Ajker Patrika

পাওনা টাকা নিয়ে দ্বন্দ্ব, হাসপাতালের ফটকে মারামারিতে তিন ভাইসহ আহত ৪

ফেনী প্রতিনিধি
আপডেট : ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২২: ২৩
ফেনী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল। ছবি: সংগৃহীত
ফেনী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল। ছবি: সংগৃহীত

পাওনা টাকা নিয়ে ভাই-ভাইয়ের দ্বন্দ্বের জেরে মারামারিতে এক পরিবারের চারজন আহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাত আনুমানিক সাড়ে ৮টার দিকে ফেনী জেনারেল হাসপাতালের প্রধান ফটকে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে দুজন আপন ভাই ও একজন চাচাতো ভাই।

আহতরা হলেন কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার আবদুল বাতেনের ছেলে মোবারক হোসেন মানিক, তাঁর ছোট ভাই সাদ্দাম হোসেন, সাদ্দামের ছেলে রবিউল হোসেন এবং তাঁদের চাচাতো ভাই মো. সুমন মিয়া। তাঁরা ফেনীতে ভাড়া বাসায় থেকে হকারি করেন।  

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পাওনা টাকা নিয়ে মানিক ও তাঁর চাচাতো ভাই সুমন মিয়ার মধ্যে প্রথমে শহরের একাডেমি রোডের ফারুক হোটেলে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে সুমন সাদ্দামকে ডেকে আনেন। সাদ্দাম সুমনের পক্ষ নেওয়ায় দুই ভাইয়ের মধ্যে হাতাহাতি হয়। স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। পরে সুমন ও সাদ্দাম থানায় অভিযোগ জানাতে যান।

অভিযোগ উঠেছে, এ সময় মানিক চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল ফটকে লোকজন জড়ো করে অপেক্ষা করছিলেন। সাদ্দাম ও সুমন হাসপাতালে প্রবেশ করতে গেলে দুই পক্ষ আবারও মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে। লাঠিসোঁটা নিয়ে মারধরে চারজন আহত হন। পরে হাসপাতালের পুলিশ ও স্থানীয়দের সহায়তায় তাঁদের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়।

মানিক হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সুমন ও সাদ্দামের কাছে আমি ৪০ হাজার টাকা পাই। টাকা চাইতে গেলে তারা আমাকে মারধর করে। পরে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এলে তারা আবারও হামলা চালায়। এ সময় আমি তাদের প্রতিহত করেছি।’

অন্যদিকে সুমন মিয়া দাবি করেন, ‘আমার কাছে কোনো টাকা পাওনা নেই। তবুও মানিক আমাকে ও আমার ছোট ভাইকে দুই দফায় মারধর করেছে। হাসপাতালের গেটে কিশোর গ্যাং দিয়ে আবারও হামলা চালিয়েছে।’

প্রত্যক্ষদর্শী আবির হোসেন জয় আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হাসপাতালের ফটকে দুই পক্ষ লাঠিসোঁটা নিয়ে মারামারি শুরু করলে মুহূর্তে সেখানে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে জানতে পারি, তারা আপন ভাই ও কাছের আত্মীয়।’

ফেনী জেনারেল হাসপাতাল পুলিশ বক্সের ইনচার্জ আবদুল কাদির বলেন, ‘প্রথমে এক ভাই চিকিৎসা নিয়ে বের হয়। পরে হাসপাতালের গেটে দুই পক্ষের মধ্যে ফের সংঘর্ষ হয়। তাদের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি থানাকে জানানো হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত