আজকের পত্রিকা ডেস্ক
সরকারি কলেজের বেসরকারি কর্মচারীদের চাকরি রাজস্ব খাতে স্থানান্তরসহ তিন দফা দাবি জানিয়েছেন সরকারি কলেজের বেসরকারি কর্মচারী ইউনিয়ন সমন্বয়ক কমিটি। দাবি আদায় না হলে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে সংগঠনটি।
আজ মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে এ দাবি জানানো হয়েছে।
দাবিগুলো হলো
১. সরকারি কলেজের বেসরকারি কর্মচারীদের চাকরি রাজস্ব খাতে স্থানান্তর করতে হবে। (শূন্য পদের বিপরীতে এবং নতুন পদ সৃজনের মাধ্যমে স্ব স্ব কলেজে অস্থায়ীভাবে কর্মরতদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে রাজস্ব খাতভুক্ত করতে হবে।)
২. কর্মরতদের ব্যতিরেকে নতুন নিয়োগ বন্ধ করতে হবে, অস্থায়ীভাবে কর্মরতদের চাকরির নিরাপত্তা দিতে হবে।
৩. রাজস্ব খাতভুক্ত না হওয়া পর্যন্ত সরকারি বেতন স্কেল অনুযায়ী বেতন-ভাতাদি দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
গোলটেবিল বৈঠকে সরকারি কলেজের বেসরকারি কর্মচারীরা বলেন, আমরা বৈষম্যের শিকার। আমরা সরকারি কলেজের বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করি। কিন্তু আমাদের চাকরি বেসরকারি রয়ে গেছে। আমাদের জীবনের মান উন্নয়ন হয়নি।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়ে তারা বলেন, আশা করি আপনারা আমাদের এই দাবিগুলো মেনে নেবেন। আপনারা দাবিগুলো মেনে নিলে আমাদের জীবনের মান উন্নয়ন হবে।
গোলটেবিল বৈঠকে সরকারি কলেজের বেসরকারি অসহায় কর্মচারীদের পক্ষ থেকে এক লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, আমাদের দাবি আদায়ের লক্ষ্যে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দৃষ্টি কামনায় ২১ আগস্ট একটি শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনসহ প্রধান উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। তিনি বিষয়টি বিবেচনা করবেন মর্মে তাঁর প্রেস সচিবের মাধ্যমে মৌখিক আশ্বাস দেন। প্রধান উপদেষ্টার মৌখিক আশ্বাস পেয়ে কর্মসূচি সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়।
পরবর্তীতে আমাদের বিষয়ে কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ না হওয়ায় ৪ সেপ্টেম্বর পুনরায় প্রধান উপদেষ্টা, শিক্ষা উপদেষ্টা, শিক্ষাসচিবের কার্যালয়সহ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের ডিজি বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, দুঃখের বিষয় ২০১৩ সাল থেকে অদ্যাবধি মানববন্ধন, অবস্থান কর্মসূচি, ১৮ দিন জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আমরণ অনশন, সাংবাদিক সম্মেলন, নিজ নিজ কর্মস্থলে ১ ঘণ্টা প্রতীকী কর্মবিরতিসহ একাধিক শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মাধ্যমে আমাদের দাবি আদায়ের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। তারপরও আমাদের বিষয়ে কোনো সরকারই এখনো পর্যন্ত কোনো দৃশ্যমান কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। যার ফলে আমরা নিরুপায় হয়ে আমাদের দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ভবিষ্যতে কঠোর কর্মসূচি গ্রহণে বাধ্য হব।
এ সময় গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘৫ আগস্টের পর বাংলাদেশের জনগণের বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ কথা বলার সুযোগ পাচ্ছে। এটাই তো স্বাধীনতা। এটাই তো গণতন্ত্র। এই পরিবর্তনকে স্থায়ী করতে চাই। কার্যকর করতে চাই। দাবি দাওয়া না থাকলেতো গণতন্ত্র থাকবে না। আপনাদের দাবির সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করছি।’
জোনায়েদ সাকি আরও বলেন, ‘সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে এ ধরনের বৈষম্য মেনে নেওয়া যায় না। লোকজনকে কম অধিকার, কম মজুরি দিয়ে খাঁটিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থাকে বন্ধ করতে হবে। বাংলাদেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। রাজস্ব খাতে ব্যয় কমাতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘৩০ বছর ধরে একজনের বেতন যদি সাড়ে ১২ হাজার থাকে, একটা দেশে যদি বাঁচার জন্য ন্যূনতম মজুরি না থাকে, অধিকার না থাকে তাহলে ওই দেশে গণতন্ত্র থাকতে পারে না। সে জন্য একটা নীতিমালা করা প্রয়োজন। আপনাদের জন্য ন্যূনতম বেতন নির্ধারণ করতে হবে।’
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের সমাজে বৈষম্যের শেষ নেই। গত ৫ আগস্ট এ দেশ থেকে ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে। যারা এই ধরনের বৈষম্য সৃষ্টি করেছে। সরকারি কলেজের সব কর্মকর্তা কর্মচারি সরকারি হবেন এটাইতো স্বাভাবিক। প্রতিষ্ঠানে বৈষম্য থাকলে সেটি ভালোভাবে চলে না। বৈষম্যের বিরুদ্ধে আপনারা যারা আন্দোলন করছেন, আমরা আপনাদের নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করছি।
আপনাদের নিয়মতান্ত্রিক দাবি অব্যাহত রাখেন।’
গোলটেবিল বৈঠকে বাংলাদেশ চতুর্থ শ্রেণি সরকারি কর্মচারী সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মো. আজিম, সাধারণ সম্পাদক মো. মোক্তার হোসেন, সরকারি কলেজের বেসরকারি কর্মচারী ইউনিয়নের আহ্বায়ক মো. আমিনুল ইসলাম, সদস্যসচিব মো. ফরিদুল ইসলাম, সমন্বয়ক মো. আব্দুর রশিদ, সরকারি কলেজের বেসরকারি কর্মচারী ইউনিয়নের ঢাকা মহানগরের সমন্বয়ক দুলাল সরকারসহ দেশের বিভিন্ন বিভাগ থেকে আসা সমন্বয়করা বক্তব্য দেন।
সরকারি কলেজের বেসরকারি কর্মচারীদের চাকরি রাজস্ব খাতে স্থানান্তরসহ তিন দফা দাবি জানিয়েছেন সরকারি কলেজের বেসরকারি কর্মচারী ইউনিয়ন সমন্বয়ক কমিটি। দাবি আদায় না হলে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে সংগঠনটি।
আজ মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে এ দাবি জানানো হয়েছে।
দাবিগুলো হলো
১. সরকারি কলেজের বেসরকারি কর্মচারীদের চাকরি রাজস্ব খাতে স্থানান্তর করতে হবে। (শূন্য পদের বিপরীতে এবং নতুন পদ সৃজনের মাধ্যমে স্ব স্ব কলেজে অস্থায়ীভাবে কর্মরতদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে রাজস্ব খাতভুক্ত করতে হবে।)
২. কর্মরতদের ব্যতিরেকে নতুন নিয়োগ বন্ধ করতে হবে, অস্থায়ীভাবে কর্মরতদের চাকরির নিরাপত্তা দিতে হবে।
৩. রাজস্ব খাতভুক্ত না হওয়া পর্যন্ত সরকারি বেতন স্কেল অনুযায়ী বেতন-ভাতাদি দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
গোলটেবিল বৈঠকে সরকারি কলেজের বেসরকারি কর্মচারীরা বলেন, আমরা বৈষম্যের শিকার। আমরা সরকারি কলেজের বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করি। কিন্তু আমাদের চাকরি বেসরকারি রয়ে গেছে। আমাদের জীবনের মান উন্নয়ন হয়নি।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়ে তারা বলেন, আশা করি আপনারা আমাদের এই দাবিগুলো মেনে নেবেন। আপনারা দাবিগুলো মেনে নিলে আমাদের জীবনের মান উন্নয়ন হবে।
গোলটেবিল বৈঠকে সরকারি কলেজের বেসরকারি অসহায় কর্মচারীদের পক্ষ থেকে এক লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, আমাদের দাবি আদায়ের লক্ষ্যে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দৃষ্টি কামনায় ২১ আগস্ট একটি শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনসহ প্রধান উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। তিনি বিষয়টি বিবেচনা করবেন মর্মে তাঁর প্রেস সচিবের মাধ্যমে মৌখিক আশ্বাস দেন। প্রধান উপদেষ্টার মৌখিক আশ্বাস পেয়ে কর্মসূচি সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়।
পরবর্তীতে আমাদের বিষয়ে কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ না হওয়ায় ৪ সেপ্টেম্বর পুনরায় প্রধান উপদেষ্টা, শিক্ষা উপদেষ্টা, শিক্ষাসচিবের কার্যালয়সহ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের ডিজি বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, দুঃখের বিষয় ২০১৩ সাল থেকে অদ্যাবধি মানববন্ধন, অবস্থান কর্মসূচি, ১৮ দিন জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আমরণ অনশন, সাংবাদিক সম্মেলন, নিজ নিজ কর্মস্থলে ১ ঘণ্টা প্রতীকী কর্মবিরতিসহ একাধিক শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মাধ্যমে আমাদের দাবি আদায়ের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। তারপরও আমাদের বিষয়ে কোনো সরকারই এখনো পর্যন্ত কোনো দৃশ্যমান কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। যার ফলে আমরা নিরুপায় হয়ে আমাদের দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ভবিষ্যতে কঠোর কর্মসূচি গ্রহণে বাধ্য হব।
এ সময় গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘৫ আগস্টের পর বাংলাদেশের জনগণের বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ কথা বলার সুযোগ পাচ্ছে। এটাই তো স্বাধীনতা। এটাই তো গণতন্ত্র। এই পরিবর্তনকে স্থায়ী করতে চাই। কার্যকর করতে চাই। দাবি দাওয়া না থাকলেতো গণতন্ত্র থাকবে না। আপনাদের দাবির সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করছি।’
জোনায়েদ সাকি আরও বলেন, ‘সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে এ ধরনের বৈষম্য মেনে নেওয়া যায় না। লোকজনকে কম অধিকার, কম মজুরি দিয়ে খাঁটিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থাকে বন্ধ করতে হবে। বাংলাদেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। রাজস্ব খাতে ব্যয় কমাতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘৩০ বছর ধরে একজনের বেতন যদি সাড়ে ১২ হাজার থাকে, একটা দেশে যদি বাঁচার জন্য ন্যূনতম মজুরি না থাকে, অধিকার না থাকে তাহলে ওই দেশে গণতন্ত্র থাকতে পারে না। সে জন্য একটা নীতিমালা করা প্রয়োজন। আপনাদের জন্য ন্যূনতম বেতন নির্ধারণ করতে হবে।’
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের সমাজে বৈষম্যের শেষ নেই। গত ৫ আগস্ট এ দেশ থেকে ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে। যারা এই ধরনের বৈষম্য সৃষ্টি করেছে। সরকারি কলেজের সব কর্মকর্তা কর্মচারি সরকারি হবেন এটাইতো স্বাভাবিক। প্রতিষ্ঠানে বৈষম্য থাকলে সেটি ভালোভাবে চলে না। বৈষম্যের বিরুদ্ধে আপনারা যারা আন্দোলন করছেন, আমরা আপনাদের নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করছি।
আপনাদের নিয়মতান্ত্রিক দাবি অব্যাহত রাখেন।’
গোলটেবিল বৈঠকে বাংলাদেশ চতুর্থ শ্রেণি সরকারি কর্মচারী সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মো. আজিম, সাধারণ সম্পাদক মো. মোক্তার হোসেন, সরকারি কলেজের বেসরকারি কর্মচারী ইউনিয়নের আহ্বায়ক মো. আমিনুল ইসলাম, সদস্যসচিব মো. ফরিদুল ইসলাম, সমন্বয়ক মো. আব্দুর রশিদ, সরকারি কলেজের বেসরকারি কর্মচারী ইউনিয়নের ঢাকা মহানগরের সমন্বয়ক দুলাল সরকারসহ দেশের বিভিন্ন বিভাগ থেকে আসা সমন্বয়করা বক্তব্য দেন।
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার মটমুড়া ইউনিয়নের চরগোয়াল গ্রাম থেকে দুটি বোমাসদৃশ বস্তু উদ্ধার করেছে গাংনী থানার পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে উপজেলার চরগোয়াল গ্রামের ক্লাব বাজারের রহিতুল্লাহ সুপার মার্কেটের সামনে থেকে দুটি বোমাসদৃশ বস্তু উদ্ধার করা হয়।
১ ঘণ্টা আগেবগুড়ার কাহালু উপজেলায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে স্থানীয় জনগণের সহযোগিতায় ডাকাতদলের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে কাহালু থানা-পুলিশ। গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার কালাই ইউনিয়নের বার মাইল-তিন দিঘি গামী পাকা রাস্তার কুর্নিপাড়া এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২ ঘণ্টা আগেবগুড়ায় আদালতের হাজতখানা থেকে জোড়া খুন ও ডাকাতি মামলার প্রধান আসামি পালানোর ঘটনায় ছয় পুলিশকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন করেছেন আদালত পুলিশের পরিদর্শক মোসাদ্দেক হোসেন। প্রত্যাহারকৃত পুলিশ সদস্যরা হলেন আদালত হাজতখানার ইনচার্জ সহকারী টাউন উপপরিদর্শক (এটিএসআই) গোলাম কিবরিয়া..
২ ঘণ্টা আগেইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ভুয়া ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলে অন্তত ১৫ শিক্ষার্থীকে যৌন হেনস্তার অভিযোগ উঠেছে এক ছাত্রীর বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত শিক্ষার্থী হলেন লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০২০–২১ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী জান্নাতুল মাওয়া স্নেহা। আজ মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়ন বিরোধী কমিটির নিকট সামাজিক...
২ ঘণ্টা আগে