মোস্তাকিম ফারুকী, মিটফোর্ড
হাতুড়ি, বেলচাসহ নানা যন্ত্রপাতির বাক্স নিয়ে প্রতিদিন পুরান ঢাকার নয়াবাজার এলাকার নবাব সিরাজউদ্দৌলা পার্কের বিপরীত পাশে শ্রম বিক্রির জন্য বসে থাকেন রাজমিস্ত্রি মোহাম্মদ আলী নূর। ১৫ বছর ধরে দিনমজুর হিসেবে কাজ করেন তিনি। এই দীর্ঘ সময়ে কাজের অভাব হয়নি কখনো। কিন্তু আজকাল কাজের বাজার মন্দা। প্রায় এক সপ্তাহ ধরে কোনো কাজ পাননি। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ক্রেতার আশায় বসে থেকে খালি হাতে বাড়ি ফিরেছেন ৫৩ বছর বয়সী আলী নূর।
গত বৃহস্পতিবার কথা হয় তাঁর সঙ্গে। আলী নূর জানান, সংসারে তিনিই একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। করোনা শুরুর পর নিয়মিত কাজ না পেয়ে ধার-দেনা করে সংসার চালাচ্ছেন। এক দিন কাজ পেলে তিন দিন বসে থাকতে হয়। গত এক সপ্তাহে কোনো কাজই পাননি।
যেকোনো হাটের সাধারণ বৈশিষ্ট্য হলো টাকার বিনিময়ে পণ্য বেচাকেনা। তবে এই সাধারণ নিয়মের বাইরেও এমন হাট আছে, যেখানে টাকার বিনিময়ে শুধু পণ্য নয়, মানুষের শ্রমও বিক্রি হয়। এসব হাটে মানুষ নিজেই পণ্য। পুরান ঢাকার নয়াবাজার তেমনই একটি হাট। ঢাকার আশপাশের জেলা ছাড়াও দেশের দূর-দূরান্ত থেকেও এখানে নিয়মিত শ্রমিকেরা আসেন কাজের সন্ধানে। আর কাজ পেলে নির্ধারিত একটি সময়ের জন্য একজন শ্রমিক বিক্রি হয়ে যান অন্যের কাছে। এই হাটে রাজমিস্ত্রি, রংমিস্ত্রি, কাঠমিস্ত্রি, দিনমজুর, গৃহ পরিচ্ছন্নতাকর্মীর ব্যাপক চাহিদা থাকলেও বর্তমান চিত্র অনেকটাই ভিন্ন। কাঙ্ক্ষিত কাজ মিলছে না এখন নিয়মিত।
হাটের ভেতরে ঢুকতেই এক শ্রমিক হাতের ইশারায় ডেকে বললেন, ‘মামা, কামলা লাগব? কত দিবেন?’ এরপর তিনি জানালেন, কাজ পাওয়ার আশায় কয়েক ঘণ্টা ধরে দাঁড়িয়ে আছেন তিনি। কিন্তু ক্রেতা নেই। মাঝেমধ্যে দু-একজন এলেও, তাঁরা মজুরি অনেক কম বলছেন। নয়াবাজার হাটে থাকা বেশির ভাগ শ্রমিকের অবস্থা প্রায় একই রকম।
সেখানে কয়েকজন শ্রমিকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত একজন কাঠমিস্ত্রির মজুরি ১ হাজার টাকা, রাজমিস্ত্রি নেন ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকা, রংমিস্ত্রির মজুরিও ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকা। আর তাঁদের সহকারীদের মজুরি দৈনিক ৫০০ থেকে ৬০০ টাকার মধ্যে। কিন্তু মজুরি কমিয়ে দিয়েও এখন আর ক্রেতা পাচ্ছেন না তাঁরা।
শ্রম বিক্রির এই হাটে রঙের বালতি আর ব্রাশ নিয়ে ক্রেতার আশায় বসে ছিলেন রতন মিয়া। কথা প্রসঙ্গে তিনি জানান, ছোটবেলা থেকে বাবার কাছে শিখেছিলেন রঙের কাজ। এরপর প্রায় ১২ বছর ধরে এই পেশা এবং পুরান ঢাকার শ্রমের বাজারের সঙ্গে পরিচিত তিনি। এক দিন কাজ না পেলে পরের দিন ঠিকই কাজ পেয়ে যেতেন। এখন দিনের পর দিন বসে থেকেও কাজ পাচ্ছেন না। মানুষের কাছ থেকে ধার করে চলতে চলতে দেনার পরিমাণও ভারী হয়ে উঠেছে। তাই স্ত্রী-সন্তান নিয়ে সংসার চালানো কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মোহাম্মদ আলী নূর কিংবা রতন মিয়া—সব শ্রমিকের দুর্দশা প্রায় একই। মানুষের শ্রম বেচাকেনার হাটে প্রতিটি শ্রমিকের কণ্ঠেই এখন হাহাকার। সারা দিন একজন ক্রেতার আশায় তাঁরা বসে থাকেন। অপেক্ষা চলে সন্ধ্যা পর্যন্ত। সূর্য ডোবার সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের হতাশার মাত্রাও বাড়ে। কারণ এই সময়ের পর আর কাজ পাওয়ার আশা থাকে না। তবে পরের দিন আবারও কাজ পাওয়ার আশায় বুক বেঁধে তাঁরা চলে আসেন শ্রম বিক্রির হাটে।
হাতুড়ি, বেলচাসহ নানা যন্ত্রপাতির বাক্স নিয়ে প্রতিদিন পুরান ঢাকার নয়াবাজার এলাকার নবাব সিরাজউদ্দৌলা পার্কের বিপরীত পাশে শ্রম বিক্রির জন্য বসে থাকেন রাজমিস্ত্রি মোহাম্মদ আলী নূর। ১৫ বছর ধরে দিনমজুর হিসেবে কাজ করেন তিনি। এই দীর্ঘ সময়ে কাজের অভাব হয়নি কখনো। কিন্তু আজকাল কাজের বাজার মন্দা। প্রায় এক সপ্তাহ ধরে কোনো কাজ পাননি। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ক্রেতার আশায় বসে থেকে খালি হাতে বাড়ি ফিরেছেন ৫৩ বছর বয়সী আলী নূর।
গত বৃহস্পতিবার কথা হয় তাঁর সঙ্গে। আলী নূর জানান, সংসারে তিনিই একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। করোনা শুরুর পর নিয়মিত কাজ না পেয়ে ধার-দেনা করে সংসার চালাচ্ছেন। এক দিন কাজ পেলে তিন দিন বসে থাকতে হয়। গত এক সপ্তাহে কোনো কাজই পাননি।
যেকোনো হাটের সাধারণ বৈশিষ্ট্য হলো টাকার বিনিময়ে পণ্য বেচাকেনা। তবে এই সাধারণ নিয়মের বাইরেও এমন হাট আছে, যেখানে টাকার বিনিময়ে শুধু পণ্য নয়, মানুষের শ্রমও বিক্রি হয়। এসব হাটে মানুষ নিজেই পণ্য। পুরান ঢাকার নয়াবাজার তেমনই একটি হাট। ঢাকার আশপাশের জেলা ছাড়াও দেশের দূর-দূরান্ত থেকেও এখানে নিয়মিত শ্রমিকেরা আসেন কাজের সন্ধানে। আর কাজ পেলে নির্ধারিত একটি সময়ের জন্য একজন শ্রমিক বিক্রি হয়ে যান অন্যের কাছে। এই হাটে রাজমিস্ত্রি, রংমিস্ত্রি, কাঠমিস্ত্রি, দিনমজুর, গৃহ পরিচ্ছন্নতাকর্মীর ব্যাপক চাহিদা থাকলেও বর্তমান চিত্র অনেকটাই ভিন্ন। কাঙ্ক্ষিত কাজ মিলছে না এখন নিয়মিত।
হাটের ভেতরে ঢুকতেই এক শ্রমিক হাতের ইশারায় ডেকে বললেন, ‘মামা, কামলা লাগব? কত দিবেন?’ এরপর তিনি জানালেন, কাজ পাওয়ার আশায় কয়েক ঘণ্টা ধরে দাঁড়িয়ে আছেন তিনি। কিন্তু ক্রেতা নেই। মাঝেমধ্যে দু-একজন এলেও, তাঁরা মজুরি অনেক কম বলছেন। নয়াবাজার হাটে থাকা বেশির ভাগ শ্রমিকের অবস্থা প্রায় একই রকম।
সেখানে কয়েকজন শ্রমিকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত একজন কাঠমিস্ত্রির মজুরি ১ হাজার টাকা, রাজমিস্ত্রি নেন ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকা, রংমিস্ত্রির মজুরিও ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকা। আর তাঁদের সহকারীদের মজুরি দৈনিক ৫০০ থেকে ৬০০ টাকার মধ্যে। কিন্তু মজুরি কমিয়ে দিয়েও এখন আর ক্রেতা পাচ্ছেন না তাঁরা।
শ্রম বিক্রির এই হাটে রঙের বালতি আর ব্রাশ নিয়ে ক্রেতার আশায় বসে ছিলেন রতন মিয়া। কথা প্রসঙ্গে তিনি জানান, ছোটবেলা থেকে বাবার কাছে শিখেছিলেন রঙের কাজ। এরপর প্রায় ১২ বছর ধরে এই পেশা এবং পুরান ঢাকার শ্রমের বাজারের সঙ্গে পরিচিত তিনি। এক দিন কাজ না পেলে পরের দিন ঠিকই কাজ পেয়ে যেতেন। এখন দিনের পর দিন বসে থেকেও কাজ পাচ্ছেন না। মানুষের কাছ থেকে ধার করে চলতে চলতে দেনার পরিমাণও ভারী হয়ে উঠেছে। তাই স্ত্রী-সন্তান নিয়ে সংসার চালানো কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মোহাম্মদ আলী নূর কিংবা রতন মিয়া—সব শ্রমিকের দুর্দশা প্রায় একই। মানুষের শ্রম বেচাকেনার হাটে প্রতিটি শ্রমিকের কণ্ঠেই এখন হাহাকার। সারা দিন একজন ক্রেতার আশায় তাঁরা বসে থাকেন। অপেক্ষা চলে সন্ধ্যা পর্যন্ত। সূর্য ডোবার সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের হতাশার মাত্রাও বাড়ে। কারণ এই সময়ের পর আর কাজ পাওয়ার আশা থাকে না। তবে পরের দিন আবারও কাজ পাওয়ার আশায় বুক বেঁধে তাঁরা চলে আসেন শ্রম বিক্রির হাটে।
রাজধানীর রামপুরা ব্রিজের দুই রেলিং ঢুকে আছে একটি বাসের মাঝ বরাবর। যাত্রী নিতে আরেক বাসের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নেমে চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে ‘রইছ’ নামের বাসটির এই দশা হয়। ৪ জুন সকালের এই দুর্ঘটনায় বাসটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। যাত্রী বেশি নিতে বাসচালকদের অসুস্থ প্রতিযোগিতা, লক্কড়ঝক্কড় ও ফিটনেসবিহীন বাস দুর্ঘটনা
২ ঘণ্টা আগেগোপালগঞ্জ জেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সড়কে বছরের পর বছর বাস, ট্রাক ও মাইক্রোবাস পার্ক করে রাখা হচ্ছে। বিভিন্ন সড়কের এক লেন দখল করে রাখা হচ্ছে এসব যানবাহন। এতে প্রতিদিন যানজটসহ নানা ভোগান্তিতে পড়ছে মানুষ। মালিক-শ্রমিকেরা বলছেন, নির্ধারিত স্ট্যান্ড না থাকায় বাধ্য হয়ে রাস্তায় গাড়ি রাখছেন তাঁরা।
২ ঘণ্টা আগেআলুতে বছরের পর বছর লাভ করে অভ্যস্ত জয়পুরহাটের কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। তবে এবার পড়েছেন বড় ধরনের বিপাকে। একদিকে বাজারে আলুর দাম অস্থির, অন্যদিকে হিমাগারে সংরক্ষণ ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় হিমশিম খাচ্ছেন সবাই। সংরক্ষণ মৌসুমের শুরুতে স্থানীয় প্রশাসনের চাপে ভাড়া না বাড়াতে বাধ্য হলেও পরে কিছু হিমাগারের মালিক নানা অজুহা
২ ঘণ্টা আগেনীলফামারীর সৈয়দপুরে চলছে জুয়ার জমজমাট আসর। উপজেলার দেড় শতাধিক স্থানে এসব আসর বসে বলে জানা গেছে। প্রতিদিন ২০-৩০ লাখ টাকা লেনদেন হয় এসব আসরে। সেই হিসাবে প্রতি মাসে জুয়াড়িদের কাছে হাতবদল হয় ৬ থেকে ৯ কোটি টাকা। এদিকে, জুয়ার কারণে অনেক পরিবার সর্বস্বান্ত হচ্ছে। জুয়ার টাকা সংগ্রহ করতে গিয়ে এলাকায় বেড়েছে
৩ ঘণ্টা আগে