আব্দুর রাজ্জাক, ঘিওর (মানিকগঞ্জ)
জিনিস পত্রের এত দাম, বাজারে যাইতে ভয় করে। চাল কিনতেই পয়সা শ্যাষ, তেল, নুন কিনুম ক্যামনে? আলু ভাজি দিয়ে সেহরী খাইছি। ইফতার করুম কি দিয়া তা আল্লায় জানে। আমি অসহায় পুঙ্গু মানুষ। খুব কষ্টে আছি, দেখার কেউ নেই। কথাগুলো বলছিলেন ঘিওর উপজেলার বানিয়াজুরী ইউনিয়নের তরা মির্জাপুর গ্রামের আবুল কাশেম (৭৫)।
আজ শুক্রবার সকালে আবুল কাশেমের জীর্ণ ঘরের সামনে কথা হয়। এসময় তাঁর স্ত্রী সফুরা বেগম গোবরের লাকড়ি আর শুকনো পাতা কুড়িয়ে বাড়ি নিয়ে আসলেন। এগুলো স্থানীয় গৃহিনীদের কাছে বিক্রি করেই চলছে এই বৃদ্ধ দম্পত্তির সংসার। কেমন আছেন বলতেই অসহায় জীবনযাত্রার কথা তুলে ধরেন আজকের পত্রিকার কাছে। তাদের চোখেমুখে হতাশার ছাপ আর দীর্ঘশ্বাস।
আবুল কাশেমের এক সময় হরিরামপুরের হালুয়াঘাটে ছিল বাড়ি, সম্পত্তি। পদ্মার গ্রাসে সম্বলহীন। এখন বাস করেন ঘিওর উপজেলার তরা গ্রামে। ৩ শতকের বড়িতে একটি ৬ টিনের ঝুপড়ি ছাপড়া ঘর। জীবিকার তাগিদে দীর্ঘ ১০ বছর করেছেন পত্রিকার হকারি। বয়সের ভারে আর চোখে কম দেখার কারণে এখন আর কাজ করতে পারেন না। চার মেয়ের তিনজনের বিয়ে হয়েছে অতি দরিদ্র সংসারে। তাদের নুন আনতে পান্তা ফুরায়। তাই সহায়তা করতে পারেনা পিতা মাতাকে। প্রতিবন্ধী ছোট মেয়েটি দীর্ঘদিন চিকিৎসার অভাবে মারা গেছেন মাস ছয়েক আগে। বৃদ্ধ কাশেম ও তাঁর স্ত্রী সফুরা বেঁচে আছেন অন্যের কাছে হাত পেতে।
সফুরা বেগম বলেন, ‘মাংস খাইনা মেলা দিন হয়। বাজারে আগুন লাগছে। আজ সকালে ২০ টেকা দিয়া দুইডা বাগুন আনছি। পাশের বাড়ির ঝোপ থেকে কচুর লতি তুলছি। তাই দিয়া ভাইজা ইফতারে খামু। তেলও ফুরায়ে আসলো। জিনিসের এত দাম বাড়ছে ক্যা? কোনো কিছুতে হাত দেয়া যায় না। আমাগো মতো মাইনষের মরন হইছে।’
রাথুরা গ্রামের রাজমিস্ত্রীর সহকারী মো. ইখলাছের ৪ সদস্যের পরিবার। ঘাম ঝরিয়ে যে অর্থ পান তা দিয়ে দিন শেষে চাল, ডাল, তেল, আটাসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনে বাড়ি ফিরেন। ইখলাছ ও তাঁর স্ত্রী কাকলীর ভাষ্যমতে, আগে সপ্তাহে একদিন হলেও পাঙ্গাশ, তেলাপিয়া মাছ আর ব্রয়লার মুরগির স্বাদ নিয়েছেন। কিন্তু সাম্প্রতিককালে মাছ-মাংসের বাজার চড়া থাকায় তার ধারেকাছে যাওয়ারও সাহস হারিয়ে ফেলেছেন। চাল ডাল তেল ছাড়াও ইফতারের জিনিস আর ফলমূলের যে দাম, কেনার কথা মনে হলেই ভয়ে কেঁপে ওঠে বুক।
উপজেলার ঘিওর ইউনিয়নের রাধাকান্তপুর গ্রামের মো. কাশেম আলীর ছেলে মানিক মিয়া (৩৬)। স্থানীয় মাঠে ফুটবল খেলার সময় পায়ে বিঁধে পুরাতন লোহা। সেখান থেকে ইনফেকশনে কেটে ফেলা হয় মানিকের একটি পা। চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে বিক্রি করতে হয় ভিটে মাটি, সহায় সম্বল। এরপর প্রতিবন্ধীতা নিয়ে তাঁর ঠিকানা হয় মাইলাঘী সরকারী আশ্রয়নে। স্ত্রী ও দুই সন্তানের জীবনের তাগিদে স্কেচে ভর দিয়ে এক চায়ের দোকানে কর্মচারী সে। সামান্য আয়ে খুঁড়িয়ে চলা সংসার তাঁর কাছে এক দুঃস্বপ্ন।
মানিকের স্ত্রী সখিনা বলেন, ‘মাছ মাংস খাওয়া ভুইলা গেছি। পোলাপান দুইডার মুখের দিকে তাকাইলে কান্না আসে। আগে মাঝে মধ্যে পাঙ্গাস মাছ, মুরগীর পাও কিনা আনতো। এখন তাও সম্ভব না। বাজার সদাইয়ের দাম অনেক বাড়ছে, ইচ্ছা থাকলেও ভালো মন্দ বাজার করতে পারি না। তাই ডাল, ভাত, আলুসিদ্ধ খাই।’
গার্মেন্টেসের শ্রমীক নাজিম মিয়া বলেন, ‘পাঙ্গাশ মাছ ২০০ টাকা কেজি, ব্রয়লার মুরগি ২৬০ টাকা কেজি। ডিমের দামও নাগালের বাইরে চলে গেছে। সামনের দিনগুলো কীভাবে চলবে একমাত্র মাবুদই জানেন।’
এমন অসংখ্য পরিবার রয়েছে যারা রীতিমতো কষ্টে দিনাতিপাত করছেন কিন্তু আত্মসম্মানের কথা চিন্তা করে বাইরে প্রকাশ করতে পারছেন না। অসংখ্য খেটে খাওয়া নিম্নআয়ের মানুষগুলো দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
জিনিস পত্রের এত দাম, বাজারে যাইতে ভয় করে। চাল কিনতেই পয়সা শ্যাষ, তেল, নুন কিনুম ক্যামনে? আলু ভাজি দিয়ে সেহরী খাইছি। ইফতার করুম কি দিয়া তা আল্লায় জানে। আমি অসহায় পুঙ্গু মানুষ। খুব কষ্টে আছি, দেখার কেউ নেই। কথাগুলো বলছিলেন ঘিওর উপজেলার বানিয়াজুরী ইউনিয়নের তরা মির্জাপুর গ্রামের আবুল কাশেম (৭৫)।
আজ শুক্রবার সকালে আবুল কাশেমের জীর্ণ ঘরের সামনে কথা হয়। এসময় তাঁর স্ত্রী সফুরা বেগম গোবরের লাকড়ি আর শুকনো পাতা কুড়িয়ে বাড়ি নিয়ে আসলেন। এগুলো স্থানীয় গৃহিনীদের কাছে বিক্রি করেই চলছে এই বৃদ্ধ দম্পত্তির সংসার। কেমন আছেন বলতেই অসহায় জীবনযাত্রার কথা তুলে ধরেন আজকের পত্রিকার কাছে। তাদের চোখেমুখে হতাশার ছাপ আর দীর্ঘশ্বাস।
আবুল কাশেমের এক সময় হরিরামপুরের হালুয়াঘাটে ছিল বাড়ি, সম্পত্তি। পদ্মার গ্রাসে সম্বলহীন। এখন বাস করেন ঘিওর উপজেলার তরা গ্রামে। ৩ শতকের বড়িতে একটি ৬ টিনের ঝুপড়ি ছাপড়া ঘর। জীবিকার তাগিদে দীর্ঘ ১০ বছর করেছেন পত্রিকার হকারি। বয়সের ভারে আর চোখে কম দেখার কারণে এখন আর কাজ করতে পারেন না। চার মেয়ের তিনজনের বিয়ে হয়েছে অতি দরিদ্র সংসারে। তাদের নুন আনতে পান্তা ফুরায়। তাই সহায়তা করতে পারেনা পিতা মাতাকে। প্রতিবন্ধী ছোট মেয়েটি দীর্ঘদিন চিকিৎসার অভাবে মারা গেছেন মাস ছয়েক আগে। বৃদ্ধ কাশেম ও তাঁর স্ত্রী সফুরা বেঁচে আছেন অন্যের কাছে হাত পেতে।
সফুরা বেগম বলেন, ‘মাংস খাইনা মেলা দিন হয়। বাজারে আগুন লাগছে। আজ সকালে ২০ টেকা দিয়া দুইডা বাগুন আনছি। পাশের বাড়ির ঝোপ থেকে কচুর লতি তুলছি। তাই দিয়া ভাইজা ইফতারে খামু। তেলও ফুরায়ে আসলো। জিনিসের এত দাম বাড়ছে ক্যা? কোনো কিছুতে হাত দেয়া যায় না। আমাগো মতো মাইনষের মরন হইছে।’
রাথুরা গ্রামের রাজমিস্ত্রীর সহকারী মো. ইখলাছের ৪ সদস্যের পরিবার। ঘাম ঝরিয়ে যে অর্থ পান তা দিয়ে দিন শেষে চাল, ডাল, তেল, আটাসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনে বাড়ি ফিরেন। ইখলাছ ও তাঁর স্ত্রী কাকলীর ভাষ্যমতে, আগে সপ্তাহে একদিন হলেও পাঙ্গাশ, তেলাপিয়া মাছ আর ব্রয়লার মুরগির স্বাদ নিয়েছেন। কিন্তু সাম্প্রতিককালে মাছ-মাংসের বাজার চড়া থাকায় তার ধারেকাছে যাওয়ারও সাহস হারিয়ে ফেলেছেন। চাল ডাল তেল ছাড়াও ইফতারের জিনিস আর ফলমূলের যে দাম, কেনার কথা মনে হলেই ভয়ে কেঁপে ওঠে বুক।
উপজেলার ঘিওর ইউনিয়নের রাধাকান্তপুর গ্রামের মো. কাশেম আলীর ছেলে মানিক মিয়া (৩৬)। স্থানীয় মাঠে ফুটবল খেলার সময় পায়ে বিঁধে পুরাতন লোহা। সেখান থেকে ইনফেকশনে কেটে ফেলা হয় মানিকের একটি পা। চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে বিক্রি করতে হয় ভিটে মাটি, সহায় সম্বল। এরপর প্রতিবন্ধীতা নিয়ে তাঁর ঠিকানা হয় মাইলাঘী সরকারী আশ্রয়নে। স্ত্রী ও দুই সন্তানের জীবনের তাগিদে স্কেচে ভর দিয়ে এক চায়ের দোকানে কর্মচারী সে। সামান্য আয়ে খুঁড়িয়ে চলা সংসার তাঁর কাছে এক দুঃস্বপ্ন।
মানিকের স্ত্রী সখিনা বলেন, ‘মাছ মাংস খাওয়া ভুইলা গেছি। পোলাপান দুইডার মুখের দিকে তাকাইলে কান্না আসে। আগে মাঝে মধ্যে পাঙ্গাস মাছ, মুরগীর পাও কিনা আনতো। এখন তাও সম্ভব না। বাজার সদাইয়ের দাম অনেক বাড়ছে, ইচ্ছা থাকলেও ভালো মন্দ বাজার করতে পারি না। তাই ডাল, ভাত, আলুসিদ্ধ খাই।’
গার্মেন্টেসের শ্রমীক নাজিম মিয়া বলেন, ‘পাঙ্গাশ মাছ ২০০ টাকা কেজি, ব্রয়লার মুরগি ২৬০ টাকা কেজি। ডিমের দামও নাগালের বাইরে চলে গেছে। সামনের দিনগুলো কীভাবে চলবে একমাত্র মাবুদই জানেন।’
এমন অসংখ্য পরিবার রয়েছে যারা রীতিমতো কষ্টে দিনাতিপাত করছেন কিন্তু আত্মসম্মানের কথা চিন্তা করে বাইরে প্রকাশ করতে পারছেন না। অসংখ্য খেটে খাওয়া নিম্নআয়ের মানুষগুলো দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
বরিশালের আইএসিআইবি নার্সিং ইনস্টিটিউটে এবার ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স অ্যান্ড মিডওয়াইফারি কোর্সে ৫০ আসনের বিপরীতে একজন শিক্ষার্থীও ভর্তি হননি। অন্যদিকে পটুয়াখালীর ড. জাফর নার্সিং কলেজে সমানসংখ্যক আসনের বিপরীতে মাত্র ১০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগেঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার দুওসুও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়িত ভালনারেবল উইমেন বেনিফিটের (ভিডব্লিউবি) সুবিধাভোগী আজনুর আক্তার। দুই দিন ধরে ইউপি কার্যালয়ে ঘুরছেন ৫ মাসের বরাদ্দকৃত চাল উত্তোলনের জন্য। কিন্তু ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামের...
২ ঘণ্টা আগেলালমনিরহাটে ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগে নরসুন্দর বাবা-ছেলেকে হেনস্তা ও গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ ও বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। সোমবার (২৩ জুন) রাত ১০ টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘নিপীড়নের বিরুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’ প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল আয়োজন করে জগন্নাথ হল ও অন্যান্য হল ও ছাত্র...
২ ঘণ্টা আগেসাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদাকে মব সৃষ্টি করে হেনস্তা ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছনার ঘটনায় জড়িত অভিযোগে হানিফ মিয়া নামের একজনকে আটক করা হয়েছে। সেনাবাহিনীর একটি দল সোমবার রাতে তাঁকে আটক করে উত্তরা পশ্চিম থানায় হস্তান্তর করে। হানিফ উত্তরা পশ্চিম থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব।
২ ঘণ্টা আগে