নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ফেসবুকে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে এক তরুণীকে যশোর থেকে ঢাকায় ডেকে নিয়ে বিয়ের ভুয়া কাগজ তৈরি, ধর্ষণ ও অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনায় এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নেত্রকোনোর কেন্দুয়া উপজেলার দুর্গম চর এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ বলছে, নিজেকে সেনাসদস্য পরিচয় দিয়ে তরুণীদের বিশ্বাস অর্জন করে, দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণা করে আসছিলেন এই যুবক।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে তাঁকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির ওয়ারি জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) মো. রেফাতুল ইসলাম।
ওই যুবকের নাম মো. আলমগীর খাঁ ওরফে আরিফ (৩০)। নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় তাঁর বাড়ি।
অনলাইনে প্রেম প্রতারণার কথা উল্লেখ করে এসি মো. রেফাতুল ইসলাম বলেন, ‘যশোরে কোতোয়ালি উপজেলার ২৩ বছর বয়সী এক তরুণীর ফেসবুকে আলমগীর খাঁ ওরফে আরিফের সঙ্গে পরিচয় হয়। মাত্র ১৫ দিনের পরিচয় থেকে আরিফের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে সাবিনার। অনলাইনে গড়ে ওঠা প্রেমের সম্পর্ককে বিশ্বস্ততায় রূপ দিতে আরিফ নিজেই চলে যান যশোরে সাবিনাদের বাড়িতে। সরাসরি দেখা করে আস্থা অর্জন শেষে আরিফের সঙ্গে বাড়ি ছাড়েন এই তরুণী।’
রেফাতুল ইসলাম আরও বলেন, ‘প্রতারক আরিফ সাবিনাকে যশোর থেকে সরাসরি রাজধানীর পুরান ঢাকার জজকোর্ট এলাকায় নিয়ে আসেন। তিন পাতার স্ট্যাম্পে সাবিনাকে স্বাক্ষর করতে বলেন। দ্বিধান্বিত সাবিনাকে আশ্বস্ত করেন যে এটিই তাঁদের বিয়ের দলিল। অথচ তা ছিল একটি বানোয়াট নোটারি। এরপর ওই তরুণীকে নিয়ে ওঠেন পাশের একটি আবাসিক হোটেলে। সেখানে সাবিনাকে ধর্ষণ শেষে কৌশলে সাবিনার সঙ্গে থাকা নগদ টাকা, স্বর্ণের চেন ও মোবাইল ফোন নিয়ে সটকে পড়েন আরিফ। প্রেমিকের মুখোশের আড়ালে থাকা আরিফ সাবিনাকে পুরান ঢাকার রাস্তায় ফেলে নিজ এলাকায় গিয়ে আত্মগোপন করে।’
এসি মো. রেফাতুল ইসলাম বলেন, ‘বিশ্বাস করে মাত্র ১৫ দিনের পরিচিত প্রেমিকের সঙ্গে বাড়ি ছাড়া সাবিনা সর্বস্ব হারিয়ে ওয়ারি থানায় হাজির হন। প্রেমিকের প্রতারণার শিকার তরুণীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মাঠে নামে পুলিশ। তিন দিনের অভিযান শেষে গ্রেপ্তার করা হয় তাঁকে। পুলিশের অভিযানের আগেই নিজেকে আড়াল করতে স্থান পরিবর্তন করায় তাঁকে গ্রেপ্তার করতে বেগ পেতে হয় পুলিশ কর্মকর্তাদের।’
গ্রেপ্তার আরিফের বিষয়ে সহকারী কমিশনার রেফাতুল ইসলাম বলেন, ‘গ্রেপ্তারকৃত আরিফের নির্দিষ্ট কোনো পেশা নেই। দীর্ঘদিন ধরে বেকার আরিফ মোবাইল ফোনে বিভিন্ন মেয়েদের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে টাকাপয়সা হাতিয়ে নিয়ে প্রতারণা করতেন। তাঁর মোবাইল ফোনে বেশ কয়েকটি ফেসবুক আইডি ও বিভিন্ন মেয়েদের ব্যক্তিগত ছবি পাওয়া গেছে। যদিও নিজেকে সেনাবাহিনীর একজন সৈনিক পরিচয় দিয়ে মেয়েদের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলতেন, তবে তিনি এমন কোনো পদে কখনো চাকরি করেননি। বরং একসময়ে নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে কাজ করতেন তিনি। নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে কাজ করার সময়ে সেনাবাহিনীর পোশাক পাওয়ার দাবি করলেও সেটিও সঠিক নয়। এই পোশাক পরিহিত ছবি ব্যবহার করে প্রতারণা করে আসছিলেন তিনি।’
পুলিশ কর্মকর্তা রেফাতুল ইসলাম বলেন, ‘বিবাহিত হয়েও অবিবাহিত পরিচয় দেওয়া আরিফ ২০১৩ সালে আরও এক তরুণীকে একইভাবে প্রেমের ফাঁদে ফেলে তাঁর বন্ধুর বাসায় নিয়ে বন্ধুসহ ধর্ষণ করেন। এই ঘটনায় নেত্রকোনার কেন্দুয়া থানায় একটি ধর্ষণ মামলার তথ্য পাওয়া গেছে। দীর্ঘদিন ধরে নানা পেশার পরিচয়ে তরুণীদের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে একইভাবে প্রতারণার কথা স্বীকার করেছেন। তবে ভুক্তভোগীরা লোকলজ্জার ভয়ে আইনের আশ্রয় না নেওয়ায় নিরাপদেই প্রেমকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে প্রতারণা করে আসছিলেন এই প্রতারক আরিফ।’
ফেসবুকে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে এক তরুণীকে যশোর থেকে ঢাকায় ডেকে নিয়ে বিয়ের ভুয়া কাগজ তৈরি, ধর্ষণ ও অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনায় এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নেত্রকোনোর কেন্দুয়া উপজেলার দুর্গম চর এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ বলছে, নিজেকে সেনাসদস্য পরিচয় দিয়ে তরুণীদের বিশ্বাস অর্জন করে, দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণা করে আসছিলেন এই যুবক।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে তাঁকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির ওয়ারি জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) মো. রেফাতুল ইসলাম।
ওই যুবকের নাম মো. আলমগীর খাঁ ওরফে আরিফ (৩০)। নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় তাঁর বাড়ি।
অনলাইনে প্রেম প্রতারণার কথা উল্লেখ করে এসি মো. রেফাতুল ইসলাম বলেন, ‘যশোরে কোতোয়ালি উপজেলার ২৩ বছর বয়সী এক তরুণীর ফেসবুকে আলমগীর খাঁ ওরফে আরিফের সঙ্গে পরিচয় হয়। মাত্র ১৫ দিনের পরিচয় থেকে আরিফের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে সাবিনার। অনলাইনে গড়ে ওঠা প্রেমের সম্পর্ককে বিশ্বস্ততায় রূপ দিতে আরিফ নিজেই চলে যান যশোরে সাবিনাদের বাড়িতে। সরাসরি দেখা করে আস্থা অর্জন শেষে আরিফের সঙ্গে বাড়ি ছাড়েন এই তরুণী।’
রেফাতুল ইসলাম আরও বলেন, ‘প্রতারক আরিফ সাবিনাকে যশোর থেকে সরাসরি রাজধানীর পুরান ঢাকার জজকোর্ট এলাকায় নিয়ে আসেন। তিন পাতার স্ট্যাম্পে সাবিনাকে স্বাক্ষর করতে বলেন। দ্বিধান্বিত সাবিনাকে আশ্বস্ত করেন যে এটিই তাঁদের বিয়ের দলিল। অথচ তা ছিল একটি বানোয়াট নোটারি। এরপর ওই তরুণীকে নিয়ে ওঠেন পাশের একটি আবাসিক হোটেলে। সেখানে সাবিনাকে ধর্ষণ শেষে কৌশলে সাবিনার সঙ্গে থাকা নগদ টাকা, স্বর্ণের চেন ও মোবাইল ফোন নিয়ে সটকে পড়েন আরিফ। প্রেমিকের মুখোশের আড়ালে থাকা আরিফ সাবিনাকে পুরান ঢাকার রাস্তায় ফেলে নিজ এলাকায় গিয়ে আত্মগোপন করে।’
এসি মো. রেফাতুল ইসলাম বলেন, ‘বিশ্বাস করে মাত্র ১৫ দিনের পরিচিত প্রেমিকের সঙ্গে বাড়ি ছাড়া সাবিনা সর্বস্ব হারিয়ে ওয়ারি থানায় হাজির হন। প্রেমিকের প্রতারণার শিকার তরুণীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মাঠে নামে পুলিশ। তিন দিনের অভিযান শেষে গ্রেপ্তার করা হয় তাঁকে। পুলিশের অভিযানের আগেই নিজেকে আড়াল করতে স্থান পরিবর্তন করায় তাঁকে গ্রেপ্তার করতে বেগ পেতে হয় পুলিশ কর্মকর্তাদের।’
গ্রেপ্তার আরিফের বিষয়ে সহকারী কমিশনার রেফাতুল ইসলাম বলেন, ‘গ্রেপ্তারকৃত আরিফের নির্দিষ্ট কোনো পেশা নেই। দীর্ঘদিন ধরে বেকার আরিফ মোবাইল ফোনে বিভিন্ন মেয়েদের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে টাকাপয়সা হাতিয়ে নিয়ে প্রতারণা করতেন। তাঁর মোবাইল ফোনে বেশ কয়েকটি ফেসবুক আইডি ও বিভিন্ন মেয়েদের ব্যক্তিগত ছবি পাওয়া গেছে। যদিও নিজেকে সেনাবাহিনীর একজন সৈনিক পরিচয় দিয়ে মেয়েদের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলতেন, তবে তিনি এমন কোনো পদে কখনো চাকরি করেননি। বরং একসময়ে নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে কাজ করতেন তিনি। নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে কাজ করার সময়ে সেনাবাহিনীর পোশাক পাওয়ার দাবি করলেও সেটিও সঠিক নয়। এই পোশাক পরিহিত ছবি ব্যবহার করে প্রতারণা করে আসছিলেন তিনি।’
পুলিশ কর্মকর্তা রেফাতুল ইসলাম বলেন, ‘বিবাহিত হয়েও অবিবাহিত পরিচয় দেওয়া আরিফ ২০১৩ সালে আরও এক তরুণীকে একইভাবে প্রেমের ফাঁদে ফেলে তাঁর বন্ধুর বাসায় নিয়ে বন্ধুসহ ধর্ষণ করেন। এই ঘটনায় নেত্রকোনার কেন্দুয়া থানায় একটি ধর্ষণ মামলার তথ্য পাওয়া গেছে। দীর্ঘদিন ধরে নানা পেশার পরিচয়ে তরুণীদের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে একইভাবে প্রতারণার কথা স্বীকার করেছেন। তবে ভুক্তভোগীরা লোকলজ্জার ভয়ে আইনের আশ্রয় না নেওয়ায় নিরাপদেই প্রেমকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে প্রতারণা করে আসছিলেন এই প্রতারক আরিফ।’
চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাবেক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের নাম ভাঙিয়ে দুটি খাবারের দোকান বসান তাঁর চাচাতো ভাই মোসাদ্দেক হোসেন নয়ন। ২০০৮ সাল থেকে দোকান দুটির ভাড়া বকেয়া ২ কোটি ১১ লাখ টাকা।
২১ মিনিট আগেরংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে ১৩ বছর আগে ১০ শয্যার নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) চালু করা হয়। এর মধ্যে একটি শয্যা দীর্ঘদিন ধরে নষ্ট। এখন ৯ শয্যার ইউনিটই পুরো রংপুর বিভাগের দুই কোটির বেশি মানুষের একমাত্র সরকারি আশ্রয়স্থল।
২৬ মিনিট আগেদিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক ও কর্মচারী সংকটে ব্যাহত হচ্ছে নিয়মিত স্বাস্থ্যসেবা, অপারেশন (অস্ত্রোপচার), পরীক্ষা-নিরীক্ষাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম। জানা গেছে, হাসপাতালটিতে পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতি ও অবকাঠামো থাকলেও জনবলের অভাবে বন্ধ রয়েছে সিজার, অ্যাপেন্ডিসাইটিসসহ জরুরি অস্ত্রোপচার।
৩১ মিনিট আগেময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার ব্যস্ততম ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ত্রিশাল বাসস্ট্যান্ড এলাকাটি এখন কার্যত একটি অবৈধ বাজারে পরিণত হয়েছে। মহাসড়কের পাশে গড়ে উঠেছে শতাধিক ভ্রাম্যমাণ দোকান। এসব দোকানে প্রতিনিয়ত চলছে ফলমূল ও কাঁচামাল বিক্রি। এতে জনসাধারণ ও যানবাহনের চলাচলে সৃষ্টি হয়েছে চরম দুর্ভোগ।
৩১ মিনিট আগে