রাতুল মণ্ডল, শ্রীপুর

২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে বাংলা ভাষার প্রতি ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন ব্রিটিশ নাগরিক প্যাট্রিসিয়া অ্যান ভিভিয়ান কার। ব্রিটিশ এই নারী রং-তুলির আঁচড়ে নিজ হাতে লিখেছেন বাংলা বর্ণমালা অ, আ, ক, খ। ব্রিটিশ নারী প্যাট্রিসিয়া অ্যান আলপনা অলংকরণের মাধ্যমে ভাষাশহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন। সম্মান জানিয়েছেন বাংলা ভাষাকে। তাঁর অম্লান ভালোবাসা বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির ওপর। এ জন্য তিনি বাংলা ভাষা শিখেছেন বলে জানিয়েছেন।
প্যাট্রিসিয়া অ্যান ভিভিয়ান কারের (৮০) বাবার নাম হ্যারাল্ড রবার্ট কার। তিনি ইংল্যান্ডের ওয়েলস প্রদেশের বাসিন্দা ছিলেন। তিনি ২০১৭ সালে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পেয়ে গাজীপুরের শ্রীপুরের তেলিহাটি ইউনিয়নে শিশুপল্লি প্লাস নামে শিশু ও মায়ের আশ্রয় ও পুনর্বাসন কেন্দ্র তৈরি করেন। বর্তমানে এখানে প্রায় ৪০০ মা ও শিশু রয়েছে।
ব্রিটিশ নাগরিক প্যাট্রিসিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাংলা ভাষার প্রতি আলাদা আগ্রহ নিয়ে শিশুপল্লি প্লাসের শিশুদের আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের চেতনা ধারণ করতে অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করে থাকি। এখানের অনাথ শিশুরা যাতে তাদের নিজস্ব চেতনা ধারণ করতে পারে। বাংলা ভাষার প্রতি আমার দরদ প্রকাশের মাধ্যম এটি বলতে পারেন। শিশুদের নিয়ে বাংলা বর্ণমালা শিখছি, লিখছি। বিভিন্ন ধরনের চিত্রাঙ্কনে অংশ নিয়েছে শিশুরা। আমিও শিশুদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছি।’
জানা গেছে, ব্রিটিশ নাগরিক প্যাট্রিসিয়া অ্যান ভিভিয়ান কারের বাবা বিমানবাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ছিলেন। সেই সুবাদে শখের বশে বিমানবাহিনীর ক্রু হিসেবে চাকরিতে যোগদান করেন। এরপর থেকে শুরু পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে যাতায়াত। ১৯৮৬ সালে একটি ফ্লাইট দুদিন বিলম্ব হয়। এমন খবর নিশ্চিত হয়ে প্যাট্রিসিয়া অ্যান ভিভিয়ান কার বেরিয়ে পড়েন ঢাকা শহর ঘুরে দেখতে। হঠাৎ তাঁর চোখে পড়ে ফ্যামিলি ফোর চিলড্রেন লিখা একটি সাইনবোর্ড। সাইনবোর্ডটি ঢাকার ফার্মগেট এলাকায়। ভেতরে প্রবেশ করে অনাথ শিশুদের সঙ্গে তাঁর কথা হয় দীর্ঘ সময়। তাদের সুযোগ-সুবিধার কথা জানতে চান কর্তৃপক্ষের কাছে। এরপর থেকে এসব অনাথ এতিম আশ্রয়হীন শিশুর জন্য কিছু করার ইচ্ছা মনের ভেতর পুষেন তিনি। এরপর নিজ দেশে গিয়ে তাঁর স্বজন ও বন্ধুদের কাছে তাদের বিষয়ে জানিয়ে সহযোগিতা চান।
এভাবেই শিশুদের জন্য অর্থনৈতিকভাবে সহায়তার হাত বাড়ান এই ব্রিটিশ নারী। অর্থনৈতিক সহযোগিতা করতে থাকেন ফ্যামিলি ফোর চিলড্রেন নামে প্রতিষ্ঠানকে। তাতেও তিনি তেমনভাবে মনে প্রশান্তি না পেয়ে নিজেই অনাথ এতিম আশ্রয়হীন শিশুদের জন্য কিছু করার চেষ্টা করেন। এরপর ফ্যামিলি ফোর চিলড্রেনের কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় গাজীপুরের শ্রীপুর তেলিহাটি ইউনিয়নের টেংরা গ্রামে ১৯৮৯ সালে ১৭ একর জমির ওপর নির্মাণ করেন বিশাল শিশুপল্লি প্লাস নামে শিশু ও মায়ের আশ্রয় ও পুনর্বাসন কেন্দ্র।
প্রতিষ্ঠার পর থেকে সারা দেশের হাজার হাজার অনাথ এতিম আশ্রয়হীন শিশু ও মায়ের লেখাপড়া, কারিগরি শিক্ষা, বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দিয়ে পুনর্বাসন কার্যক্রম শুরু হয় এই প্রতিষ্ঠানে। সমাজের অনাথ এতিম আশ্রয়হীন শিশু এবং স্বামী পরিত্যক্ত নারীদের আশ্রয়স্থল একমাত্র ঠিকানা হয়ে ওঠে শিশুপল্লি প্লাস। মানবসেবায় তার হাতকে আরও বেশি প্রসারিত করতে থাকেন ব্রিটিশ নারী প্যাট্রিসিয়া অ্যান ভিভিয়ান কার। এভাবেই অনাথ শিশু ও নারীদের জন্য আলোর পথ দেখানোর স্বপ্নের সারথি হয়ে ওঠেন এই ব্রিটিশ নাগরিক। ২০১৭ সালে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব লাভ করেন ব্রিটিশ নাগরিক প্যাট্রিসিয়া অ্যান ভিভিয়ান কার।
শিশুপল্লি প্লাসের রেসিডেন্ট আর্টিস্ট মিলন রব আজকের পত্রিকাকে জানান, শিশুপল্লি প্লাসের প্রতিষ্ঠাতা প্যাট্রিসিয়ার বাংলা ভাষার প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা রয়েছে। সেজন্য শিশুদের সঙ্গে মিশে অল্প অল্প করে বাংলা ভাষা শিখেছেন তিনি। আজ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে সকল আচার-অনুষ্ঠানে নিজে অংশ নিয়েছেন। রং তুলিতে লিখেছেন আমাদের বাংলা বর্ণমালা।

২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে বাংলা ভাষার প্রতি ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন ব্রিটিশ নাগরিক প্যাট্রিসিয়া অ্যান ভিভিয়ান কার। ব্রিটিশ এই নারী রং-তুলির আঁচড়ে নিজ হাতে লিখেছেন বাংলা বর্ণমালা অ, আ, ক, খ। ব্রিটিশ নারী প্যাট্রিসিয়া অ্যান আলপনা অলংকরণের মাধ্যমে ভাষাশহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন। সম্মান জানিয়েছেন বাংলা ভাষাকে। তাঁর অম্লান ভালোবাসা বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির ওপর। এ জন্য তিনি বাংলা ভাষা শিখেছেন বলে জানিয়েছেন।
প্যাট্রিসিয়া অ্যান ভিভিয়ান কারের (৮০) বাবার নাম হ্যারাল্ড রবার্ট কার। তিনি ইংল্যান্ডের ওয়েলস প্রদেশের বাসিন্দা ছিলেন। তিনি ২০১৭ সালে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পেয়ে গাজীপুরের শ্রীপুরের তেলিহাটি ইউনিয়নে শিশুপল্লি প্লাস নামে শিশু ও মায়ের আশ্রয় ও পুনর্বাসন কেন্দ্র তৈরি করেন। বর্তমানে এখানে প্রায় ৪০০ মা ও শিশু রয়েছে।
ব্রিটিশ নাগরিক প্যাট্রিসিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাংলা ভাষার প্রতি আলাদা আগ্রহ নিয়ে শিশুপল্লি প্লাসের শিশুদের আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের চেতনা ধারণ করতে অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করে থাকি। এখানের অনাথ শিশুরা যাতে তাদের নিজস্ব চেতনা ধারণ করতে পারে। বাংলা ভাষার প্রতি আমার দরদ প্রকাশের মাধ্যম এটি বলতে পারেন। শিশুদের নিয়ে বাংলা বর্ণমালা শিখছি, লিখছি। বিভিন্ন ধরনের চিত্রাঙ্কনে অংশ নিয়েছে শিশুরা। আমিও শিশুদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছি।’
জানা গেছে, ব্রিটিশ নাগরিক প্যাট্রিসিয়া অ্যান ভিভিয়ান কারের বাবা বিমানবাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ছিলেন। সেই সুবাদে শখের বশে বিমানবাহিনীর ক্রু হিসেবে চাকরিতে যোগদান করেন। এরপর থেকে শুরু পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে যাতায়াত। ১৯৮৬ সালে একটি ফ্লাইট দুদিন বিলম্ব হয়। এমন খবর নিশ্চিত হয়ে প্যাট্রিসিয়া অ্যান ভিভিয়ান কার বেরিয়ে পড়েন ঢাকা শহর ঘুরে দেখতে। হঠাৎ তাঁর চোখে পড়ে ফ্যামিলি ফোর চিলড্রেন লিখা একটি সাইনবোর্ড। সাইনবোর্ডটি ঢাকার ফার্মগেট এলাকায়। ভেতরে প্রবেশ করে অনাথ শিশুদের সঙ্গে তাঁর কথা হয় দীর্ঘ সময়। তাদের সুযোগ-সুবিধার কথা জানতে চান কর্তৃপক্ষের কাছে। এরপর থেকে এসব অনাথ এতিম আশ্রয়হীন শিশুর জন্য কিছু করার ইচ্ছা মনের ভেতর পুষেন তিনি। এরপর নিজ দেশে গিয়ে তাঁর স্বজন ও বন্ধুদের কাছে তাদের বিষয়ে জানিয়ে সহযোগিতা চান।
এভাবেই শিশুদের জন্য অর্থনৈতিকভাবে সহায়তার হাত বাড়ান এই ব্রিটিশ নারী। অর্থনৈতিক সহযোগিতা করতে থাকেন ফ্যামিলি ফোর চিলড্রেন নামে প্রতিষ্ঠানকে। তাতেও তিনি তেমনভাবে মনে প্রশান্তি না পেয়ে নিজেই অনাথ এতিম আশ্রয়হীন শিশুদের জন্য কিছু করার চেষ্টা করেন। এরপর ফ্যামিলি ফোর চিলড্রেনের কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় গাজীপুরের শ্রীপুর তেলিহাটি ইউনিয়নের টেংরা গ্রামে ১৯৮৯ সালে ১৭ একর জমির ওপর নির্মাণ করেন বিশাল শিশুপল্লি প্লাস নামে শিশু ও মায়ের আশ্রয় ও পুনর্বাসন কেন্দ্র।
প্রতিষ্ঠার পর থেকে সারা দেশের হাজার হাজার অনাথ এতিম আশ্রয়হীন শিশু ও মায়ের লেখাপড়া, কারিগরি শিক্ষা, বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দিয়ে পুনর্বাসন কার্যক্রম শুরু হয় এই প্রতিষ্ঠানে। সমাজের অনাথ এতিম আশ্রয়হীন শিশু এবং স্বামী পরিত্যক্ত নারীদের আশ্রয়স্থল একমাত্র ঠিকানা হয়ে ওঠে শিশুপল্লি প্লাস। মানবসেবায় তার হাতকে আরও বেশি প্রসারিত করতে থাকেন ব্রিটিশ নারী প্যাট্রিসিয়া অ্যান ভিভিয়ান কার। এভাবেই অনাথ শিশু ও নারীদের জন্য আলোর পথ দেখানোর স্বপ্নের সারথি হয়ে ওঠেন এই ব্রিটিশ নাগরিক। ২০১৭ সালে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব লাভ করেন ব্রিটিশ নাগরিক প্যাট্রিসিয়া অ্যান ভিভিয়ান কার।
শিশুপল্লি প্লাসের রেসিডেন্ট আর্টিস্ট মিলন রব আজকের পত্রিকাকে জানান, শিশুপল্লি প্লাসের প্রতিষ্ঠাতা প্যাট্রিসিয়ার বাংলা ভাষার প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা রয়েছে। সেজন্য শিশুদের সঙ্গে মিশে অল্প অল্প করে বাংলা ভাষা শিখেছেন তিনি। আজ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে সকল আচার-অনুষ্ঠানে নিজে অংশ নিয়েছেন। রং তুলিতে লিখেছেন আমাদের বাংলা বর্ণমালা।
রাতুল মণ্ডল, শ্রীপুর

২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে বাংলা ভাষার প্রতি ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন ব্রিটিশ নাগরিক প্যাট্রিসিয়া অ্যান ভিভিয়ান কার। ব্রিটিশ এই নারী রং-তুলির আঁচড়ে নিজ হাতে লিখেছেন বাংলা বর্ণমালা অ, আ, ক, খ। ব্রিটিশ নারী প্যাট্রিসিয়া অ্যান আলপনা অলংকরণের মাধ্যমে ভাষাশহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন। সম্মান জানিয়েছেন বাংলা ভাষাকে। তাঁর অম্লান ভালোবাসা বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির ওপর। এ জন্য তিনি বাংলা ভাষা শিখেছেন বলে জানিয়েছেন।
প্যাট্রিসিয়া অ্যান ভিভিয়ান কারের (৮০) বাবার নাম হ্যারাল্ড রবার্ট কার। তিনি ইংল্যান্ডের ওয়েলস প্রদেশের বাসিন্দা ছিলেন। তিনি ২০১৭ সালে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পেয়ে গাজীপুরের শ্রীপুরের তেলিহাটি ইউনিয়নে শিশুপল্লি প্লাস নামে শিশু ও মায়ের আশ্রয় ও পুনর্বাসন কেন্দ্র তৈরি করেন। বর্তমানে এখানে প্রায় ৪০০ মা ও শিশু রয়েছে।
ব্রিটিশ নাগরিক প্যাট্রিসিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাংলা ভাষার প্রতি আলাদা আগ্রহ নিয়ে শিশুপল্লি প্লাসের শিশুদের আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের চেতনা ধারণ করতে অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করে থাকি। এখানের অনাথ শিশুরা যাতে তাদের নিজস্ব চেতনা ধারণ করতে পারে। বাংলা ভাষার প্রতি আমার দরদ প্রকাশের মাধ্যম এটি বলতে পারেন। শিশুদের নিয়ে বাংলা বর্ণমালা শিখছি, লিখছি। বিভিন্ন ধরনের চিত্রাঙ্কনে অংশ নিয়েছে শিশুরা। আমিও শিশুদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছি।’
জানা গেছে, ব্রিটিশ নাগরিক প্যাট্রিসিয়া অ্যান ভিভিয়ান কারের বাবা বিমানবাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ছিলেন। সেই সুবাদে শখের বশে বিমানবাহিনীর ক্রু হিসেবে চাকরিতে যোগদান করেন। এরপর থেকে শুরু পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে যাতায়াত। ১৯৮৬ সালে একটি ফ্লাইট দুদিন বিলম্ব হয়। এমন খবর নিশ্চিত হয়ে প্যাট্রিসিয়া অ্যান ভিভিয়ান কার বেরিয়ে পড়েন ঢাকা শহর ঘুরে দেখতে। হঠাৎ তাঁর চোখে পড়ে ফ্যামিলি ফোর চিলড্রেন লিখা একটি সাইনবোর্ড। সাইনবোর্ডটি ঢাকার ফার্মগেট এলাকায়। ভেতরে প্রবেশ করে অনাথ শিশুদের সঙ্গে তাঁর কথা হয় দীর্ঘ সময়। তাদের সুযোগ-সুবিধার কথা জানতে চান কর্তৃপক্ষের কাছে। এরপর থেকে এসব অনাথ এতিম আশ্রয়হীন শিশুর জন্য কিছু করার ইচ্ছা মনের ভেতর পুষেন তিনি। এরপর নিজ দেশে গিয়ে তাঁর স্বজন ও বন্ধুদের কাছে তাদের বিষয়ে জানিয়ে সহযোগিতা চান।
এভাবেই শিশুদের জন্য অর্থনৈতিকভাবে সহায়তার হাত বাড়ান এই ব্রিটিশ নারী। অর্থনৈতিক সহযোগিতা করতে থাকেন ফ্যামিলি ফোর চিলড্রেন নামে প্রতিষ্ঠানকে। তাতেও তিনি তেমনভাবে মনে প্রশান্তি না পেয়ে নিজেই অনাথ এতিম আশ্রয়হীন শিশুদের জন্য কিছু করার চেষ্টা করেন। এরপর ফ্যামিলি ফোর চিলড্রেনের কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় গাজীপুরের শ্রীপুর তেলিহাটি ইউনিয়নের টেংরা গ্রামে ১৯৮৯ সালে ১৭ একর জমির ওপর নির্মাণ করেন বিশাল শিশুপল্লি প্লাস নামে শিশু ও মায়ের আশ্রয় ও পুনর্বাসন কেন্দ্র।
প্রতিষ্ঠার পর থেকে সারা দেশের হাজার হাজার অনাথ এতিম আশ্রয়হীন শিশু ও মায়ের লেখাপড়া, কারিগরি শিক্ষা, বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দিয়ে পুনর্বাসন কার্যক্রম শুরু হয় এই প্রতিষ্ঠানে। সমাজের অনাথ এতিম আশ্রয়হীন শিশু এবং স্বামী পরিত্যক্ত নারীদের আশ্রয়স্থল একমাত্র ঠিকানা হয়ে ওঠে শিশুপল্লি প্লাস। মানবসেবায় তার হাতকে আরও বেশি প্রসারিত করতে থাকেন ব্রিটিশ নারী প্যাট্রিসিয়া অ্যান ভিভিয়ান কার। এভাবেই অনাথ শিশু ও নারীদের জন্য আলোর পথ দেখানোর স্বপ্নের সারথি হয়ে ওঠেন এই ব্রিটিশ নাগরিক। ২০১৭ সালে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব লাভ করেন ব্রিটিশ নাগরিক প্যাট্রিসিয়া অ্যান ভিভিয়ান কার।
শিশুপল্লি প্লাসের রেসিডেন্ট আর্টিস্ট মিলন রব আজকের পত্রিকাকে জানান, শিশুপল্লি প্লাসের প্রতিষ্ঠাতা প্যাট্রিসিয়ার বাংলা ভাষার প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা রয়েছে। সেজন্য শিশুদের সঙ্গে মিশে অল্প অল্প করে বাংলা ভাষা শিখেছেন তিনি। আজ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে সকল আচার-অনুষ্ঠানে নিজে অংশ নিয়েছেন। রং তুলিতে লিখেছেন আমাদের বাংলা বর্ণমালা।

২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে বাংলা ভাষার প্রতি ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন ব্রিটিশ নাগরিক প্যাট্রিসিয়া অ্যান ভিভিয়ান কার। ব্রিটিশ এই নারী রং-তুলির আঁচড়ে নিজ হাতে লিখেছেন বাংলা বর্ণমালা অ, আ, ক, খ। ব্রিটিশ নারী প্যাট্রিসিয়া অ্যান আলপনা অলংকরণের মাধ্যমে ভাষাশহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন। সম্মান জানিয়েছেন বাংলা ভাষাকে। তাঁর অম্লান ভালোবাসা বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির ওপর। এ জন্য তিনি বাংলা ভাষা শিখেছেন বলে জানিয়েছেন।
প্যাট্রিসিয়া অ্যান ভিভিয়ান কারের (৮০) বাবার নাম হ্যারাল্ড রবার্ট কার। তিনি ইংল্যান্ডের ওয়েলস প্রদেশের বাসিন্দা ছিলেন। তিনি ২০১৭ সালে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পেয়ে গাজীপুরের শ্রীপুরের তেলিহাটি ইউনিয়নে শিশুপল্লি প্লাস নামে শিশু ও মায়ের আশ্রয় ও পুনর্বাসন কেন্দ্র তৈরি করেন। বর্তমানে এখানে প্রায় ৪০০ মা ও শিশু রয়েছে।
ব্রিটিশ নাগরিক প্যাট্রিসিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাংলা ভাষার প্রতি আলাদা আগ্রহ নিয়ে শিশুপল্লি প্লাসের শিশুদের আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের চেতনা ধারণ করতে অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করে থাকি। এখানের অনাথ শিশুরা যাতে তাদের নিজস্ব চেতনা ধারণ করতে পারে। বাংলা ভাষার প্রতি আমার দরদ প্রকাশের মাধ্যম এটি বলতে পারেন। শিশুদের নিয়ে বাংলা বর্ণমালা শিখছি, লিখছি। বিভিন্ন ধরনের চিত্রাঙ্কনে অংশ নিয়েছে শিশুরা। আমিও শিশুদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছি।’
জানা গেছে, ব্রিটিশ নাগরিক প্যাট্রিসিয়া অ্যান ভিভিয়ান কারের বাবা বিমানবাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ছিলেন। সেই সুবাদে শখের বশে বিমানবাহিনীর ক্রু হিসেবে চাকরিতে যোগদান করেন। এরপর থেকে শুরু পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে যাতায়াত। ১৯৮৬ সালে একটি ফ্লাইট দুদিন বিলম্ব হয়। এমন খবর নিশ্চিত হয়ে প্যাট্রিসিয়া অ্যান ভিভিয়ান কার বেরিয়ে পড়েন ঢাকা শহর ঘুরে দেখতে। হঠাৎ তাঁর চোখে পড়ে ফ্যামিলি ফোর চিলড্রেন লিখা একটি সাইনবোর্ড। সাইনবোর্ডটি ঢাকার ফার্মগেট এলাকায়। ভেতরে প্রবেশ করে অনাথ শিশুদের সঙ্গে তাঁর কথা হয় দীর্ঘ সময়। তাদের সুযোগ-সুবিধার কথা জানতে চান কর্তৃপক্ষের কাছে। এরপর থেকে এসব অনাথ এতিম আশ্রয়হীন শিশুর জন্য কিছু করার ইচ্ছা মনের ভেতর পুষেন তিনি। এরপর নিজ দেশে গিয়ে তাঁর স্বজন ও বন্ধুদের কাছে তাদের বিষয়ে জানিয়ে সহযোগিতা চান।
এভাবেই শিশুদের জন্য অর্থনৈতিকভাবে সহায়তার হাত বাড়ান এই ব্রিটিশ নারী। অর্থনৈতিক সহযোগিতা করতে থাকেন ফ্যামিলি ফোর চিলড্রেন নামে প্রতিষ্ঠানকে। তাতেও তিনি তেমনভাবে মনে প্রশান্তি না পেয়ে নিজেই অনাথ এতিম আশ্রয়হীন শিশুদের জন্য কিছু করার চেষ্টা করেন। এরপর ফ্যামিলি ফোর চিলড্রেনের কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় গাজীপুরের শ্রীপুর তেলিহাটি ইউনিয়নের টেংরা গ্রামে ১৯৮৯ সালে ১৭ একর জমির ওপর নির্মাণ করেন বিশাল শিশুপল্লি প্লাস নামে শিশু ও মায়ের আশ্রয় ও পুনর্বাসন কেন্দ্র।
প্রতিষ্ঠার পর থেকে সারা দেশের হাজার হাজার অনাথ এতিম আশ্রয়হীন শিশু ও মায়ের লেখাপড়া, কারিগরি শিক্ষা, বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দিয়ে পুনর্বাসন কার্যক্রম শুরু হয় এই প্রতিষ্ঠানে। সমাজের অনাথ এতিম আশ্রয়হীন শিশু এবং স্বামী পরিত্যক্ত নারীদের আশ্রয়স্থল একমাত্র ঠিকানা হয়ে ওঠে শিশুপল্লি প্লাস। মানবসেবায় তার হাতকে আরও বেশি প্রসারিত করতে থাকেন ব্রিটিশ নারী প্যাট্রিসিয়া অ্যান ভিভিয়ান কার। এভাবেই অনাথ শিশু ও নারীদের জন্য আলোর পথ দেখানোর স্বপ্নের সারথি হয়ে ওঠেন এই ব্রিটিশ নাগরিক। ২০১৭ সালে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব লাভ করেন ব্রিটিশ নাগরিক প্যাট্রিসিয়া অ্যান ভিভিয়ান কার।
শিশুপল্লি প্লাসের রেসিডেন্ট আর্টিস্ট মিলন রব আজকের পত্রিকাকে জানান, শিশুপল্লি প্লাসের প্রতিষ্ঠাতা প্যাট্রিসিয়ার বাংলা ভাষার প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা রয়েছে। সেজন্য শিশুদের সঙ্গে মিশে অল্প অল্প করে বাংলা ভাষা শিখেছেন তিনি। আজ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে সকল আচার-অনুষ্ঠানে নিজে অংশ নিয়েছেন। রং তুলিতে লিখেছেন আমাদের বাংলা বর্ণমালা।

রাষ্ট্রপক্ষে মহানগর অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) শামসুদ্দোহা চৌধুরী সুমন জামিনের বিরোধিতা করেন। তিনি আদালতকে বলেন, বর্ষার কারণেই খুন হয়েছেন জোবায়েদ। বর্ষা ও ‘তাঁর প্রেমিক’ মো. মাহির রহমান ও মাহিরের বন্ধু ফারদীন আহম্মেদ আয়নাল খুনের দায় স্বীকার করে গত ২১ অক্টোবর আদালতে
১০ মিনিট আগে
চট্টগ্রামে অস্ত্র আইনে ১০ বছর আগের একটি মামলায় মো. আবদুর রহিম (৫০) নামে এক আসামিকে ১৭ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) চতুর্থ অতিরিক্ত চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ বেগম সিরাজাম মুনীরার আদালত আসামির উপস্থিতিতে এ রায় দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি চান্দগাঁও থানার হামিদচর এলাকার বাসিন্দা।
১১ মিনিট আগে
ময়মনসিংহ ও নেত্রকোনার খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের বদলি ও পদায়ন-বাণিজ্য নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর সারা দেশে গুদামের কর্মকর্তাদের বদলি ও পদায়ন অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য স্থগিত করেছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। পাশাপাশি নীতিমালা লঙ্ঘন করে বদলি ও পদায়ন-বাণিজ্যের বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জ
১৭ মিনিট আগে
দীর্ঘ ৩৬ বছর ধরে নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার ১৬৬ নম্বর খলিলাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন শায়েস্তা খাতুন। আজ মঙ্গলবার ছিল তাঁর চাকরির শেষ কর্মদিবস। দিনটি উপলক্ষে বিদ্যালয়টির সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থী, সহকর্মী এবং এলাকার সাধারণ মানুষ তাঁকে বিদায় সংবর্ধনা জানিয়েছেন।
২৮ মিনিট আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা মো. জোবায়েদ হোসেন হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার তাঁর ছাত্রী বার্জিস শাবনাম বর্ষার জামিন নামঞ্জুর করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নাজমিন আক্তার জামিন নামঞ্জুরের আদেশ দেন।
শুনানিতে আজ বর্ষার আইনজীবী মাহমুদুল হাসান শহীদ তাঁর জামিন আবেদনের সময় আদালতকে বলেন, বর্ষা সম্পূর্ণ নির্দোষ। তিনি ঘটনার শিকার। হত্যাকাণ্ডে বর্ষা অংশগ্রহণ করেননি। তিনি একজন শিক্ষার্থী। পড়াশোনা করার স্বার্থে তাঁকে জামিন দেওয়া প্রয়োজন।
রাষ্ট্রপক্ষে মহানগর অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) শামসুদ্দোহা চৌধুরী সুমন জামিনের বিরোধিতা করেন। তিনি আদালতকে বলেন, বর্ষার কারণেই খুন হয়েছেন জোবায়েদ। বর্ষা ও ‘তাঁর প্রেমিক’ মো. মাহির রহমান ও মাহিরের বন্ধু ফারদীন আহম্মেদ আয়নাল খুনের দায় স্বীকার করে গত ২১ অক্টোবর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
শুনানি শেষে বর্ষার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন আদালত।
গত ১৯ অক্টোবর রাতে পুরান ঢাকার আরমানিটোলার মাহুতটুলিতে পানির পাম্প গলির নুর বক্স লেনে একটি ভবনের সিঁড়ি থেকে জোবায়েদ হোসেনের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী এবং ছাত্রদলের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন।
এ ঘটনায় গত ২১ অক্টোবর বংশাল থানায় মামলা করেন জোবায়েদের বড় ভাই এনায়েত হোসেন সৈকত।
মামলায় জোবায়েদের ছাত্রী বর্ষা, মাহির রহমান ও ফারদীন আহম্মেদ আয়নালকে আসামি করা হয়। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও ৪-৫ জনকে আসামি করা হয়।
মামলার এজাহারে বলা হয়, বাদীর ছোট ভাই জোবায়েদ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি টিউশনি করতেন। প্রতিদিনের মতো গত ১৯ অক্টোবর বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তিনি নুর বক্স লেনে রওশন ভিলায় বর্ষাকে পড়াতে যান। সন্ধ্যা ৫টা ৪৮ মিনিটের দিকে বর্ষা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সৈকতকে ফোনে জানান, জোবায়েদ খুন হয়েছেন। জানার পরে বাদী, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কর্মকর্তা এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই ভবনের সিঁড়িতে জোবায়েদের লাশ দেখতে পান।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা মো. জোবায়েদ হোসেন হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার তাঁর ছাত্রী বার্জিস শাবনাম বর্ষার জামিন নামঞ্জুর করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নাজমিন আক্তার জামিন নামঞ্জুরের আদেশ দেন।
শুনানিতে আজ বর্ষার আইনজীবী মাহমুদুল হাসান শহীদ তাঁর জামিন আবেদনের সময় আদালতকে বলেন, বর্ষা সম্পূর্ণ নির্দোষ। তিনি ঘটনার শিকার। হত্যাকাণ্ডে বর্ষা অংশগ্রহণ করেননি। তিনি একজন শিক্ষার্থী। পড়াশোনা করার স্বার্থে তাঁকে জামিন দেওয়া প্রয়োজন।
রাষ্ট্রপক্ষে মহানগর অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) শামসুদ্দোহা চৌধুরী সুমন জামিনের বিরোধিতা করেন। তিনি আদালতকে বলেন, বর্ষার কারণেই খুন হয়েছেন জোবায়েদ। বর্ষা ও ‘তাঁর প্রেমিক’ মো. মাহির রহমান ও মাহিরের বন্ধু ফারদীন আহম্মেদ আয়নাল খুনের দায় স্বীকার করে গত ২১ অক্টোবর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
শুনানি শেষে বর্ষার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন আদালত।
গত ১৯ অক্টোবর রাতে পুরান ঢাকার আরমানিটোলার মাহুতটুলিতে পানির পাম্প গলির নুর বক্স লেনে একটি ভবনের সিঁড়ি থেকে জোবায়েদ হোসেনের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী এবং ছাত্রদলের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন।
এ ঘটনায় গত ২১ অক্টোবর বংশাল থানায় মামলা করেন জোবায়েদের বড় ভাই এনায়েত হোসেন সৈকত।
মামলায় জোবায়েদের ছাত্রী বর্ষা, মাহির রহমান ও ফারদীন আহম্মেদ আয়নালকে আসামি করা হয়। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও ৪-৫ জনকে আসামি করা হয়।
মামলার এজাহারে বলা হয়, বাদীর ছোট ভাই জোবায়েদ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি টিউশনি করতেন। প্রতিদিনের মতো গত ১৯ অক্টোবর বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তিনি নুর বক্স লেনে রওশন ভিলায় বর্ষাকে পড়াতে যান। সন্ধ্যা ৫টা ৪৮ মিনিটের দিকে বর্ষা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সৈকতকে ফোনে জানান, জোবায়েদ খুন হয়েছেন। জানার পরে বাদী, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কর্মকর্তা এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই ভবনের সিঁড়িতে জোবায়েদের লাশ দেখতে পান।

২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে বাংলা ভাষার প্রতি ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন ব্রিটিশ নাগরিক প্যাট্রিসিয়া অ্যান ভিভিয়ান কার। ব্রিটিশ এই নারী রং-তুলির আঁচড়ে নিজ হাতে লিখেছেন বাংলা বর্ণমালা অ, আ, ক, খ। ব্রিটিশ নারী প্যাট্রিসিয়া অ্যান আলপনা অলংকরণের মাধ্যমে ভাষাশহীদদের প্রতি বিনম্র...
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
চট্টগ্রামে অস্ত্র আইনে ১০ বছর আগের একটি মামলায় মো. আবদুর রহিম (৫০) নামে এক আসামিকে ১৭ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) চতুর্থ অতিরিক্ত চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ বেগম সিরাজাম মুনীরার আদালত আসামির উপস্থিতিতে এ রায় দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি চান্দগাঁও থানার হামিদচর এলাকার বাসিন্দা।
১১ মিনিট আগে
ময়মনসিংহ ও নেত্রকোনার খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের বদলি ও পদায়ন-বাণিজ্য নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর সারা দেশে গুদামের কর্মকর্তাদের বদলি ও পদায়ন অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য স্থগিত করেছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। পাশাপাশি নীতিমালা লঙ্ঘন করে বদলি ও পদায়ন-বাণিজ্যের বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জ
১৭ মিনিট আগে
দীর্ঘ ৩৬ বছর ধরে নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার ১৬৬ নম্বর খলিলাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন শায়েস্তা খাতুন। আজ মঙ্গলবার ছিল তাঁর চাকরির শেষ কর্মদিবস। দিনটি উপলক্ষে বিদ্যালয়টির সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থী, সহকর্মী এবং এলাকার সাধারণ মানুষ তাঁকে বিদায় সংবর্ধনা জানিয়েছেন।
২৮ মিনিট আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে অস্ত্র আইনে ১০ বছর আগের একটি মামলায় মো. আবদুর রহিম (৫০) নামে এক আসামিকে ১৭ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) চতুর্থ অতিরিক্ত চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ বেগম সিরাজাম মুনীরার আদালত আসামির উপস্থিতিতে এই রায় দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি চান্দগাঁও থানার হামিদচর এলাকার বাসিন্দা।
এর আগে ২০১৫ সালের ২২ মে নগরের চান্দগাঁও থানার মধ্যম মোহরা হিন্দুপাড়া এলাকা থেকে একটি দেশীয় একনলা বন্দুক ও একটি শটগানের কার্তুজসহ আবদুর রহিমকে আটক করে পুলিশ। ওই ঘটনায় চান্দগাঁও থানায় পরে তাঁর বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা হয়।
আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মোরশেদুর রহমান চৌধুরী বলেন, আজ আদালত মামলাটির আসামি মো. আবদুর রহিমকে দোষী সাব্যস্ত করে অস্ত্রের জন্য ১০ বছর এবং কার্তুজের জন্য ৭ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন। আসামির দুটি সাজা একসঙ্গে চলবে, সেই হিসাবে ১০ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে। রায় ঘোষণা শেষে সাজা পরোয়ানা মূলে আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে তিনি জানান।

চট্টগ্রামে অস্ত্র আইনে ১০ বছর আগের একটি মামলায় মো. আবদুর রহিম (৫০) নামে এক আসামিকে ১৭ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) চতুর্থ অতিরিক্ত চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ বেগম সিরাজাম মুনীরার আদালত আসামির উপস্থিতিতে এই রায় দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি চান্দগাঁও থানার হামিদচর এলাকার বাসিন্দা।
এর আগে ২০১৫ সালের ২২ মে নগরের চান্দগাঁও থানার মধ্যম মোহরা হিন্দুপাড়া এলাকা থেকে একটি দেশীয় একনলা বন্দুক ও একটি শটগানের কার্তুজসহ আবদুর রহিমকে আটক করে পুলিশ। ওই ঘটনায় চান্দগাঁও থানায় পরে তাঁর বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা হয়।
আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মোরশেদুর রহমান চৌধুরী বলেন, আজ আদালত মামলাটির আসামি মো. আবদুর রহিমকে দোষী সাব্যস্ত করে অস্ত্রের জন্য ১০ বছর এবং কার্তুজের জন্য ৭ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন। আসামির দুটি সাজা একসঙ্গে চলবে, সেই হিসাবে ১০ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে। রায় ঘোষণা শেষে সাজা পরোয়ানা মূলে আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে তিনি জানান।

২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে বাংলা ভাষার প্রতি ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন ব্রিটিশ নাগরিক প্যাট্রিসিয়া অ্যান ভিভিয়ান কার। ব্রিটিশ এই নারী রং-তুলির আঁচড়ে নিজ হাতে লিখেছেন বাংলা বর্ণমালা অ, আ, ক, খ। ব্রিটিশ নারী প্যাট্রিসিয়া অ্যান আলপনা অলংকরণের মাধ্যমে ভাষাশহীদদের প্রতি বিনম্র...
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
রাষ্ট্রপক্ষে মহানগর অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) শামসুদ্দোহা চৌধুরী সুমন জামিনের বিরোধিতা করেন। তিনি আদালতকে বলেন, বর্ষার কারণেই খুন হয়েছেন জোবায়েদ। বর্ষা ও ‘তাঁর প্রেমিক’ মো. মাহির রহমান ও মাহিরের বন্ধু ফারদীন আহম্মেদ আয়নাল খুনের দায় স্বীকার করে গত ২১ অক্টোবর আদালতে
১০ মিনিট আগে
ময়মনসিংহ ও নেত্রকোনার খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের বদলি ও পদায়ন-বাণিজ্য নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর সারা দেশে গুদামের কর্মকর্তাদের বদলি ও পদায়ন অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য স্থগিত করেছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। পাশাপাশি নীতিমালা লঙ্ঘন করে বদলি ও পদায়ন-বাণিজ্যের বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জ
১৭ মিনিট আগে
দীর্ঘ ৩৬ বছর ধরে নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার ১৬৬ নম্বর খলিলাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন শায়েস্তা খাতুন। আজ মঙ্গলবার ছিল তাঁর চাকরির শেষ কর্মদিবস। দিনটি উপলক্ষে বিদ্যালয়টির সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থী, সহকর্মী এবং এলাকার সাধারণ মানুষ তাঁকে বিদায় সংবর্ধনা জানিয়েছেন।
২৮ মিনিট আগেনেত্রকোনা প্রতিনিধি

ময়মনসিংহ ও নেত্রকোনার খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের বদলি ও পদায়ন-বাণিজ্য নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর সারা দেশে গুদামের কর্মকর্তাদের বদলি ও পদায়ন অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য স্থগিত করেছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। পাশাপাশি নীতিমালা লঙ্ঘন করে বদলি ও পদায়ন-বাণিজ্যের বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার খাদ্যসচিব মো. মাসুদুল হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে গত সোমবার (৩ নভেম্বর) খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে এ-সংক্রান্ত আদেশ জারি হয়।
মন্ত্রণালয়ের আদেশে বলা হয়েছে, চলতি মৌসুমের আমন সংগ্রহ অভিযান নিরবচ্ছিন্ন ও সফলভাবে সম্পন্ন এবং লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের স্বার্থে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত অধিদপ্তরের মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের বদলি ও পদায়ন স্থগিত থাকবে। এই সিদ্ধান্তের আওতায় এলএসডির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, সিএসডির ব্যবস্থাপক এবং সাইলোসমূহের অধীক্ষকগণও অন্তর্ভুক্ত থাকবেন।
খাদ্যসচিব মো. মাসুদুল হাসান বলেন, ‘নীতিমালা লঙ্ঘন করে বদলি-পদায়নের অভিযোগ পেয়েছি। অনৈতিক লেনদেনের কথাও আলোচনায় এসেছে। বদলি-বাণিজ্যের বিষয়ে তদন্ত করে প্রমাণ মিললে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
প্রসঙ্গত, গতকাল সোমবার আজকের পত্রিকায় ‘খাদ্যগুদামে বদলি-বাণিজ্য’ শিরোনামে সংবাদ ছাপা হয়। এতে ময়মনসিংহ ও নেত্রকোনায় খাদ্যগুদামের অন্তত ছয়জন কর্মকর্তাকে নীতিমালা লঙ্ঘন করে বদলি করার কথা উল্লেখ করা হয়। তাঁদের চাপ দিয়ে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই পারিবারিক সমস্যার আবেদন লিখিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। একই গুদামে নতুন কর্মকর্তা পদায়নে ব্যাপক বাণিজ্যেরও অভিযোগ ওঠে।

ময়মনসিংহ ও নেত্রকোনার খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের বদলি ও পদায়ন-বাণিজ্য নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর সারা দেশে গুদামের কর্মকর্তাদের বদলি ও পদায়ন অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য স্থগিত করেছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। পাশাপাশি নীতিমালা লঙ্ঘন করে বদলি ও পদায়ন-বাণিজ্যের বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার খাদ্যসচিব মো. মাসুদুল হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে গত সোমবার (৩ নভেম্বর) খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে এ-সংক্রান্ত আদেশ জারি হয়।
মন্ত্রণালয়ের আদেশে বলা হয়েছে, চলতি মৌসুমের আমন সংগ্রহ অভিযান নিরবচ্ছিন্ন ও সফলভাবে সম্পন্ন এবং লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের স্বার্থে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত অধিদপ্তরের মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের বদলি ও পদায়ন স্থগিত থাকবে। এই সিদ্ধান্তের আওতায় এলএসডির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, সিএসডির ব্যবস্থাপক এবং সাইলোসমূহের অধীক্ষকগণও অন্তর্ভুক্ত থাকবেন।
খাদ্যসচিব মো. মাসুদুল হাসান বলেন, ‘নীতিমালা লঙ্ঘন করে বদলি-পদায়নের অভিযোগ পেয়েছি। অনৈতিক লেনদেনের কথাও আলোচনায় এসেছে। বদলি-বাণিজ্যের বিষয়ে তদন্ত করে প্রমাণ মিললে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
প্রসঙ্গত, গতকাল সোমবার আজকের পত্রিকায় ‘খাদ্যগুদামে বদলি-বাণিজ্য’ শিরোনামে সংবাদ ছাপা হয়। এতে ময়মনসিংহ ও নেত্রকোনায় খাদ্যগুদামের অন্তত ছয়জন কর্মকর্তাকে নীতিমালা লঙ্ঘন করে বদলি করার কথা উল্লেখ করা হয়। তাঁদের চাপ দিয়ে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই পারিবারিক সমস্যার আবেদন লিখিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। একই গুদামে নতুন কর্মকর্তা পদায়নে ব্যাপক বাণিজ্যেরও অভিযোগ ওঠে।

২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে বাংলা ভাষার প্রতি ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন ব্রিটিশ নাগরিক প্যাট্রিসিয়া অ্যান ভিভিয়ান কার। ব্রিটিশ এই নারী রং-তুলির আঁচড়ে নিজ হাতে লিখেছেন বাংলা বর্ণমালা অ, আ, ক, খ। ব্রিটিশ নারী প্যাট্রিসিয়া অ্যান আলপনা অলংকরণের মাধ্যমে ভাষাশহীদদের প্রতি বিনম্র...
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
রাষ্ট্রপক্ষে মহানগর অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) শামসুদ্দোহা চৌধুরী সুমন জামিনের বিরোধিতা করেন। তিনি আদালতকে বলেন, বর্ষার কারণেই খুন হয়েছেন জোবায়েদ। বর্ষা ও ‘তাঁর প্রেমিক’ মো. মাহির রহমান ও মাহিরের বন্ধু ফারদীন আহম্মেদ আয়নাল খুনের দায় স্বীকার করে গত ২১ অক্টোবর আদালতে
১০ মিনিট আগে
চট্টগ্রামে অস্ত্র আইনে ১০ বছর আগের একটি মামলায় মো. আবদুর রহিম (৫০) নামে এক আসামিকে ১৭ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) চতুর্থ অতিরিক্ত চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ বেগম সিরাজাম মুনীরার আদালত আসামির উপস্থিতিতে এ রায় দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি চান্দগাঁও থানার হামিদচর এলাকার বাসিন্দা।
১১ মিনিট আগে
দীর্ঘ ৩৬ বছর ধরে নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার ১৬৬ নম্বর খলিলাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন শায়েস্তা খাতুন। আজ মঙ্গলবার ছিল তাঁর চাকরির শেষ কর্মদিবস। দিনটি উপলক্ষে বিদ্যালয়টির সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থী, সহকর্মী এবং এলাকার সাধারণ মানুষ তাঁকে বিদায় সংবর্ধনা জানিয়েছেন।
২৮ মিনিট আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দীর্ঘ ৩৬ বছর ধরে নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার ১৬৬ নম্বর খলিলাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন শায়েস্তা খাতুন। আজ মঙ্গলবার ছিল তাঁর চাকরির শেষ কর্মদিবস। দিনটি উপলক্ষে বিদ্যালয়টির সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থী, সহকর্মী এবং এলাকার সাধারণ মানুষ তাঁকে বিদায় সংবর্ধনা জানিয়েছেন। এ সময় তাঁকে সম্মাননা স্মারক, উপহারসামগ্রী, ফুলেল শুভেচ্ছাসহ আবেগঘন বিদায় জানায় গ্রামবাসী। বিদায়বেলায় সবার ভালোবাসায় অশ্রুসিক্ত হন শায়েস্তা খাতুন।
আজ দুপুরে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এই আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। এ সময় অনুষ্ঠানে ২০২২ সালে ঢাকা বিভাগের শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক ও মিয়াজানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এমদাদুল হকসহ বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষক, গ্রামের শিক্ষাবিদ, রাজনৈতিক ব্যক্তি ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ বক্তব্য দেন।
বক্তারা বলেন, প্রায় ৩৬ বছর আগে খলিলাবাদ গ্রামটিতে শিক্ষার কোনো ব্যবস্থা ছিল না। তখন গ্রামের লোকজন মিলে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করলে শুরু থেকেই শায়েস্তা খাতুন নিরলসভাবে পাঠদান দিতেন। দীর্ঘ ৩৬ বছর ধরে দায়িত্ব পালন করে তিনি শুধু বিদ্যালয় নয়, গ্রামের মানুষকেও আলোকিত করেছেন।
বক্তারা আরও বলেন, তাঁর আন্তরিকতা ও মানবিক মূল্যবোধ পাঠ্যবইয়ের শিক্ষার বাইরেও অনেক শিক্ষার্থীকে আলোকিত করেছে। তাঁর বহু শিক্ষার্থী সমাজে প্রতিষ্ঠিত হয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় কর্মরত রয়েছেন। তাঁর এই দীর্ঘ কর্মজীবনের শিক্ষা অনেক শিক্ষার্থীর হৃদয়ে রয়ে যাবে। পুরো অনুষ্ঠানে সবার বক্তব্যে আবেগঘন পরিবেশ তৈরি হয়। বক্তারা বিদায়ী প্রধান শিক্ষকের সুস্থ ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন।
বিদায়ী অনুষ্ঠানে শায়েস্তা খাতুন তাঁর অনুভূতির কথা ব্যক্ত করে বলেন, ‘বিদায় অনেক কষ্টের। আমি বিদায় নিতে চাই না। আমার কোমলমতি শিক্ষার্থী, সহকর্মী ও এলাকাবাসীরা আমাকে যে সম্মান দিয়েছে, তাতে আমি আবেগাপ্লুত, মুগ্ধ। সবার কাছ থেকে একজন শিক্ষকের এমন সম্মান পাওয়া সত্যিই গর্বের। শিক্ষকের প্রতি এমন সম্মান সমাজে ছড়িয়ে পড়ুক। বিদ্যালয়ের যেকোনো প্রয়োজনে আমি পাশে থাকব।’
তিনি এ সময় অভিভাবকদের ছেলেমেয়েদের পড়ালেখার প্রতি যত্নশীল হওয়া এবং স্কুলে এসে পড়ালেখার খোঁজ নেওয়ারও আহ্বান জানান।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ১৯৮৯ সালে খলিলাবাদ গ্রামে শিক্ষা বিস্তারের জন্য গ্রামের মানুষ খলিলাবাদ বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নামে একটি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। সে সময় আবুল হোসেনকে প্রধান শিক্ষক এবং আব্দুর রব, রানু বেগম, জোহরা খাতুনকে সহকারী শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
১৯৯৭ সালে প্রধান শিক্ষক আবুল হোসেন চাকরি ছেড়ে দিলে শায়েস্তা খাতুন বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পান এবং তখন থেকে দায়িত্ব পালন করেন। পরে দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো জাতীয়করণ করা হলে ২০১৩ সালে এ বিদ্যালয়ও সরকারি হয়ে যায়।
শায়েস্তা খাতুনের দীর্ঘ ৩৬ বছরের শিক্ষকতা জীবনে বিদ্যালয়টিতে পড়ালেখা করা শিক্ষার্থীরা পরবর্তীতে দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করে বর্তমানে দেশ-বিদেশে কর্মরত রয়েছেন।

দীর্ঘ ৩৬ বছর ধরে নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার ১৬৬ নম্বর খলিলাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন শায়েস্তা খাতুন। আজ মঙ্গলবার ছিল তাঁর চাকরির শেষ কর্মদিবস। দিনটি উপলক্ষে বিদ্যালয়টির সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থী, সহকর্মী এবং এলাকার সাধারণ মানুষ তাঁকে বিদায় সংবর্ধনা জানিয়েছেন। এ সময় তাঁকে সম্মাননা স্মারক, উপহারসামগ্রী, ফুলেল শুভেচ্ছাসহ আবেগঘন বিদায় জানায় গ্রামবাসী। বিদায়বেলায় সবার ভালোবাসায় অশ্রুসিক্ত হন শায়েস্তা খাতুন।
আজ দুপুরে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এই আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। এ সময় অনুষ্ঠানে ২০২২ সালে ঢাকা বিভাগের শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক ও মিয়াজানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এমদাদুল হকসহ বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষক, গ্রামের শিক্ষাবিদ, রাজনৈতিক ব্যক্তি ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ বক্তব্য দেন।
বক্তারা বলেন, প্রায় ৩৬ বছর আগে খলিলাবাদ গ্রামটিতে শিক্ষার কোনো ব্যবস্থা ছিল না। তখন গ্রামের লোকজন মিলে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করলে শুরু থেকেই শায়েস্তা খাতুন নিরলসভাবে পাঠদান দিতেন। দীর্ঘ ৩৬ বছর ধরে দায়িত্ব পালন করে তিনি শুধু বিদ্যালয় নয়, গ্রামের মানুষকেও আলোকিত করেছেন।
বক্তারা আরও বলেন, তাঁর আন্তরিকতা ও মানবিক মূল্যবোধ পাঠ্যবইয়ের শিক্ষার বাইরেও অনেক শিক্ষার্থীকে আলোকিত করেছে। তাঁর বহু শিক্ষার্থী সমাজে প্রতিষ্ঠিত হয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় কর্মরত রয়েছেন। তাঁর এই দীর্ঘ কর্মজীবনের শিক্ষা অনেক শিক্ষার্থীর হৃদয়ে রয়ে যাবে। পুরো অনুষ্ঠানে সবার বক্তব্যে আবেগঘন পরিবেশ তৈরি হয়। বক্তারা বিদায়ী প্রধান শিক্ষকের সুস্থ ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন।
বিদায়ী অনুষ্ঠানে শায়েস্তা খাতুন তাঁর অনুভূতির কথা ব্যক্ত করে বলেন, ‘বিদায় অনেক কষ্টের। আমি বিদায় নিতে চাই না। আমার কোমলমতি শিক্ষার্থী, সহকর্মী ও এলাকাবাসীরা আমাকে যে সম্মান দিয়েছে, তাতে আমি আবেগাপ্লুত, মুগ্ধ। সবার কাছ থেকে একজন শিক্ষকের এমন সম্মান পাওয়া সত্যিই গর্বের। শিক্ষকের প্রতি এমন সম্মান সমাজে ছড়িয়ে পড়ুক। বিদ্যালয়ের যেকোনো প্রয়োজনে আমি পাশে থাকব।’
তিনি এ সময় অভিভাবকদের ছেলেমেয়েদের পড়ালেখার প্রতি যত্নশীল হওয়া এবং স্কুলে এসে পড়ালেখার খোঁজ নেওয়ারও আহ্বান জানান।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ১৯৮৯ সালে খলিলাবাদ গ্রামে শিক্ষা বিস্তারের জন্য গ্রামের মানুষ খলিলাবাদ বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নামে একটি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। সে সময় আবুল হোসেনকে প্রধান শিক্ষক এবং আব্দুর রব, রানু বেগম, জোহরা খাতুনকে সহকারী শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
১৯৯৭ সালে প্রধান শিক্ষক আবুল হোসেন চাকরি ছেড়ে দিলে শায়েস্তা খাতুন বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পান এবং তখন থেকে দায়িত্ব পালন করেন। পরে দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো জাতীয়করণ করা হলে ২০১৩ সালে এ বিদ্যালয়ও সরকারি হয়ে যায়।
শায়েস্তা খাতুনের দীর্ঘ ৩৬ বছরের শিক্ষকতা জীবনে বিদ্যালয়টিতে পড়ালেখা করা শিক্ষার্থীরা পরবর্তীতে দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করে বর্তমানে দেশ-বিদেশে কর্মরত রয়েছেন।

২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে বাংলা ভাষার প্রতি ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন ব্রিটিশ নাগরিক প্যাট্রিসিয়া অ্যান ভিভিয়ান কার। ব্রিটিশ এই নারী রং-তুলির আঁচড়ে নিজ হাতে লিখেছেন বাংলা বর্ণমালা অ, আ, ক, খ। ব্রিটিশ নারী প্যাট্রিসিয়া অ্যান আলপনা অলংকরণের মাধ্যমে ভাষাশহীদদের প্রতি বিনম্র...
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
রাষ্ট্রপক্ষে মহানগর অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) শামসুদ্দোহা চৌধুরী সুমন জামিনের বিরোধিতা করেন। তিনি আদালতকে বলেন, বর্ষার কারণেই খুন হয়েছেন জোবায়েদ। বর্ষা ও ‘তাঁর প্রেমিক’ মো. মাহির রহমান ও মাহিরের বন্ধু ফারদীন আহম্মেদ আয়নাল খুনের দায় স্বীকার করে গত ২১ অক্টোবর আদালতে
১০ মিনিট আগে
চট্টগ্রামে অস্ত্র আইনে ১০ বছর আগের একটি মামলায় মো. আবদুর রহিম (৫০) নামে এক আসামিকে ১৭ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) চতুর্থ অতিরিক্ত চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ বেগম সিরাজাম মুনীরার আদালত আসামির উপস্থিতিতে এ রায় দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি চান্দগাঁও থানার হামিদচর এলাকার বাসিন্দা।
১১ মিনিট আগে
ময়মনসিংহ ও নেত্রকোনার খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের বদলি ও পদায়ন-বাণিজ্য নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর সারা দেশে গুদামের কর্মকর্তাদের বদলি ও পদায়ন অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য স্থগিত করেছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। পাশাপাশি নীতিমালা লঙ্ঘন করে বদলি ও পদায়ন-বাণিজ্যের বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জ
১৭ মিনিট আগে