জাহিদ হাসান, যশোর

কোথাও কোথাও বিশাল গর্ত, জমে আছে নোংরা পানি। কোথাও হাঁটুসমান কাদায় একাকার, আবার কোথাও কোথাও দেখে বোঝারই উপায় নেই, এটি পাকা সড়ক! মনে হবে যেন চাষ দেওয়া জমি। যানবাহন চলাচল করলে এসব কাদাপানি ছিটকে পড়ছে পথচারীদের গায়ে। কেউবা জুতা খুলে হাঁটুসমান পরনের কাপড় উঁচিয়ে চলছেন। এ দৃশ্য দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ যশোর-খুলনা মহাসড়কের।
এই মহাসড়কের বসুন্দিয়া থেকে চেঙ্গুটিয়া পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার অংশে যান চলাচল হয়ে উঠেছে চরম ঝুঁকিপূর্ণ। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, এ কারণে মহাসড়ককেন্দ্রিক বন্দরগুলোর ব্যবসা-বাণিজ্যে স্থবিরতা নেমে এসেছে।
স্থানীয়রা বলছেন, শত শত গর্ত আর কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টির পর এই সড়ক মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে; বিশেষ করে ভরা মৌসুমে সার সরবরাহ ব্যাহত হওয়ায় কৃষকেরাও ক্ষতির মুখে পড়েছেন। সড়ক বিভাগ বলছে, সংস্কারকাজ চলমান। শেষ হতে দেড় বছর সময় লাগবে।
দেশের বৃহত্তম স্থলবন্দর বেনাপোল, যশোরের নওয়াপাড়া নদীবন্দর, মোংলা বন্দর এবং ভোমরা স্থলবন্দরের সঙ্গে যোগাযোগের প্রধান রুট যশোর-খুলনা মহাসড়ক। প্রতিদিন হাজার হাজার পণ্যবাহী ছোট-বড় যানবাহন এই সড়ক দিয়ে চলাচল করে। সরকার ২০১৭ সালে সড়কটি সম্প্রসারণ ও পুনর্নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। যদিও কাজের মেয়াদ কয়েক দফা বাড়িয়ে ২০২৩ সালে সম্পন্ন হয়, কয়েক মাসের মধ্যে সড়কের বিভিন্ন অংশ ভেঙে পড়ে। এরপর থেকে লাগাতার সংস্কারকাজ চালানো হলেও তার সুফল মিলছে না। বেশির ভাগ সময় এই মহাসড়কে চলতে গিয়ে দুর্ভোগে পড়তে হয়।
অভয়নগর উপজেলার প্রেমবাগ এলাকার বাসিন্দা আব্দুস সবুর বলেন, ‘এ মহাসড়কের পাশেই আমাদের গ্রাম। এ সড়ক ব্যবহার করে আমরা যাতায়াত করি। এখানে দিনরাত ২৪ ঘণ্টা যানবাহন চলাচল করে। ৩-৪ বছর ধরে সড়কটির উন্নয়নকাজ চলমান। তবে একদিকে সংস্কারের কাজ শেষ হতে না হতেই অন্যদিকে সড়ক আবার নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। সম্পূর্ণ সংস্কার না হওয়ার কারণে আমরা এলাকাবাসী অনেক কষ্ট পাচ্ছি। সামনে চেঙ্গুটিয়া বাজারে তিনটি স্কুল ও কলেজ রয়েছে।সড়কের হাঁটুকাদার কারণে শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের সমস্যা হচ্ছে এবং যানবাহন চলাচলও ব্যাহত হচ্ছে।’
ট্রাকচালক নজরুল ইসলাম বলেন, ‘রুপদিয়া থেকে নওয়াপাড়া পর্যন্ত সড়কটি খানাখন্দে ভরা; বিশেষ করে চেঙ্গুটিয়া থেকে বসুন্দিয়া পর্যন্ত অংশটি একেবারেই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। রাস্তায় হাঁটুকাদা সৃষ্টি হওয়ায় গাড়ি নিয়ে চলাচল করা কঠিন হচ্ছে। অনেক গাড়ির এক্সেল ভেঙে আটকে যাচ্ছে। গাড়ি উল্টে রাস্তার পাশে পড়ে যাচ্ছে। প্রতিদিন বাস ও ট্রাক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এই সড়কে ট্রিপ নিলে জ্যামে দু-তিন দিন আটকে থাকতে হয়।’
রাজিব হোসেন নামের এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ‘এই মহাসড়কে ২০২২ সাল থেকে সংস্কারকাজ চলছে। সরকার এখানে কোটি কোটি টাকা খরচ করছে, কিন্তু সঠিকভাবে কাজ হয়নি। বরং দুর্নীতির কারণে সড়কটির সর্বত্র ভাঙা খানাখন্দে ভরে গেছে। সড়কের আশপাশে অনেক শিল্পপ্রতিষ্ঠান, স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা থাকলেও মানুষের চলাচলে ব্যাপক সমস্যা তৈরি হয়েছে। রোগী নিয়ে এই সড়কে যাতায়াত করা মৃত্যুকে আলিঙ্গন করার সমান।’
নওয়াপাড়া শিল্পনগরীর আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান নওয়াপাড়া গ্রুপের ম্যানেজার রাজু আহমেদ বলেন, ‘নওয়াপাড়া শুধু একটি নৌবন্দর নয়, এটি দেশের গুরুত্বপূর্ণ শিল্পনগরীও। এখানকার বন্দরের মাধ্যমে দেশের মোট চাহিদার প্রায় ৭০ শতাংশ আমদানি করা সার খালাস করে বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হয়। ভরা মৌসুমে যশোর-খুলনা মহাসড়কের বেহাল অবস্থার কারণে সার সরবরাহ এখন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে; বিশেষ করে চেঙ্গুটিয়া থেকে বসুন্দিয়া পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার রাস্তা এতটাই খারাপ যে ট্রাকগুলো লোড নিতেই চাইছে না। ফলে আমরা সার সরবরাহ করতে পারছি না।’
নওয়াপাড়া সার, সিমেন্ট ও খাদ্যশস্য ব্যবসায়ী সমিতির নেতা নূরে আলম বাবু বলেন, ‘যশোর-খুলনা মহাসড়কের করুণ অবস্থা টানা বর্ষায় আরও ভয়াবহ হয়ে গেছে। রাস্তা এতটাই নষ্ট হয়েছে যে এখন মালবাহী ট্রাকগুলো চলাচল করতে পারছে না। ফলে নওয়াপাড়া নৌবন্দরকেন্দ্রিক ব্যবসা-বাণিজ্য প্রায় অচল হয়ে পড়েছে। এতে ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছেন। এই সড়ক দ্রুত সংস্কার করে চলাচলের উপযোগী না করলে সার ও খাদ্যশস্য সরবরাহ ব্যাহত হবে। সময়মতো কৃষকের হাতে সার পৌঁছাতে না পারলে তার প্রভাব পড়বে উৎপাদনে, যা থেকে খাদ্যসংকটও দেখা দিতে পারে।’
সড়ক বিভাগের তথ্যমতে, যশোর শহরের পালবাড়ি মোড় থেকে অভয়নগরের রাজঘাট পর্যন্ত ৩৮ কিলোমিটার মহাসড়ক নির্মাণে এরই মধ্যে ৩২১ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। নতুন করে আরও ১৭২ কোটি টাকার কাজ চলমান।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘মহাসড়কের মাটির গুণ খারাপ। আবার ওভারলোড যানবাহন চলাচলের কারণে দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়। বুয়েটের পরামর্শে ঢালাই রাস্তা নির্মাণের কাজ চলছে। চার কিলোমিটার শেষ হয়েছে, ২ দশমিক ৩ কিলোমিটারের কাজ চলছে। আরও ৮ কিলোমিটার ঢালাই রাস্তা করা হবে। সব কাজ শেষ হতে দেড় বছর লাগবে।’

কোথাও কোথাও বিশাল গর্ত, জমে আছে নোংরা পানি। কোথাও হাঁটুসমান কাদায় একাকার, আবার কোথাও কোথাও দেখে বোঝারই উপায় নেই, এটি পাকা সড়ক! মনে হবে যেন চাষ দেওয়া জমি। যানবাহন চলাচল করলে এসব কাদাপানি ছিটকে পড়ছে পথচারীদের গায়ে। কেউবা জুতা খুলে হাঁটুসমান পরনের কাপড় উঁচিয়ে চলছেন। এ দৃশ্য দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ যশোর-খুলনা মহাসড়কের।
এই মহাসড়কের বসুন্দিয়া থেকে চেঙ্গুটিয়া পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার অংশে যান চলাচল হয়ে উঠেছে চরম ঝুঁকিপূর্ণ। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, এ কারণে মহাসড়ককেন্দ্রিক বন্দরগুলোর ব্যবসা-বাণিজ্যে স্থবিরতা নেমে এসেছে।
স্থানীয়রা বলছেন, শত শত গর্ত আর কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টির পর এই সড়ক মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে; বিশেষ করে ভরা মৌসুমে সার সরবরাহ ব্যাহত হওয়ায় কৃষকেরাও ক্ষতির মুখে পড়েছেন। সড়ক বিভাগ বলছে, সংস্কারকাজ চলমান। শেষ হতে দেড় বছর সময় লাগবে।
দেশের বৃহত্তম স্থলবন্দর বেনাপোল, যশোরের নওয়াপাড়া নদীবন্দর, মোংলা বন্দর এবং ভোমরা স্থলবন্দরের সঙ্গে যোগাযোগের প্রধান রুট যশোর-খুলনা মহাসড়ক। প্রতিদিন হাজার হাজার পণ্যবাহী ছোট-বড় যানবাহন এই সড়ক দিয়ে চলাচল করে। সরকার ২০১৭ সালে সড়কটি সম্প্রসারণ ও পুনর্নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। যদিও কাজের মেয়াদ কয়েক দফা বাড়িয়ে ২০২৩ সালে সম্পন্ন হয়, কয়েক মাসের মধ্যে সড়কের বিভিন্ন অংশ ভেঙে পড়ে। এরপর থেকে লাগাতার সংস্কারকাজ চালানো হলেও তার সুফল মিলছে না। বেশির ভাগ সময় এই মহাসড়কে চলতে গিয়ে দুর্ভোগে পড়তে হয়।
অভয়নগর উপজেলার প্রেমবাগ এলাকার বাসিন্দা আব্দুস সবুর বলেন, ‘এ মহাসড়কের পাশেই আমাদের গ্রাম। এ সড়ক ব্যবহার করে আমরা যাতায়াত করি। এখানে দিনরাত ২৪ ঘণ্টা যানবাহন চলাচল করে। ৩-৪ বছর ধরে সড়কটির উন্নয়নকাজ চলমান। তবে একদিকে সংস্কারের কাজ শেষ হতে না হতেই অন্যদিকে সড়ক আবার নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। সম্পূর্ণ সংস্কার না হওয়ার কারণে আমরা এলাকাবাসী অনেক কষ্ট পাচ্ছি। সামনে চেঙ্গুটিয়া বাজারে তিনটি স্কুল ও কলেজ রয়েছে।সড়কের হাঁটুকাদার কারণে শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের সমস্যা হচ্ছে এবং যানবাহন চলাচলও ব্যাহত হচ্ছে।’
ট্রাকচালক নজরুল ইসলাম বলেন, ‘রুপদিয়া থেকে নওয়াপাড়া পর্যন্ত সড়কটি খানাখন্দে ভরা; বিশেষ করে চেঙ্গুটিয়া থেকে বসুন্দিয়া পর্যন্ত অংশটি একেবারেই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। রাস্তায় হাঁটুকাদা সৃষ্টি হওয়ায় গাড়ি নিয়ে চলাচল করা কঠিন হচ্ছে। অনেক গাড়ির এক্সেল ভেঙে আটকে যাচ্ছে। গাড়ি উল্টে রাস্তার পাশে পড়ে যাচ্ছে। প্রতিদিন বাস ও ট্রাক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এই সড়কে ট্রিপ নিলে জ্যামে দু-তিন দিন আটকে থাকতে হয়।’
রাজিব হোসেন নামের এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ‘এই মহাসড়কে ২০২২ সাল থেকে সংস্কারকাজ চলছে। সরকার এখানে কোটি কোটি টাকা খরচ করছে, কিন্তু সঠিকভাবে কাজ হয়নি। বরং দুর্নীতির কারণে সড়কটির সর্বত্র ভাঙা খানাখন্দে ভরে গেছে। সড়কের আশপাশে অনেক শিল্পপ্রতিষ্ঠান, স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা থাকলেও মানুষের চলাচলে ব্যাপক সমস্যা তৈরি হয়েছে। রোগী নিয়ে এই সড়কে যাতায়াত করা মৃত্যুকে আলিঙ্গন করার সমান।’
নওয়াপাড়া শিল্পনগরীর আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান নওয়াপাড়া গ্রুপের ম্যানেজার রাজু আহমেদ বলেন, ‘নওয়াপাড়া শুধু একটি নৌবন্দর নয়, এটি দেশের গুরুত্বপূর্ণ শিল্পনগরীও। এখানকার বন্দরের মাধ্যমে দেশের মোট চাহিদার প্রায় ৭০ শতাংশ আমদানি করা সার খালাস করে বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হয়। ভরা মৌসুমে যশোর-খুলনা মহাসড়কের বেহাল অবস্থার কারণে সার সরবরাহ এখন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে; বিশেষ করে চেঙ্গুটিয়া থেকে বসুন্দিয়া পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার রাস্তা এতটাই খারাপ যে ট্রাকগুলো লোড নিতেই চাইছে না। ফলে আমরা সার সরবরাহ করতে পারছি না।’
নওয়াপাড়া সার, সিমেন্ট ও খাদ্যশস্য ব্যবসায়ী সমিতির নেতা নূরে আলম বাবু বলেন, ‘যশোর-খুলনা মহাসড়কের করুণ অবস্থা টানা বর্ষায় আরও ভয়াবহ হয়ে গেছে। রাস্তা এতটাই নষ্ট হয়েছে যে এখন মালবাহী ট্রাকগুলো চলাচল করতে পারছে না। ফলে নওয়াপাড়া নৌবন্দরকেন্দ্রিক ব্যবসা-বাণিজ্য প্রায় অচল হয়ে পড়েছে। এতে ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছেন। এই সড়ক দ্রুত সংস্কার করে চলাচলের উপযোগী না করলে সার ও খাদ্যশস্য সরবরাহ ব্যাহত হবে। সময়মতো কৃষকের হাতে সার পৌঁছাতে না পারলে তার প্রভাব পড়বে উৎপাদনে, যা থেকে খাদ্যসংকটও দেখা দিতে পারে।’
সড়ক বিভাগের তথ্যমতে, যশোর শহরের পালবাড়ি মোড় থেকে অভয়নগরের রাজঘাট পর্যন্ত ৩৮ কিলোমিটার মহাসড়ক নির্মাণে এরই মধ্যে ৩২১ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। নতুন করে আরও ১৭২ কোটি টাকার কাজ চলমান।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘মহাসড়কের মাটির গুণ খারাপ। আবার ওভারলোড যানবাহন চলাচলের কারণে দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়। বুয়েটের পরামর্শে ঢালাই রাস্তা নির্মাণের কাজ চলছে। চার কিলোমিটার শেষ হয়েছে, ২ দশমিক ৩ কিলোমিটারের কাজ চলছে। আরও ৮ কিলোমিটার ঢালাই রাস্তা করা হবে। সব কাজ শেষ হতে দেড় বছর লাগবে।’

চার কারখানা বন্ধের প্রতিবাদে নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন শ্রমিকেরা। আজ সোমবার ইপিজেডের মূল ফটকের সামনে এ বিক্ষোভ করেন তাঁরা। এ সময় বিক্ষোভকারীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
২ মিনিট আগে
জামালপুর সদর উপজেলায় কাভার্ড ভ্যানচাপায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে পাঁচজনে দাঁড়িয়েছে। এ ঘটনায় শিশুসহ চারজন জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। আজ সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সদর উপজেলার দিকপাইত এলাকায় একটি অটোরিকশাকে চাপা দেয় কাভার্ড ভ্যান। এর আগে বেলা ৩টার দিকে তিনজন নিহতের তথ্য জানিয়েছিল পুলিশ।
৫ মিনিট আগে
তদন্ত কমিটির কাছে নিজের অবস্থান জানানোর পর আরএমও হোসেন ইমাম সিভিল সার্জন কার্যালয় ত্যাগ করার চেষ্টা করলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা তাঁর ওপর চড়াও হয়। এ সময় তাঁকে লক্ষ্য করে ডিম ছুড়ে মারতে দেখা যায়।
১০ মিনিট আগে
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশ পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম। তিনি বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাংলাদেশ পুলিশের জন্য এক চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার সক্ষমতা পুলিশের রয়েছে।
১৮ মিনিট আগেনীলফামারী প্রতিনিধি

চার কারখানা বন্ধের প্রতিবাদে নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন শ্রমিকেরা। আজ সোমবার ইপিজেডের মূল ফটকের সামনে এ বিক্ষোভ করেন তাঁরা। এ সময় বিক্ষোভকারীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
শ্রমিকেরা জানান, কারখানা কর্তৃপক্ষ তাঁদের প্রাপ্য বেতন নিয়মিত পরিশোধ করে না, অতিরিক্ত সময় কাজ করালেও সেই পারিশ্রমিক দেওয়া হয় না। এসব নিয়ে শ্রমিকেরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে নামলে হঠাৎ করে চারটি কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হয়।
জানা যায়, গত শনিবার (২৫ অক্টোবর) থেকে এই চার কারখানার শ্রমিকেরা বিভিন্ন দাবিতে কর্মবিরতি পালন করেন। এরপর গতকাল রোববার উৎপাদন ব্যাহতসহ বিভিন্ন বিশৃঙ্খল কর্মকাণ্ডের কথা উল্লেখ করে দেশবন্ধু টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড, মেইগো বাংলাদেশ লিমিটেড, ইপিএফ প্রিন্টিং লিমিটেড ও সেকশন সেভেন ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।
জানতে চাইলে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম আর সাঈদ বলেন, ‘খবর পেয়ে ইপিজেড এলাকায় আমরা উপস্থিত হই। শ্রমিকদের সঙ্গে শান্তিপূর্ণভাবে কথা বলে তাদের বাড়িতে ফিরে যেতে বলা হয়েছে। কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।’
এ বিষয়ে উত্তরা ইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল জব্বার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা মালিকপক্ষের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে বন্ধ থাকা চারটি কারখানা দ্রুত চালুর চেষ্টা করছি।’

চার কারখানা বন্ধের প্রতিবাদে নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন শ্রমিকেরা। আজ সোমবার ইপিজেডের মূল ফটকের সামনে এ বিক্ষোভ করেন তাঁরা। এ সময় বিক্ষোভকারীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
শ্রমিকেরা জানান, কারখানা কর্তৃপক্ষ তাঁদের প্রাপ্য বেতন নিয়মিত পরিশোধ করে না, অতিরিক্ত সময় কাজ করালেও সেই পারিশ্রমিক দেওয়া হয় না। এসব নিয়ে শ্রমিকেরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে নামলে হঠাৎ করে চারটি কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হয়।
জানা যায়, গত শনিবার (২৫ অক্টোবর) থেকে এই চার কারখানার শ্রমিকেরা বিভিন্ন দাবিতে কর্মবিরতি পালন করেন। এরপর গতকাল রোববার উৎপাদন ব্যাহতসহ বিভিন্ন বিশৃঙ্খল কর্মকাণ্ডের কথা উল্লেখ করে দেশবন্ধু টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড, মেইগো বাংলাদেশ লিমিটেড, ইপিএফ প্রিন্টিং লিমিটেড ও সেকশন সেভেন ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।
জানতে চাইলে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম আর সাঈদ বলেন, ‘খবর পেয়ে ইপিজেড এলাকায় আমরা উপস্থিত হই। শ্রমিকদের সঙ্গে শান্তিপূর্ণভাবে কথা বলে তাদের বাড়িতে ফিরে যেতে বলা হয়েছে। কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।’
এ বিষয়ে উত্তরা ইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল জব্বার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা মালিকপক্ষের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে বন্ধ থাকা চারটি কারখানা দ্রুত চালুর চেষ্টা করছি।’

কোথাও কোথাও বিশাল গর্ত, জমে আছে নোংরা পানি। কোথাও হাঁটুসমান কাদায় একাকার, আবার কোথাও কোথাও দেখে বোঝারই উপায় নেই, এটি পাকা সড়ক! মনে হবে যেন চাষ দেওয়া জমি। যানবাহন চলাচল করলে এসব কাদাপানি ছিটকে পড়ছে পথচারীদের গায়ে। কেউবা জুতা খুলে হাঁটুসমান পরনের কাপড় উঁচিয়ে চলছেন।
১৩ জুলাই ২০২৫
জামালপুর সদর উপজেলায় কাভার্ড ভ্যানচাপায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে পাঁচজনে দাঁড়িয়েছে। এ ঘটনায় শিশুসহ চারজন জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। আজ সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সদর উপজেলার দিকপাইত এলাকায় একটি অটোরিকশাকে চাপা দেয় কাভার্ড ভ্যান। এর আগে বেলা ৩টার দিকে তিনজন নিহতের তথ্য জানিয়েছিল পুলিশ।
৫ মিনিট আগে
তদন্ত কমিটির কাছে নিজের অবস্থান জানানোর পর আরএমও হোসেন ইমাম সিভিল সার্জন কার্যালয় ত্যাগ করার চেষ্টা করলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা তাঁর ওপর চড়াও হয়। এ সময় তাঁকে লক্ষ্য করে ডিম ছুড়ে মারতে দেখা যায়।
১০ মিনিট আগে
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশ পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম। তিনি বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাংলাদেশ পুলিশের জন্য এক চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার সক্ষমতা পুলিশের রয়েছে।
১৮ মিনিট আগেজামালপুর প্রতিনিধি

জামালপুর সদর উপজেলায় কাভার্ড ভ্যানচাপায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে পাঁচজনে দাঁড়িয়েছে। এ ঘটনায় শিশুসহ চারজন জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। আজ সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সদর উপজেলার দিকপাইত এলাকায় একটি অটোরিকশাকে চাপা দেয় কাভার্ড ভ্যান।
নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে চারজনের নাম জানা গেছে। তাঁরা হলেন সরিষাবাড়ী উপজেলার মহাদান ইউনিয়নের সানাকুর এলাকার হায়দার আলীর ছেলে অটোরিকশার যাত্রী রাশেদ (৪০), সদর উপজেলার তিতপল্লা ইউনিয়নের নারায়ণপুর এলাকার ময়েজ উদ্দিনের ছেলে চান মিয়া (৬২), উচ্চগ্রাম এলাকার শরিফ আহাম্মেদের স্ত্রী আরিফা খাতুন (২৮) ও অটোরিকশার চালক তিতপল্লা ইউনিয়নের জাহাঙ্গীর আলম (৪০)। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা এক নারী মারা গেছেন। আরিফা খাতুন জামালপুর সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন।
এর আগে বেলা ৩টার দিকে তিনজন নিহতের তথ্য জানিয়েছিল পুলিশ। পরে আরও দুজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। সর্বশেষ সন্ধ্যা ৬টার দিকে জাহাঙ্গীর আলমের মৃত্যু হয়।
আহত ব্যক্তিরা হলো তিতপল্লা ইউনিয়নের নারায়ণপুর এলাকার চান মিয়ার স্ত্রী সন্ধ্যা বেগম (৫০), দিকপাইত এলাকার চান মিয়ার মেয়ে সাদিকা আক্তার (২৫), একই এলাকার বাদশা মিয়ার মেয়ে ফারজানা বেগম (২২) ও সরিষাবাড়ীর মহাদান ইউনিয়নের উচ্চগ্রামের শরিফ আহাম্মেদের ছেলে আরশ (৫)। আহত শিশু আরশ নিহত আরিফা খাতুনের ছেলে বলে জানা গেছে।
জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুস সাকিব আজকের পত্রিকাকে বলেন, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে একটি কাভার্ড ভ্যান বিপরীত থেকে আসা অটোরিকশাকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই রাশেদ নামের এক যাত্রী নিহত হন। পরে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা এসে আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করান। তাঁদের মধ্যে চারজন মারা গেছেন। বর্তমানে চারজন চিকিৎসাধীন রয়েছে।

জামালপুর সদর উপজেলায় কাভার্ড ভ্যানচাপায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে পাঁচজনে দাঁড়িয়েছে। এ ঘটনায় শিশুসহ চারজন জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। আজ সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সদর উপজেলার দিকপাইত এলাকায় একটি অটোরিকশাকে চাপা দেয় কাভার্ড ভ্যান।
নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে চারজনের নাম জানা গেছে। তাঁরা হলেন সরিষাবাড়ী উপজেলার মহাদান ইউনিয়নের সানাকুর এলাকার হায়দার আলীর ছেলে অটোরিকশার যাত্রী রাশেদ (৪০), সদর উপজেলার তিতপল্লা ইউনিয়নের নারায়ণপুর এলাকার ময়েজ উদ্দিনের ছেলে চান মিয়া (৬২), উচ্চগ্রাম এলাকার শরিফ আহাম্মেদের স্ত্রী আরিফা খাতুন (২৮) ও অটোরিকশার চালক তিতপল্লা ইউনিয়নের জাহাঙ্গীর আলম (৪০)। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা এক নারী মারা গেছেন। আরিফা খাতুন জামালপুর সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন।
এর আগে বেলা ৩টার দিকে তিনজন নিহতের তথ্য জানিয়েছিল পুলিশ। পরে আরও দুজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। সর্বশেষ সন্ধ্যা ৬টার দিকে জাহাঙ্গীর আলমের মৃত্যু হয়।
আহত ব্যক্তিরা হলো তিতপল্লা ইউনিয়নের নারায়ণপুর এলাকার চান মিয়ার স্ত্রী সন্ধ্যা বেগম (৫০), দিকপাইত এলাকার চান মিয়ার মেয়ে সাদিকা আক্তার (২৫), একই এলাকার বাদশা মিয়ার মেয়ে ফারজানা বেগম (২২) ও সরিষাবাড়ীর মহাদান ইউনিয়নের উচ্চগ্রামের শরিফ আহাম্মেদের ছেলে আরশ (৫)। আহত শিশু আরশ নিহত আরিফা খাতুনের ছেলে বলে জানা গেছে।
জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুস সাকিব আজকের পত্রিকাকে বলেন, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে একটি কাভার্ড ভ্যান বিপরীত থেকে আসা অটোরিকশাকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই রাশেদ নামের এক যাত্রী নিহত হন। পরে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা এসে আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করান। তাঁদের মধ্যে চারজন মারা গেছেন। বর্তমানে চারজন চিকিৎসাধীন রয়েছে।

কোথাও কোথাও বিশাল গর্ত, জমে আছে নোংরা পানি। কোথাও হাঁটুসমান কাদায় একাকার, আবার কোথাও কোথাও দেখে বোঝারই উপায় নেই, এটি পাকা সড়ক! মনে হবে যেন চাষ দেওয়া জমি। যানবাহন চলাচল করলে এসব কাদাপানি ছিটকে পড়ছে পথচারীদের গায়ে। কেউবা জুতা খুলে হাঁটুসমান পরনের কাপড় উঁচিয়ে চলছেন।
১৩ জুলাই ২০২৫
চার কারখানা বন্ধের প্রতিবাদে নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন শ্রমিকেরা। আজ সোমবার ইপিজেডের মূল ফটকের সামনে এ বিক্ষোভ করেন তাঁরা। এ সময় বিক্ষোভকারীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
২ মিনিট আগে
তদন্ত কমিটির কাছে নিজের অবস্থান জানানোর পর আরএমও হোসেন ইমাম সিভিল সার্জন কার্যালয় ত্যাগ করার চেষ্টা করলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা তাঁর ওপর চড়াও হয়। এ সময় তাঁকে লক্ষ্য করে ডিম ছুড়ে মারতে দেখা যায়।
১০ মিনিট আগে
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশ পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম। তিনি বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাংলাদেশ পুলিশের জন্য এক চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার সক্ষমতা পুলিশের রয়েছে।
১৮ মিনিট আগেকুষ্টিয়া প্রতিনিধি

কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন কার্যালয়ে বিভিন্ন পদে জনবল নিয়োগ পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগ তদন্ত করতে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও স্বাস্থ্য বিভাগ।
আজ সোমবার দুদক ও স্বাস্থ্য বিভাগের তদন্তকারী দল সিভিল সার্জন কার্যালয়ে গিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে। এদিকে ছাত্র-জনতার ক্ষোভের মুখে কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) হোসেন ইমাম সিভিল কার্যালয়ে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন।
আজ বেলা ১১টার দিকে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় কুষ্টিয়ার পাঁচ সদস্যের দল সিভিল সার্জন কার্যালয়ে যায়। দুপুর ১২টার দিকে স্বাস্থ্য বিভাগের একটি উচ্চপর্যায়ের দল ওই কার্যালয়ে উপস্থিত হয়। এ সময় উভয় দলের সদস্যরা সিভিল সার্জন শেখ মো. কামাল হোসেন, কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের আরএমও হোসেন ইমামসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় দুদক সদস্যরা নিয়োগ পরীক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সিভিল সার্জন কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মোবাইল ফোন জব্দ করেন।
স্বাস্থ্য বিভাগের দলের নেতৃত্ব দেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক খায়ের আহমেদ চৌধুরী। এ ছাড়া দুদকের দলের নেতৃত্বে ছিলেন সমন্বিত জেলা কার্যালয় কুষ্টিয়ার উপপরিচালক মইনুল আহসান রওশনী।
এদিকে তদন্ত কমিটির কাছে নিজের অবস্থান জানানোর পর আরএমও হোসেন ইমাম সিভিল সার্জন কার্যালয় ত্যাগ করার চেষ্টা করলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা তাঁর ওপর চড়াও হয়। এ সময় তাঁকে লক্ষ্য করে ডিম ছুড়ে মারতে দেখা যায়। এই অবস্থায় হোসেন ইমাম আবারও সিভিল সার্জন অফিসে গিয়ে আশ্রয় নেন। বিকেল ৪টা পর্যন্ত তিনি সিভিল সার্জন অফিসের ভেতরেই অবরুদ্ধ ছিলেন। তবে আরএমও হোসেন ইমাম নিয়োগ পরীক্ষায় অনিয়মের ঘটনার সঙ্গে তাঁর সংশ্লিষ্টতার কথা গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে অস্বীকার করেছেন।
জানা গেছে, গত শুক্রবার কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সাতটি ক্যাটাগরিতে ১১৫টি শূন্য পদে নিয়োগ পরীক্ষা হয়। এতে অংশ নেন ১৬ হাজার ৭৮৯ জন পরীক্ষার্থী। কিন্তু পরীক্ষার দিন ভোরে কুষ্টিয়া শহরের একটি বাড়িতে ২৫-৩০ চাকরিপ্রার্থীর রহস্যজনক প্রবেশ ও পরীক্ষার আগমুহূর্তে বের হওয়ার দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। বাড়িটি কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আরএমও হোসেন ইমামের। এ ঘটনার জেরে গত শনিবার দুপুরে নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস, ঘুষ-বাণিজ্য ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন একদল বিক্ষুব্ধ যুবক। এই অবস্থায় ২৫-৩০ জন পরীক্ষার্থীর একটি বাসা থেকে বের হওয়ার ভিডিও ভাইরাল হওয়া প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে চিঠি লেখেন কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন শেখ মো. কামাল হোসেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে নিয়োগ পরীক্ষার ফলাফল সাময়িক স্থগিত করা হয়। পরদিন গতকাল রোববার সকাল থেকেও নিয়োগ পরীক্ষা বাতিলসহ আবার পরীক্ষা নেওয়ার দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে ছাত্র-জনতা। পরে সিভিল সার্জনের আশ্বাসে তারা কর্মসূচি স্থগিত করে।
তদন্ত শেষে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক খায়ের আহমেদ চৌধুরী জানান, তাঁর নেতৃত্বে তিন সদস্যের কমিটি হয়েছে। তিন কার্যদিবসের মধ্যে তাঁরা তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবেন। তিনি আরও জানান, ঘটনার ব্যাপারে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও বিশ্লেষণ করছেন তাঁরা। পাশাপাশি আরএমও হোসেন ইমামের সংশ্লিষ্টতাসহ সবকিছু খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তিনি বলেন, এ মুহূর্তে বিস্তারিত কিছু জানাতে না পারলেও কিছু একটা যে ঘটেছে, সে গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।
দুদকের উপপরিচালক মইনুল আহসান রওশনী জানান, নিয়োগ পরীক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দুজনের মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন নথিপত্র যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।

কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন কার্যালয়ে বিভিন্ন পদে জনবল নিয়োগ পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগ তদন্ত করতে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও স্বাস্থ্য বিভাগ।
আজ সোমবার দুদক ও স্বাস্থ্য বিভাগের তদন্তকারী দল সিভিল সার্জন কার্যালয়ে গিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে। এদিকে ছাত্র-জনতার ক্ষোভের মুখে কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) হোসেন ইমাম সিভিল কার্যালয়ে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন।
আজ বেলা ১১টার দিকে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় কুষ্টিয়ার পাঁচ সদস্যের দল সিভিল সার্জন কার্যালয়ে যায়। দুপুর ১২টার দিকে স্বাস্থ্য বিভাগের একটি উচ্চপর্যায়ের দল ওই কার্যালয়ে উপস্থিত হয়। এ সময় উভয় দলের সদস্যরা সিভিল সার্জন শেখ মো. কামাল হোসেন, কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের আরএমও হোসেন ইমামসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় দুদক সদস্যরা নিয়োগ পরীক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সিভিল সার্জন কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মোবাইল ফোন জব্দ করেন।
স্বাস্থ্য বিভাগের দলের নেতৃত্ব দেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক খায়ের আহমেদ চৌধুরী। এ ছাড়া দুদকের দলের নেতৃত্বে ছিলেন সমন্বিত জেলা কার্যালয় কুষ্টিয়ার উপপরিচালক মইনুল আহসান রওশনী।
এদিকে তদন্ত কমিটির কাছে নিজের অবস্থান জানানোর পর আরএমও হোসেন ইমাম সিভিল সার্জন কার্যালয় ত্যাগ করার চেষ্টা করলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা তাঁর ওপর চড়াও হয়। এ সময় তাঁকে লক্ষ্য করে ডিম ছুড়ে মারতে দেখা যায়। এই অবস্থায় হোসেন ইমাম আবারও সিভিল সার্জন অফিসে গিয়ে আশ্রয় নেন। বিকেল ৪টা পর্যন্ত তিনি সিভিল সার্জন অফিসের ভেতরেই অবরুদ্ধ ছিলেন। তবে আরএমও হোসেন ইমাম নিয়োগ পরীক্ষায় অনিয়মের ঘটনার সঙ্গে তাঁর সংশ্লিষ্টতার কথা গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে অস্বীকার করেছেন।
জানা গেছে, গত শুক্রবার কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সাতটি ক্যাটাগরিতে ১১৫টি শূন্য পদে নিয়োগ পরীক্ষা হয়। এতে অংশ নেন ১৬ হাজার ৭৮৯ জন পরীক্ষার্থী। কিন্তু পরীক্ষার দিন ভোরে কুষ্টিয়া শহরের একটি বাড়িতে ২৫-৩০ চাকরিপ্রার্থীর রহস্যজনক প্রবেশ ও পরীক্ষার আগমুহূর্তে বের হওয়ার দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। বাড়িটি কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আরএমও হোসেন ইমামের। এ ঘটনার জেরে গত শনিবার দুপুরে নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস, ঘুষ-বাণিজ্য ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন একদল বিক্ষুব্ধ যুবক। এই অবস্থায় ২৫-৩০ জন পরীক্ষার্থীর একটি বাসা থেকে বের হওয়ার ভিডিও ভাইরাল হওয়া প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে চিঠি লেখেন কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন শেখ মো. কামাল হোসেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে নিয়োগ পরীক্ষার ফলাফল সাময়িক স্থগিত করা হয়। পরদিন গতকাল রোববার সকাল থেকেও নিয়োগ পরীক্ষা বাতিলসহ আবার পরীক্ষা নেওয়ার দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে ছাত্র-জনতা। পরে সিভিল সার্জনের আশ্বাসে তারা কর্মসূচি স্থগিত করে।
তদন্ত শেষে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক খায়ের আহমেদ চৌধুরী জানান, তাঁর নেতৃত্বে তিন সদস্যের কমিটি হয়েছে। তিন কার্যদিবসের মধ্যে তাঁরা তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবেন। তিনি আরও জানান, ঘটনার ব্যাপারে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও বিশ্লেষণ করছেন তাঁরা। পাশাপাশি আরএমও হোসেন ইমামের সংশ্লিষ্টতাসহ সবকিছু খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তিনি বলেন, এ মুহূর্তে বিস্তারিত কিছু জানাতে না পারলেও কিছু একটা যে ঘটেছে, সে গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।
দুদকের উপপরিচালক মইনুল আহসান রওশনী জানান, নিয়োগ পরীক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দুজনের মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন নথিপত্র যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।

কোথাও কোথাও বিশাল গর্ত, জমে আছে নোংরা পানি। কোথাও হাঁটুসমান কাদায় একাকার, আবার কোথাও কোথাও দেখে বোঝারই উপায় নেই, এটি পাকা সড়ক! মনে হবে যেন চাষ দেওয়া জমি। যানবাহন চলাচল করলে এসব কাদাপানি ছিটকে পড়ছে পথচারীদের গায়ে। কেউবা জুতা খুলে হাঁটুসমান পরনের কাপড় উঁচিয়ে চলছেন।
১৩ জুলাই ২০২৫
চার কারখানা বন্ধের প্রতিবাদে নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন শ্রমিকেরা। আজ সোমবার ইপিজেডের মূল ফটকের সামনে এ বিক্ষোভ করেন তাঁরা। এ সময় বিক্ষোভকারীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
২ মিনিট আগে
জামালপুর সদর উপজেলায় কাভার্ড ভ্যানচাপায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে পাঁচজনে দাঁড়িয়েছে। এ ঘটনায় শিশুসহ চারজন জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। আজ সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সদর উপজেলার দিকপাইত এলাকায় একটি অটোরিকশাকে চাপা দেয় কাভার্ড ভ্যান। এর আগে বেলা ৩টার দিকে তিনজন নিহতের তথ্য জানিয়েছিল পুলিশ।
৫ মিনিট আগে
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশ পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম। তিনি বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাংলাদেশ পুলিশের জন্য এক চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার সক্ষমতা পুলিশের রয়েছে।
১৮ মিনিট আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশ পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম। তিনি বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাংলাদেশ পুলিশের জন্য এক চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার সক্ষমতা পুলিশের রয়েছে।
আজ সোমবার দুপুরে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের ‘হল অব প্রাইড’-এ অনুষ্ঠিত বিশেষ অপরাধ পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন আইজিপি। সভায় ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী, র্যাবের মহাপরিচালক এ কে এম শহিদুর রহমান, স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) প্রধান মো. গোলাম রসুল, অতিরিক্ত আইজি, ঢাকাস্থ বিভিন্ন ইউনিটের প্রধান, সব পুলিশ কমিশনার ও রেঞ্জ ডিআইজিরা উপস্থিত ছিলেন।
এতে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন দেশের সব জেলা পুলিশ সুপার। সভায় অতিরিক্ত আইজি (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) খোন্দকার রফিকুল ইসলাম দেশের সামগ্রিক আইনশৃঙ্খলা ও অপরাধ পরিস্থিতির চিত্র উপস্থাপন করেন।
আইজিপি বাহারুল আলম বলেন, অতীতে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পুলিশ সম্পর্কে জনমনে যে নেতিবাচক ইমেজ তৈরি হয়েছে, তা থেকে বেরিয়ে আসার একটা বড় সুযোগ আগামী নির্বাচন। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে জনগণের আস্থা অর্জনে সবাইকে সচেষ্ট থাকতে হবে।
আইজিপি বাহারুল আলম আরও বলেন, নির্বাচন সামনে রেখে পুলিশের হারানো বা লুণ্ঠিত অস্ত্র উদ্ধারে তৎপরতা জোরদার করতে হবে। এ ক্ষেত্রে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং অস্ত্র উদ্ধারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘোষিত পুরস্কার সম্পর্কে প্রচারণা বাড়াতে হবে। ইউনিটপ্রধানদের চলমান নির্বাচনী প্রশিক্ষণ নিবিড়ভাবে তদারকিসহ হয়রানিবিহীনভাবে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট সময়মতো প্রদান নিশ্চিত করতে জেলা পুলিশ সুপারদের আহ্বান জানান আইজিপি।
গুম কমিশনে করা অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা ও মামলা করার নির্দেশ দেন আইজিপি। একই সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন থেকে উদ্ভূত মামলাগুলো বিশেষ গুরুত্বসহ তদন্ত ও দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন।
আইজিপি মামলা তদন্তের গুণগত মান উন্নয়নের ওপরও জোর দেন। সভায় উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তারা এবং অনলাইনে যুক্ত জেলা পুলিশ সুপাররা প্রশাসনিক ও অপারেশনাল নানা বিষয়ে পুলিশের সর্বোচ্চ কর্মকর্তার সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশ পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম। তিনি বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাংলাদেশ পুলিশের জন্য এক চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার সক্ষমতা পুলিশের রয়েছে।
আজ সোমবার দুপুরে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের ‘হল অব প্রাইড’-এ অনুষ্ঠিত বিশেষ অপরাধ পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন আইজিপি। সভায় ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী, র্যাবের মহাপরিচালক এ কে এম শহিদুর রহমান, স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) প্রধান মো. গোলাম রসুল, অতিরিক্ত আইজি, ঢাকাস্থ বিভিন্ন ইউনিটের প্রধান, সব পুলিশ কমিশনার ও রেঞ্জ ডিআইজিরা উপস্থিত ছিলেন।
এতে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন দেশের সব জেলা পুলিশ সুপার। সভায় অতিরিক্ত আইজি (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) খোন্দকার রফিকুল ইসলাম দেশের সামগ্রিক আইনশৃঙ্খলা ও অপরাধ পরিস্থিতির চিত্র উপস্থাপন করেন।
আইজিপি বাহারুল আলম বলেন, অতীতে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পুলিশ সম্পর্কে জনমনে যে নেতিবাচক ইমেজ তৈরি হয়েছে, তা থেকে বেরিয়ে আসার একটা বড় সুযোগ আগামী নির্বাচন। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে জনগণের আস্থা অর্জনে সবাইকে সচেষ্ট থাকতে হবে।
আইজিপি বাহারুল আলম আরও বলেন, নির্বাচন সামনে রেখে পুলিশের হারানো বা লুণ্ঠিত অস্ত্র উদ্ধারে তৎপরতা জোরদার করতে হবে। এ ক্ষেত্রে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং অস্ত্র উদ্ধারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘোষিত পুরস্কার সম্পর্কে প্রচারণা বাড়াতে হবে। ইউনিটপ্রধানদের চলমান নির্বাচনী প্রশিক্ষণ নিবিড়ভাবে তদারকিসহ হয়রানিবিহীনভাবে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট সময়মতো প্রদান নিশ্চিত করতে জেলা পুলিশ সুপারদের আহ্বান জানান আইজিপি।
গুম কমিশনে করা অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা ও মামলা করার নির্দেশ দেন আইজিপি। একই সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন থেকে উদ্ভূত মামলাগুলো বিশেষ গুরুত্বসহ তদন্ত ও দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন।
আইজিপি মামলা তদন্তের গুণগত মান উন্নয়নের ওপরও জোর দেন। সভায় উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তারা এবং অনলাইনে যুক্ত জেলা পুলিশ সুপাররা প্রশাসনিক ও অপারেশনাল নানা বিষয়ে পুলিশের সর্বোচ্চ কর্মকর্তার সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

কোথাও কোথাও বিশাল গর্ত, জমে আছে নোংরা পানি। কোথাও হাঁটুসমান কাদায় একাকার, আবার কোথাও কোথাও দেখে বোঝারই উপায় নেই, এটি পাকা সড়ক! মনে হবে যেন চাষ দেওয়া জমি। যানবাহন চলাচল করলে এসব কাদাপানি ছিটকে পড়ছে পথচারীদের গায়ে। কেউবা জুতা খুলে হাঁটুসমান পরনের কাপড় উঁচিয়ে চলছেন।
১৩ জুলাই ২০২৫
চার কারখানা বন্ধের প্রতিবাদে নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন শ্রমিকেরা। আজ সোমবার ইপিজেডের মূল ফটকের সামনে এ বিক্ষোভ করেন তাঁরা। এ সময় বিক্ষোভকারীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
২ মিনিট আগে
জামালপুর সদর উপজেলায় কাভার্ড ভ্যানচাপায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে পাঁচজনে দাঁড়িয়েছে। এ ঘটনায় শিশুসহ চারজন জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। আজ সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সদর উপজেলার দিকপাইত এলাকায় একটি অটোরিকশাকে চাপা দেয় কাভার্ড ভ্যান। এর আগে বেলা ৩টার দিকে তিনজন নিহতের তথ্য জানিয়েছিল পুলিশ।
৫ মিনিট আগে
তদন্ত কমিটির কাছে নিজের অবস্থান জানানোর পর আরএমও হোসেন ইমাম সিভিল সার্জন কার্যালয় ত্যাগ করার চেষ্টা করলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা তাঁর ওপর চড়াও হয়। এ সময় তাঁকে লক্ষ্য করে ডিম ছুড়ে মারতে দেখা যায়।
১০ মিনিট আগে