Ajker Patrika

ফেনীতে সমাবেশের আগের দিন বিএনপি নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা, আহত ৩০

দাগনভূঞা (ফেনী) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৮ মে ২০২৩, ২২: ৩৪
ফেনীতে সমাবেশের আগের দিন বিএনপি নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা, আহত ৩০

ফেনীর বিভিন্ন ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের অন্তত ৩০ নেতা-কর্মীকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে জেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও পৌরসভায় এসব হামলার ঘটনা ঘটে।

হামলায় গুরুতর আহতরা হলেন পরশুরাম উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক শাকিল, ফেনী সদর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াছির আরাফাত, মোটবি ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সভাপতি বাদল, যুবদল নেতা ইয়াসিন, মাসুম, ছনুয়া ইউনিয়ন ছাত্রদল নেতা হৃদয় ও ওমর, ফেনী শহরের নাজির রোডের মো. রহিম (৩৪), বারাহীপুরের আবুল হোসেন (৩২) ও ইয়াছিন আরাফাত (২৮), সদর উপজেলার লক্ষিয়ারার আমিনুল হক আরিফ (২৫), পাচগাছিয়ার জাফর উল্লাহ বাদলসহ (৪০) অন্যরা।

ফেনী ২৫০ শয্যা আধুনিক জেনারেল হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক এ এস এম সোহরাব আল হাসাইন তারভির জানান, সন্ধ্যা পর্যন্ত আটজন আহত রোগীকে ফেনী সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে। একজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ফেনী পৌর বিএনপির সদস্যসচিব মেজবাহ উদ্দিন ভূঁইয়া জানান, বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আগামীকাল শুক্রবার বিএনপির জনসমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। সেই জনসমাবেশকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা এবং তাঁদের বাড়িঘরে হামলা ভাঙচুর করা হচ্ছে। সব প্রতিকূলতার মধ্যেও আগামীকাল বিএনপির জনসমাবেশ করা হবে বলেও জানান তিনি।

জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ ফরিদ বাহার জানান, আগামীকাল ফেনী জেলা বিএনপির জনসভাকে কেন্দ্র করে পুরো জেলাব্যাপী ছাত্রলীগ ও যুবলীগ তাঁদের দলীয় নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালাচ্ছে। দুই শতাধিক বাড়িঘরে হামলা ও লুটপাট হয়েছে। 

ফেনীর বিভিন্ন ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের হামলায় আহতরাজেলা বিএনপির সদস্যসচিব আলাল উদ্দিন আলাল জানান, আগামীকালের জনসভায় তাঁরা ৫০ হাজার নেতা-কর্মীর সমাগম করার প্রস্তুতি ছিল। ১০ দফা দাবিতে কেন্দ্রীয় বিএনপির কর্মসূচি হিসেবে আগামীকাল ফেনী জেলা বিএনপির জনসভা নির্ধারণ রয়েছে। তাঁরা ফেনীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জনসভা করতে চাইলেও প্রশাসনের অনুমতি মেলেনি। বাধ্য হয়ে ইসলামপুর রোডের দলীয় কার্যালয়ের সামনে আগামীকাল তাঁরা জনসভা করবেন। জনসভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।

আলাল উদ্দিন আরও জানান, হামলা-মামলা দিয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীদের দমিয়ে রাখা যাবে না। যেকোনো মূল্যে তাঁরা আগামীকাল জনসভা করবেন।

ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক শহীদ উল্লাহ খন্দকার জানান, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা বিএনপির কোনো নেতা-কর্মীর ওপর হামলা করেননি। বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দলে দলীয় হামলা হতে পারে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত স্বামীর মাদক কারবার ৭ বছর ধরে সামলাচ্ছেন স্ত্রী

বালিয়াডাঙ্গী (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি
গ্রেপ্তার তসলিমা বেগম। ছবি: সংগৃহীত
গ্রেপ্তার তসলিমা বেগম। ছবি: সংগৃহীত

ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার মাদক সম্রাজ্ঞী তসলিমা বেগম (৩০)। বিয়ের ছয় বছর পর মাদক কারবারি স্বামী পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন। এর পর থেকে স্বামীর মাদক কারবার সামলাচ্ছেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে রয়েছে চারটি মাদক মামলা। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ একাধিকবার অভিযান চালিয়ে তাঁর বাড়ি থেকে মাদক ও টাকা উদ্ধার করলেও কোনোবার তসলিমাকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।

অবশেষে সাত বছর পর সফল হয়েছে পুলিশ। গতকাল রোববার রাতে তাঁকে ১২ বোতল ফেনসিডিলসহ গ্রেপ্তার করেছে বালিয়াডাঙ্গী থানা-পুলিশ। এ সময় তাঁর কাছ থেকে মাদক বিক্রির ১ লাখ ৯ হাজার নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়। আজ সোমবার সন্ধ্যায় বালিয়াডাঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুরুল হোদা এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, তসলিমা বেগম উপজেলার বড় পলাশবাড়ী ইউনিয়নের পারুয়া গ্রামের কুখ্যাত মাদক কারবারি আক্তাবুল ইসলামের স্ত্রী। স্বামী মারা গেলেও তিনি এলাকায় মাদকের বড় নেটওয়ার্ক গড়ে তোলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

এ বিষয়ে বালিয়াডাঙ্গী থানার ওসি দুরুল হোদা বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে আগের চারটি মামলা রয়েছে। আজ বালিয়াডাঙ্গী পুলিশের করা মামলা নিয়ে পাঁচটি মামলা হয়েছে। বিকেলে তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ২৩ মে ভোরবেলা ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ভাতারমাড়ী ফার্ম নামের স্থানে বালিয়াডাঙ্গী ও পীরগঞ্জ থানার যৌথ অভিযানে পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে মারা যান মাদক কারবারি আক্তাবুল ইসলাম।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিএনপিতে পদ স্থগিত থাকলেও ধানের শীষের প্রার্থী হলেন ফজলুর রহমান

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
ফজলুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত
ফজলুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম) আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান। আজ সোমবার আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৩৭ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ফজলুর রহমানসহ অন্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

কিশোরগঞ্জ জেলার ছয়টি আসনের মধ্যে চারটিতে বিএনপির মনোনয়নপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। তাঁরা হলেন কিশোরগঞ্জ-২ (কটিয়াদী-পাকুন্দিয়া) আসনে জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি ও পাকুন্দিয়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মো. জালাল উদ্দিন, কিশোরগঞ্জ-৩ (করিমগঞ্জ-তাড়াইল) আসনে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ড. এম ওসমান ফারুক, কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম) আসনে বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান এবং কিশোরগঞ্জ-৬ (ভৈরব-কুলিয়ারচর) আসনে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপি সভাপতি মো. শরীফুল আলম।

এদিকে মনোনয়নপ্রাপ্ত হিসেবে ফজলুর রহমানের নাম ঘোষণার পর হাওরের তিন উপজেলার গ্রামে গ্রামে তাঁর উচ্ছ্বসিত সমর্থকদের ঢল নেমেছে। ‘ফজলুর রহমান’, ‘ফজলুর রহমান’, ‘ধানের শীষ’, ‘ধানের শীষ’ ইত্যাদি স্লোগানে মুখরিত এখন হাওরপাড়। তাঁরা ফজলুর রহমানকে মনোনয়ন দেওয়ায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মনোনয়ন বোর্ডের নেতাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

প্রসঙ্গত, গত ২৬ আগস্ট বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ফজলুর রহমানের প্রাথমিক সদস্যপদসহ দলীয় সব ধরনের পদ তিন মাসের জন্য স্থগিত করা হয়। দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

অনুপ্রবেশের ঘটনায় বিএসএফের দুঃখপ্রকাশ, বিজিবির সঙ্গে পতাকা বৈঠক

সিলেট প্রতিনিধি
বিজিবি-বিএসএফ ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক হয়। ছবি: সংগৃহীত
বিজিবি-বিএসএফ ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক হয়। ছবি: সংগৃহীত

সিলেটের জকিগঞ্জ সীমান্তে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের অনুপ্রবেশ ও ফসল নষ্টের ঘটনায় বিজিবি-বিএসএফ ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক হয়েছে। আজ সোমবার সকালে জকিগঞ্জ উপজেলার মানিকপুর ইউনিয়নের রসুলপুর সীমান্ত এলাকায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বাংলাদেশের ভেতরে অনুপ্রবেশ ও কৃষকের ফসল নষ্ট করার বিষয়ে বিএসএফের পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ করা হয়। আজ এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা জানিয়েছেন জকিগঞ্জ ব্যাটালিয়নের (১৯ বিজিবি) অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. জুবায়ের আনোয়ার।

বিজিবি জানায়, গতকাল রোববার সকালে সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার মানিকপুর ইউনিয়নের রসুলপুর সীমান্ত এলাকায় ১৭০ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের পিন্নানগর ক্যাম্পের একটি টহল দল অবৈধভাবে সীমান্ত পিলার ১৩৪৫ থেকে আনুমানিক ১০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সুরমা নদী পার হয়ে অনুপ্রবেশ করে। খবর পেয়ে বিজিবি ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই স্থানীয় জনগণের বাধার মুখে বিএসএফ টহল দল দ্রুত ভারতের অভ্যন্তরে চলে যায়। বিএসএফ টহল দল স্থানীয় বাসিন্দাদের ফসলের বেড়া ও ফসল বিনষ্ট করে। বিজিবি টহল দল তৎক্ষণাৎ ঘটনাটি বিওপি কমান্ডার ও অধিনায়ককে অবগত করে। পরে বিজিবি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের জন্য বিএসএফ পিন্নানগর ক্যাম্প কমান্ডারকে আহ্বান জানায়। পরে আজ বেলা ১১টা ২০ মিনিট থেকে দুপুর ১২টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত রসুলপুর সীমান্ত এলাকায় সেই ঘটনাস্থলে বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পতাকা বৈঠকে বিজিবি বিএসএফকে ১০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে অবৈধভাবে প্রবেশ করে কৃষকের ফসলের বেড়া ও ফসল নষ্ট করার বিষয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানায়। প্রতিউত্তরে বিএসএফ কমান্ড্যান্ট বাংলাদেশের অভ্যন্তরে অনুপ্রবেশ ও কৃষকের ফসল নষ্ট করার বিষয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে ক্ষতিপূরণের বিষয়ে জানানো হবে বলে জানান।

বিজিবি জানায়, সীমান্তে চোরাচালান ও অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধে বিজিবির গোয়েন্দা নজরদারি ও টহল জোরদার করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

প্রতারণার মামলায় বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডের ২ কর্মকর্তা কারাগারে

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

প্রতারণা, অর্থ আত্মসাৎ ও দুর্নীতির অভিযোগে বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ড কোম্পানি লিমিটেডের (বিজিএফসিএল) সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ দুই শীর্ষ কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

আজ সোমবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক শারমিন জাহান এই আদেশ দেন।

কারাগারে পাঠানো কর্মকর্তারা হলেন বিজিএফসিএলের তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুরুল আবছার ও জিএম (প্রশাসন) মো. নাসিবুজ্জামান তালুকদার।

মামলার বিবরণী সূত্রে জানা গেছে, প্রধান আসামি বিজিএফসিএলের সাবেক মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) এ টি এম শাহ আলম চাকরি চলাকালে তাঁর শিক্ষা সনদ ও এনআইডি থেকে জন্ম সাল ১৯৬১-এর পরিবর্তে ১৯৬২ সাল দেখিয়ে বয়স জালিয়াতি করেন। বয়স প্রতারণার মাধ্যমে তিনি ২০২১ সালের ২৭ ডিসেম্বর অবসরের (পিআরএল) সময় পার হওয়ার পরও অতিরিক্ত আরও এক বছর দায়িত্ব পালন করেন। এ সময়ে তিনি বিজিএফসিএল থেকে অনৈতিকভাবে ৭৪ লাখ ৪ হাজার টাকার বেশি বেতন-ভাতা হিসেবে উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন।

এ টি এম শাহ আলমের প্রতারণা সামনে এলে বিজিএফসিএল তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। তদন্ত কমিটি সনদ জালিয়াতির প্রমাণ পেয়ে প্রতিবেদন জমা দিলে বিজিএফসিএলের ৭১৭তম বোর্ড সভায় তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

বিবরণীতে বলা হয়, এই প্রতারণায় সহযোগিতা করার অভিযোগে তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুরুল আবছার ও জিএম (প্রশাসন) মো. নাসিবুজ্জামান তালুকদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

বিজিএফসিএলের তৎকালীন উপমহাব্যবস্থাপক মো. আবুল বাসার মিজি বাদী হয়ে ২০২৪ সালের ২২ অক্টোবর মামলাটি করেন। মামলা করার পরপরই প্রধান আসামি এ টি এম শাহ আলম দেশ ত্যাগ করেন। অপর দুই আসামি নুরুল আবছার ও মো. নাসিবুজ্জামান তালুকদার উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়েছিলেন। আজ দুপুরে নিম্ন আদালতে হাজির হলে আদালত তাঁদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতের অতিরিক্ত পিপি মাহবুবুর রহমান জানান, আদালতে শুনানি শেষে তাঁদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য অপরাধের ধারা থাকায় দুজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত