Ajker Patrika

ডান্ডাবেড়ি প্রসঙ্গে হাইকোর্ট: এভাবে চলতে থাকলে আমরা হয়তো আনসিভিলাইজড বলে পরিচিত হব

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৫ জানুয়ারি ২০২৪, ২০: ১৬
ডান্ডাবেড়ি প্রসঙ্গে হাইকোর্ট: এভাবে চলতে থাকলে আমরা হয়তো আনসিভিলাইজড বলে পরিচিত হব

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদল নেতা নাজমুল মৃধার ডাণ্ডাবেড়ি পরা অবস্থায় বাবার জানাজায় অংশ নেওয়ার ঘটনা হাইকোর্টের নজরে আনা হয়েছে। আজ সোমবার বিষয়টি বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর বেঞ্চের নজরে আনেন বিএনপির আইন সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।  

গণমাধ্যমে প্রকাশিত এই সংক্রান্ত প্রতিবেদন নজরে এনে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চান কায়সার কামাল। আদালত বলেন, ‘আমরা বিষয়টি দেখেছি।’ 

কায়সার কামাল বলেন, ‘একের পর এক এ ধরনের ঘটনা ঘটছে। রাষ্ট্র দিন দিন নাগরিকদের প্রতি নিষ্ঠুরতা প্রদর্শন করছে।’ আদালত বলেন, ‘এভাবে চলতে থাকলে আমরা হয়তো আনসিভিলাইজড হিসেবে পরিচিত হব।’
 
এ সময় আদালত কায়সার কামালকে বলেন, ‘চাইলে আগের রিটে (যশোরে ডাণ্ডাবেড়ি পরানো) সম্পূরক আবেদন দিতে পারেন। অথবা নতুন আবেদন নিয়েও আসতে পারেন।’ এসময় রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায় উপস্থিত ছিলেন।

আদালত থেকে বের হয়ে ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, গত এক–থেকে দেড় বছর যাবত ডান্ডাবেড়ি নিয়ে অনেকগুলো বিষয়ে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে হয়েছে। প্রত্যেকের বিরুদ্ধেই রাজনৈতিক মামলা ছিল। বাংলাদেশ ক্রমান্বয়ে তার নাগরিকদের প্রতি নির্দয় হচ্ছে। দিন দিন এটা বেড়েই চলছে। অনেক হিংস্র, খুনের আসামিকেও ডাণ্ডবেড়ি পরিয়ে এদিক–সেদিক নেওয়া হয় না। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের সঙ্গে লক্ষ করছি যারা রাষ্ট্রের নাগরিক, কিন্তু সরকার বিরোধী বক্তব্য রাখে তাদের ওপর রাষ্ট্রীয়ভাবে স্টিমরুলার চালানো হয়। 

তিনি বলেন, সরকার এক জিনিষ আর রাষ্ট্র আরেক জিনিষ। রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে আমার সাংবিধানিক অধিকার আছে সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলার। কিন্তু সরকারের বিরুদ্ধে কথা বললেই রাষ্ট্র সেখানে হস্তক্ষেপ করে। যারা রাজনৈতিক দলের নেতা–কর্মী আছেন, বিশেষ করে বিরোধী দলের নেতাদের বিভিন্নভাবে হেনস্থা করেন। ডান্ডাবেড়ি পরানো আরেকটি জঘন্যতম দৃষ্টান্ত। শিগগিরই যশোরের ঘটনায় বিচারাধীন মামলায় আবেদন করার কথাও জানান তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত