Ajker Patrika
সাক্ষাৎকার

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে বলে উপাচার্য ওই শিক্ষার্থীর অভিযোগে ব্যবস্থা নেননি: জুনায়েদ হালিম

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে বলে উপাচার্য ওই শিক্ষার্থীর অভিযোগে ব্যবস্থা নেননি: জুনায়েদ হালিম
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৪ মার্চ ২০২৪, ১৯: ৩১

এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগের শিক্ষার্থী কাজী ফারজানা মীম। পরে সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ওই বিভাগের প্রভাষক আবু শাহেদ ইমনকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। একই সঙ্গে শিক্ষার্থীকে অসহযোগিতা করার অভিযোগে বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক জুনায়েদ হালিমকে চেয়ারম্যান পদ থেকে অব্যাহতি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ নিয়ে দেশজুড়ে নানা আলোচনা ছড়িয়ে পড়ে। 

জগন্নাথের সেই পরিস্থিতি নিয়ে অভিযুক্ত দুই শিক্ষকের মধ্যে অধ্যাপক জুনায়েদ আহমদ হালিমের সঙ্গে আজ শনিবার দুপুরে কথা বলেছে আজকের পত্রিকা অনলাইন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন রাসেল মাহমুদ। 

আজকের পত্রিকা: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কাজী ফারজানা মীম যৌন হয়রানির যেই অভিযোগ করেছিলেন, আপনারা কেন সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নিলেন না?
অধ্যাপক জুনায়েদ হালিম: ঘটনার দুই বছর পর মেয়েটি এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেয়। এই শিক্ষার্থী যৌন হয়রানির অভিযোগ ছাড়াও শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রশ্নপত্র তৈরি করা, সেশনজটসহ বিভাগের আরও বেশ কিছু বিষয় নিয়ে অভিযোগ করে। এসব বিষয় নিয়ে আমরা তৎকালীন উপাচার্যের কাছে যাই। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে বলে উপাচার্য বিষয়টি শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে মীমাংসা করার পরামর্শ দেন। তখন তার বাবার সঙ্গে দেখা করে আলোচনা করি। পরে শিক্ষার্থীর সঙ্গেও আলোচনা করি। কিন্তু সেই শিক্ষার্থী অভিযোগ প্রত্যাহার করেনি। উপাচার্যকে জানানোর পর কোনো পদক্ষেপ নেননি। এর পরই ওই শিক্ষার্থী প্ল্যাকার্ড নিয়ে প্রতিবাদে দাঁড়িয়ে যায়। এবার বিভাগের শিক্ষক শাহেদ ইমনের প্ররোচনায় ফাতেমা আমিন তাকে (মীম) কোনো মার্কস দেয়নি—এই অভিযোগ তোলে। 

আজকের পত্রিকা: তাহলে আপনাকে দোষারোপ করা হচ্ছে কেন? তখন আপনার ভূমিকা আসলে কেমন ছিল? 
অধ্যাপক জুনায়েদ হালিম: আমার দোষ হলো, অভিযোগের পর আমাকে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও বিভাগের বিষয়টি দেখতে হয়েছে। এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তির বিষয়, যার কারণে বিষয়টি নিয়ে উপাচার্যের কাছে যেতে হয়েছে। তা ছাড়া আমার তো যাওয়ার দরকার ছিল না। করোনার সময় ওই শিক্ষার্থী আমার কাছে গিয়ে মৌখিকভাবে যৌন নিপীড়নের কথা বলেছিল। যেহেতু বিষয়টি আমার কাছে এসেছে, তখন তাকে বলেছি লিখিত দিতে। কারণ সরাসরি এমন একটি বিষয় তাকে না বলে লিখিত দিলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষককে বলা যাবে। 

আজকের পত্রিকা: এ রকম অভিযোগের কোনো তদন্ত হলো না? সেই তদন্ত কমিটি কী প্রতিবেদন দিল?
অধ্যাপক জুনায়েদ হালিম: তদন্ত কমিটি নিয়ে একটু ঝামেলা আছে। হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী দুজন বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরের সদস্য লাগত। সেখানে বাইরে থেকে কাজ করেছেন শুধু অধ্যাপক সাদেকা হালিম। আইনত একটা ছোট অসংগতি এখানে ছিল। তদন্ত করতে এসেছে যৌন হয়রানির বিষয়ে, সেখানে আবু শাহেদ ইমনের বিষয়েই তদন্ত করেছে। বাকিদের বিষয়ে যৌন হয়রানির অভিযোগগুলো আর আমলে নেয়নি। তদন্তের বিষয় ছিল যৌন হয়রানি, সেখানে বিভাগে কার সঙ্গে কী দ্বন্দ্ব, সেগুলো তদন্ত প্রতিবেদনে দিয়েছে। আমিও দ্বিচারিতা করেছি। মেয়েকে বলেছি লিখিত দিতে, আবার তার অভিযোগ তুলে নিতেও বলেছি। তদন্ত করতে এসে তারা আমাকে ধমকিয়েছে। অথচ আমার কথায় সে (শিক্ষার্থী) কিন্তু অভিযোগ তোলেনি। তাহলে আমাকে কেন অভিযুক্ত করা হলো? আমি এই তদন্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করব না। স্বাক্ষর না করে আমার জবানবন্দি দিয়েছি। পরে আমরা বিভাগে একটি একাডেমিক সভা করে ব্যাখ্যা দিয়েছি। তদন্ত কমিটির ওপর অনাস্থা এনে তা বাতিলের দাবি করেছি। 

আজকের পত্রিকা: তদন্ত কমিটির সঙ্গে আপনার এই পরিস্থিতি তৈরি হলো কেন? আগে থেকে কোনো বিরোধ ছিল? 
অধ্যাপক জুনায়েদ হালিম: আপনি আমাদের ধমকানোর কে? আপনাদের তদন্ত করতে দিছে। তদন্ত করতে এসে আমার চাকরি ‘নট’ করে দিতে চান! তদন্ত প্রতিবেদনে স্বাক্ষর করতে বাধ্য করতে চেয়েছে। পরে আমরা সভা করে বলেছি, সাদেকা হালিম ও তদন্ত কমিটির ওপর আমাদের আস্থা নাই। অনাস্থা জানিয়ে বাতিল চেয়েছি। আদালত তদন্ত বাতিল করেছে। যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধ সেলে এ কমিটি ছিল। আমার কথা হলো, ইমন যদি অপরাধ করে থাকে, ওর শাস্তি হবে। কিন্তু বিন্দুমাত্র সন্দেহ থাকলে তাকে দোষী সাব্যস্ত করতে পারবেন না। আমি সেটাই বলেছি। 

আজকের পত্রিকা: তাহলে আপনি তদন্ত প্রতিবেদন মানতে চাননি? সাদেকা হালিমের সঙ্গে এখান থেকেই কি আপনার বিরোধ? 
অধ্যাপক জুনায়েদ হালিম: সাদেকা হালিমের তদন্ত প্রতিবেদনে উষ্মা প্রকাশ করার কারণে তিনি সেটা মানতে পারেননি। তিনি হয়তো ভেবেছেন, আমি তাঁকে (সাদেকা হালিম) ‘না’ করেছি। আসলে নারীবাদের নামে আমি পুরুষ বিদ্বেষের শিকার! কারণ, আমি তাঁর বিষয়ে অনাস্থা দিয়েছি। এটাই হলো মূল কারণ। 

আজকের পত্রিকা: আপনি বলছেন, সাদেকা হালিম উপাচার্য হয়ে কি সেটির প্রতিশোধ নিলেন? 
অধ্যাপক জুনায়েদ হালিম: সাদেকা হালিমকে আমরা যেই অনাস্থা দিয়েছি, এই জ্বালা তিনি সহ্য করতে পারছেন না! উপাচার্য হয়ে আসার পর তাঁর সঙ্গে তিনবার আমার মিটিং নির্ধারণ করেও মিটিং হয়নি। প্রথম মিটিংয়ে বলেছিলেন, মেয়েটির পরীক্ষা নিয়ে নাও। আমি বলেছি, আবেদন করলে আমি নিয়ে নেব। এরপর বললেন, শিক্ষক ইমনকে শাস্তি দিবে। তখন আমি বললাম, এটা আপনার এখতিয়ার। এরপর দুইবার তিনি সভা ঠিক করেও কোনো সভা হয়নি। 

আজকের পত্রিকা: এ রকম পরিস্থিতিতে আপনি কী পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাবছেন? 
অধ্যাপক জুনায়েদ হালিম: যারা আমাকে সামাজিকভাবে হেয় করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে মানহানির মামলাও করতে পারি। আমার কথা হলো, পরীক্ষা নির্ধারিত সময়ের পরে কেন আমি সেই পরীক্ষা আবার নিব? তাকে সেই সুযোগ দিলে তো বাকি সবাইকেও একই সুযোগ দিতে হবে। অন্য আরেকজন পরীক্ষা দেয়নি। সেও ফেল করেছে। আমি কারও জন্য নিয়মের ব্যত্যয় ঘটাইনি। আমি মনে করি, আমি সঠিক অবস্থানেই আছি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আন্তর্জাতিক সালিসের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ-আদানি

‘সাকিবের পোস্টার স্টেডিয়ামে ঢুকবে কি না, বিসিবির ডিসিপ্লিনারি কমিটি দেখবে’

দলীয় মনোনয়ন পছন্দ না হওয়ায় বিশৃঙ্খলা, বিএনপির ৪ নেতা বহিষ্কার

আজকের রাশিফল: ছবি পোস্ট করার আগে সাতবার ভাবুন, জ্ঞানের কথা চেপে রাখুন

জোটেই ভোট করবে জামায়াত, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা শিগগির

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

উল্টোপথে অটোরিকশা, বাসচাপায় চালক ও যাত্রী নিহত

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
ঘটনাস্থল পরিদর্শন পুলিশের। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঘটনাস্থল পরিদর্শন পুলিশের। ছবি: আজকের পত্রিকা

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে যাত্রীবাহী বাসের চাপায় অটোরিকশার চালক ও যাত্রী দুজনই নিহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার দেওহাটা আন্ডারপাসের সামনে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন উপজেলার রশিদ দেওহাটা গ্রামের আব্দুল হামিদ (৬০) ও রানাশাল গ্রামের অটোরিকশাচালক রহিজ সিকদার (৪৬)।

মির্জাপুরের গোড়াই হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সোহেল সারোয়ার জানান, অটোরিকশাচালক মহাসড়কে উল্টোপথে দেওহাটা আন্ডারপাসের ওপরে ওঠার চেষ্টা করেন। এ সময় ঢাকা থেকে টাঙ্গাইলগামী যাত্রীবাহী বাস চাপা দিলে এই প্রাণহানি ঘটে। লাশ আইনিপ্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। যাত্রীবাহী বাসটি আটকের চেষ্টা চলছে বলে তিনি জানিয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আন্তর্জাতিক সালিসের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ-আদানি

‘সাকিবের পোস্টার স্টেডিয়ামে ঢুকবে কি না, বিসিবির ডিসিপ্লিনারি কমিটি দেখবে’

দলীয় মনোনয়ন পছন্দ না হওয়ায় বিশৃঙ্খলা, বিএনপির ৪ নেতা বহিষ্কার

আজকের রাশিফল: ছবি পোস্ট করার আগে সাতবার ভাবুন, জ্ঞানের কথা চেপে রাখুন

জোটেই ভোট করবে জামায়াত, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা শিগগির

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

চকরিয়া সড়কে ডাকাতির ঘটনায় গ্রেপ্তার ৩

চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি 
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায় সড়কে ডাকাতির ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) ভোররাতে উপজেলার কাকারা ও ডুলাহাজারা এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিরা হলেন কাকারা ইউনিয়নের মাইজ কাকারা গ্রামের গুরা মিয়ার ছেলে মো. সেলিম (৩৫); ডুলাহাজারা রিংভং দক্ষিণপাড়া গ্রামের কামাল হোসেনের ছেলে সাজ্জাত হোসেন (২৫) এবং বদরখালী ইউনিয়নের টেকপাড়া গ্রামের মাহমুদুল হকের ছেলে মো. আনছার (৩২)।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার রাতে সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়নের ইয়াংছা রোডের পানিরছড়া এলাকায় সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ বেশ কয়েকটি গাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় অটোরিকশার যাত্রীদের মারধর করে নগদ টাকা ও মালামাল লুট করা হয়।

এ ঘটনার পর চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌহিদুল আনোয়ারের নেতৃত্বে পুলিশের একাধিক টিম ডাকাতির ঘটনায় জড়িত ধরতে অভিযানে নামে।

গোপন তথ্যের ভিত্তিতে আজ মঙ্গলবার ভোররাতে কাকারায় অবস্থান করার খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে মো. সেলিমকে গ্রেপ্তার করে। অপর দিকে মালুমঘাট রেলস্টেশনের অদূরে একটি স্থানে একটি ডাকাত দলের গোপন বৈঠকের খবরে অভিযান চালিয়ে সাজ্জাত ও আনছারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

গত ১৮ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে রশি টেনে ডাকাতি ও পর্যটক খুনের ঘটনায় সাজ্জাতের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্টতার পাওয়া গেছে।

চকরিয়ার থানার (ওসি) তৌহিদুল আনোয়ার বলেন, সড়কে ডাকাতির ঘটনায় পুলিশ জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে কাজ করছে। ইতিমধ্যে তিনজন ডাকাতকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ দুপুরে তিনজনকে চকরিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আন্তর্জাতিক সালিসের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ-আদানি

‘সাকিবের পোস্টার স্টেডিয়ামে ঢুকবে কি না, বিসিবির ডিসিপ্লিনারি কমিটি দেখবে’

দলীয় মনোনয়ন পছন্দ না হওয়ায় বিশৃঙ্খলা, বিএনপির ৪ নেতা বহিষ্কার

আজকের রাশিফল: ছবি পোস্ট করার আগে সাতবার ভাবুন, জ্ঞানের কথা চেপে রাখুন

জোটেই ভোট করবে জামায়াত, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা শিগগির

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

খেয়াঘাটের ভাড়া আদায় নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১০

নরসিংদী প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

নরসিংদীতে খেয়াঘাটে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা নিয়ে টেঁটা ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়েছে দুপক্ষ। এতে দুজন টেঁটাবিদ্ধসহ ১০ জন আহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সকালে সদর উপজেলার মাধবদী থানার চরাঞ্চল চরদীঘলদী ইউনিয়নের জিতরামপুরে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, চরদীঘলদী ইউনিয়নের জিরতরামপুরে খেয়াঘাটে অতিরিক্ত ভাড়ার টাকা আদায় করা নিয়ে স্থানীয় শহিদ মেম্বার ও চাঁন মিয়া গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে গতকাল সোমবার দুপক্ষ সংঘর্ষে জড়ানোর পর খেয়াঘাট বন্ধ হয়ে যায়। আজ মঙ্গলবার সকালে ফের টেঁটা ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায় দুপক্ষের লোকজন। এতে দুজন টেঁটাবিদ্ধ হওয়াসহ ১০ জন আহত হয়। আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে অবস্থান নিয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। আমরা তিনজন আহত হওয়ার খবর পেয়েছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আন্তর্জাতিক সালিসের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ-আদানি

‘সাকিবের পোস্টার স্টেডিয়ামে ঢুকবে কি না, বিসিবির ডিসিপ্লিনারি কমিটি দেখবে’

দলীয় মনোনয়ন পছন্দ না হওয়ায় বিশৃঙ্খলা, বিএনপির ৪ নেতা বহিষ্কার

আজকের রাশিফল: ছবি পোস্ট করার আগে সাতবার ভাবুন, জ্ঞানের কথা চেপে রাখুন

জোটেই ভোট করবে জামায়াত, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা শিগগির

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বাড়িতে ভাত খাইতে গেলেও নাকি রবিউলের অনুমতি নিতে হবে—ডাকাতে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী

আক্কেলপুর (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি 
কাশিড়া বাজারে ডাকাতির মামলার আসামি রবিউলের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর বিক্ষোভ মিছিল। ছবি: আজকের পত্রিকা
কাশিড়া বাজারে ডাকাতির মামলার আসামি রবিউলের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর বিক্ষোভ মিছিল। ছবি: আজকের পত্রিকা

জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলায় রবিউল ইসলাম নামে ডাকাতির মামলার আসামির শাস্তি দাবি করেছেন এলাকাবাসী। আজ মঙ্গলবার সকালে কাশিড়া বাজারে রবিউল ও তাঁর পরিবারের সব সদস্যের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেন তাঁরা।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ২০১৭ সালে কাশিড়া বাজারে এক রাতে ১৪টি দোকানে ডাকাতির ঘটনায় দুই নম্বর আসামি ছিলেন ওই রবিউল ইসলাম। এ ছাড়া বগুড়া আদমদীঘি থানায় ডাকাতি ও বগুড়া সদর থানার অস্ত্র মামলার আসামিও রবিউল ইসলাম। বক্তারা অভিযোগ করেন, রবিউল এলাকার ব্যবসায়ীদের হুমকি-ধমকি দিয়ে চাঁদা দাবি করেন। কেউ চাঁদা দিতে না চাইলে তাঁকে রবিউল ও তাঁর পরিবারের লোকজন মারধর করেন। বক্তাদের দাবি, গোপীনাথপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান রবিউল ও তাঁর পরিবারকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেন।

মানববন্ধনে অংশ নেওয়া কাশিড়া বাজার পরিচালনা কমিটির (বণিক সমিতি) সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইমলাম বলেন, ‘কিছু বিপথগামী সন্ত্রাসী, কিছু ডাকাত আমাদের কাছে বিভিন্নভাবে চাঁদার দাবি করে এবং বাজারে ডাকাতি করে। সেই ডাকাতদের আইনের আওতায় আনার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কর্মকর্তাদের কাছে দাবি জানাচ্ছি।’

স্থানীয় বাসিন্দা আল-আমিন হোসেন বলেন, ‘আমাদের কাশিড়া গ্রামের ডাকাত রবিউল বিভিন্ন সময় আমাদের কাছে হুমকি-ধমকি দিয়ে চাঁদা দাবি করে। সে কাশিড়া বাজারে দোকানে ডাকাতির সঙ্গে জড়িত। বাড়িতে ভাত খাইতে গেলেও নাকি রবিউলের অনুমতি নিতে হবে। তাকে ধরতে গেলেই চেয়ারম্যানের কথা বলে, আসলে চেয়ারম্যানের সঙ্গে কী সম্পর্ক আছে—সেটি জানার বিষয়। চেয়ারম্যান যদি ওই ডাকাত রবিউলের সঙ্গে জড়িত থাকে, তাহলে তাঁকেও আইনের আওতায় আনা হোক।’

গোপীনাথপুর ইউনিয়নের পরিষদের ৭ নম্বর ইউপি সদস্য ও স্থানীয় বাসিন্দা সেলিম মাহবুব বলেন, ‘রবিউল প্রায় সাত বছর থেকে এলাকায় ছিল না। দেড় বছর হলো, সে আবার কাশিড়াতে এসেছে। সে জনসমক্ষে বলে আমি স্বাধীন, আমি মুক্ত। এই রবিউল ডাকাত এখন কাশিড়াবাসীর কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। সে হিন্দু পরিবারের কাছে চাঁদা দাবি করে, এলাকায় জুয়ার আসর বসায়, বাইর থেকে কেউ এলাকায় রাজমিস্ত্রির কাজ করতে এলে তাঁকে পাঁচ হাজার টাকা চাঁদা দিতে হয়। প্রতিবাদ করলে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। কিছুদিন আগে কাশিড়া বাজারে হান্নান মণ্ডলের দোকান চুরি হয়। পরে রবিউল এসে বাজার সভাপতির কাছে সিসি ক্যামেরার বিষয়ে জানতে চায়। তখন তার গতিবিধি দেখে আমরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে সাত দিন সময় চায়, চুরি হওয়া তিন-চার লাখ টাকার মাল বের করে দেওয়ার জন্য। কিন্তু এই এলাকার কিছু অসাধু ব্যক্তি এই ডাকাতকে সহযোগিতা করে আমাদের কয়েকজনের নামে জয়পুরহাট কোর্টে একটি মামলা দায়ের করে। আমাদের একটাই দাবি, রবিউলসহ তার পরিবারের লোকজনকে আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেওয়া হোক।’

এদিকে ডাকাতি মামলার আসামি রবিউলকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন গোপীনাথপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান। তিনি বলেন, ‘কাশিড়া বাজারে মানববন্ধন থেকে আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে, তা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমি কেন, বাংলাদেশের কোনো চেয়ারম্যানই কোনো ডাকাতকে প্রশ্রয় দেয় না। একটি চক্র আমার সুনাম ক্ষুণ্ন করার জন্য ওই কথা মানববন্ধনে বলেছে।’

আক্কেলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘কাশিড়া বাজারে ডাকাতির মামলার আসামি রবিউল ইসলাম বর্তমানে কারাগারে রয়েছে। কিছুদিন আগেই আমরা তাকে গ্রেপ্তার করেছি। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ডাকাতিসহ অস্ত্র মামলা রয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আন্তর্জাতিক সালিসের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ-আদানি

‘সাকিবের পোস্টার স্টেডিয়ামে ঢুকবে কি না, বিসিবির ডিসিপ্লিনারি কমিটি দেখবে’

দলীয় মনোনয়ন পছন্দ না হওয়ায় বিশৃঙ্খলা, বিএনপির ৪ নেতা বহিষ্কার

আজকের রাশিফল: ছবি পোস্ট করার আগে সাতবার ভাবুন, জ্ঞানের কথা চেপে রাখুন

জোটেই ভোট করবে জামায়াত, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা শিগগির

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত