নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা: প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামকে সচিবালয়ে আটকে রেখে গলা টিপে ধরা নারীকে চিহ্নিত করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (বিশ্বস্বাস্থ্য অনুবিভাগ) কাজী জেবুন্নেছা বেগম রোজিনার গলা টিপে ধরেছেন বলে ফেসবুকে ট্রল হলেও আসলে রোজিনার গলা টিপে ধরা নারী এই মন্ত্রণালয়ের অফিস সহকারী মাকসুদা সুলতানা পলি।
রোজিনাকে হেনস্তার ঘটনা তদন্ত করতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় যে কমিটি করেছে, তাঁর আহ্বায়ক স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের যুগ্ম-সচিব (উন্নয়ন অধিশাখা) মো. সাইফুল্লাহিল আজম বুধবার আজকের পত্রিকাকে এই তথ্য জানান।
মো. সাইফুল্লাহিল আজম বলেন, সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে গলা টিপে ধরার যে ভিডিও ছড়িয়েছে তা আমরা দেখেছি। এর সঙ্গে জড়িত হিসেবে অফিস সহকারী মাকসুদা সুলতানা পলিকে প্রাথমিকভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। আমরা তাঁকে তদন্ত কমিটিতে ডাকব। তার আগে আমরা ওই সময়কার আরও ভিডিও ফুটেজসহ অন্যান্য তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করছি। তদন্তে তিনি দোষী প্রমাণিত হলে আমরা সে অনুযায়ী তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করব।
অতিরিক্ত সচিব জেবুন্নেছা আজকের পত্রিকাকে বলেন, সচিবের নির্দেশে তিনি সচিবের পিএস এর কক্ষে গিয়ে রোজিনার সঙ্গে ৫-৭ মিনিট কথা বলছেন। তার গলা টিপে ধরার ভিডিওতে যাকে দেখা যাচ্ছে সেটা অন্য কেউ।
এই কর্মকর্তা জানান, ঘটনার দিন সোমবার দুপুরে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে একটি সভায় অংশ নেন তিনি। ভিডিওতে যে নারীকে দেখা যাচ্ছে ওইদিন তিনি ওই রমকের পোশাক পরেননি।
রোজিনাকে গলা টিপে ধরার ভিডিও প্রকাশ করে তাকে নিয়ে ফেসবুকে ট্রল হওয়ার পর তিনি এ বিষয়ে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে বিবৃতি দিয়েছেন বলেও জানান জেবুন্নেছা। ফেসবুকে তাঁর বিদেশে, দেশে সম্পত্তি নিয়ে যে তথ্য ছড়িয়েছে সে বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি এই কর্মকর্তা।
স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেনের দপ্তরের অফিস সহকারী পলি। বুধবার কয়েক দফা এই দপ্তরে গিয়ে পলিকে পাওয়া যায়নি।
এই দপ্তরের একজন কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে জানান, পলি বুধবার সকালে অফিসে এসে কিছুক্ষণ থেকেই চলে যান। এরপর আরেকবার অল্প সময়ের জন্য অফিসে আসেন, এরপর থেকে তাঁকে আর দপ্তরে দেখা যায়নি। এ বিষয়ে কথা বলতে পলির মোবাইল ফোনে কয়েকবার কল করা হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।
স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, নারী সাংবাদিক আটক হওয়ায় তাঁর শরীর তল্লাশি করতে পলিসহ কয়েকজন নারী কর্মকর্তাকে সচিবের দপ্তর থেকে ডেকে আনা হয়।
ওই কর্মকর্তা বলেন, পলি যখন সাংবাদিক রোজিনার শরীর তল্লাশি করছিলেন তখন মন্ত্রণালয়ের কয়েকজন ঊর্ধ্বতন নারী কর্মকর্তাও সেখানে ছিলেন।
আরও পড়ুন:
বৃহস্পতিবার জামিন হবে রোজিনার, আশা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর
সাংবাদিক রোজিনা হেনস্তার ঘটনায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি
সাংবাদিক রোজিনাকে হেনস্তার প্রতিবাদে ১১ বিশিষ্ট ব্যক্তির বিবৃতি
সাংবাদিক রোজিনার রিমান্ড নামঞ্জুর, জামিন শুনানি বৃহস্পতিবার
সাংবাদিক রোজিনার ৫ দিনের রিমান্ড চেয়েছে পুলিশ
সাংবাদিক রোজিনাকে আদালতে নেওয়া হয়েছে
সাংবাদিক রোজিনাকে সচিবালয়ে ৫ ঘণ্টা আটকে রেখে থানায় সোপর্দ
সাংবাদিক হেনস্তা ও গ্রেপ্তারে জাতিসংঘের উদ্বেগ
রোজিনার মুক্তির দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবে বিভিন্ন সংগঠনের বিক্ষোভ
ঢাকা: প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামকে সচিবালয়ে আটকে রেখে গলা টিপে ধরা নারীকে চিহ্নিত করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (বিশ্বস্বাস্থ্য অনুবিভাগ) কাজী জেবুন্নেছা বেগম রোজিনার গলা টিপে ধরেছেন বলে ফেসবুকে ট্রল হলেও আসলে রোজিনার গলা টিপে ধরা নারী এই মন্ত্রণালয়ের অফিস সহকারী মাকসুদা সুলতানা পলি।
রোজিনাকে হেনস্তার ঘটনা তদন্ত করতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় যে কমিটি করেছে, তাঁর আহ্বায়ক স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের যুগ্ম-সচিব (উন্নয়ন অধিশাখা) মো. সাইফুল্লাহিল আজম বুধবার আজকের পত্রিকাকে এই তথ্য জানান।
মো. সাইফুল্লাহিল আজম বলেন, সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে গলা টিপে ধরার যে ভিডিও ছড়িয়েছে তা আমরা দেখেছি। এর সঙ্গে জড়িত হিসেবে অফিস সহকারী মাকসুদা সুলতানা পলিকে প্রাথমিকভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। আমরা তাঁকে তদন্ত কমিটিতে ডাকব। তার আগে আমরা ওই সময়কার আরও ভিডিও ফুটেজসহ অন্যান্য তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করছি। তদন্তে তিনি দোষী প্রমাণিত হলে আমরা সে অনুযায়ী তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করব।
অতিরিক্ত সচিব জেবুন্নেছা আজকের পত্রিকাকে বলেন, সচিবের নির্দেশে তিনি সচিবের পিএস এর কক্ষে গিয়ে রোজিনার সঙ্গে ৫-৭ মিনিট কথা বলছেন। তার গলা টিপে ধরার ভিডিওতে যাকে দেখা যাচ্ছে সেটা অন্য কেউ।
এই কর্মকর্তা জানান, ঘটনার দিন সোমবার দুপুরে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে একটি সভায় অংশ নেন তিনি। ভিডিওতে যে নারীকে দেখা যাচ্ছে ওইদিন তিনি ওই রমকের পোশাক পরেননি।
রোজিনাকে গলা টিপে ধরার ভিডিও প্রকাশ করে তাকে নিয়ে ফেসবুকে ট্রল হওয়ার পর তিনি এ বিষয়ে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে বিবৃতি দিয়েছেন বলেও জানান জেবুন্নেছা। ফেসবুকে তাঁর বিদেশে, দেশে সম্পত্তি নিয়ে যে তথ্য ছড়িয়েছে সে বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি এই কর্মকর্তা।
স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেনের দপ্তরের অফিস সহকারী পলি। বুধবার কয়েক দফা এই দপ্তরে গিয়ে পলিকে পাওয়া যায়নি।
এই দপ্তরের একজন কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে জানান, পলি বুধবার সকালে অফিসে এসে কিছুক্ষণ থেকেই চলে যান। এরপর আরেকবার অল্প সময়ের জন্য অফিসে আসেন, এরপর থেকে তাঁকে আর দপ্তরে দেখা যায়নি। এ বিষয়ে কথা বলতে পলির মোবাইল ফোনে কয়েকবার কল করা হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।
স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, নারী সাংবাদিক আটক হওয়ায় তাঁর শরীর তল্লাশি করতে পলিসহ কয়েকজন নারী কর্মকর্তাকে সচিবের দপ্তর থেকে ডেকে আনা হয়।
ওই কর্মকর্তা বলেন, পলি যখন সাংবাদিক রোজিনার শরীর তল্লাশি করছিলেন তখন মন্ত্রণালয়ের কয়েকজন ঊর্ধ্বতন নারী কর্মকর্তাও সেখানে ছিলেন।
আরও পড়ুন:
বৃহস্পতিবার জামিন হবে রোজিনার, আশা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর
সাংবাদিক রোজিনা হেনস্তার ঘটনায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি
সাংবাদিক রোজিনাকে হেনস্তার প্রতিবাদে ১১ বিশিষ্ট ব্যক্তির বিবৃতি
সাংবাদিক রোজিনার রিমান্ড নামঞ্জুর, জামিন শুনানি বৃহস্পতিবার
সাংবাদিক রোজিনার ৫ দিনের রিমান্ড চেয়েছে পুলিশ
সাংবাদিক রোজিনাকে আদালতে নেওয়া হয়েছে
সাংবাদিক রোজিনাকে সচিবালয়ে ৫ ঘণ্টা আটকে রেখে থানায় সোপর্দ
সাংবাদিক হেনস্তা ও গ্রেপ্তারে জাতিসংঘের উদ্বেগ
রোজিনার মুক্তির দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবে বিভিন্ন সংগঠনের বিক্ষোভ
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অপারেশন ডেভিলহান্ট পরিচালনা করে রাঙামাটি জেলা যুবলীগ নেতা মো মিজানুর রহমান মিজানকে গ্রেপ্তার করেছে রাঙামাটি কোতোয়ালি থানা-পুলিশ। গ্রেপ্তার মিজান রাঙামাটি জেলা যুবলীগের সহসাধারণ সম্পাদক ও রাঙামাটি আসবাবপত্র ব্যবসায়ী কল্যাণ সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি।
৭ মিনিট আগেঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ অংশের চট্টগ্রামমুখী সার্ভিস লেনে একটি যাত্রীবাহী বাস উল্টে গেছে। এতে চিটাগাংরোড থেকে মৌচাক এলাকা পর্যন্ত প্রায় ১.৫ কিলোমিটার সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে মহাসড়কের আমিজউদদীন পেট্রল পাম্পের উল্টো পাশে চট্টগ্রামমুখী লেনে এ
১ ঘণ্টা আগেভোলার চরফ্যাশনে গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কারে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে নেওয়া ১৮৮টি প্রকল্প বাস্তবায়নে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে কাজ না করেই বরাদ্দের টাকা ও গম উত্তোলন করে আত্মসাৎ করা হয়েছে। কিছু কিছু জায়গায় নামমাত্র কাজ করা হয়েছে। এসব ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নে
২ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রাম নগরে পরীর পাহাড়ে যাতায়াতের দুর্ভোগ কমাতে বছরখানেক আগে সড়কের পাশের ২৩ শতক জায়গার ওপর গড়ে ওঠা অবৈধ দখলদারদের স্থাপনা ভেঙে দিয়েছিলেন তৎকালীন জেলা প্রশাসক। উচ্ছেদের পর সেখানে জনস্বার্থে প্রকল্প বাস্তবায়নের কথা ছিল।
৮ ঘণ্টা আগে