বাজিতপুর (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরের ১১ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানেরা আত্মগোপনে আছেন। অনেকে হয়েছেন একাধিক মামলায় আসামি। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ না থাকায় তিনজন ইউপি চেয়ারম্যান জামিন পেলেও পরিষদে আসছেন না। এতে প্রায় দুই মাস ধরে ভোগান্তিতে পড়েছেন নাগরিক সেবাপ্রত্যাশীরা।
বিভিন্ন ইউপি সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ১১ ইউপি চেয়ারম্যান স্থানীয় সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) আফজাল হোসেনের সমর্থনে নির্বাচিত হন। এর মধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান হওয়া হালিমপুর ইউপির উমর ফারুক রাসেল আফজালের শ্যালক। বলিয়ার্দী ইউপির চেয়ারম্যান মো. আবুল কাশেম ভাগনে হন আফজালের। আর মাইজচর ইউনিয়নের তাবারক মিয়া গত ইউপি নির্বাচনে সদস্য হন।
উপজেলার অন্য ৮ ইউপির চেয়ারম্যানেরা নির্বাচিত হয়েছেন নৌকা প্রতীকে। তাঁরা সাবেক এমপি আফজাল সমর্থিত বলে এক সূত্রে জানা গেছে। এসব চেয়ারম্যান হলেন হুমাইপুর ইউপির রফিকুল ইসলাম ধনু, দিলালপুর ইউপির গোলাম কিবরিয়া নোভেল, সরারচর ইউপির হাবিবুর রহমান স্বপন, হিলচিয়া ইউপির মাযহারুল হক নাহিদ, দীঘিরপাড় ইউপির আব্দুল কাইয়ুম, পিরিজপুর ইউপির জাফর ইকবাল জুয়েল, গাজীরচর ইউপির মো. জুয়েল মিয়া ও কৈলাগ ইউপির কায়সার এ হাবিব।
সরেজমিনে জানা গেছে, উপজেলার ১১ ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে দেখা মিলছে না কোনো চেয়ারম্যানের। ব্যাহত হচ্ছে নাগরিক সেবা। ভোগান্তিতে পড়েছেন সেবাপ্রার্থীরা। ইউনিয়ন পরিষদগুলোতে জন্মসনদ, মৃত্যু নিবন্ধন, নাগরিক সনদ, ট্রেড লাইসেন্সসহ কোনো সেবা মিলছে না। ইউনিয়নগুলোতে সচিব স্বল্প পরিসরে দায়িত্ব পালন করছেন।
গত রোববার গাজীরচর ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে দেখা গেছে, বেশ কয়জন সেবাপ্রার্থী জন্মসনদ, ওয়ারিশান সনদ ও পরিচয়পত্র নিতে আসছেন। চেয়ারম্যান না থাকায় সরকারি কর্মকর্তা নিয়োগ দিলেও তিনি কাজ না করায় হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে এসব সেবাপ্রত্যাশীকে।
গাজীরচর ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্বে থাকা উপজেলা জনস্বাস্থ্য উপসহকারী প্রকৌশলী মো. জসিম উদ্দিনের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, ‘আমাকে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের কাজগুলো কারার জন্য একটি চিঠি দিলেও পাসওয়ার্ড না দেওয়ায় সঠিক সেবা দিতে পারছি না।’
তিনটি ইউনিয়ন পরিষদে সরকারি কর্মকর্তা বাকিগুলোতে প্যানেল চেয়ারম্যানকে দায়িত্ব দেওয়া হলেও বিভিন্ন চাপে তাঁরা দায়িত্ব পালন করতে পারছেন না। আত্মগোপনে থাকা চেয়ারম্যানরা প্যানেল চেয়ারম্যানদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে সংশ্লিষ্ট কয়েকজন জানান। এ ছাড়া বিএনপির নেতারা অনেক প্যানেল চেয়ারম্যানকে মেনে নিতে চাইছেন না।
বাজিতপুরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারশিদ বিন এনাম বলেন, তিনটি ইউপির চেয়ারম্যানরা ৫ আগস্টের পর থেকেই পলাতক। এসব ইউনিয়নের জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের কাজগুলো সরকারি কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়ে চালানো হচ্ছে। বাকি আটটি ইউপিতে আপাতত প্যানেল চেয়ারম্যান হিসেবে একেকজন ওয়ার্ড সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। যেহেতু ইউপি চেয়ারম্যানরা অফিস করছেন না, ফলে পরিষদের কার্যক্রম চলমান রাখার স্বার্থে আমাকে পর্যায়ক্রমে এসব ইউপিতে পরিদর্শনে যেতে হচ্ছে।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরের ১১ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানেরা আত্মগোপনে আছেন। অনেকে হয়েছেন একাধিক মামলায় আসামি। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ না থাকায় তিনজন ইউপি চেয়ারম্যান জামিন পেলেও পরিষদে আসছেন না। এতে প্রায় দুই মাস ধরে ভোগান্তিতে পড়েছেন নাগরিক সেবাপ্রত্যাশীরা।
বিভিন্ন ইউপি সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ১১ ইউপি চেয়ারম্যান স্থানীয় সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) আফজাল হোসেনের সমর্থনে নির্বাচিত হন। এর মধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান হওয়া হালিমপুর ইউপির উমর ফারুক রাসেল আফজালের শ্যালক। বলিয়ার্দী ইউপির চেয়ারম্যান মো. আবুল কাশেম ভাগনে হন আফজালের। আর মাইজচর ইউনিয়নের তাবারক মিয়া গত ইউপি নির্বাচনে সদস্য হন।
উপজেলার অন্য ৮ ইউপির চেয়ারম্যানেরা নির্বাচিত হয়েছেন নৌকা প্রতীকে। তাঁরা সাবেক এমপি আফজাল সমর্থিত বলে এক সূত্রে জানা গেছে। এসব চেয়ারম্যান হলেন হুমাইপুর ইউপির রফিকুল ইসলাম ধনু, দিলালপুর ইউপির গোলাম কিবরিয়া নোভেল, সরারচর ইউপির হাবিবুর রহমান স্বপন, হিলচিয়া ইউপির মাযহারুল হক নাহিদ, দীঘিরপাড় ইউপির আব্দুল কাইয়ুম, পিরিজপুর ইউপির জাফর ইকবাল জুয়েল, গাজীরচর ইউপির মো. জুয়েল মিয়া ও কৈলাগ ইউপির কায়সার এ হাবিব।
সরেজমিনে জানা গেছে, উপজেলার ১১ ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে দেখা মিলছে না কোনো চেয়ারম্যানের। ব্যাহত হচ্ছে নাগরিক সেবা। ভোগান্তিতে পড়েছেন সেবাপ্রার্থীরা। ইউনিয়ন পরিষদগুলোতে জন্মসনদ, মৃত্যু নিবন্ধন, নাগরিক সনদ, ট্রেড লাইসেন্সসহ কোনো সেবা মিলছে না। ইউনিয়নগুলোতে সচিব স্বল্প পরিসরে দায়িত্ব পালন করছেন।
গত রোববার গাজীরচর ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে দেখা গেছে, বেশ কয়জন সেবাপ্রার্থী জন্মসনদ, ওয়ারিশান সনদ ও পরিচয়পত্র নিতে আসছেন। চেয়ারম্যান না থাকায় সরকারি কর্মকর্তা নিয়োগ দিলেও তিনি কাজ না করায় হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে এসব সেবাপ্রত্যাশীকে।
গাজীরচর ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্বে থাকা উপজেলা জনস্বাস্থ্য উপসহকারী প্রকৌশলী মো. জসিম উদ্দিনের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, ‘আমাকে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের কাজগুলো কারার জন্য একটি চিঠি দিলেও পাসওয়ার্ড না দেওয়ায় সঠিক সেবা দিতে পারছি না।’
তিনটি ইউনিয়ন পরিষদে সরকারি কর্মকর্তা বাকিগুলোতে প্যানেল চেয়ারম্যানকে দায়িত্ব দেওয়া হলেও বিভিন্ন চাপে তাঁরা দায়িত্ব পালন করতে পারছেন না। আত্মগোপনে থাকা চেয়ারম্যানরা প্যানেল চেয়ারম্যানদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে সংশ্লিষ্ট কয়েকজন জানান। এ ছাড়া বিএনপির নেতারা অনেক প্যানেল চেয়ারম্যানকে মেনে নিতে চাইছেন না।
বাজিতপুরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারশিদ বিন এনাম বলেন, তিনটি ইউপির চেয়ারম্যানরা ৫ আগস্টের পর থেকেই পলাতক। এসব ইউনিয়নের জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের কাজগুলো সরকারি কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়ে চালানো হচ্ছে। বাকি আটটি ইউপিতে আপাতত প্যানেল চেয়ারম্যান হিসেবে একেকজন ওয়ার্ড সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। যেহেতু ইউপি চেয়ারম্যানরা অফিস করছেন না, ফলে পরিষদের কার্যক্রম চলমান রাখার স্বার্থে আমাকে পর্যায়ক্রমে এসব ইউপিতে পরিদর্শনে যেতে হচ্ছে।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অপারেশন ডেভিলহান্ট পরিচালনা করে রাঙামাটি জেলা যুবলীগ নেতা মো মিজানুর রহমান মিজানকে গ্রেপ্তার করেছে রাঙামাটি কোতোয়ালি থানা-পুলিশ। গ্রেপ্তার মিজান রাঙামাটি জেলা যুবলীগের সহসাধারণ সম্পাদক ও রাঙামাটি আসবাবপত্র ব্যবসায়ী কল্যাণ সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি।
৭ মিনিট আগেঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ অংশের চট্টগ্রামমুখী সার্ভিস লেনে একটি যাত্রীবাহী বাস উল্টে গেছে। এতে চিটাগাংরোড থেকে মৌচাক এলাকা পর্যন্ত প্রায় ১.৫ কিলোমিটার সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে মহাসড়কের আমিজউদদীন পেট্রল পাম্পের উল্টো পাশে চট্টগ্রামমুখী লেনে এ
১ ঘণ্টা আগেভোলার চরফ্যাশনে গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কারে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে নেওয়া ১৮৮টি প্রকল্প বাস্তবায়নে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে কাজ না করেই বরাদ্দের টাকা ও গম উত্তোলন করে আত্মসাৎ করা হয়েছে। কিছু কিছু জায়গায় নামমাত্র কাজ করা হয়েছে। এসব ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নে
২ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রাম নগরে পরীর পাহাড়ে যাতায়াতের দুর্ভোগ কমাতে বছরখানেক আগে সড়কের পাশের ২৩ শতক জায়গার ওপর গড়ে ওঠা অবৈধ দখলদারদের স্থাপনা ভেঙে দিয়েছিলেন তৎকালীন জেলা প্রশাসক। উচ্ছেদের পর সেখানে জনস্বার্থে প্রকল্প বাস্তবায়নের কথা ছিল।
৮ ঘণ্টা আগে