অরূপ রায়, সাভার (ঢাকা)

ঢাকার সাভার উপজেলা পরিষদ চত্বরে অবস্থিত কলকাকলী শিক্ষালয়ের ‘মিনি পার্কে’ রাইড স্থাপন করা হয়েছে—এমন তথ্য রয়েছে সরকারি প্রকল্প বাস্তবায়নের কাগজে। প্রকল্পটিতে ৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা ব্যয় দেখানো হয়েছে। কিন্তু সরেজমিনে বিদ্যালয়টিতে কোনো মিনি পার্কের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। তবে বিদ্যালয়ের পাশে উপজেলা পরিষদের মাঠের এক কোণে স্থাপিত কয়েকটি খেলনাসামগ্রী পাওয়া গেছে।
শুধু কলকাকলী শিক্ষালয়ের প্রকল্পই নয়, সাভার উপজেলা পরিষদ চত্বরের চারটি প্রকল্পসহ মোট পাঁচটির বিষয়ে অনুসন্ধানে নানা অনিয়ম-দুর্নীতির তথ্য পাওয়া গেছে। এর মধ্যে চারটি প্রকল্পে ১৫ লাখ ৮৩ হাজার টাকা এবং একটিতে ১০ টন গম ব্যয় দেখানো হয়েছে। সাভার উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার (পিআইও) কার্যালয় থেকে এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়।
তথ্য অধিকার আইনে সাভার উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে পাওয়া তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় থেকে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে সাভারে গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর) কর্মসূচির আওতায় উপজেলায় ১৬৩টি প্রকল্পের জন্য ২ কোটি ৮৫ লাখ ৪২ হাজার ৩৩৬, গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার (কাবিটা) কর্মসূচির আওতায় ৭৪টি প্রকল্পের জন্য ৩ কোটি ১২ লাখ ৯২ হাজার ৪৪৯ টাকা, একই কর্মসূচির (কাবিখা) আওতায় ২৯টি প্রকল্পের জন্য ২০৮ টন গম এবং ৩৪টি প্রকল্পের জন্য ২০৮ টন চালের বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
এসব প্রকল্পে অর্থ ও শস্য ব্যয়ের জন্য ৩০০টি প্রকল্প কমিটির গঠন করা হয়। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের প্রধান অথবা প্রতিষ্ঠান প্রধান কর্তৃক মনোনীত কর্মকর্তা বা ব্যক্তিরা প্রকল্প কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন এবং বরাদ্দের অর্থ ব্যয় করেন। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে সার্বিক বিষয়গুলো তদারকি ও বাস্তবায়ন করা হয়।
পিআইওর কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, উপজেলা পরিষদ চত্বরের চারটি প্রকল্পের মধ্যে কলকাকলী শিক্ষালয়ের ‘মিনি পার্কে’ রাইড স্থাপনের জন্য ৩ লাখ ৯০ হাজার, পরিষদের জামে মসজিদের উন্নয়নের জন্য ৫ লাখ ৩ হাজার, উপজেলা পরিষদ মাঠের চার পাশের হাঁটার পথে বাতি (ওয়াকওয়ের স্ট্রিট লাইট) স্থাপনের জন্য ৩ লাখ ৯০ হাজার, হাঁটার পথ (ওয়াকওয়ে) উন্নয়নের জন্য ৩ লাখ টাকা এবং সাভার পৌর এলাকার ওয়াপদা রোডের সাভার টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের মাঠে মাটি ভরাটের জন্য ১০ টন গম ব্যয় দেখানো হয়েছে।
গত বুধবার কলকাকলী শিক্ষালয়ে গিয়ে মিনি পার্কের কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। বিদ্যালয়ের পাশে উপজেলা পরিষদের মাঠের এক কোণে স্থাপিত দুটি স্টিলের দোলনা, একটি স্লিপার ও দুটি ঢেঁকি পাওয়া যায়, যেখানে কলকাকলী শিক্ষালয়ের শিক্ষার্থীরা খেলাধুলা করে সময় কাটাচ্ছিল।

জানতে চাইলে শিক্ষার্থীরা জানায়, তাদের বিদ্যালয়ে কোনো মিনি পার্ক নেই। কয়েক মাস আগে বিদ্যালয়সংলগ্ন উপজেলা পরিষদ মাঠের এক কোণে খেলাধুলার পাঁচটি সরঞ্জাম স্থাপন করা হয়েছে। এরপর থেকে সময় পেলে তারা সেখানে খেলাধুলা করে।
দুটি স্টিলের দোলনা, একটি স্লিপার ও দুটি ঢেঁকি স্থাপনে ৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা ব্যয় দেখানো নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন শিক্ষার্থীদের অভিভাবকেরা। তাঁদের সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষকও।
খেলাধুলার এসব সরঞ্জাম দেখে এবং মাপজোক করে সাভার শীতল অ্যান্ড সন্স ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপের মালিক পবন কুমার দাস বলেন, ‘এসব খেলনাসামগ্রী তৈরিতে দেড় লাখ টাকার বেশি খরচ হওয়ার কথা নয়।’
এ বিষয়ে কলকাকলী শিক্ষালয়ের প্রধান শিক্ষক ও খেলাধুলার সরঞ্জাম ক্রয়ের জন্য গঠিত প্রকল্প কমিটির সভাপতি সেলিমা বেগম বলেন, ‘কাগজ-কলমে আমাকে প্রকল্প কমিটির সভাপতি করা হলেও আমি কোনো টাকা খরচ করিনি। আমার ব্যক্তিগত ব্যাংক হিসাবে প্রকল্পের টাকা জমা হওয়ার পর সদ্য সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির বিদায়ী সভাপতি মো. আবুবকর সরকারের নির্দেশে সে টাকা উত্তোলন করি। এরপর তা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার (পিআইও) কার্যালয়ে জমা দিই। তাঁরা (পিআইওর কার্যালয়) সেই টাকা খরচ করে। আমাদের কোনো ভাউচারও দেয়নি।’
দুটি স্টিলের দোলনা, একটি স্লিপার ও দুটি ঢেঁকি স্থাপনে ৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা খরচ হতে পারে কি না—এমন প্রশ্ন করা হলে সেলিমা বেগম বলেন, ‘আমার জানা নেই। তবে এই কয়েকটা সরঞ্জামের জন্য এত টাকা খরচ হয়েছে বলে আমার মনে হয় না।’
২০২৪-২৫ অর্থবছরে উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সের জামে মসজিদের উন্নয়নে দুই দফায় ৫ লাখ ৩ হাজার টাকা ব্যয় দেখানো হয়েছে। কিন্তু ২০২৪-২৫ অর্থবছর শেষ হলেও মসজিদের উন্নয়নে সরকারি বরাদ্দের সেই টাকা খরচ করা হয়নি বলে জানান মসজিদের খাদেম ফজলুল হক।
মসজিদের ইমাম মাওলানা আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘২০২৪-২৫ অর্থবছরে মসজিদ উন্নয়নের জন্য প্রথম দফায় ১ লাখ ১৩ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। আমি প্রকল্প কমিটির সভাপতি হিসেবে ওই টাকা উত্তোলন করে মসজিদের ব্যাংক হিসেবে জমা রাখি। পরে মসজিদ পরিচালনা কমিটি ওই টাকা খরচ করেছে কি না, তা আমার জানা নেই। এ ছাড়া একই অর্থবছরে দ্বিতীয় দফায় আরও ৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা পাওয়া যায়। প্রকল্প কমিটির সভাপতি হিসেবে আমি ওই টাকা তুলে ব্যাংক হিসাবে জমা রেখেছি। অর্থবছর শেষ হয়ে গেলও তা এখনো খরচ করা হয়নি।’
তবে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক এস এম আব্দুল মজিদ বলেন, ‘গত অর্থবছরের বরাদ্দের টাকা এসি (শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র) কিনে এবং টাইলস স্থাপন করে খরচ করা হয়েছে। কোনো টাকা আমাদের হাতে বা ব্যাংকে জমা নেই।’
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ের অফিস সহকারী রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘২০২৪-২৫ অর্থবছরে উপজেলা কমপ্লেক্সের মসজিদের জন্য বরাদ্দের ৫ লাখ ৩ হাজার টাকায় এসি কেনা হয়েছে। এসি কেনার পর প্রকল্প কমিটির সভাপতি মসজিদের ইমাম আমাদের ভাউচার দিয়েছেন।’ কিন্তু ভাউচার দেখতে চাইলে তিনি (অফিস সহকারী রফিকুল ইসলাম) কোনো ভাউচার দেখাতে পারেননি।
উপজেলা পরিষদ মাঠের চার পাশের হাঁটার পথে বাতির (ওয়াকওয়ের স্ট্রিট লাইট) খোঁজ নিতে গিয়ে আটটি বাতির অস্তিত্ব পাওয়া যায়। মোটা টিনের পাত দিয়ে তৈরি খুঁটির প্রতিটিতে দুটি করে বাতি লাগানো হয়েছে, যা বিদ্যুতের সাহায্যে জ্বলে। পরিষদের কয়েকজন কর্মকর্তা বলেন, মাঠের চার পাশের হাঁটার পথে বাতি মাসপাঁচেক আগে স্থাপন করা হয়।
সাভার শীতল অ্যান্ড সন্স ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপের মালিক পবন কুমার দাস বলেন, ‘বাজারমূল্য অনুযায়ী প্রতিটি খুঁটি তৈরি করতে ১০ হাজার টাকার বেশি খরচ হওয়ার কথা নয়। এর সঙ্গে লাইট স্থাপনে আরও ৫ হাজার টাকা করে খরচ হতে পারে। কিন্তু এই আটটি বাতি স্থাপনে ৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা খরচ হওয়ার কথা নয়।’
অন্যদিকে হাঁটার পথ (ওয়াকওয়ে) উন্নয়নের জন্য ৩ লাখ টাকা ব্যয় দেখানো হলেও তার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। হাঁটার পথে যে টাইলস রয়েছে, তা ২০২৪-২৫ অর্থবছরের আগের অর্থবছরের বরাদ্দের টাকা থেকে ব্যয় করা হয়েছে বলে পিআইওর কার্যালয় থেকে জানানো হয়।
মাঠের এক কোণে স্থাপিত ছাউনিতে পরিষদের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এক আনসার সদস্য বলেন, ‘মাসপাঁচেক আগে পরিষদের মাঠে বালু ফেলে কয়েক ইঞ্চি উঁচু করতে দেখেছি। এরপর মাঠে কিছু ঘাস লাগানো হয়। আর মাঠে জমে থাকা পানি বের হওয়ার জন্য এক পাশে ৫ থেকে ৬ ফুট করে ৪টি সরু নালা তৈরি করা হয়েছে। হাঁটার রাস্তার কোনো সংস্কার বা উন্নয়ন করতে দেখিনি।’
সরবরাহ করা তথ্যে সাভার ইউনিয়নের কাবিখার বরাদ্দ থেকে ‘সাভার টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট’ নামের একটি কলেজের মাঠে মাটি ভরাটের জন্য ১০ টন গম খরচ দেখানো হয়। কিন্তু সাভার ইউনিয়নের কোনো এলাকায় ওই নামে কোনো প্রতিষ্ঠান পাওয়া যায়নি। পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আশুলিয়ার ধামসোনা ইউনিয়নের ডগরতলি গ্রামে ওই নামে একটি কলেজ রয়েছে।
কলেজের সদ্য সাবেক অধ্যক্ষ হোসনে আরা বলেন, ‘সাভার পৌর এলাকার ওয়াপদা রোডের একটি ভাড়া বাসায় কলেজের কার্যক্রম চলত। পদাধিকার বলে কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতির দায়িত্বে থাকা সাভারের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বাঁশবাড়ী মৌজা থেকে কলেজের নামে ৫০ শতাংশ অর্পিত সম্পত্তি একসনা লিজ দেওয়ার পর গত ফেব্রুয়ারি মাসে কলেজটি সেখানে স্থানান্তর করা হয়।’
গত বৃহস্পতিবার ডগরতলিতে গিয়ে দেখা যায়, হাজী যান মোহাম্মদ উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠের এক কোণে কলেজের একটি সাইনবোর্ড রয়েছে। তাঁর পাশেই ২০ বর্গফুট আয়তনের দুটি কক্ষের ছোট্ট একটি আধা পাকা ভবন রয়েছে, যা শিক্ষকদের চাঁদার টাকায় নির্মাণ করা হয় বলে শিক্ষকেরা জানান।
কলেজের শিক্ষার্থীরা জানান, কয়েক মাস আগে ওই ভবনের সামনের কয়েক বর্গফুট নিচু ভূমি বালু ফেলে ভরাট করা হয়েছে, যা কলেজের মাঠ নয়।
কলেজের সহকারী অধ্যাপক হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘২০২৪-২৫ অর্থবছরে মাঠে মাটি ভরাটের জন্য ১০ টন গম বরাদ্দ দেওয়া হয়। ওই গম বিক্রি করে শ্রেণিকক্ষের সামনে বালু ফেলা হয়েছে। আমরা নিজেরা কোনো খরচ করিনি।’
জানতে চাইলে সাভার উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ফাইজুল ইসলাম বলেন, ‘টিআর, কাবিটা ও কাবিখার প্রকল্প অনুমোদন হওয়ার পর বরাদ্দের টাকা, চাল বা গম প্রকল্প কমিটির সভাপতিকে দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে টাকার ক্ষেত্রে প্রকল্প কমিটির সভাপতির নামে চেক দেওয়া হয়েছে। টাকা, চাল কিংবা গম পাওয়ার পর প্রকল্প কমিটি তা ব্যয় করেছে। সংগত কারণেই আমার দপ্তর থেকে টাকা খরচ বা কেনাকাটা করার কোনো সুযোগ নেই। কেউ এমন তথ্য বা অভিযোগ দিয়ে থাকলে তা সত্য নয়। কোনো প্রতিষ্ঠানের বরাদ্দের টাকা ও চাল বা গম নয়ছয় হয়ে থাকলে এবং তার প্রমাণ পাওয়া গেলে ওই সব প্রতিষ্ঠানের প্রকল্প কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সাভারের সদ্য সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবুবকর সরকার বলেন, ‘পদাধিকার বলে আমি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সভাপতি ছিলাম। কিন্তু কোনো প্রকল্প কমিটির সভাপতি ছিলাম না। বরাদ্দের অর্থ বা শস্য প্রকল্প কমিটির সভাপতিকে দেওয়া হয়েছে। তাঁরাই ওই সব টাকা বা শস্য খরচ করেছেন। বরাদ্দের অর্থ বা শস্য ব্যয়ের ক্ষেত্রে কোনো অনিয়ম হয়েছে কি না, তা আমার জানা নেই।’
সাভারের বিভিন্ন প্রকল্পে অনিয়মের বিষয়ে কথা হলে সাভারের বর্তমান ইউএনও মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘আমি সদ্য যোগদান করলাম। আগের কোনো প্রকল্পে অনিয়ম হলে খোঁজখবর নিয়ে দেখব।’

ঢাকার সাভার উপজেলা পরিষদ চত্বরে অবস্থিত কলকাকলী শিক্ষালয়ের ‘মিনি পার্কে’ রাইড স্থাপন করা হয়েছে—এমন তথ্য রয়েছে সরকারি প্রকল্প বাস্তবায়নের কাগজে। প্রকল্পটিতে ৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা ব্যয় দেখানো হয়েছে। কিন্তু সরেজমিনে বিদ্যালয়টিতে কোনো মিনি পার্কের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। তবে বিদ্যালয়ের পাশে উপজেলা পরিষদের মাঠের এক কোণে স্থাপিত কয়েকটি খেলনাসামগ্রী পাওয়া গেছে।
শুধু কলকাকলী শিক্ষালয়ের প্রকল্পই নয়, সাভার উপজেলা পরিষদ চত্বরের চারটি প্রকল্পসহ মোট পাঁচটির বিষয়ে অনুসন্ধানে নানা অনিয়ম-দুর্নীতির তথ্য পাওয়া গেছে। এর মধ্যে চারটি প্রকল্পে ১৫ লাখ ৮৩ হাজার টাকা এবং একটিতে ১০ টন গম ব্যয় দেখানো হয়েছে। সাভার উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার (পিআইও) কার্যালয় থেকে এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়।
তথ্য অধিকার আইনে সাভার উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে পাওয়া তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় থেকে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে সাভারে গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর) কর্মসূচির আওতায় উপজেলায় ১৬৩টি প্রকল্পের জন্য ২ কোটি ৮৫ লাখ ৪২ হাজার ৩৩৬, গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার (কাবিটা) কর্মসূচির আওতায় ৭৪টি প্রকল্পের জন্য ৩ কোটি ১২ লাখ ৯২ হাজার ৪৪৯ টাকা, একই কর্মসূচির (কাবিখা) আওতায় ২৯টি প্রকল্পের জন্য ২০৮ টন গম এবং ৩৪টি প্রকল্পের জন্য ২০৮ টন চালের বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
এসব প্রকল্পে অর্থ ও শস্য ব্যয়ের জন্য ৩০০টি প্রকল্প কমিটির গঠন করা হয়। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের প্রধান অথবা প্রতিষ্ঠান প্রধান কর্তৃক মনোনীত কর্মকর্তা বা ব্যক্তিরা প্রকল্প কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন এবং বরাদ্দের অর্থ ব্যয় করেন। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে সার্বিক বিষয়গুলো তদারকি ও বাস্তবায়ন করা হয়।
পিআইওর কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, উপজেলা পরিষদ চত্বরের চারটি প্রকল্পের মধ্যে কলকাকলী শিক্ষালয়ের ‘মিনি পার্কে’ রাইড স্থাপনের জন্য ৩ লাখ ৯০ হাজার, পরিষদের জামে মসজিদের উন্নয়নের জন্য ৫ লাখ ৩ হাজার, উপজেলা পরিষদ মাঠের চার পাশের হাঁটার পথে বাতি (ওয়াকওয়ের স্ট্রিট লাইট) স্থাপনের জন্য ৩ লাখ ৯০ হাজার, হাঁটার পথ (ওয়াকওয়ে) উন্নয়নের জন্য ৩ লাখ টাকা এবং সাভার পৌর এলাকার ওয়াপদা রোডের সাভার টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের মাঠে মাটি ভরাটের জন্য ১০ টন গম ব্যয় দেখানো হয়েছে।
গত বুধবার কলকাকলী শিক্ষালয়ে গিয়ে মিনি পার্কের কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। বিদ্যালয়ের পাশে উপজেলা পরিষদের মাঠের এক কোণে স্থাপিত দুটি স্টিলের দোলনা, একটি স্লিপার ও দুটি ঢেঁকি পাওয়া যায়, যেখানে কলকাকলী শিক্ষালয়ের শিক্ষার্থীরা খেলাধুলা করে সময় কাটাচ্ছিল।

জানতে চাইলে শিক্ষার্থীরা জানায়, তাদের বিদ্যালয়ে কোনো মিনি পার্ক নেই। কয়েক মাস আগে বিদ্যালয়সংলগ্ন উপজেলা পরিষদ মাঠের এক কোণে খেলাধুলার পাঁচটি সরঞ্জাম স্থাপন করা হয়েছে। এরপর থেকে সময় পেলে তারা সেখানে খেলাধুলা করে।
দুটি স্টিলের দোলনা, একটি স্লিপার ও দুটি ঢেঁকি স্থাপনে ৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা ব্যয় দেখানো নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন শিক্ষার্থীদের অভিভাবকেরা। তাঁদের সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষকও।
খেলাধুলার এসব সরঞ্জাম দেখে এবং মাপজোক করে সাভার শীতল অ্যান্ড সন্স ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপের মালিক পবন কুমার দাস বলেন, ‘এসব খেলনাসামগ্রী তৈরিতে দেড় লাখ টাকার বেশি খরচ হওয়ার কথা নয়।’
এ বিষয়ে কলকাকলী শিক্ষালয়ের প্রধান শিক্ষক ও খেলাধুলার সরঞ্জাম ক্রয়ের জন্য গঠিত প্রকল্প কমিটির সভাপতি সেলিমা বেগম বলেন, ‘কাগজ-কলমে আমাকে প্রকল্প কমিটির সভাপতি করা হলেও আমি কোনো টাকা খরচ করিনি। আমার ব্যক্তিগত ব্যাংক হিসাবে প্রকল্পের টাকা জমা হওয়ার পর সদ্য সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির বিদায়ী সভাপতি মো. আবুবকর সরকারের নির্দেশে সে টাকা উত্তোলন করি। এরপর তা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার (পিআইও) কার্যালয়ে জমা দিই। তাঁরা (পিআইওর কার্যালয়) সেই টাকা খরচ করে। আমাদের কোনো ভাউচারও দেয়নি।’
দুটি স্টিলের দোলনা, একটি স্লিপার ও দুটি ঢেঁকি স্থাপনে ৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা খরচ হতে পারে কি না—এমন প্রশ্ন করা হলে সেলিমা বেগম বলেন, ‘আমার জানা নেই। তবে এই কয়েকটা সরঞ্জামের জন্য এত টাকা খরচ হয়েছে বলে আমার মনে হয় না।’
২০২৪-২৫ অর্থবছরে উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সের জামে মসজিদের উন্নয়নে দুই দফায় ৫ লাখ ৩ হাজার টাকা ব্যয় দেখানো হয়েছে। কিন্তু ২০২৪-২৫ অর্থবছর শেষ হলেও মসজিদের উন্নয়নে সরকারি বরাদ্দের সেই টাকা খরচ করা হয়নি বলে জানান মসজিদের খাদেম ফজলুল হক।
মসজিদের ইমাম মাওলানা আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘২০২৪-২৫ অর্থবছরে মসজিদ উন্নয়নের জন্য প্রথম দফায় ১ লাখ ১৩ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। আমি প্রকল্প কমিটির সভাপতি হিসেবে ওই টাকা উত্তোলন করে মসজিদের ব্যাংক হিসেবে জমা রাখি। পরে মসজিদ পরিচালনা কমিটি ওই টাকা খরচ করেছে কি না, তা আমার জানা নেই। এ ছাড়া একই অর্থবছরে দ্বিতীয় দফায় আরও ৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা পাওয়া যায়। প্রকল্প কমিটির সভাপতি হিসেবে আমি ওই টাকা তুলে ব্যাংক হিসাবে জমা রেখেছি। অর্থবছর শেষ হয়ে গেলও তা এখনো খরচ করা হয়নি।’
তবে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক এস এম আব্দুল মজিদ বলেন, ‘গত অর্থবছরের বরাদ্দের টাকা এসি (শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র) কিনে এবং টাইলস স্থাপন করে খরচ করা হয়েছে। কোনো টাকা আমাদের হাতে বা ব্যাংকে জমা নেই।’
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ের অফিস সহকারী রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘২০২৪-২৫ অর্থবছরে উপজেলা কমপ্লেক্সের মসজিদের জন্য বরাদ্দের ৫ লাখ ৩ হাজার টাকায় এসি কেনা হয়েছে। এসি কেনার পর প্রকল্প কমিটির সভাপতি মসজিদের ইমাম আমাদের ভাউচার দিয়েছেন।’ কিন্তু ভাউচার দেখতে চাইলে তিনি (অফিস সহকারী রফিকুল ইসলাম) কোনো ভাউচার দেখাতে পারেননি।
উপজেলা পরিষদ মাঠের চার পাশের হাঁটার পথে বাতির (ওয়াকওয়ের স্ট্রিট লাইট) খোঁজ নিতে গিয়ে আটটি বাতির অস্তিত্ব পাওয়া যায়। মোটা টিনের পাত দিয়ে তৈরি খুঁটির প্রতিটিতে দুটি করে বাতি লাগানো হয়েছে, যা বিদ্যুতের সাহায্যে জ্বলে। পরিষদের কয়েকজন কর্মকর্তা বলেন, মাঠের চার পাশের হাঁটার পথে বাতি মাসপাঁচেক আগে স্থাপন করা হয়।
সাভার শীতল অ্যান্ড সন্স ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপের মালিক পবন কুমার দাস বলেন, ‘বাজারমূল্য অনুযায়ী প্রতিটি খুঁটি তৈরি করতে ১০ হাজার টাকার বেশি খরচ হওয়ার কথা নয়। এর সঙ্গে লাইট স্থাপনে আরও ৫ হাজার টাকা করে খরচ হতে পারে। কিন্তু এই আটটি বাতি স্থাপনে ৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা খরচ হওয়ার কথা নয়।’
অন্যদিকে হাঁটার পথ (ওয়াকওয়ে) উন্নয়নের জন্য ৩ লাখ টাকা ব্যয় দেখানো হলেও তার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। হাঁটার পথে যে টাইলস রয়েছে, তা ২০২৪-২৫ অর্থবছরের আগের অর্থবছরের বরাদ্দের টাকা থেকে ব্যয় করা হয়েছে বলে পিআইওর কার্যালয় থেকে জানানো হয়।
মাঠের এক কোণে স্থাপিত ছাউনিতে পরিষদের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এক আনসার সদস্য বলেন, ‘মাসপাঁচেক আগে পরিষদের মাঠে বালু ফেলে কয়েক ইঞ্চি উঁচু করতে দেখেছি। এরপর মাঠে কিছু ঘাস লাগানো হয়। আর মাঠে জমে থাকা পানি বের হওয়ার জন্য এক পাশে ৫ থেকে ৬ ফুট করে ৪টি সরু নালা তৈরি করা হয়েছে। হাঁটার রাস্তার কোনো সংস্কার বা উন্নয়ন করতে দেখিনি।’
সরবরাহ করা তথ্যে সাভার ইউনিয়নের কাবিখার বরাদ্দ থেকে ‘সাভার টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট’ নামের একটি কলেজের মাঠে মাটি ভরাটের জন্য ১০ টন গম খরচ দেখানো হয়। কিন্তু সাভার ইউনিয়নের কোনো এলাকায় ওই নামে কোনো প্রতিষ্ঠান পাওয়া যায়নি। পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আশুলিয়ার ধামসোনা ইউনিয়নের ডগরতলি গ্রামে ওই নামে একটি কলেজ রয়েছে।
কলেজের সদ্য সাবেক অধ্যক্ষ হোসনে আরা বলেন, ‘সাভার পৌর এলাকার ওয়াপদা রোডের একটি ভাড়া বাসায় কলেজের কার্যক্রম চলত। পদাধিকার বলে কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতির দায়িত্বে থাকা সাভারের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বাঁশবাড়ী মৌজা থেকে কলেজের নামে ৫০ শতাংশ অর্পিত সম্পত্তি একসনা লিজ দেওয়ার পর গত ফেব্রুয়ারি মাসে কলেজটি সেখানে স্থানান্তর করা হয়।’
গত বৃহস্পতিবার ডগরতলিতে গিয়ে দেখা যায়, হাজী যান মোহাম্মদ উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠের এক কোণে কলেজের একটি সাইনবোর্ড রয়েছে। তাঁর পাশেই ২০ বর্গফুট আয়তনের দুটি কক্ষের ছোট্ট একটি আধা পাকা ভবন রয়েছে, যা শিক্ষকদের চাঁদার টাকায় নির্মাণ করা হয় বলে শিক্ষকেরা জানান।
কলেজের শিক্ষার্থীরা জানান, কয়েক মাস আগে ওই ভবনের সামনের কয়েক বর্গফুট নিচু ভূমি বালু ফেলে ভরাট করা হয়েছে, যা কলেজের মাঠ নয়।
কলেজের সহকারী অধ্যাপক হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘২০২৪-২৫ অর্থবছরে মাঠে মাটি ভরাটের জন্য ১০ টন গম বরাদ্দ দেওয়া হয়। ওই গম বিক্রি করে শ্রেণিকক্ষের সামনে বালু ফেলা হয়েছে। আমরা নিজেরা কোনো খরচ করিনি।’
জানতে চাইলে সাভার উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ফাইজুল ইসলাম বলেন, ‘টিআর, কাবিটা ও কাবিখার প্রকল্প অনুমোদন হওয়ার পর বরাদ্দের টাকা, চাল বা গম প্রকল্প কমিটির সভাপতিকে দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে টাকার ক্ষেত্রে প্রকল্প কমিটির সভাপতির নামে চেক দেওয়া হয়েছে। টাকা, চাল কিংবা গম পাওয়ার পর প্রকল্প কমিটি তা ব্যয় করেছে। সংগত কারণেই আমার দপ্তর থেকে টাকা খরচ বা কেনাকাটা করার কোনো সুযোগ নেই। কেউ এমন তথ্য বা অভিযোগ দিয়ে থাকলে তা সত্য নয়। কোনো প্রতিষ্ঠানের বরাদ্দের টাকা ও চাল বা গম নয়ছয় হয়ে থাকলে এবং তার প্রমাণ পাওয়া গেলে ওই সব প্রতিষ্ঠানের প্রকল্প কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সাভারের সদ্য সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবুবকর সরকার বলেন, ‘পদাধিকার বলে আমি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সভাপতি ছিলাম। কিন্তু কোনো প্রকল্প কমিটির সভাপতি ছিলাম না। বরাদ্দের অর্থ বা শস্য প্রকল্প কমিটির সভাপতিকে দেওয়া হয়েছে। তাঁরাই ওই সব টাকা বা শস্য খরচ করেছেন। বরাদ্দের অর্থ বা শস্য ব্যয়ের ক্ষেত্রে কোনো অনিয়ম হয়েছে কি না, তা আমার জানা নেই।’
সাভারের বিভিন্ন প্রকল্পে অনিয়মের বিষয়ে কথা হলে সাভারের বর্তমান ইউএনও মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘আমি সদ্য যোগদান করলাম। আগের কোনো প্রকল্পে অনিয়ম হলে খোঁজখবর নিয়ে দেখব।’
অরূপ রায়, সাভার (ঢাকা)

ঢাকার সাভার উপজেলা পরিষদ চত্বরে অবস্থিত কলকাকলী শিক্ষালয়ের ‘মিনি পার্কে’ রাইড স্থাপন করা হয়েছে—এমন তথ্য রয়েছে সরকারি প্রকল্প বাস্তবায়নের কাগজে। প্রকল্পটিতে ৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা ব্যয় দেখানো হয়েছে। কিন্তু সরেজমিনে বিদ্যালয়টিতে কোনো মিনি পার্কের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। তবে বিদ্যালয়ের পাশে উপজেলা পরিষদের মাঠের এক কোণে স্থাপিত কয়েকটি খেলনাসামগ্রী পাওয়া গেছে।
শুধু কলকাকলী শিক্ষালয়ের প্রকল্পই নয়, সাভার উপজেলা পরিষদ চত্বরের চারটি প্রকল্পসহ মোট পাঁচটির বিষয়ে অনুসন্ধানে নানা অনিয়ম-দুর্নীতির তথ্য পাওয়া গেছে। এর মধ্যে চারটি প্রকল্পে ১৫ লাখ ৮৩ হাজার টাকা এবং একটিতে ১০ টন গম ব্যয় দেখানো হয়েছে। সাভার উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার (পিআইও) কার্যালয় থেকে এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়।
তথ্য অধিকার আইনে সাভার উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে পাওয়া তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় থেকে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে সাভারে গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর) কর্মসূচির আওতায় উপজেলায় ১৬৩টি প্রকল্পের জন্য ২ কোটি ৮৫ লাখ ৪২ হাজার ৩৩৬, গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার (কাবিটা) কর্মসূচির আওতায় ৭৪টি প্রকল্পের জন্য ৩ কোটি ১২ লাখ ৯২ হাজার ৪৪৯ টাকা, একই কর্মসূচির (কাবিখা) আওতায় ২৯টি প্রকল্পের জন্য ২০৮ টন গম এবং ৩৪টি প্রকল্পের জন্য ২০৮ টন চালের বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
এসব প্রকল্পে অর্থ ও শস্য ব্যয়ের জন্য ৩০০টি প্রকল্প কমিটির গঠন করা হয়। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের প্রধান অথবা প্রতিষ্ঠান প্রধান কর্তৃক মনোনীত কর্মকর্তা বা ব্যক্তিরা প্রকল্প কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন এবং বরাদ্দের অর্থ ব্যয় করেন। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে সার্বিক বিষয়গুলো তদারকি ও বাস্তবায়ন করা হয়।
পিআইওর কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, উপজেলা পরিষদ চত্বরের চারটি প্রকল্পের মধ্যে কলকাকলী শিক্ষালয়ের ‘মিনি পার্কে’ রাইড স্থাপনের জন্য ৩ লাখ ৯০ হাজার, পরিষদের জামে মসজিদের উন্নয়নের জন্য ৫ লাখ ৩ হাজার, উপজেলা পরিষদ মাঠের চার পাশের হাঁটার পথে বাতি (ওয়াকওয়ের স্ট্রিট লাইট) স্থাপনের জন্য ৩ লাখ ৯০ হাজার, হাঁটার পথ (ওয়াকওয়ে) উন্নয়নের জন্য ৩ লাখ টাকা এবং সাভার পৌর এলাকার ওয়াপদা রোডের সাভার টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের মাঠে মাটি ভরাটের জন্য ১০ টন গম ব্যয় দেখানো হয়েছে।
গত বুধবার কলকাকলী শিক্ষালয়ে গিয়ে মিনি পার্কের কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। বিদ্যালয়ের পাশে উপজেলা পরিষদের মাঠের এক কোণে স্থাপিত দুটি স্টিলের দোলনা, একটি স্লিপার ও দুটি ঢেঁকি পাওয়া যায়, যেখানে কলকাকলী শিক্ষালয়ের শিক্ষার্থীরা খেলাধুলা করে সময় কাটাচ্ছিল।

জানতে চাইলে শিক্ষার্থীরা জানায়, তাদের বিদ্যালয়ে কোনো মিনি পার্ক নেই। কয়েক মাস আগে বিদ্যালয়সংলগ্ন উপজেলা পরিষদ মাঠের এক কোণে খেলাধুলার পাঁচটি সরঞ্জাম স্থাপন করা হয়েছে। এরপর থেকে সময় পেলে তারা সেখানে খেলাধুলা করে।
দুটি স্টিলের দোলনা, একটি স্লিপার ও দুটি ঢেঁকি স্থাপনে ৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা ব্যয় দেখানো নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন শিক্ষার্থীদের অভিভাবকেরা। তাঁদের সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষকও।
খেলাধুলার এসব সরঞ্জাম দেখে এবং মাপজোক করে সাভার শীতল অ্যান্ড সন্স ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপের মালিক পবন কুমার দাস বলেন, ‘এসব খেলনাসামগ্রী তৈরিতে দেড় লাখ টাকার বেশি খরচ হওয়ার কথা নয়।’
এ বিষয়ে কলকাকলী শিক্ষালয়ের প্রধান শিক্ষক ও খেলাধুলার সরঞ্জাম ক্রয়ের জন্য গঠিত প্রকল্প কমিটির সভাপতি সেলিমা বেগম বলেন, ‘কাগজ-কলমে আমাকে প্রকল্প কমিটির সভাপতি করা হলেও আমি কোনো টাকা খরচ করিনি। আমার ব্যক্তিগত ব্যাংক হিসাবে প্রকল্পের টাকা জমা হওয়ার পর সদ্য সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির বিদায়ী সভাপতি মো. আবুবকর সরকারের নির্দেশে সে টাকা উত্তোলন করি। এরপর তা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার (পিআইও) কার্যালয়ে জমা দিই। তাঁরা (পিআইওর কার্যালয়) সেই টাকা খরচ করে। আমাদের কোনো ভাউচারও দেয়নি।’
দুটি স্টিলের দোলনা, একটি স্লিপার ও দুটি ঢেঁকি স্থাপনে ৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা খরচ হতে পারে কি না—এমন প্রশ্ন করা হলে সেলিমা বেগম বলেন, ‘আমার জানা নেই। তবে এই কয়েকটা সরঞ্জামের জন্য এত টাকা খরচ হয়েছে বলে আমার মনে হয় না।’
২০২৪-২৫ অর্থবছরে উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সের জামে মসজিদের উন্নয়নে দুই দফায় ৫ লাখ ৩ হাজার টাকা ব্যয় দেখানো হয়েছে। কিন্তু ২০২৪-২৫ অর্থবছর শেষ হলেও মসজিদের উন্নয়নে সরকারি বরাদ্দের সেই টাকা খরচ করা হয়নি বলে জানান মসজিদের খাদেম ফজলুল হক।
মসজিদের ইমাম মাওলানা আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘২০২৪-২৫ অর্থবছরে মসজিদ উন্নয়নের জন্য প্রথম দফায় ১ লাখ ১৩ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। আমি প্রকল্প কমিটির সভাপতি হিসেবে ওই টাকা উত্তোলন করে মসজিদের ব্যাংক হিসেবে জমা রাখি। পরে মসজিদ পরিচালনা কমিটি ওই টাকা খরচ করেছে কি না, তা আমার জানা নেই। এ ছাড়া একই অর্থবছরে দ্বিতীয় দফায় আরও ৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা পাওয়া যায়। প্রকল্প কমিটির সভাপতি হিসেবে আমি ওই টাকা তুলে ব্যাংক হিসাবে জমা রেখেছি। অর্থবছর শেষ হয়ে গেলও তা এখনো খরচ করা হয়নি।’
তবে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক এস এম আব্দুল মজিদ বলেন, ‘গত অর্থবছরের বরাদ্দের টাকা এসি (শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র) কিনে এবং টাইলস স্থাপন করে খরচ করা হয়েছে। কোনো টাকা আমাদের হাতে বা ব্যাংকে জমা নেই।’
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ের অফিস সহকারী রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘২০২৪-২৫ অর্থবছরে উপজেলা কমপ্লেক্সের মসজিদের জন্য বরাদ্দের ৫ লাখ ৩ হাজার টাকায় এসি কেনা হয়েছে। এসি কেনার পর প্রকল্প কমিটির সভাপতি মসজিদের ইমাম আমাদের ভাউচার দিয়েছেন।’ কিন্তু ভাউচার দেখতে চাইলে তিনি (অফিস সহকারী রফিকুল ইসলাম) কোনো ভাউচার দেখাতে পারেননি।
উপজেলা পরিষদ মাঠের চার পাশের হাঁটার পথে বাতির (ওয়াকওয়ের স্ট্রিট লাইট) খোঁজ নিতে গিয়ে আটটি বাতির অস্তিত্ব পাওয়া যায়। মোটা টিনের পাত দিয়ে তৈরি খুঁটির প্রতিটিতে দুটি করে বাতি লাগানো হয়েছে, যা বিদ্যুতের সাহায্যে জ্বলে। পরিষদের কয়েকজন কর্মকর্তা বলেন, মাঠের চার পাশের হাঁটার পথে বাতি মাসপাঁচেক আগে স্থাপন করা হয়।
সাভার শীতল অ্যান্ড সন্স ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপের মালিক পবন কুমার দাস বলেন, ‘বাজারমূল্য অনুযায়ী প্রতিটি খুঁটি তৈরি করতে ১০ হাজার টাকার বেশি খরচ হওয়ার কথা নয়। এর সঙ্গে লাইট স্থাপনে আরও ৫ হাজার টাকা করে খরচ হতে পারে। কিন্তু এই আটটি বাতি স্থাপনে ৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা খরচ হওয়ার কথা নয়।’
অন্যদিকে হাঁটার পথ (ওয়াকওয়ে) উন্নয়নের জন্য ৩ লাখ টাকা ব্যয় দেখানো হলেও তার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। হাঁটার পথে যে টাইলস রয়েছে, তা ২০২৪-২৫ অর্থবছরের আগের অর্থবছরের বরাদ্দের টাকা থেকে ব্যয় করা হয়েছে বলে পিআইওর কার্যালয় থেকে জানানো হয়।
মাঠের এক কোণে স্থাপিত ছাউনিতে পরিষদের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এক আনসার সদস্য বলেন, ‘মাসপাঁচেক আগে পরিষদের মাঠে বালু ফেলে কয়েক ইঞ্চি উঁচু করতে দেখেছি। এরপর মাঠে কিছু ঘাস লাগানো হয়। আর মাঠে জমে থাকা পানি বের হওয়ার জন্য এক পাশে ৫ থেকে ৬ ফুট করে ৪টি সরু নালা তৈরি করা হয়েছে। হাঁটার রাস্তার কোনো সংস্কার বা উন্নয়ন করতে দেখিনি।’
সরবরাহ করা তথ্যে সাভার ইউনিয়নের কাবিখার বরাদ্দ থেকে ‘সাভার টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট’ নামের একটি কলেজের মাঠে মাটি ভরাটের জন্য ১০ টন গম খরচ দেখানো হয়। কিন্তু সাভার ইউনিয়নের কোনো এলাকায় ওই নামে কোনো প্রতিষ্ঠান পাওয়া যায়নি। পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আশুলিয়ার ধামসোনা ইউনিয়নের ডগরতলি গ্রামে ওই নামে একটি কলেজ রয়েছে।
কলেজের সদ্য সাবেক অধ্যক্ষ হোসনে আরা বলেন, ‘সাভার পৌর এলাকার ওয়াপদা রোডের একটি ভাড়া বাসায় কলেজের কার্যক্রম চলত। পদাধিকার বলে কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতির দায়িত্বে থাকা সাভারের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বাঁশবাড়ী মৌজা থেকে কলেজের নামে ৫০ শতাংশ অর্পিত সম্পত্তি একসনা লিজ দেওয়ার পর গত ফেব্রুয়ারি মাসে কলেজটি সেখানে স্থানান্তর করা হয়।’
গত বৃহস্পতিবার ডগরতলিতে গিয়ে দেখা যায়, হাজী যান মোহাম্মদ উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠের এক কোণে কলেজের একটি সাইনবোর্ড রয়েছে। তাঁর পাশেই ২০ বর্গফুট আয়তনের দুটি কক্ষের ছোট্ট একটি আধা পাকা ভবন রয়েছে, যা শিক্ষকদের চাঁদার টাকায় নির্মাণ করা হয় বলে শিক্ষকেরা জানান।
কলেজের শিক্ষার্থীরা জানান, কয়েক মাস আগে ওই ভবনের সামনের কয়েক বর্গফুট নিচু ভূমি বালু ফেলে ভরাট করা হয়েছে, যা কলেজের মাঠ নয়।
কলেজের সহকারী অধ্যাপক হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘২০২৪-২৫ অর্থবছরে মাঠে মাটি ভরাটের জন্য ১০ টন গম বরাদ্দ দেওয়া হয়। ওই গম বিক্রি করে শ্রেণিকক্ষের সামনে বালু ফেলা হয়েছে। আমরা নিজেরা কোনো খরচ করিনি।’
জানতে চাইলে সাভার উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ফাইজুল ইসলাম বলেন, ‘টিআর, কাবিটা ও কাবিখার প্রকল্প অনুমোদন হওয়ার পর বরাদ্দের টাকা, চাল বা গম প্রকল্প কমিটির সভাপতিকে দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে টাকার ক্ষেত্রে প্রকল্প কমিটির সভাপতির নামে চেক দেওয়া হয়েছে। টাকা, চাল কিংবা গম পাওয়ার পর প্রকল্প কমিটি তা ব্যয় করেছে। সংগত কারণেই আমার দপ্তর থেকে টাকা খরচ বা কেনাকাটা করার কোনো সুযোগ নেই। কেউ এমন তথ্য বা অভিযোগ দিয়ে থাকলে তা সত্য নয়। কোনো প্রতিষ্ঠানের বরাদ্দের টাকা ও চাল বা গম নয়ছয় হয়ে থাকলে এবং তার প্রমাণ পাওয়া গেলে ওই সব প্রতিষ্ঠানের প্রকল্প কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সাভারের সদ্য সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবুবকর সরকার বলেন, ‘পদাধিকার বলে আমি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সভাপতি ছিলাম। কিন্তু কোনো প্রকল্প কমিটির সভাপতি ছিলাম না। বরাদ্দের অর্থ বা শস্য প্রকল্প কমিটির সভাপতিকে দেওয়া হয়েছে। তাঁরাই ওই সব টাকা বা শস্য খরচ করেছেন। বরাদ্দের অর্থ বা শস্য ব্যয়ের ক্ষেত্রে কোনো অনিয়ম হয়েছে কি না, তা আমার জানা নেই।’
সাভারের বিভিন্ন প্রকল্পে অনিয়মের বিষয়ে কথা হলে সাভারের বর্তমান ইউএনও মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘আমি সদ্য যোগদান করলাম। আগের কোনো প্রকল্পে অনিয়ম হলে খোঁজখবর নিয়ে দেখব।’

ঢাকার সাভার উপজেলা পরিষদ চত্বরে অবস্থিত কলকাকলী শিক্ষালয়ের ‘মিনি পার্কে’ রাইড স্থাপন করা হয়েছে—এমন তথ্য রয়েছে সরকারি প্রকল্প বাস্তবায়নের কাগজে। প্রকল্পটিতে ৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা ব্যয় দেখানো হয়েছে। কিন্তু সরেজমিনে বিদ্যালয়টিতে কোনো মিনি পার্কের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। তবে বিদ্যালয়ের পাশে উপজেলা পরিষদের মাঠের এক কোণে স্থাপিত কয়েকটি খেলনাসামগ্রী পাওয়া গেছে।
শুধু কলকাকলী শিক্ষালয়ের প্রকল্পই নয়, সাভার উপজেলা পরিষদ চত্বরের চারটি প্রকল্পসহ মোট পাঁচটির বিষয়ে অনুসন্ধানে নানা অনিয়ম-দুর্নীতির তথ্য পাওয়া গেছে। এর মধ্যে চারটি প্রকল্পে ১৫ লাখ ৮৩ হাজার টাকা এবং একটিতে ১০ টন গম ব্যয় দেখানো হয়েছে। সাভার উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার (পিআইও) কার্যালয় থেকে এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়।
তথ্য অধিকার আইনে সাভার উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে পাওয়া তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় থেকে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে সাভারে গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর) কর্মসূচির আওতায় উপজেলায় ১৬৩টি প্রকল্পের জন্য ২ কোটি ৮৫ লাখ ৪২ হাজার ৩৩৬, গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার (কাবিটা) কর্মসূচির আওতায় ৭৪টি প্রকল্পের জন্য ৩ কোটি ১২ লাখ ৯২ হাজার ৪৪৯ টাকা, একই কর্মসূচির (কাবিখা) আওতায় ২৯টি প্রকল্পের জন্য ২০৮ টন গম এবং ৩৪টি প্রকল্পের জন্য ২০৮ টন চালের বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
এসব প্রকল্পে অর্থ ও শস্য ব্যয়ের জন্য ৩০০টি প্রকল্প কমিটির গঠন করা হয়। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের প্রধান অথবা প্রতিষ্ঠান প্রধান কর্তৃক মনোনীত কর্মকর্তা বা ব্যক্তিরা প্রকল্প কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন এবং বরাদ্দের অর্থ ব্যয় করেন। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে সার্বিক বিষয়গুলো তদারকি ও বাস্তবায়ন করা হয়।
পিআইওর কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, উপজেলা পরিষদ চত্বরের চারটি প্রকল্পের মধ্যে কলকাকলী শিক্ষালয়ের ‘মিনি পার্কে’ রাইড স্থাপনের জন্য ৩ লাখ ৯০ হাজার, পরিষদের জামে মসজিদের উন্নয়নের জন্য ৫ লাখ ৩ হাজার, উপজেলা পরিষদ মাঠের চার পাশের হাঁটার পথে বাতি (ওয়াকওয়ের স্ট্রিট লাইট) স্থাপনের জন্য ৩ লাখ ৯০ হাজার, হাঁটার পথ (ওয়াকওয়ে) উন্নয়নের জন্য ৩ লাখ টাকা এবং সাভার পৌর এলাকার ওয়াপদা রোডের সাভার টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের মাঠে মাটি ভরাটের জন্য ১০ টন গম ব্যয় দেখানো হয়েছে।
গত বুধবার কলকাকলী শিক্ষালয়ে গিয়ে মিনি পার্কের কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। বিদ্যালয়ের পাশে উপজেলা পরিষদের মাঠের এক কোণে স্থাপিত দুটি স্টিলের দোলনা, একটি স্লিপার ও দুটি ঢেঁকি পাওয়া যায়, যেখানে কলকাকলী শিক্ষালয়ের শিক্ষার্থীরা খেলাধুলা করে সময় কাটাচ্ছিল।

জানতে চাইলে শিক্ষার্থীরা জানায়, তাদের বিদ্যালয়ে কোনো মিনি পার্ক নেই। কয়েক মাস আগে বিদ্যালয়সংলগ্ন উপজেলা পরিষদ মাঠের এক কোণে খেলাধুলার পাঁচটি সরঞ্জাম স্থাপন করা হয়েছে। এরপর থেকে সময় পেলে তারা সেখানে খেলাধুলা করে।
দুটি স্টিলের দোলনা, একটি স্লিপার ও দুটি ঢেঁকি স্থাপনে ৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা ব্যয় দেখানো নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন শিক্ষার্থীদের অভিভাবকেরা। তাঁদের সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষকও।
খেলাধুলার এসব সরঞ্জাম দেখে এবং মাপজোক করে সাভার শীতল অ্যান্ড সন্স ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপের মালিক পবন কুমার দাস বলেন, ‘এসব খেলনাসামগ্রী তৈরিতে দেড় লাখ টাকার বেশি খরচ হওয়ার কথা নয়।’
এ বিষয়ে কলকাকলী শিক্ষালয়ের প্রধান শিক্ষক ও খেলাধুলার সরঞ্জাম ক্রয়ের জন্য গঠিত প্রকল্প কমিটির সভাপতি সেলিমা বেগম বলেন, ‘কাগজ-কলমে আমাকে প্রকল্প কমিটির সভাপতি করা হলেও আমি কোনো টাকা খরচ করিনি। আমার ব্যক্তিগত ব্যাংক হিসাবে প্রকল্পের টাকা জমা হওয়ার পর সদ্য সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির বিদায়ী সভাপতি মো. আবুবকর সরকারের নির্দেশে সে টাকা উত্তোলন করি। এরপর তা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার (পিআইও) কার্যালয়ে জমা দিই। তাঁরা (পিআইওর কার্যালয়) সেই টাকা খরচ করে। আমাদের কোনো ভাউচারও দেয়নি।’
দুটি স্টিলের দোলনা, একটি স্লিপার ও দুটি ঢেঁকি স্থাপনে ৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা খরচ হতে পারে কি না—এমন প্রশ্ন করা হলে সেলিমা বেগম বলেন, ‘আমার জানা নেই। তবে এই কয়েকটা সরঞ্জামের জন্য এত টাকা খরচ হয়েছে বলে আমার মনে হয় না।’
২০২৪-২৫ অর্থবছরে উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সের জামে মসজিদের উন্নয়নে দুই দফায় ৫ লাখ ৩ হাজার টাকা ব্যয় দেখানো হয়েছে। কিন্তু ২০২৪-২৫ অর্থবছর শেষ হলেও মসজিদের উন্নয়নে সরকারি বরাদ্দের সেই টাকা খরচ করা হয়নি বলে জানান মসজিদের খাদেম ফজলুল হক।
মসজিদের ইমাম মাওলানা আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘২০২৪-২৫ অর্থবছরে মসজিদ উন্নয়নের জন্য প্রথম দফায় ১ লাখ ১৩ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। আমি প্রকল্প কমিটির সভাপতি হিসেবে ওই টাকা উত্তোলন করে মসজিদের ব্যাংক হিসেবে জমা রাখি। পরে মসজিদ পরিচালনা কমিটি ওই টাকা খরচ করেছে কি না, তা আমার জানা নেই। এ ছাড়া একই অর্থবছরে দ্বিতীয় দফায় আরও ৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা পাওয়া যায়। প্রকল্প কমিটির সভাপতি হিসেবে আমি ওই টাকা তুলে ব্যাংক হিসাবে জমা রেখেছি। অর্থবছর শেষ হয়ে গেলও তা এখনো খরচ করা হয়নি।’
তবে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক এস এম আব্দুল মজিদ বলেন, ‘গত অর্থবছরের বরাদ্দের টাকা এসি (শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র) কিনে এবং টাইলস স্থাপন করে খরচ করা হয়েছে। কোনো টাকা আমাদের হাতে বা ব্যাংকে জমা নেই।’
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ের অফিস সহকারী রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘২০২৪-২৫ অর্থবছরে উপজেলা কমপ্লেক্সের মসজিদের জন্য বরাদ্দের ৫ লাখ ৩ হাজার টাকায় এসি কেনা হয়েছে। এসি কেনার পর প্রকল্প কমিটির সভাপতি মসজিদের ইমাম আমাদের ভাউচার দিয়েছেন।’ কিন্তু ভাউচার দেখতে চাইলে তিনি (অফিস সহকারী রফিকুল ইসলাম) কোনো ভাউচার দেখাতে পারেননি।
উপজেলা পরিষদ মাঠের চার পাশের হাঁটার পথে বাতির (ওয়াকওয়ের স্ট্রিট লাইট) খোঁজ নিতে গিয়ে আটটি বাতির অস্তিত্ব পাওয়া যায়। মোটা টিনের পাত দিয়ে তৈরি খুঁটির প্রতিটিতে দুটি করে বাতি লাগানো হয়েছে, যা বিদ্যুতের সাহায্যে জ্বলে। পরিষদের কয়েকজন কর্মকর্তা বলেন, মাঠের চার পাশের হাঁটার পথে বাতি মাসপাঁচেক আগে স্থাপন করা হয়।
সাভার শীতল অ্যান্ড সন্স ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপের মালিক পবন কুমার দাস বলেন, ‘বাজারমূল্য অনুযায়ী প্রতিটি খুঁটি তৈরি করতে ১০ হাজার টাকার বেশি খরচ হওয়ার কথা নয়। এর সঙ্গে লাইট স্থাপনে আরও ৫ হাজার টাকা করে খরচ হতে পারে। কিন্তু এই আটটি বাতি স্থাপনে ৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা খরচ হওয়ার কথা নয়।’
অন্যদিকে হাঁটার পথ (ওয়াকওয়ে) উন্নয়নের জন্য ৩ লাখ টাকা ব্যয় দেখানো হলেও তার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। হাঁটার পথে যে টাইলস রয়েছে, তা ২০২৪-২৫ অর্থবছরের আগের অর্থবছরের বরাদ্দের টাকা থেকে ব্যয় করা হয়েছে বলে পিআইওর কার্যালয় থেকে জানানো হয়।
মাঠের এক কোণে স্থাপিত ছাউনিতে পরিষদের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এক আনসার সদস্য বলেন, ‘মাসপাঁচেক আগে পরিষদের মাঠে বালু ফেলে কয়েক ইঞ্চি উঁচু করতে দেখেছি। এরপর মাঠে কিছু ঘাস লাগানো হয়। আর মাঠে জমে থাকা পানি বের হওয়ার জন্য এক পাশে ৫ থেকে ৬ ফুট করে ৪টি সরু নালা তৈরি করা হয়েছে। হাঁটার রাস্তার কোনো সংস্কার বা উন্নয়ন করতে দেখিনি।’
সরবরাহ করা তথ্যে সাভার ইউনিয়নের কাবিখার বরাদ্দ থেকে ‘সাভার টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট’ নামের একটি কলেজের মাঠে মাটি ভরাটের জন্য ১০ টন গম খরচ দেখানো হয়। কিন্তু সাভার ইউনিয়নের কোনো এলাকায় ওই নামে কোনো প্রতিষ্ঠান পাওয়া যায়নি। পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আশুলিয়ার ধামসোনা ইউনিয়নের ডগরতলি গ্রামে ওই নামে একটি কলেজ রয়েছে।
কলেজের সদ্য সাবেক অধ্যক্ষ হোসনে আরা বলেন, ‘সাভার পৌর এলাকার ওয়াপদা রোডের একটি ভাড়া বাসায় কলেজের কার্যক্রম চলত। পদাধিকার বলে কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতির দায়িত্বে থাকা সাভারের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বাঁশবাড়ী মৌজা থেকে কলেজের নামে ৫০ শতাংশ অর্পিত সম্পত্তি একসনা লিজ দেওয়ার পর গত ফেব্রুয়ারি মাসে কলেজটি সেখানে স্থানান্তর করা হয়।’
গত বৃহস্পতিবার ডগরতলিতে গিয়ে দেখা যায়, হাজী যান মোহাম্মদ উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠের এক কোণে কলেজের একটি সাইনবোর্ড রয়েছে। তাঁর পাশেই ২০ বর্গফুট আয়তনের দুটি কক্ষের ছোট্ট একটি আধা পাকা ভবন রয়েছে, যা শিক্ষকদের চাঁদার টাকায় নির্মাণ করা হয় বলে শিক্ষকেরা জানান।
কলেজের শিক্ষার্থীরা জানান, কয়েক মাস আগে ওই ভবনের সামনের কয়েক বর্গফুট নিচু ভূমি বালু ফেলে ভরাট করা হয়েছে, যা কলেজের মাঠ নয়।
কলেজের সহকারী অধ্যাপক হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘২০২৪-২৫ অর্থবছরে মাঠে মাটি ভরাটের জন্য ১০ টন গম বরাদ্দ দেওয়া হয়। ওই গম বিক্রি করে শ্রেণিকক্ষের সামনে বালু ফেলা হয়েছে। আমরা নিজেরা কোনো খরচ করিনি।’
জানতে চাইলে সাভার উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ফাইজুল ইসলাম বলেন, ‘টিআর, কাবিটা ও কাবিখার প্রকল্প অনুমোদন হওয়ার পর বরাদ্দের টাকা, চাল বা গম প্রকল্প কমিটির সভাপতিকে দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে টাকার ক্ষেত্রে প্রকল্প কমিটির সভাপতির নামে চেক দেওয়া হয়েছে। টাকা, চাল কিংবা গম পাওয়ার পর প্রকল্প কমিটি তা ব্যয় করেছে। সংগত কারণেই আমার দপ্তর থেকে টাকা খরচ বা কেনাকাটা করার কোনো সুযোগ নেই। কেউ এমন তথ্য বা অভিযোগ দিয়ে থাকলে তা সত্য নয়। কোনো প্রতিষ্ঠানের বরাদ্দের টাকা ও চাল বা গম নয়ছয় হয়ে থাকলে এবং তার প্রমাণ পাওয়া গেলে ওই সব প্রতিষ্ঠানের প্রকল্প কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সাভারের সদ্য সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবুবকর সরকার বলেন, ‘পদাধিকার বলে আমি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সভাপতি ছিলাম। কিন্তু কোনো প্রকল্প কমিটির সভাপতি ছিলাম না। বরাদ্দের অর্থ বা শস্য প্রকল্প কমিটির সভাপতিকে দেওয়া হয়েছে। তাঁরাই ওই সব টাকা বা শস্য খরচ করেছেন। বরাদ্দের অর্থ বা শস্য ব্যয়ের ক্ষেত্রে কোনো অনিয়ম হয়েছে কি না, তা আমার জানা নেই।’
সাভারের বিভিন্ন প্রকল্পে অনিয়মের বিষয়ে কথা হলে সাভারের বর্তমান ইউএনও মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘আমি সদ্য যোগদান করলাম। আগের কোনো প্রকল্পে অনিয়ম হলে খোঁজখবর নিয়ে দেখব।’

ময়মনসিংহ নগরীতে হেলে পড়া পাঁচতলা ভবনটি পরিদর্শন করেছে সিটি করপোরেশন ও জেলা প্রশাসন। এ সময় দেয়ালে ফাটল দেখা দেওয়ায় ও হেলা পড়ায় ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। একই সঙ্গে হেলে পড়া ভবন, নির্মাণাধীন গ্রিন ডেভেলপমেন্ট প্রতিষ্ঠানসহ তিনটি ভবনের মালিককে অনুমোদনসংশ্লিষ্ট কাগজপত্রসহ তলব করা হয়েছে।
৫ মিনিট আগে
সুদানে জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনে সন্ত্রাসীদের ড্রোন হামলায় নিহত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী সবুজ মিয়ার গাইবান্ধার বাড়িতে শোকের মাতম চলছে। তিনি মিশনের লন্ড্রি কর্মচারী ছিলেন।
১৯ মিনিট আগে
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে নির্বাচনী আচরণবিধি বাস্তবায়নে ব্যানার, ফেস্টুন, তোরণ ও বিলবোর্ড অপসারণ করেছে উপজেলা প্রশাসন। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আকিব ওসমানের নেতৃত্বে এই অভিযান চালানো হয়।
২৯ মিনিট আগে
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবিপ্রবি) এবং জাপানের ইয়ামানাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। আজ রোববার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে এই চুক্তি স্বাক্ষর হয়। পাবিপ্রবির পক্ষে উপাচার্য প্রফেসর ড. এস এম আব্দুল আওয়াল এবং ইয়ামানাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের
৩৫ মিনিট আগেময়মনসিংহ প্রতিনিধি

ময়মনসিংহ নগরীতে হেলে পড়া পাঁচতলা ভবনটি পরিদর্শন করেছে সিটি করপোরেশন ও জেলা প্রশাসন। এ সময় দেয়ালে ফাটল দেখা দেওয়ায় ও হেলা পড়ায় ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। একই সঙ্গে হেলে পড়া ভবন, নির্মাণাধীন গ্রিন ডেভেলপমেন্ট প্রতিষ্ঠানসহ তিনটি ভবনের মালিককে অনুমোদনসংশ্লিষ্ট কাগজপত্রসহ তলব করা হয়েছে।

আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে নগরীর গুলকিবাড়ী বাইলেন কাজি অফিসসংলগ্ন এলাকায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন (মসিক) ও জেলা প্রশাসন।
এ সময় মসিকের সচিব সুমনা আল মজিদ জানান, হেলে পড়া ভবন ও নির্মাণাধীন গ্রিন ডেভেলপমেন্টের প্রতিষ্ঠানের ভবন এবং পাশে সম্প্রতি নির্মিত ১৩ তলা ভবনটির মালিকদের ডাকা হয়েছে। এসব ভবন বিল্ডিং কোড মেনে নির্মাণ করা হয়েছে কি না, তা যাচাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সুমনা আল মজিদ জানান, ভবন তিনটি বিল্ডিং কোড মেনে নির্মাণ করা হয়নি। নির্মাণাধীন গ্রিন ডেভেলপমেন্ট প্রতিষ্ঠানের ভবনটিও বিল্ডিং কোড না মেনে পাইলিং করার কারণে পাশের ভবন হেলে পড়ার ঘটনা ঘটেছে। এ কারণে নির্মাণাধীন ভবনের পাইলিংয়ের কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এই অবস্থায় দেয়ালে ফাটল দেখা দেওয়ায় ও হেলা পড়ায় ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়।
মসিক সচিব বলেন, গ্রিন ডেভেলপমেন্ট প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ২০১৭ সালে তৎকালীন পৌরসভা থেকে ১৩ তলা ভবনের অনুমোদন নেওয়া হয়েছিল। নিয়ম অনুযায়ী অনুমোদন নেওয়ার তিন বছরের মধ্যে ভবনের নির্মাণকাজ শেষ করার কথা। কিন্তু এখন যে ভবনটি নির্মাণ করা হচ্ছে, এটির অনুমোদনের মেয়াদ প্রায় পাঁচ বছর আগে শেষ হয়ে গেছে। এ কারণে তাদের কাগজপত্রসহ তলব করা হয়েছে।
পরিদর্শনকালে আরও উপস্থিত ছিলেন মসিকের প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মিয়া, নকশা অনুমোদন কমিটির সদস্য প্রকৌশলী নেসার আহম্মেদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক উম্মে হাবীবা মীরা, ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা জুলহাস উদ্দিন, সহকারী পুলিশ সুপার তাহমিনা আক্তার, প্রকৌশলী মোতালেব প্রমুখ।
এদিকে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের দেখে তাঁদের কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরা অভিযোগ করেন, ভবন হেলে পড়ার ঘটনায় স্থানীয় লোকজন আতঙ্কিত। যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। কারণ, নগরীর বেশির ভাগ ভবন বিল্ডিং কোড মেনে নির্মাণ করা হয়নি। সরু রাস্তার পাশে ১৩ থেকে ২০ তলা ভবনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
গ্রিন ডেভেলপমেন্ট প্রাইভেট লিমিটেড প্রতিষ্ঠানের মালিকদের একজন জেলা জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির মো. কামরুল হাসান মিলন বলেন, ‘আমি প্রতিষ্ঠানের মালিকানায় আছি। তবে ভবন নির্মাণকাজ দেখভাল করছেন স্বপন নামের একজন। তাঁর সঙ্গে কথা বলুন।’
পরে ভবন নির্মাণের দায়িত্বে থাকা স্বপনের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন নম্বরে কল দেওয়া হলে তিনি তা ধরেননি।
অপর দিকে হেলে পড়া ভবনটির মালিকের নাম রিয়াজুল আমিন অরুণ। তিনি লন্ডনপ্রবাসী। তাঁর ভাই ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম লিটন এ তথ্য জানান।
রফিকুল ইসলাম লিটন বলেন, ‘সম্প্রতি ভবনের পাশের স্থানে গ্রিন ডেভেলপমেন্ট নামের প্রতিষ্ঠানটি বিল্ডিং কোড না মেনে বহুতল ভবনের পাইলিংয়ের কাজ শুরু করে। এ কারণে আমাদের পাঁচতলা ভবনটি হেলে পড়েছে। একই সঙ্গে ভবনের দেয়ালেও ফাটলের রেখা পড়েছে। পরে বিষয়টি ফায়ার সার্ভিসকে জানালে তারা সরেজমিনে এসে বেজমেন্টের কাজ বন্ধ করে দিয়ে আমাদের ভবনের বাসিন্দাদের সরিয়ে দিয়েছে। এ ঘটনায় আমরা আতঙ্কিত। কখন কী হয়, আল্লাহ ভালো জানেন।’
এর আগে গতকাল শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার দিকে হেলে পড়া ভবনটির দেয়ালে ও সামনের অংশের মাটিতে ফাটল দেখা দেয়। এরপরই বিষয়টি টের পেয়ে ভবনের বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম ঘটনাটি ফায়ার সার্ভিস কর্মীকে জানালে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে হেলে পড়া ভবনটির পাশে নির্মাণাধীন বহুতল ভবনের পাইলিংয়ের কাজ বন্ধ করে দেন। একই সঙ্গে ফায়াস সার্ভিস কর্মীরা হেলে পড়া ভবনের বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে বাসিন্দাদের সরিয়ে দিয়ে গেটে তালা ঝুলিয়ে দেন।

ময়মনসিংহ নগরীতে হেলে পড়া পাঁচতলা ভবনটি পরিদর্শন করেছে সিটি করপোরেশন ও জেলা প্রশাসন। এ সময় দেয়ালে ফাটল দেখা দেওয়ায় ও হেলা পড়ায় ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। একই সঙ্গে হেলে পড়া ভবন, নির্মাণাধীন গ্রিন ডেভেলপমেন্ট প্রতিষ্ঠানসহ তিনটি ভবনের মালিককে অনুমোদনসংশ্লিষ্ট কাগজপত্রসহ তলব করা হয়েছে।

আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে নগরীর গুলকিবাড়ী বাইলেন কাজি অফিসসংলগ্ন এলাকায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন (মসিক) ও জেলা প্রশাসন।
এ সময় মসিকের সচিব সুমনা আল মজিদ জানান, হেলে পড়া ভবন ও নির্মাণাধীন গ্রিন ডেভেলপমেন্টের প্রতিষ্ঠানের ভবন এবং পাশে সম্প্রতি নির্মিত ১৩ তলা ভবনটির মালিকদের ডাকা হয়েছে। এসব ভবন বিল্ডিং কোড মেনে নির্মাণ করা হয়েছে কি না, তা যাচাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সুমনা আল মজিদ জানান, ভবন তিনটি বিল্ডিং কোড মেনে নির্মাণ করা হয়নি। নির্মাণাধীন গ্রিন ডেভেলপমেন্ট প্রতিষ্ঠানের ভবনটিও বিল্ডিং কোড না মেনে পাইলিং করার কারণে পাশের ভবন হেলে পড়ার ঘটনা ঘটেছে। এ কারণে নির্মাণাধীন ভবনের পাইলিংয়ের কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এই অবস্থায় দেয়ালে ফাটল দেখা দেওয়ায় ও হেলা পড়ায় ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়।
মসিক সচিব বলেন, গ্রিন ডেভেলপমেন্ট প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ২০১৭ সালে তৎকালীন পৌরসভা থেকে ১৩ তলা ভবনের অনুমোদন নেওয়া হয়েছিল। নিয়ম অনুযায়ী অনুমোদন নেওয়ার তিন বছরের মধ্যে ভবনের নির্মাণকাজ শেষ করার কথা। কিন্তু এখন যে ভবনটি নির্মাণ করা হচ্ছে, এটির অনুমোদনের মেয়াদ প্রায় পাঁচ বছর আগে শেষ হয়ে গেছে। এ কারণে তাদের কাগজপত্রসহ তলব করা হয়েছে।
পরিদর্শনকালে আরও উপস্থিত ছিলেন মসিকের প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মিয়া, নকশা অনুমোদন কমিটির সদস্য প্রকৌশলী নেসার আহম্মেদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক উম্মে হাবীবা মীরা, ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা জুলহাস উদ্দিন, সহকারী পুলিশ সুপার তাহমিনা আক্তার, প্রকৌশলী মোতালেব প্রমুখ।
এদিকে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের দেখে তাঁদের কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরা অভিযোগ করেন, ভবন হেলে পড়ার ঘটনায় স্থানীয় লোকজন আতঙ্কিত। যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। কারণ, নগরীর বেশির ভাগ ভবন বিল্ডিং কোড মেনে নির্মাণ করা হয়নি। সরু রাস্তার পাশে ১৩ থেকে ২০ তলা ভবনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
গ্রিন ডেভেলপমেন্ট প্রাইভেট লিমিটেড প্রতিষ্ঠানের মালিকদের একজন জেলা জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির মো. কামরুল হাসান মিলন বলেন, ‘আমি প্রতিষ্ঠানের মালিকানায় আছি। তবে ভবন নির্মাণকাজ দেখভাল করছেন স্বপন নামের একজন। তাঁর সঙ্গে কথা বলুন।’
পরে ভবন নির্মাণের দায়িত্বে থাকা স্বপনের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন নম্বরে কল দেওয়া হলে তিনি তা ধরেননি।
অপর দিকে হেলে পড়া ভবনটির মালিকের নাম রিয়াজুল আমিন অরুণ। তিনি লন্ডনপ্রবাসী। তাঁর ভাই ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম লিটন এ তথ্য জানান।
রফিকুল ইসলাম লিটন বলেন, ‘সম্প্রতি ভবনের পাশের স্থানে গ্রিন ডেভেলপমেন্ট নামের প্রতিষ্ঠানটি বিল্ডিং কোড না মেনে বহুতল ভবনের পাইলিংয়ের কাজ শুরু করে। এ কারণে আমাদের পাঁচতলা ভবনটি হেলে পড়েছে। একই সঙ্গে ভবনের দেয়ালেও ফাটলের রেখা পড়েছে। পরে বিষয়টি ফায়ার সার্ভিসকে জানালে তারা সরেজমিনে এসে বেজমেন্টের কাজ বন্ধ করে দিয়ে আমাদের ভবনের বাসিন্দাদের সরিয়ে দিয়েছে। এ ঘটনায় আমরা আতঙ্কিত। কখন কী হয়, আল্লাহ ভালো জানেন।’
এর আগে গতকাল শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার দিকে হেলে পড়া ভবনটির দেয়ালে ও সামনের অংশের মাটিতে ফাটল দেখা দেয়। এরপরই বিষয়টি টের পেয়ে ভবনের বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম ঘটনাটি ফায়ার সার্ভিস কর্মীকে জানালে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে হেলে পড়া ভবনটির পাশে নির্মাণাধীন বহুতল ভবনের পাইলিংয়ের কাজ বন্ধ করে দেন। একই সঙ্গে ফায়াস সার্ভিস কর্মীরা হেলে পড়া ভবনের বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে বাসিন্দাদের সরিয়ে দিয়ে গেটে তালা ঝুলিয়ে দেন।

ঢাকার সাভার উপজেলা পরিষদ চত্বরে অবস্থিত কলকাকলী শিক্ষালয়ের ‘মিনি পার্কে’ রাইড স্থাপন করা হয়েছে—এমন তথ্য রয়েছে সরকারি প্রকল্প বাস্তবায়নের কাগজে। প্রকল্পটিতে ৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা ব্যয় দেখানো হয়েছে। কিন্তু সরেজমিনে বিদ্যালয়টিতে কোনো মিনি পার্কের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।
২২ দিন আগে
সুদানে জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনে সন্ত্রাসীদের ড্রোন হামলায় নিহত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী সবুজ মিয়ার গাইবান্ধার বাড়িতে শোকের মাতম চলছে। তিনি মিশনের লন্ড্রি কর্মচারী ছিলেন।
১৯ মিনিট আগে
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে নির্বাচনী আচরণবিধি বাস্তবায়নে ব্যানার, ফেস্টুন, তোরণ ও বিলবোর্ড অপসারণ করেছে উপজেলা প্রশাসন। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আকিব ওসমানের নেতৃত্বে এই অভিযান চালানো হয়।
২৯ মিনিট আগে
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবিপ্রবি) এবং জাপানের ইয়ামানাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। আজ রোববার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে এই চুক্তি স্বাক্ষর হয়। পাবিপ্রবির পক্ষে উপাচার্য প্রফেসর ড. এস এম আব্দুল আওয়াল এবং ইয়ামানাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের
৩৫ মিনিট আগেগাইবান্ধা, প্রতিনিধি

সুদানে জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনে সন্ত্রাসীদের ড্রোন হামলায় নিহত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী সবুজ মিয়ার গাইবান্ধার বাড়িতে শোকের মাতম চলছে। তিনি মিশনের লন্ড্রি কর্মচারী ছিলেন।
সবুজ মিয়া পলাশবাড়ী উপজেলার মহদীপুর ইউনিয়নের আমলাগাছি (ছোট ভবনপুর) গ্রামের মৃত হাবিদুল ইসলামের ও ছকিনা বেগমের ছেলে।

মহদীপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও স্থানীয় বাসিন্দা ফিরোজ আকন্দ জানান, প্রায় সাত-আট বছর আগে সবুজ মিয়া বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে লন্ড্রি কর্মচারী হিসেবে যোগদান করেন। এক ভাই ও এক বোনের মধ্যে সবুজ মিয়া ছিলেন ছোট। তাঁর বড় বোনের বিয়ে হয়েছে। সবুজ মিয়া এক বছর আগে বিয়ে করেন। তাঁর স্ত্রী ও মা এখন বাড়িতে আছে। সবুজ মিয়ার মৃত্যুর খবরে পরিবারে মাতম চলছে। একই সঙ্গে গ্রামজুড়েই নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
এ বিষয়ে পলাশবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ জাবের আহমেদ বলেন, নিহতের বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে এবং প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে। দ্রুত এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত জানানো হবে।
উল্লেখ্য, সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনের আওতাধীন কাদুগলি লজিস্টিক বেসে সন্ত্রাসী ড্রোন হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ছয়জন শান্তিরক্ষী শহীদ হয়েছেন এবং আটজন আহত হয়েছেন। গতকাল শনিবার স্থানীয় সময় আনুমানিক বেলা ৩টা ৪০ মিনিট থেকে ৩টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠী এই নৃশংস ড্রোন হামলা চালায় বলে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

সুদানে জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনে সন্ত্রাসীদের ড্রোন হামলায় নিহত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী সবুজ মিয়ার গাইবান্ধার বাড়িতে শোকের মাতম চলছে। তিনি মিশনের লন্ড্রি কর্মচারী ছিলেন।
সবুজ মিয়া পলাশবাড়ী উপজেলার মহদীপুর ইউনিয়নের আমলাগাছি (ছোট ভবনপুর) গ্রামের মৃত হাবিদুল ইসলামের ও ছকিনা বেগমের ছেলে।

মহদীপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও স্থানীয় বাসিন্দা ফিরোজ আকন্দ জানান, প্রায় সাত-আট বছর আগে সবুজ মিয়া বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে লন্ড্রি কর্মচারী হিসেবে যোগদান করেন। এক ভাই ও এক বোনের মধ্যে সবুজ মিয়া ছিলেন ছোট। তাঁর বড় বোনের বিয়ে হয়েছে। সবুজ মিয়া এক বছর আগে বিয়ে করেন। তাঁর স্ত্রী ও মা এখন বাড়িতে আছে। সবুজ মিয়ার মৃত্যুর খবরে পরিবারে মাতম চলছে। একই সঙ্গে গ্রামজুড়েই নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
এ বিষয়ে পলাশবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ জাবের আহমেদ বলেন, নিহতের বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে এবং প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে। দ্রুত এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত জানানো হবে।
উল্লেখ্য, সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনের আওতাধীন কাদুগলি লজিস্টিক বেসে সন্ত্রাসী ড্রোন হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ছয়জন শান্তিরক্ষী শহীদ হয়েছেন এবং আটজন আহত হয়েছেন। গতকাল শনিবার স্থানীয় সময় আনুমানিক বেলা ৩টা ৪০ মিনিট থেকে ৩টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠী এই নৃশংস ড্রোন হামলা চালায় বলে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

ঢাকার সাভার উপজেলা পরিষদ চত্বরে অবস্থিত কলকাকলী শিক্ষালয়ের ‘মিনি পার্কে’ রাইড স্থাপন করা হয়েছে—এমন তথ্য রয়েছে সরকারি প্রকল্প বাস্তবায়নের কাগজে। প্রকল্পটিতে ৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা ব্যয় দেখানো হয়েছে। কিন্তু সরেজমিনে বিদ্যালয়টিতে কোনো মিনি পার্কের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।
২২ দিন আগে
ময়মনসিংহ নগরীতে হেলে পড়া পাঁচতলা ভবনটি পরিদর্শন করেছে সিটি করপোরেশন ও জেলা প্রশাসন। এ সময় দেয়ালে ফাটল দেখা দেওয়ায় ও হেলা পড়ায় ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। একই সঙ্গে হেলে পড়া ভবন, নির্মাণাধীন গ্রিন ডেভেলপমেন্ট প্রতিষ্ঠানসহ তিনটি ভবনের মালিককে অনুমোদনসংশ্লিষ্ট কাগজপত্রসহ তলব করা হয়েছে।
৫ মিনিট আগে
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে নির্বাচনী আচরণবিধি বাস্তবায়নে ব্যানার, ফেস্টুন, তোরণ ও বিলবোর্ড অপসারণ করেছে উপজেলা প্রশাসন। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আকিব ওসমানের নেতৃত্বে এই অভিযান চালানো হয়।
২৯ মিনিট আগে
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবিপ্রবি) এবং জাপানের ইয়ামানাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। আজ রোববার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে এই চুক্তি স্বাক্ষর হয়। পাবিপ্রবির পক্ষে উপাচার্য প্রফেসর ড. এস এম আব্দুল আওয়াল এবং ইয়ামানাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের
৩৫ মিনিট আগেসুবর্ণচর (নোয়াখালী) প্রতিনিধি

নোয়াখালীর সুবর্ণচরে নির্বাচনী আচরণবিধি বাস্তবায়নে ব্যানার, ফেস্টুন, তোরণ ও বিলবোর্ড অপসারণ করেছে উপজেলা প্রশাসন।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আকিব ওসমানের নেতৃত্বে এই অভিযান চালানো হয়।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সব ধরনের রাজনৈতিক প্রচারসামগ্রী অপসারণের কথা থাকলেও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তা সরানো হয়নি। ফলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সরাসরি উদ্যোগ নেওয়া হয়।
এর আগে গত শনিবার রাতে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মাইকিং করে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজ নিজ ব্যানার, ফেস্টুন, তোরণ ও বিলবোর্ড নিজ দায়িত্বে অপসারণের জন্য অনুরোধ জানানো হয়। নির্দেশনা অমান্য করায় রোববার দুপুরে প্রশাসন নিজ উদ্যোগে এসব প্রচারসামগ্রী অপসারণ করে।
অভিযান পরিচালনায় সহযোগিতা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ছেনমং রাখাইন ও চরজব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লুৎফর রহমানসহ পুলিশ সদস্যরা। এ ছাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও অভিযানে অংশ নেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আকিব ওসমান বলেন, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী উপজেলায় সব রাজনৈতিক ব্যানার, ফেস্টুন, তোরণ ও বিলবোর্ড অপসারণ করা হচ্ছে। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্যভাবে আয়োজন করতে উপজেলা প্রশাসন বদ্ধপরিকর।

নোয়াখালীর সুবর্ণচরে নির্বাচনী আচরণবিধি বাস্তবায়নে ব্যানার, ফেস্টুন, তোরণ ও বিলবোর্ড অপসারণ করেছে উপজেলা প্রশাসন।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আকিব ওসমানের নেতৃত্বে এই অভিযান চালানো হয়।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সব ধরনের রাজনৈতিক প্রচারসামগ্রী অপসারণের কথা থাকলেও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তা সরানো হয়নি। ফলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সরাসরি উদ্যোগ নেওয়া হয়।
এর আগে গত শনিবার রাতে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মাইকিং করে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজ নিজ ব্যানার, ফেস্টুন, তোরণ ও বিলবোর্ড নিজ দায়িত্বে অপসারণের জন্য অনুরোধ জানানো হয়। নির্দেশনা অমান্য করায় রোববার দুপুরে প্রশাসন নিজ উদ্যোগে এসব প্রচারসামগ্রী অপসারণ করে।
অভিযান পরিচালনায় সহযোগিতা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ছেনমং রাখাইন ও চরজব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লুৎফর রহমানসহ পুলিশ সদস্যরা। এ ছাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও অভিযানে অংশ নেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আকিব ওসমান বলেন, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী উপজেলায় সব রাজনৈতিক ব্যানার, ফেস্টুন, তোরণ ও বিলবোর্ড অপসারণ করা হচ্ছে। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্যভাবে আয়োজন করতে উপজেলা প্রশাসন বদ্ধপরিকর।

ঢাকার সাভার উপজেলা পরিষদ চত্বরে অবস্থিত কলকাকলী শিক্ষালয়ের ‘মিনি পার্কে’ রাইড স্থাপন করা হয়েছে—এমন তথ্য রয়েছে সরকারি প্রকল্প বাস্তবায়নের কাগজে। প্রকল্পটিতে ৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা ব্যয় দেখানো হয়েছে। কিন্তু সরেজমিনে বিদ্যালয়টিতে কোনো মিনি পার্কের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।
২২ দিন আগে
ময়মনসিংহ নগরীতে হেলে পড়া পাঁচতলা ভবনটি পরিদর্শন করেছে সিটি করপোরেশন ও জেলা প্রশাসন। এ সময় দেয়ালে ফাটল দেখা দেওয়ায় ও হেলা পড়ায় ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। একই সঙ্গে হেলে পড়া ভবন, নির্মাণাধীন গ্রিন ডেভেলপমেন্ট প্রতিষ্ঠানসহ তিনটি ভবনের মালিককে অনুমোদনসংশ্লিষ্ট কাগজপত্রসহ তলব করা হয়েছে।
৫ মিনিট আগে
সুদানে জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনে সন্ত্রাসীদের ড্রোন হামলায় নিহত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী সবুজ মিয়ার গাইবান্ধার বাড়িতে শোকের মাতম চলছে। তিনি মিশনের লন্ড্রি কর্মচারী ছিলেন।
১৯ মিনিট আগে
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবিপ্রবি) এবং জাপানের ইয়ামানাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। আজ রোববার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে এই চুক্তি স্বাক্ষর হয়। পাবিপ্রবির পক্ষে উপাচার্য প্রফেসর ড. এস এম আব্দুল আওয়াল এবং ইয়ামানাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের
৩৫ মিনিট আগেপাবনা প্রতিনিধি

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবিপ্রবি) এবং জাপানের ইয়ামানাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। আজ রোববার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে এই চুক্তি স্বাক্ষর হয়। পাবিপ্রবির পক্ষে উপাচার্য প্রফেসর ড. এস এম আব্দুল আওয়াল এবং ইয়ামানাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে ভাইস প্রেডিডেন্ট প্রফেসর ড. মাসানারি হানাওয়া চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
এই সমঝোতা স্মারক চুক্তির ফলে উভয় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষাগত ও একাডেমিক সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করবে। পাবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা জাপানের মর্যাদাপূর্ণ মেক্সট স্কলারশিপ লাভ করবে। স্কলারশিপ প্রাপ্তরা জাপানে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ, নতুন প্রযুক্তি ও গবেষণার সঙ্গে পরিচিত হবেন এবং একাডেমিক অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবেন।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপাচার্য প্রফেসর ড. এস এম আব্দুল আওয়াল বলেন, ‘১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর আমাদের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে মেধাশূন্য করা হয়েছিল। আমরা আজকে সমঝোতা স্মারক চুক্তির দিন হিসেবে বেছে নিয়েছি। কারণ, আমরা বুদ্ধিবৃত্তিক মানুষ গড়তে চাই। আমরা প্রমাণ করতে চাই আমরা হেরে যাইনি।’
প্রফেসর ড. মাসানারি হানাওয়া বলেন, ‘সমঝোতা স্মারক চুক্তির ফলে শিক্ষা, গবেষণা, রিসোর্স এবং মানবসম্পদ তৈরির লক্ষ্যে আমরা উভয়ে মিলে কাজ করব। আমরা কার্যকর সমঝোতা গড়ে তুলব। আমাদের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ক তৈরি হবে। ফলে আমাদের মধ্যে জ্ঞানের অংশীদারত্বের পথ সৃষ্টি হবে। এতে আমরা দুই পক্ষই লাভবান হব।’

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবিপ্রবি) এবং জাপানের ইয়ামানাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। আজ রোববার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে এই চুক্তি স্বাক্ষর হয়। পাবিপ্রবির পক্ষে উপাচার্য প্রফেসর ড. এস এম আব্দুল আওয়াল এবং ইয়ামানাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে ভাইস প্রেডিডেন্ট প্রফেসর ড. মাসানারি হানাওয়া চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
এই সমঝোতা স্মারক চুক্তির ফলে উভয় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষাগত ও একাডেমিক সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করবে। পাবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা জাপানের মর্যাদাপূর্ণ মেক্সট স্কলারশিপ লাভ করবে। স্কলারশিপ প্রাপ্তরা জাপানে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ, নতুন প্রযুক্তি ও গবেষণার সঙ্গে পরিচিত হবেন এবং একাডেমিক অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবেন।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপাচার্য প্রফেসর ড. এস এম আব্দুল আওয়াল বলেন, ‘১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর আমাদের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে মেধাশূন্য করা হয়েছিল। আমরা আজকে সমঝোতা স্মারক চুক্তির দিন হিসেবে বেছে নিয়েছি। কারণ, আমরা বুদ্ধিবৃত্তিক মানুষ গড়তে চাই। আমরা প্রমাণ করতে চাই আমরা হেরে যাইনি।’
প্রফেসর ড. মাসানারি হানাওয়া বলেন, ‘সমঝোতা স্মারক চুক্তির ফলে শিক্ষা, গবেষণা, রিসোর্স এবং মানবসম্পদ তৈরির লক্ষ্যে আমরা উভয়ে মিলে কাজ করব। আমরা কার্যকর সমঝোতা গড়ে তুলব। আমাদের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ক তৈরি হবে। ফলে আমাদের মধ্যে জ্ঞানের অংশীদারত্বের পথ সৃষ্টি হবে। এতে আমরা দুই পক্ষই লাভবান হব।’

ঢাকার সাভার উপজেলা পরিষদ চত্বরে অবস্থিত কলকাকলী শিক্ষালয়ের ‘মিনি পার্কে’ রাইড স্থাপন করা হয়েছে—এমন তথ্য রয়েছে সরকারি প্রকল্প বাস্তবায়নের কাগজে। প্রকল্পটিতে ৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা ব্যয় দেখানো হয়েছে। কিন্তু সরেজমিনে বিদ্যালয়টিতে কোনো মিনি পার্কের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।
২২ দিন আগে
ময়মনসিংহ নগরীতে হেলে পড়া পাঁচতলা ভবনটি পরিদর্শন করেছে সিটি করপোরেশন ও জেলা প্রশাসন। এ সময় দেয়ালে ফাটল দেখা দেওয়ায় ও হেলা পড়ায় ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। একই সঙ্গে হেলে পড়া ভবন, নির্মাণাধীন গ্রিন ডেভেলপমেন্ট প্রতিষ্ঠানসহ তিনটি ভবনের মালিককে অনুমোদনসংশ্লিষ্ট কাগজপত্রসহ তলব করা হয়েছে।
৫ মিনিট আগে
সুদানে জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনে সন্ত্রাসীদের ড্রোন হামলায় নিহত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী সবুজ মিয়ার গাইবান্ধার বাড়িতে শোকের মাতম চলছে। তিনি মিশনের লন্ড্রি কর্মচারী ছিলেন।
১৯ মিনিট আগে
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে নির্বাচনী আচরণবিধি বাস্তবায়নে ব্যানার, ফেস্টুন, তোরণ ও বিলবোর্ড অপসারণ করেছে উপজেলা প্রশাসন। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আকিব ওসমানের নেতৃত্বে এই অভিযান চালানো হয়।
২৯ মিনিট আগে