নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
চকবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিহত ছয়জনের মরদেহ পুড়ে যাওয়ায় তাদের কাউকে চেনা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের ঢাকা সদরের জোন-১ এর উপ-সহকারী পরিচালক মো. বজলুর রশিদ। আজ সোমবার বিকেলে ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।
মো. বজলুর রশিদ বলেন, ছয়জনের মধ্যে পাঁচজনের শরীর এমনভাবে পুড়ে গেছে যে, তাদের চেহারা দেখে চেনার উপায় নেই। আগুনে পুড়ে ওই পাঁচ মরদেহের হাড় বেরিয়ে গেছে। তিনি বলেন, ‘আরেকজনের চেহারা দেখলে কিছুটা বোঝা যায়। মরদেহগুলো দেখে প্রাথমিকভাবে আমাদের ধারণা, তাঁরা ঘুমন্ত অবস্থায় ছিলেন। অগ্নিকাণ্ডের শুরুর দিকেই হয়তো তাঁরা মারা গেছেন। ডিএনএ কিংবা অন্য প্রক্রিয়ায় লাশ শনাক্ত করে, তা স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
মরদেহগুলো মিটফোর্ড হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে উল্লেখ করে বজলুর রশিদ বলেন, ‘ভবনের ভেতরে এখনো অভিযান চলছে। নিহত ছয়জনের মধ্যে চারজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তাঁরা হলেন—মো. শরিফ (১৫), মো. বিল্লাল (৩৫), মো. স্বপন (২২), মো. ওসমান (২৫)। অন্য দুজনের পরিচয় এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তাঁরা সবাই বরিশাল হোটেলের কর্মচারী। রাতে ডিউটির পর সকালে তাঁরা ঘুমিয়ে ছিলেন।
অভিযান শেষ হয়েছে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ভবনের তিনতলায় তালা লাগিয়ে মালিক পক্ষ চলে গেছে। আমরা পুলিশকে বলেছি রুমের তালা খোলার ব্যবস্থা করতে। না হলে আমরা তালা ভেঙে প্রবেশ করব। সেখানে কোনো লাশ আছে কি না, আমরা জানি না।’
আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে কী ধরনের বেগ পেতে হয়েছে জানতে চাইলে ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘পুরান ঢাকায় সবচেয়ে বেশি সমস্যা হয় পানি পেতে। আজও সেই সমস্যাই হয়েছে। আমরা বেশ কয়েকটি পাইপ দিয়ে বুড়িগঙ্গা থেকে পানি সংগ্রহ করেছি। আমাদের বিভিন্ন স্টেশনের ১০-১২টি ইউনিট কাজ করেছে। এ ছাড়া রুমের মধ্যে প্লাস্টিক জাতীয় দাহ্য পদার্থ থাকায় প্রচুর ধোঁয়া ও প্লাস্টিক পুড়ে গলে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় পড়ায় বেশি সময় দমকলকর্মীরা রুমে অবস্থান করতে পারেননি।’
তদন্ত কমিটি সম্পর্কে বজলুর রশিদ বলেন, ‘এখনো তদন্ত কমিটি হয়েছে কি না, আমি জানি না। তবে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো নিরূপণ করা সম্ভব হয়নি।’
এদিকে স্থানীয়রা জানিয়েছে, ভবনটির দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় খেলনা ও পলিথিনের গোডাউন ছিল। বরিশাল হোটেল থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। এর পর একে একে তা ভবনটির দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় ছড়িয়ে পড়ে। বাতাসের কারণে আগুন ছড়িয়েছে পাশাপাশি থাকা আরও দুই ভবনে। সর্বশেষ বরিশাল হোটেলের পাশে আরেকটি প্লাস্টিকের কারখানায় আগুনে সৃষ্ট ধোঁয়া নেভাতে কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
চকবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিহত ছয়জনের মরদেহ পুড়ে যাওয়ায় তাদের কাউকে চেনা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের ঢাকা সদরের জোন-১ এর উপ-সহকারী পরিচালক মো. বজলুর রশিদ। আজ সোমবার বিকেলে ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।
মো. বজলুর রশিদ বলেন, ছয়জনের মধ্যে পাঁচজনের শরীর এমনভাবে পুড়ে গেছে যে, তাদের চেহারা দেখে চেনার উপায় নেই। আগুনে পুড়ে ওই পাঁচ মরদেহের হাড় বেরিয়ে গেছে। তিনি বলেন, ‘আরেকজনের চেহারা দেখলে কিছুটা বোঝা যায়। মরদেহগুলো দেখে প্রাথমিকভাবে আমাদের ধারণা, তাঁরা ঘুমন্ত অবস্থায় ছিলেন। অগ্নিকাণ্ডের শুরুর দিকেই হয়তো তাঁরা মারা গেছেন। ডিএনএ কিংবা অন্য প্রক্রিয়ায় লাশ শনাক্ত করে, তা স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
মরদেহগুলো মিটফোর্ড হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে উল্লেখ করে বজলুর রশিদ বলেন, ‘ভবনের ভেতরে এখনো অভিযান চলছে। নিহত ছয়জনের মধ্যে চারজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তাঁরা হলেন—মো. শরিফ (১৫), মো. বিল্লাল (৩৫), মো. স্বপন (২২), মো. ওসমান (২৫)। অন্য দুজনের পরিচয় এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তাঁরা সবাই বরিশাল হোটেলের কর্মচারী। রাতে ডিউটির পর সকালে তাঁরা ঘুমিয়ে ছিলেন।
অভিযান শেষ হয়েছে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ভবনের তিনতলায় তালা লাগিয়ে মালিক পক্ষ চলে গেছে। আমরা পুলিশকে বলেছি রুমের তালা খোলার ব্যবস্থা করতে। না হলে আমরা তালা ভেঙে প্রবেশ করব। সেখানে কোনো লাশ আছে কি না, আমরা জানি না।’
আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে কী ধরনের বেগ পেতে হয়েছে জানতে চাইলে ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘পুরান ঢাকায় সবচেয়ে বেশি সমস্যা হয় পানি পেতে। আজও সেই সমস্যাই হয়েছে। আমরা বেশ কয়েকটি পাইপ দিয়ে বুড়িগঙ্গা থেকে পানি সংগ্রহ করেছি। আমাদের বিভিন্ন স্টেশনের ১০-১২টি ইউনিট কাজ করেছে। এ ছাড়া রুমের মধ্যে প্লাস্টিক জাতীয় দাহ্য পদার্থ থাকায় প্রচুর ধোঁয়া ও প্লাস্টিক পুড়ে গলে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় পড়ায় বেশি সময় দমকলকর্মীরা রুমে অবস্থান করতে পারেননি।’
তদন্ত কমিটি সম্পর্কে বজলুর রশিদ বলেন, ‘এখনো তদন্ত কমিটি হয়েছে কি না, আমি জানি না। তবে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো নিরূপণ করা সম্ভব হয়নি।’
এদিকে স্থানীয়রা জানিয়েছে, ভবনটির দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় খেলনা ও পলিথিনের গোডাউন ছিল। বরিশাল হোটেল থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। এর পর একে একে তা ভবনটির দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় ছড়িয়ে পড়ে। বাতাসের কারণে আগুন ছড়িয়েছে পাশাপাশি থাকা আরও দুই ভবনে। সর্বশেষ বরিশাল হোটেলের পাশে আরেকটি প্লাস্টিকের কারখানায় আগুনে সৃষ্ট ধোঁয়া নেভাতে কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
রাজধানীর রামপুরা ব্রিজের দুই রেলিং ঢুকে আছে একটি বাসের মাঝ বরাবর। যাত্রী নিতে আরেক বাসের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নেমে চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে ‘রইছ’ নামের বাসটির এই দশা হয়। ৪ জুন সকালের এই দুর্ঘটনায় বাসটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। যাত্রী বেশি নিতে বাসচালকদের অসুস্থ প্রতিযোগিতা, লক্কড়ঝক্কড় ও ফিটনেসবিহীন বাস দুর্ঘটনা
৩ ঘণ্টা আগেগোপালগঞ্জ জেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সড়কে বছরের পর বছর বাস, ট্রাক ও মাইক্রোবাস পার্ক করে রাখা হচ্ছে। বিভিন্ন সড়কের এক লেন দখল করে রাখা হচ্ছে এসব যানবাহন। এতে প্রতিদিন যানজটসহ নানা ভোগান্তিতে পড়ছে মানুষ। মালিক-শ্রমিকেরা বলছেন, নির্ধারিত স্ট্যান্ড না থাকায় বাধ্য হয়ে রাস্তায় গাড়ি রাখছেন তাঁরা।
৪ ঘণ্টা আগেআলুতে বছরের পর বছর লাভ করে অভ্যস্ত জয়পুরহাটের কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। তবে এবার পড়েছেন বড় ধরনের বিপাকে। একদিকে বাজারে আলুর দাম অস্থির, অন্যদিকে হিমাগারে সংরক্ষণ ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় হিমশিম খাচ্ছেন সবাই। সংরক্ষণ মৌসুমের শুরুতে স্থানীয় প্রশাসনের চাপে ভাড়া না বাড়াতে বাধ্য হলেও পরে কিছু হিমাগারের মালিক নানা অজুহা
৪ ঘণ্টা আগেনীলফামারীর সৈয়দপুরে চলছে জুয়ার জমজমাট আসর। উপজেলার দেড় শতাধিক স্থানে এসব আসর বসে বলে জানা গেছে। প্রতিদিন ২০-৩০ লাখ টাকা লেনদেন হয় এসব আসরে। সেই হিসাবে প্রতি মাসে জুয়াড়িদের কাছে হাতবদল হয় ৬ থেকে ৯ কোটি টাকা। এদিকে, জুয়ার কারণে অনেক পরিবার সর্বস্বান্ত হচ্ছে। জুয়ার টাকা সংগ্রহ করতে গিয়ে এলাকায় বেড়েছে
৪ ঘণ্টা আগে