নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রাজধানীতে টানা ভারী বর্ষণের ফলে মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট চালের পাইকারি বাজার ভেসে গেছে। দোকানে পানি ঢুকে ভিজে গেছে চাল-ডাল। ভিজে যাওয়া পণ্য পানির দামে বেচে দিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঈদের ছুটিতে মার্কেট বন্ধ থাকায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে। গতকাল শনিবার দিনভর বৃষ্টির কারণে ঢল নেমে কৃষি মার্কেট চালের আড়তে হাঁটু পর্যন্ত পানি উঠে যায়। দোকানে পানি ঢুকে চালের বস্তা ভিজে ব্যবসায়ীদের কয়েক লাখ টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
আজ রোববার সন্ধ্যায় কৃষি মার্কেটের চালের বাজারে গিয়ে দেখা যায়, পানি নেমে গেছে। ব্যবসায়ীরা ভেজা চাল-ডাল বের করেছেন। আর চাল ভিজে যাওয়ার খবরে আশপাশের বিভিন্ন এলাকার নিম্ন আয়ের মানুষ ছুটে এসেছেন কম দামে চাল কেনার জন্য।
তেমনি একজন মোহাম্মদপুরের নবীনগর এলাকার রানী বেগম। তিনি ৪০০ টাকা দরে ৫০ কেজির চার বস্তা চাল কিনেছেন। আরেকজন আদাবর থানার শ্যামলী হাউজিং এলাকার বাসিন্দা রাবেয়া বেগম। তিনিও ২৫ কেজি ওজনের ছয় বস্তা চাল কিনেছেন।
কম দামে চাল কিনতে পেরে ক্রেতারা খুশি হলেও ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত। শাওন এন্টারপ্রাইজ ম্যানেজার মো. মোজাম্মেল বলেন, ‘গতকালের বৃষ্টিতে দুই দোকানের প্রায় এক হাজার বস্তা চাল ভিজে গেছে। ঈদের ছুটিতে মার্কেট বন্ধ থাকায় বেশি ক্ষতি হয়েছে। এখন ভেজা চাল ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি করছি। যেগুলো একটু ভালো আছে সেগুলো ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি করছি। এই বৃষ্টিতে অন্তত কয়েক লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।’
পাশের মোহাম্মদ এন্টারপ্রাইজের ১০০ বস্তা মসুর ডাল ভিজে গেছে। ভেজা ডাল দোকানের সামনে রেখে কেজিপ্রতি ৩০ থেকে ৪০ টাকা, যেমন পাচ্ছেন সে দামেই বিক্রি করে দিচ্ছেন কর্মচারীরা।
মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটের চালের আড়তে ব্যবসায়ী আব্বাস মিয়া বলেন, ‘ঈদের বাজার উপলক্ষে আমরা পাইকারি চাল কিনে গুদামজাত করেছিলাম। এখন বৃষ্টির পানি ঢুকে নিচের অনেক চালের বস্তা ভিজে আমার প্রায় এক লাখ টাকার মতো লোকসান হয়েছে। নামমাত্র মূল্যে চালগুলো বিক্রি করে দিচ্ছি।’
আরেক ব্যবসায়ী মন্টু মিয়া জানান, মার্কেটটি নিচু হওয়ায় হঠাৎ করে আশপাশের বৃষ্টির পানির ঢল নেমে মার্কেট তলিয়ে যায়। এ সময় অনেক দোকানে পানি ঢুকে নিচে থাকা অনেক বস্তা ভিজে যায়। ঈদের সময় দোকানের কর্মচারীরা ছুটিতে থাকায় আরও বেশি ক্ষতি হয়েছে। পানি সরানোর লোক খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। কোনো রকম পানি সরিয়ে আপাতত বস্তাগুলো সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন।
কৃষি মার্কেট পাইকারি চাল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম মন্টু বলেন, ‘মার্কেটটি একটু নিচু হওয়ায় বৃষ্টির কারণে আশপাশের এলাকা রিং রোড, তাজমহল রোড এলাকার পানির ঢল নেমে আসে। এ সময় চালের আড়তের অনেক দোকানের চাল ভিজে যায়। ব্যবসায়ীরা এসব ভেজা চালের ৫০ কেজির বস্তাগুলো নামমাত্র মূল্যে বিক্রি করে দিতে বাধ্য হচ্ছে। বিশেষ করে, ঈদের ছুটিতে দোকানে কোনো কর্মচারী না থাকায় চালগুলো সরানো সম্ভব হয়নি। যার কারণে ব্যবসায়ীরা আরও সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন। এই বৃষ্টিতে আমাদের ব্যবসায়ীদের অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।’
রাজধানীতে টানা ভারী বর্ষণের ফলে মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট চালের পাইকারি বাজার ভেসে গেছে। দোকানে পানি ঢুকে ভিজে গেছে চাল-ডাল। ভিজে যাওয়া পণ্য পানির দামে বেচে দিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঈদের ছুটিতে মার্কেট বন্ধ থাকায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে। গতকাল শনিবার দিনভর বৃষ্টির কারণে ঢল নেমে কৃষি মার্কেট চালের আড়তে হাঁটু পর্যন্ত পানি উঠে যায়। দোকানে পানি ঢুকে চালের বস্তা ভিজে ব্যবসায়ীদের কয়েক লাখ টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
আজ রোববার সন্ধ্যায় কৃষি মার্কেটের চালের বাজারে গিয়ে দেখা যায়, পানি নেমে গেছে। ব্যবসায়ীরা ভেজা চাল-ডাল বের করেছেন। আর চাল ভিজে যাওয়ার খবরে আশপাশের বিভিন্ন এলাকার নিম্ন আয়ের মানুষ ছুটে এসেছেন কম দামে চাল কেনার জন্য।
তেমনি একজন মোহাম্মদপুরের নবীনগর এলাকার রানী বেগম। তিনি ৪০০ টাকা দরে ৫০ কেজির চার বস্তা চাল কিনেছেন। আরেকজন আদাবর থানার শ্যামলী হাউজিং এলাকার বাসিন্দা রাবেয়া বেগম। তিনিও ২৫ কেজি ওজনের ছয় বস্তা চাল কিনেছেন।
কম দামে চাল কিনতে পেরে ক্রেতারা খুশি হলেও ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত। শাওন এন্টারপ্রাইজ ম্যানেজার মো. মোজাম্মেল বলেন, ‘গতকালের বৃষ্টিতে দুই দোকানের প্রায় এক হাজার বস্তা চাল ভিজে গেছে। ঈদের ছুটিতে মার্কেট বন্ধ থাকায় বেশি ক্ষতি হয়েছে। এখন ভেজা চাল ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি করছি। যেগুলো একটু ভালো আছে সেগুলো ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি করছি। এই বৃষ্টিতে অন্তত কয়েক লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।’
পাশের মোহাম্মদ এন্টারপ্রাইজের ১০০ বস্তা মসুর ডাল ভিজে গেছে। ভেজা ডাল দোকানের সামনে রেখে কেজিপ্রতি ৩০ থেকে ৪০ টাকা, যেমন পাচ্ছেন সে দামেই বিক্রি করে দিচ্ছেন কর্মচারীরা।
মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটের চালের আড়তে ব্যবসায়ী আব্বাস মিয়া বলেন, ‘ঈদের বাজার উপলক্ষে আমরা পাইকারি চাল কিনে গুদামজাত করেছিলাম। এখন বৃষ্টির পানি ঢুকে নিচের অনেক চালের বস্তা ভিজে আমার প্রায় এক লাখ টাকার মতো লোকসান হয়েছে। নামমাত্র মূল্যে চালগুলো বিক্রি করে দিচ্ছি।’
আরেক ব্যবসায়ী মন্টু মিয়া জানান, মার্কেটটি নিচু হওয়ায় হঠাৎ করে আশপাশের বৃষ্টির পানির ঢল নেমে মার্কেট তলিয়ে যায়। এ সময় অনেক দোকানে পানি ঢুকে নিচে থাকা অনেক বস্তা ভিজে যায়। ঈদের সময় দোকানের কর্মচারীরা ছুটিতে থাকায় আরও বেশি ক্ষতি হয়েছে। পানি সরানোর লোক খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। কোনো রকম পানি সরিয়ে আপাতত বস্তাগুলো সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন।
কৃষি মার্কেট পাইকারি চাল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম মন্টু বলেন, ‘মার্কেটটি একটু নিচু হওয়ায় বৃষ্টির কারণে আশপাশের এলাকা রিং রোড, তাজমহল রোড এলাকার পানির ঢল নেমে আসে। এ সময় চালের আড়তের অনেক দোকানের চাল ভিজে যায়। ব্যবসায়ীরা এসব ভেজা চালের ৫০ কেজির বস্তাগুলো নামমাত্র মূল্যে বিক্রি করে দিতে বাধ্য হচ্ছে। বিশেষ করে, ঈদের ছুটিতে দোকানে কোনো কর্মচারী না থাকায় চালগুলো সরানো সম্ভব হয়নি। যার কারণে ব্যবসায়ীরা আরও সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন। এই বৃষ্টিতে আমাদের ব্যবসায়ীদের অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।’
চট্টগ্রাম নগরে পরীর পাহাড়ে যাতায়াতের দুর্ভোগ কমাতে বছরখানেক আগে সড়কের পাশের ২৩ শতক জায়গার ওপর গড়ে ওঠা অবৈধ দখলদারদের স্থাপনা ভেঙে দিয়েছিলেন তৎকালীন জেলা প্রশাসক। উচ্ছেদের পর সেখানে জনস্বার্থে প্রকল্প বাস্তবায়নের কথা ছিল। জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের পর ডিসি রদবদল হলে সেই উদ্ধার করা জায়গা আরেক দখলদারের
২ ঘণ্টা আগেসিলেটের ১৩৩ বছরের পুরোনো এমসি কলেজ। এর ছাত্রাবাসের সপ্তম ব্লকে ১২৮ জন শিক্ষার্থীর পাশাপাশি কলেজের কয়েকজন কর্মচারীও থাকেন। কিন্তু বেশ কয়েক দিন ধরে পানির তীব্র সংকট থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। গোসল করা দূরে থাক, প্রয়োজনীয় খাওয়ার পানিও পাচ্ছেন না তাঁরা। তাই অনেকে বাধ্য হয়ে নিজ নিজ বাড়িতে চলে
২ ঘণ্টা আগেটানা বৃষ্টি আর উজানের ঢলে পদ্মা নদীতে বৃদ্ধি পাচ্ছে পানি। এতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলার চরাঞ্চল ডুবে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে পাঁচটি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের সাড়ে ৬ হাজার পরিবার। অন্যদিকে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের পদ্মার চরের নিম্নাঞ্চলের আবাদি জমি ও চলাচলের রাস্তা ডুবে গেছে। ইতিমধ্যে রামকৃষ্ণপুর
২ ঘণ্টা আগেরংপুরের তারাগঞ্জে গণপিটুনিতে শ্বশুর রূপলাল দাস (৪৫) ও জামাই প্রদীপ লালের (৩৫) প্রাণহানির পেছনে আইনশৃঙ্খলাহীনতাকে দুষছেন স্থানীয় লোকজন। তাঁরা বলছেন, গত কয়েক দিনের চুরি, ছিনতাই ও হত্যাকাণ্ড-সংশ্লিষ্ট অপরাধের কারণে স্থানীয় জনতার ভেতর মবের মনোভাব তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশও সেভাবে তৎপর নয়। এসব কারণেই শ্
২ ঘণ্টা আগে