উত্তরা (ঢাকা) প্রতিনিধি
রাজধানীর উত্তরায় তুচ্ছ বিষয় নিয়ে কিশোর গ্যাংয়ের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ছয়জন আহত হয়েছে। উত্তরা ৭ নম্বর সেক্টরের ২৪ নম্বর সড়কের ১৭ নম্বর বাসার সুপার হোস্টেলের সামনে গতকাল শনিবার (৮ জুন) সন্ধ্যার পর জয় ও জিলানীর দুই কিশোর গ্যাং গ্রুপের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় পাল্টাপাল্টি দুই মামলায় উভয় গ্রুপের ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ রোববার (৯ জুন) সংঘর্ষ ও মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় খান মো. জিএম জিলানীর (১৮) মাথায় ৫টি সেলাই, রাহি সায়মান তালহার (১৮) মুখসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ১০টি সেলাই, ওয়াসিফের (১৮) বাম হাতের রগ কেটে গেছে, রুবেল হোসেন জয়ের (২৮) বাম হাতের বাহুতে চারটি সেলাই, মোস্তাফিজুর রহমান অভির (২২) বাম হাতে চারটি সেলাই, রকি ইসলামের (২৫) ডান হাতের আঙুল ফেটে যায়।
হামলার পর থেকে তথ্য দেওয়া নিয়ে টালবাহানা শুরু করেন উত্তরা পশ্চিম থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হাসান মুনশি। উত্তরার বাসিন্দাদের অভিযোগ, কিশোর গ্যাংয়ের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের পর থেকে উত্তরার বিভিন্ন জায়গা থেকে উঠতি বয়সী যুবকদের আটক করে বেপরোয়া সামারি শুরু করেন এসআই হাসান মুনশি। রাত ১১টার দিকে থানায় গিয়ে দেখা যায়, ৮-১০ জন আটক রয়েছে।
ওই সময় থানার ডিউটি অফিসার বলেন, ‘ঘটনা রাত ৮টার। আমি ৮টার পরে ডিউটিতে আসছি। তাই কিছু জানি না।’ অন্যদিকে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বি এম ফরমান আলীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
এরপর রাত সাড়ে ৩টায় দিকে থানায় দেখা যায়, ‘আটক মানুষে হাজত পরিপূর্ণ। মাথা ফাটা অবস্থায় জিলানী নামের একজনকে হাজতখানার বাইরে লকাপে। ডিউটি অফিসারের রুমের পেছনের বারান্দাতেও রয়েছেন কয়েকজন আটক ব্যক্তি। ওই সময় এসআই হাসান মুনশি আটককৃতদের নাম ঠিকানা লকাপের ভেতরে লিপিবদ্ধ করতে। বের হওয়ার পর সংঘর্ষ ও আটকের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এখন কোনো তথ্যই দেওয়া যাবে না। আপনি কাল আসেন।’ পরের দিনদুপুরে তাঁকে থানায় গিয়েও পাওয়া যায়নি।
পরে মুঠোফোনে কিশোর গ্যাংয়ের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় গ্রেপ্তারের বিষয়ে জানতে চাইলে এসআই হাসান মুনশি বলেন, ‘মামলার আসামি ও গ্রেপ্তারের বিষয়ে আপনি কি প্রশ্ন করতে পারেন? আপনাকে তথ্য দেওয়া যাবে না। আপনি আমার কাছে তথ্য চাইতে পারেন না।’ তিনি বলেন, ‘মামলা হয়েছে। আগে তদন্ত হোক। পরে দেখা যাবে।’
ঢাকার আদালতের জিআর শাখা সূত্রে জানা গেছে, হামলার ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে। ওই দুই মামলায় এক গ্রুপের ছয়জন ও আরেক গ্রুপের পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জানা যায় একটি মামলার বাদী জিএম জিলানীর বাবা ওয়াহেদুজ্জামান খান। তার মামলায় জয় চৌধুরীকে প্রধান আসামি করে অভি চৌধুরী, সিয়াম (২০), মানিক (২০), তৌহিদ (২২),শাকিল (২২), শান্তসহ (২২) অজ্ঞাতনামা ১৬-২০ জনকে আসামি করা হয়েছে। অন্য মামলাটির বাদী রুবেল হাসান জয়ের বাবা মমিনুর রহমান। তিনি জিলানীকে প্রধান আসামি করে সোহানুর রহমান (৩৫), তালহা (১৯), সিজান (২০), সিনহা (১৯), মিথিল (২০), নাজমুল (২২), রাফি সামস আলিফ (১৬), সাফিন (২০) সহ অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন।
ওয়াহেদুজ্জামান খান মামলার এজাহারে উল্লেখ করেন, জয় ও অভি আমার ছেলে জিলানীকে প্রায়ই বলত, তোর বাবা রাজনীতি করত, এখন ব্যবসা করে টাকা কামাইতেছে। শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে ছেলে আমাকে ফোন দিতে বলে, জয় ও অভি লোকজন তাকে আটক করেছে। খবর পেয়ে গিয়ে আমার ছেলে, তার বন্ধু তালহা ও ওয়াসিফকে গুরুতর রক্তাক্ত আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাই। প্রাথমিক চিকিৎসা পড় কিছুটা সুস্থ হলে তাঁরা জানায়, ওরা ৭ নম্বর সেক্টরের ২৪ নম্বর রোডে হাঁটাহাঁটির সময় হামলাকারীরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে গতিরোধ করে। তখন পথরোধের কারণ জানতে চাইলে জয় ও অভি তাদের সঙ্গে থাকা ছুরি দিয়ে জিলানীর মাথায় জখম করে। পরে তালহা ও ওয়াসিফ এগিয়ে গেলে তাঁদের শরীরের বিভিন্ন স্থানেও জখম করে।
অন্যদিকে মমিনুর রহমান এজাহারে উল্লেখ করেন, ফোন পেয়ে জানতে পারি সুপার হোস্টেলের সামনে আমার ছেলের জয় ও অভিকে কারা যেন মারপিট করতেছে। পরে দ্রুত সেখানে গিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় জয়, অভি ও তাঁদের বন্ধু রকিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাই। কিছুটা সুস্থ হলে তারা জানায়, সোহান আমার আমার বড় ছেলে জয়কে ফোন করে বলে, অভির সঙ্গে পড়বে একটা ঝামেলা আছে, সেটি মিটানোর জন্য হোস্টেলের সামনে যেতে। পরে তারা গেলে তাদের ওপরে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হামলা করে।
রাজধানীর উত্তরায় তুচ্ছ বিষয় নিয়ে কিশোর গ্যাংয়ের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ছয়জন আহত হয়েছে। উত্তরা ৭ নম্বর সেক্টরের ২৪ নম্বর সড়কের ১৭ নম্বর বাসার সুপার হোস্টেলের সামনে গতকাল শনিবার (৮ জুন) সন্ধ্যার পর জয় ও জিলানীর দুই কিশোর গ্যাং গ্রুপের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় পাল্টাপাল্টি দুই মামলায় উভয় গ্রুপের ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ রোববার (৯ জুন) সংঘর্ষ ও মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় খান মো. জিএম জিলানীর (১৮) মাথায় ৫টি সেলাই, রাহি সায়মান তালহার (১৮) মুখসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ১০টি সেলাই, ওয়াসিফের (১৮) বাম হাতের রগ কেটে গেছে, রুবেল হোসেন জয়ের (২৮) বাম হাতের বাহুতে চারটি সেলাই, মোস্তাফিজুর রহমান অভির (২২) বাম হাতে চারটি সেলাই, রকি ইসলামের (২৫) ডান হাতের আঙুল ফেটে যায়।
হামলার পর থেকে তথ্য দেওয়া নিয়ে টালবাহানা শুরু করেন উত্তরা পশ্চিম থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হাসান মুনশি। উত্তরার বাসিন্দাদের অভিযোগ, কিশোর গ্যাংয়ের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের পর থেকে উত্তরার বিভিন্ন জায়গা থেকে উঠতি বয়সী যুবকদের আটক করে বেপরোয়া সামারি শুরু করেন এসআই হাসান মুনশি। রাত ১১টার দিকে থানায় গিয়ে দেখা যায়, ৮-১০ জন আটক রয়েছে।
ওই সময় থানার ডিউটি অফিসার বলেন, ‘ঘটনা রাত ৮টার। আমি ৮টার পরে ডিউটিতে আসছি। তাই কিছু জানি না।’ অন্যদিকে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বি এম ফরমান আলীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
এরপর রাত সাড়ে ৩টায় দিকে থানায় দেখা যায়, ‘আটক মানুষে হাজত পরিপূর্ণ। মাথা ফাটা অবস্থায় জিলানী নামের একজনকে হাজতখানার বাইরে লকাপে। ডিউটি অফিসারের রুমের পেছনের বারান্দাতেও রয়েছেন কয়েকজন আটক ব্যক্তি। ওই সময় এসআই হাসান মুনশি আটককৃতদের নাম ঠিকানা লকাপের ভেতরে লিপিবদ্ধ করতে। বের হওয়ার পর সংঘর্ষ ও আটকের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এখন কোনো তথ্যই দেওয়া যাবে না। আপনি কাল আসেন।’ পরের দিনদুপুরে তাঁকে থানায় গিয়েও পাওয়া যায়নি।
পরে মুঠোফোনে কিশোর গ্যাংয়ের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় গ্রেপ্তারের বিষয়ে জানতে চাইলে এসআই হাসান মুনশি বলেন, ‘মামলার আসামি ও গ্রেপ্তারের বিষয়ে আপনি কি প্রশ্ন করতে পারেন? আপনাকে তথ্য দেওয়া যাবে না। আপনি আমার কাছে তথ্য চাইতে পারেন না।’ তিনি বলেন, ‘মামলা হয়েছে। আগে তদন্ত হোক। পরে দেখা যাবে।’
ঢাকার আদালতের জিআর শাখা সূত্রে জানা গেছে, হামলার ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে। ওই দুই মামলায় এক গ্রুপের ছয়জন ও আরেক গ্রুপের পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জানা যায় একটি মামলার বাদী জিএম জিলানীর বাবা ওয়াহেদুজ্জামান খান। তার মামলায় জয় চৌধুরীকে প্রধান আসামি করে অভি চৌধুরী, সিয়াম (২০), মানিক (২০), তৌহিদ (২২),শাকিল (২২), শান্তসহ (২২) অজ্ঞাতনামা ১৬-২০ জনকে আসামি করা হয়েছে। অন্য মামলাটির বাদী রুবেল হাসান জয়ের বাবা মমিনুর রহমান। তিনি জিলানীকে প্রধান আসামি করে সোহানুর রহমান (৩৫), তালহা (১৯), সিজান (২০), সিনহা (১৯), মিথিল (২০), নাজমুল (২২), রাফি সামস আলিফ (১৬), সাফিন (২০) সহ অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন।
ওয়াহেদুজ্জামান খান মামলার এজাহারে উল্লেখ করেন, জয় ও অভি আমার ছেলে জিলানীকে প্রায়ই বলত, তোর বাবা রাজনীতি করত, এখন ব্যবসা করে টাকা কামাইতেছে। শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে ছেলে আমাকে ফোন দিতে বলে, জয় ও অভি লোকজন তাকে আটক করেছে। খবর পেয়ে গিয়ে আমার ছেলে, তার বন্ধু তালহা ও ওয়াসিফকে গুরুতর রক্তাক্ত আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাই। প্রাথমিক চিকিৎসা পড় কিছুটা সুস্থ হলে তাঁরা জানায়, ওরা ৭ নম্বর সেক্টরের ২৪ নম্বর রোডে হাঁটাহাঁটির সময় হামলাকারীরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে গতিরোধ করে। তখন পথরোধের কারণ জানতে চাইলে জয় ও অভি তাদের সঙ্গে থাকা ছুরি দিয়ে জিলানীর মাথায় জখম করে। পরে তালহা ও ওয়াসিফ এগিয়ে গেলে তাঁদের শরীরের বিভিন্ন স্থানেও জখম করে।
অন্যদিকে মমিনুর রহমান এজাহারে উল্লেখ করেন, ফোন পেয়ে জানতে পারি সুপার হোস্টেলের সামনে আমার ছেলের জয় ও অভিকে কারা যেন মারপিট করতেছে। পরে দ্রুত সেখানে গিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় জয়, অভি ও তাঁদের বন্ধু রকিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাই। কিছুটা সুস্থ হলে তারা জানায়, সোহান আমার আমার বড় ছেলে জয়কে ফোন করে বলে, অভির সঙ্গে পড়বে একটা ঝামেলা আছে, সেটি মিটানোর জন্য হোস্টেলের সামনে যেতে। পরে তারা গেলে তাদের ওপরে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হামলা করে।
তিনি টেকের বাজারে কাগজপত্র ফটোকপি করতে গেলে স্থানীয় বিএনপির কর্মী গিয়াস উদ্দিন দেওয়ান, তাঁর ছেলে রিয়াজুল ইসলাম জিসান এবং সহযোগী আজমাইন চৌধুরীসহ আরও তিন-চারজন মিলে তাঁর পথরোধ করে। একপর্যায়ে গিয়াস উদ্দিন বাঁশের লাঠি দিয়ে তাঁর মাথায় আঘাত করেন এবং অন্যরা এলোপাতাড়ি মারধর করেন। এতে তিনি গুরুতর আহত হন।
৩৭ মিনিট আগেনারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে চাঁদা চেয়ে না পেয়ে বন্দুক দিয়ে গুলি করে হত্যার হুমকির অভিযোগে অস্ত্রধারী এক বিএনপি নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার রাতে তাঁকে উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের আমগাঁও এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম শাহজাহান ভূঁইয়া।
১ ঘণ্টা আগে২২ জুন রাতে বিস্ফোরণের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত সাচড়া ইউনিয়নের দেউলা শিবপুর গ্রামের দুটি পরিবারের জন্য হাফিজ ইব্রাহিমের পক্ষ থেকে ২৩ জুন (সোমবার) সকালে এক লাখ টাকার আর্থিক সহায়তা প্রদান করে উপজেলা বিএনপি। মিছির কাজীর ছেলে মোজাম্মেলকে ৭০ হাজার ও আজাহার চৌকিদারকে ৩০ হাজার টাকা দেওয়া হয়।
১ ঘণ্টা আগেসাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ কে এম নূরুল হুদার সঙ্গে তাঁর আটকের আগে যেভাবে আচরণ করা হয়েছে, তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
১ ঘণ্টা আগে