুণ বয়সী।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে গাছা থানার ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডের কুনিয়া তারগাছ এলাকার আক্তারের বাড়ির সামনে এলাকার চিহ্নিত কিশোর গ্যাং সদস্য রবি, রনি, সাগর, সাব্বিরসহ আরও চার থেকে পাঁচজন দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে ঘোরাফেরা করছিল। এ সময় এক দোকানের ক্রেতা জামিল কিশোর গ্যাং সদস্যদের বেপরোয়া আচরণের প্রতিবাদ করলে তাঁর সঙ্গে রবির বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। উভয় পক্ষের বাগ্‌বিতণ্ডা থামাতে জামিলের বন্ধু মারুফ ঘটনাস্থলে যান। এ সময় কিশোর গ্যাং সদস্যরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওই দুই বন্ধুকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়।

স্থানীয় লোকজন তাঁদের উদ্ধার করে তারুন্নেসা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, মারুফ মারা গেছেন। প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা দিয়ে জামিলকে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

আহত জামিলের বরাতে পুলিশ জানিয়েছে, রবি, রনি, সাগর, সাব্বিরসহ ৮-১০ জনের একটি সংঘবদ্ধ কিশোর গ্যাং দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় মাদক সেবন, চাঁদাবাজি, ছিনতাইসহ নানা অপরাধ কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে।

গাজীপুর মহানগর পুলিশের (জিএমপি) গাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। নিহত যুবকের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

ওসি আরও বলেন, আহত জামিলের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রবি, রনি, সাগর, সাব্বিরসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে একাধিক টিম মাঠে নেমেছে।

জিএমপির ভারপ্রাপ্ত কমিশনার জাহিদুল হাসান আজকের পত্রিকাকে জানান, মারুফ হত্যাকাণ্ডে গাছা থানায় মামলা হয়েছে। এজাহারে মো. রবিউল ইসলাম ওরফে সিগমা রবিকে প্রধান আসামি করা হয়।

জাহিদুল হাসান বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অবস্থান শনাক্ত করে জিএমপির গোয়েন্দা বিভাগের একটি টিম পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলা থেকে আজ সকালে রবিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অপর একটি টিম ২ নম্বর আসামি মো. সাব্বির হোসেনকে গাছা থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে। অন্য আসামিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘সাকিবের পোস্টার স্টেডিয়ামে ঢুকবে কি না, বিসিবির ডিসিপ্লিনারি কমিটি দেখবে’

আন্তর্জাতিক সালিসের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ-আদানি

দলীয় মনোনয়ন পছন্দ না হওয়ায় বিশৃঙ্খলা, বিএনপির ৪ নেতা বহিষ্কার

‘তোমার জন্যই খুন করেছি’, স্ত্রীকে হত্যার পর প্রেমিকাকে সার্জনের বার্তা

জোটেই ভোট করবে জামায়াত, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা শিগগির

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত