Ajker Patrika

কর্মীসংখ্যার ভোটও পাননি যশোরে জাপার ৬ প্রার্থী, হারিয়েছেন জামানত

জাহিদ হাসান, যশোর
আপডেট : ০৮ জানুয়ারি ২০২৪, ২১: ৪৪
কর্মীসংখ্যার ভোটও পাননি যশোরে জাপার ৬ প্রার্থী, হারিয়েছেন জামানত

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে যশোরের ছয়টি সংসদীয় আসনেই দলীয় প্রার্থী দেয় জাতীয় পার্টি (জাপা)। নির্বাচনে দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে প্রার্থীরা করেছিলেন প্রচার-প্রচারণা। ভোটের আগে প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাঁরা মন জয়ের চেষ্টা করেন ভোটারদের। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। নির্বাচনে জাপা প্রার্থীরা কেবল হারেননি, জামানতও হারিয়েছেন। গতকাল রোববার পাওয়া নির্বাচনী ফলাফল অনুযায়ী তাঁরা কর্মীসংখ্যার ভোটও পাননি। 

এদিকে, নিজেদের শোচনীয় পরাজয়কে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের কারণেই হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাপা প্রার্থীরা। তাঁরা বলছেন, আওয়ামী লীগের ওপর নির্ভরতা কাটিয়ে উঠতে পারছে না জাতীয় পার্টি। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে ছাড়া জাতীয় পার্টি বারবার নির্বাচনে অংশ নেওয়াতে জনগণ ও নেতাকর্মীরা জাতীয় পার্টি থেকে মুখ ফিরিয়ে দিয়েছে। এসব কারণে দলটির অবস্থা একেবারেই দুর্বল হয়ে পড়ে, যা নির্বাচনে স্পষ্ট হলো। 

যশোর-১ আসন 
যশোর-১ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী ছিলেন মো. আক্তারুজ্জামান। নির্বাচনে ১০২টি কেন্দ্রে লাঙ্গল প্রতীকের এই প্রার্থী পেয়েছেন দুই হাজার ১৫১টি ভোট। নৌকার প্রার্থী শেখ আফিল উদ্দিন ১ লাখ ৫ হাজার ৪৬৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। আফিল উদ্দিনের নিকটতম স্বতন্ত্র প্রার্থী বেনাপোলের সাবেক মেয়র আশরাফুল আলম লিটন পেয়েছেন ১৯ হাজার ৪৭৭ ভোট। সংগৃহীত মোট ভোটের শতকরা সাড়ে ১২ শতাংশের কম ভোট পাওয়ায় জামানত হারিয়েছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী আক্তারুজ্জামান। 

নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আসনটির ৪০ শতাংশ কেন্দ্রেই পোলিং এজেন্টের তালিকা করেছিলেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী। এই প্রার্থীর নির্বাচন পরিচালনায় কর্মী ছিলেন পাঁচ হাজারের বেশি। তবে নির্বাচন শেষে দেখা গেছে তিনি পেয়েছেন মাত্র দুই হাজার ১৫১ ভোট। শেষ পর্যন্ত দেখা গেল জামানতই হারিয়েছেন তিনি। 

জাতীয় পার্টির প্রার্থী আক্তারুজ্জামান বলেন, ‘এই আসনে দীর্ঘদিন জাতীয় পার্টি কোনো প্রার্থী দেয় না। সর্বশেষ ২০০১ সালের পর আমি এই নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলাম। অনেক কর্মী ছিল; তবে কর্মী অনুযায়ী ভোট পাইনি।’ 

যশোর-২ আসন 
যশোর-২ (ঝিকরগাছা-চৌগাছা) আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী ছিলেন ফিরোজ শাহ। নির্বাচনে ১৭৬টি কেন্দ্রে লাঙ্গল প্রতীকের এই প্রার্থী পেয়েছেন মাত্র ১ হাজার ৯৫০ ভোট। বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন তৌহিদুজ্জামান তুহিন। তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৬ হাজার ৩৫৮ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাক প্রতীকের মনিরুল ইসলাম মনির পেয়েছেন ৭৫ হাজার ৮৮২ ভোট। 

নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আসনটির ৮০ শতাংশ কেন্দ্রেই পোলিং এজেন্টের তালিকা করেছিলেন জাপা প্রার্থী। তাঁর নির্বাচন পরিচালনায় কর্মী ছিলেন আট হাজারের বেশি। তবে নির্বাচন শেষে দেখা গেছে তিনি পেয়েছেন মাত্র ১ হাজার ৯৫০ ভোট। খোয়ালেন জামানতই। 

ফিরোজ শাহ বলেন, ‘ভোট গ্রহণের দিন ১২টা পর্যন্ত ভালো ছিল। ১টার পরে নৌকা ও স্বতন্ত্র ভোট ভাগাভাগি করে নিয়েছে। দুই উপজেলায় ৭-৮ হাজার কর্মী ছিল। তবে তাঁরা কেউ ভোট দিতে আসেননি। এ ছাড়া ভোট কারচুপি হয়েছে। আমার ভোট আরও বাড়ার কথা।’ 

যশোর-৩ আসন 
যশোর-৩ (সদর) আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী ছিলেন মাহবুব আলম। নির্বাচনে ১৮৯টি কেন্দ্রে লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছেন ৩ হাজার ৭১০ ভোট। আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী কাজী নাবিল আহমেদ পেয়েছেন ১ লাখ ২১ হাজার ৮৩৮ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের প্রার্থী মোহিত কুমার নাথ পেয়েছেন ৬৪ হাজার ৭১০ ভোট। আসনটির ৬০ শতাংশ কেন্দ্রেই পোলিং এজেন্টের তালিকা করেছিলেন। এই প্রার্থী নির্বাচন পরিচালনায় কর্মী ছিলেন ৭ হাজারের বেশি। তবে নির্বাচন শেষে দেখা গেছে তিনি পেয়েছেন মাত্র ৩ হাজার ৭১০ ভোট। একই সঙ্গে হারিয়েছেন জামানত। 

মাহবুব আলম বলেন, ‘অনেক কর্মী–সমর্থক থাকলেও তাঁরা ভোট দিতে আসেননি। কেননা ভোটের আগে ও ভোটের দিন আসনে ১৫টি স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ হয়েছে। এ ছাড়া এখন নির্বাচন অর্থ, অস্ত্র আর পেশিশক্তি নির্ভরতা হয়ে পড়েছে। এসব না থাকলে এখন বিজয়ী হওয়া যায় না।’ 

যশোর-৪ আসন 
যশোর-৪ (অভয়নগর-বাঘারপাড়া) আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হন জহুরুল হক। ১৪৯টি কেন্দ্রে তিনি ১০ হাজার ৩৫৬ ভোট পেয়েছেন। নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এনামুল হক বাবুল ১ লাখ ৮১ হাজার ২৯৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। আসনটির ৬০ শতাংশ কেন্দ্রেই পোলিং এজেন্টের তালিকা করেছিলেন। এই প্রার্থী নির্বাচন পরিচালনায় কর্মী ছিলেন ১৫ হাজারের বেশি। এরপরেও কর্মী সংখ্যক ভোট পাননি তিনি। হারিয়েছেন জামানত। 

যশোর-৫ আসন 
যশোর-৫ (মনিরামপুর) আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী ছিলেন এম এ হালিম। ১২৮টি কেন্দ্রে তিনি ভোট পেয়েছেন ৬২৪। যদিও ভোট গ্রহণের দুই দিন আগে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান তিনি। ভোট পরিচালনার জন্য তিনি ১০ হাজার কর্মী নিয়োজিত করেছিলেন। ভোট শেষে তিনি সেই কর্মী সংখ্যক ভোট পাননি তিনি। হারিয়েছেন জামানত। 

এম হালিম বলেন, ‘ভোট সুষ্ঠু হয়েছে। তবে দলের অব্যবস্থাপনা কারণে দলের অবস্থা দিন দিন খারাপ হচ্ছে। প্রার্থী হওয়ার পরে কেন্দ্রীয় নেতারা কোনো খোঁজ–খবর নেননি।’ দলের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। 

যশোর-৬ আসন 
যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী ছিলেন জি এম হাসান। ৮১টি কেন্দ্রে ঈগল প্রতীকের প্রার্থী পেয়েছেন ৬৪০ ভোট। আসনটির ৪০ শতাংশ কেন্দ্রেই পোলিং এজেন্টের তালিকা করেছিলেন। এই প্রার্থী নির্বাচন পরিচালনায় কর্মী ছিলেন ২ হাজারের বেশি। তবে নির্বাচন শেষে দেখা গেছে তিনি পেয়েছেন মাত্র ৬৪০ ভোট। একই সঙ্গে হারিয়েছেন জামানত। 

জি এম হাসান বলেন, ‘এই সরকারের প্রহসনের নির্বাচনে জনগণ মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। কেন্দ্রীয় নেতারা আওয়ামী লীগের দালাল। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে ছাড়া জাতীয় পার্টি বারবার নির্বাচনে অংশ নেওয়াতে জনগণ ও নেতাকর্মীরা জাতীয় পার্টি থেকে মুখ ফিরিয়ে দিয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘কর্মী ছিল, তবে তারা ভোট দিয়েছে স্বতন্ত্র প্রার্থীকে। শেষ পর্যন্ত টাকা পয়সা না থাকাতে তাঁরা আমার পক্ষে কাজ করেনি।’ 

জাতীয় পার্টির কয়েকজন কর্মী–ভোটার বলেন, এবারের নির্বাচন প্রতীকের নির্বাচন হয়নি, হয়েছে ব্যক্তির। এলাকায় যার অবস্থান ভালো এবং মানুষের সঙ্গে সুসম্পর্ক ও গণসংযোগ আছে, তাঁরাই ভালো করেছেন। জাতীয় পার্টির প্রার্থীদের এলাকার মানুষের সঙ্গে তেমন যোগাযোগ নেই, এলাকায় তেমন দলীয় কর্মকাণ্ডও নেই। শুধু উপজেলাতে নয়; জেলাতেও দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় পার্টির কোনো কর্মকাণ্ড নেই। শুধু মুখে প্রচারণা। মানুষের সঙ্গে দলের নেতা-কর্মীদের সম্পৃক্ততা ছিল না। 

নাম প্রকাশ না করার শর্তে জাতীয় পার্টির জেলার এক শীর্ষ এক নেতা বলেন, ‘এলাকায় জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক নেই জাতীয় পার্টির কোনো প্রার্থীদের। মাসের পর মাস, এমনকি বছরের পর বছর ধরে এলাকার জনগণের সঙ্গে কুশল বিনিময় নেই, এমন নেতা নির্বাচনে দলের প্রার্থী হয়েছেন। ফলে জনগণ তাদের ন্যূনতম ভোট দিয়ে সম্মান করেনি। এমনকি তাঁদের কর্মী সমর্থকেরাও ভোট দেননি।’ 

জাতীয় পাটির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ও যশোর শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক সরিফুল ইসলাম চৌধুরী সরু বলেন, ‘মানুষের মধ্যে প্রচার ছিল আপনারাতো ভাগ-বাঁটোয়ারা মাধ্যমে ২৬টি আসন পেয়েছেন। সেখানে গিয়ে ভোট চান? যেকারণে আমাদের যশোরের প্রার্থীদের ভোট দেয়নি। এমনকি দলীয় নেতা-কর্মীরাও ভোট দিতে যাইনি। তা ছাড়া যশোর জেলা আওয়ামী লীগ–বিএনপি অধ্যুষিত এলাকা। এখানে এই দুই দলের প্রভাব বেশি।’ 

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যশোরে ভোটযুদ্ধে নামেন ৩২ জন প্রার্থী। নৌকার পাশাপাশি আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র ৮ প্রার্থী মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্যে দুটিকে স্বতন্ত্র ও চারটিতে নৌকা বিজয়ী হয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

শেষতক বাঁচতে না পারা ‘সন্ত্রাসী’ বাবলার উত্থান যেভাবে

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
স্ত্রীর সঙ্গে নিহত সরওয়ার হোসেন বাবলা। ছবি: সংগৃহীত
স্ত্রীর সঙ্গে নিহত সরওয়ার হোসেন বাবলা। ছবি: সংগৃহীত

সরওয়ার হোসেন বাবলা। গতকাল বুধবার চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী ও চান্দগাঁও) আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এবং চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ বায়েজিদ বোস্তামির চালিতাতলী হাজিরপোল এলাকায় গণসংযোগের সময় পেছন থেকে গুলিতে মৃত্যু হয় তাঁর।

দীর্ঘকাল চট্টগ্রামের ‘শীর্ষ সন্ত্রাসী’ হিসেবে পরিচিত ছিলেন বাবলা। ১৫টির বেশি মামলা তাঁর নামের পাশে। অনেকবার জেলও খেটেছেন। গত বছরের ২৭ জুলাই শেষবারের মতো গ্রেপ্তার হন তিনি। ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর জামিনে বের হয়ে নামের পাশ থেকে সন্ত্রাসী তকমা সরাতে রাজনীতিতে মনোযোগ দেন বাবলা। চট্টগ্রাম বিএনপির নেতাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়াতে থাকেন।

বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে নিজেকে জুড়তে বিএনপির শীর্ষ নেতাদের হয়ে রাজনৈতিক প্রচারণা অনুষ্ঠান, খেলাধুলার আয়োজন করতে থাকেন বাবলা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এ সংক্রান্ত পোস্ট দিতেন নিয়মিত। এমনকি মাদকের বিরুদ্ধে তাঁর কয়েকটি পোস্ট দেখা যায়।

নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানার কালা মুন্সির বাড়ির খোন্দকারপাড়ার আব্দুল কাদেরের ছেলে বাবলা। আর্থিক অনটনে চালিতাতলী হাই স্কুলে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া তাঁর। স্ত্রী, মা-বাবা এবং পাঁচ ভাই ও দুই বোন নিয়ে বাবলার পরিবার। গত ১৯ সেপ্টেম্বর বিয়ের পিঁড়িতে বসেন ৪৩ বছর বয়সী বাবলা।

বাবলার পিতা আব্দুল কাদের বলেন, ‘আমার ছেলে ঠিকভাবে বাঁচতে চেয়েছিল। কিন্তু তাঁকে বাঁচতে দেওয়া হলো না। আমার ছেলেকে হত্যাকারীরা কয়েকবার মারতে চেয়েছিল এর আগে।’

ভাইদের মধ্যে সবার ছোট মো. আজিজ বলেন, ‘আমার ভাইকে এলাকাতেই হত্যা করার পরিকল্পনা আগেই প্রকাশ করেছিল হত্যাকারীরা। সবার সামনে সেটা বাস্তবায়ন করেছে তারা। আমার ভাইয়ের ওপর পরপর গুলি করার পরও চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়নি। তারা দাঁড়িয়েই ছিল। আমাদের করার কিছু ছিল না। আজকে ভাইকে মেরেছে, কাল আমাকে মারবে। কে থামাবে তাদের। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী বলতে কিছু আছে?’

আজিজ আরও দাবি করেন, তিন বছর আগে বাবলা জেল থেকে জামিনে বেরিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসেন। এরপরও পুলিশসহ একটি চক্র তাঁকে সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়ে বিভিন্নভাবে ফাঁসানোর চেষ্টা চালায়।

চট্টগ্রামের আরেক সন্ত্রাসী সাজ্জাদের সঙ্গে তাঁর ভাইয়ের পূর্ব শত্রুতা রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।

প্রায় দেড় দশক আগে চট্টগ্রামে বিভিন্ন অপরাধ কার্যক্রমে আলোচনায় আসে বাবলা ও তাঁর বন্ধু ম্যাক্সনের নাম। সে সময় তাঁরা পরিচিত ছিলেন শিবির ‘ক্যাডার’ সাজ্জাদ হোসেন খানের (বড় সাজ্জাদ) ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে। সাজ্জাদ চট্টগ্রামের আট খুনের মামলায় মৃত্যুদণ্ড মাথায় নিয়ে বর্তমানে ভারতে অবস্থান করছেন। তাঁর স্ত্রী ভারতীয় (পাঞ্জাবের) হওয়ার সুবাদে তিনি সেখানে অবস্থানের সুযোগ পান।

২০১১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি নগরীর প্রবর্তক মোড়ে একটি রোগ নির্ণয়কেন্দ্র থেকে ১১ লাখ টাকা লুটের ঘটনায় আলোচনায় আসেন বাবলা। একই বছরের ৬ জুলাই বায়েজিদ এলাকা থেকে তাঁকে একে–৪৭ রাইফেল, পিস্তুল, এলজি ও গুলিসহ আটক করে পুলিশ। যদিও ওই অস্ত্র উদ্ধার নিয়ে অনেক প্রশ্ন আছে। অনেকে দাবি করেন, পদোন্নতির জন্য পুলিশ ওই অস্ত্র উদ্ধার দেখায়।

জেলে থাকাবস্থায় বাবলার সঙ্গে সাজ্জাদের সম্পর্কের অবনতি হয়। জেল থেকে বেরিয়ে সাজ্জাদের অনুপস্থিতে বায়েজিদসহ আশপাশ বিভিন্ন এলাকায় নিয়ন্ত্রণের অভিযোগ ওঠে বাবলা ও ম্যাক্সনের বিরুদ্ধে। অস্ত্র মামলায় জামিন পেয়ে ২০১৭ সালে ৩১ আগস্ট কাতারে চলে যান বাবলা।

২০২০ সালে ৮ ফেব্রুয়ারি কাতার থেকে দেশে ফিরলে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে ইমিগ্রেশন পুলিশ। পরদিন তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে নগরের বায়েজিদ খানাধীন খোন্দকারপাড়া এলাকা থেকে একে-২২, এলজি ও বিপুল পরিমাণের গুলি উদ্ধার করার কথা জানায় পুলিশ।

বাবলার পরিবারের দেওয়া তথ্যমতে, বায়েজিদ চালিতাতলী শিবির অধ্যুষিত এলাকা হওয়ায় সেসময় মহিম নামে একজন বড় ভাইয়ের সঙ্গে চলাফেরা করতেন বাবলা। শিবির ক্যাডার ও আট খুনের মামলার আসামি শিবির ক্যাডার সাজ্জাদের হয়ে কাজ করতেন মহিম। মহিমের সঙ্গে চলাফেরা করায় তাঁকে শিবির বলা শুরু করে। বাবলা কখনো শিবিরের কোনো পদে ছিলেন না বলে দাবি করেন তাঁর পরিবার।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

শ্রীপুরে বিএনপি নেতার বহুতল ভবনে রাতভর অভিযান: আগ্নেয়াস্ত্রসহ গ্রেপ্তার ৭

শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি  
অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার সাতজন। ছবি: আজকের পত্রিকা
অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার সাতজন। ছবি: আজকের পত্রিকা

গাজীপুরের শ্রীপুরে রাতভর অভিযান চালিয়ে দুটি আগ্নেয়াস্ত্র, ওয়াকিটকি, গুলি ও বিপুল সরঞ্জামসহ বিএনপি নেতা এবং আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাজীপুর-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. এনামুল হক মোল্লাকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথ বাহিনী। এ সময় তাঁর সঙ্গে আরও ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গতকাল বুধবার দিবাগত রাত সোয়া ২টায় শুরু হওয়া এই অভিযান ভোররাতে শেষ হয়।

গ্রেপ্তার মো. এনামুল হক মোল্লা (৫০) উপজেলার বরমী ইউনিয়নের বরকুল গ্রামের মৃত আহাদ আলীর ছেলে। তিনি মক্কা নগরীর মেছপালা বিএনপির সভাপতি ও বরমী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। গ্রেপ্তার অন্যরা হলেন শওকত মীর (৪৫), জাহিদ মিয়া (৪০), মোস্তফা কামাল (৩২), সিদ্দিকুর রহমান (৩৪), বুলবুল মিয়া (৩৫) ও তোফাজ্জল হোসেন (৪৫)।

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহম্মদ আব্দুল বারিক বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল রাতে গাজীপুর সেনাক্যাম্পের মেজর খন্দকার মহিউদ্দিন আলমগীরের নেতৃত্বে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা অভিযান পরিচালনা করে এনামুল হক মোল্লাসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করেন। এ সময় গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের তথ্যমতে এনামুল হক মোল্লার বহুতল ভবনের বিভিন্ন কক্ষ তল্লাশি করে দুটি বিদেশি পিস্তল, তিনটি ম্যাগাজিন, চারটি গুলি, চারটি ওয়াকিটকি, চারটি বেটন, দুই ইলেকট্রনিক শক মেশিন, একটি হ্যামার নীলগান ও একটি চাকু উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন। যৌথ অভিযানে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও র‍্যাবের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

দুটি আগ্নেয়াস্ত্র, ওয়াকিটকি, গুলি ও বিপুল সরঞ্জামসহ বিএনপি নেতা গ্রেপ্তার। ছবি: আজকের পত্রিকা
দুটি আগ্নেয়াস্ত্র, ওয়াকিটকি, গুলি ও বিপুল সরঞ্জামসহ বিএনপি নেতা গ্রেপ্তার। ছবি: আজকের পত্রিকা

জানা যায়, ১৫ বছর সৌদিতে ছিলেন গ্রেপ্তার বিএনপির নেতা। গত বছর আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশে ফেরেন তিনি। এর পর থেকে রাজনীতির মাঠে সক্রিয় ছিলেন। গাজীপুর-৩ আসনে বিএনপির মনোনয়ন চেয়ে চালিয়েছেন প্রচার-প্রচারণা। ফেস্টুন ও ব্যানার টানিয়েছেন নির্বাচনী এলাকায়। গত সোমবার বিএনপির মনোনয়ন ঘোষণার পর তিনি ফেসবুক আইডিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে গাজীপুর-৩ আসন থেকে নির্বাচন করার ঘোষণা দেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

রাজশাহীর চারটিতে পুরোনো প্রার্থী, দুটিতে নতুন মুখ: দলীয় নির্দেশনা উপেক্ষা

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
রাজশাহীর চারটিতে পুরোনো প্রার্থী, দুটিতে নতুন মুখ: দলীয় নির্দেশনা উপেক্ষা

রাজশাহীর ছয়টি সংসদীয় আসনের মধ্যে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে চারটিতে পুরোনোদের নাম এসেছে। আর দুটিতে নতুন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার প্রাথমিকভাবে এই প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর দলীয় নির্দেশনা উপেক্ষা করে রাজশাহীতে মনোনয়ন পাওয়া নেতাদের অনুসারীরা আনন্দ মিছিল, মিষ্টি বিতরণ, মোটরসাইকেল শোডাউন ও রাতভর পিকনিক করেছেন।

দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কঠোর নির্দেশ ছিল, মনোনয়ন ঘোষণার পর কোনো উল্লাস বা মিষ্টি বিতরণ করা যাবে না। কিন্তু নির্দেশনা অমান্য করে বিভিন্ন এলাকায় অনুসারীরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। কোথাও কোথাও মনোনয়ন না পাওয়া ব্যক্তিদের ব্যানার-ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে, এমনকি লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। সোমবার সন্ধ্যার পর থেকে রাজশাহীর বিভিন্ন আসনে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পরে মনোনীত প্রার্থীরা অনুসারীদের সংযত থাকার আহ্বান জানালে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়।

রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক সামরিক সচিব মেজর জেনারেল (অব.) শরীফ উদ্দীন। তিনি প্রথমবারের মতো নির্বাচন করতে যাচ্ছেন। প্রথমবারই পেয়েছেন দলীয় মনোনয়ন। তাঁর ভাই প্রয়াত ব্যারিস্টার আমিনুল হক এই আসন থেকে তিনবার সংসদ সদস্য (এমপি) নির্বাচিত হয়েছিলেন এবং দুই দফায় মন্ত্রী ছিলেন।

মনোনয়ন ঘোষণার পর গোদাগাড়ী ও তানোরে শরীফ উদ্দীনের সমর্থকেরা আনন্দ মিছিল, মিষ্টি বিতরণ ও মোটরসাইকেল শোডাউন করেন। কিছু এলাকায় রাতভর পিকনিকও হয়। একপর্যায়ে মনোনীত প্রার্থীর সমর্থকেরা পৌরসভা ছাত্রদল নেতা এসাহাক আলী নয়নকে লাঞ্ছিত করেন এবং অন্য প্রার্থীদের ব্যানার-ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলেন। তবে তানোরে তুলনামূলক পরিস্থিতি শান্ত ছিল।

রাতেই শরীফ উদ্দীন ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘আমরা সবাই ধানের শীষের পক্ষে। কোনো ধরনের উল্লাস বা মিষ্টি বিতরণ করা যাবে না। কাউকে নাজেহাল করা বা অপ্রীতিকর ঘটনা যেন না ঘটে।’

এই আসনে আটজন মনোনয়নপ্রত্যাশীর মধ্যে শিল্পপতি সুলতানুল ইসলাম তারেক ও ব্যারিস্টার মাহফুজুর রহমান মিলন সক্রিয় ছিলেন। তারেক বলেন, ‘এটি প্রাথমিক ঘোষণা। এখনই উল্লাসের কিছু নেই; দলীয় শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সবার সহনশীল থাকা জরুরি।’

রাজশাহী-২ (সদর) আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের টানা ১৭ বছরের সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনু। ২০০১ সালের নির্বাচনে তিনি রেকর্ডসংখ্যক ভোটে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। এবারও তার মনোনয়ন ঘোষণার পর কয়েকটি স্থানে মিষ্টি বিতরণ ও আতশবাজি হলেও বড় ধরনের উল্লাস দেখা যায়নি।

মিনু বলেন, ‘দল আমাকে মূল্যায়ন করেছে। অতীতের মতো এবারও সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকলে ধানের শীষের জয় নিশ্চিত।’

রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সহসম্পাদক এবং রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শফিকুল হক মিলন। ২০১৮ সালের নির্বাচনে তিনি এই আসনে বিএনপির প্রার্থী ছিলেন। এবারও মনোনয়ন ঘোষণার পর পবার বায়া ও নওহাটায় সীমিত আনন্দ মিছিল হয়। পরে মিলন ভিডিও বার্তায় সমর্থকদের সংযত থাকার আহ্বান জানান।

রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ডি এম জিয়াউর রহমান জিয়া। এটি তাঁর প্রথমবার দলীয় মনোনয়ন পাওয়া। ঘোষণার পর বাগমারার বিভিন্ন এলাকায় তাঁর সমর্থকেরা মিষ্টি বিতরণ, আনন্দ মিছিল ও রাতভর পিকনিক করেছেন।

তবে জিয়াকে মনোনয়ন দেওয়ায় দলীয় অঙ্গনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। কেউ কেউ বলছেন, এতে জামায়াত লাভবান হবে। একজন নেতা-কর্মী ফেসবুকে লিখেছেন, ‘প্রার্থী ঘোষণা করল বিএনপি, মিষ্টি খাচ্ছে জামায়াত।’

আরেকজন লিখেছেন, ‘বাগমারায় বিএনপির প্রার্থী জিয়া, কিন্তু মিষ্টি বিতরণ করেছে অন্য দল, বিষয়টি বুঝলাম না।’ সবচেয়ে আলোচিত পোস্টটি করেছেন লন্ডনপ্রবাসী আকিফ, যিনি বাগমারা বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান রঞ্জুর ছেলে। তিনি পোস্টে লিখেছেন, ‘যে ব্যক্তি দলের নামে প্রতারণা করেছে, তার নামে চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে, সে কীভাবে বিএনপির প্রার্থী হয়?’

এদিকে ডি এম জিয়ার অনুসারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার ভোরে জিয়ার সমর্থকেরা প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর অনুসারী চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হবির মাছের দিঘিতে বিষ দিয়ে কোটি টাকার ক্ষতি করেছেন বলে অভিযোগ। তবে জিয়া অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘ঘটনাটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। কোনো মাছ মরেনি। মাছ মরলে ক্ষতিপূরণ দেব।’

রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনে দলের মনোনয়ন পেয়েছেন অধ্যাপক নজরুল ইসলাম মণ্ডল। তিনিও ২০১৮ সালের নির্বাচনে একই আসনে প্রার্থী ছিলেন। এবারও মনোনয়ন ঘোষণার পর বড় কোনো উল্লাস হয়নি, তবে তাঁর সমর্থকেরা একাধিক স্থানে আতশবাজি করেছেন।

নজরুল ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘ধানের শীষের বিজয়ের জন্য সকলের সহনশীল আচরণ প্রয়োজন।’

রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ। ২০১৮ সালেও তিনি একই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। এবার তাঁর সমর্থকেরা উল্লাস প্রকাশ করেননি। চাঁদ বলেন, ‘দলের স্বার্থে আমাদের সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আনোয়ারায় নছিমন-অটোরিকশা মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১

কর্ণফুলী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি 
দুমড়েমুচড়ে যাওয়া গাড়ি এবং নিহত চালক। ছবি: সংগৃহীত
দুমড়েমুচড়ে যাওয়া গাড়ি এবং নিহত চালক। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় নছিমন ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে গুরুতর আহত সিএনজিচালক মোহাম্মদ নেজাম উদ্দীন (৩২) মারা গেছেন। গতকাল বুধবার রাতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। নিহত নেজাম উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের চুল্লাজামার বাড়ির মো. আনোয়ারের ছেলে।

এর আগে বুধবার সকালে আনোয়ারা-পিএবি সড়কের শোলকাটা রাস্তার মাথা এলাকায় দ্রুতগামী একটি মাছবাহী নছিমনের সঙ্গে সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে অটোরিকশাটি দুমড়েমুচড়ে যায় এবং চালক নেজাম উদ্দীনসহ আরও এক যাত্রী গুরুতর আহত হন।

স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁদেরকে উদ্ধার করে আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। এরপর অবস্থা খারাপের দিকে যাওয়ায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে চালক নেজাম উদ্দীন মারা যান। আহত অপর ব্যক্তির নাম ও পরিচয় এখনো জানা যায়নি।

বিষয়টি নিশ্চিত করে আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনির হোসেন বলেন, দুর্ঘটনাকবলিত গাড়ি জব্দ করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত