মাদারীপুর প্রতিনিধি
মাদারীপুর-৩ আসনে নৌকার প্রার্থী ড. আবদুস সোবহান গোলাপের সমর্থক কালকিনি উপজেলার সাহেবরামপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান কামরুল হাসান সেলিমের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক বক্তব্য দেওয়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে ওই আওয়ামী লীগ নেতা পুলিশকে লক্ষ্য করে আক্রমণাত্মক ওই বক্তব্য দেন। ভিডিওতে শোনা যায়, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায়, পুলিশ আপনাগো কথা শোনে না। যে হালার পুলিশ আপনাগো কথা শুনবে না, সেই হালার পুলিশরে থানায় রাখমু না, পরিষ্কার ভাষা।’
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে এ ঘটনায় সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও কালকিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উত্তম কুমার দাশের কাছে ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সোহেল রানার পক্ষ থেকে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
একাধিক সূত্রে জানা যায়, গতকাল বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) রাতে কালকিনির সাহেবরামপুর ইউনিয়নের হাকিমুন্নেসা বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে মাদারীপুর-৩ আসনের নৌকা প্রার্থী ড. আবদুস সোবহান গোলাপের পক্ষে এক সভা হয়। এই সভায় বক্তব্য দেন সাহেবরামপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও সাহেবরামপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নৌকা প্রতীকের কর্মী কামরুল হাসান সেলিম। ওই সভায় তাঁর একটি বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া কামরুল হাসান সেলিমের ৪৮ সেকেন্ডের বক্তব্যে বলতে শোনা যায়, ‘আমরা হলাম আবদুস সোবহান গোলাপের কর্মী, আমরা আওয়ামী লীগের কর্মী, আমাদের দিকে চোখ তুলে তাকালে চোখটা খুলে ফেলতে হবে। আবার যদি কেউ বলে পা ভেঙে ফেলবে, আমাকে ফোন দিবেন। চতুর্দিকে থেকে বল্লার মতো এসে জোরে ওরে কাটছাঁট করিয়া দেওয়া হবে। কোনো ছাড় হবে না। আপনারা পারবেন না। ভয় লাগে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায়, পুলিশ আপনাগো কথা শোনে না। যে হালার পুলিশ আপনাগো কথা শুনবে না, সেই হালার পুলিশরে থানায় রাখমু না, পরিষ্কার কথা।’
কালকিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী তৌফিকুজ্জামান শাহিন বলেন, ‘সাহেবরামপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কামরুল হাসান সেলিম নৌকার প্রার্থী ড. আবদুস সোবহান গোলাপের পক্ষে নির্বাচনী বক্তব্যে বলেছেন আমরা হলাম আবদুস সোবহান গোলাপের কর্মী, আমরা আওয়ামী লীগের কর্মী, আমাদের দিকে চোখ তুলে তাকালে চোখটা খুলে ফেলতে হবে। আর যেই হালার পুলিশ নৌকার পক্ষে কথা বলবে না, তাকে ওই থানায় রাখা হবে না। এই ঘটনায় আমরা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। তা ছাড়া নৌকার পক্ষের কর্মীরা প্রতিনিয়তই আমাদের কর্মীদের সঙ্গে নানা ধরনের হুমকি, হামলাসহ বিভিন্ন নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘন করে আসছে। এতে করে সাধারণ ভোটারদের মধ্যে ভয় ও আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। আমরা চাই আগামী ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে সাধারণ ভোটাররা যেন তাঁদের পছন্দমতো প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেন।’
এ ব্যাপারে কামরুল হাসান সেলিম বলেন, ‘আসলে আমার এই বক্তব্যটি প্রায় এক ঘণ্টার মতো ছিল। তা কাটছাঁট করা হয়েছে। আমি আসলে এখানকার একজন সন্ত্রাসীর উদ্দেশে কথাগুলো বলেছিলাম। আরও বলেছিলাম পুলিশ যদি সেই সন্ত্রাসীকে না ধরে, তাহলে সেই পুলিশের ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। কিন্তু আমার কথাগুলোকে কাটছাঁট করে এমন করা হয়েছে। তাই কী আর বলব, এ ব্যাপারে আমি ক্ষমা চাচ্ছি, এর থেকে আর কিছু আমার বলার নেই।’
এ ব্যাপারে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও কালকিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উত্তম কুমার দাশ বলেন, ‘ওই ভিডিওর ব্যাপারে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষ থেকে বিকেলে অভিযোগ পেয়েছি। পরে তা মাদারীপুর জেলা রিটানিং কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে।’
মাদারীপুর-৩ আসনে নৌকার প্রার্থী ড. আবদুস সোবহান গোলাপের সমর্থক কালকিনি উপজেলার সাহেবরামপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান কামরুল হাসান সেলিমের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক বক্তব্য দেওয়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে ওই আওয়ামী লীগ নেতা পুলিশকে লক্ষ্য করে আক্রমণাত্মক ওই বক্তব্য দেন। ভিডিওতে শোনা যায়, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায়, পুলিশ আপনাগো কথা শোনে না। যে হালার পুলিশ আপনাগো কথা শুনবে না, সেই হালার পুলিশরে থানায় রাখমু না, পরিষ্কার ভাষা।’
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে এ ঘটনায় সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও কালকিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উত্তম কুমার দাশের কাছে ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সোহেল রানার পক্ষ থেকে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
একাধিক সূত্রে জানা যায়, গতকাল বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) রাতে কালকিনির সাহেবরামপুর ইউনিয়নের হাকিমুন্নেসা বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে মাদারীপুর-৩ আসনের নৌকা প্রার্থী ড. আবদুস সোবহান গোলাপের পক্ষে এক সভা হয়। এই সভায় বক্তব্য দেন সাহেবরামপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও সাহেবরামপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নৌকা প্রতীকের কর্মী কামরুল হাসান সেলিম। ওই সভায় তাঁর একটি বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া কামরুল হাসান সেলিমের ৪৮ সেকেন্ডের বক্তব্যে বলতে শোনা যায়, ‘আমরা হলাম আবদুস সোবহান গোলাপের কর্মী, আমরা আওয়ামী লীগের কর্মী, আমাদের দিকে চোখ তুলে তাকালে চোখটা খুলে ফেলতে হবে। আবার যদি কেউ বলে পা ভেঙে ফেলবে, আমাকে ফোন দিবেন। চতুর্দিকে থেকে বল্লার মতো এসে জোরে ওরে কাটছাঁট করিয়া দেওয়া হবে। কোনো ছাড় হবে না। আপনারা পারবেন না। ভয় লাগে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায়, পুলিশ আপনাগো কথা শোনে না। যে হালার পুলিশ আপনাগো কথা শুনবে না, সেই হালার পুলিশরে থানায় রাখমু না, পরিষ্কার কথা।’
কালকিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী তৌফিকুজ্জামান শাহিন বলেন, ‘সাহেবরামপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কামরুল হাসান সেলিম নৌকার প্রার্থী ড. আবদুস সোবহান গোলাপের পক্ষে নির্বাচনী বক্তব্যে বলেছেন আমরা হলাম আবদুস সোবহান গোলাপের কর্মী, আমরা আওয়ামী লীগের কর্মী, আমাদের দিকে চোখ তুলে তাকালে চোখটা খুলে ফেলতে হবে। আর যেই হালার পুলিশ নৌকার পক্ষে কথা বলবে না, তাকে ওই থানায় রাখা হবে না। এই ঘটনায় আমরা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। তা ছাড়া নৌকার পক্ষের কর্মীরা প্রতিনিয়তই আমাদের কর্মীদের সঙ্গে নানা ধরনের হুমকি, হামলাসহ বিভিন্ন নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘন করে আসছে। এতে করে সাধারণ ভোটারদের মধ্যে ভয় ও আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। আমরা চাই আগামী ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে সাধারণ ভোটাররা যেন তাঁদের পছন্দমতো প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেন।’
এ ব্যাপারে কামরুল হাসান সেলিম বলেন, ‘আসলে আমার এই বক্তব্যটি প্রায় এক ঘণ্টার মতো ছিল। তা কাটছাঁট করা হয়েছে। আমি আসলে এখানকার একজন সন্ত্রাসীর উদ্দেশে কথাগুলো বলেছিলাম। আরও বলেছিলাম পুলিশ যদি সেই সন্ত্রাসীকে না ধরে, তাহলে সেই পুলিশের ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। কিন্তু আমার কথাগুলোকে কাটছাঁট করে এমন করা হয়েছে। তাই কী আর বলব, এ ব্যাপারে আমি ক্ষমা চাচ্ছি, এর থেকে আর কিছু আমার বলার নেই।’
এ ব্যাপারে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও কালকিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উত্তম কুমার দাশ বলেন, ‘ওই ভিডিওর ব্যাপারে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষ থেকে বিকেলে অভিযোগ পেয়েছি। পরে তা মাদারীপুর জেলা রিটানিং কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে।’
রাজধানীর রামপুরা ব্রিজের দুই রেলিং ঢুকে আছে একটি বাসের মাঝ বরাবর। যাত্রী নিতে আরেক বাসের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নেমে চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে ‘রইছ’ নামের বাসটির এই দশা হয়। ৪ জুন সকালের এই দুর্ঘটনায় বাসটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। যাত্রী বেশি নিতে বাসচালকদের অসুস্থ প্রতিযোগিতা, লক্কড়ঝক্কড় ও ফিটনেসবিহীন বাস দুর্ঘটনা
১ ঘণ্টা আগেগোপালগঞ্জ জেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সড়কে বছরের পর বছর বাস, ট্রাক ও মাইক্রোবাস পার্ক করে রাখা হচ্ছে। বিভিন্ন সড়কের এক লেন দখল করে রাখা হচ্ছে এসব যানবাহন। এতে প্রতিদিন যানজটসহ নানা ভোগান্তিতে পড়ছে মানুষ। মালিক-শ্রমিকেরা বলছেন, নির্ধারিত স্ট্যান্ড না থাকায় বাধ্য হয়ে রাস্তায় গাড়ি রাখছেন তাঁরা।
২ ঘণ্টা আগেআলুতে বছরের পর বছর লাভ করে অভ্যস্ত জয়পুরহাটের কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। তবে এবার পড়েছেন বড় ধরনের বিপাকে। একদিকে বাজারে আলুর দাম অস্থির, অন্যদিকে হিমাগারে সংরক্ষণ ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় হিমশিম খাচ্ছেন সবাই। সংরক্ষণ মৌসুমের শুরুতে স্থানীয় প্রশাসনের চাপে ভাড়া না বাড়াতে বাধ্য হলেও পরে কিছু হিমাগারের মালিক নানা অজুহা
২ ঘণ্টা আগেনীলফামারীর সৈয়দপুরে চলছে জুয়ার জমজমাট আসর। উপজেলার দেড় শতাধিক স্থানে এসব আসর বসে বলে জানা গেছে। প্রতিদিন ২০-৩০ লাখ টাকা লেনদেন হয় এসব আসরে। সেই হিসাবে প্রতি মাসে জুয়াড়িদের কাছে হাতবদল হয় ৬ থেকে ৯ কোটি টাকা। এদিকে, জুয়ার কারণে অনেক পরিবার সর্বস্বান্ত হচ্ছে। জুয়ার টাকা সংগ্রহ করতে গিয়ে এলাকায় বেড়েছে
২ ঘণ্টা আগে