সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি
আশুলিয়ায় চলন্ত বাসে ছিনতাইয়ের চেষ্টার ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাত ৩–৪ জন আসামি করে মামলা দায়ের করেছে। এদিকে এ ঘটনায় গণধোলাইয়ে সন্দেহভাজন নাজমুল মিয়া নামে এক ছিনতাইকারীর মৃত্যুর ঘটনায়ও আরেকটি মামলার প্রস্তুতি চলছে। তবে বাসে ছিনতাইয়ের চেষ্টার সময় আগেই পুরো শরীরের কাফনের কাপড় পরিহিত ছিলেন নিহত নাজমুল মিয়া। এমন ঘটনায় হতবাক তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তাও।
আজ বুধবার দুপুরে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন আশুলিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জিয়াউল ইসলাম। এর আগে রাতে সাভার ট্রাফিক বিভাগের পুলিশের এসআই হেলাল উদ্দিন বাদী হয়ে অজ্ঞাত নাম ৩–৪ জনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন।
গত সোমবার ঘটনার রাতে এসআই হেলাল উদ্দিন ছিনতাইকারীকে বাসে দৌড়ে গিয়ে জাপটে ধরে আটক করেছিলেন সন্দেহভাজন ছিনতাইকারীকে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো ভুক্তভোগীর খোঁজ পাওয়া যায়নি এবং বাসটিও শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। এ ছাড়া গণধোলাইয়ে নিহতের ঘটনাও একটি মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।
এ মামলার বাদী এসআই হেলাল উদ্দিন বলেন, গত সোমবার রাত সোয়া ১০টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে আশুলিয়ার নবীনগর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সাভার পরিবহনের একটি বাস যাত্রী বেশে ওঠা ছিনতাইকারীদের কবলে পড়ে।
হেলাল উদ্দিন আরও বলেন, ‘আমি ডিউটি শেষ করে সাভারের উদ্দেশ্যে সড়কে দাঁড়িয়ে আছি। যাত্রীদের চিৎকার শুনে পেছনে থাকা হানিফ বাসে উঠে একটু সামনে গিয়ে কবলিত বাসটির গতিরোধ করি। এ সময় ছুরি হাতে ৩ জন বাসের জানালা দিয়ে লাফিয়ে চলে যেতে দেখি। একটু কাছে যেতে দেখি বাসের ভেতরে একজন পুরো শরীরে দুই ভাগে কাফনের কাপড় পরিহিত ও ছুরি হাতে যাত্রীদের জিম্মি করে আক্রমণ করার চেষ্টা করছে। আমাকে খেয়াল করেনি। আস্তে করে উঠে পেছন দিকে থেকে একহাতে তার ছুরিটি ধরে ফেলি ও আরেক হাত দিয়ে গলা জাপটে ধরি। এ সময় সে আমাকে হামলার চেষ্টা করে। ধস্তাধস্তি করে তাকে বাস থেকে নিচে নামিয়ে ফেলি। এ সময় উত্তেজিত জনতা তাকে গণধোলাই দেয়। বাসে প্রায় ২০-২৫ জন যাত্রী ছিল। যে যার মতো চলে যায়। এ সময় সাভার পরিবহনের বাসটি থামতে বললেও থামেনি। এর আগে পিটুনিতে ছিনতাইকারীর কাফনের কাপড় ছিঁড়ে যায়। ভেতরে জিনস প্যান্ট ও গেঞ্জি পরা ছিল। আমি আশুলিয়া থানা–পুলিশকে অবহিত করি। তারা পরে ছুরিসহ কাফনের কাপড় জব্দ করেছে।’
এ সময় উপস্থিত উত্তেজিত জনতা সন্দেহভাজন ছিনতাইকারীকে গণধোলাই দেয়। খবর পেয়ে রাতে ঘটনাস্থলে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। পরদিন মঙ্গলবার (১৭ মে) সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
নিহতের নাম নাজমুল মিয়া। তিনি রংপুর জেলার মিঠাপুকুর থানার দক্ষিণপাড়া গ্রামের খোকা মিয়ার ছেলে। তিনি সাভারে রাজফুলবাড়ীয়া সাকি পাড়া বড় ভাইয়ের সঙ্গে থাকতেন।
নিহতের বড় ভাই গার্মেন্টস শ্রমিক মঞ্জু মিয়া মোবাইলে বলেন, ‘আমি কিছু বুঝতে পারছি না। নাজমুল সাভারে রিকশা ভ্যানে করে বিভিন্ন খেলনা বিক্রি করত। ৮ থেকে ৯ বছর ধরে এখানে বসবাস করত। আমার পাশের ঘরে নাজমুল তার স্ত্রীসহ থাকত। গত ৩ দিন আগে তার বউ বাড়ি চলে যায়।’
সোমবার রাতে বাসে তিনি কোথায় গিয়েছিলেন এমন প্রশ্নে মঞ্জু বলেন, ‘আমি জানি না কোথায় ছিল।’
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও আশুলিয়া থানার এসআই শ্যামলেন্দু ঘোষ বলেন, ‘কাফনের কাপড় পরিহিত ছিল কেন? আমাদেরও অবাক করেছে বিষয়টি। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, খুব এগ্রেসিভ চিন্তা ভাবনা থেকে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে সে। সে গার্মেন্টস কর্মী ছিল, পরে চাকরি ছেড়ে ফেরি করে খেলনা বিক্রি করত। তার বিষয়ে আমরা কিছু তথ্য সংগ্রহ করেছি। সেগুলো তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। আশা করছি দ্রুত বাকি আসামিদের গ্রেপ্তার করতে পারব।’
আশুলিয়ায় চলন্ত বাসে ছিনতাইয়ের চেষ্টার ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাত ৩–৪ জন আসামি করে মামলা দায়ের করেছে। এদিকে এ ঘটনায় গণধোলাইয়ে সন্দেহভাজন নাজমুল মিয়া নামে এক ছিনতাইকারীর মৃত্যুর ঘটনায়ও আরেকটি মামলার প্রস্তুতি চলছে। তবে বাসে ছিনতাইয়ের চেষ্টার সময় আগেই পুরো শরীরের কাফনের কাপড় পরিহিত ছিলেন নিহত নাজমুল মিয়া। এমন ঘটনায় হতবাক তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তাও।
আজ বুধবার দুপুরে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন আশুলিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জিয়াউল ইসলাম। এর আগে রাতে সাভার ট্রাফিক বিভাগের পুলিশের এসআই হেলাল উদ্দিন বাদী হয়ে অজ্ঞাত নাম ৩–৪ জনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন।
গত সোমবার ঘটনার রাতে এসআই হেলাল উদ্দিন ছিনতাইকারীকে বাসে দৌড়ে গিয়ে জাপটে ধরে আটক করেছিলেন সন্দেহভাজন ছিনতাইকারীকে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো ভুক্তভোগীর খোঁজ পাওয়া যায়নি এবং বাসটিও শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। এ ছাড়া গণধোলাইয়ে নিহতের ঘটনাও একটি মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।
এ মামলার বাদী এসআই হেলাল উদ্দিন বলেন, গত সোমবার রাত সোয়া ১০টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে আশুলিয়ার নবীনগর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সাভার পরিবহনের একটি বাস যাত্রী বেশে ওঠা ছিনতাইকারীদের কবলে পড়ে।
হেলাল উদ্দিন আরও বলেন, ‘আমি ডিউটি শেষ করে সাভারের উদ্দেশ্যে সড়কে দাঁড়িয়ে আছি। যাত্রীদের চিৎকার শুনে পেছনে থাকা হানিফ বাসে উঠে একটু সামনে গিয়ে কবলিত বাসটির গতিরোধ করি। এ সময় ছুরি হাতে ৩ জন বাসের জানালা দিয়ে লাফিয়ে চলে যেতে দেখি। একটু কাছে যেতে দেখি বাসের ভেতরে একজন পুরো শরীরে দুই ভাগে কাফনের কাপড় পরিহিত ও ছুরি হাতে যাত্রীদের জিম্মি করে আক্রমণ করার চেষ্টা করছে। আমাকে খেয়াল করেনি। আস্তে করে উঠে পেছন দিকে থেকে একহাতে তার ছুরিটি ধরে ফেলি ও আরেক হাত দিয়ে গলা জাপটে ধরি। এ সময় সে আমাকে হামলার চেষ্টা করে। ধস্তাধস্তি করে তাকে বাস থেকে নিচে নামিয়ে ফেলি। এ সময় উত্তেজিত জনতা তাকে গণধোলাই দেয়। বাসে প্রায় ২০-২৫ জন যাত্রী ছিল। যে যার মতো চলে যায়। এ সময় সাভার পরিবহনের বাসটি থামতে বললেও থামেনি। এর আগে পিটুনিতে ছিনতাইকারীর কাফনের কাপড় ছিঁড়ে যায়। ভেতরে জিনস প্যান্ট ও গেঞ্জি পরা ছিল। আমি আশুলিয়া থানা–পুলিশকে অবহিত করি। তারা পরে ছুরিসহ কাফনের কাপড় জব্দ করেছে।’
এ সময় উপস্থিত উত্তেজিত জনতা সন্দেহভাজন ছিনতাইকারীকে গণধোলাই দেয়। খবর পেয়ে রাতে ঘটনাস্থলে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। পরদিন মঙ্গলবার (১৭ মে) সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
নিহতের নাম নাজমুল মিয়া। তিনি রংপুর জেলার মিঠাপুকুর থানার দক্ষিণপাড়া গ্রামের খোকা মিয়ার ছেলে। তিনি সাভারে রাজফুলবাড়ীয়া সাকি পাড়া বড় ভাইয়ের সঙ্গে থাকতেন।
নিহতের বড় ভাই গার্মেন্টস শ্রমিক মঞ্জু মিয়া মোবাইলে বলেন, ‘আমি কিছু বুঝতে পারছি না। নাজমুল সাভারে রিকশা ভ্যানে করে বিভিন্ন খেলনা বিক্রি করত। ৮ থেকে ৯ বছর ধরে এখানে বসবাস করত। আমার পাশের ঘরে নাজমুল তার স্ত্রীসহ থাকত। গত ৩ দিন আগে তার বউ বাড়ি চলে যায়।’
সোমবার রাতে বাসে তিনি কোথায় গিয়েছিলেন এমন প্রশ্নে মঞ্জু বলেন, ‘আমি জানি না কোথায় ছিল।’
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও আশুলিয়া থানার এসআই শ্যামলেন্দু ঘোষ বলেন, ‘কাফনের কাপড় পরিহিত ছিল কেন? আমাদেরও অবাক করেছে বিষয়টি। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, খুব এগ্রেসিভ চিন্তা ভাবনা থেকে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে সে। সে গার্মেন্টস কর্মী ছিল, পরে চাকরি ছেড়ে ফেরি করে খেলনা বিক্রি করত। তার বিষয়ে আমরা কিছু তথ্য সংগ্রহ করেছি। সেগুলো তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। আশা করছি দ্রুত বাকি আসামিদের গ্রেপ্তার করতে পারব।’
রাজধানীর কাফরুল থানার বিজয় সরণি এলাকায় মাইক্রোবাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে মোটরসাইকেল আরোহী দুই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে নিহত দুজনের পরিচয় জানাতে পারেনি পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে, তাঁদের বয়স ২২-২৩ বছরের মধ্যে।
১২ মিনিট আগেপ্রকল্পের সভাপতি ও ইউপি সদস্য আনিছুর রহমান বলেন, ‘আমি প্রথম কিস্তিতে ১ লাখ ৫৬ হাজার ৫০০ টাকা উত্তোলন করি। পিআইও অফিস ৫৮ হাজার টাকা কেটে রাখে, হাতে পাই ৯৮ হাজার টাকা। আমাকে বলা হয়েছে, ৪০০ ফুট রাস্তা করে ফেলেন, না হলে ক্ষতিগ্রস্ত হতে হবে। তাই দুই নম্বর ইট দিয়ে কাজ করছি। সবখানেই তো এমন ইট দিয়ে রাস্তা
৩১ মিনিট আগেঘটনার পরদিন নিহতের ভাতিজা আরিফুল ইসলাম বড়াইগ্রাম থানায় একটি হত্যা চেষ্টা মামলা করেন। এতে ইউপি চেয়ারম্যান আজাদ, তাঁর ছেলে সোহেল রানা পুটুসহ কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১৫–২০ জনকে আসামি করা হয়। পরে রওশন আলীর মৃত্যু হলে মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হয়। তবে ১৫ দিন পেরিয়ে গেলেও মামলার মূল আসামি
১ ঘণ্টা আগেসড়কের বিভিন্ন অংশে কার্পেটিং উঠে গিয়ে বেরিয়ে পড়েছে ইট–খোয়া। খানাখন্দে প্রতিনিয়ত নসিমন, ভ্যান, মোটরসাইকেলসহ ছোট যানবাহন উল্টে যাচ্ছে। অনেক সময় যাত্রী আহত হচ্ছেন, যানবাহনের যন্ত্রাংশও বিকল হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, এভাবে চলতে থাকলে এলাকায় ব্যবসা-বাণিজ্যে বড় ধস নামার আশঙ্কা রয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে