Ajker Patrika

খালেদা জিয়াকে আবার কারাগারেই ফিরিয়ে দেওয়া দরকার: জাফরুল্লাহ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
খালেদা জিয়াকে আবার কারাগারেই ফিরিয়ে দেওয়া দরকার: জাফরুল্লাহ

আমাকে সবাই অনুরোধ করে আমি যেন বিএনপি নিয়ে কিছু না বলি। কিন্তু মাঝে মাঝে না বলে পারি না। বিএনপি বহু জায়গায় না বলছে। তারা দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে না। এটাকে আমি পূর্ণ সমর্থন করি। আজকে আরেকটা বিষয়ে বিএনপিকে না বলতে শিখতে হবে। এই যে, খালেদা জিয়াকে বারবার জামিন না দিয়ে বা জামিনের নামে বারবার অপমান করা হচ্ছে। খালেদা জিয়াকে যে প্রক্রিয়ায় বাইরে রাখা হয়েছে সেটি অপমানজনক। বরঞ্চ খালেদা জিয়াকে আবার সেই নাজিমুদ্দিন রোডের কারাগারেই ফিরিয়ে দেওয়া দরকার বলে মন্তব্য করেছেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। 

আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক বিক্ষোভ সমাবেশে জাফরুল্লাহ চৌধুরী এসব কথা বলেন।  

জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘উনি (খালেদা) বাইরে থেকে কী লাভ হচ্ছে? উনিতো আমাদের সঙ্গে এসে মিটিং করতে পারছেন না। জনগণের হয়ে কথা বলতে পারেন না। আপনাদের (বিএনপি) কাছে আমার অনুরোধ ৷ আপনারা আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে বের করে নিয়ে আসুন। তাঁর নেতৃত্বে আন্দোলন গড়ে তুলে এই সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করুন। এতে সবারই লাভ ও ভালো হবে।’ 

প্রতিবাদ সভায় জেএসডির সভাপতি আ স ম রব বলেন, ‘আজ ঘরে ঘরে দুর্ভিক্ষ চলছে। এই সরকার গরিবদুঃখীদের দেখে না। যখন দুর্ভিক্ষের মত অবস্থা তখন তারা আতশবাজি করে, বেলুন ফুটায়। আপনাদেরকে বলি ক্ষমতা ছেড়ে আপনাদের তো যেতে হবেই, তাই এখনো সময় আছে ঠিক করুন সম্মানের সঙ্গে, না কীভাবে ক্ষমতা ছেড়ে যাবেন। গরিব নিম্নবৃত্ত মধ্যবিত্তদের ন্যায্যমূল্যে ভাত দেন, রুটি দেন নইলে গদি ছেড়ে দেন।’ 

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহামুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘বর্তমান সরকার সাধারণ জনগণের কোন তোয়াক্কা করে না। অন্যদিকে এক মন্ত্রী বলেন, দাম বাড়লে কি হয়েছে, সাধারণ মানুষের কেনার ক্ষমতা তিনগুণ বেড়েছে। তাই সাধারণ মানুষের উচিত এসব বিষয়ে প্রতিবাদ করা, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বিরুদ্ধে হরতাল করা।’ 

কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহম্মাদ ইবরাহিম বলেন, ‘দেশের বর্তমান যে অবস্থা এতে করে আমাদের সবাই মিলে দেশকে বাঁচাতে হবে, এই সরকারকে হটাতে হবে। আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা কিন্তু বলতে হচ্ছে এমন দেশের জন্য আমি যুদ্ধ করেনি।’ 

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘৫ টাকার জিনিস ৫০ টাকা হয়ে যায়। জিনিস পত্রের দাম বাড়িয়ে এর মাধ্যমে সরাসরি জনগণের পকেট কাটা হচ্ছে। দ্রব্যমূল্যে যত বাড়ে ভ্যাট ট্যাক্স তত বাড়ে, সরকারের কোষাগারে টাকা জমা হয়। দেশ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করতে সুবিধা হয় সরকারের লোকদের, নিজেদের পকেট ভরতে পারে তারা। এসব অন্যায় অবিচার বর্তমান সরকার চালাতে পারছে কারণ জনগণকে তারা তোয়াক্কা করে না।’ 

গণজমায়েত ও সমাবেশ শেষে একটি গণমিছিল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে শুরু হয়ে সামনের রাস্তা প্রদক্ষিণ করে। 

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন গণ অধিকার পরিষদের সদস্যসচিব নূরুল হক নুর, ভাসানী অনুসারী পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য আক্তার হোসেন, জাতীয় পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল, ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, প্রেসিডিয়াম সদস্য নঈম জাহাঙ্গীর প্রমুখ। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত