Ajker Patrika

নিক্সন চৌধুরীকে প্রধান আসামি করে ভাঙ্গা থানায় ভাঙচুরের মামলা

ফরিদপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৯: ১৫
নিক্সন চৌধুরীকে প্রধান আসামি করে ভাঙ্গা থানায় ভাঙচুরের মামলা

ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানায় হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় সাবেক সংসদ সদস্য ও যুবলীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মুজিবুর রহমান ওরফে নিক্সন চৌধুরীকে প্রধান আসামি করে মামলা হয়েছে।

আজ বুধবার বিকেলে আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) মো. শামসুল আজম।

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে ভাঙ্গা থানার উপপরিদর্শক আজাদুজ্জামান বাদী হয়ে ২৯ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা আরও অনেককে আসামি করে মামলাটি করেন।

মামলার ২ নম্বর আসামি করা হয়েছে হামিরদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খোকন মিয়াকে। পুলিশের করা মামলার এজাহারে থানায় হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় ৪০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

জানা গেছে, ৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন এক গেজেটে ভাঙ্গা, সদরপুর ও চরভদ্রাসন নিয়ে গঠিত ফরিদপুর-৪ আসনের অধীন ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ও হামিরদী ইউনিয়ন কেটে নগরকান্দা ও সালথা নিয়ে গঠিত ফরিদপুর-২ আসনে জুড়ে দেয়।

এর প্রতিবাদে ৫ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) প্রথমে ঢাকা-খুলনা ও ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তবে ওই দিন বিকেলে ইউএনও মিজানুর রহমানের আশ্বাসে আন্দোলনকারীরা তিন দিনের জন্য কর্মসূচি স্থগিত করেন।

গত সোমবারের মধ্যে সমস্যার সমাধান না হওয়ায় গতকাল থেকে তিন দিন সকাল-সন্ধ্যা কর্মসূচি শুরু করেন তাঁরা।

ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

১৪ থেকে ১৬ সেপ্টেম্বর টানা তিন দিন অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা দেন আন্দোলনকারীরা। এই কর্মসূচির দ্বিতীয় দিনের বিক্ষোভ অবরোধ থেকে গড়ায় সহিংসতায়। এ দিন দুপুরে ভাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবস্থান নেওয়া পুলিশের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে ভাঙ্গা থানা, উপজেলা পরিষদ কার্যালয়, ভাঙ্গা হাইওয়ে থানাসহ বিভিন্ন সরকারি কার্যালয়ে ব্যাপক ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন বিক্ষুব্ধরা।

এ ছাড়া গত রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা কঠোরভাবে আন্দোলন দমন করার ঘোষণা দেন। পাশাপাশি রোববার আলগী ও হামিরদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যানসহ ৯০ জনের নাম উল্লেখ করে দেড় শজনকে অজ্ঞতানামা আসামি দেখিয়ে দ্রুত বিচার আইনে মামলা করে পুলিশ। ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয় আলগী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ম ম সিদ্দিককে।

ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আন্দোলনকারী জানান, তাঁদের আন্দোলন শান্তিপূর্ণ ছিল এবং কখনোই তাঁরা ভাঙচুর করতে চাননি। তবে গত রোববার আলগী ও হমিরদী এই দুই ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকে জড়িয়ে দ্রুত বিচার আইনে যে মামলা হয়েছে, মামলাটি এলাকাবাসী সহজভাবে নিতে পারেননি। এর প্রতিবাদে সহিংস ঘটনা ঘটে।

মামলার বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শামসুল আজম বলেন, গতকাল রাত মামলাটি করা হয়। তবে এখনো কোনো গ্রেপ্তার নেই।

এ ছাড়া জেলা প্রশাসক মো. কামরুল হাসান মোল্লা বলেন, উপজেলা পরিষদে ভাঙচুরের ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত