যশোর প্রতিনিধি

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘আমরা সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন একসঙ্গে চাই। বিচার সংস্কার ছাড়া বাংলার জনগণ নির্বাচন মেনে নিবে না। যারা বিচার সংস্কার ছাড়া নির্বাচন চায়, তারাই নির্বাচনকে পিছিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। নির্বাচন ও ভোটাধিকারের পক্ষে সত্যিকারের লড়াই করে যাচ্ছে জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতৃত্ব। আমরা স্বাধীনতা এনেছি, আমরা সংস্কার আনব। আমরা আমাদের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করব।’
আজ শুক্রবার বিকেলে যশোর শহরের জিরো পয়েন্টে এনসিপির জুলাই পদযাত্রার পথসভায় নাহিদ ইসলাম এসব কথা বলেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫৪ বছরে দেশের রাষ্ট্রীয় ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে দাঁড়াতে দেওয়া হয়নি। সব প্রতিষ্ঠানকে দলীয়করণ করা হয়েছে। আমরা এই প্রতিষ্ঠানগুলোকে দলীয়করণ করতে দিব না। আমরা চাই, পুলিশ নিরপেক্ষভাবে জনগণের পক্ষে কাজ করবে। পুলিশ কোনো দলের অনুসারী হবে না। সরকারি দলের অনুসারীও হবে না। আমরা চাই, আমলাতন্ত্র প্রশাসন কোনো দলের অনুসারী হবে না। কোনো সরকারি দলের নেতার ওপর নির্ভর করবে না। তাদের মেধা ও যোগ্যতা অনুযায়ী প্রমোশন নির্ভর করবে। আমরা চাই, বাংলাদেশের সেনাবাহিনী বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় গণপ্রতিরক্ষাব্যবস্থা জোরদার করবে। আমরা চাই না সেনাবাহিনীর অফিসারেরা গুমের সঙ্গে জড়িত হোক। আমরা চাই না সেনাবাহিনীর মতো প্রতিষ্ঠানকে তারা কলঙ্ককরণ করবে। আমরা এই কলঙ্ক দূর করতে চাই। আমরা ইনসাফভিত্তিক কল্যাণকর রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করব।’
এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘কোনো দুর্নীতিবাজ, দখলবাজকে ভয় পাবেন না। একটি রাজনৈতিক দল দাবি করে কোটি কোটি মানুষের দল নাকি তাদের। এই কোটি কোটি, লক্ষ লক্ষ মানুষ আমাদের দেখায়েন না। আমরা ফ্যাসিবাদের আমলে দেখেছি কত মানুষ ছিল তাদের। সেই মানুষেরা কত আন্দোলন গড়ে তুলেছিল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা ১০ জন মানুষ দাঁড়িয়েছিলাম। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আপনারা ১০ জন, ২০ জন, ১০০ জন মানুষ নিয়েই আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন। হাজার হাজার, লক্ষ লক্ষ মানুষ আবাবিল পাখির মতো আমাদের সঙ্গে রাজপথে দাঁড়িয়েছিল। ফলে মানুষের হিসাব আমাদের দেখিয়েন না। যদি নৈতিকতার সঙ্গে থাকেন, ইনসাফের সঙ্গে থাকেন, তাহলে একজন মানুষ লক্ষ মানুষের সমান শক্তিশালী হয়ে যান। ইনশা আল্লাহ, আমরা সেই একজন মানুষ হতে চাই। আমরা দায় ও দরদের ইনসাফভিত্তিক একটি রাষ্ট্র গড়তে চাই। যারা ইনসাফের পক্ষে দাঁড়াবে, ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়াবে, যারা দুর্নীতির বিরুদ্ধে দাঁড়াবে, তেমন রাষ্ট্র চাই। যেখানে সমাজের সকল ধরনের মানুষের সমান হক নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।’
যশোর জেলার দীর্ঘদিনের সমস্যা তুলে ধরে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘যশোরের স্বাস্থ্যব্যবস্থার উন্নয়ন হয়নি। যশোর জেনারেল হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটের পূর্ণাঙ্গ চালু হয়নি। সেখানে আইসিইউ চালু হয়নি। যশোরের মানুষকে খুলনায় যেতে হয় চিকিৎসার জন্য। আমরা চাই, যশোরের মানুষ যশোরেই সেবা পাবে। আমরা চাই, যশোরের মানুষ যশোরেই শিক্ষা পাবে। আমরা ভবদহ এলাকার জলাবদ্ধতার কথা জানি। দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতা সমস্যায় মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে। সেই সমস্যার কথা জানি। এই সমস্যা দূর করার দায়িত্ব নিতে হবে জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতৃবৃন্দকে। আমরা বেনাপোলের দুর্নীতি, মাদক কারবারের কথা জানি। দুর্নীতি ও মাদকের বিরুদ্ধে তরুণ, ছাত্র-জনতাকে দাঁড়াতে হবে। গণ-অভ্যুত্থানে যেমন আপনারা আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন, তেমনি যশোরসহ সারা দেশের মানুষের সমস্যায় পাশে দাঁড়াতে হবে।’
এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলমের সঞ্চালনায় পথসভায় বক্তব্য দেন দলের সদস্যসচিব আখতার হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, কেন্দ্রীয় সদস্য খালিদ সাইফুল্লাহ জুয়েলসহ কেন্দ্রীয় ও জেলা নেতারা।
এর আগে আজ দুপুরে যশোর শহরের একটি হোটেলের কনফারেন্স রুমে মতবিনিময় সভার আয়োজন করে এনসিপি যশোর জেলা শাখা। সভায় বক্তব্য দেন এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নুসরাত তাবাসসুম ও তাসনিম জারা এবং অন্য কেন্দ্রীয় নেতারা।

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘আমরা সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন একসঙ্গে চাই। বিচার সংস্কার ছাড়া বাংলার জনগণ নির্বাচন মেনে নিবে না। যারা বিচার সংস্কার ছাড়া নির্বাচন চায়, তারাই নির্বাচনকে পিছিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। নির্বাচন ও ভোটাধিকারের পক্ষে সত্যিকারের লড়াই করে যাচ্ছে জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতৃত্ব। আমরা স্বাধীনতা এনেছি, আমরা সংস্কার আনব। আমরা আমাদের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করব।’
আজ শুক্রবার বিকেলে যশোর শহরের জিরো পয়েন্টে এনসিপির জুলাই পদযাত্রার পথসভায় নাহিদ ইসলাম এসব কথা বলেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫৪ বছরে দেশের রাষ্ট্রীয় ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে দাঁড়াতে দেওয়া হয়নি। সব প্রতিষ্ঠানকে দলীয়করণ করা হয়েছে। আমরা এই প্রতিষ্ঠানগুলোকে দলীয়করণ করতে দিব না। আমরা চাই, পুলিশ নিরপেক্ষভাবে জনগণের পক্ষে কাজ করবে। পুলিশ কোনো দলের অনুসারী হবে না। সরকারি দলের অনুসারীও হবে না। আমরা চাই, আমলাতন্ত্র প্রশাসন কোনো দলের অনুসারী হবে না। কোনো সরকারি দলের নেতার ওপর নির্ভর করবে না। তাদের মেধা ও যোগ্যতা অনুযায়ী প্রমোশন নির্ভর করবে। আমরা চাই, বাংলাদেশের সেনাবাহিনী বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় গণপ্রতিরক্ষাব্যবস্থা জোরদার করবে। আমরা চাই না সেনাবাহিনীর অফিসারেরা গুমের সঙ্গে জড়িত হোক। আমরা চাই না সেনাবাহিনীর মতো প্রতিষ্ঠানকে তারা কলঙ্ককরণ করবে। আমরা এই কলঙ্ক দূর করতে চাই। আমরা ইনসাফভিত্তিক কল্যাণকর রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করব।’
এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘কোনো দুর্নীতিবাজ, দখলবাজকে ভয় পাবেন না। একটি রাজনৈতিক দল দাবি করে কোটি কোটি মানুষের দল নাকি তাদের। এই কোটি কোটি, লক্ষ লক্ষ মানুষ আমাদের দেখায়েন না। আমরা ফ্যাসিবাদের আমলে দেখেছি কত মানুষ ছিল তাদের। সেই মানুষেরা কত আন্দোলন গড়ে তুলেছিল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা ১০ জন মানুষ দাঁড়িয়েছিলাম। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আপনারা ১০ জন, ২০ জন, ১০০ জন মানুষ নিয়েই আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন। হাজার হাজার, লক্ষ লক্ষ মানুষ আবাবিল পাখির মতো আমাদের সঙ্গে রাজপথে দাঁড়িয়েছিল। ফলে মানুষের হিসাব আমাদের দেখিয়েন না। যদি নৈতিকতার সঙ্গে থাকেন, ইনসাফের সঙ্গে থাকেন, তাহলে একজন মানুষ লক্ষ মানুষের সমান শক্তিশালী হয়ে যান। ইনশা আল্লাহ, আমরা সেই একজন মানুষ হতে চাই। আমরা দায় ও দরদের ইনসাফভিত্তিক একটি রাষ্ট্র গড়তে চাই। যারা ইনসাফের পক্ষে দাঁড়াবে, ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়াবে, যারা দুর্নীতির বিরুদ্ধে দাঁড়াবে, তেমন রাষ্ট্র চাই। যেখানে সমাজের সকল ধরনের মানুষের সমান হক নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।’
যশোর জেলার দীর্ঘদিনের সমস্যা তুলে ধরে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘যশোরের স্বাস্থ্যব্যবস্থার উন্নয়ন হয়নি। যশোর জেনারেল হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটের পূর্ণাঙ্গ চালু হয়নি। সেখানে আইসিইউ চালু হয়নি। যশোরের মানুষকে খুলনায় যেতে হয় চিকিৎসার জন্য। আমরা চাই, যশোরের মানুষ যশোরেই সেবা পাবে। আমরা চাই, যশোরের মানুষ যশোরেই শিক্ষা পাবে। আমরা ভবদহ এলাকার জলাবদ্ধতার কথা জানি। দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতা সমস্যায় মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে। সেই সমস্যার কথা জানি। এই সমস্যা দূর করার দায়িত্ব নিতে হবে জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতৃবৃন্দকে। আমরা বেনাপোলের দুর্নীতি, মাদক কারবারের কথা জানি। দুর্নীতি ও মাদকের বিরুদ্ধে তরুণ, ছাত্র-জনতাকে দাঁড়াতে হবে। গণ-অভ্যুত্থানে যেমন আপনারা আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন, তেমনি যশোরসহ সারা দেশের মানুষের সমস্যায় পাশে দাঁড়াতে হবে।’
এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলমের সঞ্চালনায় পথসভায় বক্তব্য দেন দলের সদস্যসচিব আখতার হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, কেন্দ্রীয় সদস্য খালিদ সাইফুল্লাহ জুয়েলসহ কেন্দ্রীয় ও জেলা নেতারা।
এর আগে আজ দুপুরে যশোর শহরের একটি হোটেলের কনফারেন্স রুমে মতবিনিময় সভার আয়োজন করে এনসিপি যশোর জেলা শাখা। সভায় বক্তব্য দেন এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নুসরাত তাবাসসুম ও তাসনিম জারা এবং অন্য কেন্দ্রীয় নেতারা।
যশোর প্রতিনিধি

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘আমরা সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন একসঙ্গে চাই। বিচার সংস্কার ছাড়া বাংলার জনগণ নির্বাচন মেনে নিবে না। যারা বিচার সংস্কার ছাড়া নির্বাচন চায়, তারাই নির্বাচনকে পিছিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। নির্বাচন ও ভোটাধিকারের পক্ষে সত্যিকারের লড়াই করে যাচ্ছে জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতৃত্ব। আমরা স্বাধীনতা এনেছি, আমরা সংস্কার আনব। আমরা আমাদের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করব।’
আজ শুক্রবার বিকেলে যশোর শহরের জিরো পয়েন্টে এনসিপির জুলাই পদযাত্রার পথসভায় নাহিদ ইসলাম এসব কথা বলেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫৪ বছরে দেশের রাষ্ট্রীয় ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে দাঁড়াতে দেওয়া হয়নি। সব প্রতিষ্ঠানকে দলীয়করণ করা হয়েছে। আমরা এই প্রতিষ্ঠানগুলোকে দলীয়করণ করতে দিব না। আমরা চাই, পুলিশ নিরপেক্ষভাবে জনগণের পক্ষে কাজ করবে। পুলিশ কোনো দলের অনুসারী হবে না। সরকারি দলের অনুসারীও হবে না। আমরা চাই, আমলাতন্ত্র প্রশাসন কোনো দলের অনুসারী হবে না। কোনো সরকারি দলের নেতার ওপর নির্ভর করবে না। তাদের মেধা ও যোগ্যতা অনুযায়ী প্রমোশন নির্ভর করবে। আমরা চাই, বাংলাদেশের সেনাবাহিনী বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় গণপ্রতিরক্ষাব্যবস্থা জোরদার করবে। আমরা চাই না সেনাবাহিনীর অফিসারেরা গুমের সঙ্গে জড়িত হোক। আমরা চাই না সেনাবাহিনীর মতো প্রতিষ্ঠানকে তারা কলঙ্ককরণ করবে। আমরা এই কলঙ্ক দূর করতে চাই। আমরা ইনসাফভিত্তিক কল্যাণকর রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করব।’
এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘কোনো দুর্নীতিবাজ, দখলবাজকে ভয় পাবেন না। একটি রাজনৈতিক দল দাবি করে কোটি কোটি মানুষের দল নাকি তাদের। এই কোটি কোটি, লক্ষ লক্ষ মানুষ আমাদের দেখায়েন না। আমরা ফ্যাসিবাদের আমলে দেখেছি কত মানুষ ছিল তাদের। সেই মানুষেরা কত আন্দোলন গড়ে তুলেছিল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা ১০ জন মানুষ দাঁড়িয়েছিলাম। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আপনারা ১০ জন, ২০ জন, ১০০ জন মানুষ নিয়েই আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন। হাজার হাজার, লক্ষ লক্ষ মানুষ আবাবিল পাখির মতো আমাদের সঙ্গে রাজপথে দাঁড়িয়েছিল। ফলে মানুষের হিসাব আমাদের দেখিয়েন না। যদি নৈতিকতার সঙ্গে থাকেন, ইনসাফের সঙ্গে থাকেন, তাহলে একজন মানুষ লক্ষ মানুষের সমান শক্তিশালী হয়ে যান। ইনশা আল্লাহ, আমরা সেই একজন মানুষ হতে চাই। আমরা দায় ও দরদের ইনসাফভিত্তিক একটি রাষ্ট্র গড়তে চাই। যারা ইনসাফের পক্ষে দাঁড়াবে, ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়াবে, যারা দুর্নীতির বিরুদ্ধে দাঁড়াবে, তেমন রাষ্ট্র চাই। যেখানে সমাজের সকল ধরনের মানুষের সমান হক নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।’
যশোর জেলার দীর্ঘদিনের সমস্যা তুলে ধরে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘যশোরের স্বাস্থ্যব্যবস্থার উন্নয়ন হয়নি। যশোর জেনারেল হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটের পূর্ণাঙ্গ চালু হয়নি। সেখানে আইসিইউ চালু হয়নি। যশোরের মানুষকে খুলনায় যেতে হয় চিকিৎসার জন্য। আমরা চাই, যশোরের মানুষ যশোরেই সেবা পাবে। আমরা চাই, যশোরের মানুষ যশোরেই শিক্ষা পাবে। আমরা ভবদহ এলাকার জলাবদ্ধতার কথা জানি। দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতা সমস্যায় মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে। সেই সমস্যার কথা জানি। এই সমস্যা দূর করার দায়িত্ব নিতে হবে জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতৃবৃন্দকে। আমরা বেনাপোলের দুর্নীতি, মাদক কারবারের কথা জানি। দুর্নীতি ও মাদকের বিরুদ্ধে তরুণ, ছাত্র-জনতাকে দাঁড়াতে হবে। গণ-অভ্যুত্থানে যেমন আপনারা আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন, তেমনি যশোরসহ সারা দেশের মানুষের সমস্যায় পাশে দাঁড়াতে হবে।’
এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলমের সঞ্চালনায় পথসভায় বক্তব্য দেন দলের সদস্যসচিব আখতার হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, কেন্দ্রীয় সদস্য খালিদ সাইফুল্লাহ জুয়েলসহ কেন্দ্রীয় ও জেলা নেতারা।
এর আগে আজ দুপুরে যশোর শহরের একটি হোটেলের কনফারেন্স রুমে মতবিনিময় সভার আয়োজন করে এনসিপি যশোর জেলা শাখা। সভায় বক্তব্য দেন এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নুসরাত তাবাসসুম ও তাসনিম জারা এবং অন্য কেন্দ্রীয় নেতারা।

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘আমরা সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন একসঙ্গে চাই। বিচার সংস্কার ছাড়া বাংলার জনগণ নির্বাচন মেনে নিবে না। যারা বিচার সংস্কার ছাড়া নির্বাচন চায়, তারাই নির্বাচনকে পিছিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। নির্বাচন ও ভোটাধিকারের পক্ষে সত্যিকারের লড়াই করে যাচ্ছে জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতৃত্ব। আমরা স্বাধীনতা এনেছি, আমরা সংস্কার আনব। আমরা আমাদের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করব।’
আজ শুক্রবার বিকেলে যশোর শহরের জিরো পয়েন্টে এনসিপির জুলাই পদযাত্রার পথসভায় নাহিদ ইসলাম এসব কথা বলেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫৪ বছরে দেশের রাষ্ট্রীয় ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে দাঁড়াতে দেওয়া হয়নি। সব প্রতিষ্ঠানকে দলীয়করণ করা হয়েছে। আমরা এই প্রতিষ্ঠানগুলোকে দলীয়করণ করতে দিব না। আমরা চাই, পুলিশ নিরপেক্ষভাবে জনগণের পক্ষে কাজ করবে। পুলিশ কোনো দলের অনুসারী হবে না। সরকারি দলের অনুসারীও হবে না। আমরা চাই, আমলাতন্ত্র প্রশাসন কোনো দলের অনুসারী হবে না। কোনো সরকারি দলের নেতার ওপর নির্ভর করবে না। তাদের মেধা ও যোগ্যতা অনুযায়ী প্রমোশন নির্ভর করবে। আমরা চাই, বাংলাদেশের সেনাবাহিনী বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় গণপ্রতিরক্ষাব্যবস্থা জোরদার করবে। আমরা চাই না সেনাবাহিনীর অফিসারেরা গুমের সঙ্গে জড়িত হোক। আমরা চাই না সেনাবাহিনীর মতো প্রতিষ্ঠানকে তারা কলঙ্ককরণ করবে। আমরা এই কলঙ্ক দূর করতে চাই। আমরা ইনসাফভিত্তিক কল্যাণকর রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করব।’
এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘কোনো দুর্নীতিবাজ, দখলবাজকে ভয় পাবেন না। একটি রাজনৈতিক দল দাবি করে কোটি কোটি মানুষের দল নাকি তাদের। এই কোটি কোটি, লক্ষ লক্ষ মানুষ আমাদের দেখায়েন না। আমরা ফ্যাসিবাদের আমলে দেখেছি কত মানুষ ছিল তাদের। সেই মানুষেরা কত আন্দোলন গড়ে তুলেছিল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা ১০ জন মানুষ দাঁড়িয়েছিলাম। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আপনারা ১০ জন, ২০ জন, ১০০ জন মানুষ নিয়েই আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন। হাজার হাজার, লক্ষ লক্ষ মানুষ আবাবিল পাখির মতো আমাদের সঙ্গে রাজপথে দাঁড়িয়েছিল। ফলে মানুষের হিসাব আমাদের দেখিয়েন না। যদি নৈতিকতার সঙ্গে থাকেন, ইনসাফের সঙ্গে থাকেন, তাহলে একজন মানুষ লক্ষ মানুষের সমান শক্তিশালী হয়ে যান। ইনশা আল্লাহ, আমরা সেই একজন মানুষ হতে চাই। আমরা দায় ও দরদের ইনসাফভিত্তিক একটি রাষ্ট্র গড়তে চাই। যারা ইনসাফের পক্ষে দাঁড়াবে, ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়াবে, যারা দুর্নীতির বিরুদ্ধে দাঁড়াবে, তেমন রাষ্ট্র চাই। যেখানে সমাজের সকল ধরনের মানুষের সমান হক নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।’
যশোর জেলার দীর্ঘদিনের সমস্যা তুলে ধরে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘যশোরের স্বাস্থ্যব্যবস্থার উন্নয়ন হয়নি। যশোর জেনারেল হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটের পূর্ণাঙ্গ চালু হয়নি। সেখানে আইসিইউ চালু হয়নি। যশোরের মানুষকে খুলনায় যেতে হয় চিকিৎসার জন্য। আমরা চাই, যশোরের মানুষ যশোরেই সেবা পাবে। আমরা চাই, যশোরের মানুষ যশোরেই শিক্ষা পাবে। আমরা ভবদহ এলাকার জলাবদ্ধতার কথা জানি। দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতা সমস্যায় মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে। সেই সমস্যার কথা জানি। এই সমস্যা দূর করার দায়িত্ব নিতে হবে জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতৃবৃন্দকে। আমরা বেনাপোলের দুর্নীতি, মাদক কারবারের কথা জানি। দুর্নীতি ও মাদকের বিরুদ্ধে তরুণ, ছাত্র-জনতাকে দাঁড়াতে হবে। গণ-অভ্যুত্থানে যেমন আপনারা আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন, তেমনি যশোরসহ সারা দেশের মানুষের সমস্যায় পাশে দাঁড়াতে হবে।’
এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলমের সঞ্চালনায় পথসভায় বক্তব্য দেন দলের সদস্যসচিব আখতার হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, কেন্দ্রীয় সদস্য খালিদ সাইফুল্লাহ জুয়েলসহ কেন্দ্রীয় ও জেলা নেতারা।
এর আগে আজ দুপুরে যশোর শহরের একটি হোটেলের কনফারেন্স রুমে মতবিনিময় সভার আয়োজন করে এনসিপি যশোর জেলা শাখা। সভায় বক্তব্য দেন এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নুসরাত তাবাসসুম ও তাসনিম জারা এবং অন্য কেন্দ্রীয় নেতারা।

চার কারখানা বন্ধের প্রতিবাদে নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন শ্রমিকেরা। আজ সোমবার ইপিজেডের মূল ফটকের সামনে এ বিক্ষোভ করেন তাঁরা। এ সময় বিক্ষোভকারীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
২ মিনিট আগে
জামালপুর সদর উপজেলায় কাভার্ড ভ্যানচাপায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে পাঁচজনে দাঁড়িয়েছে। এ ঘটনায় শিশুসহ চারজন জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। আজ সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সদর উপজেলার দিকপাইত এলাকায় একটি অটোরিকশাকে চাপা দেয় কাভার্ড ভ্যান। এর আগে বেলা ৩টার দিকে তিনজন নিহতের তথ্য জানিয়েছিল পুলিশ।
৫ মিনিট আগে
তদন্ত কমিটির কাছে নিজের অবস্থান জানানোর পর আরএমও হোসেন ইমাম সিভিল সার্জন কার্যালয় ত্যাগ করার চেষ্টা করলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা তাঁর ওপর চড়াও হয়। এ সময় তাঁকে লক্ষ্য করে ডিম ছুড়ে মারতে দেখা যায়।
১০ মিনিট আগে
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশ পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম। তিনি বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাংলাদেশ পুলিশের জন্য এক চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার সক্ষমতা পুলিশের রয়েছে।
১৮ মিনিট আগেনীলফামারী প্রতিনিধি

চার কারখানা বন্ধের প্রতিবাদে নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন শ্রমিকেরা। আজ সোমবার ইপিজেডের মূল ফটকের সামনে এ বিক্ষোভ করেন তাঁরা। এ সময় বিক্ষোভকারীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
শ্রমিকেরা জানান, কারখানা কর্তৃপক্ষ তাঁদের প্রাপ্য বেতন নিয়মিত পরিশোধ করে না, অতিরিক্ত সময় কাজ করালেও সেই পারিশ্রমিক দেওয়া হয় না। এসব নিয়ে শ্রমিকেরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে নামলে হঠাৎ করে চারটি কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হয়।
জানা যায়, গত শনিবার (২৫ অক্টোবর) থেকে এই চার কারখানার শ্রমিকেরা বিভিন্ন দাবিতে কর্মবিরতি পালন করেন। এরপর গতকাল রোববার উৎপাদন ব্যাহতসহ বিভিন্ন বিশৃঙ্খল কর্মকাণ্ডের কথা উল্লেখ করে দেশবন্ধু টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড, মেইগো বাংলাদেশ লিমিটেড, ইপিএফ প্রিন্টিং লিমিটেড ও সেকশন সেভেন ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।
জানতে চাইলে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম আর সাঈদ বলেন, ‘খবর পেয়ে ইপিজেড এলাকায় আমরা উপস্থিত হই। শ্রমিকদের সঙ্গে শান্তিপূর্ণভাবে কথা বলে তাদের বাড়িতে ফিরে যেতে বলা হয়েছে। কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।’
এ বিষয়ে উত্তরা ইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল জব্বার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা মালিকপক্ষের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে বন্ধ থাকা চারটি কারখানা দ্রুত চালুর চেষ্টা করছি।’

চার কারখানা বন্ধের প্রতিবাদে নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন শ্রমিকেরা। আজ সোমবার ইপিজেডের মূল ফটকের সামনে এ বিক্ষোভ করেন তাঁরা। এ সময় বিক্ষোভকারীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
শ্রমিকেরা জানান, কারখানা কর্তৃপক্ষ তাঁদের প্রাপ্য বেতন নিয়মিত পরিশোধ করে না, অতিরিক্ত সময় কাজ করালেও সেই পারিশ্রমিক দেওয়া হয় না। এসব নিয়ে শ্রমিকেরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে নামলে হঠাৎ করে চারটি কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হয়।
জানা যায়, গত শনিবার (২৫ অক্টোবর) থেকে এই চার কারখানার শ্রমিকেরা বিভিন্ন দাবিতে কর্মবিরতি পালন করেন। এরপর গতকাল রোববার উৎপাদন ব্যাহতসহ বিভিন্ন বিশৃঙ্খল কর্মকাণ্ডের কথা উল্লেখ করে দেশবন্ধু টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড, মেইগো বাংলাদেশ লিমিটেড, ইপিএফ প্রিন্টিং লিমিটেড ও সেকশন সেভেন ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।
জানতে চাইলে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম আর সাঈদ বলেন, ‘খবর পেয়ে ইপিজেড এলাকায় আমরা উপস্থিত হই। শ্রমিকদের সঙ্গে শান্তিপূর্ণভাবে কথা বলে তাদের বাড়িতে ফিরে যেতে বলা হয়েছে। কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।’
এ বিষয়ে উত্তরা ইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল জব্বার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা মালিকপক্ষের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে বন্ধ থাকা চারটি কারখানা দ্রুত চালুর চেষ্টা করছি।’

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘আমরা সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন একসঙ্গে চাই। বিচার সংস্কার ছাড়া বাংলার জনগণ নির্বাচন মেনে নিবে না। যারা বিচার সংস্কার ছাড়া নির্বাচন চায়, তারাই নির্বাচনকে পিছিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। নির্বাচন ও ভোটাধিকারের পক্ষে সত্যিকারের লড়াই করে যাচ্ছে
১১ জুলাই ২০২৫
জামালপুর সদর উপজেলায় কাভার্ড ভ্যানচাপায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে পাঁচজনে দাঁড়িয়েছে। এ ঘটনায় শিশুসহ চারজন জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। আজ সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সদর উপজেলার দিকপাইত এলাকায় একটি অটোরিকশাকে চাপা দেয় কাভার্ড ভ্যান। এর আগে বেলা ৩টার দিকে তিনজন নিহতের তথ্য জানিয়েছিল পুলিশ।
৫ মিনিট আগে
তদন্ত কমিটির কাছে নিজের অবস্থান জানানোর পর আরএমও হোসেন ইমাম সিভিল সার্জন কার্যালয় ত্যাগ করার চেষ্টা করলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা তাঁর ওপর চড়াও হয়। এ সময় তাঁকে লক্ষ্য করে ডিম ছুড়ে মারতে দেখা যায়।
১০ মিনিট আগে
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশ পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম। তিনি বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাংলাদেশ পুলিশের জন্য এক চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার সক্ষমতা পুলিশের রয়েছে।
১৮ মিনিট আগেজামালপুর প্রতিনিধি

জামালপুর সদর উপজেলায় কাভার্ড ভ্যানচাপায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে পাঁচজনে দাঁড়িয়েছে। এ ঘটনায় শিশুসহ চারজন জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। আজ সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সদর উপজেলার দিকপাইত এলাকায় একটি অটোরিকশাকে চাপা দেয় কাভার্ড ভ্যান।
নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে চারজনের নাম জানা গেছে। তাঁরা হলেন সরিষাবাড়ী উপজেলার মহাদান ইউনিয়নের সানাকুর এলাকার হায়দার আলীর ছেলে অটোরিকশার যাত্রী রাশেদ (৪০), সদর উপজেলার তিতপল্লা ইউনিয়নের নারায়ণপুর এলাকার ময়েজ উদ্দিনের ছেলে চান মিয়া (৬২), উচ্চগ্রাম এলাকার শরিফ আহাম্মেদের স্ত্রী আরিফা খাতুন (২৮) ও অটোরিকশার চালক তিতপল্লা ইউনিয়নের জাহাঙ্গীর আলম (৪০)। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা এক নারী মারা গেছেন। আরিফা খাতুন জামালপুর সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন।
এর আগে বেলা ৩টার দিকে তিনজন নিহতের তথ্য জানিয়েছিল পুলিশ। পরে আরও দুজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। সর্বশেষ সন্ধ্যা ৬টার দিকে জাহাঙ্গীর আলমের মৃত্যু হয়।
আহত ব্যক্তিরা হলো তিতপল্লা ইউনিয়নের নারায়ণপুর এলাকার চান মিয়ার স্ত্রী সন্ধ্যা বেগম (৫০), দিকপাইত এলাকার চান মিয়ার মেয়ে সাদিকা আক্তার (২৫), একই এলাকার বাদশা মিয়ার মেয়ে ফারজানা বেগম (২২) ও সরিষাবাড়ীর মহাদান ইউনিয়নের উচ্চগ্রামের শরিফ আহাম্মেদের ছেলে আরশ (৫)। আহত শিশু আরশ নিহত আরিফা খাতুনের ছেলে বলে জানা গেছে।
জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুস সাকিব আজকের পত্রিকাকে বলেন, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে একটি কাভার্ড ভ্যান বিপরীত থেকে আসা অটোরিকশাকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই রাশেদ নামের এক যাত্রী নিহত হন। পরে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা এসে আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করান। তাঁদের মধ্যে চারজন মারা গেছেন। বর্তমানে চারজন চিকিৎসাধীন রয়েছে।

জামালপুর সদর উপজেলায় কাভার্ড ভ্যানচাপায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে পাঁচজনে দাঁড়িয়েছে। এ ঘটনায় শিশুসহ চারজন জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। আজ সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সদর উপজেলার দিকপাইত এলাকায় একটি অটোরিকশাকে চাপা দেয় কাভার্ড ভ্যান।
নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে চারজনের নাম জানা গেছে। তাঁরা হলেন সরিষাবাড়ী উপজেলার মহাদান ইউনিয়নের সানাকুর এলাকার হায়দার আলীর ছেলে অটোরিকশার যাত্রী রাশেদ (৪০), সদর উপজেলার তিতপল্লা ইউনিয়নের নারায়ণপুর এলাকার ময়েজ উদ্দিনের ছেলে চান মিয়া (৬২), উচ্চগ্রাম এলাকার শরিফ আহাম্মেদের স্ত্রী আরিফা খাতুন (২৮) ও অটোরিকশার চালক তিতপল্লা ইউনিয়নের জাহাঙ্গীর আলম (৪০)। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা এক নারী মারা গেছেন। আরিফা খাতুন জামালপুর সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন।
এর আগে বেলা ৩টার দিকে তিনজন নিহতের তথ্য জানিয়েছিল পুলিশ। পরে আরও দুজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। সর্বশেষ সন্ধ্যা ৬টার দিকে জাহাঙ্গীর আলমের মৃত্যু হয়।
আহত ব্যক্তিরা হলো তিতপল্লা ইউনিয়নের নারায়ণপুর এলাকার চান মিয়ার স্ত্রী সন্ধ্যা বেগম (৫০), দিকপাইত এলাকার চান মিয়ার মেয়ে সাদিকা আক্তার (২৫), একই এলাকার বাদশা মিয়ার মেয়ে ফারজানা বেগম (২২) ও সরিষাবাড়ীর মহাদান ইউনিয়নের উচ্চগ্রামের শরিফ আহাম্মেদের ছেলে আরশ (৫)। আহত শিশু আরশ নিহত আরিফা খাতুনের ছেলে বলে জানা গেছে।
জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুস সাকিব আজকের পত্রিকাকে বলেন, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে একটি কাভার্ড ভ্যান বিপরীত থেকে আসা অটোরিকশাকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই রাশেদ নামের এক যাত্রী নিহত হন। পরে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা এসে আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করান। তাঁদের মধ্যে চারজন মারা গেছেন। বর্তমানে চারজন চিকিৎসাধীন রয়েছে।

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘আমরা সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন একসঙ্গে চাই। বিচার সংস্কার ছাড়া বাংলার জনগণ নির্বাচন মেনে নিবে না। যারা বিচার সংস্কার ছাড়া নির্বাচন চায়, তারাই নির্বাচনকে পিছিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। নির্বাচন ও ভোটাধিকারের পক্ষে সত্যিকারের লড়াই করে যাচ্ছে
১১ জুলাই ২০২৫
চার কারখানা বন্ধের প্রতিবাদে নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন শ্রমিকেরা। আজ সোমবার ইপিজেডের মূল ফটকের সামনে এ বিক্ষোভ করেন তাঁরা। এ সময় বিক্ষোভকারীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
২ মিনিট আগে
তদন্ত কমিটির কাছে নিজের অবস্থান জানানোর পর আরএমও হোসেন ইমাম সিভিল সার্জন কার্যালয় ত্যাগ করার চেষ্টা করলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা তাঁর ওপর চড়াও হয়। এ সময় তাঁকে লক্ষ্য করে ডিম ছুড়ে মারতে দেখা যায়।
১০ মিনিট আগে
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশ পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম। তিনি বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাংলাদেশ পুলিশের জন্য এক চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার সক্ষমতা পুলিশের রয়েছে।
১৮ মিনিট আগেকুষ্টিয়া প্রতিনিধি

কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন কার্যালয়ে বিভিন্ন পদে জনবল নিয়োগ পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগ তদন্ত করতে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও স্বাস্থ্য বিভাগ।
আজ সোমবার দুদক ও স্বাস্থ্য বিভাগের তদন্তকারী দল সিভিল সার্জন কার্যালয়ে গিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে। এদিকে ছাত্র-জনতার ক্ষোভের মুখে কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) হোসেন ইমাম সিভিল কার্যালয়ে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন।
আজ বেলা ১১টার দিকে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় কুষ্টিয়ার পাঁচ সদস্যের দল সিভিল সার্জন কার্যালয়ে যায়। দুপুর ১২টার দিকে স্বাস্থ্য বিভাগের একটি উচ্চপর্যায়ের দল ওই কার্যালয়ে উপস্থিত হয়। এ সময় উভয় দলের সদস্যরা সিভিল সার্জন শেখ মো. কামাল হোসেন, কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের আরএমও হোসেন ইমামসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় দুদক সদস্যরা নিয়োগ পরীক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সিভিল সার্জন কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মোবাইল ফোন জব্দ করেন।
স্বাস্থ্য বিভাগের দলের নেতৃত্ব দেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক খায়ের আহমেদ চৌধুরী। এ ছাড়া দুদকের দলের নেতৃত্বে ছিলেন সমন্বিত জেলা কার্যালয় কুষ্টিয়ার উপপরিচালক মইনুল আহসান রওশনী।
এদিকে তদন্ত কমিটির কাছে নিজের অবস্থান জানানোর পর আরএমও হোসেন ইমাম সিভিল সার্জন কার্যালয় ত্যাগ করার চেষ্টা করলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা তাঁর ওপর চড়াও হয়। এ সময় তাঁকে লক্ষ্য করে ডিম ছুড়ে মারতে দেখা যায়। এই অবস্থায় হোসেন ইমাম আবারও সিভিল সার্জন অফিসে গিয়ে আশ্রয় নেন। বিকেল ৪টা পর্যন্ত তিনি সিভিল সার্জন অফিসের ভেতরেই অবরুদ্ধ ছিলেন। তবে আরএমও হোসেন ইমাম নিয়োগ পরীক্ষায় অনিয়মের ঘটনার সঙ্গে তাঁর সংশ্লিষ্টতার কথা গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে অস্বীকার করেছেন।
জানা গেছে, গত শুক্রবার কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সাতটি ক্যাটাগরিতে ১১৫টি শূন্য পদে নিয়োগ পরীক্ষা হয়। এতে অংশ নেন ১৬ হাজার ৭৮৯ জন পরীক্ষার্থী। কিন্তু পরীক্ষার দিন ভোরে কুষ্টিয়া শহরের একটি বাড়িতে ২৫-৩০ চাকরিপ্রার্থীর রহস্যজনক প্রবেশ ও পরীক্ষার আগমুহূর্তে বের হওয়ার দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। বাড়িটি কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আরএমও হোসেন ইমামের। এ ঘটনার জেরে গত শনিবার দুপুরে নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস, ঘুষ-বাণিজ্য ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন একদল বিক্ষুব্ধ যুবক। এই অবস্থায় ২৫-৩০ জন পরীক্ষার্থীর একটি বাসা থেকে বের হওয়ার ভিডিও ভাইরাল হওয়া প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে চিঠি লেখেন কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন শেখ মো. কামাল হোসেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে নিয়োগ পরীক্ষার ফলাফল সাময়িক স্থগিত করা হয়। পরদিন গতকাল রোববার সকাল থেকেও নিয়োগ পরীক্ষা বাতিলসহ আবার পরীক্ষা নেওয়ার দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে ছাত্র-জনতা। পরে সিভিল সার্জনের আশ্বাসে তারা কর্মসূচি স্থগিত করে।
তদন্ত শেষে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক খায়ের আহমেদ চৌধুরী জানান, তাঁর নেতৃত্বে তিন সদস্যের কমিটি হয়েছে। তিন কার্যদিবসের মধ্যে তাঁরা তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবেন। তিনি আরও জানান, ঘটনার ব্যাপারে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও বিশ্লেষণ করছেন তাঁরা। পাশাপাশি আরএমও হোসেন ইমামের সংশ্লিষ্টতাসহ সবকিছু খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তিনি বলেন, এ মুহূর্তে বিস্তারিত কিছু জানাতে না পারলেও কিছু একটা যে ঘটেছে, সে গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।
দুদকের উপপরিচালক মইনুল আহসান রওশনী জানান, নিয়োগ পরীক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দুজনের মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন নথিপত্র যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।

কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন কার্যালয়ে বিভিন্ন পদে জনবল নিয়োগ পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগ তদন্ত করতে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও স্বাস্থ্য বিভাগ।
আজ সোমবার দুদক ও স্বাস্থ্য বিভাগের তদন্তকারী দল সিভিল সার্জন কার্যালয়ে গিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে। এদিকে ছাত্র-জনতার ক্ষোভের মুখে কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) হোসেন ইমাম সিভিল কার্যালয়ে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন।
আজ বেলা ১১টার দিকে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় কুষ্টিয়ার পাঁচ সদস্যের দল সিভিল সার্জন কার্যালয়ে যায়। দুপুর ১২টার দিকে স্বাস্থ্য বিভাগের একটি উচ্চপর্যায়ের দল ওই কার্যালয়ে উপস্থিত হয়। এ সময় উভয় দলের সদস্যরা সিভিল সার্জন শেখ মো. কামাল হোসেন, কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের আরএমও হোসেন ইমামসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় দুদক সদস্যরা নিয়োগ পরীক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সিভিল সার্জন কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মোবাইল ফোন জব্দ করেন।
স্বাস্থ্য বিভাগের দলের নেতৃত্ব দেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক খায়ের আহমেদ চৌধুরী। এ ছাড়া দুদকের দলের নেতৃত্বে ছিলেন সমন্বিত জেলা কার্যালয় কুষ্টিয়ার উপপরিচালক মইনুল আহসান রওশনী।
এদিকে তদন্ত কমিটির কাছে নিজের অবস্থান জানানোর পর আরএমও হোসেন ইমাম সিভিল সার্জন কার্যালয় ত্যাগ করার চেষ্টা করলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা তাঁর ওপর চড়াও হয়। এ সময় তাঁকে লক্ষ্য করে ডিম ছুড়ে মারতে দেখা যায়। এই অবস্থায় হোসেন ইমাম আবারও সিভিল সার্জন অফিসে গিয়ে আশ্রয় নেন। বিকেল ৪টা পর্যন্ত তিনি সিভিল সার্জন অফিসের ভেতরেই অবরুদ্ধ ছিলেন। তবে আরএমও হোসেন ইমাম নিয়োগ পরীক্ষায় অনিয়মের ঘটনার সঙ্গে তাঁর সংশ্লিষ্টতার কথা গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে অস্বীকার করেছেন।
জানা গেছে, গত শুক্রবার কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সাতটি ক্যাটাগরিতে ১১৫টি শূন্য পদে নিয়োগ পরীক্ষা হয়। এতে অংশ নেন ১৬ হাজার ৭৮৯ জন পরীক্ষার্থী। কিন্তু পরীক্ষার দিন ভোরে কুষ্টিয়া শহরের একটি বাড়িতে ২৫-৩০ চাকরিপ্রার্থীর রহস্যজনক প্রবেশ ও পরীক্ষার আগমুহূর্তে বের হওয়ার দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। বাড়িটি কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আরএমও হোসেন ইমামের। এ ঘটনার জেরে গত শনিবার দুপুরে নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস, ঘুষ-বাণিজ্য ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন একদল বিক্ষুব্ধ যুবক। এই অবস্থায় ২৫-৩০ জন পরীক্ষার্থীর একটি বাসা থেকে বের হওয়ার ভিডিও ভাইরাল হওয়া প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে চিঠি লেখেন কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন শেখ মো. কামাল হোসেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে নিয়োগ পরীক্ষার ফলাফল সাময়িক স্থগিত করা হয়। পরদিন গতকাল রোববার সকাল থেকেও নিয়োগ পরীক্ষা বাতিলসহ আবার পরীক্ষা নেওয়ার দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে ছাত্র-জনতা। পরে সিভিল সার্জনের আশ্বাসে তারা কর্মসূচি স্থগিত করে।
তদন্ত শেষে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক খায়ের আহমেদ চৌধুরী জানান, তাঁর নেতৃত্বে তিন সদস্যের কমিটি হয়েছে। তিন কার্যদিবসের মধ্যে তাঁরা তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবেন। তিনি আরও জানান, ঘটনার ব্যাপারে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও বিশ্লেষণ করছেন তাঁরা। পাশাপাশি আরএমও হোসেন ইমামের সংশ্লিষ্টতাসহ সবকিছু খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তিনি বলেন, এ মুহূর্তে বিস্তারিত কিছু জানাতে না পারলেও কিছু একটা যে ঘটেছে, সে গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।
দুদকের উপপরিচালক মইনুল আহসান রওশনী জানান, নিয়োগ পরীক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দুজনের মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন নথিপত্র যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘আমরা সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন একসঙ্গে চাই। বিচার সংস্কার ছাড়া বাংলার জনগণ নির্বাচন মেনে নিবে না। যারা বিচার সংস্কার ছাড়া নির্বাচন চায়, তারাই নির্বাচনকে পিছিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। নির্বাচন ও ভোটাধিকারের পক্ষে সত্যিকারের লড়াই করে যাচ্ছে
১১ জুলাই ২০২৫
চার কারখানা বন্ধের প্রতিবাদে নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন শ্রমিকেরা। আজ সোমবার ইপিজেডের মূল ফটকের সামনে এ বিক্ষোভ করেন তাঁরা। এ সময় বিক্ষোভকারীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
২ মিনিট আগে
জামালপুর সদর উপজেলায় কাভার্ড ভ্যানচাপায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে পাঁচজনে দাঁড়িয়েছে। এ ঘটনায় শিশুসহ চারজন জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। আজ সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সদর উপজেলার দিকপাইত এলাকায় একটি অটোরিকশাকে চাপা দেয় কাভার্ড ভ্যান। এর আগে বেলা ৩টার দিকে তিনজন নিহতের তথ্য জানিয়েছিল পুলিশ।
৫ মিনিট আগে
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশ পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম। তিনি বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাংলাদেশ পুলিশের জন্য এক চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার সক্ষমতা পুলিশের রয়েছে।
১৮ মিনিট আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশ পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম। তিনি বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাংলাদেশ পুলিশের জন্য এক চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার সক্ষমতা পুলিশের রয়েছে।
আজ সোমবার দুপুরে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের ‘হল অব প্রাইড’-এ অনুষ্ঠিত বিশেষ অপরাধ পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন আইজিপি। সভায় ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী, র্যাবের মহাপরিচালক এ কে এম শহিদুর রহমান, স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) প্রধান মো. গোলাম রসুল, অতিরিক্ত আইজি, ঢাকাস্থ বিভিন্ন ইউনিটের প্রধান, সব পুলিশ কমিশনার ও রেঞ্জ ডিআইজিরা উপস্থিত ছিলেন।
এতে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন দেশের সব জেলা পুলিশ সুপার। সভায় অতিরিক্ত আইজি (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) খোন্দকার রফিকুল ইসলাম দেশের সামগ্রিক আইনশৃঙ্খলা ও অপরাধ পরিস্থিতির চিত্র উপস্থাপন করেন।
আইজিপি বাহারুল আলম বলেন, অতীতে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পুলিশ সম্পর্কে জনমনে যে নেতিবাচক ইমেজ তৈরি হয়েছে, তা থেকে বেরিয়ে আসার একটা বড় সুযোগ আগামী নির্বাচন। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে জনগণের আস্থা অর্জনে সবাইকে সচেষ্ট থাকতে হবে।
আইজিপি বাহারুল আলম আরও বলেন, নির্বাচন সামনে রেখে পুলিশের হারানো বা লুণ্ঠিত অস্ত্র উদ্ধারে তৎপরতা জোরদার করতে হবে। এ ক্ষেত্রে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং অস্ত্র উদ্ধারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘোষিত পুরস্কার সম্পর্কে প্রচারণা বাড়াতে হবে। ইউনিটপ্রধানদের চলমান নির্বাচনী প্রশিক্ষণ নিবিড়ভাবে তদারকিসহ হয়রানিবিহীনভাবে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট সময়মতো প্রদান নিশ্চিত করতে জেলা পুলিশ সুপারদের আহ্বান জানান আইজিপি।
গুম কমিশনে করা অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা ও মামলা করার নির্দেশ দেন আইজিপি। একই সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন থেকে উদ্ভূত মামলাগুলো বিশেষ গুরুত্বসহ তদন্ত ও দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন।
আইজিপি মামলা তদন্তের গুণগত মান উন্নয়নের ওপরও জোর দেন। সভায় উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তারা এবং অনলাইনে যুক্ত জেলা পুলিশ সুপাররা প্রশাসনিক ও অপারেশনাল নানা বিষয়ে পুলিশের সর্বোচ্চ কর্মকর্তার সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশ পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম। তিনি বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাংলাদেশ পুলিশের জন্য এক চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার সক্ষমতা পুলিশের রয়েছে।
আজ সোমবার দুপুরে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের ‘হল অব প্রাইড’-এ অনুষ্ঠিত বিশেষ অপরাধ পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন আইজিপি। সভায় ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী, র্যাবের মহাপরিচালক এ কে এম শহিদুর রহমান, স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) প্রধান মো. গোলাম রসুল, অতিরিক্ত আইজি, ঢাকাস্থ বিভিন্ন ইউনিটের প্রধান, সব পুলিশ কমিশনার ও রেঞ্জ ডিআইজিরা উপস্থিত ছিলেন।
এতে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন দেশের সব জেলা পুলিশ সুপার। সভায় অতিরিক্ত আইজি (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) খোন্দকার রফিকুল ইসলাম দেশের সামগ্রিক আইনশৃঙ্খলা ও অপরাধ পরিস্থিতির চিত্র উপস্থাপন করেন।
আইজিপি বাহারুল আলম বলেন, অতীতে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পুলিশ সম্পর্কে জনমনে যে নেতিবাচক ইমেজ তৈরি হয়েছে, তা থেকে বেরিয়ে আসার একটা বড় সুযোগ আগামী নির্বাচন। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে জনগণের আস্থা অর্জনে সবাইকে সচেষ্ট থাকতে হবে।
আইজিপি বাহারুল আলম আরও বলেন, নির্বাচন সামনে রেখে পুলিশের হারানো বা লুণ্ঠিত অস্ত্র উদ্ধারে তৎপরতা জোরদার করতে হবে। এ ক্ষেত্রে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং অস্ত্র উদ্ধারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘোষিত পুরস্কার সম্পর্কে প্রচারণা বাড়াতে হবে। ইউনিটপ্রধানদের চলমান নির্বাচনী প্রশিক্ষণ নিবিড়ভাবে তদারকিসহ হয়রানিবিহীনভাবে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট সময়মতো প্রদান নিশ্চিত করতে জেলা পুলিশ সুপারদের আহ্বান জানান আইজিপি।
গুম কমিশনে করা অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা ও মামলা করার নির্দেশ দেন আইজিপি। একই সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন থেকে উদ্ভূত মামলাগুলো বিশেষ গুরুত্বসহ তদন্ত ও দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন।
আইজিপি মামলা তদন্তের গুণগত মান উন্নয়নের ওপরও জোর দেন। সভায় উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তারা এবং অনলাইনে যুক্ত জেলা পুলিশ সুপাররা প্রশাসনিক ও অপারেশনাল নানা বিষয়ে পুলিশের সর্বোচ্চ কর্মকর্তার সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘আমরা সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন একসঙ্গে চাই। বিচার সংস্কার ছাড়া বাংলার জনগণ নির্বাচন মেনে নিবে না। যারা বিচার সংস্কার ছাড়া নির্বাচন চায়, তারাই নির্বাচনকে পিছিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। নির্বাচন ও ভোটাধিকারের পক্ষে সত্যিকারের লড়াই করে যাচ্ছে
১১ জুলাই ২০২৫
চার কারখানা বন্ধের প্রতিবাদে নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন শ্রমিকেরা। আজ সোমবার ইপিজেডের মূল ফটকের সামনে এ বিক্ষোভ করেন তাঁরা। এ সময় বিক্ষোভকারীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
২ মিনিট আগে
জামালপুর সদর উপজেলায় কাভার্ড ভ্যানচাপায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে পাঁচজনে দাঁড়িয়েছে। এ ঘটনায় শিশুসহ চারজন জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। আজ সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সদর উপজেলার দিকপাইত এলাকায় একটি অটোরিকশাকে চাপা দেয় কাভার্ড ভ্যান। এর আগে বেলা ৩টার দিকে তিনজন নিহতের তথ্য জানিয়েছিল পুলিশ।
৫ মিনিট আগে
তদন্ত কমিটির কাছে নিজের অবস্থান জানানোর পর আরএমও হোসেন ইমাম সিভিল সার্জন কার্যালয় ত্যাগ করার চেষ্টা করলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা তাঁর ওপর চড়াও হয়। এ সময় তাঁকে লক্ষ্য করে ডিম ছুড়ে মারতে দেখা যায়।
১০ মিনিট আগে