পানছড়ি (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি
পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ির পানছড়িতে শুরু হয়েছে সাঁওতাল সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী দাঁশাই উৎসব এবং সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। একই সময়ে এ দুই উৎসবের সূচনায় পাহাড়ি অঞ্চলের সংস্কৃতিতে লেগেছে উৎসবের আমেজ।
শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) মহাপঞ্চমী পূজার মধ্য দিয়ে ছয় দিনব্যাপী দুর্গাপূজা এবং সাঁওতালদের দাঁশাই উৎসবের শুভসূচনা হয়েছে। আগামী ২ অক্টোবর দশমী তিথিতে প্রতিমা বিসর্জনের মাধ্যমে দুর্গাপূজার সমাপ্তি হবে।
সনাতনী ধর্মাবলম্বীরা যখন অশুভ শক্তির বিনাশ কামনায় দেবী দুর্গার আরাধনায় মগ্ন, ঠিক সেই সময় সাঁওতাল সম্প্রদায় মেতে উঠেছে তাদের আরাধ্য হুদুর দুর্গা বা দাঁশাই উৎসবে। সাঁওতালি সংস্কৃতিতে বছরের একটি মাসের নাম দাঁশাই, যা বাঙালির শরৎকালের সমসাময়িক।
সাঁওতাল স্টুডেন্ট ফোরামের সভাপতি আকাশ সাঁওতাল মুরমু জানান, সাঁওতালরা দাঁশাই উৎসবে প্রকৃতি রূপে দুর্গার আহ্বান ও পূজা করে, দুর্গাপূজার অন্যতম বিষয় হলো দুর্গাকে প্রকৃতি রূপে আরাধনা করা। উভয় উৎসবের দেবী দুর্গার আরাধনা ও পূজা করা হয়। সাঁওতালরা মূর্তি পূজা করে না, তারা প্রাকৃতিক শক্তিকে পূজা করে। দুর্গাকে তারা খরারোধী শুভ শক্তি ‘বাতাস’ রূপে এবং দুর্গার দুই অনুচর লক্ষ্মী ও সরস্বতীকে বর্ষার পূর্বের ঘূর্ণিঝড় রূপে আহ্বান করা হয়।
পানছড়ি সাঁওতাল সম্প্রদায়ের পুরুষেরা এই উৎসবে ধুতি ও সাদা পোশাকে সজ্জিত হয় এবং মাথায় ময়ূরের পালক ধারণ করে। শুকনো লাউয়ের খোল ও বাঁশ দিয়ে তৈরি বিশেষ বাদ্যযন্ত্র ‘ভুয়ং’ বাজিয়ে পাড়ায় পাড়ায় নাচ-গান করে।
তবে কানুনগোপাড়ার দাঁশাই নৃত্যের নেতৃত্বদানকারী আকাশ মুরমু, রাম হেমরং ও সুক্কু টুডো জানান, তাঁদের লোককথা অনুসারে দাঁশাই হলো একটি বার্ষিক উৎসব, যেখানে সাঁওতালরা মূলত মহিষাসুরকে শ্রদ্ধা করে। তাদের বিশ্বাস অনুযায়ী দেবী দুর্গা মহিষাসুরকে হত্যা করায় তারা মহিষাসুরকে উপাস্য দেবতা হিসেবে পূজা করে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারহানা নাসরিন বলেন, সনাতন ধর্মাবলম্বীরা যাতে নির্বিঘ্নে ও আনন্দঘন পরিবেশে উৎসব উদ্যাপন করতে পারে, সে জন্য সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে এবং নিরাপত্তা জোরদারের জন্য থানা ও আনসার ভিডিপিকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
লোগাং জোন (৩ বিজিবি) অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ রবিউল ইসলাম, পিপিএম (সেবা) বলেন, পূজাকে কেন্দ্র করে মণ্ডপগুলোতে সার্বক্ষণিক গোয়েন্দা নজরদারিসহ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বিজিবি সব প্রস্তুতি নিয়েছে। অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে বিজিবি টহল ও ড্রোন ক্যামেরা চলমান থাকবে।
পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ির পানছড়িতে শুরু হয়েছে সাঁওতাল সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী দাঁশাই উৎসব এবং সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। একই সময়ে এ দুই উৎসবের সূচনায় পাহাড়ি অঞ্চলের সংস্কৃতিতে লেগেছে উৎসবের আমেজ।
শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) মহাপঞ্চমী পূজার মধ্য দিয়ে ছয় দিনব্যাপী দুর্গাপূজা এবং সাঁওতালদের দাঁশাই উৎসবের শুভসূচনা হয়েছে। আগামী ২ অক্টোবর দশমী তিথিতে প্রতিমা বিসর্জনের মাধ্যমে দুর্গাপূজার সমাপ্তি হবে।
সনাতনী ধর্মাবলম্বীরা যখন অশুভ শক্তির বিনাশ কামনায় দেবী দুর্গার আরাধনায় মগ্ন, ঠিক সেই সময় সাঁওতাল সম্প্রদায় মেতে উঠেছে তাদের আরাধ্য হুদুর দুর্গা বা দাঁশাই উৎসবে। সাঁওতালি সংস্কৃতিতে বছরের একটি মাসের নাম দাঁশাই, যা বাঙালির শরৎকালের সমসাময়িক।
সাঁওতাল স্টুডেন্ট ফোরামের সভাপতি আকাশ সাঁওতাল মুরমু জানান, সাঁওতালরা দাঁশাই উৎসবে প্রকৃতি রূপে দুর্গার আহ্বান ও পূজা করে, দুর্গাপূজার অন্যতম বিষয় হলো দুর্গাকে প্রকৃতি রূপে আরাধনা করা। উভয় উৎসবের দেবী দুর্গার আরাধনা ও পূজা করা হয়। সাঁওতালরা মূর্তি পূজা করে না, তারা প্রাকৃতিক শক্তিকে পূজা করে। দুর্গাকে তারা খরারোধী শুভ শক্তি ‘বাতাস’ রূপে এবং দুর্গার দুই অনুচর লক্ষ্মী ও সরস্বতীকে বর্ষার পূর্বের ঘূর্ণিঝড় রূপে আহ্বান করা হয়।
পানছড়ি সাঁওতাল সম্প্রদায়ের পুরুষেরা এই উৎসবে ধুতি ও সাদা পোশাকে সজ্জিত হয় এবং মাথায় ময়ূরের পালক ধারণ করে। শুকনো লাউয়ের খোল ও বাঁশ দিয়ে তৈরি বিশেষ বাদ্যযন্ত্র ‘ভুয়ং’ বাজিয়ে পাড়ায় পাড়ায় নাচ-গান করে।
তবে কানুনগোপাড়ার দাঁশাই নৃত্যের নেতৃত্বদানকারী আকাশ মুরমু, রাম হেমরং ও সুক্কু টুডো জানান, তাঁদের লোককথা অনুসারে দাঁশাই হলো একটি বার্ষিক উৎসব, যেখানে সাঁওতালরা মূলত মহিষাসুরকে শ্রদ্ধা করে। তাদের বিশ্বাস অনুযায়ী দেবী দুর্গা মহিষাসুরকে হত্যা করায় তারা মহিষাসুরকে উপাস্য দেবতা হিসেবে পূজা করে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারহানা নাসরিন বলেন, সনাতন ধর্মাবলম্বীরা যাতে নির্বিঘ্নে ও আনন্দঘন পরিবেশে উৎসব উদ্যাপন করতে পারে, সে জন্য সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে এবং নিরাপত্তা জোরদারের জন্য থানা ও আনসার ভিডিপিকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
লোগাং জোন (৩ বিজিবি) অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ রবিউল ইসলাম, পিপিএম (সেবা) বলেন, পূজাকে কেন্দ্র করে মণ্ডপগুলোতে সার্বক্ষণিক গোয়েন্দা নজরদারিসহ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বিজিবি সব প্রস্তুতি নিয়েছে। অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে বিজিবি টহল ও ড্রোন ক্যামেরা চলমান থাকবে।
খাগড়াছড়ি পৌরসভা ও সদর উপজেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি এবং জনগণের জানমালের ক্ষতিসাধনের আশঙ্কায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে জেলা প্রশাসন। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে আজ শনিবার বেলা ২টা থেকে জেলা সদরে অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত এই আদেশ বলবৎ থাকবে বলে জানায়..
৩ মিনিট আগেবগুড়ার শেরপুরে চাঁদাবাজি ও মারধরের অভিযোগে করা মামলায় সাবেক যুবদল নেতা মো. আরমান আলীকে (৩০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বেলা ১টার দিকে শেরপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
১০ মিনিট আগেপটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে এক তরুণী ও তাঁর বাবাকে মারধরে অভিযুক্ত ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিয়েছে জেলা ছাত্রদল। ওই তরুণীকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় গত বুধবার এই মারধরের ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।
১৩ মিনিট আগেলালমনিরহাটে লিপন চন্দ্র দ্বীপ (২৮) নামের এক ব্যাংক কর্মকর্তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শনিবার সকালে উপজেলার কমলাবাড়ি ইউনিয়নের ভাতিটারী গ্রামে নিজ বাড়ি থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ...
২১ মিনিট আগে