মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি
মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামের বাসিন্দাদারে মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন টেঁটাবিদ্ধসহ আহত হয়েছেন ২৩ জন। আজ সোমবার বেলা ২টার দিকে উপজেলার বালুচর ইউনিয়নের বাচুরবাজারে মোল্লাকান্দি ও খাসমহল গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়।
এতে টেঁটাবিদ্ধ হয়েছেন খাসমহল বালুচর গ্রামের আলমগীর হোসেনের ছেলে মোহাম্মদ মিলন মিয়া(৩০), শিপনের ছেলে বিজয় (১৭)। এ ছাড়া অন্য টেঁটাবিদ্ধসহ আহত ব্যক্তিদের বিভিন্ন স্থানে গোপনে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বালুচর বাজারে মোল্লাকান্দি গ্রামের সুরুজ মিয়ার ছেলে শাহীন ব্যাপারী তাঁর মালিকানাধীন একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা গ্যারেজে ছয় মাসের বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রাখেন। আজ বেলা ১টার দিকে সিরাজদিখান পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের এক কর্মকর্তা বকেয়া বিলের তাগাদা দিতে যান। পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের ওই কর্মকর্তার সঙ্গে খাসমহল গ্রামের আনোয়ার সরদারের ছেলে সুলতান সরদারও ওই গ্যারেজে যান। সে সময় পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের ওই কর্মকর্তার সঙ্গে শাহীন ব্যাপারীর বাগ্বিতণ্ডা হয়। সুলতান সরদার বিদ্যুৎ কর্মকর্তার পক্ষ নিয়ে শাহীন ব্যাপারীর সঙ্গে ঝগড়ায় জড়ান। এ নিয়ে সুলতান সরদারকে মারধর করেন শাহীন।
সুলতান বিষয়টি তাঁর গ্রামের (খাসমহল) লোকজনকে জানান। ওই গ্রামের লোকজন টেঁটা ও লাঠিসোঁটা নিয়ে মোল্লাকান্দি গ্রামে আসেন। মোল্লাকান্দির লোকজনও বিষয়টি জানতে পেরে টেঁটা, লাঠি, ইটপাটকেল নিয়ে জড়ো হন। সে সময় দুই গ্রামের মানুষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন টেঁটাবিদ্ধ হন। ইটের আঘাত ও লাঠিপেটায় আহত হন আরও বেশ কয়েকজন। এ ছাড়া ভাঙচুর করা হয়েছে বালুচর বাজারের অন্তত ৭-৮টি দোকান। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও সিরাজদিখান থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে দুপক্ষ পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত ব্যক্তিদের গোপনে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠনো হয়। অন্যদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
খাসমহল এলাকার বাসিন্দা ও বালুচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আওলাদ হোসেন বলেন, ‘বিদ্যুতের বিল চাওয়াকে কেন্দ্র করে আমাদের গ্রামের একজনকে মারধর করে মোল্লাকান্দি গ্রামের মানুষজন। এ ঘটনার প্রতিবাদ করতে গেলে মোল্লাকান্দির মানুষজন আমাদের লোকজনের ওপর হামলা করে। এতে আমাদের গ্রামের ৭-৮ জন টেঁটাবিদ্ধ হয়েছে। দুজন গুরুতর অবস্থায় ঢাকায় আছে।’
মোল্লাকান্দি গ্রামের পক্ষের আমির হোসেন বলেন, ‘বিদ্যুতের বিল নিয়ে ঝগড়ার কথা শুনেছিলাম। পরে আমরা এসেছিলাম ঝগড়া মীমাংসা করতে। সে সময় খাসমহল গ্রামের কয়েক শ মানুষ আমাদের ওপরে টেঁটা, লাঠিসোঁটা নিয়ে অতর্কিত হামলা করে। এতে আমিসহ আমাদের অন্তত ১৫ জন টেঁটাবিদ্ধ হয়েছে। আমাদের যারা টেঁটাবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছে, তারা গোপনে চিকিৎসা নিচ্ছে। গ্রেপ্তার এড়াতে আত্মগোপনে রয়েছে।’
বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। বালুচর বাজার এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে বলে জানান সিরাজদিখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহেদ আল মামুন। তিনি বলেন, ‘অনেকে আহত হয়েছে শুনেছি। তবে কারও নাম-পরিচয় জানা যায়নি। এ ঘটনায় যারা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামের বাসিন্দাদারে মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন টেঁটাবিদ্ধসহ আহত হয়েছেন ২৩ জন। আজ সোমবার বেলা ২টার দিকে উপজেলার বালুচর ইউনিয়নের বাচুরবাজারে মোল্লাকান্দি ও খাসমহল গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়।
এতে টেঁটাবিদ্ধ হয়েছেন খাসমহল বালুচর গ্রামের আলমগীর হোসেনের ছেলে মোহাম্মদ মিলন মিয়া(৩০), শিপনের ছেলে বিজয় (১৭)। এ ছাড়া অন্য টেঁটাবিদ্ধসহ আহত ব্যক্তিদের বিভিন্ন স্থানে গোপনে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বালুচর বাজারে মোল্লাকান্দি গ্রামের সুরুজ মিয়ার ছেলে শাহীন ব্যাপারী তাঁর মালিকানাধীন একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা গ্যারেজে ছয় মাসের বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রাখেন। আজ বেলা ১টার দিকে সিরাজদিখান পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের এক কর্মকর্তা বকেয়া বিলের তাগাদা দিতে যান। পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের ওই কর্মকর্তার সঙ্গে খাসমহল গ্রামের আনোয়ার সরদারের ছেলে সুলতান সরদারও ওই গ্যারেজে যান। সে সময় পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের ওই কর্মকর্তার সঙ্গে শাহীন ব্যাপারীর বাগ্বিতণ্ডা হয়। সুলতান সরদার বিদ্যুৎ কর্মকর্তার পক্ষ নিয়ে শাহীন ব্যাপারীর সঙ্গে ঝগড়ায় জড়ান। এ নিয়ে সুলতান সরদারকে মারধর করেন শাহীন।
সুলতান বিষয়টি তাঁর গ্রামের (খাসমহল) লোকজনকে জানান। ওই গ্রামের লোকজন টেঁটা ও লাঠিসোঁটা নিয়ে মোল্লাকান্দি গ্রামে আসেন। মোল্লাকান্দির লোকজনও বিষয়টি জানতে পেরে টেঁটা, লাঠি, ইটপাটকেল নিয়ে জড়ো হন। সে সময় দুই গ্রামের মানুষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন টেঁটাবিদ্ধ হন। ইটের আঘাত ও লাঠিপেটায় আহত হন আরও বেশ কয়েকজন। এ ছাড়া ভাঙচুর করা হয়েছে বালুচর বাজারের অন্তত ৭-৮টি দোকান। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও সিরাজদিখান থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে দুপক্ষ পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত ব্যক্তিদের গোপনে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠনো হয়। অন্যদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
খাসমহল এলাকার বাসিন্দা ও বালুচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আওলাদ হোসেন বলেন, ‘বিদ্যুতের বিল চাওয়াকে কেন্দ্র করে আমাদের গ্রামের একজনকে মারধর করে মোল্লাকান্দি গ্রামের মানুষজন। এ ঘটনার প্রতিবাদ করতে গেলে মোল্লাকান্দির মানুষজন আমাদের লোকজনের ওপর হামলা করে। এতে আমাদের গ্রামের ৭-৮ জন টেঁটাবিদ্ধ হয়েছে। দুজন গুরুতর অবস্থায় ঢাকায় আছে।’
মোল্লাকান্দি গ্রামের পক্ষের আমির হোসেন বলেন, ‘বিদ্যুতের বিল নিয়ে ঝগড়ার কথা শুনেছিলাম। পরে আমরা এসেছিলাম ঝগড়া মীমাংসা করতে। সে সময় খাসমহল গ্রামের কয়েক শ মানুষ আমাদের ওপরে টেঁটা, লাঠিসোঁটা নিয়ে অতর্কিত হামলা করে। এতে আমিসহ আমাদের অন্তত ১৫ জন টেঁটাবিদ্ধ হয়েছে। আমাদের যারা টেঁটাবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছে, তারা গোপনে চিকিৎসা নিচ্ছে। গ্রেপ্তার এড়াতে আত্মগোপনে রয়েছে।’
বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। বালুচর বাজার এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে বলে জানান সিরাজদিখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহেদ আল মামুন। তিনি বলেন, ‘অনেকে আহত হয়েছে শুনেছি। তবে কারও নাম-পরিচয় জানা যায়নি। এ ঘটনায় যারা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
চট্টগ্রাম নগরে পরীর পাহাড়ে যাতায়াতের দুর্ভোগ কমাতে বছরখানেক আগে সড়কের পাশের ২৩ শতক জায়গার ওপর গড়ে ওঠা অবৈধ দখলদারদের স্থাপনা ভেঙে দিয়েছিলেন তৎকালীন জেলা প্রশাসক। উচ্ছেদের পর সেখানে জনস্বার্থে প্রকল্প বাস্তবায়নের কথা ছিল। জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের পর ডিসি রদবদল হলে সেই উদ্ধার করা জায়গা আরেক দখলদারের
৩ ঘণ্টা আগেসিলেটের ১৩৩ বছরের পুরোনো এমসি কলেজ। এর ছাত্রাবাসের সপ্তম ব্লকে ১২৮ জন শিক্ষার্থীর পাশাপাশি কলেজের কয়েকজন কর্মচারীও থাকেন। কিন্তু বেশ কয়েক দিন ধরে পানির তীব্র সংকট থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। গোসল করা দূরে থাক, প্রয়োজনীয় খাওয়ার পানিও পাচ্ছেন না তাঁরা। তাই অনেকে বাধ্য হয়ে নিজ নিজ বাড়িতে চলে
৩ ঘণ্টা আগেটানা বৃষ্টি আর উজানের ঢলে পদ্মা নদীতে বৃদ্ধি পাচ্ছে পানি। এতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলার চরাঞ্চল ডুবে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে পাঁচটি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের সাড়ে ৬ হাজার পরিবার। অন্যদিকে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের পদ্মার চরের নিম্নাঞ্চলের আবাদি জমি ও চলাচলের রাস্তা ডুবে গেছে। ইতিমধ্যে রামকৃষ্ণপুর
৩ ঘণ্টা আগেরংপুরের তারাগঞ্জে গণপিটুনিতে শ্বশুর রূপলাল দাস (৪৫) ও জামাই প্রদীপ লালের (৩৫) প্রাণহানির পেছনে আইনশৃঙ্খলাহীনতাকে দুষছেন স্থানীয় লোকজন। তাঁরা বলছেন, গত কয়েক দিনের চুরি, ছিনতাই ও হত্যাকাণ্ড-সংশ্লিষ্ট অপরাধের কারণে স্থানীয় জনতার ভেতর মবের মনোভাব তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশও সেভাবে তৎপর নয়। এসব কারণেই শ্
৩ ঘণ্টা আগে