Ajker Patrika

চাঁদা না পেয়ে যুবদল নেতার নেতৃত্বে গাড়ি ভাঙচুর ও চালকদের মারধরের অভিযোগ

ফরিদপুর প্রতিনিধি
ভাঙচুর করা গাড়ি। ছবি: আজকের পত্রিকা
ভাঙচুর করা গাড়ি। ছবি: আজকের পত্রিকা

ফরিদপুরে চাঁদা না পেয়ে মাসুদুর রহমান লিমন নামের এক যুবদল নেতার নেতৃত্বে ১৬টি থ্রি-হুইলার গাড়ি ভাঙচুরের দাবি করেছেন চালকেরা। এ ছাড়া বাধা দেওয়ায় মারধর করা হয়েছে বলে তাঁরা জানান। এ ঘটনায় আহত ৬ চালককে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ফরিদপুর শহরের গোয়ালচামট এলাকার ভাঙ্গার রাস্তার মোড়-সংলগ্ন এলাকায় মাহিন্দ্রাস্ট্যান্ডে এ ঘটনা ঘটেছে।

এই স্ট্যান্ড থেকে জেলা সদরের শিবরামপুর ও ধুলদি এলাকায় যানবাহনগুলো চলাচল করে থাকে। সম্প্রতি এর পাশেই অস্থায়ীভাবে আরেকটি মাহিন্দ্রাস্ট্যান্ড গড়ে উঠেছে। যেখান থেকে সালথায় উপজেলায় চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

ক্ষতিগ্রস্ত চালকেরা জানান, জেলা যুবদলের সহসভাপতি মাসুদুর রহমান লিমন মুন্সি স্ট্যান্ড দখলে নেওয়ার চেষ্টা করে আসছেন এবং গাড়িপ্রতি জোরপূর্বক ৫০ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছেন। পাশাপাশি যুবদল নেতা লিমনের অধীনে থাকা শাহিন হাওলাদার ও মিন্টু নামের দুই ব্যক্তি অবৈধভাবে গড়ে ওঠা স্ট্যান্ড থেকে গাড়িপ্রতি ৫০ টাকা থেকে ১০০ টাকা টাকা তুলে গাড়ি চলাচলের সুযোগ করে দিয়ে আসছেন। এতে বাধা দেওয়ায় ৪০-৫০ জনের দল দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। স্ট্যান্ডে রাখা সবগুলো গাড়ি লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়িভাবে আঘাত করে ভাঙচুর করা হয়েছে। এ সময় সেখানে থাকা শ্রমিকদের মারধর করা হয়।

ভাঙচুর করা গাড়ি। ছবি: আজকের পত্রিকা
ভাঙচুর করা গাড়ি। ছবি: আজকের পত্রিকা

শ্রমিকেরা বলেন, ‘চাঁদা না দেওয়ায় আমাদের আওয়ামী লীগের দোসর বলে বিভিন্ন সময় মারধর ও হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছে শাহিন। সে আমাদের বলে আসছে, তোরা আওয়ামী লীগের দোসর, তোরা স্ট্যান্ডে থাকতে পারবি না। এখন আওয়ামী লীগ নেই, আমরা খাব।’

জেলা মাহিন্দ্রা শ্রমিক ইউনিয়নের সড়ক সম্পাদক লিয়াকত আলী বাবু মোল্লা জানান, ‘গত বছরের ৫ আগস্টের পর জেলা যুবদলের সহসভাপতি মাসুদুর রহমান লিমন ভাঙ্গা রাস্তার মোড় এলাকার পরিবহনগুলোয় চাঁদাবাজি করতে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় মোড় এলাকার মাহিন্দ্রা পরিবহনগুলোয় চাঁদাবাজি করতে এলে শ্রমিকেরা চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানান। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে লিমনের সহযোগী শাহিন ও মিন্টু তাঁদের সমর্থিত ৪০-৫০ জনকে নিয়ে আচমকা হামলা করে। আমরা মামলা করার জন্য সাংগঠনিক আলোচনা করতেছি।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা যুবদলের সহসভাপতি মাসুদুর রহমান লিমন মুন্সি বলেন, ‘আমাকে রাজনৈতিকভাবে কালিমা লেপন করার জন্য জড়ানো হচ্ছে। এটা শিবরামপুর ও সালথার শ্রমিকদের কোন্দল। আমরা শ্রমিক পলিটিকস (রাজনীতি) করি না, বিধায় তাঁদের ভেজালে জড়ানোর কোনো প্রশ্নই ওঠে না। এখানে আওয়ামী লীগের দোসররা আমাদের জড়ানোর চেষ্টা করতেছে।’

বিষয়টি নিয়ে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘থানায় কেউ অভিযোগ দেয়নি। তা ছাড়া অন্য একটি কাজে থাকায় বিষয়টি সম্পর্কে এখনো আমার জানা নেই।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এক নারীকে স্ত্রী দাবি করে দুই পুরুষের টানাটানি, শেষে ৩ জনই কারাগারে

১৫ শিক্ষার্থীকে যৌন হেনস্তার অভিযোগ ইবির এক ছাত্রীর বিরুদ্ধে

মার্কা শাপলাই হতে হবে, না হলে নির্বাচন কীভাবে হয় দেখে নেব: সারজিস আলম

ইসির তালিকায় ‘শাপলা’ নেই, বিকল্প প্রতীক নিতে হবে এনসিপিকে

এই আক্রমণ আখতার হোসেনকে এক বিন্দুও দুর্বল করবে না: তাসনিম জারা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত