গাজীপুর প্রতিনিধি

রাজধানী লাগোয়া শিল্প নগরী গাজীপুরকে দ্বিতীয় গোপালগঞ্জ ও আওয়ামী লীগের ঘাঁটি মনে করা হয়। মহান মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে এ দেশের গণমানুষের অধিকার আদায়ের লড়াই সংগ্রাম এবং উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় আওয়ামী লীগের রয়েছে সুদীর্ঘ ইতিহাস। দলটির ইতিহাসের অংশীদার আওয়ামী লীগের প্রয়াত অনেক নেতার মধ্যে গাজীপুরে রয়েছেন চারজন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাজীপুরের পাঁচটি সংসদীয় আসনের মধ্যে চারটিতেই আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনী লড়াইয়ে নেমেছেন বাবাদের আদর্শের অনুসারী তিন কন্যা ও এক ছেলে। তাঁরা বাবার আদর্শ বাস্তবায়ন এবং উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখতে নৌকা মার্কায় ভোট প্রার্থনা করে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
অপরদিকে জেলার পাঁচটি আসনের মধ্যে তিনটিতেই নারী প্রার্থী পেয়ে ভোটারদের মধ্যে রয়েছে আলাদা উৎসাহ।
এবারের নির্বাচনে বাবার উত্তরসূরি হিসাবে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থীরা হলেন—গাজীপুর-৩ আসনে রোমানা আলি টুসি, গাজীপুর-৪ আসনে সিমিন হোসেন রিমি, গাজীপুর-৫ আসনে মেহের আফরোজ চুমকি ও গাজীপুর-২ আসনে মো. জাহিদ হাসান রাসেল।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, আসনগুলো বরাবরই আওয়ামী লীগের দখলে রয়েছে। এ চার উত্তরসূরির মধ্যে তিনজন সরাসরি ভোটে নির্বাচিত এবং একজন সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। এবার নির্বাচনে বিরোধী দল না থাকলেও আসনগুলোতে এসব প্রার্থীরা দলীয় স্বতন্ত্র প্রার্থীদের প্রবল বিরোধিতার মুখে পড়েছেন। এসব কারণে আসনগুলোতে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা জমে উঠেছে। ভোটারদের মধ্যেও সৃষ্টি হয়েছে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা।
গাজীপুর-২:
এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন শ্রমিক লীগের কিংবদন্তি নেতা, ভাওয়াল বীর, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের উত্তরসূরি মো. জাহিদ আহসান রাসেল। তিনি এ আসনের ৪ বারের সংসদ সদস্য এবং সরকারের যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এবারের নির্বাচনে তাঁর সঙ্গে আরও ৬ জন প্রার্থী থাকলেও মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে স্বতন্ত্র প্রার্থী কাজী আলিম উদ্দিন বুদ্দিনের (ট্রাক) সঙ্গে।
কাজী আলিম উদ্দিন বুদ্দিন গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি। তিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। এর আগে গাজীপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে অংশ নিয়ে পরাজিত হয়েছিলেন। তিনি আগে কখনো নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ছিলেন না।
এ আসনটি গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ১৯ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ৩৯ নম্বর ওয়ার্ড (গাজীপুর সদর) ও ৪৩ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ৫৭ নম্বর ওয়ার্ড (টঙ্গী) এলাকা এবং গাজীপুর ক্যান্টনমেন্ট (গাজীপুর সদর) এলাকা নিয়ে গঠিত। জাহিদ আহসান রাসেলের বাড়ি টঙ্গী। কাজী আলিম উদ্দিন বুদ্দিনের বাড়ি গাজীপুর অংশে। টঙ্গীর ভোট ভাগ না হলে রাসেল জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এখানে কাজী আলিম উদ্দিন বুদ্দিনকে সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম সমর্থন দিয়ে ব্যাপক প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন। ফলে এখানে নির্বাচনে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।
গাজীপুর-৩:
আসনটিতে দীর্ঘদিনে আওয়ামী লীগের তুমুল জনপ্রিয় নেতা ছিলেন প্রয়াত অ্যাডভোকেট রহমত আলী। তিনি আওয়ামী লীগের জনপ্রিয় ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ প্রকল্পের উদ্ভাবক ও স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। পিতার আদর্শের পথ ধরে এ আসনে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন রহমত আলীর কন্যা অধ্যাপক রুমানা আলী টুসি। তিনি বর্তমান সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য।
টুসি কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক। নৌকা পাওয়ার পর সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুলি জলিল, বর্তমান পৌর মেয়র আনিছুর রহমানসহ রহমত আলীর অনুসারী নেতা-কর্মীরা বিপুল উৎসাহে টুসির পক্ষে রয়েছেন।
এখানে আরও প্রার্থী আছেন ৬ জন। তবে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে মুহাম্মদ ইকবাল হোসেন সবুজের (ট্রাক) সঙ্গে। মুহাম্মদ ইকবাল হোসেন সবুজ একাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে এ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি এবার মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী। তিনি গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদক ও সাবেক শ্রীপুর উপজেলা চেয়ারম্যান। এখানে বর্তমানে আওয়ামী লীগ ও বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কমিটি তাঁর হাতে গড়া। এ কারণে অধিকাংশ নেতা তার প্রতি বিশ্বস্ত। ফলে এখানে জয়ের লড়াই হবে তীব্র।
রুমানা আলী টুসি বলেন, ‘আমার বাবা স্বাধীনতার পর বহুদিন এ এলাকার মানুষের সেবা করেছেন, জাতীয় রাজনীতিতে বঙ্গবন্ধু ও তার কন্যা শেখ হাসিনার পাশে থেকেছেন। আমি জয়ী হলে পিতার আদর্শ নিয়ে সব সময় মানুষের পাশে থাকব।
গাজীপুর-৪:
কাপাসিয়া আসন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সংগঠক, প্রথম প্রধানমন্ত্রী, বঙ্গতাজ তাজউদ্দীন আহমেদের জন্মভূমি। তাঁর প্রতি কাপাসিয়ার মানুষের রয়েছে গভীর শ্রদ্ধা, মমতা ও ভালোবাসা। এখানে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন তাজউদ্দীন আহমদের উত্তরসূরি সিমিন হোসেন রিমি। রিমি আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য। রিমির ছোট ভাই সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ পদত্যাগ করলে ২০১২ সালের উপনির্বাচনে তিনি প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর থেকে তিনি এখানকার সংসদ সদস্য। এবারও দল তার প্রতি আস্থা রেখে নৌকা তুলে দিয়েছে।
এখানে আরও প্রার্থী আছেন ৪ জন। তবে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে তাজউদ্দীন আহমদের ভাগিনা, শিল্পপতি, বাংলাদেশ কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা আলম আহমেদের সঙ্গে। আলম আহমেদ দলীয় মনোনয়ন চেয়ে ব্যর্থ হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন।
আলম আহমেদ বাছাইকালে ঋণ খেলাপির কারণে মনোনয়ন হারান। পরে উচ্চ আদালতের রায় নিয়ে প্রতীক বরাদ্দের একদিন পর নির্বাচনী লড়াইয়ে ফিরে আসেন। আলম আহমেদ প্রতীক নিয়েছেন ঈগল। পরে রিমি নিজে পক্ষভুক্ত হয়ে ফুপাতো ভাইয়ের পক্ষে উচ্চ আদালতের দেওয়া রায় বাতিলের আবেদন করলে গত ২ জানুয়ারি উচ্চ আদালতের ফুল বেঞ্চ রিমির আবেদন না মঞ্জুর করেন। নির্বাচনী প্রচারণায় এটি এখন মূল ইস্যু। এখানে চলছে তাজউদ্দীন আহমদের মেয়ে ও ভাগিনার লড়াই। জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোতাহার হোসেন মোল্লাসহ আওয়ামী লীগের দীর্ঘদিন ধরে উপেক্ষিত একটি অংশ আলমের পক্ষে।
সিমিন হোসেন রিমি বলেন, ‘আমি আমার বাবা, জাতির পিতা ও আওয়ামী লীগের আদর্শ ধারণ করে রাজনীতি করে যাচ্ছি। আমি নির্বাচিত হওয়ার পর পিছিয়ে পড়া এলাকার উন্নয়নে গতি এনেছি। সঙ্গে মা ও শিশু মৃত্যুর হার কমানো, বাল্য বিয়েমুক্ত এলাকা গড়ে তোলা, সবার জন্য স্বাস্থ্য-শিক্ষার সুযোগ ও মাদকমুক্ত এলাকা গঠনে কাজ করেছি। এবার লক্ষ্য স্মার্ট দেশ গঠনে কাজ করা। এ লক্ষ্যে আমি আবারও নৌকা প্রতীকে ভোট প্রার্থনা করছি।’
গাজীপুর-৫:
গাজীপুর-৫ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও ঐতিহাসিক আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক ও স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের শহীদ অ্যাড. ময়েজ উদ্দিনের উত্তরসূরি মেহের আফরোজ চুমকি। চুমকি ১৯৯৬ সালে সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য ছিলেন। পরে ২০০৯,২০১৪ এবং ২০১৮ সালে এই আসনে নৌকার প্রার্থী হিসাবে নির্বাচিত হন। তিনি মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেন দুই মেয়াদে। চুমকি এখানকার বর্তমান সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। তিনি বাবার পরিচয়ে রাজনীতিতে এলেও রাজনীতির মাঠে বিশ্বস্ত নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করেছেন। এখানে আওয়ামী লীগ ও বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সকল কমিটি তার হাতে গড়া। কালীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান ও পৌর মেয়রসহ প্রায় সকল পদধারী নেতা তাঁর প্রতি বিশ্বস্ত। তিনি এলাকায় শান্তি কন্যা হিসাবে পরিচিত।
এখানে আরও প্রার্থী আছেন পাঁচজন। তবে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী আখতারউজ্জামানের (ট্রাক) সঙ্গে। আখতারউজ্জামান এখানকার সাবেক সংসদ সদস্য, গাজীপুর জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান, ডাকসুর সাবেক ভিপি-জিএস। তিনি এখাসকার মানুষের কাছে বেশ প্রিয়। এ কারণে কালীগঞ্জের প্রবীণ নাগরিক, সিনিয়র নেতা-কর্মী যারা বিভিন্ন সময়ে অবহেলিত হয়েছেন, তারা আখতারউজ্জামানের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন।
মেহের আফরোজ চুমকি বলেন, ‘বাবার দেখানো পথেই রাজনীতির মাঠে বিচরণ করে চলছি। আমৃত্যু আওয়ামী লীগের আদর্শ ধারণ করতে চাই। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে নারীদের সঙ্গে নিয়ে একটি উন্নত সমৃদ্ধ দেশ গঠনে কাজ করতে চাই।’
এ ছাড়া গাজীপুর-৫ আসনটি কালীগঞ্জ উপজেলা, গাজীপুর সিটির ৩টি ওয়ার্ড ও সদর উপজেলার বাড়ীয়া ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। এখানে সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম আখতারউজ্জামানকে সমর্থন দিয়ে তার পক্ষে ব্যাপক প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন। এ আসনে তাদের উভয়ের প্রচারণায় ব্যাপক জন সমাগম দেখা যায়। এ আসনে বর্তমান ও সাবেক দুই এমপির তীব্র লড়াই হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

রাজধানী লাগোয়া শিল্প নগরী গাজীপুরকে দ্বিতীয় গোপালগঞ্জ ও আওয়ামী লীগের ঘাঁটি মনে করা হয়। মহান মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে এ দেশের গণমানুষের অধিকার আদায়ের লড়াই সংগ্রাম এবং উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় আওয়ামী লীগের রয়েছে সুদীর্ঘ ইতিহাস। দলটির ইতিহাসের অংশীদার আওয়ামী লীগের প্রয়াত অনেক নেতার মধ্যে গাজীপুরে রয়েছেন চারজন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাজীপুরের পাঁচটি সংসদীয় আসনের মধ্যে চারটিতেই আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনী লড়াইয়ে নেমেছেন বাবাদের আদর্শের অনুসারী তিন কন্যা ও এক ছেলে। তাঁরা বাবার আদর্শ বাস্তবায়ন এবং উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখতে নৌকা মার্কায় ভোট প্রার্থনা করে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
অপরদিকে জেলার পাঁচটি আসনের মধ্যে তিনটিতেই নারী প্রার্থী পেয়ে ভোটারদের মধ্যে রয়েছে আলাদা উৎসাহ।
এবারের নির্বাচনে বাবার উত্তরসূরি হিসাবে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থীরা হলেন—গাজীপুর-৩ আসনে রোমানা আলি টুসি, গাজীপুর-৪ আসনে সিমিন হোসেন রিমি, গাজীপুর-৫ আসনে মেহের আফরোজ চুমকি ও গাজীপুর-২ আসনে মো. জাহিদ হাসান রাসেল।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, আসনগুলো বরাবরই আওয়ামী লীগের দখলে রয়েছে। এ চার উত্তরসূরির মধ্যে তিনজন সরাসরি ভোটে নির্বাচিত এবং একজন সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। এবার নির্বাচনে বিরোধী দল না থাকলেও আসনগুলোতে এসব প্রার্থীরা দলীয় স্বতন্ত্র প্রার্থীদের প্রবল বিরোধিতার মুখে পড়েছেন। এসব কারণে আসনগুলোতে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা জমে উঠেছে। ভোটারদের মধ্যেও সৃষ্টি হয়েছে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা।
গাজীপুর-২:
এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন শ্রমিক লীগের কিংবদন্তি নেতা, ভাওয়াল বীর, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের উত্তরসূরি মো. জাহিদ আহসান রাসেল। তিনি এ আসনের ৪ বারের সংসদ সদস্য এবং সরকারের যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এবারের নির্বাচনে তাঁর সঙ্গে আরও ৬ জন প্রার্থী থাকলেও মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে স্বতন্ত্র প্রার্থী কাজী আলিম উদ্দিন বুদ্দিনের (ট্রাক) সঙ্গে।
কাজী আলিম উদ্দিন বুদ্দিন গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি। তিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। এর আগে গাজীপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে অংশ নিয়ে পরাজিত হয়েছিলেন। তিনি আগে কখনো নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ছিলেন না।
এ আসনটি গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ১৯ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ৩৯ নম্বর ওয়ার্ড (গাজীপুর সদর) ও ৪৩ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ৫৭ নম্বর ওয়ার্ড (টঙ্গী) এলাকা এবং গাজীপুর ক্যান্টনমেন্ট (গাজীপুর সদর) এলাকা নিয়ে গঠিত। জাহিদ আহসান রাসেলের বাড়ি টঙ্গী। কাজী আলিম উদ্দিন বুদ্দিনের বাড়ি গাজীপুর অংশে। টঙ্গীর ভোট ভাগ না হলে রাসেল জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এখানে কাজী আলিম উদ্দিন বুদ্দিনকে সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম সমর্থন দিয়ে ব্যাপক প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন। ফলে এখানে নির্বাচনে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।
গাজীপুর-৩:
আসনটিতে দীর্ঘদিনে আওয়ামী লীগের তুমুল জনপ্রিয় নেতা ছিলেন প্রয়াত অ্যাডভোকেট রহমত আলী। তিনি আওয়ামী লীগের জনপ্রিয় ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ প্রকল্পের উদ্ভাবক ও স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। পিতার আদর্শের পথ ধরে এ আসনে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন রহমত আলীর কন্যা অধ্যাপক রুমানা আলী টুসি। তিনি বর্তমান সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য।
টুসি কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক। নৌকা পাওয়ার পর সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুলি জলিল, বর্তমান পৌর মেয়র আনিছুর রহমানসহ রহমত আলীর অনুসারী নেতা-কর্মীরা বিপুল উৎসাহে টুসির পক্ষে রয়েছেন।
এখানে আরও প্রার্থী আছেন ৬ জন। তবে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে মুহাম্মদ ইকবাল হোসেন সবুজের (ট্রাক) সঙ্গে। মুহাম্মদ ইকবাল হোসেন সবুজ একাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে এ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি এবার মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী। তিনি গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদক ও সাবেক শ্রীপুর উপজেলা চেয়ারম্যান। এখানে বর্তমানে আওয়ামী লীগ ও বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কমিটি তাঁর হাতে গড়া। এ কারণে অধিকাংশ নেতা তার প্রতি বিশ্বস্ত। ফলে এখানে জয়ের লড়াই হবে তীব্র।
রুমানা আলী টুসি বলেন, ‘আমার বাবা স্বাধীনতার পর বহুদিন এ এলাকার মানুষের সেবা করেছেন, জাতীয় রাজনীতিতে বঙ্গবন্ধু ও তার কন্যা শেখ হাসিনার পাশে থেকেছেন। আমি জয়ী হলে পিতার আদর্শ নিয়ে সব সময় মানুষের পাশে থাকব।
গাজীপুর-৪:
কাপাসিয়া আসন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সংগঠক, প্রথম প্রধানমন্ত্রী, বঙ্গতাজ তাজউদ্দীন আহমেদের জন্মভূমি। তাঁর প্রতি কাপাসিয়ার মানুষের রয়েছে গভীর শ্রদ্ধা, মমতা ও ভালোবাসা। এখানে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন তাজউদ্দীন আহমদের উত্তরসূরি সিমিন হোসেন রিমি। রিমি আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য। রিমির ছোট ভাই সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ পদত্যাগ করলে ২০১২ সালের উপনির্বাচনে তিনি প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর থেকে তিনি এখানকার সংসদ সদস্য। এবারও দল তার প্রতি আস্থা রেখে নৌকা তুলে দিয়েছে।
এখানে আরও প্রার্থী আছেন ৪ জন। তবে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে তাজউদ্দীন আহমদের ভাগিনা, শিল্পপতি, বাংলাদেশ কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা আলম আহমেদের সঙ্গে। আলম আহমেদ দলীয় মনোনয়ন চেয়ে ব্যর্থ হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন।
আলম আহমেদ বাছাইকালে ঋণ খেলাপির কারণে মনোনয়ন হারান। পরে উচ্চ আদালতের রায় নিয়ে প্রতীক বরাদ্দের একদিন পর নির্বাচনী লড়াইয়ে ফিরে আসেন। আলম আহমেদ প্রতীক নিয়েছেন ঈগল। পরে রিমি নিজে পক্ষভুক্ত হয়ে ফুপাতো ভাইয়ের পক্ষে উচ্চ আদালতের দেওয়া রায় বাতিলের আবেদন করলে গত ২ জানুয়ারি উচ্চ আদালতের ফুল বেঞ্চ রিমির আবেদন না মঞ্জুর করেন। নির্বাচনী প্রচারণায় এটি এখন মূল ইস্যু। এখানে চলছে তাজউদ্দীন আহমদের মেয়ে ও ভাগিনার লড়াই। জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোতাহার হোসেন মোল্লাসহ আওয়ামী লীগের দীর্ঘদিন ধরে উপেক্ষিত একটি অংশ আলমের পক্ষে।
সিমিন হোসেন রিমি বলেন, ‘আমি আমার বাবা, জাতির পিতা ও আওয়ামী লীগের আদর্শ ধারণ করে রাজনীতি করে যাচ্ছি। আমি নির্বাচিত হওয়ার পর পিছিয়ে পড়া এলাকার উন্নয়নে গতি এনেছি। সঙ্গে মা ও শিশু মৃত্যুর হার কমানো, বাল্য বিয়েমুক্ত এলাকা গড়ে তোলা, সবার জন্য স্বাস্থ্য-শিক্ষার সুযোগ ও মাদকমুক্ত এলাকা গঠনে কাজ করেছি। এবার লক্ষ্য স্মার্ট দেশ গঠনে কাজ করা। এ লক্ষ্যে আমি আবারও নৌকা প্রতীকে ভোট প্রার্থনা করছি।’
গাজীপুর-৫:
গাজীপুর-৫ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও ঐতিহাসিক আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক ও স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের শহীদ অ্যাড. ময়েজ উদ্দিনের উত্তরসূরি মেহের আফরোজ চুমকি। চুমকি ১৯৯৬ সালে সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য ছিলেন। পরে ২০০৯,২০১৪ এবং ২০১৮ সালে এই আসনে নৌকার প্রার্থী হিসাবে নির্বাচিত হন। তিনি মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেন দুই মেয়াদে। চুমকি এখানকার বর্তমান সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। তিনি বাবার পরিচয়ে রাজনীতিতে এলেও রাজনীতির মাঠে বিশ্বস্ত নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করেছেন। এখানে আওয়ামী লীগ ও বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সকল কমিটি তার হাতে গড়া। কালীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান ও পৌর মেয়রসহ প্রায় সকল পদধারী নেতা তাঁর প্রতি বিশ্বস্ত। তিনি এলাকায় শান্তি কন্যা হিসাবে পরিচিত।
এখানে আরও প্রার্থী আছেন পাঁচজন। তবে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী আখতারউজ্জামানের (ট্রাক) সঙ্গে। আখতারউজ্জামান এখানকার সাবেক সংসদ সদস্য, গাজীপুর জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান, ডাকসুর সাবেক ভিপি-জিএস। তিনি এখাসকার মানুষের কাছে বেশ প্রিয়। এ কারণে কালীগঞ্জের প্রবীণ নাগরিক, সিনিয়র নেতা-কর্মী যারা বিভিন্ন সময়ে অবহেলিত হয়েছেন, তারা আখতারউজ্জামানের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন।
মেহের আফরোজ চুমকি বলেন, ‘বাবার দেখানো পথেই রাজনীতির মাঠে বিচরণ করে চলছি। আমৃত্যু আওয়ামী লীগের আদর্শ ধারণ করতে চাই। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে নারীদের সঙ্গে নিয়ে একটি উন্নত সমৃদ্ধ দেশ গঠনে কাজ করতে চাই।’
এ ছাড়া গাজীপুর-৫ আসনটি কালীগঞ্জ উপজেলা, গাজীপুর সিটির ৩টি ওয়ার্ড ও সদর উপজেলার বাড়ীয়া ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। এখানে সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম আখতারউজ্জামানকে সমর্থন দিয়ে তার পক্ষে ব্যাপক প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন। এ আসনে তাদের উভয়ের প্রচারণায় ব্যাপক জন সমাগম দেখা যায়। এ আসনে বর্তমান ও সাবেক দুই এমপির তীব্র লড়াই হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গাজীপুর প্রতিনিধি

রাজধানী লাগোয়া শিল্প নগরী গাজীপুরকে দ্বিতীয় গোপালগঞ্জ ও আওয়ামী লীগের ঘাঁটি মনে করা হয়। মহান মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে এ দেশের গণমানুষের অধিকার আদায়ের লড়াই সংগ্রাম এবং উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় আওয়ামী লীগের রয়েছে সুদীর্ঘ ইতিহাস। দলটির ইতিহাসের অংশীদার আওয়ামী লীগের প্রয়াত অনেক নেতার মধ্যে গাজীপুরে রয়েছেন চারজন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাজীপুরের পাঁচটি সংসদীয় আসনের মধ্যে চারটিতেই আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনী লড়াইয়ে নেমেছেন বাবাদের আদর্শের অনুসারী তিন কন্যা ও এক ছেলে। তাঁরা বাবার আদর্শ বাস্তবায়ন এবং উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখতে নৌকা মার্কায় ভোট প্রার্থনা করে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
অপরদিকে জেলার পাঁচটি আসনের মধ্যে তিনটিতেই নারী প্রার্থী পেয়ে ভোটারদের মধ্যে রয়েছে আলাদা উৎসাহ।
এবারের নির্বাচনে বাবার উত্তরসূরি হিসাবে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থীরা হলেন—গাজীপুর-৩ আসনে রোমানা আলি টুসি, গাজীপুর-৪ আসনে সিমিন হোসেন রিমি, গাজীপুর-৫ আসনে মেহের আফরোজ চুমকি ও গাজীপুর-২ আসনে মো. জাহিদ হাসান রাসেল।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, আসনগুলো বরাবরই আওয়ামী লীগের দখলে রয়েছে। এ চার উত্তরসূরির মধ্যে তিনজন সরাসরি ভোটে নির্বাচিত এবং একজন সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। এবার নির্বাচনে বিরোধী দল না থাকলেও আসনগুলোতে এসব প্রার্থীরা দলীয় স্বতন্ত্র প্রার্থীদের প্রবল বিরোধিতার মুখে পড়েছেন। এসব কারণে আসনগুলোতে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা জমে উঠেছে। ভোটারদের মধ্যেও সৃষ্টি হয়েছে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা।
গাজীপুর-২:
এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন শ্রমিক লীগের কিংবদন্তি নেতা, ভাওয়াল বীর, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের উত্তরসূরি মো. জাহিদ আহসান রাসেল। তিনি এ আসনের ৪ বারের সংসদ সদস্য এবং সরকারের যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এবারের নির্বাচনে তাঁর সঙ্গে আরও ৬ জন প্রার্থী থাকলেও মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে স্বতন্ত্র প্রার্থী কাজী আলিম উদ্দিন বুদ্দিনের (ট্রাক) সঙ্গে।
কাজী আলিম উদ্দিন বুদ্দিন গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি। তিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। এর আগে গাজীপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে অংশ নিয়ে পরাজিত হয়েছিলেন। তিনি আগে কখনো নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ছিলেন না।
এ আসনটি গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ১৯ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ৩৯ নম্বর ওয়ার্ড (গাজীপুর সদর) ও ৪৩ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ৫৭ নম্বর ওয়ার্ড (টঙ্গী) এলাকা এবং গাজীপুর ক্যান্টনমেন্ট (গাজীপুর সদর) এলাকা নিয়ে গঠিত। জাহিদ আহসান রাসেলের বাড়ি টঙ্গী। কাজী আলিম উদ্দিন বুদ্দিনের বাড়ি গাজীপুর অংশে। টঙ্গীর ভোট ভাগ না হলে রাসেল জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এখানে কাজী আলিম উদ্দিন বুদ্দিনকে সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম সমর্থন দিয়ে ব্যাপক প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন। ফলে এখানে নির্বাচনে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।
গাজীপুর-৩:
আসনটিতে দীর্ঘদিনে আওয়ামী লীগের তুমুল জনপ্রিয় নেতা ছিলেন প্রয়াত অ্যাডভোকেট রহমত আলী। তিনি আওয়ামী লীগের জনপ্রিয় ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ প্রকল্পের উদ্ভাবক ও স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। পিতার আদর্শের পথ ধরে এ আসনে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন রহমত আলীর কন্যা অধ্যাপক রুমানা আলী টুসি। তিনি বর্তমান সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য।
টুসি কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক। নৌকা পাওয়ার পর সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুলি জলিল, বর্তমান পৌর মেয়র আনিছুর রহমানসহ রহমত আলীর অনুসারী নেতা-কর্মীরা বিপুল উৎসাহে টুসির পক্ষে রয়েছেন।
এখানে আরও প্রার্থী আছেন ৬ জন। তবে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে মুহাম্মদ ইকবাল হোসেন সবুজের (ট্রাক) সঙ্গে। মুহাম্মদ ইকবাল হোসেন সবুজ একাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে এ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি এবার মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী। তিনি গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদক ও সাবেক শ্রীপুর উপজেলা চেয়ারম্যান। এখানে বর্তমানে আওয়ামী লীগ ও বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কমিটি তাঁর হাতে গড়া। এ কারণে অধিকাংশ নেতা তার প্রতি বিশ্বস্ত। ফলে এখানে জয়ের লড়াই হবে তীব্র।
রুমানা আলী টুসি বলেন, ‘আমার বাবা স্বাধীনতার পর বহুদিন এ এলাকার মানুষের সেবা করেছেন, জাতীয় রাজনীতিতে বঙ্গবন্ধু ও তার কন্যা শেখ হাসিনার পাশে থেকেছেন। আমি জয়ী হলে পিতার আদর্শ নিয়ে সব সময় মানুষের পাশে থাকব।
গাজীপুর-৪:
কাপাসিয়া আসন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সংগঠক, প্রথম প্রধানমন্ত্রী, বঙ্গতাজ তাজউদ্দীন আহমেদের জন্মভূমি। তাঁর প্রতি কাপাসিয়ার মানুষের রয়েছে গভীর শ্রদ্ধা, মমতা ও ভালোবাসা। এখানে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন তাজউদ্দীন আহমদের উত্তরসূরি সিমিন হোসেন রিমি। রিমি আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য। রিমির ছোট ভাই সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ পদত্যাগ করলে ২০১২ সালের উপনির্বাচনে তিনি প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর থেকে তিনি এখানকার সংসদ সদস্য। এবারও দল তার প্রতি আস্থা রেখে নৌকা তুলে দিয়েছে।
এখানে আরও প্রার্থী আছেন ৪ জন। তবে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে তাজউদ্দীন আহমদের ভাগিনা, শিল্পপতি, বাংলাদেশ কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা আলম আহমেদের সঙ্গে। আলম আহমেদ দলীয় মনোনয়ন চেয়ে ব্যর্থ হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন।
আলম আহমেদ বাছাইকালে ঋণ খেলাপির কারণে মনোনয়ন হারান। পরে উচ্চ আদালতের রায় নিয়ে প্রতীক বরাদ্দের একদিন পর নির্বাচনী লড়াইয়ে ফিরে আসেন। আলম আহমেদ প্রতীক নিয়েছেন ঈগল। পরে রিমি নিজে পক্ষভুক্ত হয়ে ফুপাতো ভাইয়ের পক্ষে উচ্চ আদালতের দেওয়া রায় বাতিলের আবেদন করলে গত ২ জানুয়ারি উচ্চ আদালতের ফুল বেঞ্চ রিমির আবেদন না মঞ্জুর করেন। নির্বাচনী প্রচারণায় এটি এখন মূল ইস্যু। এখানে চলছে তাজউদ্দীন আহমদের মেয়ে ও ভাগিনার লড়াই। জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোতাহার হোসেন মোল্লাসহ আওয়ামী লীগের দীর্ঘদিন ধরে উপেক্ষিত একটি অংশ আলমের পক্ষে।
সিমিন হোসেন রিমি বলেন, ‘আমি আমার বাবা, জাতির পিতা ও আওয়ামী লীগের আদর্শ ধারণ করে রাজনীতি করে যাচ্ছি। আমি নির্বাচিত হওয়ার পর পিছিয়ে পড়া এলাকার উন্নয়নে গতি এনেছি। সঙ্গে মা ও শিশু মৃত্যুর হার কমানো, বাল্য বিয়েমুক্ত এলাকা গড়ে তোলা, সবার জন্য স্বাস্থ্য-শিক্ষার সুযোগ ও মাদকমুক্ত এলাকা গঠনে কাজ করেছি। এবার লক্ষ্য স্মার্ট দেশ গঠনে কাজ করা। এ লক্ষ্যে আমি আবারও নৌকা প্রতীকে ভোট প্রার্থনা করছি।’
গাজীপুর-৫:
গাজীপুর-৫ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও ঐতিহাসিক আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক ও স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের শহীদ অ্যাড. ময়েজ উদ্দিনের উত্তরসূরি মেহের আফরোজ চুমকি। চুমকি ১৯৯৬ সালে সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য ছিলেন। পরে ২০০৯,২০১৪ এবং ২০১৮ সালে এই আসনে নৌকার প্রার্থী হিসাবে নির্বাচিত হন। তিনি মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেন দুই মেয়াদে। চুমকি এখানকার বর্তমান সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। তিনি বাবার পরিচয়ে রাজনীতিতে এলেও রাজনীতির মাঠে বিশ্বস্ত নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করেছেন। এখানে আওয়ামী লীগ ও বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সকল কমিটি তার হাতে গড়া। কালীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান ও পৌর মেয়রসহ প্রায় সকল পদধারী নেতা তাঁর প্রতি বিশ্বস্ত। তিনি এলাকায় শান্তি কন্যা হিসাবে পরিচিত।
এখানে আরও প্রার্থী আছেন পাঁচজন। তবে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী আখতারউজ্জামানের (ট্রাক) সঙ্গে। আখতারউজ্জামান এখানকার সাবেক সংসদ সদস্য, গাজীপুর জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান, ডাকসুর সাবেক ভিপি-জিএস। তিনি এখাসকার মানুষের কাছে বেশ প্রিয়। এ কারণে কালীগঞ্জের প্রবীণ নাগরিক, সিনিয়র নেতা-কর্মী যারা বিভিন্ন সময়ে অবহেলিত হয়েছেন, তারা আখতারউজ্জামানের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন।
মেহের আফরোজ চুমকি বলেন, ‘বাবার দেখানো পথেই রাজনীতির মাঠে বিচরণ করে চলছি। আমৃত্যু আওয়ামী লীগের আদর্শ ধারণ করতে চাই। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে নারীদের সঙ্গে নিয়ে একটি উন্নত সমৃদ্ধ দেশ গঠনে কাজ করতে চাই।’
এ ছাড়া গাজীপুর-৫ আসনটি কালীগঞ্জ উপজেলা, গাজীপুর সিটির ৩টি ওয়ার্ড ও সদর উপজেলার বাড়ীয়া ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। এখানে সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম আখতারউজ্জামানকে সমর্থন দিয়ে তার পক্ষে ব্যাপক প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন। এ আসনে তাদের উভয়ের প্রচারণায় ব্যাপক জন সমাগম দেখা যায়। এ আসনে বর্তমান ও সাবেক দুই এমপির তীব্র লড়াই হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

রাজধানী লাগোয়া শিল্প নগরী গাজীপুরকে দ্বিতীয় গোপালগঞ্জ ও আওয়ামী লীগের ঘাঁটি মনে করা হয়। মহান মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে এ দেশের গণমানুষের অধিকার আদায়ের লড়াই সংগ্রাম এবং উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় আওয়ামী লীগের রয়েছে সুদীর্ঘ ইতিহাস। দলটির ইতিহাসের অংশীদার আওয়ামী লীগের প্রয়াত অনেক নেতার মধ্যে গাজীপুরে রয়েছেন চারজন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাজীপুরের পাঁচটি সংসদীয় আসনের মধ্যে চারটিতেই আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনী লড়াইয়ে নেমেছেন বাবাদের আদর্শের অনুসারী তিন কন্যা ও এক ছেলে। তাঁরা বাবার আদর্শ বাস্তবায়ন এবং উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখতে নৌকা মার্কায় ভোট প্রার্থনা করে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
অপরদিকে জেলার পাঁচটি আসনের মধ্যে তিনটিতেই নারী প্রার্থী পেয়ে ভোটারদের মধ্যে রয়েছে আলাদা উৎসাহ।
এবারের নির্বাচনে বাবার উত্তরসূরি হিসাবে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থীরা হলেন—গাজীপুর-৩ আসনে রোমানা আলি টুসি, গাজীপুর-৪ আসনে সিমিন হোসেন রিমি, গাজীপুর-৫ আসনে মেহের আফরোজ চুমকি ও গাজীপুর-২ আসনে মো. জাহিদ হাসান রাসেল।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, আসনগুলো বরাবরই আওয়ামী লীগের দখলে রয়েছে। এ চার উত্তরসূরির মধ্যে তিনজন সরাসরি ভোটে নির্বাচিত এবং একজন সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। এবার নির্বাচনে বিরোধী দল না থাকলেও আসনগুলোতে এসব প্রার্থীরা দলীয় স্বতন্ত্র প্রার্থীদের প্রবল বিরোধিতার মুখে পড়েছেন। এসব কারণে আসনগুলোতে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা জমে উঠেছে। ভোটারদের মধ্যেও সৃষ্টি হয়েছে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা।
গাজীপুর-২:
এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন শ্রমিক লীগের কিংবদন্তি নেতা, ভাওয়াল বীর, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের উত্তরসূরি মো. জাহিদ আহসান রাসেল। তিনি এ আসনের ৪ বারের সংসদ সদস্য এবং সরকারের যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এবারের নির্বাচনে তাঁর সঙ্গে আরও ৬ জন প্রার্থী থাকলেও মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে স্বতন্ত্র প্রার্থী কাজী আলিম উদ্দিন বুদ্দিনের (ট্রাক) সঙ্গে।
কাজী আলিম উদ্দিন বুদ্দিন গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি। তিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। এর আগে গাজীপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে অংশ নিয়ে পরাজিত হয়েছিলেন। তিনি আগে কখনো নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ছিলেন না।
এ আসনটি গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ১৯ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ৩৯ নম্বর ওয়ার্ড (গাজীপুর সদর) ও ৪৩ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ৫৭ নম্বর ওয়ার্ড (টঙ্গী) এলাকা এবং গাজীপুর ক্যান্টনমেন্ট (গাজীপুর সদর) এলাকা নিয়ে গঠিত। জাহিদ আহসান রাসেলের বাড়ি টঙ্গী। কাজী আলিম উদ্দিন বুদ্দিনের বাড়ি গাজীপুর অংশে। টঙ্গীর ভোট ভাগ না হলে রাসেল জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এখানে কাজী আলিম উদ্দিন বুদ্দিনকে সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম সমর্থন দিয়ে ব্যাপক প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন। ফলে এখানে নির্বাচনে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।
গাজীপুর-৩:
আসনটিতে দীর্ঘদিনে আওয়ামী লীগের তুমুল জনপ্রিয় নেতা ছিলেন প্রয়াত অ্যাডভোকেট রহমত আলী। তিনি আওয়ামী লীগের জনপ্রিয় ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ প্রকল্পের উদ্ভাবক ও স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। পিতার আদর্শের পথ ধরে এ আসনে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন রহমত আলীর কন্যা অধ্যাপক রুমানা আলী টুসি। তিনি বর্তমান সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য।
টুসি কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক। নৌকা পাওয়ার পর সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুলি জলিল, বর্তমান পৌর মেয়র আনিছুর রহমানসহ রহমত আলীর অনুসারী নেতা-কর্মীরা বিপুল উৎসাহে টুসির পক্ষে রয়েছেন।
এখানে আরও প্রার্থী আছেন ৬ জন। তবে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে মুহাম্মদ ইকবাল হোসেন সবুজের (ট্রাক) সঙ্গে। মুহাম্মদ ইকবাল হোসেন সবুজ একাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে এ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি এবার মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী। তিনি গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদক ও সাবেক শ্রীপুর উপজেলা চেয়ারম্যান। এখানে বর্তমানে আওয়ামী লীগ ও বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কমিটি তাঁর হাতে গড়া। এ কারণে অধিকাংশ নেতা তার প্রতি বিশ্বস্ত। ফলে এখানে জয়ের লড়াই হবে তীব্র।
রুমানা আলী টুসি বলেন, ‘আমার বাবা স্বাধীনতার পর বহুদিন এ এলাকার মানুষের সেবা করেছেন, জাতীয় রাজনীতিতে বঙ্গবন্ধু ও তার কন্যা শেখ হাসিনার পাশে থেকেছেন। আমি জয়ী হলে পিতার আদর্শ নিয়ে সব সময় মানুষের পাশে থাকব।
গাজীপুর-৪:
কাপাসিয়া আসন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সংগঠক, প্রথম প্রধানমন্ত্রী, বঙ্গতাজ তাজউদ্দীন আহমেদের জন্মভূমি। তাঁর প্রতি কাপাসিয়ার মানুষের রয়েছে গভীর শ্রদ্ধা, মমতা ও ভালোবাসা। এখানে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন তাজউদ্দীন আহমদের উত্তরসূরি সিমিন হোসেন রিমি। রিমি আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য। রিমির ছোট ভাই সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ পদত্যাগ করলে ২০১২ সালের উপনির্বাচনে তিনি প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর থেকে তিনি এখানকার সংসদ সদস্য। এবারও দল তার প্রতি আস্থা রেখে নৌকা তুলে দিয়েছে।
এখানে আরও প্রার্থী আছেন ৪ জন। তবে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে তাজউদ্দীন আহমদের ভাগিনা, শিল্পপতি, বাংলাদেশ কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা আলম আহমেদের সঙ্গে। আলম আহমেদ দলীয় মনোনয়ন চেয়ে ব্যর্থ হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন।
আলম আহমেদ বাছাইকালে ঋণ খেলাপির কারণে মনোনয়ন হারান। পরে উচ্চ আদালতের রায় নিয়ে প্রতীক বরাদ্দের একদিন পর নির্বাচনী লড়াইয়ে ফিরে আসেন। আলম আহমেদ প্রতীক নিয়েছেন ঈগল। পরে রিমি নিজে পক্ষভুক্ত হয়ে ফুপাতো ভাইয়ের পক্ষে উচ্চ আদালতের দেওয়া রায় বাতিলের আবেদন করলে গত ২ জানুয়ারি উচ্চ আদালতের ফুল বেঞ্চ রিমির আবেদন না মঞ্জুর করেন। নির্বাচনী প্রচারণায় এটি এখন মূল ইস্যু। এখানে চলছে তাজউদ্দীন আহমদের মেয়ে ও ভাগিনার লড়াই। জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোতাহার হোসেন মোল্লাসহ আওয়ামী লীগের দীর্ঘদিন ধরে উপেক্ষিত একটি অংশ আলমের পক্ষে।
সিমিন হোসেন রিমি বলেন, ‘আমি আমার বাবা, জাতির পিতা ও আওয়ামী লীগের আদর্শ ধারণ করে রাজনীতি করে যাচ্ছি। আমি নির্বাচিত হওয়ার পর পিছিয়ে পড়া এলাকার উন্নয়নে গতি এনেছি। সঙ্গে মা ও শিশু মৃত্যুর হার কমানো, বাল্য বিয়েমুক্ত এলাকা গড়ে তোলা, সবার জন্য স্বাস্থ্য-শিক্ষার সুযোগ ও মাদকমুক্ত এলাকা গঠনে কাজ করেছি। এবার লক্ষ্য স্মার্ট দেশ গঠনে কাজ করা। এ লক্ষ্যে আমি আবারও নৌকা প্রতীকে ভোট প্রার্থনা করছি।’
গাজীপুর-৫:
গাজীপুর-৫ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও ঐতিহাসিক আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক ও স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের শহীদ অ্যাড. ময়েজ উদ্দিনের উত্তরসূরি মেহের আফরোজ চুমকি। চুমকি ১৯৯৬ সালে সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য ছিলেন। পরে ২০০৯,২০১৪ এবং ২০১৮ সালে এই আসনে নৌকার প্রার্থী হিসাবে নির্বাচিত হন। তিনি মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেন দুই মেয়াদে। চুমকি এখানকার বর্তমান সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। তিনি বাবার পরিচয়ে রাজনীতিতে এলেও রাজনীতির মাঠে বিশ্বস্ত নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করেছেন। এখানে আওয়ামী লীগ ও বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সকল কমিটি তার হাতে গড়া। কালীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান ও পৌর মেয়রসহ প্রায় সকল পদধারী নেতা তাঁর প্রতি বিশ্বস্ত। তিনি এলাকায় শান্তি কন্যা হিসাবে পরিচিত।
এখানে আরও প্রার্থী আছেন পাঁচজন। তবে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী আখতারউজ্জামানের (ট্রাক) সঙ্গে। আখতারউজ্জামান এখানকার সাবেক সংসদ সদস্য, গাজীপুর জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান, ডাকসুর সাবেক ভিপি-জিএস। তিনি এখাসকার মানুষের কাছে বেশ প্রিয়। এ কারণে কালীগঞ্জের প্রবীণ নাগরিক, সিনিয়র নেতা-কর্মী যারা বিভিন্ন সময়ে অবহেলিত হয়েছেন, তারা আখতারউজ্জামানের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন।
মেহের আফরোজ চুমকি বলেন, ‘বাবার দেখানো পথেই রাজনীতির মাঠে বিচরণ করে চলছি। আমৃত্যু আওয়ামী লীগের আদর্শ ধারণ করতে চাই। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে নারীদের সঙ্গে নিয়ে একটি উন্নত সমৃদ্ধ দেশ গঠনে কাজ করতে চাই।’
এ ছাড়া গাজীপুর-৫ আসনটি কালীগঞ্জ উপজেলা, গাজীপুর সিটির ৩টি ওয়ার্ড ও সদর উপজেলার বাড়ীয়া ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। এখানে সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম আখতারউজ্জামানকে সমর্থন দিয়ে তার পক্ষে ব্যাপক প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন। এ আসনে তাদের উভয়ের প্রচারণায় ব্যাপক জন সমাগম দেখা যায়। এ আসনে বর্তমান ও সাবেক দুই এমপির তীব্র লড়াই হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসন থেকে সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর সশস্ত্র হামলার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিরা যাতে দেশ ছেড়ে পালাতে না পারে, সে জন্য পঞ্চগড় সীমান্ত এলাকায় বিশেষ টহল ও তল্লাশি জোরদার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
৪৪ মিনিট আগে
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় পাঁচজনকে জরিমানা করা হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার যমুনা নদীতে এই অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহবুব হাসান।
১ ঘণ্টা আগে
আব্দুর রউফ তালুকদার বকশীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি। তাঁর বাড়ি বকশীগঞ্জ পৌর শহরের মধ্যবাজার এলাকায়। তিনি চার মেয়াদে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচত হয়ে দায়িত্ব পালন করেন।
১ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর গুলি চালানোর ঘটনায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি শনাক্ত করা হয়েছে। ওই মোটরসাইকেলের মালিক সন্দেহে আব্দুল হান্নানকে আটক করেছে র্যাব।
২ ঘণ্টা আগেপঞ্চগড় প্রতিনিধি

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসন থেকে সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর সশস্ত্র হামলার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিরা যাতে দেশ ছেড়ে পালাতে না পারে, সে জন্য পঞ্চগড় সীমান্ত এলাকায় বিশেষ টহল ও তল্লাশি জোরদার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
বিজিবি সূত্র জানায়, সীমান্ত এলাকায় নিজস্ব গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। ব্যাটালিয়ন সদর ও বিওপির নিয়মিত টহলের পাশাপাশি বিশেষ টহল দল মোতায়েন করে সীমান্তবর্তী গুরুত্বপূর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলোতে তল্লাশি কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। বিশেষ টহলের অংশ হিসেবে সীমান্ত এলাকায় চলাচলকারী যানবাহন ও সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের তল্লাশি অব্যাহত রয়েছে।
এ ছাড়া ব্যাটালিয়নের অধীন বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে (আইসিপি) নজরদারি আরও জোরদার করা হয়েছে। আইসিপি দিয়ে যাতায়াতকারী যানবাহন ও যাত্রীদের নিবিড়ভাবে তল্লাশি করা হচ্ছে। পাশাপাশি কে-৯ ইউনিটের (ডগ স্কোয়াড) মাধ্যমে বিশেষ তল্লাশি কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।

পঞ্চগড় ১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ কায়েস বলেন, ‘আমাদের দায়িত্বপূর্ণ এলাকা দিয়ে কোনো সন্দেহভাজন ব্যক্তি যাতে পার্শ্ববর্তী দেশে পালাতে না পারে, সে বিষয়ে বিজিবি সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানোর পাশাপাশি সীমান্ত নিরাপত্তাও জোরদার করা হয়েছে।’

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসন থেকে সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর সশস্ত্র হামলার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিরা যাতে দেশ ছেড়ে পালাতে না পারে, সে জন্য পঞ্চগড় সীমান্ত এলাকায় বিশেষ টহল ও তল্লাশি জোরদার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
বিজিবি সূত্র জানায়, সীমান্ত এলাকায় নিজস্ব গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। ব্যাটালিয়ন সদর ও বিওপির নিয়মিত টহলের পাশাপাশি বিশেষ টহল দল মোতায়েন করে সীমান্তবর্তী গুরুত্বপূর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলোতে তল্লাশি কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। বিশেষ টহলের অংশ হিসেবে সীমান্ত এলাকায় চলাচলকারী যানবাহন ও সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের তল্লাশি অব্যাহত রয়েছে।
এ ছাড়া ব্যাটালিয়নের অধীন বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে (আইসিপি) নজরদারি আরও জোরদার করা হয়েছে। আইসিপি দিয়ে যাতায়াতকারী যানবাহন ও যাত্রীদের নিবিড়ভাবে তল্লাশি করা হচ্ছে। পাশাপাশি কে-৯ ইউনিটের (ডগ স্কোয়াড) মাধ্যমে বিশেষ তল্লাশি কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।

পঞ্চগড় ১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ কায়েস বলেন, ‘আমাদের দায়িত্বপূর্ণ এলাকা দিয়ে কোনো সন্দেহভাজন ব্যক্তি যাতে পার্শ্ববর্তী দেশে পালাতে না পারে, সে বিষয়ে বিজিবি সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানোর পাশাপাশি সীমান্ত নিরাপত্তাও জোরদার করা হয়েছে।’

রাজধানী লাগোয়া শিল্প নগরী গাজীপুরকে দ্বিতীয় গোপালগঞ্জ ও আওয়ামী লীগের ঘাঁটি মনে করা হয়। মহান মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে এ দেশের গণমানুষের অধিকার আদায়ের লড়াই সংগ্রাম এবং উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় আওয়ামী লীগের রয়েছে সুদীর্ঘ ইতিহাস। দলটির ইতিহাসের অংশীদার আওয়ামী লীগের প্রয়াত অনেক নেতার মধ্যে গাজীপুরে রয়েছেন চার
০৪ জানুয়ারি ২০২৪
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় পাঁচজনকে জরিমানা করা হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার যমুনা নদীতে এই অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহবুব হাসান।
১ ঘণ্টা আগে
আব্দুর রউফ তালুকদার বকশীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি। তাঁর বাড়ি বকশীগঞ্জ পৌর শহরের মধ্যবাজার এলাকায়। তিনি চার মেয়াদে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচত হয়ে দায়িত্ব পালন করেন।
১ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর গুলি চালানোর ঘটনায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি শনাক্ত করা হয়েছে। ওই মোটরসাইকেলের মালিক সন্দেহে আব্দুল হান্নানকে আটক করেছে র্যাব।
২ ঘণ্টা আগেভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় পাঁচজনকে জরিমানা করা হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার যমুনা নদীতে এই অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহবুব হাসান।
বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন অনুযায়ী দায়ের করা পাঁচটি পৃথক মামলায় অভিযুক্ত পাঁচজনকে ৫০ হাজার টাকা করে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন সিরাজগঞ্জের অছির আলীর ছেলে ইজতেহার (৫০), নড়াইলের দাউদ মোল্লার ছেলে নুর মোহাম্মদ (৩৬), বরগুনার নাসির খানের ছেলে হাসান (২৪), ভূঞাপুরের মোকতেল হোসেনের ছেলে করিম (৩৫) ও সানু মিয়ার ছেলে জহুরুল (৩০)।
এ সময় ভূঞাপুর থানা-পুলিশ, নৌ পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহবুব হাসান বলেন, যমুনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে পাঁচজনকে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন রোধে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় পাঁচজনকে জরিমানা করা হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার যমুনা নদীতে এই অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহবুব হাসান।
বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন অনুযায়ী দায়ের করা পাঁচটি পৃথক মামলায় অভিযুক্ত পাঁচজনকে ৫০ হাজার টাকা করে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন সিরাজগঞ্জের অছির আলীর ছেলে ইজতেহার (৫০), নড়াইলের দাউদ মোল্লার ছেলে নুর মোহাম্মদ (৩৬), বরগুনার নাসির খানের ছেলে হাসান (২৪), ভূঞাপুরের মোকতেল হোসেনের ছেলে করিম (৩৫) ও সানু মিয়ার ছেলে জহুরুল (৩০)।
এ সময় ভূঞাপুর থানা-পুলিশ, নৌ পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহবুব হাসান বলেন, যমুনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে পাঁচজনকে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন রোধে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

রাজধানী লাগোয়া শিল্প নগরী গাজীপুরকে দ্বিতীয় গোপালগঞ্জ ও আওয়ামী লীগের ঘাঁটি মনে করা হয়। মহান মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে এ দেশের গণমানুষের অধিকার আদায়ের লড়াই সংগ্রাম এবং উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় আওয়ামী লীগের রয়েছে সুদীর্ঘ ইতিহাস। দলটির ইতিহাসের অংশীদার আওয়ামী লীগের প্রয়াত অনেক নেতার মধ্যে গাজীপুরে রয়েছেন চার
০৪ জানুয়ারি ২০২৪
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসন থেকে সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর সশস্ত্র হামলার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিরা যাতে দেশ ছেড়ে পালাতে না পারে, সে জন্য পঞ্চগড় সীমান্ত এলাকায় বিশেষ টহল ও তল্লাশি জোরদার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
৪৪ মিনিট আগে
আব্দুর রউফ তালুকদার বকশীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি। তাঁর বাড়ি বকশীগঞ্জ পৌর শহরের মধ্যবাজার এলাকায়। তিনি চার মেয়াদে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচত হয়ে দায়িত্ব পালন করেন।
১ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর গুলি চালানোর ঘটনায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি শনাক্ত করা হয়েছে। ওই মোটরসাইকেলের মালিক সন্দেহে আব্দুল হান্নানকে আটক করেছে র্যাব।
২ ঘণ্টা আগেইসলামপুর (জামালপুর) প্রতিনিধি

জামালপুরের বকশীগঞ্জের ‘বটগাছ’খ্যাত ও সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা আব্দুর রউফ তালুকদার ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশে যোগ দিয়েছেন। গতকাল শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেলে তিনি বরিশালে গিয়ে ইসলামী আন্দোলনের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীমের সঙ্গে দেখা করে দলটিতে যোগ দেন।
এ সময় উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফরিদ উদ্দিন ফরিদ, সাধুরপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি গোলাম কিবরিয়া মনু গাজীসহ শতাধিক বিএনপির সাবেক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
আব্দুর রউফ তালুকদার বকশীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি। তাঁর বাড়ি বকশীগঞ্জ পৌর শহরের মধ্যবাজার এলাকায়। তিনি চার মেয়াদে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করেন। ১৭ বছর ছিলেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি পদে। স্থানীয় রাজনীতিতে ব্যাপক জনপ্রিয় থাকায় এলাকাবাসী দলমত-নির্বিশেষে অভিভাবক মেনে প্রবীণ এই সমাজসেবককে ‘বটগাছ’ উপাধিতে ভূষিত করেন। সবার মুখে মুখে বলতে শোনা যায়, আব্দুর রউফ তালুকদার মানেই এখানকার মানুষের অভিভাবক।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামালপুর-১ (বকশীগঞ্জ-দেওয়ানগঞ্জ) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণাও দিয়েছিলেন আব্দুর রউফ তালুকদার।
ইসলামী আন্দোলনের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীমের সঙ্গে তাঁর যোগদানের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে বকশীগঞ্জ ও দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় সাধারণ মানুষের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে স্থানীয় রাজনীতিতে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আব্দুর রউফ তালুকদার বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক আইজিপি আবদুল কাইয়ুমের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। আব্দুর রউফ ও তাঁর সমর্থকেরা আবদুল কাইয়ুমকে জামালপুর-১ আসনে দলীয় মনোনয়ন দেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছিলেন। কিন্তু আসনটিতে কেন্দ্রীয় বিএনপির কোষাধ্যক্ষ এম রশিদুজ্জামান মিল্লাতকে দলীয় প্রার্থী করা হয়েছে।
পরে গত ১৯ নভেম্বর জামালপুর-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দেন আব্দুর রউফ তালুকদার। এরপর থেকে তাঁর সমর্থকেরা স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে প্রচার-প্রচারণা শুরু করেন। এর মধ্যে হঠাৎ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশে যোগদান করেন আব্দুর রউফ তালুকদার।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বকশীগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি মাওনালা আবদুল মজিদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বটগাছ উপাধিতে ভূষিত বিএনপি নেতা আব্দুর রউফ তালুকদার ইসলামী আন্দোলনের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীমের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আনুষ্ঠানিকভাবে আমাদের দলে যোগ দিয়েছেন।’
এ বিষয়ে আব্দুর রউফ তালুকদারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে তাঁর মোবাইলে একাধিকবার চেষ্টা করা হলেও ফোনটি বন্ধ থাকায় মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

জামালপুরের বকশীগঞ্জের ‘বটগাছ’খ্যাত ও সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা আব্দুর রউফ তালুকদার ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশে যোগ দিয়েছেন। গতকাল শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেলে তিনি বরিশালে গিয়ে ইসলামী আন্দোলনের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীমের সঙ্গে দেখা করে দলটিতে যোগ দেন।
এ সময় উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফরিদ উদ্দিন ফরিদ, সাধুরপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি গোলাম কিবরিয়া মনু গাজীসহ শতাধিক বিএনপির সাবেক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
আব্দুর রউফ তালুকদার বকশীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি। তাঁর বাড়ি বকশীগঞ্জ পৌর শহরের মধ্যবাজার এলাকায়। তিনি চার মেয়াদে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করেন। ১৭ বছর ছিলেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি পদে। স্থানীয় রাজনীতিতে ব্যাপক জনপ্রিয় থাকায় এলাকাবাসী দলমত-নির্বিশেষে অভিভাবক মেনে প্রবীণ এই সমাজসেবককে ‘বটগাছ’ উপাধিতে ভূষিত করেন। সবার মুখে মুখে বলতে শোনা যায়, আব্দুর রউফ তালুকদার মানেই এখানকার মানুষের অভিভাবক।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামালপুর-১ (বকশীগঞ্জ-দেওয়ানগঞ্জ) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণাও দিয়েছিলেন আব্দুর রউফ তালুকদার।
ইসলামী আন্দোলনের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীমের সঙ্গে তাঁর যোগদানের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে বকশীগঞ্জ ও দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় সাধারণ মানুষের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে স্থানীয় রাজনীতিতে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আব্দুর রউফ তালুকদার বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক আইজিপি আবদুল কাইয়ুমের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। আব্দুর রউফ ও তাঁর সমর্থকেরা আবদুল কাইয়ুমকে জামালপুর-১ আসনে দলীয় মনোনয়ন দেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছিলেন। কিন্তু আসনটিতে কেন্দ্রীয় বিএনপির কোষাধ্যক্ষ এম রশিদুজ্জামান মিল্লাতকে দলীয় প্রার্থী করা হয়েছে।
পরে গত ১৯ নভেম্বর জামালপুর-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দেন আব্দুর রউফ তালুকদার। এরপর থেকে তাঁর সমর্থকেরা স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে প্রচার-প্রচারণা শুরু করেন। এর মধ্যে হঠাৎ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশে যোগদান করেন আব্দুর রউফ তালুকদার।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বকশীগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি মাওনালা আবদুল মজিদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বটগাছ উপাধিতে ভূষিত বিএনপি নেতা আব্দুর রউফ তালুকদার ইসলামী আন্দোলনের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীমের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আনুষ্ঠানিকভাবে আমাদের দলে যোগ দিয়েছেন।’
এ বিষয়ে আব্দুর রউফ তালুকদারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে তাঁর মোবাইলে একাধিকবার চেষ্টা করা হলেও ফোনটি বন্ধ থাকায় মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

রাজধানী লাগোয়া শিল্প নগরী গাজীপুরকে দ্বিতীয় গোপালগঞ্জ ও আওয়ামী লীগের ঘাঁটি মনে করা হয়। মহান মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে এ দেশের গণমানুষের অধিকার আদায়ের লড়াই সংগ্রাম এবং উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় আওয়ামী লীগের রয়েছে সুদীর্ঘ ইতিহাস। দলটির ইতিহাসের অংশীদার আওয়ামী লীগের প্রয়াত অনেক নেতার মধ্যে গাজীপুরে রয়েছেন চার
০৪ জানুয়ারি ২০২৪
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসন থেকে সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর সশস্ত্র হামলার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিরা যাতে দেশ ছেড়ে পালাতে না পারে, সে জন্য পঞ্চগড় সীমান্ত এলাকায় বিশেষ টহল ও তল্লাশি জোরদার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
৪৪ মিনিট আগে
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় পাঁচজনকে জরিমানা করা হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার যমুনা নদীতে এই অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহবুব হাসান।
১ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর গুলি চালানোর ঘটনায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি শনাক্ত করা হয়েছে। ওই মোটরসাইকেলের মালিক সন্দেহে আব্দুল হান্নানকে আটক করেছে র্যাব।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর গুলি চালানোর ঘটনায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি শনাক্ত করা হয়েছে। ওই মোটরসাইকেলের মালিক সন্দেহে আব্দুল হান্নান নামের এক ব্যক্তিকে আটক করেছে র্যাব।
আজ রোববার সকালে তাঁকে আটক করে পল্টন থানায় হস্তান্তর করেছে র্যাব-২।
র্যাব সদরদপ্তরের মুখপাত্র উইং কমান্ডার এম জেড এম ইন্তেখাব চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে জানান, ওসমান হাদির ওপর হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি শনাক্ত করা হয়েছে। রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে মোটরসাইকেলটির মালিক আব্দুল হান্নানকে আটক করা হয়েছে। পরে তাঁকে পল্টন থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
হত্যার ঘটনায় হান্নান জড়িত কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানায় র্যাব।
র্যাব আরও জানায়, মোটরসাইকেলটির নম্বর ৫৪-৬৩৭৫। আটক হান্নানের বাড়ি রাজশাহীর চাঁপাইনবাবগঞ্জ। তাঁর বাবার নাম মো. আবুল কাশেম।
গত শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকার বিজয়নগর এলাকায় চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে করা গুলিতে গুরুতর আহত হন রিকশায় থাকা ওসমান হাদি। তাঁকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অস্ত্রোপচারের পর তাঁকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এর মধ্যে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী হাদির ওপর হামলাকারীকে ধরিয়ে দিতে ৫০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছেন।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর গুলি চালানোর ঘটনায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি শনাক্ত করা হয়েছে। ওই মোটরসাইকেলের মালিক সন্দেহে আব্দুল হান্নান নামের এক ব্যক্তিকে আটক করেছে র্যাব।
আজ রোববার সকালে তাঁকে আটক করে পল্টন থানায় হস্তান্তর করেছে র্যাব-২।
র্যাব সদরদপ্তরের মুখপাত্র উইং কমান্ডার এম জেড এম ইন্তেখাব চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে জানান, ওসমান হাদির ওপর হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি শনাক্ত করা হয়েছে। রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে মোটরসাইকেলটির মালিক আব্দুল হান্নানকে আটক করা হয়েছে। পরে তাঁকে পল্টন থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
হত্যার ঘটনায় হান্নান জড়িত কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানায় র্যাব।
র্যাব আরও জানায়, মোটরসাইকেলটির নম্বর ৫৪-৬৩৭৫। আটক হান্নানের বাড়ি রাজশাহীর চাঁপাইনবাবগঞ্জ। তাঁর বাবার নাম মো. আবুল কাশেম।
গত শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকার বিজয়নগর এলাকায় চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে করা গুলিতে গুরুতর আহত হন রিকশায় থাকা ওসমান হাদি। তাঁকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অস্ত্রোপচারের পর তাঁকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এর মধ্যে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী হাদির ওপর হামলাকারীকে ধরিয়ে দিতে ৫০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছেন।

রাজধানী লাগোয়া শিল্প নগরী গাজীপুরকে দ্বিতীয় গোপালগঞ্জ ও আওয়ামী লীগের ঘাঁটি মনে করা হয়। মহান মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে এ দেশের গণমানুষের অধিকার আদায়ের লড়াই সংগ্রাম এবং উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় আওয়ামী লীগের রয়েছে সুদীর্ঘ ইতিহাস। দলটির ইতিহাসের অংশীদার আওয়ামী লীগের প্রয়াত অনেক নেতার মধ্যে গাজীপুরে রয়েছেন চার
০৪ জানুয়ারি ২০২৪
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসন থেকে সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর সশস্ত্র হামলার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিরা যাতে দেশ ছেড়ে পালাতে না পারে, সে জন্য পঞ্চগড় সীমান্ত এলাকায় বিশেষ টহল ও তল্লাশি জোরদার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
৪৪ মিনিট আগে
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় পাঁচজনকে জরিমানা করা হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার যমুনা নদীতে এই অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহবুব হাসান।
১ ঘণ্টা আগে
আব্দুর রউফ তালুকদার বকশীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি। তাঁর বাড়ি বকশীগঞ্জ পৌর শহরের মধ্যবাজার এলাকায়। তিনি চার মেয়াদে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচত হয়ে দায়িত্ব পালন করেন।
১ ঘণ্টা আগে