Ajker Patrika

আক্কেলপুরে ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট শাখায় ৩ কোটি টাকা আত্মসাৎ, আবার গ্রেপ্তার ব্যবস্থাপক

আক্কেলপুর (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি 
আপডেট : ২২ এপ্রিল ২০২৫, ১৭: ২০
গ্রেপ্তার রিজওয়ানা ফারজানা। ছবি: আজকের পত্রিকা
গ্রেপ্তার রিজওয়ানা ফারজানা। ছবি: আজকের পত্রিকা

জয়পুরহাটের আক্কেলপুর ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের এজেন্ট শাখা থেকে গ্রাহকের প্রায় দেড় কোটি টাকার বেশি আত্মসাতের ঘটনার ওপর একটি মামলায় ওই শাখার ব্যবস্থাপক রিজওয়ানা ফারজানাকে (৩৫) আবারও গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

এর আগে গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের ঘটনায় একটি মাদ্রাসার মুহতামিম ফিরোজ আহমদ গত ২৩ মার্চ বাদী হয়ে শাখার মালিম মো. জাহিদুল ইসলাম, ব্যবস্থাপক রিজওয়ানা ফারজানা ও ক্যাশিয়ার মাসুদ রানাকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ তাঁদের গ্রেপ্তার করে।

ওই মামলায় এক দিনের মাথায় রিজওয়ানা ফারজানাসহ আসামিরা জামিনে বের হয়ে আত্মগোপনে ছিলেন। একই ঘটনায় গত ১৫ এপ্রিল জয়পুরহাট শাখা ব্যবস্থাপক হাবিবুর রহমান বাদী হয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় গত রোববার রাতে আক্কেলপুর থানা-পুলিশ অভিযান চালিয়ে বগুড়া জেলার দুপচাঁচিয়ার তালোড়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। গতকাল সোমবার দুপুরে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।

মামলার তদন্তকারী আক্কেলপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) গোলাম রব্বানী বলেন, ইসলামী ব্যাংকের আক্কেলপুর শাখার গ্রাহকদের অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় দায়ের করা অপর একটি মামলায় শাখা ব্যবস্থাপক রিজওয়ানা ফারজানাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই মামলার আরও দুই আসামিকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

রিজওয়ানা আক্কেলপুর পৌর শহরের হাজীপাড়া মহল্লার বাসিন্দা। এজেন্ট ব্যাংক কার্যক্রম শুরুর পর থেকে তিনি আক্কেলপুর শাখায় কর্মরত ছিলেন। এজেন্ট ব্যাংকে গ্রাহকদের টাকা আত্মসাতের ঘটনায় এ পর্যন্ত পাঁচটি মামলা হয়েছে। আরও অন্তত ১০ থেকে ১২ জন গ্রাহক মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে। এসব ভুক্তভোগীর দাবি, এখন পর্যন্ত তিন কোটির বেশি টাকা আত্মসাতের হিসাব পাওয়া গেছে।

পুলিশ ও অভিযোগকারীদের সূত্রে জানা গেছে, গত ২৩ মার্চ ইসলামী ব্যাংকের আক্কেলপুর এজেন্ট শাখায় গ্রাহকদের টাকা আত্মসাতের বিষয়টি ধরা পড়ে। ওই দিন ক্যাশিয়ার মাসুদ রানা গ্রাহকদের টাকা আত্মসাতের কথা স্বীকার করেন।

তিনি তখন জানিয়েছিলেন, এসব টাকায় গ্রামে জমি কেনার পাশাপাশি বিভিন্ন সম্পদ অর্জন করেছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তাঁর স্বীকারোক্তির ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ে। ওই রাতেই ব্যাংকটির কার্যালয় থেকে ক্যাশিয়ার মাসুদ রানা, ব্যবস্থাপক রিজওয়ানা ফারজানা ও এজেন্ট জাহিদুল ইসলামকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। পরে এক গ্রাহক ওই তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ওই মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। এক দিন পরই তাঁরা তিনজন জামিনে মুক্তি পান।

ভুক্তভোগী গ্রাহকেরা টাকা ফেরতসহ জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তির দাবিতে ৯ এপ্রিল আক্কেলপুর পৌর শহর ও ১৩ এপ্রিল জয়পুরহাট শহরের ইসলামী ব্যাংকের সামনে মানববন্ধন করেন। তাঁরা ব্যাংকটির জেলা শাখায় ধরনা দিয়েও টাকা ফেরতের কোনো নিশ্চয়তা পাচ্ছেন না।

ভুক্তভোগী গ্রাহক আবদুস ছালাম মণ্ডল বলেন, ‘অনেক গ্রাহকদের সঙ্গে কথা বলে হিসাব করে জানতে পেরেছি, তাঁরা প্রায় তিন কোটির বেশি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। আরও হিসাব আসতেছে, তখন টাকার পরিমাণ আরও বেশি হবে। আমরা টাকা ফেরতের আশায় দিনের পর দিন টাকা ফেরত পাওয়ার আশায় ঘুরতেছি কোনো লাভ হচ্ছে না। এই টাকা তাঁরা কীভাবে সরালেন, সেটা ইসলামী ব্যাংক জয়পুরহাট শাখার কর্মকর্তাদের জানার কথা।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আন্তর্জাতিক সালিসের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ-আদানি

‘সাকিবের পোস্টার স্টেডিয়ামে ঢুকবে কি না, বিসিবির ডিসিপ্লিনারি কমিটি দেখবে’

দলীয় মনোনয়ন পছন্দ না হওয়ায় বিশৃঙ্খলা, বিএনপির ৪ নেতা বহিষ্কার

আজকের রাশিফল: ছবি পোস্ট করার আগে সাতবার ভাবুন, জ্ঞানের কথা চেপে রাখুন

জোটেই ভোট করবে জামায়াত, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা শিগগির

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

চকরিয়া সড়কে ডাকাতির ঘটনায় গ্রেপ্তার ৩

চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি 
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায় সড়কে ডাকাতির ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) ভোররাতে উপজেলার কাকারা ও ডুলাহাজারা এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিরা হলেন কাকারা ইউনিয়নের মাইজ কাকারা গ্রামের গুরা মিয়ার ছেলে মো. সেলিম (৩৫); ডুলাহাজারা রিংভং দক্ষিণপাড়া গ্রামের কামাল হোসেনের ছেলে সাজ্জাত হোসেন (২৫) এবং বদরখালী ইউনিয়নের টেকপাড়া গ্রামের মাহমুদুল হকের ছেলে মো. আনছার (৩২)।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার রাতে সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়নের ইয়াংছা রোডের পানিরছড়া এলাকায় সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ বেশ কয়েকটি গাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় অটোরিকশার যাত্রীদের মারধর করে নগদ টাকা ও মালামাল লুট করা হয়।

এ ঘটনার পর চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌহিদুল আনোয়ারের নেতৃত্বে পুলিশের একাধিক টিম ডাকাতির ঘটনায় জড়িত ধরতে অভিযানে নামে।

গোপন তথ্যের ভিত্তিতে আজ মঙ্গলবার ভোররাতে কাকারায় অবস্থান করার খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে মো. সেলিমকে গ্রেপ্তার করে। অপর দিকে মালুমঘাট রেলস্টেশনের অদূরে একটি স্থানে একটি ডাকাত দলের গোপন বৈঠকের খবরে অভিযান চালিয়ে সাজ্জাত ও আনছারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

গত ১৮ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে রশি টেনে ডাকাতি ও পর্যটক খুনের ঘটনায় সাজ্জাতের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্টতার পাওয়া গেছে।

চকরিয়ার থানার (ওসি) তৌহিদুল আনোয়ার বলেন, সড়কে ডাকাতির ঘটনায় পুলিশ জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে কাজ করছে। ইতিমধ্যে তিনজন ডাকাতকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ দুপুরে তিনজনকে চকরিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আন্তর্জাতিক সালিসের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ-আদানি

‘সাকিবের পোস্টার স্টেডিয়ামে ঢুকবে কি না, বিসিবির ডিসিপ্লিনারি কমিটি দেখবে’

দলীয় মনোনয়ন পছন্দ না হওয়ায় বিশৃঙ্খলা, বিএনপির ৪ নেতা বহিষ্কার

আজকের রাশিফল: ছবি পোস্ট করার আগে সাতবার ভাবুন, জ্ঞানের কথা চেপে রাখুন

জোটেই ভোট করবে জামায়াত, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা শিগগির

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

খেয়াঘাটের ভাড়া আদায় নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১০

নরসিংদী প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

নরসিংদীতে খেয়াঘাটে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা নিয়ে টেঁটা ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়েছে দুপক্ষ। এতে দুজন টেঁটাবিদ্ধসহ ১০ জন আহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সকালে সদর উপজেলার মাধবদী থানার চরাঞ্চল চরদীঘলদী ইউনিয়নের জিতরামপুরে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, চরদীঘলদী ইউনিয়নের জিরতরামপুরে খেয়াঘাটে অতিরিক্ত ভাড়ার টাকা আদায় করা নিয়ে স্থানীয় শহিদ মেম্বার ও চাঁন মিয়া গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে গতকাল সোমবার দুপক্ষ সংঘর্ষে জড়ানোর পর খেয়াঘাট বন্ধ হয়ে যায়। আজ মঙ্গলবার সকালে ফের টেঁটা ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায় দুপক্ষের লোকজন। এতে দুজন টেঁটাবিদ্ধ হওয়াসহ ১০ জন আহত হয়। আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে অবস্থান নিয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। আমরা তিনজন আহত হওয়ার খবর পেয়েছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আন্তর্জাতিক সালিসের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ-আদানি

‘সাকিবের পোস্টার স্টেডিয়ামে ঢুকবে কি না, বিসিবির ডিসিপ্লিনারি কমিটি দেখবে’

দলীয় মনোনয়ন পছন্দ না হওয়ায় বিশৃঙ্খলা, বিএনপির ৪ নেতা বহিষ্কার

আজকের রাশিফল: ছবি পোস্ট করার আগে সাতবার ভাবুন, জ্ঞানের কথা চেপে রাখুন

জোটেই ভোট করবে জামায়াত, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা শিগগির

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বাড়িতে ভাত খাইতে গেলেও নাকি রবিউলের অনুমতি নিতে হবে—ডাকাতে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী

আক্কেলপুর (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি 
কাশিড়া বাজারে ডাকাতির মামলার আসামি রবিউলের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর বিক্ষোভ মিছিল। ছবি: আজকের পত্রিকা
কাশিড়া বাজারে ডাকাতির মামলার আসামি রবিউলের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর বিক্ষোভ মিছিল। ছবি: আজকের পত্রিকা

জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলায় রবিউল ইসলাম নামে ডাকাতির মামলার আসামির শাস্তি দাবি করেছেন এলাকাবাসী। আজ মঙ্গলবার সকালে কাশিড়া বাজারে রবিউল ও তাঁর পরিবারের সব সদস্যের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেন তাঁরা।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ২০১৭ সালে কাশিড়া বাজারে এক রাতে ১৪টি দোকানে ডাকাতির ঘটনায় দুই নম্বর আসামি ছিলেন ওই রবিউল ইসলাম। এ ছাড়া বগুড়া আদমদীঘি থানায় ডাকাতি ও বগুড়া সদর থানার অস্ত্র মামলার আসামিও রবিউল ইসলাম। বক্তারা অভিযোগ করেন, রবিউল এলাকার ব্যবসায়ীদের হুমকি-ধমকি দিয়ে চাঁদা দাবি করেন। কেউ চাঁদা দিতে না চাইলে তাঁকে রবিউল ও তাঁর পরিবারের লোকজন মারধর করেন। বক্তাদের দাবি, গোপীনাথপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান রবিউল ও তাঁর পরিবারকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেন।

মানববন্ধনে অংশ নেওয়া কাশিড়া বাজার পরিচালনা কমিটির (বণিক সমিতি) সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইমলাম বলেন, ‘কিছু বিপথগামী সন্ত্রাসী, কিছু ডাকাত আমাদের কাছে বিভিন্নভাবে চাঁদার দাবি করে এবং বাজারে ডাকাতি করে। সেই ডাকাতদের আইনের আওতায় আনার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কর্মকর্তাদের কাছে দাবি জানাচ্ছি।’

স্থানীয় বাসিন্দা আল-আমিন হোসেন বলেন, ‘আমাদের কাশিড়া গ্রামের ডাকাত রবিউল বিভিন্ন সময় আমাদের কাছে হুমকি-ধমকি দিয়ে চাঁদা দাবি করে। সে কাশিড়া বাজারে দোকানে ডাকাতির সঙ্গে জড়িত। বাড়িতে ভাত খাইতে গেলেও নাকি রবিউলের অনুমতি নিতে হবে। তাকে ধরতে গেলেই চেয়ারম্যানের কথা বলে, আসলে চেয়ারম্যানের সঙ্গে কী সম্পর্ক আছে—সেটি জানার বিষয়। চেয়ারম্যান যদি ওই ডাকাত রবিউলের সঙ্গে জড়িত থাকে, তাহলে তাঁকেও আইনের আওতায় আনা হোক।’

গোপীনাথপুর ইউনিয়নের পরিষদের ৭ নম্বর ইউপি সদস্য ও স্থানীয় বাসিন্দা সেলিম মাহবুব বলেন, ‘রবিউল প্রায় সাত বছর থেকে এলাকায় ছিল না। দেড় বছর হলো, সে আবার কাশিড়াতে এসেছে। সে জনসমক্ষে বলে আমি স্বাধীন, আমি মুক্ত। এই রবিউল ডাকাত এখন কাশিড়াবাসীর কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। সে হিন্দু পরিবারের কাছে চাঁদা দাবি করে, এলাকায় জুয়ার আসর বসায়, বাইর থেকে কেউ এলাকায় রাজমিস্ত্রির কাজ করতে এলে তাঁকে পাঁচ হাজার টাকা চাঁদা দিতে হয়। প্রতিবাদ করলে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। কিছুদিন আগে কাশিড়া বাজারে হান্নান মণ্ডলের দোকান চুরি হয়। পরে রবিউল এসে বাজার সভাপতির কাছে সিসি ক্যামেরার বিষয়ে জানতে চায়। তখন তার গতিবিধি দেখে আমরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে সাত দিন সময় চায়, চুরি হওয়া তিন-চার লাখ টাকার মাল বের করে দেওয়ার জন্য। কিন্তু এই এলাকার কিছু অসাধু ব্যক্তি এই ডাকাতকে সহযোগিতা করে আমাদের কয়েকজনের নামে জয়পুরহাট কোর্টে একটি মামলা দায়ের করে। আমাদের একটাই দাবি, রবিউলসহ তার পরিবারের লোকজনকে আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেওয়া হোক।’

এদিকে ডাকাতি মামলার আসামি রবিউলকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন গোপীনাথপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান। তিনি বলেন, ‘কাশিড়া বাজারে মানববন্ধন থেকে আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে, তা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমি কেন, বাংলাদেশের কোনো চেয়ারম্যানই কোনো ডাকাতকে প্রশ্রয় দেয় না। একটি চক্র আমার সুনাম ক্ষুণ্ন করার জন্য ওই কথা মানববন্ধনে বলেছে।’

আক্কেলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘কাশিড়া বাজারে ডাকাতির মামলার আসামি রবিউল ইসলাম বর্তমানে কারাগারে রয়েছে। কিছুদিন আগেই আমরা তাকে গ্রেপ্তার করেছি। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ডাকাতিসহ অস্ত্র মামলা রয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আন্তর্জাতিক সালিসের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ-আদানি

‘সাকিবের পোস্টার স্টেডিয়ামে ঢুকবে কি না, বিসিবির ডিসিপ্লিনারি কমিটি দেখবে’

দলীয় মনোনয়ন পছন্দ না হওয়ায় বিশৃঙ্খলা, বিএনপির ৪ নেতা বহিষ্কার

আজকের রাশিফল: ছবি পোস্ট করার আগে সাতবার ভাবুন, জ্ঞানের কথা চেপে রাখুন

জোটেই ভোট করবে জামায়াত, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা শিগগির

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ব্রাকসু নির্বাচনে ৬ সদস্যের কমিশন গঠন

বেরোবি প্রতিনিধি 
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ব্রাকসু) নির্বাচনের নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১৬তম সিন্ডিকেট সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় অনুষদের ডিন অধ্যাপক মো. ফেরদৌস রহমানকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার করে ছয় সদস্যবিশিষ্ট এই কমিশন গঠন করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিন্ডিকেট সদস্য এবং বেরোবি ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. ইলিয়াস প্রামাণিক।

নির্বাচনে সহকারি নির্বাচন কমিশনার হিসেবে রয়েছেন পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শাহ জামান; ভূগোল ও পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সিফাত রুমানা; কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. প্রদীপ কুমার সরকার; ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. মাসুদ রানা ও ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. হাসান আলী।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর ১৭ বছরের প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে প্রথমবারের মতো ছাত্র সংসদ পেতে যাচ্ছে বেরোবি। এর আগে ছাত্র সংসদের দাবিতে শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন, সংবাদ সম্মেলন ও আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করেছিলেন। গত ২৮ অক্টোবর রাষ্ট্রপতি কর্তৃক অনুমোদন করা হয় বেরোবি ছাত্র সংসদ বিধিমালা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আন্তর্জাতিক সালিসের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ-আদানি

‘সাকিবের পোস্টার স্টেডিয়ামে ঢুকবে কি না, বিসিবির ডিসিপ্লিনারি কমিটি দেখবে’

দলীয় মনোনয়ন পছন্দ না হওয়ায় বিশৃঙ্খলা, বিএনপির ৪ নেতা বহিষ্কার

আজকের রাশিফল: ছবি পোস্ট করার আগে সাতবার ভাবুন, জ্ঞানের কথা চেপে রাখুন

জোটেই ভোট করবে জামায়াত, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা শিগগির

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত