Ajker Patrika

শিশুকে পালাক্রমে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ, গ্রেপ্তার ৩ 

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
শিশুকে পালাক্রমে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ, গ্রেপ্তার ৩ 

টাঙ্গাইলের বাসাইলে এক শিশুকে পালাক্রমে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। আজ সোমবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার সিরাজ আমিন। এর আগে গতকাল রোববার তাদের বাসাইল উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, ভাটপাড়া গ্রামের স্বপন মণ্ডলের ছেলে গোবিন্দ মণ্ডল (১৯) ও একই এলাকার আরও দুজন। 

ঘটনা সম্পর্কে পুলিশ সুপার সিরাজ আমিন বলেন, শিশুটির নাচ দেখে তার বাড়ির আশপাশের ওই তিনজন আকৃষ্ট হন। বিকৃত যৌন লালসায় তাঁরা শিশুটিকে বিভিন্ন সময় নানাভাবে উত্ত্যক্ত করত। দুই মাস আগে শিশুটি তার মা সম্পা বেগমের কাছে বিষয়টি জানায়। কিন্তু আসামিরা বখাটে ও প্রভাবশালী হওয়ায় সম্পা বেগম তাদের তেমন কিছু বলেননি। 

পরে গত ২৬ মে সকালে শিশুটির মা তার ভাই শুভকে নিয়ে পার্শ্ববর্তী শহীদ ক্যাডেট একাডেমিতে গেলে আসামিরা তাদের ঘরে প্রবেশ করে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে শিশুটিকে হত্যা করে ওড়না পেঁচিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয়। কিছুক্ষণ পরে তার মা বাড়িতে এসে শিশুটিকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে চিৎকার শুরু করেন। এ সময় স্থানীয় তাকে উদ্ধার করে বাসাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে উন্নত চিকিৎসার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। 

পরবর্তীতে অ্যাম্বুলেন্স গাজীপুরে গিয়ে নষ্ট হলে শিশুটিকে সাভার এনাম মেডিকেলে ভর্তি করানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৯ মে শিশুটির মৃত্যু হয়। ওই দিনই বাসাইল থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করা হয়েছে। পরে মরদেহটির ময়নাতদন্ত করা হয়। 

পুলিশ সুপার আরও বলেন, গত শনিবার ময়নাতদন্তের রিপোর্টে ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়। ওই দিনই শিশুটির বাবা বাদী হয়ে বাসাইল থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। মামলাটি পিবিআই তদন্তের জন্য গ্রহণ করে। পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক খন্দকার আশরাফুল কবির তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে গতকাল আসামিদের গ্রেপ্তার করেন। 

আসামিরা নিজের দোষ স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন। জবানবন্দি না দিলে মামলা তদন্তের স্বার্থে আদালতে রিমান্ডের আবেদন করা হবে। 

এ বিষয়ে তিশার মা সম্পা বেগম বলেন, আমার মেয়েকে যারা অমানবিকভাবে হত্যা করেছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হিসেবে ফাঁসি দাবি করছি। যাতে পরবর্তীতে আর কোনো মায়ের কোল এভাবে খালি না হয়। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত