রাসেল মাহমুদ, ঢাকা
রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুলের তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে শিশু ওমায়ের নূর আশিক। সোমবার (২১ জুলাই) দুপুরে স্কুলটিতে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় গুরুতর আহত হয় শিশুটি। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে তাকে প্রথমে উত্তরার লুবনা জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড কার্ডিয়াক সেন্টারে, পরে ইউনাইটেড হাসপাতালে নেওয়া হয়। হাসপাতালটি থেকে শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
কিন্তু বাসায় নেওয়ার পর মুখ থেকে সাদা ফেনা বের হলে আবারও তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসে ওমায়েরের পরিবার। কিন্তু উত্তরার লুবনা জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড কার্ডিয়াক সেন্টারের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে হাসপাতাল থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে তার মরদেহ নিয়ে যায় পরিবার। সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় হাসপাতালটিতে গিয়ে এ ঘটনা চোখে পড়ে।
সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উত্তরায় লুবনা জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড কার্ডিয়াক সেন্টারে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালের গেটের বাইরে প্রায় অর্ধশত লোক দাঁড়িয়ে আছে। গেটের সামনেই রাখা হয়েছে একটি অ্যাম্বুলেন্স। জরুরি বিভাগের সামনেও মানুষজনের ভিড়। জরুরি বিভাগের ভেতরে গিয়ে দেখা যায়, একটি স্ট্রেচারে সাদা কাফনে মোড়ানো একটি মরদেহ। কয়েকজন দাঁড়িয়ে আছেন। দরজার পাশের একটি টেবিলে হাসপাতালটির এক নারী কর্মকর্তা নাম-ঠিকানা লিখছেন। পাশেই দাঁড়িয়ে কান্নাজড়িত কণ্ঠে তথ্য দিচ্ছেন এক ব্যক্তি। তথ্য দেওয়া শেষেই কাফনের কাপড়ে মোড়ানো মরদেহ নিয়ে তাঁরা বেরিয়ে যাচ্ছেন। লাশ নিয়ে তুললেন অ্যাম্বুলেন্সে। সঙ্গে সঙ্গেই অ্যাম্বুলেন্স ছেড়ে দিলেও অ্যাম্বুলেন্সে ওঠার আগমুহূর্তে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ওই নারী কর্মকর্তাকে তথ্য দেওয়া ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তিনি নিহত শিশুটির চাচা। নাম মো. শফিকুল ইসলাম।
কথা বলার সময় শফিকুল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার ভাতিজা স্কুলে ছিল, দুর্ঘটনায় মারা গেছে।’ কথাটুকু বলেই তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন।
পরে ওমায়েরের স্বজনেরা জানান, ওমায়েরের শরীরের অধিকাংশই পুড়ে যায়। তাঁকে উদ্ধার করে বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখান থেকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। পরে তাকে বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। তবে বাসায় নিয়ে যাওয়ার পর তার মুখ থেকে হালকা ফেনা বের হয়। এতে তার বেঁচে থাকার বিষয়ে আশা থাকায় নিয়ে আসা হয় লুবনা জেনারেল হাসপাতালে। তবে চিকিৎসক দেখে তাঁকে মৃত বলে জানান। পরে জেনারেল হাসপাতালের নথি থেকে জানা যায়, নিহত ওমায়েরের বয়স ১১ বছর। বাসা ঢাকার তুরাগ এলাকার তারারটেক।
পরে ফোনে নিহত ওমায়েরের চাচা মো. শফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে জানান, ওমায়েররা দুই ভাই-বোন। ওমায়ের তাঁর বড় ভাইয়ের বড় ছেলে। পড়ত মাইলস্টোন স্কুলে। স্কুলটিতে ওমায়েরের এক ফুফু শিক্ষকতা করেন। ঘটনার সময় স্কুলের অন্য একটি ভবনে ছিলেন তার ফুফু। তাই তিনি সুস্থ রয়েছেন। তবে ওমায়েরের মুখে ও হাতের কিছু অংশ পুড়ে যায়। ঘটনার খবর পেয়ে তিনি স্কুলে যান। পরে সেনাবাহিনী তাকে উদ্ধার করলে সেই গাড়িতে করেই শফিকুল ইসলাম ওমায়েরকে প্রথমে উত্তরায় লুবনা জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড কার্ডিয়াক সেন্টারে নিয়ে যান। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় ইউনাইটেড হাসপাতালে। সেখানকার চিকিৎসক ওমায়েরকে মৃত ঘোষণা করলে তাকে বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। তবে মুখে ফেনা দেখে বেঁচে থাকতে পারে সেই আশায় তাকে আবার নিয়ে যাওয়া হয় লুবনা জেনারেল হাসপাতালে। কিন্তু চিকিৎসক তাকে মৃত বলেই জানান।
লুবনা জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড কার্ডিয়াক সেন্টারে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মো. মেহেদী হাসান বলেন, ‘শিশুটিকে প্রথমে আমাদের হাসপাতাল থেকে ইউনাইটেড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে বাসায় নেওয়ার পথে হয়তো তার মুখ দিয়ে ফেনা বের হয়। এতে তাকে আবার হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তার পরিবারের লোকজন হয়তো মুখে ফেনা দেখে ভেবেছিলেন, শিশুটি বেঁচে আছে। তবে শিশুটি আগেই মারা যায়।’
রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুলের তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে শিশু ওমায়ের নূর আশিক। সোমবার (২১ জুলাই) দুপুরে স্কুলটিতে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় গুরুতর আহত হয় শিশুটি। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে তাকে প্রথমে উত্তরার লুবনা জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড কার্ডিয়াক সেন্টারে, পরে ইউনাইটেড হাসপাতালে নেওয়া হয়। হাসপাতালটি থেকে শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
কিন্তু বাসায় নেওয়ার পর মুখ থেকে সাদা ফেনা বের হলে আবারও তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসে ওমায়েরের পরিবার। কিন্তু উত্তরার লুবনা জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড কার্ডিয়াক সেন্টারের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে হাসপাতাল থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে তার মরদেহ নিয়ে যায় পরিবার। সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় হাসপাতালটিতে গিয়ে এ ঘটনা চোখে পড়ে।
সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উত্তরায় লুবনা জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড কার্ডিয়াক সেন্টারে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালের গেটের বাইরে প্রায় অর্ধশত লোক দাঁড়িয়ে আছে। গেটের সামনেই রাখা হয়েছে একটি অ্যাম্বুলেন্স। জরুরি বিভাগের সামনেও মানুষজনের ভিড়। জরুরি বিভাগের ভেতরে গিয়ে দেখা যায়, একটি স্ট্রেচারে সাদা কাফনে মোড়ানো একটি মরদেহ। কয়েকজন দাঁড়িয়ে আছেন। দরজার পাশের একটি টেবিলে হাসপাতালটির এক নারী কর্মকর্তা নাম-ঠিকানা লিখছেন। পাশেই দাঁড়িয়ে কান্নাজড়িত কণ্ঠে তথ্য দিচ্ছেন এক ব্যক্তি। তথ্য দেওয়া শেষেই কাফনের কাপড়ে মোড়ানো মরদেহ নিয়ে তাঁরা বেরিয়ে যাচ্ছেন। লাশ নিয়ে তুললেন অ্যাম্বুলেন্সে। সঙ্গে সঙ্গেই অ্যাম্বুলেন্স ছেড়ে দিলেও অ্যাম্বুলেন্সে ওঠার আগমুহূর্তে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ওই নারী কর্মকর্তাকে তথ্য দেওয়া ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তিনি নিহত শিশুটির চাচা। নাম মো. শফিকুল ইসলাম।
কথা বলার সময় শফিকুল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার ভাতিজা স্কুলে ছিল, দুর্ঘটনায় মারা গেছে।’ কথাটুকু বলেই তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন।
পরে ওমায়েরের স্বজনেরা জানান, ওমায়েরের শরীরের অধিকাংশই পুড়ে যায়। তাঁকে উদ্ধার করে বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখান থেকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। পরে তাকে বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। তবে বাসায় নিয়ে যাওয়ার পর তার মুখ থেকে হালকা ফেনা বের হয়। এতে তার বেঁচে থাকার বিষয়ে আশা থাকায় নিয়ে আসা হয় লুবনা জেনারেল হাসপাতালে। তবে চিকিৎসক দেখে তাঁকে মৃত বলে জানান। পরে জেনারেল হাসপাতালের নথি থেকে জানা যায়, নিহত ওমায়েরের বয়স ১১ বছর। বাসা ঢাকার তুরাগ এলাকার তারারটেক।
পরে ফোনে নিহত ওমায়েরের চাচা মো. শফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে জানান, ওমায়েররা দুই ভাই-বোন। ওমায়ের তাঁর বড় ভাইয়ের বড় ছেলে। পড়ত মাইলস্টোন স্কুলে। স্কুলটিতে ওমায়েরের এক ফুফু শিক্ষকতা করেন। ঘটনার সময় স্কুলের অন্য একটি ভবনে ছিলেন তার ফুফু। তাই তিনি সুস্থ রয়েছেন। তবে ওমায়েরের মুখে ও হাতের কিছু অংশ পুড়ে যায়। ঘটনার খবর পেয়ে তিনি স্কুলে যান। পরে সেনাবাহিনী তাকে উদ্ধার করলে সেই গাড়িতে করেই শফিকুল ইসলাম ওমায়েরকে প্রথমে উত্তরায় লুবনা জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড কার্ডিয়াক সেন্টারে নিয়ে যান। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় ইউনাইটেড হাসপাতালে। সেখানকার চিকিৎসক ওমায়েরকে মৃত ঘোষণা করলে তাকে বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। তবে মুখে ফেনা দেখে বেঁচে থাকতে পারে সেই আশায় তাকে আবার নিয়ে যাওয়া হয় লুবনা জেনারেল হাসপাতালে। কিন্তু চিকিৎসক তাকে মৃত বলেই জানান।
লুবনা জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড কার্ডিয়াক সেন্টারে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মো. মেহেদী হাসান বলেন, ‘শিশুটিকে প্রথমে আমাদের হাসপাতাল থেকে ইউনাইটেড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে বাসায় নেওয়ার পথে হয়তো তার মুখ দিয়ে ফেনা বের হয়। এতে তাকে আবার হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তার পরিবারের লোকজন হয়তো মুখে ফেনা দেখে ভেবেছিলেন, শিশুটি বেঁচে আছে। তবে শিশুটি আগেই মারা যায়।’
পুলিশ জানায়, ২০২৪ সালের ২৪ নভেম্বর রাজৈরে ভাঙচুর, বোমা বিস্ফোরণ ও লুটপাটের ঘটনায় পাঠানকান্দি গ্রামের এক বিএনপি কর্মীর দায়ের করা মামলায় শাজাহান মোল্লা এজাহারভুক্ত আসামি। ঘটনার পর থেকেই তিনি আত্মগোপনে ছিলেন।
১৮ মিনিট আগেশিবচরের সন্ন্যাসীরচর ইউনিয়নের রাজারচর আজগর হাওলাদারকান্দি গ্রামের শাহ আলম ও নাছিমা দম্পতির একমাত্র ছেলে ছিলেন হৃদয়। তিনি স্থানীয় একটি ফার্নিচারের কারখানায় কাজ করতেন। পড়াশোনা শেষ করে সৌদি আরবে থাকা চাচার সহায়তায় বিদেশে যাওয়ার স্বপ্ন ছিল তাঁর।
২৩ মিনিট আগেজুলাই অভ্যুত্থানে চট্টগ্রামের বহদ্দারহাট এলাকায় দোকান কর্মচারী শহীদুল ইসলামকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় করা মামলার অভিযোগপত্র দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। অভিযোগপত্রে মামলার আসামির সংখ্যা প্রায় ৫ গুণ বেড়ে ২৩১ জনে দাঁড়িয়েছে।
৩৮ মিনিট আগেটাঙ্গাইলের সখীপুরে সন্তানদের সামনে স্ত্রী কাকলিকে (৩২) হত্যার পর পালিয়ে যাওয়া স্বামী মেহেদী হাসানকে (৪০) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে গাজীপুরের কোনাবাড়ি এলাকা থেকে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটিলিয়ন (র্যাব-১৪) মেহেদীকে গ্রেপ্তার করে।
১ ঘণ্টা আগে