জাহিদ হাসান, যশোর

যশোরের শেখ হাসিনা সফটওয়ার টেকনোলজি পার্ক উদ্বোধনের ছয় বছর পূর্ণ হচ্ছে আগামীকাল রোববার। একটিমাত্র বিদেশি কোম্পানি এই পার্কে জায়গা বরাদ্দ নিলেও দুবছর আগে সেটিও পার্ক ছেড়ে চলে গেছে। এমনকি বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে প্রথমদিকে চুক্তিবদ্ধ ৩৩টির মধ্যে ২৬টি কোম্পানি পার্ক ছেড়ে চলে গেছে। অবশিষ্ট যে সাতটি কোম্পানি রয়েছে, সেগুলোর মধ্যে অধিকাংশই রুগ্ন।
এদিকে, আইসিটি শিল্পের বিকাশ ও উদ্যোক্তা সৃষ্টির উদ্দেশ্য নিয়ে পার্কটি পথচলা শুরু হলেও সেই মূল উদ্দেশ্য থেকে সরে গেছে পার্কটির দায়িত্বে থাকা কোম্পানি টেকসিটি। পার্কটিতে চাকরি মেলা, বিয়ে–বৌভাতের মতো অনুষ্ঠান আয়োজন করা হচ্ছে। লোকসান ঠেকাতে পার্কের তিন তারকা মানের ডরমিটরিটিতে চালু হয়েছে ‘হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট’।
২০১৭ সালের ১০ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই পার্ক উদ্বোধন করেন। এরপর সরকার টেকসিটি নামের একটি কোম্পানিকে পার্কটি দেখভালের দায়িত্ব দেয়। শিগগিরই উদ্যোক্তাদের সঙ্গে টেকসিটি কর্তৃপক্ষের বিরোধ বাড়তে থাকে।
নতুন করে টেকসিটি অন্তত ৩০টি কোম্পানিকে জায়গা বরাদ্দ দিয়েছে। কিন্তু জায়গা ভাড়ার বিষয়ে কোনো নীতিমালা অনুসরণ না করার অভিযোগ রয়েছে। একই পার্কে ১৭ টাকা ২৬ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ২৯ টাকা পর্যন্ত প্রতি বর্গফুটের ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। একেক কোম্পানির কাছ থেকে একেক ধরনের ভাড়া আদায় করায় উদ্যোক্তাদের মধ্যে অসন্তোষ রয়েছে।
এছাড়া বিদ্যুৎ বিলের বিষয়েও উদ্যোক্তাদের অভিযোগ রয়েছে, গড়ে ১৫ টাকা ইউনিট হিসাবে বিল আদায় করছে টেকসিটি। অথচ বিদ্যুৎ বিলের সরকারি ব্যবসায়িক রেট সর্বোচ্চ ১০ টাকা বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা।
গত বৃহস্পতিবার দুপুরে পার্কে গিয়ে উদ্যোক্তা ও প্রকল্প ব্যবস্থাপনা কোম্পানি টেকসিটির কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পার্ক স্থাপনের শুরুতে উদ্যোক্তারা বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে জায়গা বরাদ্দ নেন। ওই চুক্তিতে পার্ক ব্যবস্থাপনার জন্য তৃতীয় কোনো কোম্পানিকে দায়িত্ব দেওয়া হবে—এমন কথা বলা নেই।
চুক্তিবদ্ধ হওয়ার পরই উদ্যোক্তারা জানতে পারেন টেকসিটি নামের একটি কোম্পানিকে পার্কের জায়গা বরাদ্দ দেওয়ার এখতিয়ারসহ ব্যবস্থাপনার পুরো দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। যে চুক্তির মাধ্যমে টেকসিটিকে দেখভালের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, সেই চুক্তিটিও অসম। কারণ, জনগণের টাকায় স্থাপিত পার্কের আয়ের মাত্র ১৮ শতাংশ পাচ্ছে সরকার, ৮২ শতাংশ নিচ্ছে টেকসিটি কর্তৃপক্ষ। অথচ শুরুতে এই পার্কে টেকসিটির কোনো বিনিয়োগই নেই।
পার্ক ঘুরে দেখা গেছে, ৪০টির মতো কোম্পানি বর্তমানে অপারেশনে রয়েছে। যদিও টেকসিটি কর্তৃপক্ষের দাবি, ৫৭টি কেম্পানি জায়গা বরাদ্দ নিয়ে কাজ করছে। এর মধ্যে মাত্র ১০টি কোম্পানি সফটওয়্যার তৈরি বা বিপণন নিয়ে কাজ করে। অবশিষ্ট কোম্পানিগুলো ই–কমার্স, কল সেন্টার, ইন্টারনেট সেবাদানকারী, ডিজিটাল মার্কেটিংসহ বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে টেকসিটির মহাব্যবস্থাপক (জেনারেল ম্যানেজার) শান্তনু চক্রবর্তী বলেন, ‘নীতিমালা অনুযায়ী তিন ধরনের প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে জায়গা বরাদ্দ দেওয়া হয়। সেগুলো হলো—তথ্য প্রযুক্তি, তথ্য প্রযুক্তির (ইএস) ওপরে নির্ভর করে এমন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বিপিও (বিজনেস প্রসেস আউট সোর্সিং)। বর্তমানে পার্কে ১০টি সফটওয়ার কোম্পানি রয়েছে।’
অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘উদ্যোক্তাদের কাছ থেকে কোনো বেশি ভাড়া বা বিদ্যুৎ বিল নেওয়া হয় না। চুক্তি অনুযায়ী প্রতি দুই বছর পর ভাড়া বৃদ্ধি করে এই পর্যায়ে এসেছে। আইটি পার্কের সমস্যা ও বিনিযোগকারীদের সব অভিযোগ বাংলাদেশ হাই–টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ জানে।’
হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ কোম্পানিগুলোর মেয়াদ শেষ হয়েছে চলতি বছরের ২৬ অক্টোবর। মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে ২৬টি কোম্পানি ব্যবসা গুটিয়ে পার্ক ছেড়ে চলে গেছে।
কেন ব্যবসায়ীরা চলে গেলেন, এমন প্রশ্নের জবাবে ব্যবসায়ীরা বলেন, দক্ষ জনশক্তির অভাবে ব্যবসা পরিচালনা করা সম্ভব হয়নি। তাছাড়া এই পার্কে যে ধরনের সুযোগ সুবিধা দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল, বাস্তবে তার কিছুই নেই। উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ইন্টারনেট সেবার একাধিক লাইন থাকার কথা ছিল, কিন্তু তা নেই। বিদ্যুৎ বিল মাত্রাতিরিক্ত। শহরের প্রাণকেন্দ্র থেকে বাইরে আইটি পার্ক স্থাপিত হলেও সেই তুলনায় ভাড়া বেশি।
বিনিয়োকারীরা জানান, এই পার্কে ৬০০–৭০০ মানুষের কর্মস্থান হয়েছে। তবে ছয় বছরের অধিক সময় চাকরিরত কর্মীর সংখ্যা ১৫০ জনের বেশি না। বেশির ভাগ কর্মী আসা-যাওয়ার মধ্যেই থাকেন। ই–কমার্স ও কল সেন্টারে বেশি কর্মী কাজ করেন। তাঁদের বেতন ১০ হাজারের নিচে। যে কারণে তিন থেকে ছয় মাসের বেশি ওই কর্মীরা টিকছে না। ফলে আইটি খাতের দক্ষ জনশক্তিও এখানে তৈরি হচ্ছে না।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন উদ্যোক্তা বলেন, পার্কের ক্যাফেটেরিয়া ভবনে আধুনিক সুযোগ সুবিধা সংবলিত মিলনায়তন রয়েছে। সেখানে প্রযুক্তিভিত্তিক কর্মশালা–সেমিনারের বদলে বিয়ে–বউ ভাতের অনুষ্ঠান বেশি হয়। যে কারণে পার্কের প্রযুক্তি ভিত্তিক পরিবেশ থাকছে না।
টেকসিটি সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের অত্যন্ত ৫০টি অনুষ্ঠান হয়েছে। এর মধ্যে বিয়ে–বউ ভাতের মতো অনুষ্ঠান, এছাড়া চাকরি মেলাসহ অন্যান্য অনুষ্ঠানও হয়েছে।
২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে সফটওয়্যার, অ্যানিমেশন, গ্রাফিক্স নিয়ে কাজ করার জন্য অ্যানিমেক্স অ্যানিমেশন স্টুডিও নামের একটি বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান পার্কটির ১৩ তলায় সাড়ে ৭শ বর্গফুট জায়গা নেয়। প্রায় সাড়ে তিন বছর পর ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রতিষ্ঠানটি লোকসানের কারণে জায়গা ছেড়ে দেয়। এই প্রতিষ্ঠান বর্তমানে যশোরের একটি ভাড়া বাড়িতে কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক শেখ মেহেদী হাসান শুভ বলেন, ‘পার্কটির প্রধান সমস্যা ভাড়া ও বিদ্যুৎ বিল। অযৌক্তিক বিল চাপিয়ে দিত। পার্কটিতে যে ভাড়া ও বিদ্যুৎ বিল নিয়ে কাজ করেছি; তারচেয়ে অনেক কম ভাড়া–বিলে শহরের যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ভালোভাবে কাজ করা যায়। আইটি পার্কটি বর্তমানে টিকে আছে বিভিন্ন কল সেন্টারে ওপর। ওখানে দু–একটি প্রতিষ্ঠান ছাড়া কেউ সফটওয়্যার ভিত্তিক কাজ করে না। পার্কটি সরকারের একটি নান্দনিক বিন্ডিং ছাড়া ওখানে কিছুই নাই।’
ফ্রিডম ফাইটার আইটির ডিজিএম মিকাইল হোসেন বলেন, ‘দেড় বছরের মতো কাজ করার পরে ঢাকাতে চলে যেতে হয়েছে। মূলত যে কাজে পার্কটি নির্মাণ করা হয়েছিল; সেটি ওখানে হয় না। ওখানে পরিবেশের কারণে ভালো কোনো ডেভেলপার যেতে চায় না। নেওয়ার আগে কর্তৃপক্ষ যেসব অঙ্গীকার করেছিল সেটি তারা রাখতে পারেনি। তাই দিনকে দিন লোকসানের মুখে পড়ে পার্কটি ছেড়ে যেতে হয়েছে।’
উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, পার্কের ভেতর সরকারি ডিজাস্টার রিকোভারি ডেটা সেন্টার নামের একটি স্থাপনা রয়েছে। ওই সেন্টারের বিদ্যুৎ বিল নিয়ে উদ্যোক্তাদের মধ্যে প্রশ্ন রয়েছে। উদ্যোক্তাদের অভিযোগ, ওই সেন্টারটির বিদ্যুৎ বিল উদ্যোক্তাদের ঘাড়ে চাপানো হয়।
এসব বিষয়ে পার্কটির ইনভেস্টর অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আহসান কবির বলেন, ‘শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কে তুলনামূলক ভাড়া বেশি। এছাড়া আমরা সর্বোচ্চ রেটে বিদ্যুৎ বিল দিয়ে থাকি। বিদ্যুৎ বিল কমানো বা বিলটা বিশেষ শিল্প জোনের আওতায় আনার জন্য পার্ক কর্তৃপক্ষকে বারবার জানানো হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘এটি দেশের প্রথম আইটি পার্ক। ফলে সবকিছুতেই মডেল হতে পারত এটি। কিন্তু সরকার এটিতে সেভাবে মনোযোগ দেয়নি। মনোযোগ দেয়নি বলেই সিলিকন ভ্যালির স্বপ্ন ম্লান হয়েছে। দেশের প্রথম আইটি পার্কের লক্ষ্য বাস্তবায়ন না হওয়াতে নতুন করে এই সেক্টরে বিমুখ হচ্ছে তরুণ উদ্যোক্তারা।’
টিকে থাকতে হোটেল–রিসোর্ট
দক্ষিণ–পশ্চিমাঞ্চলে আইসিটি শিল্পের বিকাশ ও উদ্যোক্তা সৃষ্টির উদ্দেশ্য নিয়ে, যশোর শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কের যাত্রা শুরু হয়। কিন্তু সেই মূল উদ্দেশ্য থেকে সরে গেছে পার্কটির দায়িত্বে থাকা কোম্পানি টেকসিটি। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের স্বার্থরক্ষা করতে গিয়ে পার্কটিতে চাকরি মেলা, বিয়ে–বৌভাতের মতো অনুষ্ঠান করছে।
লোকসান ঠেকাতে চলতি বছরের জানুয়ারিতে পার্কের তিন তারকা মানের ডরমিটরিটিতে চালু হয়েছে ‘হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট’। খান প্রোপার্টিস নামের একটি কোম্পানি ১০ বছরের চুক্তিতে এই হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট খুলেছে।
খান প্রোপার্টিসের প্রজেক্ট ম্যানেজার আল বাকি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যশোর একটি হাব। পার্কটিতে সুন্দর একটা বিল্ডিং থাকলেও, আধুনিক সুযোগ সুবিধা এখানে ছিল না। একই সঙ্গে ম্যানেজমেন্টটাও। ফলে এটা আমরা দায়িত্ব নিয়েছি। হাইটেক পার্কে ডরমিটরিটিতে এখন আমরা হোটেল ও রিসোর্ট করছি। পার্কের বিভিন্ন পরিবেশ ও পুকুরটি সংস্কার করে রিসোর্ট করা হয়েছে। আপাতত ১০ বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক অংশীদারির মাধ্যমে ব্যবসা পরিচালনা করা হবে।’
এ বিষয়ে টেকসিটির মহাব্যবস্থাপক (জিএম) শান্তনু চক্রবর্তী বলেন, ‘ডরমিটরিটি বাইরের লোকদের ৫ হাজার থেকে ১০ হাজার পর্যন্ত ভাড়া। কিন্তু এখানকার উদ্যোক্তাদের কাছে থেকে হাইটেকের নির্ধারিত ভাড়াই নেওয়া হয়। এছাড়া অডিটরিয়ামসহ সব সুবিধা পান উদ্যোক্তারা।’
তবে লক্ষ্য অনেকখানি অর্জিত হয়েছে বলে দাবি করেন বাংলাদেশ হাই–টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থাপনা পরিচালক জিএসএম জাফরুল্লাহ। হোয়াটসঅ্যাপে তিনি বলেন, ‘বর্তমানে পার্কটিতে ৫৯টি প্রতিষ্ঠানে প্রায় ২৫০০ জনের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া এখানে ১২টি স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। কাজেই বলা যায় সরকার যে লক্ষ্য নিয়ে এই পার্ক স্থাপন করেছে, বিগত ছয় বছরে তা অনেকাংশেই বাস্তবায়ন হয়েছে।’
তবে আইসিটি ইকোসিস্টেম পরিপূর্ণরূপে কার্যকর হতে আরও সময় লাগবে বলে জানান তিনি।
শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কের ভাড়া নিয়ে উদ্যোক্তাদের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে জাফরুল্লাহ বলেন, ‘এখানে মাসিক ভাড়া প্রতি বর্গফুটে মাত্র ১৬ টাকা এবং সার্ভিস চার্জ ৪ টাকা। এই ভাড়াকে কোনোভাবেই বেশি বলে মনে করে না কর্তৃপক্ষ। এছাড়া বিভিন্ন সময় উদ্যোক্তাদের ভাড়া মওকুফ করা হয়। সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য দেশে–বিদেশে তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এত কিছুর পরও ভাড়া বেশি বলার সুযোগ আছে বলে মনে হয় না। আর বিদ্যুৎ বিল হাই–টেক পার্ক নির্ধারণ করে না। বিদ্যুৎ বিভাগের নির্ধারিত বিল ব্যবহার অনুযায়ী কোম্পানিগুলোকে পরিশোধ করতে হয়।’

যশোরের শেখ হাসিনা সফটওয়ার টেকনোলজি পার্ক উদ্বোধনের ছয় বছর পূর্ণ হচ্ছে আগামীকাল রোববার। একটিমাত্র বিদেশি কোম্পানি এই পার্কে জায়গা বরাদ্দ নিলেও দুবছর আগে সেটিও পার্ক ছেড়ে চলে গেছে। এমনকি বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে প্রথমদিকে চুক্তিবদ্ধ ৩৩টির মধ্যে ২৬টি কোম্পানি পার্ক ছেড়ে চলে গেছে। অবশিষ্ট যে সাতটি কোম্পানি রয়েছে, সেগুলোর মধ্যে অধিকাংশই রুগ্ন।
এদিকে, আইসিটি শিল্পের বিকাশ ও উদ্যোক্তা সৃষ্টির উদ্দেশ্য নিয়ে পার্কটি পথচলা শুরু হলেও সেই মূল উদ্দেশ্য থেকে সরে গেছে পার্কটির দায়িত্বে থাকা কোম্পানি টেকসিটি। পার্কটিতে চাকরি মেলা, বিয়ে–বৌভাতের মতো অনুষ্ঠান আয়োজন করা হচ্ছে। লোকসান ঠেকাতে পার্কের তিন তারকা মানের ডরমিটরিটিতে চালু হয়েছে ‘হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট’।
২০১৭ সালের ১০ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই পার্ক উদ্বোধন করেন। এরপর সরকার টেকসিটি নামের একটি কোম্পানিকে পার্কটি দেখভালের দায়িত্ব দেয়। শিগগিরই উদ্যোক্তাদের সঙ্গে টেকসিটি কর্তৃপক্ষের বিরোধ বাড়তে থাকে।
নতুন করে টেকসিটি অন্তত ৩০টি কোম্পানিকে জায়গা বরাদ্দ দিয়েছে। কিন্তু জায়গা ভাড়ার বিষয়ে কোনো নীতিমালা অনুসরণ না করার অভিযোগ রয়েছে। একই পার্কে ১৭ টাকা ২৬ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ২৯ টাকা পর্যন্ত প্রতি বর্গফুটের ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। একেক কোম্পানির কাছ থেকে একেক ধরনের ভাড়া আদায় করায় উদ্যোক্তাদের মধ্যে অসন্তোষ রয়েছে।
এছাড়া বিদ্যুৎ বিলের বিষয়েও উদ্যোক্তাদের অভিযোগ রয়েছে, গড়ে ১৫ টাকা ইউনিট হিসাবে বিল আদায় করছে টেকসিটি। অথচ বিদ্যুৎ বিলের সরকারি ব্যবসায়িক রেট সর্বোচ্চ ১০ টাকা বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা।
গত বৃহস্পতিবার দুপুরে পার্কে গিয়ে উদ্যোক্তা ও প্রকল্প ব্যবস্থাপনা কোম্পানি টেকসিটির কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পার্ক স্থাপনের শুরুতে উদ্যোক্তারা বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে জায়গা বরাদ্দ নেন। ওই চুক্তিতে পার্ক ব্যবস্থাপনার জন্য তৃতীয় কোনো কোম্পানিকে দায়িত্ব দেওয়া হবে—এমন কথা বলা নেই।
চুক্তিবদ্ধ হওয়ার পরই উদ্যোক্তারা জানতে পারেন টেকসিটি নামের একটি কোম্পানিকে পার্কের জায়গা বরাদ্দ দেওয়ার এখতিয়ারসহ ব্যবস্থাপনার পুরো দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। যে চুক্তির মাধ্যমে টেকসিটিকে দেখভালের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, সেই চুক্তিটিও অসম। কারণ, জনগণের টাকায় স্থাপিত পার্কের আয়ের মাত্র ১৮ শতাংশ পাচ্ছে সরকার, ৮২ শতাংশ নিচ্ছে টেকসিটি কর্তৃপক্ষ। অথচ শুরুতে এই পার্কে টেকসিটির কোনো বিনিয়োগই নেই।
পার্ক ঘুরে দেখা গেছে, ৪০টির মতো কোম্পানি বর্তমানে অপারেশনে রয়েছে। যদিও টেকসিটি কর্তৃপক্ষের দাবি, ৫৭টি কেম্পানি জায়গা বরাদ্দ নিয়ে কাজ করছে। এর মধ্যে মাত্র ১০টি কোম্পানি সফটওয়্যার তৈরি বা বিপণন নিয়ে কাজ করে। অবশিষ্ট কোম্পানিগুলো ই–কমার্স, কল সেন্টার, ইন্টারনেট সেবাদানকারী, ডিজিটাল মার্কেটিংসহ বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে টেকসিটির মহাব্যবস্থাপক (জেনারেল ম্যানেজার) শান্তনু চক্রবর্তী বলেন, ‘নীতিমালা অনুযায়ী তিন ধরনের প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে জায়গা বরাদ্দ দেওয়া হয়। সেগুলো হলো—তথ্য প্রযুক্তি, তথ্য প্রযুক্তির (ইএস) ওপরে নির্ভর করে এমন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বিপিও (বিজনেস প্রসেস আউট সোর্সিং)। বর্তমানে পার্কে ১০টি সফটওয়ার কোম্পানি রয়েছে।’
অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘উদ্যোক্তাদের কাছ থেকে কোনো বেশি ভাড়া বা বিদ্যুৎ বিল নেওয়া হয় না। চুক্তি অনুযায়ী প্রতি দুই বছর পর ভাড়া বৃদ্ধি করে এই পর্যায়ে এসেছে। আইটি পার্কের সমস্যা ও বিনিযোগকারীদের সব অভিযোগ বাংলাদেশ হাই–টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ জানে।’
হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ কোম্পানিগুলোর মেয়াদ শেষ হয়েছে চলতি বছরের ২৬ অক্টোবর। মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে ২৬টি কোম্পানি ব্যবসা গুটিয়ে পার্ক ছেড়ে চলে গেছে।
কেন ব্যবসায়ীরা চলে গেলেন, এমন প্রশ্নের জবাবে ব্যবসায়ীরা বলেন, দক্ষ জনশক্তির অভাবে ব্যবসা পরিচালনা করা সম্ভব হয়নি। তাছাড়া এই পার্কে যে ধরনের সুযোগ সুবিধা দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল, বাস্তবে তার কিছুই নেই। উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ইন্টারনেট সেবার একাধিক লাইন থাকার কথা ছিল, কিন্তু তা নেই। বিদ্যুৎ বিল মাত্রাতিরিক্ত। শহরের প্রাণকেন্দ্র থেকে বাইরে আইটি পার্ক স্থাপিত হলেও সেই তুলনায় ভাড়া বেশি।
বিনিয়োকারীরা জানান, এই পার্কে ৬০০–৭০০ মানুষের কর্মস্থান হয়েছে। তবে ছয় বছরের অধিক সময় চাকরিরত কর্মীর সংখ্যা ১৫০ জনের বেশি না। বেশির ভাগ কর্মী আসা-যাওয়ার মধ্যেই থাকেন। ই–কমার্স ও কল সেন্টারে বেশি কর্মী কাজ করেন। তাঁদের বেতন ১০ হাজারের নিচে। যে কারণে তিন থেকে ছয় মাসের বেশি ওই কর্মীরা টিকছে না। ফলে আইটি খাতের দক্ষ জনশক্তিও এখানে তৈরি হচ্ছে না।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন উদ্যোক্তা বলেন, পার্কের ক্যাফেটেরিয়া ভবনে আধুনিক সুযোগ সুবিধা সংবলিত মিলনায়তন রয়েছে। সেখানে প্রযুক্তিভিত্তিক কর্মশালা–সেমিনারের বদলে বিয়ে–বউ ভাতের অনুষ্ঠান বেশি হয়। যে কারণে পার্কের প্রযুক্তি ভিত্তিক পরিবেশ থাকছে না।
টেকসিটি সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের অত্যন্ত ৫০টি অনুষ্ঠান হয়েছে। এর মধ্যে বিয়ে–বউ ভাতের মতো অনুষ্ঠান, এছাড়া চাকরি মেলাসহ অন্যান্য অনুষ্ঠানও হয়েছে।
২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে সফটওয়্যার, অ্যানিমেশন, গ্রাফিক্স নিয়ে কাজ করার জন্য অ্যানিমেক্স অ্যানিমেশন স্টুডিও নামের একটি বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান পার্কটির ১৩ তলায় সাড়ে ৭শ বর্গফুট জায়গা নেয়। প্রায় সাড়ে তিন বছর পর ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রতিষ্ঠানটি লোকসানের কারণে জায়গা ছেড়ে দেয়। এই প্রতিষ্ঠান বর্তমানে যশোরের একটি ভাড়া বাড়িতে কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক শেখ মেহেদী হাসান শুভ বলেন, ‘পার্কটির প্রধান সমস্যা ভাড়া ও বিদ্যুৎ বিল। অযৌক্তিক বিল চাপিয়ে দিত। পার্কটিতে যে ভাড়া ও বিদ্যুৎ বিল নিয়ে কাজ করেছি; তারচেয়ে অনেক কম ভাড়া–বিলে শহরের যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ভালোভাবে কাজ করা যায়। আইটি পার্কটি বর্তমানে টিকে আছে বিভিন্ন কল সেন্টারে ওপর। ওখানে দু–একটি প্রতিষ্ঠান ছাড়া কেউ সফটওয়্যার ভিত্তিক কাজ করে না। পার্কটি সরকারের একটি নান্দনিক বিন্ডিং ছাড়া ওখানে কিছুই নাই।’
ফ্রিডম ফাইটার আইটির ডিজিএম মিকাইল হোসেন বলেন, ‘দেড় বছরের মতো কাজ করার পরে ঢাকাতে চলে যেতে হয়েছে। মূলত যে কাজে পার্কটি নির্মাণ করা হয়েছিল; সেটি ওখানে হয় না। ওখানে পরিবেশের কারণে ভালো কোনো ডেভেলপার যেতে চায় না। নেওয়ার আগে কর্তৃপক্ষ যেসব অঙ্গীকার করেছিল সেটি তারা রাখতে পারেনি। তাই দিনকে দিন লোকসানের মুখে পড়ে পার্কটি ছেড়ে যেতে হয়েছে।’
উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, পার্কের ভেতর সরকারি ডিজাস্টার রিকোভারি ডেটা সেন্টার নামের একটি স্থাপনা রয়েছে। ওই সেন্টারের বিদ্যুৎ বিল নিয়ে উদ্যোক্তাদের মধ্যে প্রশ্ন রয়েছে। উদ্যোক্তাদের অভিযোগ, ওই সেন্টারটির বিদ্যুৎ বিল উদ্যোক্তাদের ঘাড়ে চাপানো হয়।
এসব বিষয়ে পার্কটির ইনভেস্টর অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আহসান কবির বলেন, ‘শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কে তুলনামূলক ভাড়া বেশি। এছাড়া আমরা সর্বোচ্চ রেটে বিদ্যুৎ বিল দিয়ে থাকি। বিদ্যুৎ বিল কমানো বা বিলটা বিশেষ শিল্প জোনের আওতায় আনার জন্য পার্ক কর্তৃপক্ষকে বারবার জানানো হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘এটি দেশের প্রথম আইটি পার্ক। ফলে সবকিছুতেই মডেল হতে পারত এটি। কিন্তু সরকার এটিতে সেভাবে মনোযোগ দেয়নি। মনোযোগ দেয়নি বলেই সিলিকন ভ্যালির স্বপ্ন ম্লান হয়েছে। দেশের প্রথম আইটি পার্কের লক্ষ্য বাস্তবায়ন না হওয়াতে নতুন করে এই সেক্টরে বিমুখ হচ্ছে তরুণ উদ্যোক্তারা।’
টিকে থাকতে হোটেল–রিসোর্ট
দক্ষিণ–পশ্চিমাঞ্চলে আইসিটি শিল্পের বিকাশ ও উদ্যোক্তা সৃষ্টির উদ্দেশ্য নিয়ে, যশোর শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কের যাত্রা শুরু হয়। কিন্তু সেই মূল উদ্দেশ্য থেকে সরে গেছে পার্কটির দায়িত্বে থাকা কোম্পানি টেকসিটি। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের স্বার্থরক্ষা করতে গিয়ে পার্কটিতে চাকরি মেলা, বিয়ে–বৌভাতের মতো অনুষ্ঠান করছে।
লোকসান ঠেকাতে চলতি বছরের জানুয়ারিতে পার্কের তিন তারকা মানের ডরমিটরিটিতে চালু হয়েছে ‘হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট’। খান প্রোপার্টিস নামের একটি কোম্পানি ১০ বছরের চুক্তিতে এই হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট খুলেছে।
খান প্রোপার্টিসের প্রজেক্ট ম্যানেজার আল বাকি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যশোর একটি হাব। পার্কটিতে সুন্দর একটা বিল্ডিং থাকলেও, আধুনিক সুযোগ সুবিধা এখানে ছিল না। একই সঙ্গে ম্যানেজমেন্টটাও। ফলে এটা আমরা দায়িত্ব নিয়েছি। হাইটেক পার্কে ডরমিটরিটিতে এখন আমরা হোটেল ও রিসোর্ট করছি। পার্কের বিভিন্ন পরিবেশ ও পুকুরটি সংস্কার করে রিসোর্ট করা হয়েছে। আপাতত ১০ বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক অংশীদারির মাধ্যমে ব্যবসা পরিচালনা করা হবে।’
এ বিষয়ে টেকসিটির মহাব্যবস্থাপক (জিএম) শান্তনু চক্রবর্তী বলেন, ‘ডরমিটরিটি বাইরের লোকদের ৫ হাজার থেকে ১০ হাজার পর্যন্ত ভাড়া। কিন্তু এখানকার উদ্যোক্তাদের কাছে থেকে হাইটেকের নির্ধারিত ভাড়াই নেওয়া হয়। এছাড়া অডিটরিয়ামসহ সব সুবিধা পান উদ্যোক্তারা।’
তবে লক্ষ্য অনেকখানি অর্জিত হয়েছে বলে দাবি করেন বাংলাদেশ হাই–টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থাপনা পরিচালক জিএসএম জাফরুল্লাহ। হোয়াটসঅ্যাপে তিনি বলেন, ‘বর্তমানে পার্কটিতে ৫৯টি প্রতিষ্ঠানে প্রায় ২৫০০ জনের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া এখানে ১২টি স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। কাজেই বলা যায় সরকার যে লক্ষ্য নিয়ে এই পার্ক স্থাপন করেছে, বিগত ছয় বছরে তা অনেকাংশেই বাস্তবায়ন হয়েছে।’
তবে আইসিটি ইকোসিস্টেম পরিপূর্ণরূপে কার্যকর হতে আরও সময় লাগবে বলে জানান তিনি।
শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কের ভাড়া নিয়ে উদ্যোক্তাদের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে জাফরুল্লাহ বলেন, ‘এখানে মাসিক ভাড়া প্রতি বর্গফুটে মাত্র ১৬ টাকা এবং সার্ভিস চার্জ ৪ টাকা। এই ভাড়াকে কোনোভাবেই বেশি বলে মনে করে না কর্তৃপক্ষ। এছাড়া বিভিন্ন সময় উদ্যোক্তাদের ভাড়া মওকুফ করা হয়। সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য দেশে–বিদেশে তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এত কিছুর পরও ভাড়া বেশি বলার সুযোগ আছে বলে মনে হয় না। আর বিদ্যুৎ বিল হাই–টেক পার্ক নির্ধারণ করে না। বিদ্যুৎ বিভাগের নির্ধারিত বিল ব্যবহার অনুযায়ী কোম্পানিগুলোকে পরিশোধ করতে হয়।’

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, জামিনে মুক্তি পাওয়া আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা যদি কোনো অপরাধে জড়ান, তাহলে তাঁদের বিরুদ্ধে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১ ঘণ্টা আগে
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অধ্যাদেশ, ১৯৭৬-এর ২৯ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে ৬ নভেম্বর বৃহস্পতিবার থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে।
১ ঘণ্টা আগে
মাধবপুর উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের করড়া গ্রামে ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন রাজন মিয়া ও শাপলা আক্তার দম্পতি। দাম্পত্য জীবনে পরকীয়া সন্দেহ ও পারিবারিক বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো। এর জেরে গত সোমবার রাতে রাজন মিয়া তাঁর স্ত্রী শাপলা আক্তারকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন।
১ ঘণ্টা আগে
নাহিদ ইসলাম অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করে বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী আহত জুলাই যোদ্ধাদের সুচিকিৎসার দায়িত্ব এই অন্তর্বর্তী সরকারের থাকা সত্ত্বেও তারা সঠিকভাবে তা পালন করতে ব্যর্থ হয়েছে। এ জন্যই এখনো লাশের সারি বাড়ছে, মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে এবং শহীদের সংখ্যাও।
১ ঘণ্টা আগেগাজীপুর প্রতিনিধি

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, জামিনে মুক্তি পাওয়া আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা যদি কোনো অপরাধে জড়ান, তাহলে তাঁদের বিরুদ্ধে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রটানো গুজব প্রতিহত করতে সাংবাদিকদের সহযোগিতা চান তিনি। বুধবার (৫ নভেম্বর) সকালে গাজীপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
জামিনে মুক্তিপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগ নেতাদের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর যদি তারা কোনো অপকর্ম করে, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। কিন্তু জামিন দেওয়া তো আমাদের হাতে নেই। আদালত হলো স্বাধীন, তাঁরা তাদের জামিন দিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু জামিন দেওয়ার পরে সে যদি কোনো অপরাধ করে, তাহলে তাকে আমরা আইনের আওতায় আনব।’
নির্বাচনকে সামনে রেখে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব প্রতিরোধে সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করে উপদেষ্টা বলেন, ‘গণমাধ্যমের ভূমিকা প্রশংসনীয়। আপনাদের লেখালেখির কারণে গুজব অনেক কমেছে। পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে যে মিথ্যা রটনা রটায়, এসব প্রতিরোধের মেইন মাধ্যম হচ্ছেন আপনারা। আপনারা যদি সত্যি কথা পত্রিকায় লেখেন; যদি আপনারা বলেন যে পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে যেটা রটনা করা হয়েছে, সেটি মিথ্যা; তাহলে বেশি কার্যকর হয়।’ তিনি বলেন, ‘আপনারা এটি করে যাচ্ছেন। আমি আশা করব ভবিষ্যতেও করবেন। আপনারা যাঁরা ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় আছেন, আপনারা যদি সত্যি ঘটনাটা প্রচার করেন, তবে সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।’
উপদেষ্টা বলেন, গাজীপুর একটি শিল্পনগরী। এখানে প্রতিনিয়ত নানা ঘটনা ঘটে, মাদকেরও ব্যাপকতা রয়েছে। এসব সমস্যা সমাধানে আলোচনা হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আসন্ন নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সর্বোচ্চ প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রশাসনকে বলা হয়েছে নির্বাচন যেন ফ্রি, ফেয়ার, ক্রেডিবল ও উৎসবমুখর হয়। নির্বাচনে কোনো ধরনের হুমকি নেই।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আওয়ামী লীগের ঢাকা কর্মসূচি প্রতিহত করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘নির্বাচনের ক্ষেত্রে কতগুলো ফ্যাক্টর রয়েছে। এগুলোর মধ্যে আছে জনগণ। জনগণ যখন নির্বাচনমুখী হয়ে যাবে, সেই সময় অনেকে অনেক কিছু চিন্তা করলেও কিছু করতে পারবে না। তারপর আছে যাঁরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন তাঁরা; তাঁদেরও অনেক কাজ রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করার জন্য। তারপর রয়েছে নির্বাচন কমিশন; তাদের একটা বড় ধরনের কাজ রয়ে গেছে। তারপর আছে আমাদের প্রশাসন; তাদেরও বড় ধরনের একটি কাজ রয়েছে। তারপর আরেকটা আছে আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী; তাদের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব রয়েছে। অর্থাৎ নির্বাচন সফলভাবে সম্পন্ন করতে জনগণ, প্রার্থী, নির্বাচন কমিশন, প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী—সবার সমন্বিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। সবাই একসঙ্গে কাজ করলে কোনো বাধা থাকবে না।’
গাজীপুরে পুলিশের ঘাটতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটি সত্য, এখানে পুলিশের সংখ্যা কম। ইতিমধ্যে কিছু অতিরিক্ত পুলিশ দেওয়া হয়েছে এবং নির্বাচনকে সামনে রেখে আরও সদস্য যোগ করা হবে।
পার্শ্ববর্তী দেশে অবস্থানরত নেতাদের বিভিন্ন বক্তব্য সম্পর্কে প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘দুষ্কৃতকারীরা অনেক কিছু বলবে। দুষ্কৃতকারীরা যাতে কোনো ধরনের কার্যক্রম চালাতে না পারে, সে জন্য আমরা যত ধরনের ব্যবস্থা প্রয়োজন নেব। এ জন্য আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন।’
সভায় সভাপতিত্ব করেন গাজীপুরের জেলা প্রশাসক ড. নাফিসা আরেফিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. এমদাদ উল্লাহ মিয়ান। এ ছাড়াও ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সোহেল হাসান, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কমিশনার মো. জাহিদুল হাসান, গাজীপুর সেনাক্যাম্পের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল লুৎফর রহমান, গাজীপুরের পুলিশ সুপার চৌধুরী যাবের সাদেক এবং জেলার বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের প্রধানেরা উপস্থিত ছিলেন।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, জামিনে মুক্তি পাওয়া আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা যদি কোনো অপরাধে জড়ান, তাহলে তাঁদের বিরুদ্ধে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রটানো গুজব প্রতিহত করতে সাংবাদিকদের সহযোগিতা চান তিনি। বুধবার (৫ নভেম্বর) সকালে গাজীপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
জামিনে মুক্তিপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগ নেতাদের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর যদি তারা কোনো অপকর্ম করে, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। কিন্তু জামিন দেওয়া তো আমাদের হাতে নেই। আদালত হলো স্বাধীন, তাঁরা তাদের জামিন দিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু জামিন দেওয়ার পরে সে যদি কোনো অপরাধ করে, তাহলে তাকে আমরা আইনের আওতায় আনব।’
নির্বাচনকে সামনে রেখে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব প্রতিরোধে সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করে উপদেষ্টা বলেন, ‘গণমাধ্যমের ভূমিকা প্রশংসনীয়। আপনাদের লেখালেখির কারণে গুজব অনেক কমেছে। পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে যে মিথ্যা রটনা রটায়, এসব প্রতিরোধের মেইন মাধ্যম হচ্ছেন আপনারা। আপনারা যদি সত্যি কথা পত্রিকায় লেখেন; যদি আপনারা বলেন যে পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে যেটা রটনা করা হয়েছে, সেটি মিথ্যা; তাহলে বেশি কার্যকর হয়।’ তিনি বলেন, ‘আপনারা এটি করে যাচ্ছেন। আমি আশা করব ভবিষ্যতেও করবেন। আপনারা যাঁরা ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় আছেন, আপনারা যদি সত্যি ঘটনাটা প্রচার করেন, তবে সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।’
উপদেষ্টা বলেন, গাজীপুর একটি শিল্পনগরী। এখানে প্রতিনিয়ত নানা ঘটনা ঘটে, মাদকেরও ব্যাপকতা রয়েছে। এসব সমস্যা সমাধানে আলোচনা হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আসন্ন নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সর্বোচ্চ প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রশাসনকে বলা হয়েছে নির্বাচন যেন ফ্রি, ফেয়ার, ক্রেডিবল ও উৎসবমুখর হয়। নির্বাচনে কোনো ধরনের হুমকি নেই।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আওয়ামী লীগের ঢাকা কর্মসূচি প্রতিহত করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘নির্বাচনের ক্ষেত্রে কতগুলো ফ্যাক্টর রয়েছে। এগুলোর মধ্যে আছে জনগণ। জনগণ যখন নির্বাচনমুখী হয়ে যাবে, সেই সময় অনেকে অনেক কিছু চিন্তা করলেও কিছু করতে পারবে না। তারপর আছে যাঁরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন তাঁরা; তাঁদেরও অনেক কাজ রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করার জন্য। তারপর রয়েছে নির্বাচন কমিশন; তাদের একটা বড় ধরনের কাজ রয়ে গেছে। তারপর আছে আমাদের প্রশাসন; তাদেরও বড় ধরনের একটি কাজ রয়েছে। তারপর আরেকটা আছে আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী; তাদের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব রয়েছে। অর্থাৎ নির্বাচন সফলভাবে সম্পন্ন করতে জনগণ, প্রার্থী, নির্বাচন কমিশন, প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী—সবার সমন্বিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। সবাই একসঙ্গে কাজ করলে কোনো বাধা থাকবে না।’
গাজীপুরে পুলিশের ঘাটতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটি সত্য, এখানে পুলিশের সংখ্যা কম। ইতিমধ্যে কিছু অতিরিক্ত পুলিশ দেওয়া হয়েছে এবং নির্বাচনকে সামনে রেখে আরও সদস্য যোগ করা হবে।
পার্শ্ববর্তী দেশে অবস্থানরত নেতাদের বিভিন্ন বক্তব্য সম্পর্কে প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘দুষ্কৃতকারীরা অনেক কিছু বলবে। দুষ্কৃতকারীরা যাতে কোনো ধরনের কার্যক্রম চালাতে না পারে, সে জন্য আমরা যত ধরনের ব্যবস্থা প্রয়োজন নেব। এ জন্য আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন।’
সভায় সভাপতিত্ব করেন গাজীপুরের জেলা প্রশাসক ড. নাফিসা আরেফিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. এমদাদ উল্লাহ মিয়ান। এ ছাড়াও ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সোহেল হাসান, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কমিশনার মো. জাহিদুল হাসান, গাজীপুর সেনাক্যাম্পের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল লুৎফর রহমান, গাজীপুরের পুলিশ সুপার চৌধুরী যাবের সাদেক এবং জেলার বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের প্রধানেরা উপস্থিত ছিলেন।

যশোরের শেখ হাসিনা সফটওয়ার টেকনোলজি পার্ক উদ্বোধনের ছয় বছর পূর্ণ হচ্ছে আগামীকাল রোববার। একটিমাত্র বিদেশি কোম্পানি এই পার্কে জায়গা বরাদ্দ নিলেও দুবছর আগে সেটিও পার্ক ছেড়ে চলে গেছে। এমনকি বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে প্রথমদিকে চুক্তিবদ্ধ ৩৩টির মধ্যে ২৬টি কোম্পানি পার্ক ছেড়ে চলে গেছে। অবশিষ্ট
০৯ ডিসেম্বর ২০২৩
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অধ্যাদেশ, ১৯৭৬-এর ২৯ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে ৬ নভেম্বর বৃহস্পতিবার থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে।
১ ঘণ্টা আগে
মাধবপুর উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের করড়া গ্রামে ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন রাজন মিয়া ও শাপলা আক্তার দম্পতি। দাম্পত্য জীবনে পরকীয়া সন্দেহ ও পারিবারিক বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো। এর জেরে গত সোমবার রাতে রাজন মিয়া তাঁর স্ত্রী শাপলা আক্তারকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন।
১ ঘণ্টা আগে
নাহিদ ইসলাম অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করে বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী আহত জুলাই যোদ্ধাদের সুচিকিৎসার দায়িত্ব এই অন্তর্বর্তী সরকারের থাকা সত্ত্বেও তারা সঠিকভাবে তা পালন করতে ব্যর্থ হয়েছে। এ জন্যই এখনো লাশের সারি বাড়ছে, মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে এবং শহীদের সংখ্যাও।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনা ও সচিবালয় এলাকায় সব ধরনের সভা-সমাবেশ, মিছিল, গণজমায়েত, মানববন্ধন, ধর্মঘটসহ শোভাযাত্রা আবারও নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
আজ বুধবার দুপুরে ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এই নির্দেশনা জারি করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অধ্যাদেশ, ১৯৭৬-এর ২৯ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে ৬ নভেম্বর বৃহস্পতিবার থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে।
ডিএমপির গণবিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, বাংলাদেশ সচিবালয় ও এর সংলগ্ন এলাকা, প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনা এবং পার্শ্ববর্তী এলাকা, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল এলাকা, কারওয়ান বাজার, মৎস্য ভবন, অফিসার্স ক্লাব ও মিন্টো রোড-সংলগ্ন এলাকায় কোনো ধরনের সভা, সমাবেশ, মিছিল, মানববন্ধন, অবস্থান ধর্মঘট বা শোভাযাত্রা করা যাবে না।
নিরাপত্তাজনিত কারণে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনা ও সচিবালয় এলাকায় সব ধরনের সভা-সমাবেশ, মিছিল, গণজমায়েত, মানববন্ধন, ধর্মঘটসহ শোভাযাত্রা আবারও নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
আজ বুধবার দুপুরে ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এই নির্দেশনা জারি করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অধ্যাদেশ, ১৯৭৬-এর ২৯ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে ৬ নভেম্বর বৃহস্পতিবার থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে।
ডিএমপির গণবিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, বাংলাদেশ সচিবালয় ও এর সংলগ্ন এলাকা, প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনা এবং পার্শ্ববর্তী এলাকা, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল এলাকা, কারওয়ান বাজার, মৎস্য ভবন, অফিসার্স ক্লাব ও মিন্টো রোড-সংলগ্ন এলাকায় কোনো ধরনের সভা, সমাবেশ, মিছিল, মানববন্ধন, অবস্থান ধর্মঘট বা শোভাযাত্রা করা যাবে না।
নিরাপত্তাজনিত কারণে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

যশোরের শেখ হাসিনা সফটওয়ার টেকনোলজি পার্ক উদ্বোধনের ছয় বছর পূর্ণ হচ্ছে আগামীকাল রোববার। একটিমাত্র বিদেশি কোম্পানি এই পার্কে জায়গা বরাদ্দ নিলেও দুবছর আগে সেটিও পার্ক ছেড়ে চলে গেছে। এমনকি বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে প্রথমদিকে চুক্তিবদ্ধ ৩৩টির মধ্যে ২৬টি কোম্পানি পার্ক ছেড়ে চলে গেছে। অবশিষ্ট
০৯ ডিসেম্বর ২০২৩
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, জামিনে মুক্তি পাওয়া আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা যদি কোনো অপরাধে জড়ান, তাহলে তাঁদের বিরুদ্ধে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১ ঘণ্টা আগে
মাধবপুর উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের করড়া গ্রামে ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন রাজন মিয়া ও শাপলা আক্তার দম্পতি। দাম্পত্য জীবনে পরকীয়া সন্দেহ ও পারিবারিক বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো। এর জেরে গত সোমবার রাতে রাজন মিয়া তাঁর স্ত্রী শাপলা আক্তারকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন।
১ ঘণ্টা আগে
নাহিদ ইসলাম অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করে বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী আহত জুলাই যোদ্ধাদের সুচিকিৎসার দায়িত্ব এই অন্তর্বর্তী সরকারের থাকা সত্ত্বেও তারা সঠিকভাবে তা পালন করতে ব্যর্থ হয়েছে। এ জন্যই এখনো লাশের সারি বাড়ছে, মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে এবং শহীদের সংখ্যাও।
১ ঘণ্টা আগেহবিগঞ্জ প্রতিনিধি

হবিগঞ্জের মাধবপুরে পরকীয়া সন্দেহে স্ত্রীকে হত্যা করে আদালতে গিয়ে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন স্বামী। মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। এর আগে একই দিন সকালে অভিযুক্ত স্বামী রাজন আদালতে গিয়ে হত্যার দায় স্বীকার করেন। নিহত নারী শাপলা আক্তার (২৫)। নবীগঞ্জ উপজেলার সাতাহাইল এলাকার রাজন মিয়ার স্ত্রী। দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসার কাজে মাধবপুর থানার করড়া গ্রামে বসবাস করছিলেন ওই দম্পতি।
পুলিশ জানায়, মাধবপুর উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের করড়া গ্রামে ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন রাজন মিয়া ও শাপলা আক্তার দম্পতি। দাম্পত্য জীবনে পরকীয়া সন্দেহ ও পারিবারিক বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো। এর জেরে গত সোমবার রাতে রাজন মিয়া তাঁর স্ত্রী শাপলা আক্তারকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। হত্যার পর মরদেহ পাশের একটি বালুর স্তূপে লুকিয়ে রাখেন।
পরদিন সকালে মঙ্গলবার রাজন নিজেই আদালতে উপস্থিত হয়ে হত্যার দায় স্বীকার করেন। আদালত তাৎক্ষণিকভাবে রাজনের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে মাধবপুর থানা-পুলিশকে ঘটনাস্থলে তদন্তের নির্দেশ দেন। পরে সন্ধ্যায় মাধবপুর থানা-পুলিশ করড়া গ্রামের ওই বালুর স্তূপ থেকে শাপলা আক্তারের মরদেহ উদ্ধার করে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হওয়ার পর রাজন মিয়াকে আটক করা হয়।
এ বিষয়ে মাধবপুর থানার ওসি শহিদ উল্ল্যা বলেন, লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

হবিগঞ্জের মাধবপুরে পরকীয়া সন্দেহে স্ত্রীকে হত্যা করে আদালতে গিয়ে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন স্বামী। মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। এর আগে একই দিন সকালে অভিযুক্ত স্বামী রাজন আদালতে গিয়ে হত্যার দায় স্বীকার করেন। নিহত নারী শাপলা আক্তার (২৫)। নবীগঞ্জ উপজেলার সাতাহাইল এলাকার রাজন মিয়ার স্ত্রী। দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসার কাজে মাধবপুর থানার করড়া গ্রামে বসবাস করছিলেন ওই দম্পতি।
পুলিশ জানায়, মাধবপুর উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের করড়া গ্রামে ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন রাজন মিয়া ও শাপলা আক্তার দম্পতি। দাম্পত্য জীবনে পরকীয়া সন্দেহ ও পারিবারিক বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো। এর জেরে গত সোমবার রাতে রাজন মিয়া তাঁর স্ত্রী শাপলা আক্তারকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। হত্যার পর মরদেহ পাশের একটি বালুর স্তূপে লুকিয়ে রাখেন।
পরদিন সকালে মঙ্গলবার রাজন নিজেই আদালতে উপস্থিত হয়ে হত্যার দায় স্বীকার করেন। আদালত তাৎক্ষণিকভাবে রাজনের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে মাধবপুর থানা-পুলিশকে ঘটনাস্থলে তদন্তের নির্দেশ দেন। পরে সন্ধ্যায় মাধবপুর থানা-পুলিশ করড়া গ্রামের ওই বালুর স্তূপ থেকে শাপলা আক্তারের মরদেহ উদ্ধার করে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হওয়ার পর রাজন মিয়াকে আটক করা হয়।
এ বিষয়ে মাধবপুর থানার ওসি শহিদ উল্ল্যা বলেন, লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

যশোরের শেখ হাসিনা সফটওয়ার টেকনোলজি পার্ক উদ্বোধনের ছয় বছর পূর্ণ হচ্ছে আগামীকাল রোববার। একটিমাত্র বিদেশি কোম্পানি এই পার্কে জায়গা বরাদ্দ নিলেও দুবছর আগে সেটিও পার্ক ছেড়ে চলে গেছে। এমনকি বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে প্রথমদিকে চুক্তিবদ্ধ ৩৩টির মধ্যে ২৬টি কোম্পানি পার্ক ছেড়ে চলে গেছে। অবশিষ্ট
০৯ ডিসেম্বর ২০২৩
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, জামিনে মুক্তি পাওয়া আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা যদি কোনো অপরাধে জড়ান, তাহলে তাঁদের বিরুদ্ধে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১ ঘণ্টা আগে
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অধ্যাদেশ, ১৯৭৬-এর ২৯ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে ৬ নভেম্বর বৃহস্পতিবার থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে।
১ ঘণ্টা আগে
নাহিদ ইসলাম অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করে বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী আহত জুলাই যোদ্ধাদের সুচিকিৎসার দায়িত্ব এই অন্তর্বর্তী সরকারের থাকা সত্ত্বেও তারা সঠিকভাবে তা পালন করতে ব্যর্থ হয়েছে। এ জন্যই এখনো লাশের সারি বাড়ছে, মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে এবং শহীদের সংখ্যাও।
১ ঘণ্টা আগেপ্রতিনিধি, (সিদ্ধিরগঞ্জ) নারায়ণগঞ্জ

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘জুলাই যোদ্ধা গাজী সালাউদ্দিন ভাই মৃত্যুর কয়েক দিন আগে স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মীদের দ্বারা হেনস্তার শিকার হয়েছিলেন। এতেই বোঝা যায়, বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় থাকা “জুলাই যোদ্ধাদের” সবারই নিরাপত্তা সংকট রয়েছে।’
বুধবার (৫ অক্টোবর) বেলা ১১টায় সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইল এলাকায় জুলাই যোদ্ধা সালাউদ্দিনের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে গণমাধ্যমকে তিনি এসব কথা বলেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি ওই সব মানুষের (জুলাই যোদ্ধা) পাশে আছে। তবে শুধু আমরাই নই, সরকার এবং সকল রাজনৈতিক দলের এই দায়িত্ব কাঁধে নিতে হবে। কারণ, এই মানুষগুলোর লড়াইয়ের ফলেই আমরা সফল হয়েছি এবং ফ্যাসিবাদকে বিতাড়িত করেছি।’
নাহিদ ইসলাম অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করে বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী আহত জুলাই যোদ্ধাদের সুচিকিৎসার দায়িত্ব এই অন্তর্বর্তী সরকারের থাকা সত্ত্বেও তারা সঠিকভাবে তা পালন করতে ব্যর্থ হয়েছে। এ জন্যই এখনো লাশের সারি বাড়ছে, মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে এবং শহীদের সংখ্যাও। গাজী সালাউদ্দিন ভাইও তাঁদের একজন। আমরা তাঁকে হারিয়েছি।’
নাহিদ ইসলাম সরকারের প্রতি দৃঢ় আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আমাদের যেসব আহত যোদ্ধা রয়েছেন, যাঁরা এখনো কাতরাচ্ছেন, তাঁদের সর্বাত্মক দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা যেন নিশ্চিত করা হয়, শুধু সাময়িক চিকিৎসা নয়।’
নির্বাচনী ডামাডোলের মধ্যে আহত ও শহীদদের ভুলে না যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে এনসিপির প্রধান বলেন, ‘সরকারের পক্ষ থেকে তাঁদের (আহত যোদ্ধা) যে স্বাস্থ্য সুবিধার কথা বলা হয়েছে, সেটা নিয়েও অনেক অভিযোগ আছে।’
নির্বাচন সম্পর্কে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা স্পষ্টভাবে বলেছি যে আমরা এককভাবে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি এবং আমাদের লক্ষ্য ৩০০ আসন। তবে গণতন্ত্র রক্ষার লড়াইয়ে অগ্রণী ভূমিকা রাখায় খালেদা জিয়ার সম্মানে আমরা তাঁর কোনো আসনে প্রার্থী দেব না। এ ছাড়া আমরা সকল আসনেই শাপলা কলি মার্কার প্রার্থী দেব। আমরা বাংলাদেশের মানুষকে আহ্বান করেছি যে যারা গডফাদারগিরি করে, তারাই নির্বাচনে দাঁড়ায়—এই সংস্কৃতিকে আমরা চ্যালেঞ্জ করতে চাই। একজন এলাকার সাধারণ মানুষ, গ্রহণযোগ্য মানুষ, যাকে মানুষ কাছে পাবে এবং শিক্ষকদের আমরা জনপ্রতিনিধি হিসেবে সংসদে দেখতে চাই।’
বক্তব্য শেষে নাহিদ ইসলাম গাজী সালাউদ্দিনের কবর জিয়ারত করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্যসচিব আব্দুল্লাহ আল-আমীন, কেন্দ্রীয় সংগঠক শওকত আলী, কেন্দ্রীয় সদস্য আহমেদুর রহমান তনু, জাতীয় যুবশক্তির কেন্দ্রীয় সিনিয়র সহসভাপতি তুহিন খান প্রমুখ।

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘জুলাই যোদ্ধা গাজী সালাউদ্দিন ভাই মৃত্যুর কয়েক দিন আগে স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মীদের দ্বারা হেনস্তার শিকার হয়েছিলেন। এতেই বোঝা যায়, বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় থাকা “জুলাই যোদ্ধাদের” সবারই নিরাপত্তা সংকট রয়েছে।’
বুধবার (৫ অক্টোবর) বেলা ১১টায় সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইল এলাকায় জুলাই যোদ্ধা সালাউদ্দিনের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে গণমাধ্যমকে তিনি এসব কথা বলেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি ওই সব মানুষের (জুলাই যোদ্ধা) পাশে আছে। তবে শুধু আমরাই নই, সরকার এবং সকল রাজনৈতিক দলের এই দায়িত্ব কাঁধে নিতে হবে। কারণ, এই মানুষগুলোর লড়াইয়ের ফলেই আমরা সফল হয়েছি এবং ফ্যাসিবাদকে বিতাড়িত করেছি।’
নাহিদ ইসলাম অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করে বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী আহত জুলাই যোদ্ধাদের সুচিকিৎসার দায়িত্ব এই অন্তর্বর্তী সরকারের থাকা সত্ত্বেও তারা সঠিকভাবে তা পালন করতে ব্যর্থ হয়েছে। এ জন্যই এখনো লাশের সারি বাড়ছে, মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে এবং শহীদের সংখ্যাও। গাজী সালাউদ্দিন ভাইও তাঁদের একজন। আমরা তাঁকে হারিয়েছি।’
নাহিদ ইসলাম সরকারের প্রতি দৃঢ় আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আমাদের যেসব আহত যোদ্ধা রয়েছেন, যাঁরা এখনো কাতরাচ্ছেন, তাঁদের সর্বাত্মক দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা যেন নিশ্চিত করা হয়, শুধু সাময়িক চিকিৎসা নয়।’
নির্বাচনী ডামাডোলের মধ্যে আহত ও শহীদদের ভুলে না যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে এনসিপির প্রধান বলেন, ‘সরকারের পক্ষ থেকে তাঁদের (আহত যোদ্ধা) যে স্বাস্থ্য সুবিধার কথা বলা হয়েছে, সেটা নিয়েও অনেক অভিযোগ আছে।’
নির্বাচন সম্পর্কে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা স্পষ্টভাবে বলেছি যে আমরা এককভাবে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি এবং আমাদের লক্ষ্য ৩০০ আসন। তবে গণতন্ত্র রক্ষার লড়াইয়ে অগ্রণী ভূমিকা রাখায় খালেদা জিয়ার সম্মানে আমরা তাঁর কোনো আসনে প্রার্থী দেব না। এ ছাড়া আমরা সকল আসনেই শাপলা কলি মার্কার প্রার্থী দেব। আমরা বাংলাদেশের মানুষকে আহ্বান করেছি যে যারা গডফাদারগিরি করে, তারাই নির্বাচনে দাঁড়ায়—এই সংস্কৃতিকে আমরা চ্যালেঞ্জ করতে চাই। একজন এলাকার সাধারণ মানুষ, গ্রহণযোগ্য মানুষ, যাকে মানুষ কাছে পাবে এবং শিক্ষকদের আমরা জনপ্রতিনিধি হিসেবে সংসদে দেখতে চাই।’
বক্তব্য শেষে নাহিদ ইসলাম গাজী সালাউদ্দিনের কবর জিয়ারত করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্যসচিব আব্দুল্লাহ আল-আমীন, কেন্দ্রীয় সংগঠক শওকত আলী, কেন্দ্রীয় সদস্য আহমেদুর রহমান তনু, জাতীয় যুবশক্তির কেন্দ্রীয় সিনিয়র সহসভাপতি তুহিন খান প্রমুখ।

যশোরের শেখ হাসিনা সফটওয়ার টেকনোলজি পার্ক উদ্বোধনের ছয় বছর পূর্ণ হচ্ছে আগামীকাল রোববার। একটিমাত্র বিদেশি কোম্পানি এই পার্কে জায়গা বরাদ্দ নিলেও দুবছর আগে সেটিও পার্ক ছেড়ে চলে গেছে। এমনকি বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে প্রথমদিকে চুক্তিবদ্ধ ৩৩টির মধ্যে ২৬টি কোম্পানি পার্ক ছেড়ে চলে গেছে। অবশিষ্ট
০৯ ডিসেম্বর ২০২৩
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, জামিনে মুক্তি পাওয়া আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা যদি কোনো অপরাধে জড়ান, তাহলে তাঁদের বিরুদ্ধে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১ ঘণ্টা আগে
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অধ্যাদেশ, ১৯৭৬-এর ২৯ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে ৬ নভেম্বর বৃহস্পতিবার থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে।
১ ঘণ্টা আগে
মাধবপুর উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের করড়া গ্রামে ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন রাজন মিয়া ও শাপলা আক্তার দম্পতি। দাম্পত্য জীবনে পরকীয়া সন্দেহ ও পারিবারিক বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো। এর জেরে গত সোমবার রাতে রাজন মিয়া তাঁর স্ত্রী শাপলা আক্তারকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন।
১ ঘণ্টা আগে