রাশেদ রাব্বি, ঢাকা
দেশে ডেঙ্গুর সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ঘটেছে রাজধানীতে। রাজধানীতে আবার ডেঙ্গুর সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি যাত্রাবাড়ী এলাকায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যাত্রাবাড়ীতে রাস্তার তুলনায় ঘরবাড়িগুলো নিচু। ফলে পানি জমে থাকছে, মশার প্রজনন ঘটছে বেশি। এ কারণে ওই এলাকায় মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্তও হচ্ছে বেশি।
দেশের ডেঙ্গুর সংক্রমণের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) একটি বিশেষজ্ঞ দল সম্প্রতি একটি সমীক্ষা চালিয়েছে। সেই সমীক্ষার ফলাফল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে সরবরাহ করেছে সংস্থাটি। অধিদপ্তর সূত্র বলেছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞ দলের ওই প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, দেশে ডেঙ্গুর মোট সংক্রমণের ৪৮ দশমিক ৫৮ শতাংশই ঘটেছে রাজধানীতে। আর রাজধানীর মোট সংক্রমণের ১৭ দশমিক ৮ শতাংশই ঘটেছে যাত্রাবাড়ীতে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ডেঙ্গু আক্রান্ত ৬৪ শতাংশ রোগীর মৃত্যু হয়েছে শক সিনড্রোমে। হাসপাতালে ভর্তির তিন দিনের মধ্যে রোগী মৃত্যুর হার ৮১ শতাংশ।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, এবার ডেঙ্গু দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। এর মধ্যে ১০টি জেলায়ই প্রায় ৭১ শতাংশ সংক্রমণ ঘটেছে। এই জেলাগুলো হলো রাজধানী ঢাকা, চট্টগ্রাম জেলা, বরিশাল, পটুয়াখালী, ফরিদপুর, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, পিরোজপুর, কুমিল্লা ও ময়মনসিংহ। এর মধ্যে সংক্রমণের হারে রাজধানীর পরেই রয়েছে চট্টগ্রাম, মোট সংক্রমিত রোগীর ৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ। বরিশালেও ৪ শতাংশের বেশি রোগী রয়েছে। বাকি সাত জেলায়ও উল্লেখযোগ্য পরিমাণে সংক্রমণ ঘটেছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞদের প্রতিবেদনে দেশের ডেঙ্গুর সংক্রমণের চিত্র বিশ্লেষণ করে বলা হয়েছে, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ৮ এপ্রিল পর্যন্ত ৫০ জনের বেশি রোগী ছিল ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে। ১১ থেকে ৫০ জনের মধ্যে রোগী ছিল বরিশাল, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে এবং ১০ জনের কম রোগী ছিল নড়াইলে। এর বাইরে দেশের আর কোথাও ডেঙ্গুর সংক্রমণ ঘটেনি। এমনকি ৩ জুন পর্যন্ত রংপুর ও রাজশাহী বিভাগসহ দেশের ৩৮ জেলায় ডেঙ্গুর সংক্রমণ ছিল না। কিন্তু অস্বাভাবিকভাবে ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে চুয়াডাঙ্গা ছাড়া ৬৩ জেলায় রোগটি ছড়িয়ে পড়ে।
এদিকে রাজধানীর ডেঙ্গুর সংক্রমণ পরিস্থিতির চিত্র তুলে ধরে প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজধানীতে মোট সংক্রমণের ১৭ দশমিক ৮ শতাংশই ঘটেছে যাত্রাবাড়ীতে। সংক্রমণের দিক থেকে এই এলাকার পরেই রয়েছে সবুজবাগ। সেখানে রাজধানীর মোট সংক্রমণের ১২ দশমিক ৮৭ শতাংশ ঘটেছে। এ ছাড়া কুর্মিটোলা, মোহাম্মদপুর, খিলগাঁও, কেরানীগঞ্জ, ক্যান্টনমেন্টে এলাকা, উত্তরা, ধানমন্ডি ও পল্লবীতে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে সংক্রমণ ছড়িয়েছে।
যাত্রাবাড়ীতে এত রোগী কেন, জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ডা. নাজমুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দক্ষিণ সিটি করপোরেশন আমাদের জানিয়েছে, যাত্রাবাড়ী এলাকার রাস্তার তুলনায় ঘরবাড়িগুলো নিচু হয়ে পড়েছে। এতে বৃষ্টির পানি সরতে পারছে না। সূর্যের তাপে ওই পানি শুকানো একমাত্র উপায়। জমে থাকা পানিতে এডিস মশার পর্যাপ্ত প্রজনন ঘটছে। যেখানে মশার প্রজনন বেশি হবে, সেখানেই ডেঙ্গুর সংক্রমণ বেশি ঘটবে—এটাই স্বাভাবিক। সে কারণেই যাত্রাবাড়ীতে রোগী বেশি পাওয়া যাচ্ছে।’
এদিকে ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে যাদের মৃত্যু হয়েছে, তাদের মৃত্যুর কারণও বিশ্লেষণ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। প্রতিবেদনে জানানো হয়, সবচেয়ে বেশি ৬৪ শতাংশ রোগীর মৃত্যু হয়েছে ডেঙ্গু শক সিনড্রোমে। হেমোরেজিক ফিভারেও একটি বড় অংশের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া এক্সপান্ডেড ডেঙ্গু সিনড্রোমে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক রোগীর মৃত্যু হয়েছে। মৃত রোগীদের ৫৫ শতাংশ মারা গেছে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে। ২৬ শতাংশের মৃত্যু হয়েছে ভর্তির ২-৩ দিনের মধ্যে। সে হিসাব হাসপাতালে ভর্তির তিন দিনের মধ্যে ৮১ শতাংশ রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
দেশে ডেঙ্গুর সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ঘটেছে রাজধানীতে। রাজধানীতে আবার ডেঙ্গুর সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি যাত্রাবাড়ী এলাকায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যাত্রাবাড়ীতে রাস্তার তুলনায় ঘরবাড়িগুলো নিচু। ফলে পানি জমে থাকছে, মশার প্রজনন ঘটছে বেশি। এ কারণে ওই এলাকায় মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্তও হচ্ছে বেশি।
দেশের ডেঙ্গুর সংক্রমণের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) একটি বিশেষজ্ঞ দল সম্প্রতি একটি সমীক্ষা চালিয়েছে। সেই সমীক্ষার ফলাফল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে সরবরাহ করেছে সংস্থাটি। অধিদপ্তর সূত্র বলেছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞ দলের ওই প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, দেশে ডেঙ্গুর মোট সংক্রমণের ৪৮ দশমিক ৫৮ শতাংশই ঘটেছে রাজধানীতে। আর রাজধানীর মোট সংক্রমণের ১৭ দশমিক ৮ শতাংশই ঘটেছে যাত্রাবাড়ীতে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ডেঙ্গু আক্রান্ত ৬৪ শতাংশ রোগীর মৃত্যু হয়েছে শক সিনড্রোমে। হাসপাতালে ভর্তির তিন দিনের মধ্যে রোগী মৃত্যুর হার ৮১ শতাংশ।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, এবার ডেঙ্গু দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। এর মধ্যে ১০টি জেলায়ই প্রায় ৭১ শতাংশ সংক্রমণ ঘটেছে। এই জেলাগুলো হলো রাজধানী ঢাকা, চট্টগ্রাম জেলা, বরিশাল, পটুয়াখালী, ফরিদপুর, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, পিরোজপুর, কুমিল্লা ও ময়মনসিংহ। এর মধ্যে সংক্রমণের হারে রাজধানীর পরেই রয়েছে চট্টগ্রাম, মোট সংক্রমিত রোগীর ৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ। বরিশালেও ৪ শতাংশের বেশি রোগী রয়েছে। বাকি সাত জেলায়ও উল্লেখযোগ্য পরিমাণে সংক্রমণ ঘটেছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞদের প্রতিবেদনে দেশের ডেঙ্গুর সংক্রমণের চিত্র বিশ্লেষণ করে বলা হয়েছে, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ৮ এপ্রিল পর্যন্ত ৫০ জনের বেশি রোগী ছিল ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে। ১১ থেকে ৫০ জনের মধ্যে রোগী ছিল বরিশাল, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে এবং ১০ জনের কম রোগী ছিল নড়াইলে। এর বাইরে দেশের আর কোথাও ডেঙ্গুর সংক্রমণ ঘটেনি। এমনকি ৩ জুন পর্যন্ত রংপুর ও রাজশাহী বিভাগসহ দেশের ৩৮ জেলায় ডেঙ্গুর সংক্রমণ ছিল না। কিন্তু অস্বাভাবিকভাবে ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে চুয়াডাঙ্গা ছাড়া ৬৩ জেলায় রোগটি ছড়িয়ে পড়ে।
এদিকে রাজধানীর ডেঙ্গুর সংক্রমণ পরিস্থিতির চিত্র তুলে ধরে প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজধানীতে মোট সংক্রমণের ১৭ দশমিক ৮ শতাংশই ঘটেছে যাত্রাবাড়ীতে। সংক্রমণের দিক থেকে এই এলাকার পরেই রয়েছে সবুজবাগ। সেখানে রাজধানীর মোট সংক্রমণের ১২ দশমিক ৮৭ শতাংশ ঘটেছে। এ ছাড়া কুর্মিটোলা, মোহাম্মদপুর, খিলগাঁও, কেরানীগঞ্জ, ক্যান্টনমেন্টে এলাকা, উত্তরা, ধানমন্ডি ও পল্লবীতে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে সংক্রমণ ছড়িয়েছে।
যাত্রাবাড়ীতে এত রোগী কেন, জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ডা. নাজমুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দক্ষিণ সিটি করপোরেশন আমাদের জানিয়েছে, যাত্রাবাড়ী এলাকার রাস্তার তুলনায় ঘরবাড়িগুলো নিচু হয়ে পড়েছে। এতে বৃষ্টির পানি সরতে পারছে না। সূর্যের তাপে ওই পানি শুকানো একমাত্র উপায়। জমে থাকা পানিতে এডিস মশার পর্যাপ্ত প্রজনন ঘটছে। যেখানে মশার প্রজনন বেশি হবে, সেখানেই ডেঙ্গুর সংক্রমণ বেশি ঘটবে—এটাই স্বাভাবিক। সে কারণেই যাত্রাবাড়ীতে রোগী বেশি পাওয়া যাচ্ছে।’
এদিকে ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে যাদের মৃত্যু হয়েছে, তাদের মৃত্যুর কারণও বিশ্লেষণ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। প্রতিবেদনে জানানো হয়, সবচেয়ে বেশি ৬৪ শতাংশ রোগীর মৃত্যু হয়েছে ডেঙ্গু শক সিনড্রোমে। হেমোরেজিক ফিভারেও একটি বড় অংশের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া এক্সপান্ডেড ডেঙ্গু সিনড্রোমে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক রোগীর মৃত্যু হয়েছে। মৃত রোগীদের ৫৫ শতাংশ মারা গেছে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে। ২৬ শতাংশের মৃত্যু হয়েছে ভর্তির ২-৩ দিনের মধ্যে। সে হিসাব হাসপাতালে ভর্তির তিন দিনের মধ্যে ৮১ শতাংশ রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
২০১৯ সালের গোড়ায় মডেল মসজিদের কাজ শুরু হয়। এখন ২০২৫ সালের মাঝামাঝি চলছে, প্রায় সাত বছর পার হলেও ৮০ শতাংশ কাজও শেষ হয়নি। অথচ তিন বছরের চুক্তিতে কাজ শুরু হয়েছিল।”
৩৩ মিনিট আগেজমানো পানি পচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে, মশা ও মাছির জন্ম হয়ে পরিবেশ চরম আকারে দুষিত হচ্ছে। দ্রুত পৌর শহরের অর্ধলাখ মানুষকে রক্ষায় কালভার্ট ও ড্রেনেজ দখল করে স্থাপনা উচ্ছেদের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। অভিযোগ রয়েছে পৌর কর্তৃপক্ষ পানি নিস্কাশনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলেও কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছেন
৩৬ মিনিট আগেসরেজমিনে কুর্নী ও বহনতলী এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, সড়কের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্তে বৃষ্টির পানি জমে আছে। এতে গর্তের গভীরতা ও অবস্থান বোঝা কঠিন হয়ে পড়েছে চালকদের জন্য। প্রতিনিয়ত যানবাহন এসব গর্তে পড়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগেউপজেলার বড়বিল-তুলাবিল-কালাপানি সড়কের পান্নাবিল এলাকায় একটি ব্রিজ সম্পূর্ণভাবে দেবে গেছে। এ ছাড়া একসত্যাপাড়া-বড়বিল, যোগ্যাছোলা-আছারতলী ও গচ্ছাবিল-চইক্যাবিল সড়কে চলমান কার্পেটিং প্রকল্পের ৪০-৫০ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কংক্রিট-বালু দিয়ে প্রস্তুত সড়ক অংশ খরস্রোতে ভেসে গেছে।
১ ঘণ্টা আগে