Ajker Patrika

কবুতর নিয়ে দ্বন্দ্বে খুন হন টিটু, জাপটে ধরেছিলেন রবিন: র‍্যাব

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৪ জুন ২০২২, ১৯: ৩২
কবুতর নিয়ে দ্বন্দ্বে খুন হন টিটু, জাপটে ধরেছিলেন রবিন: র‍্যাব

রাজধানীর কদমতলী থানার আউটার সার্কুলার রোড (নোয়াখালী পট্টি) এলাকায় আধিপত্য ও কবুতর নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে হুমায়ুন কবির ওরফে টিটুকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এই হত্যায় তিনজন অংশ নেন। তাদের মধ্যে সোহাগ ওরফে বড় সোহাগ (৩৪) ও মামুন (৩৩) গ্রেপ্তার হলেও ১০ বছর ধরে আত্মগোপনে ছিলেন রবিন শেখ। তাঁকে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব।

আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‍্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাব-১০-এর উপ-অধিনায়ক মেজর শাহরিয়ার জিয়াউর রহমান এ তথ্য জানান।

র‍্যাব বলছে, কদমতলীর নোয়াখালী পট্টি এলাকার বাসিন্দা টিটুর সঙ্গে এলাকার আধিপত্য, কবুতর ও পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তিনজনের আলাদা আলাদা দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। এরই জের ধরে তিনজন পরিকল্পনা করে টিটুকে হত্যা করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী টিটুকে গুলি করেন সোহাগ, অস্ত্র কেনার টাকা দেন মামুন শেখ এবং ঘটনাস্থলে টিটুকে অনুসরণ ও গুলিতে হত্যা নিশ্চিত করতে তাঁকে জাপটে ধরেন রবিন শেখ। 

মেজর শাহরিয়ার জানান, রাজধানীর কদমতলী থানার আউটার সার্কুলার রোড (নোয়াখালী পট্টি) এলাকায় আধিপত্য ও কবুতর নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে ২০১০ সালের ২৬ নভেম্বর হুমায়ুন কবির ওরফে টিটুকে গুলি করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় টিটুকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে নিহতের স্ত্রী রোজিনা বেগম বাদী হয়ে কদমতলী থানায় একটি হত্যা মামলা (৪৯) দায়ের করেন। মামলায় সোহাগ ওরফে বড় সোহাগ (৩৪), মামুন শেখ (৩৩) ও মো. রবিন শেখসহ (৩০) অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করা হয়। ওই বছর রবিন শেখ গ্রেপ্তার হলেও ২০১২ সালে জামিনে বের হয়ে আত্মগোপনে চলে যান। 

র‍্যাব-১০-এর উপ-অধিনায়ক আরও জানান, টিটু হত্যা মামলার প্রধান আসামি সোহাগ নিজের গ্রেপ্তার এড়াতে অন্য একজনকে আসামি সাজিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠান। আর নিজে দেশের বাইরে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। তবে শেষরক্ষা হয়নি। রাজধানীর পুরান ঢাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তারের পর সোহাগের সাজানো আয়নাবাজির গল্প দেশবাসীর সামনে তুলে ধরে র‍্যাব। এরপর অপর আসামি মামুন শেখকে নারায়ণগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করে। তবে টিটু হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত রবিন শেখ ছিলেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। গত ১০ বছর গ্রেপ্তার এরাতে বিভিন্ন পেশার আড়ালে আত্মগোপনে ছিলেন। সর্বশেষ গতকাল বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানার বরাব এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

গ্রেপ্তার রবিন শেখকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে শাহরিয়ার রহমান জানান, ২০১০ সালে টিটু হত্যার ঘটনার সময় পুরান ঢাকার নবাবপুর এলাকায় একটি ওয়ার্কশপে কাজ করতেন। টিটু হত্যায় গ্রেপ্তারের পর ২০১২ সালে জামিনে বের হয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকায় পরিচয় গোপন করে রাজমিস্ত্রি হিসেবে কাজ করেছেন। পরে নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানার বরাব এলাকায় অটোড্রাইভার হিসেবে কাজ করে আসছিলেন। রবিন ও আয়নাবাজ সোহাগ একই এলাকায় পাশাপাশি বাসায় বসবাস করতেন। সেই সুবাদে রবিনের সঙ্গে মামুন ও সোহাগের মধ্যে ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে, যার ফলে রবিন সোহাগের অন্যতম সহযোগী হিসেবে কাজ করতেন বলে জানা যায়। ফলে তিনজনের সঙ্গেই ভিন্ন ভিন্ন বিষয় নিয়ে টিটুর শত্রুতার সৃষ্টি হয়। এ কারণে ঘটনার এক সপ্তাহ আগে এই পরিকল্পনা করেন। পরে তিনজনের মধ্যে মামুন অস্ত্র কেনার টাকা দেন। সোহাগ সেই অস্ত্র দিয়ে গুলি করেন। আর রবিন হত্যা নিশ্চিত করতে টিটুকে জাপটে ধরেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রূপপুর পারমাণবিক কেন্দ্র পরিদর্শনের পর যা জানাল আইএইএর বিশেষজ্ঞ দল

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে লতিফ সিদ্দিকী অবরুদ্ধ, নেওয়া হলো পুলিশি হেফাজতে

লতিফ সিদ্দিকী, ঢাবি অধ্যাপক কার্জনসহ ডিবি হেফাজতে ১৫ জন সন্ত্রাসবিরোধী আইনে গ্রেপ্তার

আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত সাবেক মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকী, ঢাবি শিক্ষক কার্জনসহ ১১ জন ডিবি হেফাজতে

পুলিশের ওপর ৪ দফা হামলা, গাজীপুরের শীর্ষ সন্ত্রাসীকে ছিনিয়ে নিল দুর্বৃত্তরা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত