Ajker Patrika

বিমানবন্দরে দুই কেজি স্বর্ণ জব্দ, হেল্পলাইন স্টাফসহ গ্রেপ্তার ২ 

উত্তরা-বিমানবন্দর (ঢাকা) প্রতিনিধি
বিমানবন্দরে দুই কেজি স্বর্ণ জব্দ, হেল্পলাইন স্টাফসহ গ্রেপ্তার ২ 

হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুই কেজি ওজনের স্বর্ণের বার নিয়ে হেল্পলাইনের স্টাফসহ দুজন গ্রেপ্তার হয়েছেন। গ্রেপ্তারকৃতেরা হলেন, হেল্পলাইন স্টাফ মো. আমজাদ হোসেন (৩৭) ও দুবাই থেকে আগত যাত্রী জুয়েল (৩০)। 

বিমানবন্দরের গ্রিন চ্যানেল সংলগ্ন এলাকা থেকে রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করেছে বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)। 

গ্রেপ্তারকৃতেরা হলেন, কুমিল্লা জেলার আব্দুল হারুনের ছেলে ও দুবাই প্রবাসী জুয়েল এবং গাজীপুরের পূবাইল এলাকার নুরুল ইসলাম সরকারের ছেলে এবং বিমানবন্দরের হেল্পলাইনের কর্মী আমজাদ হোসেন। 

গ্রেপ্তারকালে তাদের কাছ থেকে প্রায় দুই কেজি ওজনের স্বর্ণ জব্দ করা হয়। জব্দকৃত স্বর্ণের মধ্যে ১৬টি গোল্ডবার এবং ৯৯ গ্রাম গোল্ড জুয়েলারি ছিল। যার মোট ওজন ১ হাজার ৯৫৫ গ্রাম। 

এ বিষয়ে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, দুবাই থেকে সন্ধ্যা ৭টায় আগত এমিরেটস এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে যাত্রী জুয়েল বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। বিমানবন্দরে অবতরণের পর আগে থেকে ফোনে যোগাযোগ করে রাখা হেল্পলাইন স্টাফ আমজাদের সঙ্গে দেখা করেন। এ সময় চার নাম্বার এরাইভাল লাগেজ বেল্টের কাছে যাত্রী জুয়েল হেল্পলাইন স্টাফ আমজাদের কাছে একটি কালো রংয়ের পাওয়ার ব্যাংক এবং টেপে মোড়ানো চার পিস গোল্ডবার দেন। এ সময় যাত্রীর কাছে আরও দুটি গোল্ড বার এবং ৯৯ গ্রাম গয়না ছিল।

পরে এপিবিএন এর গোয়েন্দা দল তাদেরকে বিমানবন্দরের গ্রিন চ্যানেল অতিক্রম করলে আটক করে। 

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিয়াউল হক বলেন, আটকের পর জুয়েলের কাছে থাকা পাওয়ার ব্যাংকের ভেতরে সুকৌশলে লুকিয়ে রাখা ১০টি গোল্ডবার, তার প্যান্টের পকেট থেকে তল্লাশি করে আরও ৪টি গোল্ডবার পাওয়া যায়। অপরদিকে যাত্রীকে তল্লাশি করে আরও ২টি গোল্ডবার এবং গয়নাসহ মোট ১৯৫৫ গ্রাম স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়।’ 

জব্দকৃত স্বর্ণআটককৃত যাত্রী জুয়েল এবং হেল্পলাইন স্টাফ আমজাদকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে জিয়াউল হক বলেন, ‘দুবাইয়ে অবস্থানরত কবির নামে একজন বাংলাদেশি প্রবাসীর কাছ থেকে জুয়েল এই গোল্ড সংগ্রহ করেন। ঢাকা পর্যন্ত গোল্ডবার পৌঁছে দিতে পারলে মোটা অঙ্কের টাকা পাওয়ার কথা তাঁর ৷ সেই লক্ষ্যেই তিনি বিমানবন্দরে কর্মরত হেল্পলাইন স্টাফ আমজাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং স্বর্ণ চোরাচালান করার পরিকল্পনা করেন। পরে চোরাচালানের চেষ্টাকালে এপিবিএন এর হাতে গ্রেপ্তার হোন।’ 

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক আরও জানান, গ্রেপ্তারকৃতরা একই পদ্ধতিতে পূর্বেও সোনা চোরাচালান করেছেন। এক সপ্তাহ আগে একটি চালান চোরাচালানে সহযোগীতা করায় আমজাদ ২০ হাজার টাকা পেয়েছিলেন। অপরদিকে জুয়েলের পাসপোর্ট তল্লাশি করে ৭০ বার দুবাই যাতায়াত করার প্রমাণ পাওয়া গেছে। 

এ ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত দুজন স্বর্ণ চোরাচালানকারীর বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।  

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘আমরা মরে গেলাম ঋণের দায়ে আর খাওয়ার অভাবে’, চিরকুটে লেখা

জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তে উচ্চপদস্থ বোর্ড গঠন: আইএসপিআর

যুক্তরাষ্ট্রে পা রাখামাত্র পুতিনকে গ্রেপ্তারের আহ্বান

ফেসবুকে ছাত্রলীগ নেতার ‘হুমকি’, রাবিতে ১৫ আগস্টের কনসার্টে যাচ্ছে না আর্টসেল

পাবনায় প্রবাসীর স্ত্রীকে নিয়ে এএসআই উধাও, থানায় শ্বশুরের জিডি

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত