ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি

খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড়দিন কড়া নাড়ছে দরজায়। এই উৎসব উদ্যাপনের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার সাঁওতালরা। উপজেলায় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সাঁওতাল অধ্যুষিত পাড়া রয়েছে ৭২টি। পাড়াগুলোর ৫৮টি গির্জায় জাঁকজমকভাবে বড়দিন উদ্যাপনে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি। বর্ণিল সাজে সাজছে সবগুলো গির্জা। তাঁদের বিশ্বাস, যিশুর জন্ম হয়েছিল গোয়ালঘরে বা গোশালায়। সেই স্মৃতিকে স্মরণ করে বড়দিন উপলক্ষে গির্জাগুলোতে তৈরি করা হয়েছে প্রতীকী গোয়ালঘর।
সূর্যপাড়া, পারইল, বাসুদেবপুর, নথন, সিরামপুরের বাসিন্দারা নানা রকমের ফুল, বেলুন, নকশা করা কাগজ, জরি ও রং দিয়ে কয়েক দিন ধরেই সাজাচ্ছেন তাঁদের গির্জা ও বাড়িঘর। আজ সোমবার সকালে উপজেলার আলাদীপুর সূর্যপাড়া ও পারুইল, সিরামপুর সাঁওতাল পল্লি ঘুরে দেখা যায়, নারীরা বাড়িগুলো সাজাচ্ছেন। অনেকে নতুন কাপড় কেনাকাটায় ব্যস্ত। ব্যস্ত ও উৎসবমুখর সময় পার করছেন সবাই।
উপজেলার আলাদীপুর ইউনিয়নের বাসুদেবপুর সূর্যপাড়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায় দল বেঁধে নারীরা সাজাচ্ছেন বাড়িঘর-উঠোন। মাটির ঘরে কয়লা গুঁড়ো দিয়ে তৈরি কালো রং, বাজার থেকে আনা নীল রং এবং চুন দিয়ে মাটির দেয়ালে অসাধারণ কারুকার্যময় বিভিন্ন আলপনা ও ফুল আঁকছেন তাঁরা।
আলপনা আঁকতে আঁকতে লিনা কিচকু বলছিলেন, ‘সরই হেতু ওড়া সাজাও। সিকাতে রংইং ক্রিংয়া পাইসা বানু তিয়া।’ (বড়দিন উপলক্ষে বাড়ি সাজাচ্ছি। চুন দিয়ে এভাবে রং বা আলপনা আঁকছি। টাকা নেই কী আর করা।)
বড়দিনকে সামনে রেখে কাজিহাল ইউনিয়নের পারইল কোদবীর মিশনপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আলবিনা বাস্কে চুন দিয়ে আলপনা আঁকছেন। তিনি বলেন, ‘আনে রেংগেই হড় বানু তালে টাকা পাইসা আনাতে যাহা লেকাতে পরবও কানা লে (আমরা গরিব মানুষ টাকাপয়সা কম থাকলেও উৎসব পালন করি)।’

উপজেলার সাঁওতাল নেতা কমল কিসকু বলেন, ‘আমাদের এলাকার লোকসংখ্যা প্রায় সাড়ে ৬ হাজার। ২৫ ডিসেম্বর বড়দিন উপলক্ষে উপজেলার ব্যাপ্টিস্ট, ক্যাথলিক, লাথারন, এফসিসি ও চার্চ অব গডের ৫৮টি চার্চে প্রার্থনা করব আমরা।
উপজেলার কাজিহাল ইউনিয়নের পারইল কোদবীর ক্যাথলিক চার্চের ফাদার জসিম ফিলিপ মুর্মু বলেন, খ্রিষ্টধর্মের প্রবর্তক যিশুখ্রিষ্ট ২৫ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। সৃষ্টিকর্তার মহিমা প্রচার এবং মানবজাতিকে সত্য ও ন্যায়ের পথে পরিচালনার জন্য যিশুখ্রিষ্ট জন্ম নিয়েছিলেন। দিবসটি উপলক্ষে গির্জায় নানা আয়োজন করা হয়েছে। ২৪ ডিসেম্বর রাত থেকে প্রার্থনা শুরু করা হবে। পরদিন ২৫ ডিসেম্বর সারা দিন বিশেষ প্রার্থনাসহ নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিবসটি উদ্যাপন শেষ হবে। এ দিনে মানুষের শান্তি, কল্যাণ ও সমৃদ্ধি কামনা করে প্রার্থনা করে যিশুকে স্মরণ করেন তাঁরা।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ৫৮টি গির্জার প্রতিটিতে সরকারের পক্ষ থেকে ৫০০ কেজি করে জিআর প্রকল্পের চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মীর মো. আল কামাহ্ তমাল জানান, খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব বড়দিন উদ্যাপন উপলক্ষে উপজেলার ৫৮টি গির্জার প্রতিটিতে ৫০০ কেজি করে ২৯ টন চাল সহায়তা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া তাঁরা যাতে শান্তি-সুশৃঙ্খলভাবে দিবসটি উদ্যাপন করতে পারে, সেদিকে খেয়াল রাখা হবে।

খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড়দিন কড়া নাড়ছে দরজায়। এই উৎসব উদ্যাপনের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার সাঁওতালরা। উপজেলায় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সাঁওতাল অধ্যুষিত পাড়া রয়েছে ৭২টি। পাড়াগুলোর ৫৮টি গির্জায় জাঁকজমকভাবে বড়দিন উদ্যাপনে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি। বর্ণিল সাজে সাজছে সবগুলো গির্জা। তাঁদের বিশ্বাস, যিশুর জন্ম হয়েছিল গোয়ালঘরে বা গোশালায়। সেই স্মৃতিকে স্মরণ করে বড়দিন উপলক্ষে গির্জাগুলোতে তৈরি করা হয়েছে প্রতীকী গোয়ালঘর।
সূর্যপাড়া, পারইল, বাসুদেবপুর, নথন, সিরামপুরের বাসিন্দারা নানা রকমের ফুল, বেলুন, নকশা করা কাগজ, জরি ও রং দিয়ে কয়েক দিন ধরেই সাজাচ্ছেন তাঁদের গির্জা ও বাড়িঘর। আজ সোমবার সকালে উপজেলার আলাদীপুর সূর্যপাড়া ও পারুইল, সিরামপুর সাঁওতাল পল্লি ঘুরে দেখা যায়, নারীরা বাড়িগুলো সাজাচ্ছেন। অনেকে নতুন কাপড় কেনাকাটায় ব্যস্ত। ব্যস্ত ও উৎসবমুখর সময় পার করছেন সবাই।
উপজেলার আলাদীপুর ইউনিয়নের বাসুদেবপুর সূর্যপাড়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায় দল বেঁধে নারীরা সাজাচ্ছেন বাড়িঘর-উঠোন। মাটির ঘরে কয়লা গুঁড়ো দিয়ে তৈরি কালো রং, বাজার থেকে আনা নীল রং এবং চুন দিয়ে মাটির দেয়ালে অসাধারণ কারুকার্যময় বিভিন্ন আলপনা ও ফুল আঁকছেন তাঁরা।
আলপনা আঁকতে আঁকতে লিনা কিচকু বলছিলেন, ‘সরই হেতু ওড়া সাজাও। সিকাতে রংইং ক্রিংয়া পাইসা বানু তিয়া।’ (বড়দিন উপলক্ষে বাড়ি সাজাচ্ছি। চুন দিয়ে এভাবে রং বা আলপনা আঁকছি। টাকা নেই কী আর করা।)
বড়দিনকে সামনে রেখে কাজিহাল ইউনিয়নের পারইল কোদবীর মিশনপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আলবিনা বাস্কে চুন দিয়ে আলপনা আঁকছেন। তিনি বলেন, ‘আনে রেংগেই হড় বানু তালে টাকা পাইসা আনাতে যাহা লেকাতে পরবও কানা লে (আমরা গরিব মানুষ টাকাপয়সা কম থাকলেও উৎসব পালন করি)।’

উপজেলার সাঁওতাল নেতা কমল কিসকু বলেন, ‘আমাদের এলাকার লোকসংখ্যা প্রায় সাড়ে ৬ হাজার। ২৫ ডিসেম্বর বড়দিন উপলক্ষে উপজেলার ব্যাপ্টিস্ট, ক্যাথলিক, লাথারন, এফসিসি ও চার্চ অব গডের ৫৮টি চার্চে প্রার্থনা করব আমরা।
উপজেলার কাজিহাল ইউনিয়নের পারইল কোদবীর ক্যাথলিক চার্চের ফাদার জসিম ফিলিপ মুর্মু বলেন, খ্রিষ্টধর্মের প্রবর্তক যিশুখ্রিষ্ট ২৫ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। সৃষ্টিকর্তার মহিমা প্রচার এবং মানবজাতিকে সত্য ও ন্যায়ের পথে পরিচালনার জন্য যিশুখ্রিষ্ট জন্ম নিয়েছিলেন। দিবসটি উপলক্ষে গির্জায় নানা আয়োজন করা হয়েছে। ২৪ ডিসেম্বর রাত থেকে প্রার্থনা শুরু করা হবে। পরদিন ২৫ ডিসেম্বর সারা দিন বিশেষ প্রার্থনাসহ নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিবসটি উদ্যাপন শেষ হবে। এ দিনে মানুষের শান্তি, কল্যাণ ও সমৃদ্ধি কামনা করে প্রার্থনা করে যিশুকে স্মরণ করেন তাঁরা।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ৫৮টি গির্জার প্রতিটিতে সরকারের পক্ষ থেকে ৫০০ কেজি করে জিআর প্রকল্পের চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মীর মো. আল কামাহ্ তমাল জানান, খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব বড়দিন উদ্যাপন উপলক্ষে উপজেলার ৫৮টি গির্জার প্রতিটিতে ৫০০ কেজি করে ২৯ টন চাল সহায়তা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া তাঁরা যাতে শান্তি-সুশৃঙ্খলভাবে দিবসটি উদ্যাপন করতে পারে, সেদিকে খেয়াল রাখা হবে।
ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি

খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড়দিন কড়া নাড়ছে দরজায়। এই উৎসব উদ্যাপনের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার সাঁওতালরা। উপজেলায় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সাঁওতাল অধ্যুষিত পাড়া রয়েছে ৭২টি। পাড়াগুলোর ৫৮টি গির্জায় জাঁকজমকভাবে বড়দিন উদ্যাপনে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি। বর্ণিল সাজে সাজছে সবগুলো গির্জা। তাঁদের বিশ্বাস, যিশুর জন্ম হয়েছিল গোয়ালঘরে বা গোশালায়। সেই স্মৃতিকে স্মরণ করে বড়দিন উপলক্ষে গির্জাগুলোতে তৈরি করা হয়েছে প্রতীকী গোয়ালঘর।
সূর্যপাড়া, পারইল, বাসুদেবপুর, নথন, সিরামপুরের বাসিন্দারা নানা রকমের ফুল, বেলুন, নকশা করা কাগজ, জরি ও রং দিয়ে কয়েক দিন ধরেই সাজাচ্ছেন তাঁদের গির্জা ও বাড়িঘর। আজ সোমবার সকালে উপজেলার আলাদীপুর সূর্যপাড়া ও পারুইল, সিরামপুর সাঁওতাল পল্লি ঘুরে দেখা যায়, নারীরা বাড়িগুলো সাজাচ্ছেন। অনেকে নতুন কাপড় কেনাকাটায় ব্যস্ত। ব্যস্ত ও উৎসবমুখর সময় পার করছেন সবাই।
উপজেলার আলাদীপুর ইউনিয়নের বাসুদেবপুর সূর্যপাড়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায় দল বেঁধে নারীরা সাজাচ্ছেন বাড়িঘর-উঠোন। মাটির ঘরে কয়লা গুঁড়ো দিয়ে তৈরি কালো রং, বাজার থেকে আনা নীল রং এবং চুন দিয়ে মাটির দেয়ালে অসাধারণ কারুকার্যময় বিভিন্ন আলপনা ও ফুল আঁকছেন তাঁরা।
আলপনা আঁকতে আঁকতে লিনা কিচকু বলছিলেন, ‘সরই হেতু ওড়া সাজাও। সিকাতে রংইং ক্রিংয়া পাইসা বানু তিয়া।’ (বড়দিন উপলক্ষে বাড়ি সাজাচ্ছি। চুন দিয়ে এভাবে রং বা আলপনা আঁকছি। টাকা নেই কী আর করা।)
বড়দিনকে সামনে রেখে কাজিহাল ইউনিয়নের পারইল কোদবীর মিশনপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আলবিনা বাস্কে চুন দিয়ে আলপনা আঁকছেন। তিনি বলেন, ‘আনে রেংগেই হড় বানু তালে টাকা পাইসা আনাতে যাহা লেকাতে পরবও কানা লে (আমরা গরিব মানুষ টাকাপয়সা কম থাকলেও উৎসব পালন করি)।’

উপজেলার সাঁওতাল নেতা কমল কিসকু বলেন, ‘আমাদের এলাকার লোকসংখ্যা প্রায় সাড়ে ৬ হাজার। ২৫ ডিসেম্বর বড়দিন উপলক্ষে উপজেলার ব্যাপ্টিস্ট, ক্যাথলিক, লাথারন, এফসিসি ও চার্চ অব গডের ৫৮টি চার্চে প্রার্থনা করব আমরা।
উপজেলার কাজিহাল ইউনিয়নের পারইল কোদবীর ক্যাথলিক চার্চের ফাদার জসিম ফিলিপ মুর্মু বলেন, খ্রিষ্টধর্মের প্রবর্তক যিশুখ্রিষ্ট ২৫ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। সৃষ্টিকর্তার মহিমা প্রচার এবং মানবজাতিকে সত্য ও ন্যায়ের পথে পরিচালনার জন্য যিশুখ্রিষ্ট জন্ম নিয়েছিলেন। দিবসটি উপলক্ষে গির্জায় নানা আয়োজন করা হয়েছে। ২৪ ডিসেম্বর রাত থেকে প্রার্থনা শুরু করা হবে। পরদিন ২৫ ডিসেম্বর সারা দিন বিশেষ প্রার্থনাসহ নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিবসটি উদ্যাপন শেষ হবে। এ দিনে মানুষের শান্তি, কল্যাণ ও সমৃদ্ধি কামনা করে প্রার্থনা করে যিশুকে স্মরণ করেন তাঁরা।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ৫৮টি গির্জার প্রতিটিতে সরকারের পক্ষ থেকে ৫০০ কেজি করে জিআর প্রকল্পের চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মীর মো. আল কামাহ্ তমাল জানান, খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব বড়দিন উদ্যাপন উপলক্ষে উপজেলার ৫৮টি গির্জার প্রতিটিতে ৫০০ কেজি করে ২৯ টন চাল সহায়তা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া তাঁরা যাতে শান্তি-সুশৃঙ্খলভাবে দিবসটি উদ্যাপন করতে পারে, সেদিকে খেয়াল রাখা হবে।

খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড়দিন কড়া নাড়ছে দরজায়। এই উৎসব উদ্যাপনের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার সাঁওতালরা। উপজেলায় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সাঁওতাল অধ্যুষিত পাড়া রয়েছে ৭২টি। পাড়াগুলোর ৫৮টি গির্জায় জাঁকজমকভাবে বড়দিন উদ্যাপনে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি। বর্ণিল সাজে সাজছে সবগুলো গির্জা। তাঁদের বিশ্বাস, যিশুর জন্ম হয়েছিল গোয়ালঘরে বা গোশালায়। সেই স্মৃতিকে স্মরণ করে বড়দিন উপলক্ষে গির্জাগুলোতে তৈরি করা হয়েছে প্রতীকী গোয়ালঘর।
সূর্যপাড়া, পারইল, বাসুদেবপুর, নথন, সিরামপুরের বাসিন্দারা নানা রকমের ফুল, বেলুন, নকশা করা কাগজ, জরি ও রং দিয়ে কয়েক দিন ধরেই সাজাচ্ছেন তাঁদের গির্জা ও বাড়িঘর। আজ সোমবার সকালে উপজেলার আলাদীপুর সূর্যপাড়া ও পারুইল, সিরামপুর সাঁওতাল পল্লি ঘুরে দেখা যায়, নারীরা বাড়িগুলো সাজাচ্ছেন। অনেকে নতুন কাপড় কেনাকাটায় ব্যস্ত। ব্যস্ত ও উৎসবমুখর সময় পার করছেন সবাই।
উপজেলার আলাদীপুর ইউনিয়নের বাসুদেবপুর সূর্যপাড়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায় দল বেঁধে নারীরা সাজাচ্ছেন বাড়িঘর-উঠোন। মাটির ঘরে কয়লা গুঁড়ো দিয়ে তৈরি কালো রং, বাজার থেকে আনা নীল রং এবং চুন দিয়ে মাটির দেয়ালে অসাধারণ কারুকার্যময় বিভিন্ন আলপনা ও ফুল আঁকছেন তাঁরা।
আলপনা আঁকতে আঁকতে লিনা কিচকু বলছিলেন, ‘সরই হেতু ওড়া সাজাও। সিকাতে রংইং ক্রিংয়া পাইসা বানু তিয়া।’ (বড়দিন উপলক্ষে বাড়ি সাজাচ্ছি। চুন দিয়ে এভাবে রং বা আলপনা আঁকছি। টাকা নেই কী আর করা।)
বড়দিনকে সামনে রেখে কাজিহাল ইউনিয়নের পারইল কোদবীর মিশনপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আলবিনা বাস্কে চুন দিয়ে আলপনা আঁকছেন। তিনি বলেন, ‘আনে রেংগেই হড় বানু তালে টাকা পাইসা আনাতে যাহা লেকাতে পরবও কানা লে (আমরা গরিব মানুষ টাকাপয়সা কম থাকলেও উৎসব পালন করি)।’

উপজেলার সাঁওতাল নেতা কমল কিসকু বলেন, ‘আমাদের এলাকার লোকসংখ্যা প্রায় সাড়ে ৬ হাজার। ২৫ ডিসেম্বর বড়দিন উপলক্ষে উপজেলার ব্যাপ্টিস্ট, ক্যাথলিক, লাথারন, এফসিসি ও চার্চ অব গডের ৫৮টি চার্চে প্রার্থনা করব আমরা।
উপজেলার কাজিহাল ইউনিয়নের পারইল কোদবীর ক্যাথলিক চার্চের ফাদার জসিম ফিলিপ মুর্মু বলেন, খ্রিষ্টধর্মের প্রবর্তক যিশুখ্রিষ্ট ২৫ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। সৃষ্টিকর্তার মহিমা প্রচার এবং মানবজাতিকে সত্য ও ন্যায়ের পথে পরিচালনার জন্য যিশুখ্রিষ্ট জন্ম নিয়েছিলেন। দিবসটি উপলক্ষে গির্জায় নানা আয়োজন করা হয়েছে। ২৪ ডিসেম্বর রাত থেকে প্রার্থনা শুরু করা হবে। পরদিন ২৫ ডিসেম্বর সারা দিন বিশেষ প্রার্থনাসহ নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিবসটি উদ্যাপন শেষ হবে। এ দিনে মানুষের শান্তি, কল্যাণ ও সমৃদ্ধি কামনা করে প্রার্থনা করে যিশুকে স্মরণ করেন তাঁরা।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ৫৮টি গির্জার প্রতিটিতে সরকারের পক্ষ থেকে ৫০০ কেজি করে জিআর প্রকল্পের চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মীর মো. আল কামাহ্ তমাল জানান, খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব বড়দিন উদ্যাপন উপলক্ষে উপজেলার ৫৮টি গির্জার প্রতিটিতে ৫০০ কেজি করে ২৯ টন চাল সহায়তা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া তাঁরা যাতে শান্তি-সুশৃঙ্খলভাবে দিবসটি উদ্যাপন করতে পারে, সেদিকে খেয়াল রাখা হবে।

মাহমুদ হোসেন ভান্ডারিয়া সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি এবং প্রখ্যাত সাংবাদিক তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়ার ভাতিজা। তিনি দীর্ঘদিন ধরে পিরোজপুর-২ আসন থেকে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন।
৮ মিনিট আগে
পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি আবু মনুহর দিনমজুরের কাজ করে সন্তানদের জীবিকা নির্বাহ করতেন। প্রায় দেড় বছর আগে স্ট্রোক করে তাঁর মৃত্যু হয়। এর পর থেকে পরিবারটির দুর্দশা আরও বেড়ে যায়। বর্তমানে তাঁরা নিজের ঘরে শিশুদের খাদ্যদ্রব্য বিক্রি করে কোনোরকমে দিন চালাচ্ছেন।
৩৯ মিনিট আগে
লক্ষ্মীপুরের ভবানীগঞ্জের চরমনসা এলাকায় বিএনপি নেতা বেলাল হোসেনের বসতঘরে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় দগ্ধ হয়ে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর বড় মেয়ে সালমা আক্তার স্মৃতিও (১৭) মারা গেছে। এর আগে একই ঘটনায় তাঁর ছোট মেয়ে আয়েশা বেগমের মৃত্যু হয়।
১ ঘণ্টা আগে
রাজশাহীর প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে নতুন বই পৌঁছাতে শুরু করেছে। প্রাথমিক পর্যায়ের শতভাগ বই ইতিমধ্যে রাজশাহী এসেছে বলে জানিয়েছে শিক্ষা অফিস। তবে মাধ্যমিকের সব বই পৌঁছেনি। প্রথম ধাপে ষষ্ঠ শ্রেণির সব বই এবং নবম শ্রেণির কিছু বই এসেছে। সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির বই এখনো উপজেলা পর্যায়ে...
২ ঘণ্টা আগেনেছারাবাদ (পিরোজপুর) প্রতিনিধি

পিরোজপুর-২ (কাউখালী, ভান্ডারিয়া ও নেছারাবাদ) আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) থেকে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন সাবেক ভিপি মাহমুদ হোসেন। মোবাইলে আলাপকালে মাহমুদ হোসেন নিজেই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মাহমুদ হোসেন ভান্ডারিয়া সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি এবং প্রখ্যাত সাংবাদিক তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়ার ভাতিজা। তিনি দীর্ঘদিন ধরে পিরোজপুর-২ আসন থেকে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। তাঁর নেতৃত্বে এই আসনে বিএনপির একটি শক্তিশালী রাজনৈতিক বলয় গড়ে উঠেছে বলে স্থানীয়ভাবে জানা যায়।
উল্লেখ্য, পিরোজপুর-২ আসনে বিএনপির চূড়ান্ত মনোনয়ন পেয়েছেন আহমদ সোহেল মঞ্জুর সুমন। গত মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) মনোনয়ন চূড়ান্ত হওয়ার পরপরই মাহমুদ হোসেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
এ বিষয়ে মাহমুদ হোসেন বলেন, ‘আমি ২০২৩ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপিতে যোগ দিলেও ছাত্রজীবন থেকেই বিএনপির আদর্শে বিশ্বাসী। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের চেতনাকে ধারণ করে সব সময় দলের তৃণমূল নেতা-কর্মীদের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি।’
মাহমুদ হোসেন আরও বলেন, ‘পিরোজপুর-২ আসনের সাধারণ মানুষ আমাকে এই আসনে নেতৃত্বে দেখতে চান। জনগণের সেই প্রত্যাশাকে প্রাধান্য দিয়েই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বিএনপি একটি গণমানুষের দল। সেই গণমানুষের চাওয়াকেই গুরুত্ব দিয়ে সামনে এগোতে চাই।’
মাহমুদ হোসেন জানান, শিগগির তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করবেন এবং আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী কার্যক্রম শুরু করবেন।

পিরোজপুর-২ (কাউখালী, ভান্ডারিয়া ও নেছারাবাদ) আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) থেকে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন সাবেক ভিপি মাহমুদ হোসেন। মোবাইলে আলাপকালে মাহমুদ হোসেন নিজেই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মাহমুদ হোসেন ভান্ডারিয়া সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি এবং প্রখ্যাত সাংবাদিক তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়ার ভাতিজা। তিনি দীর্ঘদিন ধরে পিরোজপুর-২ আসন থেকে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। তাঁর নেতৃত্বে এই আসনে বিএনপির একটি শক্তিশালী রাজনৈতিক বলয় গড়ে উঠেছে বলে স্থানীয়ভাবে জানা যায়।
উল্লেখ্য, পিরোজপুর-২ আসনে বিএনপির চূড়ান্ত মনোনয়ন পেয়েছেন আহমদ সোহেল মঞ্জুর সুমন। গত মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) মনোনয়ন চূড়ান্ত হওয়ার পরপরই মাহমুদ হোসেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
এ বিষয়ে মাহমুদ হোসেন বলেন, ‘আমি ২০২৩ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপিতে যোগ দিলেও ছাত্রজীবন থেকেই বিএনপির আদর্শে বিশ্বাসী। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের চেতনাকে ধারণ করে সব সময় দলের তৃণমূল নেতা-কর্মীদের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি।’
মাহমুদ হোসেন আরও বলেন, ‘পিরোজপুর-২ আসনের সাধারণ মানুষ আমাকে এই আসনে নেতৃত্বে দেখতে চান। জনগণের সেই প্রত্যাশাকে প্রাধান্য দিয়েই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বিএনপি একটি গণমানুষের দল। সেই গণমানুষের চাওয়াকেই গুরুত্ব দিয়ে সামনে এগোতে চাই।’
মাহমুদ হোসেন জানান, শিগগির তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করবেন এবং আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী কার্যক্রম শুরু করবেন।

নানা রকম সাজসজ্জায় সাজছে সাঁওতাল পল্লিগুলো। সূর্যপাড়া, পারইল, বাসুদেবপুর, নথন, সিরামপুরের বাসিন্দারা নানা রকমের ফুল, বেলুন, নকশা করা কাগজ, জরি ও রং দিয়ে কয়েক দিন ধরেই সাজাচ্ছেন তাঁদের গির্জা ও বাড়িঘর। আজ সোমবার সকালে উপজেলার আলাদীপুর সূর্যপাড়া ও পারুইল, সিরামপুর সাঁওতাল পল্লি ঘুরে দেখা যায়, নারীরা ব
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি আবু মনুহর দিনমজুরের কাজ করে সন্তানদের জীবিকা নির্বাহ করতেন। প্রায় দেড় বছর আগে স্ট্রোক করে তাঁর মৃত্যু হয়। এর পর থেকে পরিবারটির দুর্দশা আরও বেড়ে যায়। বর্তমানে তাঁরা নিজের ঘরে শিশুদের খাদ্যদ্রব্য বিক্রি করে কোনোরকমে দিন চালাচ্ছেন।
৩৯ মিনিট আগে
লক্ষ্মীপুরের ভবানীগঞ্জের চরমনসা এলাকায় বিএনপি নেতা বেলাল হোসেনের বসতঘরে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় দগ্ধ হয়ে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর বড় মেয়ে সালমা আক্তার স্মৃতিও (১৭) মারা গেছে। এর আগে একই ঘটনায় তাঁর ছোট মেয়ে আয়েশা বেগমের মৃত্যু হয়।
১ ঘণ্টা আগে
রাজশাহীর প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে নতুন বই পৌঁছাতে শুরু করেছে। প্রাথমিক পর্যায়ের শতভাগ বই ইতিমধ্যে রাজশাহী এসেছে বলে জানিয়েছে শিক্ষা অফিস। তবে মাধ্যমিকের সব বই পৌঁছেনি। প্রথম ধাপে ষষ্ঠ শ্রেণির সব বই এবং নবম শ্রেণির কিছু বই এসেছে। সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির বই এখনো উপজেলা পর্যায়ে...
২ ঘণ্টা আগেফরিদগঞ্জ (চাঁদপুর) প্রতিনিধি

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে চরম মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে একটি পরিবার। পরিবারটির ছয় সদস্যই শারীরিক প্রতিবন্ধী। ফরিদগঞ্জ পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম বড়ালী গ্রামের আজিম বাড়ির বাসিন্দা প্রয়াত আবু মনুহর ও ফুল বানু দম্পতির সাত সন্তানের মধ্যে শুধু একজন সুস্থ। বাকি ছয় সন্তান শারীরিক প্রতিবন্ধকতায় ভুগছেন।
পরিবারে পাঁচ ছেলে ও দুই মেয়ে। একমাত্র সুস্থ সন্তান মিসু আক্তার প্রিয়া (৩৩) গৃহস্থালির কাজ করেন। অন্য ছয় সন্তানের কেউই শারীরিক প্রতিবন্ধকতার কারণে স্বাভাবিক জীবন কিংবা দাম্পত্য জীবনে পা রাখতে পারেননি। অর্থাভাবে নিয়মিত চিকিৎসাও হচ্ছে না। অর্ধাহারে-অনাহারে দিন কাটছে তাঁদের। ভালো বাসস্থানের ব্যবস্থাও নেই। ফলে পুরো পরিবারের জীবন হয়ে উঠেছে দুর্বিষহ।
শারীরিক প্রতিবন্ধী সন্তানেরা হলেন নুরুল ইসলাম (৪১), তাজুল ইসলাম (৩৯), জাহাঙ্গীর হোসেন (৩৫), বিল্লাল হোসেন (৩৪), মো. আবদুর রব (৩২) ও রেহানা বেগম (২৩)। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সবাই স্বাভাবিকভাবে জন্ম নিলেও ছয় থেকে সাত বছর বয়সে টাইফয়েডে আক্রান্ত হওয়ার পর ধীরে ধীরে শারীরিকভাবে অক্ষম হয়ে পড়েন।
জানা যায়, পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি আবু মনুহর দিনমজুরের কাজ করে সন্তানদের জীবিকা নির্বাহ করতেন। প্রায় দেড় বছর আগে স্ট্রোক করে তাঁর মৃত্যু হয়। এর পর থেকে পরিবারটির দুর্দশা আরও বেড়ে যায়। বর্তমানে তাঁরা নিজের ঘরে শিশুদের খাদ্যদ্রব্য বিক্রি করে কোনোরকমে দিন চালাচ্ছেন।
প্রতিবন্ধী আবদুর রব বলেন, ‘শরীরে শক্তি নেই, হাঁটতেও পারি না। তাই ভিক্ষাও করতে পারি না। ঘরে বসে শিশুখাদ্য বিক্রি করি। দিনে ৭০ থেকে ১০০ টাকা আয় হয়। আটজনের সংসারে অনেক সময় না খেয়েই থাকতে হয়।’
নুরুল ইসলাম ও তাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা শুধু প্রতিবন্ধী ভাতা পাই। সরকারি বা বেসরকারি আর কোনো সহযোগিতা পাই না। বেঁচে থাকার জন্য সহযোগিতা চাই।’
প্রতিবন্ধী সন্তানদের মা ফুল বানু বলেন, ‘একটি স্বাভাবিক সন্তান বড় করতেই এখন অনেক কষ্ট। সেখানে পরপর ছয়টি প্রতিবন্ধী সন্তান নিয়ে যে মানসিক ও শারীরিক যন্ত্রণা ভোগ করছি, তা ভাষায় বোঝানো যাবে না। স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে খেয়ে না খেয়ে দিন কাটছে। আমি এখনো বিধবা ভাতার কার্ড পাইনি।’
স্থানীয় বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী আহমদ, বিল্লাল হোসেন মানিক ও রাজনীতিক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, উপার্জনক্ষম কেউ না থাকায় পরিবারটি চরম দুঃখ-কষ্টে দিন কাটাচ্ছে। প্রতিবন্ধী ভাতা ছাড়া আর কোনো সহায়তা তারা পাচ্ছে না। তাঁরা পরিবারটির পাশে দাঁড়াতে বিত্তবানদের প্রতি আহ্বান জানান।
উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান বলেন, পরিবারের সদস্যরা ইতিমধ্যে প্রতিবন্ধী ভাতার আওতায় এসেছেন। কেউ বাদ পড়লে যাচাই-বাছাই করে সুবিধার আওতায় আনা হবে।
ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান জুয়েল বলেন, তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ। হাসপাতালে এলে বিশেষভাবে চিকিৎসা ও প্রয়োজনীয় ওষুধ দেওয়া হয়।
ফরিদগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সেটু কুমার জানান, বিষয়টি দুঃখজনক, খোঁজখবর নিয়ে তাঁদের পাশে থাকার চেষ্টা করব।

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে চরম মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে একটি পরিবার। পরিবারটির ছয় সদস্যই শারীরিক প্রতিবন্ধী। ফরিদগঞ্জ পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম বড়ালী গ্রামের আজিম বাড়ির বাসিন্দা প্রয়াত আবু মনুহর ও ফুল বানু দম্পতির সাত সন্তানের মধ্যে শুধু একজন সুস্থ। বাকি ছয় সন্তান শারীরিক প্রতিবন্ধকতায় ভুগছেন।
পরিবারে পাঁচ ছেলে ও দুই মেয়ে। একমাত্র সুস্থ সন্তান মিসু আক্তার প্রিয়া (৩৩) গৃহস্থালির কাজ করেন। অন্য ছয় সন্তানের কেউই শারীরিক প্রতিবন্ধকতার কারণে স্বাভাবিক জীবন কিংবা দাম্পত্য জীবনে পা রাখতে পারেননি। অর্থাভাবে নিয়মিত চিকিৎসাও হচ্ছে না। অর্ধাহারে-অনাহারে দিন কাটছে তাঁদের। ভালো বাসস্থানের ব্যবস্থাও নেই। ফলে পুরো পরিবারের জীবন হয়ে উঠেছে দুর্বিষহ।
শারীরিক প্রতিবন্ধী সন্তানেরা হলেন নুরুল ইসলাম (৪১), তাজুল ইসলাম (৩৯), জাহাঙ্গীর হোসেন (৩৫), বিল্লাল হোসেন (৩৪), মো. আবদুর রব (৩২) ও রেহানা বেগম (২৩)। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সবাই স্বাভাবিকভাবে জন্ম নিলেও ছয় থেকে সাত বছর বয়সে টাইফয়েডে আক্রান্ত হওয়ার পর ধীরে ধীরে শারীরিকভাবে অক্ষম হয়ে পড়েন।
জানা যায়, পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি আবু মনুহর দিনমজুরের কাজ করে সন্তানদের জীবিকা নির্বাহ করতেন। প্রায় দেড় বছর আগে স্ট্রোক করে তাঁর মৃত্যু হয়। এর পর থেকে পরিবারটির দুর্দশা আরও বেড়ে যায়। বর্তমানে তাঁরা নিজের ঘরে শিশুদের খাদ্যদ্রব্য বিক্রি করে কোনোরকমে দিন চালাচ্ছেন।
প্রতিবন্ধী আবদুর রব বলেন, ‘শরীরে শক্তি নেই, হাঁটতেও পারি না। তাই ভিক্ষাও করতে পারি না। ঘরে বসে শিশুখাদ্য বিক্রি করি। দিনে ৭০ থেকে ১০০ টাকা আয় হয়। আটজনের সংসারে অনেক সময় না খেয়েই থাকতে হয়।’
নুরুল ইসলাম ও তাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা শুধু প্রতিবন্ধী ভাতা পাই। সরকারি বা বেসরকারি আর কোনো সহযোগিতা পাই না। বেঁচে থাকার জন্য সহযোগিতা চাই।’
প্রতিবন্ধী সন্তানদের মা ফুল বানু বলেন, ‘একটি স্বাভাবিক সন্তান বড় করতেই এখন অনেক কষ্ট। সেখানে পরপর ছয়টি প্রতিবন্ধী সন্তান নিয়ে যে মানসিক ও শারীরিক যন্ত্রণা ভোগ করছি, তা ভাষায় বোঝানো যাবে না। স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে খেয়ে না খেয়ে দিন কাটছে। আমি এখনো বিধবা ভাতার কার্ড পাইনি।’
স্থানীয় বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী আহমদ, বিল্লাল হোসেন মানিক ও রাজনীতিক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, উপার্জনক্ষম কেউ না থাকায় পরিবারটি চরম দুঃখ-কষ্টে দিন কাটাচ্ছে। প্রতিবন্ধী ভাতা ছাড়া আর কোনো সহায়তা তারা পাচ্ছে না। তাঁরা পরিবারটির পাশে দাঁড়াতে বিত্তবানদের প্রতি আহ্বান জানান।
উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান বলেন, পরিবারের সদস্যরা ইতিমধ্যে প্রতিবন্ধী ভাতার আওতায় এসেছেন। কেউ বাদ পড়লে যাচাই-বাছাই করে সুবিধার আওতায় আনা হবে।
ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান জুয়েল বলেন, তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ। হাসপাতালে এলে বিশেষভাবে চিকিৎসা ও প্রয়োজনীয় ওষুধ দেওয়া হয়।
ফরিদগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সেটু কুমার জানান, বিষয়টি দুঃখজনক, খোঁজখবর নিয়ে তাঁদের পাশে থাকার চেষ্টা করব।

নানা রকম সাজসজ্জায় সাজছে সাঁওতাল পল্লিগুলো। সূর্যপাড়া, পারইল, বাসুদেবপুর, নথন, সিরামপুরের বাসিন্দারা নানা রকমের ফুল, বেলুন, নকশা করা কাগজ, জরি ও রং দিয়ে কয়েক দিন ধরেই সাজাচ্ছেন তাঁদের গির্জা ও বাড়িঘর। আজ সোমবার সকালে উপজেলার আলাদীপুর সূর্যপাড়া ও পারুইল, সিরামপুর সাঁওতাল পল্লি ঘুরে দেখা যায়, নারীরা ব
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
মাহমুদ হোসেন ভান্ডারিয়া সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি এবং প্রখ্যাত সাংবাদিক তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়ার ভাতিজা। তিনি দীর্ঘদিন ধরে পিরোজপুর-২ আসন থেকে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন।
৮ মিনিট আগে
লক্ষ্মীপুরের ভবানীগঞ্জের চরমনসা এলাকায় বিএনপি নেতা বেলাল হোসেনের বসতঘরে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় দগ্ধ হয়ে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর বড় মেয়ে সালমা আক্তার স্মৃতিও (১৭) মারা গেছে। এর আগে একই ঘটনায় তাঁর ছোট মেয়ে আয়েশা বেগমের মৃত্যু হয়।
১ ঘণ্টা আগে
রাজশাহীর প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে নতুন বই পৌঁছাতে শুরু করেছে। প্রাথমিক পর্যায়ের শতভাগ বই ইতিমধ্যে রাজশাহী এসেছে বলে জানিয়েছে শিক্ষা অফিস। তবে মাধ্যমিকের সব বই পৌঁছেনি। প্রথম ধাপে ষষ্ঠ শ্রেণির সব বই এবং নবম শ্রেণির কিছু বই এসেছে। সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির বই এখনো উপজেলা পর্যায়ে...
২ ঘণ্টা আগেলক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

লক্ষ্মীপুরের ভবানীগঞ্জের চরমনসা এলাকায় বিএনপি নেতা বেলাল হোসেনের বসতঘরে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় দগ্ধ হয়ে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর বড় মেয়ে সালমা আক্তার স্মৃতিও (১৭) মারা গেছে। এর আগে একই ঘটনায় তাঁর ছোট মেয়ে আয়েশা বেগমের মৃত্যু হয়। এ নিয়ে এই ঘটনায় নিহতের সংখ্যা দাঁড়াল দুজনে।
গতকাল বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্মৃতির মৃত্যু হয়। বেলাল হোসেন নিজেও অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ হন। রাত ১টার দিকে লক্ষ্মীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) হোসাইন মোহাম্মদ রায়হান কাজেমী বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
অভিযোগ রয়েছে, ১৯ ডিসেম্বর রাতে ভবানীগঞ্জের চরমনসা গ্রামের সুতারগোপ্তা এলাকায় দুর্বৃত্তরা বাইরে থেকে দরজায় তালা লাগিয়ে পেট্রল ঢেলে বেলাল হোসেনের বসতঘরে আগুন দেয়। এতে ঘর ও আসবাব পুড়ে যায় এবং আগুনে পুড়ে ঘটনাস্থলেই ছোট মেয়ে আয়েশা বেগমের মৃত্যু হয়।
এই ঘটনায় বেলাল হোসেন, তাঁর বড় মেয়ে স্মৃতি এবং অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেজো মেয়ে সায়মা আক্তার বিথি (১৪) দগ্ধ হয়। বেলাল হোসেন লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। স্মৃতি ও বিথিকে ঢাকায় জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকদের তথ্যমতে, স্মৃতির শরীরের প্রায় ৯০ শতাংশ এবং বিথির প্রায় ৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। চিকিৎসা শেষে বিথিকে পরদিনই হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। তবে স্মৃতি পাঁচ দিন ধরে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন থাকার পর মারা যায়।
এই ঘটনায় মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) রাতে বেলাল হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন। ঘটনার পর থেকে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। ঘটনাস্থল থেকে তিনটি তালা উদ্ধার করা হয়েছে, এর মধ্যে দুটি বন্ধ এবং একটি খোলা অবস্থায় ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এদিকে পোড়া বাড়ি পরিদর্শন করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ও যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানিসসহ বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মী এবং জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হোসাইন মোহাম্মদ রায়হান কাজেমী বলেন, ঘটনার দিন আগুনে পুড়ে আয়েশার মৃত্যু হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্মৃতিও মারা গেছে। নিহত সন্তানদের বাবা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে।

লক্ষ্মীপুরের ভবানীগঞ্জের চরমনসা এলাকায় বিএনপি নেতা বেলাল হোসেনের বসতঘরে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় দগ্ধ হয়ে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর বড় মেয়ে সালমা আক্তার স্মৃতিও (১৭) মারা গেছে। এর আগে একই ঘটনায় তাঁর ছোট মেয়ে আয়েশা বেগমের মৃত্যু হয়। এ নিয়ে এই ঘটনায় নিহতের সংখ্যা দাঁড়াল দুজনে।
গতকাল বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্মৃতির মৃত্যু হয়। বেলাল হোসেন নিজেও অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ হন। রাত ১টার দিকে লক্ষ্মীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) হোসাইন মোহাম্মদ রায়হান কাজেমী বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
অভিযোগ রয়েছে, ১৯ ডিসেম্বর রাতে ভবানীগঞ্জের চরমনসা গ্রামের সুতারগোপ্তা এলাকায় দুর্বৃত্তরা বাইরে থেকে দরজায় তালা লাগিয়ে পেট্রল ঢেলে বেলাল হোসেনের বসতঘরে আগুন দেয়। এতে ঘর ও আসবাব পুড়ে যায় এবং আগুনে পুড়ে ঘটনাস্থলেই ছোট মেয়ে আয়েশা বেগমের মৃত্যু হয়।
এই ঘটনায় বেলাল হোসেন, তাঁর বড় মেয়ে স্মৃতি এবং অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেজো মেয়ে সায়মা আক্তার বিথি (১৪) দগ্ধ হয়। বেলাল হোসেন লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। স্মৃতি ও বিথিকে ঢাকায় জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকদের তথ্যমতে, স্মৃতির শরীরের প্রায় ৯০ শতাংশ এবং বিথির প্রায় ৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। চিকিৎসা শেষে বিথিকে পরদিনই হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। তবে স্মৃতি পাঁচ দিন ধরে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন থাকার পর মারা যায়।
এই ঘটনায় মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) রাতে বেলাল হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন। ঘটনার পর থেকে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। ঘটনাস্থল থেকে তিনটি তালা উদ্ধার করা হয়েছে, এর মধ্যে দুটি বন্ধ এবং একটি খোলা অবস্থায় ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এদিকে পোড়া বাড়ি পরিদর্শন করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ও যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানিসসহ বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মী এবং জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হোসাইন মোহাম্মদ রায়হান কাজেমী বলেন, ঘটনার দিন আগুনে পুড়ে আয়েশার মৃত্যু হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্মৃতিও মারা গেছে। নিহত সন্তানদের বাবা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে।

নানা রকম সাজসজ্জায় সাজছে সাঁওতাল পল্লিগুলো। সূর্যপাড়া, পারইল, বাসুদেবপুর, নথন, সিরামপুরের বাসিন্দারা নানা রকমের ফুল, বেলুন, নকশা করা কাগজ, জরি ও রং দিয়ে কয়েক দিন ধরেই সাজাচ্ছেন তাঁদের গির্জা ও বাড়িঘর। আজ সোমবার সকালে উপজেলার আলাদীপুর সূর্যপাড়া ও পারুইল, সিরামপুর সাঁওতাল পল্লি ঘুরে দেখা যায়, নারীরা ব
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
মাহমুদ হোসেন ভান্ডারিয়া সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি এবং প্রখ্যাত সাংবাদিক তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়ার ভাতিজা। তিনি দীর্ঘদিন ধরে পিরোজপুর-২ আসন থেকে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন।
৮ মিনিট আগে
পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি আবু মনুহর দিনমজুরের কাজ করে সন্তানদের জীবিকা নির্বাহ করতেন। প্রায় দেড় বছর আগে স্ট্রোক করে তাঁর মৃত্যু হয়। এর পর থেকে পরিবারটির দুর্দশা আরও বেড়ে যায়। বর্তমানে তাঁরা নিজের ঘরে শিশুদের খাদ্যদ্রব্য বিক্রি করে কোনোরকমে দিন চালাচ্ছেন।
৩৯ মিনিট আগে
রাজশাহীর প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে নতুন বই পৌঁছাতে শুরু করেছে। প্রাথমিক পর্যায়ের শতভাগ বই ইতিমধ্যে রাজশাহী এসেছে বলে জানিয়েছে শিক্ষা অফিস। তবে মাধ্যমিকের সব বই পৌঁছেনি। প্রথম ধাপে ষষ্ঠ শ্রেণির সব বই এবং নবম শ্রেণির কিছু বই এসেছে। সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির বই এখনো উপজেলা পর্যায়ে...
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

রাজশাহীর প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে নতুন বই পৌঁছাতে শুরু করেছে। প্রাথমিক পর্যায়ের শতভাগ বই ইতিমধ্যে রাজশাহী এসেছে বলে জানিয়েছে শিক্ষা অফিস। তবে মাধ্যমিকের সব বই পৌঁছেনি। প্রথম ধাপে ষষ্ঠ শ্রেণির সব বই এবং নবম শ্রেণির কিছু বই এসেছে। সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির বই এখনো উপজেলা পর্যায়ে না পৌঁছানোয় বিতরণ শুরু হয়নি।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস থেকে জানা গেছে, প্রাক্-প্রাথমিক পর্যায়ে জেলায় বই দরকার ৪১ হাজার ৬৪০ সেট। আর প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত দরকার ১১ লাখ ১৯ হাজার ২০৪ কপি বই। ইতিমধ্যে চাহিদার সব বই পাওয়া গেছে। ২১ ডিসেম্বর থেকে বই বিভিন্ন স্কুলে পাঠানো হচ্ছে।
এদিকে জেলা শিক্ষা অফিস জানিয়েছে, জেলায় ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠ্যবইয়ের চাহিদা প্রায় ২২ লাখ ৭ হাজার কপি। সব বই এখনো পাওয়া যায়নি। যেগুলো এসেছে, সেগুলোই উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে স্কুলে স্কুলে বিতরণ করা হচ্ছে। বাকি বইগুলো আসামাত্র বিতরণ করা হবে।
বুধবার রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে মাধ্যমিক পর্যায়ের বই বিতরণ করতে দেখা যায়। বই সংগ্রহ করতে আসা শিক্ষকেরা জানান, গত শিক্ষাবর্ষে তিন থেকে চার মাস দেরিতে সম্পূর্ণ বই হাতে পাওয়ায় পাঠদান কার্যক্রম চরমভাবে ব্যাহত হয়েছিল। এবার শিক্ষাবর্ষের শুরুতেই শিক্ষার্থীদের হাতে হাতে সব বই পৌঁছানোর প্রত্যাশা করছেন তাঁরা।
উপজেলা শিক্ষা অফিস জানিয়েছে, প্রথম ধাপে ষষ্ঠ শ্রেণির সব বই এবং নবম শ্রেণির কিছু বই সরবরাহ করা হয়েছে। তবে সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির বই এখনো উপজেলা পর্যায়ে না পৌঁছানোয় সেগুলো বিতরণ শুরু হয়নি। আগামী সপ্তাহের মধ্যে অবশিষ্ট বই পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জায়েদুর রহমান বলেন, ‘নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরুর আগেই শিক্ষার্থীরা সম্পূর্ণ পাঠ্যবই হাতে পাবে। তবে বই উৎসবের মাধ্যমে বিতরণ করা হবে কি না, সে বিষয়ে এখনো কোনো নির্দেশনা পাওয়া যায়নি।’
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এ কে এম আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘এবার প্রাথমিকের বই নিয়ে কোনো সংকট নেই। আমাদের চাহিদার শতভাগ বই আমরা পেয়েছি। এবার বছরের প্রথম দিনই শিক্ষার্থীরা হাতে নতুন বই পাবে।’

রাজশাহীর প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে নতুন বই পৌঁছাতে শুরু করেছে। প্রাথমিক পর্যায়ের শতভাগ বই ইতিমধ্যে রাজশাহী এসেছে বলে জানিয়েছে শিক্ষা অফিস। তবে মাধ্যমিকের সব বই পৌঁছেনি। প্রথম ধাপে ষষ্ঠ শ্রেণির সব বই এবং নবম শ্রেণির কিছু বই এসেছে। সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির বই এখনো উপজেলা পর্যায়ে না পৌঁছানোয় বিতরণ শুরু হয়নি।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস থেকে জানা গেছে, প্রাক্-প্রাথমিক পর্যায়ে জেলায় বই দরকার ৪১ হাজার ৬৪০ সেট। আর প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত দরকার ১১ লাখ ১৯ হাজার ২০৪ কপি বই। ইতিমধ্যে চাহিদার সব বই পাওয়া গেছে। ২১ ডিসেম্বর থেকে বই বিভিন্ন স্কুলে পাঠানো হচ্ছে।
এদিকে জেলা শিক্ষা অফিস জানিয়েছে, জেলায় ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠ্যবইয়ের চাহিদা প্রায় ২২ লাখ ৭ হাজার কপি। সব বই এখনো পাওয়া যায়নি। যেগুলো এসেছে, সেগুলোই উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে স্কুলে স্কুলে বিতরণ করা হচ্ছে। বাকি বইগুলো আসামাত্র বিতরণ করা হবে।
বুধবার রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে মাধ্যমিক পর্যায়ের বই বিতরণ করতে দেখা যায়। বই সংগ্রহ করতে আসা শিক্ষকেরা জানান, গত শিক্ষাবর্ষে তিন থেকে চার মাস দেরিতে সম্পূর্ণ বই হাতে পাওয়ায় পাঠদান কার্যক্রম চরমভাবে ব্যাহত হয়েছিল। এবার শিক্ষাবর্ষের শুরুতেই শিক্ষার্থীদের হাতে হাতে সব বই পৌঁছানোর প্রত্যাশা করছেন তাঁরা।
উপজেলা শিক্ষা অফিস জানিয়েছে, প্রথম ধাপে ষষ্ঠ শ্রেণির সব বই এবং নবম শ্রেণির কিছু বই সরবরাহ করা হয়েছে। তবে সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির বই এখনো উপজেলা পর্যায়ে না পৌঁছানোয় সেগুলো বিতরণ শুরু হয়নি। আগামী সপ্তাহের মধ্যে অবশিষ্ট বই পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জায়েদুর রহমান বলেন, ‘নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরুর আগেই শিক্ষার্থীরা সম্পূর্ণ পাঠ্যবই হাতে পাবে। তবে বই উৎসবের মাধ্যমে বিতরণ করা হবে কি না, সে বিষয়ে এখনো কোনো নির্দেশনা পাওয়া যায়নি।’
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এ কে এম আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘এবার প্রাথমিকের বই নিয়ে কোনো সংকট নেই। আমাদের চাহিদার শতভাগ বই আমরা পেয়েছি। এবার বছরের প্রথম দিনই শিক্ষার্থীরা হাতে নতুন বই পাবে।’

নানা রকম সাজসজ্জায় সাজছে সাঁওতাল পল্লিগুলো। সূর্যপাড়া, পারইল, বাসুদেবপুর, নথন, সিরামপুরের বাসিন্দারা নানা রকমের ফুল, বেলুন, নকশা করা কাগজ, জরি ও রং দিয়ে কয়েক দিন ধরেই সাজাচ্ছেন তাঁদের গির্জা ও বাড়িঘর। আজ সোমবার সকালে উপজেলার আলাদীপুর সূর্যপাড়া ও পারুইল, সিরামপুর সাঁওতাল পল্লি ঘুরে দেখা যায়, নারীরা ব
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
মাহমুদ হোসেন ভান্ডারিয়া সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি এবং প্রখ্যাত সাংবাদিক তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়ার ভাতিজা। তিনি দীর্ঘদিন ধরে পিরোজপুর-২ আসন থেকে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন।
৮ মিনিট আগে
পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি আবু মনুহর দিনমজুরের কাজ করে সন্তানদের জীবিকা নির্বাহ করতেন। প্রায় দেড় বছর আগে স্ট্রোক করে তাঁর মৃত্যু হয়। এর পর থেকে পরিবারটির দুর্দশা আরও বেড়ে যায়। বর্তমানে তাঁরা নিজের ঘরে শিশুদের খাদ্যদ্রব্য বিক্রি করে কোনোরকমে দিন চালাচ্ছেন।
৩৯ মিনিট আগে
লক্ষ্মীপুরের ভবানীগঞ্জের চরমনসা এলাকায় বিএনপি নেতা বেলাল হোসেনের বসতঘরে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় দগ্ধ হয়ে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর বড় মেয়ে সালমা আক্তার স্মৃতিও (১৭) মারা গেছে। এর আগে একই ঘটনায় তাঁর ছোট মেয়ে আয়েশা বেগমের মৃত্যু হয়।
১ ঘণ্টা আগে