Ajker Patrika

মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে ‘জুলাই পুনর্জাগরণ অনুষ্ঠানমালা’ শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৫ আগস্ট ২০২৫, ১৩: ১৮
‎দিনব্যাপী ‘জুলাই পুনর্জাগরণ অনুষ্ঠানমালা’র আয়োজনে মেতে উঠেছে জনগণ। ছবি: আজকের পত্রিকা
‎দিনব্যাপী ‘জুলাই পুনর্জাগরণ অনুষ্ঠানমালা’র আয়োজনে মেতে উঠেছে জনগণ। ছবি: আজকের পত্রিকা

গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে একপশলা। আবার দেখা মিলেছে ঝলমলে রোদের। এরই মধ্যে ‎জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ঢাকার মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ ও সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় শুরু হয়েছে ‎দিনব্যাপী ‘জুলাই পুনর্জাগরণ অনুষ্ঠানমালা’র আয়োজন। মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে সাইমুম শিল্পীগোষ্ঠীর পরিবেশনা ‘এ দেশ আমার বাংলাদেশ, আয় তারুণ্য আয়’ দিয়ে শুরু হয় ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থান দিবস উদ্‌যাপন।

এরপর সাইমুম শিল্পীগোষ্ঠীর শিল্পী ওবায়দুল্লাহ তারেক শোনান, ‘ও মা আর কেঁদো না’ এবং শিল্পী মশিউর রহমান শোনান ‘যাদের জন্য পেলাম আবার নতুন বাংলাদেশ’ গানটি। শেষে জারি গান ‘শোনেন শোনেন ভাই আর বোন হাসিনার কুকীর্তির কথা করিব বর্ণন’ পরিবেশনার মধ্য দিয়ে শেষ হয় তাদের পরিবেশনা।

আজ ‎মঙ্গলবার সকালে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজার সামনে এ আয়োজনকে কেন্দ্র করে জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। সংসদ ভবনে প্রবেশের মুখে ফার্মগেট, আসাদগেটসহ সংসদ ভবন এলাকায় পুলিশ, র‍্যাবসহ গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য মোতায়েন রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা নজরদারিতে রেখেছেন পুরো সংসদ এলাকা। ‎

‎দিনব্যাপী ‘জুলাই পুনর্জাগরণ অনুষ্ঠানমালা’র আয়োজনে মেতে উঠেছে জনগণ। ছবি: আজকের পত্রিকা
‎দিনব্যাপী ‘জুলাই পুনর্জাগরণ অনুষ্ঠানমালা’র আয়োজনে মেতে উঠেছে জনগণ। ছবি: আজকের পত্রিকা

‎পুলিশ, র‍্যাব, আনসার সদস্যের পাশাপাশি সেনাবাহিনী ও বিজিবির টহল চলছে সংসদ ভবন এলাকায়। সংসদ ভবনের সামনের রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় আয়োজনসংশ্লিষ্ট ছাড়া কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।

‎সংসদ ভবন ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে নিরাপত্তার বিষয়ে তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ঢাকা মহানগর পুলিশ ও র‍্যাবসহ সেনাবাহিনী, বিজিবির টহল রয়েছে। আইনশৃঙ্খলার সর্বোচ্চ নিরাপত্তায় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। উচ্চ ধারণক্ষমতাসম্পন্ন সিসি ক্যামেরা স্থাপন ও গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। ‎

‎দিনব্যাপী ‘জুলাই পুনর্জাগরণ অনুষ্ঠানমালা’র আয়োজনে মেতে উঠেছে জনগণ। ছবি: আজকের পত্রিকা
‎দিনব্যাপী ‘জুলাই পুনর্জাগরণ অনুষ্ঠানমালা’র আয়োজনে মেতে উঠেছে জনগণ। ছবি: আজকের পত্রিকা

এ ছাড়া সংসদ ভবন এলাকায় আজ ‎সাংস্কৃতিক পরিবেশনা, ড্রোন শো ও জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ অনুষ্ঠান রয়েছে। বেলা ১১টা থেকে বিভিন্ন শিল্পীগোষ্ঠীর সংগীত পরিবেশনার মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বৃষ্টির কারণে কিছুটা ব্যাঘাত ঘটেছে। তবে এরই মধ্যে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে জড়ো হতে শুরু করেছে সাধারণ মানুষ। বেলা ১১টার মধ্যেই সহস্রাধিক মানুষ অনুষ্ঠানস্থলে জড়ো হয়েছে।

‎রাজধানীর ধানমন্ডি থেকে আসা শাওন আলিফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জুলাইয়ের অনুষ্ঠানে অংশ নিতে এলাম। যদিও বৃষ্টির কারণে একটু দেরি হচ্ছে শুরু হতে। তবে এসে ভালোই লাগছে।’

‎দিনব্যাপী ‘জুলাই পুনর্জাগরণ অনুষ্ঠানমালা’র আয়োজনে মেতে উঠেছে জনগণ। ছবি: আজকের পত্রিকা
‎দিনব্যাপী ‘জুলাই পুনর্জাগরণ অনুষ্ঠানমালা’র আয়োজনে মেতে উঠেছে জনগণ। ছবি: আজকের পত্রিকা

মিরপুর থেকে আসা আলী আশরাফ বলেন, ‘এটা আমাদের বিজয়ের দিন। এই দিনে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা পালিয়েছে। এটা আমাদের ঈদের দিন।’

দর্শকের ভেতর থেকে কয়েকজন তরুণকে গান গাইতে দেখা যায়। তাঁরা ‘পূর্ব দিগন্তে সূর্য উঠেছে’, ‘চল চল চল’, ‘এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাব নাকো তুমি’ গানগুলো গেয়ে শোনান।

গণ-অভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে আজ দেশের সবচেয়ে বড় আয়োজন সাজানো হয়েছে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে। বিকেলে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ করা হবে। গত রোববার প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে বলা হয়, ‘অন্তর্বর্তী সরকার জুলাই ঘোষণাপত্রের খসড়া চূড়ান্ত করেছে। আগামী মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট ২০২৫, বিকেল ৫টায় গণ-অভ্যুত্থানের সব পক্ষের উপস্থিতিতে জুলাই ঘোষণাপত্র জাতির সামনে উপস্থাপন করা হবে।’ আরেকটি পোস্টে জানানো হয়, এ উপলক্ষে দিনব্যাপী আয়োজন থাকছে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

১ ফেব্রুয়ারি থেকে বইমেলা শুরুর দাবিতে ১১ নভেম্বর সমাবেশ ও পদযাত্রা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

অমর একুশে বইমেলা-২০২৬ পয়লা ফেব্রুয়ারি থেকে আয়োজন ও স্টল ভাড়া কমানোর দাবিতে সমাবেশ ও পদযাত্রার আয়োজন করেছে একুশে বইমেলা সংগ্রাম পরিষদ।

আগামী মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) বেলা ১১টায় রাজধানীর শাহবাগে লেখক, পাঠক, প্রকাশক, শিল্পী ও সংস্কৃতিকর্মীদের নিয়ে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। সমাবেশ শেষে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দেওয়ার উদ্দেশ্যে যমুনা অভিমুখে পদযাত্রাও অনুষ্ঠিত হবে।

এই আয়োজন সফল করতে আজ রোববার বাংলাবাজারের মান্নান মার্কেটের তৃতীয় তলায় ‘একুশে বইমেলা সংগ্রাম পরিষদ’-এর সঙ্গে সৃজনশীল গ্রন্থ প্রকাশকদের একটি মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৈষম্যবিরোধী সৃজনশীল গ্রন্থ প্রকাশক সমিতির সভাপতি সাঈদ বারীর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় কবিতা পরিষদের সভাপতি কবি মোহন রায়হান।

সভায় বক্তব্য দেন আলমগীর শিকদার লোটন, মফিজুর রহমান লাল্টু, কামরুজ্জামান ভূঁইয়া, কামাল হোসেন বাদল, জহিরুল ইসলাম বুলবুল ও শাহ আল মামুন। সভাটি পরিচালনা করেন বৈষম্যবিরোধী সৃজনশীল গ্রন্থ প্রকাশক সমিতির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হাসান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

প্রাথমিকে সংগীত ও শরীরচর্চা শিক্ষক নিয়োগ বাতিলের প্রতিবাদে উদীচীর গানের মিছিল

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
‘উদীচী থেকে যমুনা’ শীর্ষক গানের মিছিলে উদীচীর নেতারা। ছবি: আজকের পত্রিকা
‘উদীচী থেকে যমুনা’ শীর্ষক গানের মিছিলে উদীচীর নেতারা। ছবি: আজকের পত্রিকা

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংগীত ও শরীরচর্চা বিষয়ের শিক্ষক নিয়োগ বাতিলের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী। আজ রোববার সরকারের এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ‘উদীচী থেকে যমুনা’ শীর্ষক গানের মিছিলের আয়োজন করে উদীচীর নেতারা অবিলম্বে সিদ্ধান্তটি প্রত্যাহারের আহ্বান জানান। একই সঙ্গে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর না হলে সারা দেশে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়েছে সংগঠনটি।

আজ বিকেলে তোপখানা রোডের সত্যেন সেন চত্বর থেকে শুরু হওয়া গানের মিছিলটি শিল্পকলা একাডেমি পর্যন্ত এলে পুলিশি বাধার মুখে পড়ে। এরপর আরও একটু এগিয়ে ব্যাটারি গলির মুখে মিছিল শেষ করে উদীচীর নেতারা সেখানে বক্তব্য দেন।

উদীচীর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হাবিবুল আলম খান বলেন, এই গান বাংলার মানুষের প্রাণ। পৃথিবীর কোনো শক্তি নেই এই গানকে বাংলার মানুষের প্রাণ থেকে দূরে সরিয়ে দেবে।

হাবিবুল আলম সরকারের এ সিদ্ধান্তের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘আপনারা যে কাজ করেছেন, নিজেদের প্রশ্ন করেন, এর অধিকার আপনাদের আছে কি না। আপনারা কাদের অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়ন করছেন, এটা পরিষ্কার হওয়ার আর কিছু বাকি নেই।’ এক সপ্তাহের মধ্যে সরকার যদি এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে না আসে, তবে উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী সারা দেশের মেহনতি মানুষকে নিয়ে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবে বলে তিনি হুঁশিয়ারি দেন।

উদীচীর সাধারণ সম্পাদক জামশেদ আনোয়ার তপন সংগীত শিক্ষায় শিক্ষিত হাজার হাজার শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমরা গান গাইতে পারব না, এটা আমি ভাবতে পারি না...বিভিন্ন সংগীতের স্কুল, একাডেমি, প্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সংগীত বিভাগ আছে। সেখান থেকে হাজার হাজার ছাত্রছাত্রী বের হচ্ছে। তারা কী করবে?’

প্রধান উপদেষ্টার মন্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে জামশেদ আনোয়ার এই সিদ্ধান্তকে ‘চরম অসভ্যতা’ বলে মন্তব্য করেন। তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, ‘আমরা ২৬ জুলাই সত্যেন সেন চত্বর থেকেই গান গাইতে গাইতে কারফিউ ভেঙেছিলাম। গানকে আটকে রাখে এমন শক্তি পৃথিবীতে নেই। গানকে কীভাবে স্তব্ধ করবেন, মানুষের মনের কথা কীভাবে বন্ধ করবেন।’ তিনিও এক সপ্তাহের মধ্যে সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানান।

গণতান্ত্রিক সাংস্কৃতিক ঐক্যের সংগঠক কামাল হোসেন বাদল বলেন, ‘আমরা চব্বিশের অভ্যুত্থানে জীবন দিয়েছি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের জন্য, কোনো মৌলবাদী রাষ্ট্রের জন্য নয়।’

মিছিলে উদীচীর শিল্পীরা ‘কারার ঐ লৌহ কপাট’, ‘মুক্তির মন্দির সোপান তলে’, ‘ভয় কি মরণে’, ‘মোরা ঝঞ্ঝার মতো উদ্দাম’, ‘তীর হারা এই ঢেউয়ের সাগর’, ‘বাবা বলে গেল আর কোনো দিন গান কোরো না’সহ বেশ কিছু গান পরিবেশন করেন।

অংশগ্রহণকারীদের হাতে থাকা প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল—‘আমরা চাই হাসি গানে মুখরিত বাংলাদেশ’, ‘প্রাথমিক শিক্ষায় সংগীত ও শরীরচর্চা বিষয়ের শিক্ষক পুনর্বহাল করো’, ‘শিক্ষার ফ্যাসিকরণ রুখে দাঁড়াও’ এবং ‘শিক্ষার সাম্প্রদায়িকীকরণ রুখে দাঁড়াও’।

আয়োজনে আরও বক্তব্য দেন চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, উদীচীর নেতা আরিফ নূর ও রহমান মফিজ। সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতে আগামীকাল সোমবার একটি প্রতিনিধিদল প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দিতে যাবে বলে জানানো হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে বিসিসি কর্মচারীদের না জড়ানোর নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে বিসিসি কর্মচারীদের না জড়ানোর নির্দেশ

বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) বেশ কিছু কর্মকর্তা ও কর্মচারী প্রকাশ্যে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন। এ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে না জড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে রাজনীতিবিদেরা করপোরেশনের এমন নির্দেশনাকে ব্যক্তিগত স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ বলে মনে করছেন।

জানা গেছে, করপোরেশনের অর্ধশতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী প্রকাশ্যে রাজনৈতিক সভা-সমাবেশে অংশ নিচ্ছেন। অনেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতার হয়ে ব্যানার কিংবা পোস্টার সাঁটিয়েছেন নগরজুড়ে। সেই সব ব্যানার-পোস্টারে জুড়ে দিচ্ছেন নিজের ছবি। অনেকে নেতাদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়ে সেই ছবি ফেসবুকে দিচ্ছেন।

এসব কর্মকাণ্ড করতে গিয়ে অনেকে অফিসও ফাঁকি দিচ্ছেন। ফলে রোববার (৯ নভেম্বর) সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রেজাউল বারী স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে কর্মকর্তা-কর্মচারীকে রাজনৈতিক সভা-সমাবেশে অংশগ্রহণে বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়।

আদেশে উল্লেখ করা হয়, ‘সিটি করপোরেশনের কিছু কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী চাকরি বিধিমালা লঙ্ঘন করে বিভিন্ন ধরনের রাজনৈতিক সভা, সমাবেশে অংশগ্রহণ করছেন, যা চাকরি শৃঙ্খলা পরিপন্থী অপরাধ। এ অবস্থায় সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীকে রাজনৈতিক সভা, সমাবেশ, মিছিলে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হলো।’

বরিশাল সিটি কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি নুর খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রাজনৈতিক সমর্থন থাকতেই পারে। কিন্তু অনেকে নেতাদের সঙ্গে ছবি তুলে, ব্যানার টানায়। করপোরেশনে বিএনপি, জামায়াত, এনসিপির লোকজন আছে। প্রশাসক এ বিষয়ে বেশ ক্ষুব্ধ। যারা ব্যানার করছে, তাদের ডেকে সতর্ক করেছি। কর্তৃপক্ষ একজনকে শোকজও করেছে।’

এ প্রসঙ্গে বিসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রেজাউল বারী বলেন, চাকরিবিধি মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে। সবাইকে সতর্ক করাই তাঁদের লক্ষ্য।

এদিকে বিসিসির অফিস আদেশ প্রসঙ্গে বাসদের জেলা সমন্বয়ক ডা. মনীষা চক্রবর্তী বলেন, ‘বরিশাল সিটি করপোরেশন একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান। রাজনীতি করার অধিকার সবারই আছে। অফিস সময়ের বাইরে রাজনীতি করার স্বাধীনতা বাধাগ্রস্ত করা যাবে না।’

মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ফারুক আজকের পত্রিকাকে বলেন, অফিস শেষে বিসিসির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কোনো কর্মসূচিতে অংশ নিলে বিসিসি বাধা দিতে পারে না। এটা যে কারও ব্যক্তিগত স্বাধীনতা। এভাবে রাজনীতিতে বাধা দেওয়া অন্যায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ডোমারে গাড়িবহরে হামলা: দুই ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৩ জন কারাগারে

নীলফামারী প্রতিনিধি
গোলাম ফিরোজ, মো. রাসেল ও আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত
গোলাম ফিরোজ, মো. রাসেল ও আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত

২০১৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নীলফামারীর ডোমারে বিএনপির প্রার্থীর গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় দুই ইউপি চেয়ারম্যানসহ তিনজনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ রোববার জেলাজজ আদালতের বিচারক মো. আবুল মনছুর মিয়া এই আদেশ দেন। এর আগে আসামিরা আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আল মাসুদ চৌধুরী বলেন, অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর মামলায় উপজেলার সোনারায় ও হরিণচড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও একজন ইউপি সদস্য রোববার জেলাজজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। বিজ্ঞ বিচারক তাঁদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

আসামিরা হলেন উপজেলার সোনারায় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান গোলাম ফিরোজ চৌধুরী, হরিণচড়া ইউপির চেয়ারম্যান মো. রাসেল রানা এবং ডোমার সদর ইউপির ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আলমগীর রহমান। তাঁরা স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত।

সূত্রমতে, ২০১৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচারণায় অংশ নেন নীলফামারী-১ (ডোমার-ডিমলা) আসনের বিএনপির মনোনীত প্রার্থী অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম। তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ভগ্নিপতি। সেদিন প্রচারণার কাজে যাওয়ার পথে জোড়াবাড়ী এলাকায় তাঁর গাড়িবহরে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এতে বিএনপির কমপক্ষে ৬০ নেতা-কর্মী আহত হন।

এ ঘটনায় গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর ডোমার উপজেলার জোড়াবাড়ী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে ৩১ জনের নামে মামলা করেন। রোববার ওই মামলায় তাঁরা জেলাজজ আদালতের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মো. আবুল মনছুর মিয়ার আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন।

এ বিষয়ে ডোমার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘জানতে পেরেছি আদালতে জামিন নিতে গেলে বিজ্ঞ বিচারক তাঁদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত