ফরিদপুর প্রতিনিধি
ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের ফরিদপুর-ভাঙ্গা অংশ চার লেন প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে। এ সময় সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় বরাবর জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। একই প্রকল্প বাস্তবায়নে দ্রুত দৃশ্যমান পদক্ষেপ না নিলে ২৩ জুলাই মহাসড়ক অবরোধের হুঁশিয়ারি দেন বক্তারা।
আজ রোববার বেলা ১১টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সামনে ‘ভাঙ্গা-ফরিদপুর চার লেন দ্রুত বাস্তবায়ন’ কমিটির উদ্যোগে এ মানববন্ধন হয়। এতে নিরাপদ সড়ক আন্দোলনসহ ২৮টি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীসহ পাঁচ শতাধিক মানুষ অংশ নেয়।
মানববন্ধনে জেলা বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), জেলা বাস মালিক সমিতি ও মিনিবাস মালিক সমিতির নেতারা সংহতি জানিয়েছেন।
এ সময় বক্তারা বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে অবহেলার শিকার হয়েছে প্রাচীন জেলা ফরিদপুর। একটি জেলার উন্নয়নের চাবিকাঠি যোগাযোগব্যবস্থা। কিন্তু সেই যোগাযোগব্যবস্থা থেকেও আমাদের বঞ্চিত করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে ফরিদপুর মহাসড়কটি অবহেলায় পড়ে আছে। বর্তমানে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে উঠেছে। সড়কটি চার লেন করার উদ্যোগ নেওয়া হলেও কোনো দৃশ্যমান কাজ করা হয়নি। এমনকি ভূমি অধিগ্রহণের জন্য অর্থ বরাদ্দ হলেও এক শতাংশ জমিও অধিগ্রহণ করেনি প্রশাসন।’
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন ফরিদপুরের প্রবীণ শিক্ষাবিদ অধ্যাপক আলতাফ হোসেন, লেখক ও সাংবাদিক মফিজ ইমাম মিলন, জেলা বিএনপির সদস্যসচিব এ কে এম কিবরিয়া স্বপন, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় শুরা কমিটির সদস্য অধ্যাপক আব্দুত তাওয়াব, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) ফরিদপুরের সভাপতি ডা. মোস্তাফিজুর রহমান শামীম, জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক কাজী রিয়াজ, সদস্যসচিব সোহেল রানা, ভাঙ্গা-ফরিদপুর চার লেন দ্রুত বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য আবরাব নাদিম ইতু প্রমুখ।
ভাঙ্গা-ফরিদপুর চার লেন দ্রুত বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক মাহামুদুল হাসান ওয়ালিদ বলেন, ‘এই সড়কে আমার বাবাকে হারিয়েছি। আমাদের এক দফা দাবি, দ্রুত চার লেন বাস্তবায়ন করা। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ না নেওয়া হলে ২৩ জুলাই সড়কটি অবরোধ করা হবে। ওই দিন মানুষের ভোগান্তি হলে জেলা প্রশাসক ও সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীকে দায়ভার নিতে হবে।’
সড়ক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ফরিদপুর-ভাঙ্গা অংশে ৩২ কিলোমিটার সড়ক রয়েছে। পদ্মা সেতুর নির্মাণের পর দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রায় ২০টি জেলার মানুষ চলাচল করে। এ লক্ষ্যে চার লেন করার জন্য ভূমি অধিগ্রহণের নিরীক্ষা শেষে ২০২০-২১ অর্থবছরে ৫০ কোটি, ২০২১-২২ অর্থবছরে ৩০০ কোটি এবং ২০২২-২৩ অর্থবছরে ১৫০ কোটি টাকা জেলা প্রশাসনকে দিয়েছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। এই অধিগ্রহণের ক্ষেত্র ফরিদপুর শহরের গোয়ালচামট থেকে শুরু হয়ে ভাঙ্গার সদরদি-চুমুরদি পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে।
জানতে চাইলে ফরিদপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী খালিদ সাইফুল্লাহ সরদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভূমি অধিগ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসনকে টাকা দেওয়া হয়েছে। নানা জটিলতার কারণে ভূমি অধিগ্রহণ হয়নি বলে জেনেছি। এই প্রকল্পের মেয়াদ রয়েছে ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত। এ সময়ের মধ্যে ভূমি অধিগ্রহণ শুরু না হলে প্রকল্প থেকে এ অংশ বাদ যেতে পারে।’
ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) রামানন্দ পাল বলেন, ‘আগামী এক থেকে দুই মাসের মধ্যে ভূমি অধিগ্রহণ কার্যক্রম শেষ করা হবে।’
ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের ফরিদপুর-ভাঙ্গা অংশ চার লেন প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে। এ সময় সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় বরাবর জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। একই প্রকল্প বাস্তবায়নে দ্রুত দৃশ্যমান পদক্ষেপ না নিলে ২৩ জুলাই মহাসড়ক অবরোধের হুঁশিয়ারি দেন বক্তারা।
আজ রোববার বেলা ১১টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সামনে ‘ভাঙ্গা-ফরিদপুর চার লেন দ্রুত বাস্তবায়ন’ কমিটির উদ্যোগে এ মানববন্ধন হয়। এতে নিরাপদ সড়ক আন্দোলনসহ ২৮টি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীসহ পাঁচ শতাধিক মানুষ অংশ নেয়।
মানববন্ধনে জেলা বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), জেলা বাস মালিক সমিতি ও মিনিবাস মালিক সমিতির নেতারা সংহতি জানিয়েছেন।
এ সময় বক্তারা বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে অবহেলার শিকার হয়েছে প্রাচীন জেলা ফরিদপুর। একটি জেলার উন্নয়নের চাবিকাঠি যোগাযোগব্যবস্থা। কিন্তু সেই যোগাযোগব্যবস্থা থেকেও আমাদের বঞ্চিত করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে ফরিদপুর মহাসড়কটি অবহেলায় পড়ে আছে। বর্তমানে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে উঠেছে। সড়কটি চার লেন করার উদ্যোগ নেওয়া হলেও কোনো দৃশ্যমান কাজ করা হয়নি। এমনকি ভূমি অধিগ্রহণের জন্য অর্থ বরাদ্দ হলেও এক শতাংশ জমিও অধিগ্রহণ করেনি প্রশাসন।’
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন ফরিদপুরের প্রবীণ শিক্ষাবিদ অধ্যাপক আলতাফ হোসেন, লেখক ও সাংবাদিক মফিজ ইমাম মিলন, জেলা বিএনপির সদস্যসচিব এ কে এম কিবরিয়া স্বপন, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় শুরা কমিটির সদস্য অধ্যাপক আব্দুত তাওয়াব, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) ফরিদপুরের সভাপতি ডা. মোস্তাফিজুর রহমান শামীম, জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক কাজী রিয়াজ, সদস্যসচিব সোহেল রানা, ভাঙ্গা-ফরিদপুর চার লেন দ্রুত বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য আবরাব নাদিম ইতু প্রমুখ।
ভাঙ্গা-ফরিদপুর চার লেন দ্রুত বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক মাহামুদুল হাসান ওয়ালিদ বলেন, ‘এই সড়কে আমার বাবাকে হারিয়েছি। আমাদের এক দফা দাবি, দ্রুত চার লেন বাস্তবায়ন করা। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ না নেওয়া হলে ২৩ জুলাই সড়কটি অবরোধ করা হবে। ওই দিন মানুষের ভোগান্তি হলে জেলা প্রশাসক ও সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীকে দায়ভার নিতে হবে।’
সড়ক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ফরিদপুর-ভাঙ্গা অংশে ৩২ কিলোমিটার সড়ক রয়েছে। পদ্মা সেতুর নির্মাণের পর দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রায় ২০টি জেলার মানুষ চলাচল করে। এ লক্ষ্যে চার লেন করার জন্য ভূমি অধিগ্রহণের নিরীক্ষা শেষে ২০২০-২১ অর্থবছরে ৫০ কোটি, ২০২১-২২ অর্থবছরে ৩০০ কোটি এবং ২০২২-২৩ অর্থবছরে ১৫০ কোটি টাকা জেলা প্রশাসনকে দিয়েছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। এই অধিগ্রহণের ক্ষেত্র ফরিদপুর শহরের গোয়ালচামট থেকে শুরু হয়ে ভাঙ্গার সদরদি-চুমুরদি পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে।
জানতে চাইলে ফরিদপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী খালিদ সাইফুল্লাহ সরদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভূমি অধিগ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসনকে টাকা দেওয়া হয়েছে। নানা জটিলতার কারণে ভূমি অধিগ্রহণ হয়নি বলে জেনেছি। এই প্রকল্পের মেয়াদ রয়েছে ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত। এ সময়ের মধ্যে ভূমি অধিগ্রহণ শুরু না হলে প্রকল্প থেকে এ অংশ বাদ যেতে পারে।’
ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) রামানন্দ পাল বলেন, ‘আগামী এক থেকে দুই মাসের মধ্যে ভূমি অধিগ্রহণ কার্যক্রম শেষ করা হবে।’
বৃষ্টির কারণে জলাবদ্ধতায় নোয়াখালীর ৯টি উপজেলার ২৯টি সড়কের প্রায় ৪০০ কিলোমিটারের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সড়কের কোথাও পিচ ঢালাই উঠে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। কোথাও আবার খানাখন্দে পানি জমে আছে। এসব পথে যাত্রী ও চালকেরা প্রতিদিন দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। এতে দুর্ঘটনাও ঘটছে। চলতি বছরে মে থেকে আগস্ট পর্যন্ত...
১ ঘণ্টা আগেউজানের ঢলে বৃদ্ধি পেয়েছে তিস্তা নদীর পানি। এতে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে রংপুরের গঙ্গাচড়ায় দ্বিতীয় তিস্তা সেতু রক্ষা বাঁধে। গতকাল বুধবার প্রায় ৮০০ মিটার দীর্ঘ এই বাঁধের অন্তত ৭০ মিটার নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এতে হুমকিতে পড়েছে দ্বিতীয় তিস্তা সেতু এবং রংপুর-লালমনিরহাট সড়ক।
২ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে নিষিদ্ধঘোষিত দলের লোকজনকে বাসা ভাড়া না দিতে মাইকিং করেছে পুলিশ। কোনো ভাড়াটিয়া নিষিদ্ধঘোষিত দলের সদস্য হিসেবে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে আটক হলে সেই বাড়ির মালিককে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সহযোগী হিসেবে আটক করা হবে মাইকিংয়ে বলা হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগেপটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতে গোসলের সময় নারী পর্যটকদের ভিডিও ধারণ ও অশ্লীল কথাবার্তার দায়ে মো. রুবেল (৩০) নামের এক যুবকের এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সৈকতের জিরো পয়েন্ট এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট...
৬ ঘণ্টা আগে