শরীয়তপুর প্রতিনিধি
শরীয়তপুর ইসলামিয়া মহিলা দাখিল মাদ্রাসায় সুপার নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। আজ শনিবার মাদ্রাসার সুপার পদে পাতানো নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়ার অভিযোগ তুলে তা বন্ধ করে দিয়েছেন এলাকাবাসী।
পরে এলাকাবাসীর তোপের মুখে নিয়োগ বোর্ডের সদস্যরা পরীক্ষা স্থগিত রেখে সেখান থেকে দ্রুত সরে যান। তবে মাদ্রাসার সভাপতির দাবি, তিনি নিজেই পরীক্ষা স্থগিত করেছেন।
জানা গেছে, শরীয়তপুর ইসলামিয়া মহিলা দাখিল মাদ্রাসাটি পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড ধানুকা গ্রামে অবস্থিত। মাদ্রাসাটিতে দীর্ঘদিন সুপারের পদটি শূন্য থাকায় ওই মাদ্রাসার শিক্ষক তহিরুননেছা ভারপ্রাপ্ত সুপারের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। ভারপ্রাপ্ত সুপারের দায়িত্ব ছেড়ে তিনি সুপার পদে নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নেন।
আজ শনিবার মাদ্রাসায় সুপার পদে গোপনে পাতানো নিয়োগে পরীক্ষার আয়োজন করা হয় বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। নিয়োগ পরীক্ষা বোর্ডে ছিলেন ডিজির প্রতিনিধি মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের উপপ্রকল্প পরিচালক মো. নাছিমুল ইসলাম, মাদ্রাসার সভাপতি আব্দুর রশিদ সরদার, সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আনন্দময় ভৌমিক, ভারপ্রাপ্ত সুপার জামিল হোসেন ও ম্যানেজিং কমিটির একজন সদস্য।
সকাল ১০টায় সুপার নিয়োগ পরীক্ষা শুরু হয়। পরীক্ষায় চারজন প্রার্থী অংশগ্রহণ করেন। তারমধ্যে ওই মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার তহিরুননেছাও ছিলেন।
গোপনে পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়টি জানতে পেরে এলাকাবাসী মাদ্রাসায় গিয়ে উপস্থিত হন। এলাকাবাসীর তোপের মুখে পরীক্ষা স্থগিত করে মাদ্রাসার সভাপতি আব্দুর রশিদ সরদার নিয়োগ বোর্ডের অন্যান্য কর্মকর্তাদের সেখানে রেখেই দ্রুত চলে যান। পরে নিয়োগ বোর্ডের অন্যরাও দ্রুত সেখান থেকে চলে যাওয়ার উদ্যোগ নেন। খবর পেয়ে সে মুহূর্তে কয়েকজন মিডিয়া কর্মী সেখানে গিয়ে উপস্থিত হন। সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা না বলেই তারা সেখান থেকে চলে যেতে চাইলে এলাকাবাসী বাধা দেন। এলাকাবাসীর বাধার মুখে তারা সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে বাধ্য হন।
ঘটনার সময় মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার তহিরুননেছা ছাড়া বাকি যে তিন জন পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন তারাও সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা না বলে দ্রুত চলে যান।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার তহিরুননেছাকে সুপার পদে নিয়োগ দেওয়ার জন্য গোপনে পাতানো পরীক্ষার আয়োজন করা হয়েছে। নিয়োগ বোর্ডের সদস্যরা এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। বাকি যে তিনজন পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে তারা তাদেরই ভাড়া করা লোক।
ডিজির প্রতিনিধি মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের উপপ্রকল্প পরিচালক মো. নাছিমুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পরীক্ষায় অনিয়মের বিষয়টি আমার জানা ছিল না। এলাকার লোকজন আসার পর মাদ্রাসার সভাপতি পরীক্ষা স্থগিত করে আমাদের অনিরাপদ রেখেই চলে যান। পরে পরিস্থিতি খারাপ দেখে আমরাও চলে যাচ্ছি। তবে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।’
সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আনন্দময় ভৌমিক বলেন, নিয়ম মেনেই সুপার পদে নিয়োগ পরীক্ষা শুরু হয়। পরীক্ষা চলাকালে এলাকার কিছু লোকজন এসে পরীক্ষায় অনিয়মে অভিযোগ তোলেন। তাই সভাপতি পরীক্ষা স্থগিত করে চলে যান। আবার নতুন করে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে।
মাদ্রাসার সভাপতি আব্দুর রশিদ সরদার বলেন, নিয়োগের বিষয়ে আমি কিছুই জানতাম না। ডিজির প্রতিনিধি আমাকে ফোন দিয়ে মাদ্রাসায় যেতে বলেছেন। আমি গিয়ে জানতে পারি সুপার পদে নিয়োগ পরীক্ষা হচ্ছে। পরীক্ষায় মাত্র চারজন অংশ নিয়েছে। এই পরীক্ষার বিষয়ে এলাকার কেউ কিছু জানে না। তাই এলাকার লোকজন এসে অনিয়মের অভিযোগ তোলে। তখন আমারও মনে হয়েছে নিয়োগ পরীক্ষা যথাযথ নিয়ম মেনে হচ্ছে না। পরে এ নিয়ে ঝামেলা হতে পারে বিধায় আমি পরীক্ষা স্থগিত রেখে সেখান থেকে চলে যাই।
স্থানীয় এমারত হোসেন হাওলাদার, আরমান শিকদার, জহিরুল হক শিকদার, ইব্রাহিম ফকির, জাকির ফকিরসহ অনেকে বলেন, তহিরুননেছাকে সুপার পদে নিয়োগ দেওয়ার জন্য মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে আজকে তারা পাতানো নিয়োগ পরীক্ষার আয়োজন করেছে। এলাকার লোকজন জানতে পেরে মাদ্রাসায় গিয়ে উপস্থিত হন। এলাকাবাসীর তোপের মুখে তারা পরীক্ষা স্থগিত করে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন। তহিরুননেছার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ রয়েছে। তার কোনো যোগ্যতা নেই সুপার পদে নিয়োগ পাওয়ার। এর আগেও তারা ঘুষ বাণিজ্যের মাধ্যমে সহকারী শিক্ষক, অফিস সহকারী, নৈশপ্রহরী সহ বিভিন্ন পদে নিয়োগ দিয়েছে। আমরা এই অনিয়মের সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।
শরীয়তপুর ইসলামিয়া মহিলা দাখিল মাদ্রাসায় সুপার নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। আজ শনিবার মাদ্রাসার সুপার পদে পাতানো নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়ার অভিযোগ তুলে তা বন্ধ করে দিয়েছেন এলাকাবাসী।
পরে এলাকাবাসীর তোপের মুখে নিয়োগ বোর্ডের সদস্যরা পরীক্ষা স্থগিত রেখে সেখান থেকে দ্রুত সরে যান। তবে মাদ্রাসার সভাপতির দাবি, তিনি নিজেই পরীক্ষা স্থগিত করেছেন।
জানা গেছে, শরীয়তপুর ইসলামিয়া মহিলা দাখিল মাদ্রাসাটি পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড ধানুকা গ্রামে অবস্থিত। মাদ্রাসাটিতে দীর্ঘদিন সুপারের পদটি শূন্য থাকায় ওই মাদ্রাসার শিক্ষক তহিরুননেছা ভারপ্রাপ্ত সুপারের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। ভারপ্রাপ্ত সুপারের দায়িত্ব ছেড়ে তিনি সুপার পদে নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নেন।
আজ শনিবার মাদ্রাসায় সুপার পদে গোপনে পাতানো নিয়োগে পরীক্ষার আয়োজন করা হয় বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। নিয়োগ পরীক্ষা বোর্ডে ছিলেন ডিজির প্রতিনিধি মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের উপপ্রকল্প পরিচালক মো. নাছিমুল ইসলাম, মাদ্রাসার সভাপতি আব্দুর রশিদ সরদার, সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আনন্দময় ভৌমিক, ভারপ্রাপ্ত সুপার জামিল হোসেন ও ম্যানেজিং কমিটির একজন সদস্য।
সকাল ১০টায় সুপার নিয়োগ পরীক্ষা শুরু হয়। পরীক্ষায় চারজন প্রার্থী অংশগ্রহণ করেন। তারমধ্যে ওই মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার তহিরুননেছাও ছিলেন।
গোপনে পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়টি জানতে পেরে এলাকাবাসী মাদ্রাসায় গিয়ে উপস্থিত হন। এলাকাবাসীর তোপের মুখে পরীক্ষা স্থগিত করে মাদ্রাসার সভাপতি আব্দুর রশিদ সরদার নিয়োগ বোর্ডের অন্যান্য কর্মকর্তাদের সেখানে রেখেই দ্রুত চলে যান। পরে নিয়োগ বোর্ডের অন্যরাও দ্রুত সেখান থেকে চলে যাওয়ার উদ্যোগ নেন। খবর পেয়ে সে মুহূর্তে কয়েকজন মিডিয়া কর্মী সেখানে গিয়ে উপস্থিত হন। সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা না বলেই তারা সেখান থেকে চলে যেতে চাইলে এলাকাবাসী বাধা দেন। এলাকাবাসীর বাধার মুখে তারা সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে বাধ্য হন।
ঘটনার সময় মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার তহিরুননেছা ছাড়া বাকি যে তিন জন পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন তারাও সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা না বলে দ্রুত চলে যান।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার তহিরুননেছাকে সুপার পদে নিয়োগ দেওয়ার জন্য গোপনে পাতানো পরীক্ষার আয়োজন করা হয়েছে। নিয়োগ বোর্ডের সদস্যরা এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। বাকি যে তিনজন পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে তারা তাদেরই ভাড়া করা লোক।
ডিজির প্রতিনিধি মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের উপপ্রকল্প পরিচালক মো. নাছিমুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পরীক্ষায় অনিয়মের বিষয়টি আমার জানা ছিল না। এলাকার লোকজন আসার পর মাদ্রাসার সভাপতি পরীক্ষা স্থগিত করে আমাদের অনিরাপদ রেখেই চলে যান। পরে পরিস্থিতি খারাপ দেখে আমরাও চলে যাচ্ছি। তবে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।’
সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আনন্দময় ভৌমিক বলেন, নিয়ম মেনেই সুপার পদে নিয়োগ পরীক্ষা শুরু হয়। পরীক্ষা চলাকালে এলাকার কিছু লোকজন এসে পরীক্ষায় অনিয়মে অভিযোগ তোলেন। তাই সভাপতি পরীক্ষা স্থগিত করে চলে যান। আবার নতুন করে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে।
মাদ্রাসার সভাপতি আব্দুর রশিদ সরদার বলেন, নিয়োগের বিষয়ে আমি কিছুই জানতাম না। ডিজির প্রতিনিধি আমাকে ফোন দিয়ে মাদ্রাসায় যেতে বলেছেন। আমি গিয়ে জানতে পারি সুপার পদে নিয়োগ পরীক্ষা হচ্ছে। পরীক্ষায় মাত্র চারজন অংশ নিয়েছে। এই পরীক্ষার বিষয়ে এলাকার কেউ কিছু জানে না। তাই এলাকার লোকজন এসে অনিয়মের অভিযোগ তোলে। তখন আমারও মনে হয়েছে নিয়োগ পরীক্ষা যথাযথ নিয়ম মেনে হচ্ছে না। পরে এ নিয়ে ঝামেলা হতে পারে বিধায় আমি পরীক্ষা স্থগিত রেখে সেখান থেকে চলে যাই।
স্থানীয় এমারত হোসেন হাওলাদার, আরমান শিকদার, জহিরুল হক শিকদার, ইব্রাহিম ফকির, জাকির ফকিরসহ অনেকে বলেন, তহিরুননেছাকে সুপার পদে নিয়োগ দেওয়ার জন্য মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে আজকে তারা পাতানো নিয়োগ পরীক্ষার আয়োজন করেছে। এলাকার লোকজন জানতে পেরে মাদ্রাসায় গিয়ে উপস্থিত হন। এলাকাবাসীর তোপের মুখে তারা পরীক্ষা স্থগিত করে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন। তহিরুননেছার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ রয়েছে। তার কোনো যোগ্যতা নেই সুপার পদে নিয়োগ পাওয়ার। এর আগেও তারা ঘুষ বাণিজ্যের মাধ্যমে সহকারী শিক্ষক, অফিস সহকারী, নৈশপ্রহরী সহ বিভিন্ন পদে নিয়োগ দিয়েছে। আমরা এই অনিয়মের সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।
মৌলভীবাজারের সৌন্দর্য বাড়িয়েছে নদী আর ছড়া। এ জেলায় রয়েছে কয়েক শ ছড়া। কিন্তু সিলিকা বালু লুটের কারণে এসব ছড়া শ্রীহীন হয়ে পড়ছে। বিপন্ন হচ্ছে পরিবেশ। এখানকার অর্ধশতাধিক ছড়া থেকে রাতের আঁধারে একটি মহল বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে; কিন্তু তা ঠেকানোর দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নেই। প্রশাস
১ ঘণ্টা আগেসন্ত্রাসী কার্যকলাপের জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জের এক বিএনপি নেতা আগ্নেয়াস্ত্র সরবরাহ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ-সংক্রান্ত তিনজনের একটি ফোনকল রেকর্ড ছড়িয়ে পড়েছে। এ ফোনকল রেকর্ড নিয়ে স্থানীয় প্রশাসন ও রাজনৈতিক অঙ্গনে তোলপাড় চলছে।
১ ঘণ্টা আগেটাঙ্গাইলের মির্জাপুরে বছরে জমির নামজারি বা খারিজ হয় ৭ হাজারের অধিক। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বা এসি ল্যান্ড কার্যালয়ের এলআর (লোকাল রিলেশনস) ফান্ডের নামে নেওয়া হয় ২ হাজার টাকা। সেই সঙ্গে পৌর ও ইউনিয়ন ভূমি অফিসগুলোর কন্টিনজেন্সি বিলের (খাতা, কলমসহ আনুষঙ্গিক খরচ) জন্য বরাদ্দ আসে বছরে সাড়ে ৩ থেকে ৫
২ ঘণ্টা আগেকৃষি ব্যাংকের খুলনার পূর্ব রূপসা শাখা থেকে লকার ভেঙে কয়েক লাখ টাকা নিয়ে গেছে সংঘবদ্ধ চোরেরা। শুক্রবার রাতে বিষয়টি ধরা পড়ে। বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার মধ্যে কোনো এক সময়ে এ চুরির ঘটনা ঘটতে পারে বলে পুলিশের ধারণা। ব্যাংক এবং আশপাশের ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করে চোরদের শনাক্ত করার চেষ্টা
৩ ঘণ্টা আগে