নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
তৈরি পোশাক খাতের শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার, নিরাপত্তা ও কল্যাণ নিশ্চিতে ১২ দফা দাবি জানিয়েছে শ্রমিক সংগঠনগুলোর জোট ‘আরএমজি ওয়ার্কিং গ্রুপ কোর কমিটি’। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনী ইশতেহারে এসব দাবি অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
আজ রোববার (১২ অক্টোবর) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি তুলে ধরেন সংগঠনের নেতারা। এতে উপস্থিত ছিলেন স্কপের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল কাদের হাওলাদার, ডব্লিউএফটিইউ-বিসির মেম্বার সেক্রেটারি রাজেকুজ্জামান রতন, আইবিসির সভাপতি কুতুবউদ্দিন আহমেদ, এনসিসিডব্লিউইয়ের মেম্বার সেক্রেটারি নইমুল আহসান জুয়েল ও শাকিল আখতার চৌধুরী এবং জি-স্কপের যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী রুহুল আমিন।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি শ্রমজীবী মানুষ। দেশে প্রায় ৭ কোটি ৭০ লাখ শ্রমজীবী মানুষ রয়েছেন, যাঁদের অধিকাংশ দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করেন। তৈরি পোশাক খাতে কর্মরত শ্রমিকের সংখ্যা প্রায় ৪০ লাখ, যার বেশির ভাগ নারী। দেশের মোট রপ্তানি আয়ের ৮২ শতাংশই আসে এই খাত থেকে। সংবিধান, শ্রম আইন, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) কনভেনশন ও জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা শ্রমিকদের অধিকারকে স্বীকৃতি দিলেও বাস্তবে তা অনেক ক্ষেত্রে কার্যকর হয়নি। শ্রম সংস্কার কমিশনের রিপোর্ট বাস্তবায়নেও কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি দেখা যায়নি।
সংগঠনের উপস্থাপিত ১২ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে—ইপিজেড ও এসইজেডসহ সব গার্মেন্টস শ্রমিকের জন্য একই শ্রম আইন প্রযোজ্য করা, ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধন প্রক্রিয়া সহজ করা ও ইউনিয়ন নেতাদের হয়রানি বন্ধ করা; গার্মেন্টস শিল্পের টেকসই উন্নয়ন, কর্মসংস্থান সম্প্রসারণ ও বিদ্যমান শ্রমিকদের কাজের সুরক্ষা নিশ্চিত করা; জীবনযাত্রার ব্যয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে জাতীয় ন্যূনতম মজুরি ঘোষণা ও তা আইনি সুরক্ষার আওতায় আনা; কর্মস্থলে বিল্ডিং, ফায়ার ও ইলেকট্রিক সেফটি স্ট্যান্ডার্ড বাস্তবায়ন, স্বাস্থ্যসেবা ও দুর্ঘটনা প্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদার করা।
বাকি দাবিগুলো হলো—পেনশন ও প্রভিডেন্ট ফান্ড বাধ্যতামূলক করা, শ্রমিকদের জন্য রেশনিং ব্যবস্থা চালু এবং দুর্ঘটনায় ক্ষতিপূরণের মানদণ্ড নির্ধারণ; সব গার্মেন্টস শ্রমিকের জন্য মানসম্মত আবাসন ও সামাজিক নিরাপত্তা জাল সম্প্রসারণ; ছয় মাসের মাতৃত্বকালীন ছুটি, পিতৃত্ব ছুটি চালু এবং কারখানাভিত্তিক ডে কেয়ার কেন্দ্র স্থাপন; আইএলও কনভেনশন ১৯০ অনুযায়ী যৌন নিপীড়ন ও সহিংসতামুক্ত কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করা এবং নারী শ্রমিকদের জন্য নিরাপদ পরিবহন চালু করা; শ্রম আদালতের সংখ্যা বৃদ্ধি, ডিজিটালাইজেশন ও বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি (এডিআর) প্রক্রিয়া চালু করা; শ্রম পরিদর্শন ও প্রশাসন ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা; প্রযুক্তি ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ঝুঁকিতে থাকা শ্রমিকদের পুনঃ দক্ষতা উন্নয়ন, নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি; মানবাধিকার ডিউ ডিলিজেন্স (এইচআরডিডি) বাস্তবায়ন এবং শ্রম সংস্কার কমিশনের সুপারিশ রাজনৈতিক দলের নির্বাচনী ইশতেহারে অন্তর্ভুক্ত করা।
সংগঠনটি জানায়, ১৫ থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত রাজনৈতিক দল ও বিভিন্ন সংগঠনের কাছে প্রস্তাবনা হস্তান্তর করা হবে। ২০ অক্টোবর থেকে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত লিফলেট ও স্টিকার বিতরণ করা হবে। তিনটি আঞ্চলিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে—গাজীপুরে ২৪ অক্টোবর, সাভার-আশুলিয়ায় ৩১ অক্টোবর এবং পোস্তগোলায় ১৫ নভেম্বর। নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সংবাদ সম্মেলনে নেতারা বলেন, বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়ন, সামাজিক সমতা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য শ্রমিক শ্রেণির অধিকার নিশ্চিত করা জরুরি। তাঁরা রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানান, নির্বাচনী ইশতেহারে শ্রমিকদের এই ১২ দফা দাবি অন্তর্ভুক্ত করে নির্বাচনের পর তা বাস্তবায়নের কার্যকর পদক্ষেপ নিতে।
তৈরি পোশাক খাতের শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার, নিরাপত্তা ও কল্যাণ নিশ্চিতে ১২ দফা দাবি জানিয়েছে শ্রমিক সংগঠনগুলোর জোট ‘আরএমজি ওয়ার্কিং গ্রুপ কোর কমিটি’। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনী ইশতেহারে এসব দাবি অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
আজ রোববার (১২ অক্টোবর) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি তুলে ধরেন সংগঠনের নেতারা। এতে উপস্থিত ছিলেন স্কপের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল কাদের হাওলাদার, ডব্লিউএফটিইউ-বিসির মেম্বার সেক্রেটারি রাজেকুজ্জামান রতন, আইবিসির সভাপতি কুতুবউদ্দিন আহমেদ, এনসিসিডব্লিউইয়ের মেম্বার সেক্রেটারি নইমুল আহসান জুয়েল ও শাকিল আখতার চৌধুরী এবং জি-স্কপের যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী রুহুল আমিন।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি শ্রমজীবী মানুষ। দেশে প্রায় ৭ কোটি ৭০ লাখ শ্রমজীবী মানুষ রয়েছেন, যাঁদের অধিকাংশ দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করেন। তৈরি পোশাক খাতে কর্মরত শ্রমিকের সংখ্যা প্রায় ৪০ লাখ, যার বেশির ভাগ নারী। দেশের মোট রপ্তানি আয়ের ৮২ শতাংশই আসে এই খাত থেকে। সংবিধান, শ্রম আইন, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) কনভেনশন ও জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা শ্রমিকদের অধিকারকে স্বীকৃতি দিলেও বাস্তবে তা অনেক ক্ষেত্রে কার্যকর হয়নি। শ্রম সংস্কার কমিশনের রিপোর্ট বাস্তবায়নেও কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি দেখা যায়নি।
সংগঠনের উপস্থাপিত ১২ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে—ইপিজেড ও এসইজেডসহ সব গার্মেন্টস শ্রমিকের জন্য একই শ্রম আইন প্রযোজ্য করা, ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধন প্রক্রিয়া সহজ করা ও ইউনিয়ন নেতাদের হয়রানি বন্ধ করা; গার্মেন্টস শিল্পের টেকসই উন্নয়ন, কর্মসংস্থান সম্প্রসারণ ও বিদ্যমান শ্রমিকদের কাজের সুরক্ষা নিশ্চিত করা; জীবনযাত্রার ব্যয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে জাতীয় ন্যূনতম মজুরি ঘোষণা ও তা আইনি সুরক্ষার আওতায় আনা; কর্মস্থলে বিল্ডিং, ফায়ার ও ইলেকট্রিক সেফটি স্ট্যান্ডার্ড বাস্তবায়ন, স্বাস্থ্যসেবা ও দুর্ঘটনা প্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদার করা।
বাকি দাবিগুলো হলো—পেনশন ও প্রভিডেন্ট ফান্ড বাধ্যতামূলক করা, শ্রমিকদের জন্য রেশনিং ব্যবস্থা চালু এবং দুর্ঘটনায় ক্ষতিপূরণের মানদণ্ড নির্ধারণ; সব গার্মেন্টস শ্রমিকের জন্য মানসম্মত আবাসন ও সামাজিক নিরাপত্তা জাল সম্প্রসারণ; ছয় মাসের মাতৃত্বকালীন ছুটি, পিতৃত্ব ছুটি চালু এবং কারখানাভিত্তিক ডে কেয়ার কেন্দ্র স্থাপন; আইএলও কনভেনশন ১৯০ অনুযায়ী যৌন নিপীড়ন ও সহিংসতামুক্ত কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করা এবং নারী শ্রমিকদের জন্য নিরাপদ পরিবহন চালু করা; শ্রম আদালতের সংখ্যা বৃদ্ধি, ডিজিটালাইজেশন ও বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি (এডিআর) প্রক্রিয়া চালু করা; শ্রম পরিদর্শন ও প্রশাসন ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা; প্রযুক্তি ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ঝুঁকিতে থাকা শ্রমিকদের পুনঃ দক্ষতা উন্নয়ন, নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি; মানবাধিকার ডিউ ডিলিজেন্স (এইচআরডিডি) বাস্তবায়ন এবং শ্রম সংস্কার কমিশনের সুপারিশ রাজনৈতিক দলের নির্বাচনী ইশতেহারে অন্তর্ভুক্ত করা।
সংগঠনটি জানায়, ১৫ থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত রাজনৈতিক দল ও বিভিন্ন সংগঠনের কাছে প্রস্তাবনা হস্তান্তর করা হবে। ২০ অক্টোবর থেকে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত লিফলেট ও স্টিকার বিতরণ করা হবে। তিনটি আঞ্চলিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে—গাজীপুরে ২৪ অক্টোবর, সাভার-আশুলিয়ায় ৩১ অক্টোবর এবং পোস্তগোলায় ১৫ নভেম্বর। নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সংবাদ সম্মেলনে নেতারা বলেন, বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়ন, সামাজিক সমতা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য শ্রমিক শ্রেণির অধিকার নিশ্চিত করা জরুরি। তাঁরা রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানান, নির্বাচনী ইশতেহারে শ্রমিকদের এই ১২ দফা দাবি অন্তর্ভুক্ত করে নির্বাচনের পর তা বাস্তবায়নের কার্যকর পদক্ষেপ নিতে।
হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলায় অবৈধভাবে সিলিকা বালু তোলার অপরাধে ১৪ জনকে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। তাঁদের প্রত্যেককে এক মাসের কারাদণ্ড দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শফিকুল ইসলাম। আজ রোববার সকালে পাইকপাড়া ইউনিয়নের বদরগাজী এলাকায় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর একটি যৌথ দল এ
৩ মিনিট আগেচাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার এখলাছপুর উচ্চবিদ্যালয়ের খেলার মাঠ যেন মজা পুকুরে পরিণত হয়েছে। টানা বৃষ্টিপাত ও সঠিকভাবে পানি নিষ্কাশনব্যবস্থার অভাবে মাঠটি অনেক দিন ধরে পানিতে তলিয়ে আছে। স্কুলের শিক্ষার্থীরা খেলাধুলা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে প্রতিদিনই।
৯ মিনিট আগেবগুড়ায় পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর উল্লেখ করে সরকারি রাস্তার পাশের ১৩৬টি ইউক্যালিপটাস ও আকাশমণিগাছ বিক্রি করেছেন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান। এদিকে সেই গাছের সঙ্গে বনজ ও ঔষধি গাছ মিলে দেড় শতাধিক গাছ কেটে বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে স্বেচ্ছাসেবক দলের দুই নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে...
২৩ মিনিট আগেআট মিনিটের বিদ্যুৎ-বিভ্রাটকে রাজনৈতিক পক্ষপাত উল্লেখ করে কলিজা ছেঁড়ার হুমকি দিলেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।
২৭ মিনিট আগে