উত্তরা (ঢাকা) প্রতিনিধি
রাজধানীর ট্রাফিক ব্যবস্থার শৃঙ্খলাবিহীন চিত্র তুলে ধরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেছেন, ‘একটি বাস আরেকটি বাসকে গরু-মহিষের মতো ধাক্কা মারে। এই দৃশ্য নিয়ে টিকটক, ফেসবুকসহ নানা মাধ্যমে আমাদের উপহাস করা হয়। এই পরিস্থিতি থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে।’
রাজধানীর উত্তরার আজমপুরে আজ বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঢাকা মহানগরীতে কাউন্টার ও ই-টিকিটিং পদ্ধতিতে বাস চলাচল উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এমন মন্তব্য করেন। অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি।
ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেন, ‘একজন বিদেশি অতিথি বিমানবন্দরে নেমেই যে দৃষ্টি প্রথমে নজরে আসে, তা হলো ট্রাফিক ব্যবস্থা। সেই ট্রাফিক ব্যবস্থা দিয়েই গোটা জাতির শৃঙ্খলার বিষয়টি তাদের দৃষ্টিগোচর হয়। ট্রাফিক ব্যবস্থা এত ভঙ্গুর, এত বিশৃঙ্খল সেটি আর উপস্থাপনের যোগ্য নেই। একটি বাস, আরেকটি বাসকে গরু মহিষের মতো ধাক্কা মারে। এই ভিডিও নিয়ে অনেক টিকটক হয়। ফেসবুক, এখানে সেখানে নিয়ে আমাদের অনেক উপহাস করা হয়। এটা থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে।’
ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি এম এ বাতেন এতে সভাপতিত্ব করেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. সরওয়ার।
ডিএমপি কমিশনার সাজ্জাত আলী বলেন, ‘একজন বৃদ্ধ যাত্রীকে, নারী যাত্রীকে শিশু-বাচ্চাসহ রাস্তার মাঝখানে নামিয়ে দেওয়া হয়। এগুলো দেখে আমাদের খুবই খারাপ লাগে। সঙ্গে সঙ্গে অনেক লজ্জাও লাগে। একটি মোটরবাইকে একটি ফ্যামিলি চলাচল করে বাচ্চাসহ। এত বাস, এত কিছু। কিন্তু কোনো শৃঙ্খলা নেই।’
সাজ্জাত আলী বলেন, ‘শৃঙ্খলা আনতে আমাদের কোনো টাকার প্রয়োজন নেই। কোনো টাকা তাদের ব্যয় করতে হয় না। আপনাদের (বাসমালিক) অভ্যাসের পরিবর্তন করলেই ট্রাফিক ব্যাপক পরিবর্তন আনা সম্ভব। কিন্তু আমরা এই কাজটা করতেছি না। কাজটা করা অত্যন্ত জরুরি।’
সাজ্জাত আলী বলেন, ‘এই নতুন প্রোগ্রাম চালু করা হচ্ছে। যেখানে ই-টিকিটিং এবং যাত্রীদের যত্রতত্র ওঠানামা বন্ধ করে একটি নির্দিষ্ট স্থানে ওঠানামার জন্য ব্যবস্থা করা হবে।’
সাজ্জাত আলী আরও বলেন, ‘শুধু ড্রাইভার-শ্রমিকদেরই ডিসিপ্লিন ফেরত আসলেই হবে না। যাত্রীদেরও একটি ব্যাপক ভূমিকা আছে। আপনাকে বাস থেকে ড্রাইভার-কন্ট্রাক্টর রাস্তার মাঝখানে নামাতে চায়, আপনি নামবেন না। আপনি বলবেন, ‘‘আমাকে যাত্রীছাউনিতে নামান।’’ এটি আপনার জন্য নিরাপদ।’
মালিকদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আপনারা ব্যবস্থা নেবেন। রাস্তার মধ্যে কোনো যাত্রীকে নামানো খুবই দুর্ভাগ্যজনক। অনেক দুর্ঘটনা ঘটে। আমার এক নিকট আত্মীয় দুর্ঘটনার শিকার হয়ে তার পা-টা কেটে ফেলতে হলো। তার পায়ের ওপর দিয়ে বাস চলে গিয়েছিল। এরূপ একটি ঘটনাও কামনা করি না।’
উত্তরায় ছিনতাই প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কমিশনার সাজ্জাত বলেন, ‘ট্রাফিক সার্জেন্টরা যেন একাই কয়েকজন ছিনতাইকারীকে মোকাবিলা করতে পারে, তার জন্য স্মল আর্মস দিয়ে দিচ্ছি। ধরপাকড়ের কারণে গত ১৫ দিন ধরে ছিনতাইয়ের ঘটনা খুব কম। কারণ, ছিনতাইকারীরা জেলে রয়েছে।’
অনুষ্ঠানে ঢাকা সড়ক পরিবহন পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতির সভাপতি এম এ বাতেন বলেন, ‘বিদ্যমান সব ব্যবস্থাই থাকবে। শুধু শৃঙ্খলার জন্য আমরা ই-টিকিটিং করছি। ছাত্র-ছাত্রীদের তাদের প্রমাণপত্র বা কার্ড দেখিয়ে তারাও তাদের হাফ পাসে টিকিট কাটতে পারবে। এখানেও কোনো তারতম্য হবে না।’
অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি ভাঙচুরের বিষয়ে পুলিশের অবস্থান ও ভূমিকা প্রসঙ্গে সাংবাদিকেরা জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার সাজ্জাদ বলেন, ‘চেষ্টা করেছি। আমরা চেষ্টা করেছি।’
সেখানে সাংবাদিকদের ওপর হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি গভীর রাত পর্যন্ত মনিটরিং করেছিলাম। রাত ২টা, আড়াইটা পর্যন্তও আমার কাছে ওই ধরনের কোনো খবর পাই নাই। এমনকি সকাল পর্যন্তও খবর পাইনি।’
এভাবে হামলা ও ভাঙচুরের বিষয়ে পুলিশের অবস্থান প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার সাজ্জাত কোনো জবাব দেননি।
রাজধানীর ট্রাফিক ব্যবস্থার শৃঙ্খলাবিহীন চিত্র তুলে ধরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেছেন, ‘একটি বাস আরেকটি বাসকে গরু-মহিষের মতো ধাক্কা মারে। এই দৃশ্য নিয়ে টিকটক, ফেসবুকসহ নানা মাধ্যমে আমাদের উপহাস করা হয়। এই পরিস্থিতি থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে।’
রাজধানীর উত্তরার আজমপুরে আজ বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঢাকা মহানগরীতে কাউন্টার ও ই-টিকিটিং পদ্ধতিতে বাস চলাচল উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এমন মন্তব্য করেন। অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি।
ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেন, ‘একজন বিদেশি অতিথি বিমানবন্দরে নেমেই যে দৃষ্টি প্রথমে নজরে আসে, তা হলো ট্রাফিক ব্যবস্থা। সেই ট্রাফিক ব্যবস্থা দিয়েই গোটা জাতির শৃঙ্খলার বিষয়টি তাদের দৃষ্টিগোচর হয়। ট্রাফিক ব্যবস্থা এত ভঙ্গুর, এত বিশৃঙ্খল সেটি আর উপস্থাপনের যোগ্য নেই। একটি বাস, আরেকটি বাসকে গরু মহিষের মতো ধাক্কা মারে। এই ভিডিও নিয়ে অনেক টিকটক হয়। ফেসবুক, এখানে সেখানে নিয়ে আমাদের অনেক উপহাস করা হয়। এটা থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে।’
ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি এম এ বাতেন এতে সভাপতিত্ব করেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. সরওয়ার।
ডিএমপি কমিশনার সাজ্জাত আলী বলেন, ‘একজন বৃদ্ধ যাত্রীকে, নারী যাত্রীকে শিশু-বাচ্চাসহ রাস্তার মাঝখানে নামিয়ে দেওয়া হয়। এগুলো দেখে আমাদের খুবই খারাপ লাগে। সঙ্গে সঙ্গে অনেক লজ্জাও লাগে। একটি মোটরবাইকে একটি ফ্যামিলি চলাচল করে বাচ্চাসহ। এত বাস, এত কিছু। কিন্তু কোনো শৃঙ্খলা নেই।’
সাজ্জাত আলী বলেন, ‘শৃঙ্খলা আনতে আমাদের কোনো টাকার প্রয়োজন নেই। কোনো টাকা তাদের ব্যয় করতে হয় না। আপনাদের (বাসমালিক) অভ্যাসের পরিবর্তন করলেই ট্রাফিক ব্যাপক পরিবর্তন আনা সম্ভব। কিন্তু আমরা এই কাজটা করতেছি না। কাজটা করা অত্যন্ত জরুরি।’
সাজ্জাত আলী বলেন, ‘এই নতুন প্রোগ্রাম চালু করা হচ্ছে। যেখানে ই-টিকিটিং এবং যাত্রীদের যত্রতত্র ওঠানামা বন্ধ করে একটি নির্দিষ্ট স্থানে ওঠানামার জন্য ব্যবস্থা করা হবে।’
সাজ্জাত আলী আরও বলেন, ‘শুধু ড্রাইভার-শ্রমিকদেরই ডিসিপ্লিন ফেরত আসলেই হবে না। যাত্রীদেরও একটি ব্যাপক ভূমিকা আছে। আপনাকে বাস থেকে ড্রাইভার-কন্ট্রাক্টর রাস্তার মাঝখানে নামাতে চায়, আপনি নামবেন না। আপনি বলবেন, ‘‘আমাকে যাত্রীছাউনিতে নামান।’’ এটি আপনার জন্য নিরাপদ।’
মালিকদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আপনারা ব্যবস্থা নেবেন। রাস্তার মধ্যে কোনো যাত্রীকে নামানো খুবই দুর্ভাগ্যজনক। অনেক দুর্ঘটনা ঘটে। আমার এক নিকট আত্মীয় দুর্ঘটনার শিকার হয়ে তার পা-টা কেটে ফেলতে হলো। তার পায়ের ওপর দিয়ে বাস চলে গিয়েছিল। এরূপ একটি ঘটনাও কামনা করি না।’
উত্তরায় ছিনতাই প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কমিশনার সাজ্জাত বলেন, ‘ট্রাফিক সার্জেন্টরা যেন একাই কয়েকজন ছিনতাইকারীকে মোকাবিলা করতে পারে, তার জন্য স্মল আর্মস দিয়ে দিচ্ছি। ধরপাকড়ের কারণে গত ১৫ দিন ধরে ছিনতাইয়ের ঘটনা খুব কম। কারণ, ছিনতাইকারীরা জেলে রয়েছে।’
অনুষ্ঠানে ঢাকা সড়ক পরিবহন পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতির সভাপতি এম এ বাতেন বলেন, ‘বিদ্যমান সব ব্যবস্থাই থাকবে। শুধু শৃঙ্খলার জন্য আমরা ই-টিকিটিং করছি। ছাত্র-ছাত্রীদের তাদের প্রমাণপত্র বা কার্ড দেখিয়ে তারাও তাদের হাফ পাসে টিকিট কাটতে পারবে। এখানেও কোনো তারতম্য হবে না।’
অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি ভাঙচুরের বিষয়ে পুলিশের অবস্থান ও ভূমিকা প্রসঙ্গে সাংবাদিকেরা জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার সাজ্জাদ বলেন, ‘চেষ্টা করেছি। আমরা চেষ্টা করেছি।’
সেখানে সাংবাদিকদের ওপর হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি গভীর রাত পর্যন্ত মনিটরিং করেছিলাম। রাত ২টা, আড়াইটা পর্যন্তও আমার কাছে ওই ধরনের কোনো খবর পাই নাই। এমনকি সকাল পর্যন্তও খবর পাইনি।’
এভাবে হামলা ও ভাঙচুরের বিষয়ে পুলিশের অবস্থান প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার সাজ্জাত কোনো জবাব দেননি।
বরিশাল জেলা ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের শীর্ষ নেতারা পদ হারানোয় জুনিয়র নেতাদের নিয়ে মতবিনিময় সভা করেছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। শুক্রবার বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত বরিশাল প্রেসক্লাবে পৃথকভাবে তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে এই সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি এস এম জিলানী। দলের কেন্দ্রীয়...
৩ মিনিট আগেআগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ করার লক্ষ্যে ইতিমধ্যে কার্যক্রম শুরু হয়েছে। পুলিশ পেশাদারি ও নিরপেক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে এ নির্বাচনকে দেশে-বিদেশে একটি দৃষ্টান্তে পরিণত করার আশা ব্যক্ত করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।
৮ মিনিট আগেঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে পুকুর থেকে দেড় বছর বয়সী শিশু আল মুনতাসিরের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার দুপুরে উপজেলার দুওসুও ইউনিয়নের ছোট পলাশবাড়ী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
২৯ মিনিট আগেগাজীপুরে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যার বিচার দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে গাজীপুর সাংবাদিক ইউনিয়নের আয়োজনে গাজীপুর প্রেসক্লাবের সামনে এই প্রতিবাদ সভা হয়।
৪৪ মিনিট আগে