নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার অঙ্গীকারের প্রথম ধাপ হিসেবে রাজধানীর ‘লক্কড়-ঝক্কড়’ বাস উচ্ছেদ করে সরকারি ব্যবস্থাপনায় একটি কোম্পানির অধীনে নতুন করে ৫ হাজার উন্নতমানের বাস নামানোর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।
আজ শনিবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী এই দাবি জানান।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ স্বল্প উন্নত দেশের কাতারে প্রবেশ করতে যাচ্ছে। বর্তমান সরকার ২০২৬ সালের মধ্যে দেশকে উন্নত দেশের কাতারে শামিল করার কথা বলেছে। তাই দেশের রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের গণপরিবহনব্যবস্থা উন্নত করতে সরকার বদ্ধপরিকর।’
মোজাম্মেল চৌধুরী আরও বলেন, ‘নতুন সরকারের পরিকল্পনায় রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে ছোট ছোট যানবাহনের পরিবর্তে সরকারি ব্যবস্থাপনায় একটি কোম্পানির অধীনে অথবা পিপিপির অধীনে উন্নতমানের ৫ হাজার নতুন বাস নামানোর দাবি জানাচ্ছি। একই পদ্ধতিতে সারা দেশে স্মার্ট বাস সার্ভিস গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেওয়ার জন্য দাবি জানাই।’
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘যাত্রী ও নাগরিক সমাজের দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে চালু হওয়া বাস রুট রেশনালাইজেশন প্রকল্পের আওতায় ঢাকা নগর পরিবহন নামে কয়েকটি রুটে বাস সার্ভিস চালু করা হলেও তা মুখ থুবড়ে পড়েছে। সদরঘাট থেকে গাবতলী আমিন বাজার পর্যন্ত চালু হওয়া ওয়াটার বাস সার্ভিসও বন্ধ হয়ে গেছে। নগর পরিবহনে ই-টিকিটিং সার্ভিসও বন্ধ হয়ে গেছে। এহেন পরিস্থিতিতে নগরীর যাত্রীসাধারণ এখন পরিবহন মালিক শ্রমিকদের ইচ্ছার কাছে জিম্মি। সাধারণ মানুষ ইজ্জত ও মর্যাদা নিয়ে এসব পরিবহনে যাতায়াত করতে পারছে না।’
মোজাম্মেল বলেন, ‘ক্ষমতাসীন নতুন সরকারের চলতি মেয়াদে সড়ক পরিবহন সেক্টরে সুশাসন প্রতিষ্ঠা, সড়কে শৃঙ্খলা, লক্কড়-ঝক্কড় যানবাহন উচ্ছেদ করে উন্নত দেশের আদলে স্মার্ট, সাশ্রয়ী ও নিরাপদ গণপরিবহনব্যবস্থা গড়ে তোলার পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।’
লিখিত বক্তব্য তিনি বলেন, ‘জাইকার সমীক্ষা অনুযায়ী বর্তমানে রাজধানীতে দৈনিক ৪ কোটি ট্রিপ যাত্রীর যাতায়াত হয়। এখানে বাস ব্যবসার ব্যাপক সুযোগ থাকলেও শুধু চাঁদাবাজি বন্ধ করা গেলে, ডেডিকেটেড বাস লেন চালু করা গেলে, বাস সার্ভিসের মধ্য দিয়ে নগরীর যাতায়াতব্যবস্থার চিত্র রাতারাতি পাল্টে দেওয়া সম্ভব।’
বিভিন্ন সূত্র উল্লেখ করে মোজাম্মেল চৌধুরী বলেন, ‘বর্তমানে রাজধানীর যানজট ও যাত্রী ভোগান্তি নিরসনে মেট্রোরেল ও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে মিলে প্রায় ৩ লাখ কোটি টাকা খরচের পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে। জাইকা সমীক্ষা অনুযায়ী ছয়টি মেট্রোরেল ও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে মাত্র ৩৫ শতাংশ যাত্রী পরিবহনে সক্ষম হবে। ৬৫ শতাংশ যাত্রী পরিবহন করবে বিদ্যমান লক্কড়-ঝক্কড় বাস। অথচ মাত্র ৫ হাজার নতুন বাস নামাতে মাত্র আড়াই থেকে ৩ হাজার কোটি টাকা প্রয়োজন। সরকার চাইলে পিপিপির মাধ্যমে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্বের মধ্যে দিয়ে এ ধরনের বাস সার্ভিস চালু করা যেতে পারে।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য লুৎফুন নেসা খান এমপি, সংগঠনে সহসভাপতি তাওহিদুল হক, যুগ্ম মহাসচিব মনিরুল হক, প্রচার সম্পাদক, মাহমুদ হাসান রাসেল, সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোফাজ্জল হোসেন, মনজুর হোসেন ইশা প্রমুখ।
স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার অঙ্গীকারের প্রথম ধাপ হিসেবে রাজধানীর ‘লক্কড়-ঝক্কড়’ বাস উচ্ছেদ করে সরকারি ব্যবস্থাপনায় একটি কোম্পানির অধীনে নতুন করে ৫ হাজার উন্নতমানের বাস নামানোর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।
আজ শনিবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী এই দাবি জানান।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ স্বল্প উন্নত দেশের কাতারে প্রবেশ করতে যাচ্ছে। বর্তমান সরকার ২০২৬ সালের মধ্যে দেশকে উন্নত দেশের কাতারে শামিল করার কথা বলেছে। তাই দেশের রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের গণপরিবহনব্যবস্থা উন্নত করতে সরকার বদ্ধপরিকর।’
মোজাম্মেল চৌধুরী আরও বলেন, ‘নতুন সরকারের পরিকল্পনায় রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে ছোট ছোট যানবাহনের পরিবর্তে সরকারি ব্যবস্থাপনায় একটি কোম্পানির অধীনে অথবা পিপিপির অধীনে উন্নতমানের ৫ হাজার নতুন বাস নামানোর দাবি জানাচ্ছি। একই পদ্ধতিতে সারা দেশে স্মার্ট বাস সার্ভিস গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেওয়ার জন্য দাবি জানাই।’
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘যাত্রী ও নাগরিক সমাজের দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে চালু হওয়া বাস রুট রেশনালাইজেশন প্রকল্পের আওতায় ঢাকা নগর পরিবহন নামে কয়েকটি রুটে বাস সার্ভিস চালু করা হলেও তা মুখ থুবড়ে পড়েছে। সদরঘাট থেকে গাবতলী আমিন বাজার পর্যন্ত চালু হওয়া ওয়াটার বাস সার্ভিসও বন্ধ হয়ে গেছে। নগর পরিবহনে ই-টিকিটিং সার্ভিসও বন্ধ হয়ে গেছে। এহেন পরিস্থিতিতে নগরীর যাত্রীসাধারণ এখন পরিবহন মালিক শ্রমিকদের ইচ্ছার কাছে জিম্মি। সাধারণ মানুষ ইজ্জত ও মর্যাদা নিয়ে এসব পরিবহনে যাতায়াত করতে পারছে না।’
মোজাম্মেল বলেন, ‘ক্ষমতাসীন নতুন সরকারের চলতি মেয়াদে সড়ক পরিবহন সেক্টরে সুশাসন প্রতিষ্ঠা, সড়কে শৃঙ্খলা, লক্কড়-ঝক্কড় যানবাহন উচ্ছেদ করে উন্নত দেশের আদলে স্মার্ট, সাশ্রয়ী ও নিরাপদ গণপরিবহনব্যবস্থা গড়ে তোলার পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।’
লিখিত বক্তব্য তিনি বলেন, ‘জাইকার সমীক্ষা অনুযায়ী বর্তমানে রাজধানীতে দৈনিক ৪ কোটি ট্রিপ যাত্রীর যাতায়াত হয়। এখানে বাস ব্যবসার ব্যাপক সুযোগ থাকলেও শুধু চাঁদাবাজি বন্ধ করা গেলে, ডেডিকেটেড বাস লেন চালু করা গেলে, বাস সার্ভিসের মধ্য দিয়ে নগরীর যাতায়াতব্যবস্থার চিত্র রাতারাতি পাল্টে দেওয়া সম্ভব।’
বিভিন্ন সূত্র উল্লেখ করে মোজাম্মেল চৌধুরী বলেন, ‘বর্তমানে রাজধানীর যানজট ও যাত্রী ভোগান্তি নিরসনে মেট্রোরেল ও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে মিলে প্রায় ৩ লাখ কোটি টাকা খরচের পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে। জাইকা সমীক্ষা অনুযায়ী ছয়টি মেট্রোরেল ও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে মাত্র ৩৫ শতাংশ যাত্রী পরিবহনে সক্ষম হবে। ৬৫ শতাংশ যাত্রী পরিবহন করবে বিদ্যমান লক্কড়-ঝক্কড় বাস। অথচ মাত্র ৫ হাজার নতুন বাস নামাতে মাত্র আড়াই থেকে ৩ হাজার কোটি টাকা প্রয়োজন। সরকার চাইলে পিপিপির মাধ্যমে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্বের মধ্যে দিয়ে এ ধরনের বাস সার্ভিস চালু করা যেতে পারে।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য লুৎফুন নেসা খান এমপি, সংগঠনে সহসভাপতি তাওহিদুল হক, যুগ্ম মহাসচিব মনিরুল হক, প্রচার সম্পাদক, মাহমুদ হাসান রাসেল, সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোফাজ্জল হোসেন, মনজুর হোসেন ইশা প্রমুখ।
চট্টগ্রাম নগরে পরীর পাহাড়ে যাতায়াতের দুর্ভোগ কমাতে বছরখানেক আগে সড়কের পাশের ২৩ শতক জায়গার ওপর গড়ে ওঠা অবৈধ দখলদারদের স্থাপনা ভেঙে দিয়েছিলেন তৎকালীন জেলা প্রশাসক। উচ্ছেদের পর সেখানে জনস্বার্থে প্রকল্প বাস্তবায়নের কথা ছিল। জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের পর ডিসি রদবদল হলে সেই উদ্ধার করা জায়গা আরেক দখলদারের
৩ ঘণ্টা আগেসিলেটের ১৩৩ বছরের পুরোনো এমসি কলেজ। এর ছাত্রাবাসের সপ্তম ব্লকে ১২৮ জন শিক্ষার্থীর পাশাপাশি কলেজের কয়েকজন কর্মচারীও থাকেন। কিন্তু বেশ কয়েক দিন ধরে পানির তীব্র সংকট থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। গোসল করা দূরে থাক, প্রয়োজনীয় খাওয়ার পানিও পাচ্ছেন না তাঁরা। তাই অনেকে বাধ্য হয়ে নিজ নিজ বাড়িতে চলে
৩ ঘণ্টা আগেটানা বৃষ্টি আর উজানের ঢলে পদ্মা নদীতে বৃদ্ধি পাচ্ছে পানি। এতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলার চরাঞ্চল ডুবে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে পাঁচটি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের সাড়ে ৬ হাজার পরিবার। অন্যদিকে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের পদ্মার চরের নিম্নাঞ্চলের আবাদি জমি ও চলাচলের রাস্তা ডুবে গেছে। ইতিমধ্যে রামকৃষ্ণপুর
৩ ঘণ্টা আগেরংপুরের তারাগঞ্জে গণপিটুনিতে শ্বশুর রূপলাল দাস (৪৫) ও জামাই প্রদীপ লালের (৩৫) প্রাণহানির পেছনে আইনশৃঙ্খলাহীনতাকে দুষছেন স্থানীয় লোকজন। তাঁরা বলছেন, গত কয়েক দিনের চুরি, ছিনতাই ও হত্যাকাণ্ড-সংশ্লিষ্ট অপরাধের কারণে স্থানীয় জনতার ভেতর মবের মনোভাব তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশও সেভাবে তৎপর নয়। এসব কারণেই শ্
৩ ঘণ্টা আগে